⭕Edema- শোথ রোগ কি?
⭕ দেহের কোষের দোষে, হৃৎপিন্ডের পীড়া, যকৃতের দোষ, অধিক মদ্যপান, সর্বাঙ্গীণ দুর্বলতা, অজীর্ণ, আমাশয়, রক্ত স্বল্পতা বা কোন কঠিন রোগ ভোগের সর্ব-শরীরে পানি জমা ( শোথ- Edema ) আলাদা কোন রোগ নয়, এটি অন্য রোগের লক্ষণ মাত্র। শোথ হইবার নানা বিধ কারণ থাকিতে পারে। হোমিওপ্যাথির আবিষ্কারক হ্যানিম্যান বলেছেন দেহের ভিতরে প্রদাহ, অধিক রক্তক্ষরণ, মূত্র গ্রন্থির পীড়ায় শরীরে পানি জমে। যদি নিজেকে মাঝে মাঝে স্ফীত মনে হয় বা হাত, পা ও মুখমণ্ডল ফোলা ফোলা লাগে তবে ধারনা করা যেতে পারে শরীরে কোনো কারণে পানি জমছে।
⭕শোথের( Edema- র’ ) লক্ষণসমুহ কি?
- আক্রান্ত স্থান স্ফীত হয় এবং সর্বাঙ্গ ধীরে ধীরে ফুলে উঠে।
- আক্রান্ত স্থানে আঙ্গুল দিয়ে টিপলে গর্ত হয় এবং আঙ্গুল তুলে নিলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত ঐ গর্ত থাকে পরে মিলে যায়।
- চর্ম ফ্যাকাসে, উজ্জল ও শীতল হয়।
- অতিশয় দুর্বলতা, ক্ষুধাহীনতা ও পিপাসা বৃদ্ধি পায়।
- উদরাময়, মুত্র স্বল্পতা ও লালবর্ণের মুত্র।
- শোথ কোন নির্দিষ্ট রোগ নয়,অন্যরোগের উপসর্গ।
- রক্তে জলীয় অংশ বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য দেহ কোষগুলো প্রথমে আক্রান্ত হয়। দিনের বেলায় পদদ্বয়ে শোথ বৃদ্ধি এবং রাতে পায়ের শোথ ভাব কম থাকে।
- শ্বাসকষ্ট, উদরাময়, হাঁপানি বোধ। ঘর্মরোধ, পিপাসা এবং নড়াচড়া করতে কষ্ট।
⭕ শরীরে পানি জমার ( Edema ) চিকিৎসা কি?
⭕শোথের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ কি?
🧪 ডিজিটেলিস :
এই ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে প্রথমে হৃৎপিণ্ডের নাড়ীর গতি ভাল করিয়া জানা আবশ্যক, কারন ইহাতে নাড়ী ও হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত দুর্বল থাকে, নাড়ীর প্রতিঘাত ( Beat ) মিনিটে 30/40 বার পর্যন্ত এবং 3rd, 5th, অথবা 7th আঘাত বিলুপ্ত হয়, হৃৎপিণ্ডের ও নাড়ীর এই প্রকার অবস্থা না থাকিলে ডিজিটেলিস প্রয়োগে বিশেষ ফল হইবে না। সাধারণ শোথ ও উদরীতে কেবলমাত্র রোগীর প্রস্রাবের উপর লক্ষ্য রাখিয়া অনেক স্থলে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
🧪 লিয়াট্রিস :
সর্বাঙ্গীণ শোথ অর্থাৎ সমস্ত শরীর ফুলা প্রস্রাব পরিমানে কম। এর ফলে প্রস্রাবের পরিমান বৃদ্ধির মাধ্যমে শোথ রোগ আরোগ্য হয়।
🧪 অক্সিডেনড্রন :
সমস্ত অঙ্গ প্রতঙ্গের শোথ ও ফোলা, পেটে পানি জমা, শ্বাস কষ্ট, প্রস্রাব অল্প ইত্যাদি লক্ষনে ব্যাবহার করলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়।
🧪 এপোসাইনাম :
হৃৎপিন্ডের রোগসহ সকল প্রকার শোথেই ইহা উপকারী। ইহাতে মতিস্কের অত্যন্ত গোলযোগ থাকে, মাথা খুব ভারী হয়, নাড়ী অত্যন্ত ক্ষীণ, কোষ্ঠবদ্ধ, প্রস্রাব অতি অল্প, প্রস্রাব ঘোলা ও গরম, প্রস্রাবে ঘন শ্লেষ্মা, অনেক সময় প্রস্রাব অসাড়ে নির্গত হয়, বুকে পিঠে চাপবোধ, কিছু খাইলে নিশ্বাস ফেলিতে কষ্ট হয়, নিশ্বাস জোরে টানিয়া ফেলে, বুকে বেদনা ও হৃৎপিণ্ডের মধ্যে এক প্রকার অব্যক্ত যন্ত্রণা হয়, নাড়ী সবিরাম কিম্বা অত্যন্ত দুর্বল অথবা একেবারে পাওয়া যায় না। শোথ রোগের জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। অত্যন্ত পানি পিপাসা ও পানের পরই বমি বমি ভাব। প্রস্রাবের পরিমান কম, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট। হৃদরোগ বা কিডনির পীড়া জনিত শোথে ইহা অধিক উপকারী। পেট বেদনা করে, রোগী যেদিকে চাপিয়া শোয় সেই দিক অধিক ফোলে।
🧪 লাইকোপোডিয়াম :
লিভার পীড়াগ্রস্ত ব্যাক্তিগণের শোথরোগে লাইকোপোডিয়াম উপকারী। কোনও শোথ রোগে পায়ে অধিক ফোলা থাকিলেও সেই ফোলার উপর ঘা থাকিলে ইহা আরও অধিক উপযোগী।লাইকোপোডিয়ামে রোগীর উপরার্ধ যেমন: হাত, মুখ, বুক, গলা ইত্যাদি শুষ্ক শীর্ণ এবং নিম্নাঙ্গ যেমন পেট, পাছা, পা ইত্যাদি খুব ভারিবোধ ও অত্যন্ত ফোলা-ফোলা দেখায়। হৃৎপিণ্ডের পীড়াজনিত শোথে ইহা আর্সেনিক প্রভৃতি অন্যান্য ঔষধ অপেক্ষাও অনেক সময়ে অধিক উপকার করে পেরিকার্ডিয়ামের ও প্লুরার শোথেও লাইকোপোডিয়াম উপকারী।
🧪 এপিস মেল :
ইহাতে রোগীর পিপাসা থাকে না, প্রস্রাব অল্প পরিমাণে হয়, গায়ের চামড়া সাদাটে বা স্বচ্ছ দেখায়, চোখ, পা অধিক ফোলে রোগী আদৌ শুইতে পারে না। অত্যন্ত শ্বাসকষ্ট, একবার শ্বাস লইয়া মনে করে পরের বারে আর শ্বাস লইতে পারিবে না এই তাহার শেষ নিঃশ্বাস। চোখের নীচের পাতা অধিক ফোলে।
🧪 ঈগল ফোলিয়া :
সর্বপ্রকার যান্ত্রিক রোগ সংযুক্ত শোথ, উদরী, স্বল্প প্রস্রাব, চোখ, মুখ, হাত পা, পেটফোলা, জ্বর, অরুচি এবং বহুদিন যাবৎ প্লীহা, পেটের অসুখ, আমাশয় ইত্যাদিতে ভুগিয়া বা মাঝে মাঝে ঐরূপ হইয়া ক্রমশ: ফুলিয়া পড়িলে ইহাতে উপকার হইবে। বেরি-বেরি রোগের ফোলাতেও ইহাতে উপকার হয়।
আরো পড়ুনঃ পলিসিস্টিক কিডনি / কিডনিতে সিস্ট কী?
⭕ শরীরে পানি জমার ( Edema ) চিকিৎসা কি?
🧪 ডিজিটেলিস :
হৃৎপিন্ডের পীরা জনিত শোথ, শ্বাস-প্রশ্বাসে অত্যন্ত কষ্ট, নাড়ির গতি অসম। চলিতে চলিতে হঠাৎ নাড়ি থামিয়া যায়। আবার চলিতে থাকে। তৃতীয় পঞ্চম কিংবা সপ্তম স্পনদন বিল্যুপ্ত হলে এটাই প্রধান ঔষধ।
🧪 আর্সেনিক এলবম :
হাত, পা, পেট, সমস্ত দেহের শোথ বিশেষ করে মুখের চামড়া ফ্যাকাসে, নীল বা সবুজ আভা। খুব দুর্বলতা সামান্য নড়াচড়া করলে অবসন্নতা। রাতে মনে হয় দম বন্ধ হয়ে যাবে, অস্থিরতা। খুব পিপাসা কিন্তু অল্প অল্প জলপান, হৃদপিণ্ডের শোথ।
🧪 এমন বেঞ্জোয়িকাম :
যে সকল ব্যাক্তির প্রস্রাবে এলবুমেন থাকে, প্রস্রাব অত্যন্ত অল্প পরিমাণে হয়,প্রস্রাব ধরিয়া রাখিলে ভিতরে ধোঁয়ার মত পদার্থ দেখিতে পাওয়া যায়,অত্যন্ত কটু গন্ধ থাকে, প্রস্রাব কখনও কখনও লালবর্ণ হয় এবং লালবর্ণের ঘন তলানি পড়ে, তাহাদের পীড়ায় ও শোথে ইহা অধিক উপকারী।
🧪 সাইরিকা :
ইহা হৃৎপিণ্ডের ও কিডনি সম্বন্ধীয় কতিপয় পীড়ায়, শোথরোগে ও বাতে ব্যবহৃত হয়। ইহা সেবনে ঘর্ম ও প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়, সেইজন্য ইহা সকল প্রকার শোথে, বিশেষত: হৃৎপিণ্ডের ও কিডনির পীড়া জনিত শোথরোগে অধিক উপকারী।
🧪 এম্পিলপসিস :
প্রস্রাবের দোষজনিত শোথ, হাইড্রোসিল এবং স্ক্রুফুলাস ব্যক্তির পুরাতন গলাধরায় ইহা অধিক উপকারী। তদ্ভিন্ন চক্ষুর পিউপিল বিস্তৃত, বামদিকের পাঁজরায় কষ্টাল প্রদেশে স্পর্শ কাতরতা তীক্ষ্ণ বেদনা, কনুইয়ের হাড়ে ও পিঠে এবং সমস্ত অঙ্গে বেদনা, বমি ও বাহ্যের সহিত কোঁথানি, পেটে গড়গড় শব্দ এই ঔষধের বিশিষ্ট লক্ষণ।
🧪 কোয়ার্কাস গ্ল্যাণ্ডিয়ম :
পুরাতন প্লীহা ও প্লীহাজনিত শোথ রোগে ইহা পূর্বে ব্যবহৃত হইত। মাথাঘোরা মাথায় শব্দ, কানে কম শোনা, কালা হওয়া, লিভার পীড়া ও শোথ,ম্যালেরিয়া জ্বরসহ পেটফাঁপা ইত্যাদিতে ইহা ব্যবহার্য।
🧪 থেরিডিয়ন :
স্নায়ুরবোধ শক্তির আধিক্য। ক্ষয়রোগ ধাতুগ্রস্ত ব্যক্তির উপরে ইহার বিশেষ কাজ। শির ঘূর্ণন, বমিসহ মাথা ঘোরা, হৃদপ্রদেশে অদ্ভুদ ধরণের বেদনা, রক্তস্রাবী যক্ষ্মারোগ, গণ্ডমালা প্রভৃতি বহু রোগে ইহা দ্বারা উপকার পাওয়া যায়।যে সকল ক্ষেত্রে নির্বাচিত ঔষধ দীর্ঘদিন কাজ করে না সেখানে ইহা বিশেষ উপকারী। পায়ের ফুলা, নিম্নাঙ্গে কামড়ানি বেদনা।
🧪 আর্জেন্ট ফস :
শোথ রোগে ইহাতে প্রস্রাব নি:সরণে সহায়তা করে।
🧪 এসেটিক এসিড :
সর্বাঙ্গীণ শোথ কিম্বা উদরীর সহিত উদরাময় ও বমন কেবলমাত্র এসেটিক এসিডেই আছে, অন্য ঔষধে নাই।
🧪 হেলিবোরাস :
হৃৎপিন্ডের গোলযোগের কারণে শোথ ও উদরীরোগে প্রস্রাব কালবর্ণ কিম্বা ঘোলা, পরিমাণে অত্যন্ত অল্প, প্রস্রাব ধরিয়া দেখিলে তাহাতে ধোঁয়ার মত পদার্থ ভাসে, তলানি কফি গুঁড়ার মত, বাহ্য আমমিশ্রিত, এই সমস্ত লক্ষণে হেলিবোরাস উপকারী।বক্ষশোথ নিশ্বাসে ও বসিতে কষ্ট দমবন্ধভাব হয়।
🧪 ল্যাথাইরাস :
পা ঝুলাইয়া চেয়ারে বা বেঞ্চিতে বসিয়া কাজ করিলেই পা ফুলিয়া উঠে।
🧪 স্যাম্বুকাস :
কিডনির তরুণ প্রদাহ জনিত শোথরোগে ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগসহ প্রচুর পরিমাণে প্রস্রাব হয় ও ঘন সেডিমেণ্ট থাকে।
⭕ শরীরে পানি জমার ( Edema ) চিকিৎসা কি?
⭕ শোথ রোগের রোগীর জন্য পরামর্শ কি?
✅ গর্ভাবস্থায় ও মাসিক চলাকালে হাতে-পায়ে ও মুখমণ্ডলে পানি আসতে পারে। এছাড়া অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মেনোপজ কিংবা থাইরয়েড, লিভার বা কিডনি সমস্যারলক্ষণও হতে পারে শরীরে পানি জমা। এরজন্য চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
তবে প্রাথমিকভাবে রেহাই পেতে রয়েছে ঘরোয়া কিছু পন্থা। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইট www.homeotreatment.com এসব উপায় উল্লেখ করা হয়। প্রচুর পানি পান করুন, যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করলে পানি জমা কমানো যায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সমস্ত দিনের মধ্যে সুষমভাবে পানি পান করা হয়। কারণ একেবারে অধিক পানি পান করলে উল্টো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
লবণ ও চিনি খাওয়া কমান- লবণ কোষে পানি ধরে রাখে এবং লবণের আধিক্য শরীরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। অপর দিকে, চিনি দেহে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ফলে দেহ থেকে সোডিয়াম তথা লবণ নিষ্কাশন কমিয়ে দেয়। বেছে নিন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। ফার্মেসিতে ছুটে যাওয়ার আগে রান্নাঘরের দিকে একবার নজর দিন। ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। বাঁধাকপির কাঁচাপাতা, সবুজ চা, অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার, ধনিয়াপাতা, জিরা ইত্যাদি হতে পারে ঘরোয়া সমাধান।
✅ রসুন: সকালে খালি পেটে রসুন খেলে উপকার হতে পারে।এটি চর্বি ভাঙতেও সহায়তা করে।
✅ বরফ: একটি পাতলা কাপড়ে বেশ কয়েকটি বরফের টুকরা নিয়ে পানি জমা জায়গায় চেপে ধরুন। এটি কিছুটা প্রশান্তিদায়ক হতে পারে।
অ্যালকহল বর্জন করুন, অ্যালকোহল পান হতে পারে শরীরে পানি জমার কারণ। এটি শরীরে জোর করে অধিক পানি জমিয়ে রাখে।
⭕ সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ /নির্দেশনা ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
যে কোন সমস্যার জন্য যোগাযোগ করুন। +8801907-583252
⭕ প্রবীণদের এডিমা থেকে মুক্তি ও কীভাবে এডিমা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
⭕ শরীরে পানি জমার ( Edema ) চিকিৎসা কি?
⭕ শোথ বা এডিমা- Edema , বলতে ফোলা বোঝায়। এটি এমন একটি অবস্থা যখন আপনার শরীরের কোন অংশ ফুলে যায়। আঘাত বা প্রদাহের কারণে রক্তনালী ফুটো হয়ে সেখান থেকে তরল চুঁইয়ে নিকটবর্তী কলায় মেশে যার ফলে শরীরের যে কোনো অংশে ফোলাভাব ঘটতে পারে।
⭕ শোথ যে কারোর-ই হতে পারে এবং বিভিন্ন কারণে প্রবীণদের ও হতে পারে। শোথের অন্তর্নিহিত কারণগুলির অবশ্যই গুরুত্ব নিয়ে চিকিৎসা করা উচিত।
⭕ এডিমা’র বর্ণনা:
⭕ শরীরের কোন অংশ আক্রান্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে, শোথকে নিম্নলিখিত শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে:
- পালমোনারি এডিমা।
- সেরিব্রাল এডিমা।
- ম্যাকুলার এডিমা।
- লিম্ফেডেমা এডিমা।
- প্যাডেল এডিমা।
- পেরিফেরাল এডিমা।
⭕ শোথের কয়েকটি কারণ হল: প্রদাহ বা আঘাত, বা ওষুধ বা গর্ভাবস্থা। এটি বিভিন্ন অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যজনিত অবস্থার লক্ষণও হতে পারে যার মধ্যে রয়েছে- বৃক্ক বিকল হওয়া, লিভার সিরোসিস বা সংক্রমণ, বা কনজেস্টিভ হার্ট ফেলিওর। অ্যালার্জি, শিরা প্রবাহে বাধা এবং রক্তে অ্যালবুমিন কম হওয়ার ক্ষেত্রেও শোথ হতে পারে।
⭕ অত্যাধিক নোনতা খাবার খাওয়া বা দীর্ঘ সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকা বা একভাবে বসে থাকার জন্যও শোথ সামান্য হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের জন্য নেওয়া ওষুধ, ইস্ট্রোজেন, ডায়াবেটিস, স্টেরয়েড ওষুধ এবং প্রদাহরোধী ওষুধগুলির জন্যও শোথ শুরু হয়ে যেতে পারে।
⭕ এডিমা’র লক্ষণ:
শোথের লক্ষণগুলি অবস্থান এবং অবস্থার তীব্রতার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, প্রদাহের কারণে বা সংক্রমণের জন্য হওয়া শোথ অল্পমাত্রায় হলেতেমন কোন লক্ষণ দেখা যায় না। কখনও কখনও, একটি প্রভাবশালী অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় শরীরের একটি সম্পূর্ণ অংশ ফুলে যেতে পারে এবং আপনার অঙ্গের চলনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
⭕ খাদ্যের অ্যালার্জি বা ওষুধের অ্যালার্জির কারণে সৃষ্ট শোথ, আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা দিয়ে জীবননাশের-কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
⭕ পায়ের শোথের ক্ষেত্রে, পা ফুলে যেতে পারে এবং আপনার পা ভারী হয়ে যেতে পারে, যার ফলে হাঁটতে অসুবিধা হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি রক্ত প্রবাহে বাধা দিতে পারে যার ফলে আলসার হতে পারে।
⭕ ছোট ছোট গর্ত হল এমন একটি লক্ষণ যা চিকিৎসকদের আপনার শোথের কারণ নির্ধারণ করতে সহায়তা করে। যদি শোথযুক্ত অঞ্চলে চাপ দেওয়ার পরে আপনার ত্বকে একটি গর্ত তৈরি হয় তবে এটিকে পিটিং শোথ বলা হয়। আপনি এটি চাপার পরে যদি ত্বক তার আসল আকারে ফিরে যায় তবে এটি নন-পিটিং শোথ। শোথের জন্য এছাড়াও ত্বক চকচকে বা প্রসারিত হতে পারে।
⭕ রক্তে কম অক্সিজেনের মাত্রা এবং শ্বাসকষ্ট পালমোনারি শোথের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ।
⭕ এডিমা কীভাবে প্রবীণদের প্রভাবিত করে?
✅ বয়স্কদের মধ্যে শোথ একটি সাধারণ ঘটনা, কারণ তারা বয়স্ক মানুষ এবং তুলনামূলকভাবে একজায়গায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে থাকার মতো জীবনধারা অনুসরণ করেন এবং তাদের অসুস্থতা রোধে ব্যবহৃত ওষুধপত্র। প্রবীণ নাগরিকরাও দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য বেশি সংবেদনশীল যার জন্যও শোথ হতে পারে। একজন প্রবীণ নাগরিকের মধ্যে শোথের উপস্থিতি সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষণ করা বা ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে যেকোনো গুরুতর জটিলতা যেমন তীব্র অসুস্থতা বা এমনকি মৃত্যুও রোধ করা যায়।
⭕ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বয়স্ক উভয়ের জন্য শোথের চিকিৎসা একই।
⭕ আপনার যদি হালকা মাত্রায় শোথ থাকে, তবে এটি নিজে থেকেই সেরে যেতে পারে। আপনি কিছু সময়ের জন্য আপনার প্রভাবিত অঙ্গটিকে, হৃদপিন্ডের অবস্থানের চেয়ে উঁচুতে তুলে ধরেন তবে এটি নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে।
⭕ আরও গুরুতর শোথের জন্য অবশ্যই ওষুধ সহযোগে চিকিৎসা করা উচিত। এই ওষুধগুলি আপনার শরীরকে মূত্রের মাধ্যমে অতিরিক্ত তরল বের করে দিতে সাহায্য করবে।
⭕ আপনার ডাক্তার আপনার চিকিৎসার ইতিহাস এবং অন্তর্নিহিত কারণের উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি সংক্রমণ প্রধান কারণ হয়, তাহলে সেই সংক্রমণের অবশ্যই চিকিৎসা করা উচিত। যদি কোনো ওষুধের কারণে শোথ হয়, তাহলে আপনার ডাক্তার আপনার ডোজ পরিবর্তন করতে পারেন বা ভিন্ন ওষুধ বা চিকিৎসার কথা লিখে দিতে পারেন।
⭕ কখনও কখনও, তরল নিষ্কাশনে কোন একটি প্রতিবন্ধকতার কারণে সৃষ্ট শোথকে নিষ্কাশনের প্রবাহ পুনরায় শুরু করিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পায়ে রক্ত জমাট বাঁধার চিকিৎসার জন্য ব্লাড থিনার ব্যবহার করা হয়। এই জমাটভাব ভেঙ্গে যায় যা নিষ্কাশন প্রবাহর প্রক্রিয়াকে নিরাময় করে। যখন রক্ত বা লসিকাকে আটকে দেওয়া একটি টিউমার থাকে তখন সার্জারি, কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন চিকিৎসা ব্যবহার করা হয় কারণ এই বিকল্পগুলি সহজেই এটিকে সরিয়ে দেয় বা সঙ্কুচিত করে দেয়।
✅ ঘরোয়া প্রতিকারগুলি আপনাকে শোথ কমাতে সাহায্য করে তার মধ্যে রয়েছে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করার ব্যায়াম, আক্রান্ত অঙ্গকে উঁচু করে তোলা, ম্যাসাজ, আক্রান্ত স্থানকে রক্ষা করা এবং আক্রান্ত স্থানকে সংকোচন করানো।
✅ প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রবীণদের জন্য সতর্কতা ?
✅ আপনার যদি শোথ হয়ে থাকে, তবে আপনাকে একজন ডাক্তারকে দিয়ে পরীক্ষা করাতে হবে। ডাক্তার আপনার চিকিৎসার ইতিহাস পরীক্ষা করবেন এবং অন্তর্নিহিত কারণ নির্ণয় করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা করার নির্দেশ দেবেন।
🧪 এক্স-রে, এমআরআই, রক্ত পরীক্ষা, মূত্র বিশ্লেষণের মতো পরীক্ষা করা হবে। আপনি যদি শ্বাসকষ্ট বা শ্বাস নিতে অসুবিধা বা বুকে ব্যথা অনুভব করেন তবে আপনাকে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে।
✅ প্রবীণদের শোথ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করার জন্য কিছু অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিতে পারেন যেমন:
🇨🇭 স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাবার খাওয়া: একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ খাদ্যাভ্যাসগত সমস্যা যেমন: কম প্রোটিন বা উচ্চ লবণ খাওয়ার কারণে সৃষ্ট শোথ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
🇨🇭 প্রায় 30 মিনিটের জন্য আপনার হৃদপিণ্ডের অবস্থানের উপরে পা তুলে থাকলে পা, গোড়ালি এবং পায়ের শোথের উপশম হয়। উন্নত ফলাফলের জন্য দিনে অন্তত 3-4 বার এই ব্যায়ামের পুনরাবৃত্তি করুন।
🇨🇭 সক্রিয় থাকুন: একটি সক্রিয় জীবনধারার মধ্যে থাকলে শোথ কমতে থাকবে এবং শরীরে জমতে থাকা তরলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
🇨🇭 থেরাপি: প্রবীণ’রা নিয়মিত ম্যাসাজ থেরাপি নিতে পারেন, এটি রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি এবং রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।
🇨🇭 পায়ের সঙ্গে আটকে থাকা স্টকিং পায়ের শোথে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিরোধ/চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত হয়।
⭕ শোথ এককভাবে একটি প্রাণঘাতী ব্যাধি নয়। তা সত্ত্বেও, এটি একটি প্রাণঘাতী অসুস্থতার উপস্থিতিকে নির্দেশ করতে পারে। হার্ট ফেলিওর, বৃক্ক বা যকৃতের অসুখ বা টিউমারের কারণে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা মারাত্মক হতে পারে। শোথের সবচেয়ে বিপজ্জনক জটিলতাগুলির মধ্যে একটি হল শ্বাস নিতে অসুবিধা। এটা যদি আপনার শ্বাসনালীকে অবরুদ্ধ করে দেয়, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে একজন ডাক্তার দেখাতে হবে।
⭕ শরীরে পানি জমার ( Edema ) চিকিৎসা কি?
🇨🇭 শোথ থেকে পরিত্রাণ পেতে, আপনার ডাক্তারকে প্রথমে মূল কারণ নির্ণয় করতে হবে এবং আপনি যে ধরনের শোথ থেকে ভুগছেন তার উপর নির্ভর করে, আপনাকে প্রাসঙ্গিক চিকিৎসার বিকল্পগুলি সুপারিশ করা হবে।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।