সমলিঙ্গের প্রতি টান ! সমকামিতা কি কোনও অসুখ?

সমলিঙ্গের প্রতি টান ! সমকামিতা কি কোনও অসুখ?

🇨🇭 সমকামিতা একটি মানসিক ও হরমোন ঘাটতি জনিত রোগ।
ইংরেজি শব্দ ( Homosexuality – হোমোসেক্সুয়ালিটি ) যার বাংলা হচ্ছে , সমকামী । আমেরিকানরা ছেলে সমকামীদের বলে গে- Gay আর মেয়েদের বলে লেসবিয়ান।
সমকামিতা বলতে মুলতে সম- লিঙ্গের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোঝায়। এইরূপ আকর্ষণের কারণে একই লিঙ্গের মানুষের মধ্যে যৌনসম্পর্ক ঘটতে পারে। প্রবৃত্তি হিসেবে সমকামিতা বলতে বোঝায় মূলত সম-লিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি প্রণয় ঘটিত এক ধরনের যৌন প্রবণতা। জিনগত, হরমোনগত এবং পরিবেশগত কারণ একত্রে যৌন অভিমুখীতা নির্ধারণের জন্য একজন মানুষ সমকামী হতে পারে।

🇨🇭 পৃথিবীতে যতোগুলো ধর্ম রয়েছে কোন ধর্মই এই সমকামিতাকে সমর্থন করে না। সেটি করে না এই কারণে যে, এটি যৌন চাহিদা পুরনের একটি ক্ষতিকর মাধ্যম।

🇨🇭 কেউ যদি ঠিক করে ফেলে যে, সে আর বেচে থাকবে না আত্মহত্যা করবে বলে স্থির করে ফেলে, তা হলে তাকে কেউ রক্ষা করতে পারে না । একবার , দুইবার বাচাতে পারলেই এক সময় সে ঠিকই মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে যায়। সেই ব্যক্তির ভেতর এই আত্মহত্যা প্রবণতা কিন্তু তার মস্তিষ্ক থেকে জাগ্রত হয়। মস্তিষ্ক থেকেই সে আত্মহত্যার তাগিদ বা প্রবণতা অনুভব করে। যাপিত জীবনের দু:খ,কষ্ট সেই প্রবণতাকে উচকে দেয় মাত্র। আত্মহত্যা প্রবণতা সকল মানুষের ভেতরই কিন্তু কম বেশি দেখা যায়। কেউ এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে কেউ করতে পারে না। এটাও এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা। পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না, যে জীবনে একবারও আত্মহত্যা করার কথা চিন্তা করেনি।

🇨🇭 মানুষ কেন সমকামী হয় সে ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রথমেই বলা যায়, তীব্র যৌনাকাঙ্গার সময় বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গীর অভাবে অনেক পুরুষ বা মহিলার ভেতর সমকামিতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে যেটি সবচেয়ে বেশি মারাত্মকে বা ভয়ন্কর সেটি হচ্ছে, এই সময় মানুষ শিশুদের নিরাপদ ভেবে বেছে নেয়!! শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন চালায়!! প্রচণ্ড যৌন চাহিদার কারণে তারা অনেক সময় পশু, পাখিকেও বেছে নেয় !!

সমলিঙ্গের প্রতি টান ! সমকামিতা কি কোনও অসুখ?

🇨🇭 সমকামিতা মূলত একটি মানসিক রোগ ও বটে । মস্তিষ্কের নিউরনে অসুস্থতার কারণেও মানুষ সমকামি হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে উভয়কামি থাকলেই এক সময় সমকামী হয়ে উঠে।

🇨🇭 সাধারণত প্রাকৃতিক কারণেই মানুষ বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে থাকে। কিন্তু দেখা যায় অনেকের ভেতরে হরমনগত ক্রুটি জন্ম থেকেই থেকে যায়। অর্থাৎ যিনি পুরুষ বা মহিলা হয়ে ঘর সংসার করছেন। এমন কি ছেলে মেয়েরও পিতা মাতা হয়েছেন কিন্তু তিনি ভেতরে ভেতরে একজন পূর্ণ পুরুষ নন একজন নারী। মহিলাটিও ভেতরে ভেতরে একজন পূর্ণ নারী নন একজন পুরুষ। এমন হরমোনিক সমস্যাগুলোর কারণে অনেকে সম লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন। এমনটা ভ্রনগত সমস্যার কারণে হতে পারে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন অন্যজনের প্রতি যৌন আকর্ষণ বোধ করবে ততোক্ষণ পর্যন্ত তাকে সমকামি বলা যাবে না।

🇨🇭 সমলিঙ্গে কি সেক্স বা কাম হয় ?

দুটো গ্লাস কি বিপরীত দিক থেকে একটা অন্যটার ভেতরে স্থাপন করা যায় ? না, তা পারার কথা নয়। যদিও যায় তা হলে একটার ভেতর কৃত্রিম ছিদ্র করতে হবে। তারপর একটি অন্যটির ভেতর স্থাপন যাবে। এটি পুরোই একটি বিকলাঙ্গ চিন্তাধারা। যা প্রকৃতি,সমাজ এবং ব্যক্তি স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

🇨🇭 সমকামীতা একটি হরমোনিক ও মানসিক অসুস্থতা তাই এর চিকিৎসা হওয়া একান্ত প্রয়োজন রয়েছে।
কারো ক্যান্সার হলে আমরা যেমন তাকে এক ঘরে না করে হাসপাতালে নিয়ে যাই চিকিৎসা করি। ঠিক তেমনি সমকামিদেরও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে তাদের জন্য আলাদা হাসপাতালের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

🇨🇭 সমকামিদের ভেতর ব্যাপক ভাবে কাউনসিলিং করে তাদের চিকিৎসা প্রদান করতে হবে। হরমোনের ঘাটতি থাকলে সেটি পুরণের ব্যবস্থা নিতে হবে। তবেই সমাজ থেকে সমকামিতা চিরতরে দূর করা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

🇨🇭 সমকামিতা মানসিক বিকৃতি- ই , মানসিক অসুস্থতা বা রোগ। ডায়াবেটিস যেমন জিনগত ভাবে হতে পারে এবং এটার চিকিৎসা আছে, সমকামিতারও তেমনি চিকিৎসা আছে।
যেহেতু এটি একটি মানসিক এবং হরমোন জনিত সমস্যা তাই এটি বংশানু বংশ অনুযায়ী চলে আসতে পারে। একজন স্বাভাবিক মানুষ কখনও সমকামী হয় না ম্যান্টল ডিজঅর্ডার এবং হরমোন জনিত ঘাটতির কারণেই এমনটা হতে পারে। মনে করুণ কারো ভেতর ( এষ্টোজেন Estrogen ) বা স্ত্রী হরমোন বা পুরুষ হরমোন (টেস্টোস্টেরন – Testosterone ) তারতম্য থাকলে সেটা সঠিক মাত্রায় নিয়ে আসলে সমস্যা অনেকটা কমে আসবে।

আরো পড়ুনঃ সমকামিতার ভয়ংকর শারীরিক ক্ষতি এবং ইসলামে সমকামিতার পরিণতি

🇨🇭 সমকামিতা অভিশপ্ত পাপ:

🇨🇭 পুরুষের সঙ্গে পুরুষের বা মেয়ের সঙ্গে মেয়ের যৌন চাহিদা মেটানোর নাম সমকামিতা। ইসলামে সমকামিতা হারাম ও অভিশপ্ত অপরাধ। পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু আছে, তারা সবাই কামোত্তজনায় বিপরীত লিঙ্গের দারস্থ হয়। অথচ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও সমাজের কিছু লোক যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য সমকামের মতো নিকৃষ্ট কাজে লিপ্ত হয়।

☝ তাদের প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, 🛑 ( তারা চতুষ্পদ জন্তু-জানোয়ারের মতো বরং তার চেয়েও নিকৃষ্ট )। ( সুরা আরাফ : 179 )।

সমলিঙ্গের প্রতি টান ! সমকামিতা কি কোনও অসুখ?
🛑 সমকাম ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য!

🇨🇭 ইসলামে সমকামিতা ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ। এটা সবচেয়ে বড় কবিরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত। এটা এমন নিষিদ্ধ কাজ, কোরআন যার ব্যাপারে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে।

🛑 লুত (আ.) এর সম্প্রদায়ের – এ ধরনের অশ্লীল কাজের বর্ণনায় আল্লাহতায়ালা বলেন: ( গোটা বিশ্বের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে কুকর্ম করো এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন করে থাকো! তোমরা তো সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায় )। ( সুরা শুআরা : 165-166 )।

🛑 সমকামের অপরাধে ধ্বংস জাতি:

ইতিহাস সাক্ষী, অভিশপ্ত গোষ্ঠি লুত (আ.) এর সম্প্রদায় সমকামের অপরাধে ধ্বংস হয়েছিল। লুত (আ.) তাদেরকে বারবার হালাল পন্থায় নারীদের সঙ্গে যৌন চাহিদা পূরণ করার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা তাঁর কথা শোনেনি। ফলে আল্লাহতায়ালা জিবরাইল (আ.) কে পাঠিয়ে তাদেরকে ধ্বংস করে দিলেন। এরশাদ হচ্ছে- ( যখন আমার নির্দেশ এসে পৌঁছাল, এরপর যখন আমার সিদ্ধান্ত কার্যকর হলো, তখন আমি জনপদের উপরিভাগ নিচে এবং নিম্নভাগ ওপরে তুললাম। জনপদের ওপর স্তরে স্তরে কাঁকর-পাথর বর্ষণ করলাম )।( সুরা হুদ : 82 )। লুত (আ.) এর সম্প্রদায়ের বস্তির ধ্বংসপ্রাপ্ত রূপই আজকের ডেডসি বা মৃত সাগর। আজও সে জনপদে কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।

🛑 সমকামের পার্থিব শাস্তি:

কোরআনের অনেক সুরায় লুত (আ.) এর জাতির এ ধরনের অপকর্ম বিষয়ে মানুষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তাদের করুণ পরিণতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে। সমকামের পার্থিব শাস্তি সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন: ( তোমরা যাদের লুত (আ.) এর জাতির মতো কাজে ( সমকামে ) লিপ্ত দেখবে, তাদের উভয়কেই হত্যা করো )। (সুনানে আবি দাউদ : 4448 )। আবার বলেছেন: ( তোমরা যদি এমন কাউকে পাও, যে লুত (আ.) এর সম্প্রদায় যা করত, তা করছে। তবে হত্যা করো। যে করছে, তাকে,আর যাকে করা হচ্ছে, তাকেও। ( সুনানে আবি দাউদ : 4447 )।

🛑 সমকামিতা ও অবাধ যৌনতা এইডসের কারণ:

সমকামিতা ও অবাধ যৌনতা এইডসের মতো প্রাণঘাতী রোগের অন্যতম কারণ। 1981 সালে এ রোগটি সমকামীদের মধ্যে প্রথম ধরা পড়ে। এইডস মানবদেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। এর ওষুধ আবিষ্কারের কথা একাধিকবার শোনা গেলেও বাস্তবতা ভিন্ন। এ ব্যাপারে রাসুল (সা.) অনেক আগেই তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন: ( যখন কোনো জাতির মধ্যে অশ্লীলতা এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, তারা প্রকাশ্যে অপকর্মে লিপ্ত হয়, তখন তাদের মধ্যে এমন রোগ-ব্যাধি ছড়িয়ে পড়বে, যা তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে ছিল না )। (সুনানে ইবনে মাজাহ : 1332 )।

সমলিঙ্গের প্রতি টান ! সমকামিতা কি কোনও অসুখ?

🛑 সমকামে জড়ানো ব্যক্তির করণীয়:

🇨🇭 সমকামীদের ( আল্লাহর কাছে তওবা ) করার পাশাপাশি কায়মনো বাক্যে আকুতি করতে হবে, যেন আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।

☝ আল্লাহতায়ালা বলেন: ( যদি তোমাদের মধ্যে দুজন – পুরুষ, কুকর্মের জন্য দোষী প্রমাণিত হয়, তবে তাদের উভয়কে শাস্তি দাও। যদি তারা অনুতপ্ত ও সংশোধিত হয়, তবে তাদেরকে ছেড়ে দাও। কারণ নিশ্চয়ই আল্লাহ অনুতাপ গ্রহণকারী, পরম দয়ালু )। (সুরা নিসা : 16 )।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!