পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ়

পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ – Andropause এর হোমিও চিকিৎসা।

❤ আমাদের রক্তে দু’ধরনের প্রোটিন চলাফেরা করে বেড়ায়- একটি অ্যালবুমিন এবং অন্যটি গ্লোবিউলিন।

🩸 ঋতুস্রাব নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে – সাধারণত 45 থেকে 55 বছরের মধ্যে, এই ঋতুচক্র স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। নারীরা হারান তাঁদের প্রজনন ক্ষমতা। এই শারীরিক প্রক্রিয়াটিকে আমরা চিনি ( মেনোপজ় ) নামে। নারীদের – মেনোপজ়, এর প্রক্রিয়াটি ঘটে পুরুষদের ক্ষেত্রেও। একে বলা হয় ( অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause )।

❤ মেনোপজ়ের ক্ষেত্রে যেখানে নারীদের ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে, সেখানে পুরুষদের ( অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause )-এর ক্ষেত্রে হ্রাস পায় টেস্টোস্টেরন হরমোন। তবে নারীদের ক্ষেত্রে মেনোপজ়ের প্রক্রিয়াটি যত দ্রুত ঘটে, পুরুষদের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হয় না। এটি এতই ধীরে হয় যে পুরুষেরা সাধারণত তা অনুমানও করতে পারেন না।

❤ পুরুষদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরনের স্তর সর্বাধিক থাকে 20 বছর পর্যন্ত। এবং তার পর থেকে সেটি ধীরে ধীরে ( 01) শতাংশ করে কমতে থাকে।

❤ যদি কোনও সমীক্ষা করা হয় তা হলে এই টেস্টোস্টেরন – Testosterone, হ্রাসের হারের সূত্রে দেখা যাবে, মোট পঞ্চাশ বা তার অধিক বয়সের প্রায় অর্ধেক মানুষই ভুগছেন ( Andropause )অ্যান্ড্রোপজ়ে। যদিও এই সময় যৌনক্রিয়ায় কিন্তু তাঁরা অনেকেই অপারগ হন না।

পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ়

🇨🇭 টেস্টোস্টেরনের testosterone, গুরুত্ব:
পুরুষদের শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বডি স্ট্রাকচার মেনটেন করা থেকে শুরু করে যৌনকামনা, সবই হয় টেস্টোস্টেরনের কারণে। তা ছাড়া এই টেস্টোস্টেরনই পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরুষোচিত চিন্তাভাবনার ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা, পেশি বহুল দেহ গঠন বজায় রাখে। মানুষের গোঁফ, দাড়ি, চুল, রোম-ও কিন্তু গজায় এই টেস্টোস্টেরনের কারণেই।

🇨🇭 অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause এর লক্ষণ:

❤ অ্যান্ড্রোপজ়- এর লক্ষণগুলি এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম হতে পারে। তবে সাধারণত মূল, যে – 03টি লক্ষণ এ ক্ষেত্রে পাওয়া যায় সেগুলি হল:

  • 🩸 যৌনক্রিয়ার ইচ্ছা কমে যাওয়া।
  • 🩸 ইরেকটাইল ডিসফাংশন।
  • 🩸 মর্নিং ইরেকশন।

❤ টেস্টোস্টেরন হরমোন যেমন যৌনাঙ্গ দৃঢ় করতে সাহায্য করে তেমনই, এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে আরও একটি হরমোন, কর্টিসল।

❤ মানুষের শরীরে কর্টিসল নি:সরণ হয় ভোরবেলা। ফলে সেই সময় অনেকের মর্নিং ইরেকশন হতে পারে। তা ছাড়া, টেস্টোস্টেরন কমে গেলে মানুষের স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা ব্যাহত হয়, তিনি ডিমেনশিয়ায় ভুগতে পারেন। মানসিক স্থিতাবস্থা নষ্ট হওয়ায় আসতে পারে অবসাদ। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। হতে পারে মুড সুইং-ও।

❤ এ ছাড়া, কম টেস্টোস্টেরনের কারণে যেহেতু মাসল মাস প্রভাবিত হয়, সে ক্ষেত্রে বডি ফ্যাট বেড়ে যায়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্রেস্ট এনলার্জমেন্ট বা স্যাগিং হতে পারে। হার্টের পেশিও এর কারণে প্রভাবিত হওয়ায় দেখা দেয় হার্টের সমস্যা। গোঁফ, দাড়ি, চুল ও পিউবিক হেয়ারও কমে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে। এই সব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত।

আরো পড়ুুনঃ  পুরুষের লিঙ্গ বৃদ্ধি ও লিঙ্গ মোটা করতে হোমিও চিকিৎসা গ্ৰহন করুন।

🇨🇭 অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause এর পরীক্ষা:

🩸 এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা প্রথমেই অ্যান্ড্রোপজ়ের মূল তিনটি লক্ষণ আছে কি না, তা জানতে চান রোগীর কাছে। পরিবর্তিত রক্ত চাপ, কিডনির সমস্যা, COPD, সুগার, থাইরয়েড- এর কারণেও হতে পারে। এ ছাড়া, বিটা-ব্লকার ওষুধ খেলেও হতে পারে ইরেকটাইল ডিসফাংশন। কিন্তু রোগীর যদি তেমন কোনও সমস্যা না থাকে, অথচ যৌনক্রিয়ার হ্রাস ও ইরেকটাইল ডিসফাংশন-ED, হচ্ছে তখন আসে অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause, এর প্রশ্ন।

🩸 যাঁরা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন তাঁদের যৌনকামনা থাকলেও যৌনক্রিয়ায় সমস্যা হয়। চিকিৎসকেরা প্রথমে এই বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে জেনে নেন। তার পর আরও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে জানা হয় অন্যান্য সমস্যাগুলির কথা। মৌখিক ডায়গনোসিস- এ কিছুটা আঁচ মিললে পরের ধাপে চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর ফ্রি-টেস্টোস্টেরন এবং টোটাল টেস্টোস্টেরন লেভেল পরীক্ষা করেন। তাতে যদি ফল নেগেটিভ আসে এবং রোগীর মদ্যপান বা ক্রনিক কোনও সমস্যা না থাকে, তা হলে ধরে নেওয়া হয় সেই ব্যক্তির- ( হাইপোগোনাডিজ়ম বা অ্যান্ড্রোপজ় ) হয়েছে।

পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ়

🩸 এ ছাড়া অনেক সময়ে ( USG ) করেও দেখে নেওয়া হয় ব্যক্তির টেস্টিস-এর ভলিউম ঠিক আছে কিনা।

❤ আমাদের রক্তে দু’ধরনের প্রোটিন চলাফেরা করে বেড়ায়, একটি অ্যালবুমিন এবং অন্যটি গ্লোবিউলিন। এর মধ্যে কিছু কিছু অ্যালবুমিন এবং কিছু কিছু গ্লোবিউলিন সেক্স হরমোনগুলোকে আবদ্ধ করে রাখে। এদের বলে সেক্স বাইন্ডিং হরমোন।

❤ মনে রাখতে হবে, মানব শরীরে মাত্র 0.5 শতাংশ থেকে 03 শতাংশ হল অ্যাক্টিভ বা ফ্রি টেস্টোস্টেরন, যেগুলি কাজে লাগে। বাকি 97 থেকে 99 শতাংশ অ্যালবুমিন বা গ্লোবিউলিন বাউন্ড টেস্টোস্টেরন, যেগুলির শরীরে সরাসরি কোনও কাজ নেই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর কম টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে আর অন্য দিকে সেক্স হরমোন বাইন্ডিং গ্লোবিউলিন হরমোন, যেটা রক্ত থেকে ব্যবহারযোগ্য টেস্টোস্টেরন টেনে নেয়, তা বাড়তে থাকে।

❤ ফলে পুরুষদেরও তাই বয়সের সঙ্গে যৌন কামনা কমতে শুরু করে এবং অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause , প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।

🇨🇭 অ্যান্ড্রোপজ় – Andropause নিরাময়:

🩸 মূলত লাইফস্টাইল পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। অর্থাৎ- যাঁরা অতিরিক্ত মদ্যপান করেন, তাঁদের মদ্যপান কমাতে হবে। যাঁরা স্থূলকায়, তাঁদের কমাতে হবে ওজন।

🩸 তবে এই ক্ষেত্রে প্রসটেট বা গোনাডাল ক্যান্সারের মতো রোগের কোনও ফ্যামিলি হিস্ট্রি রয়েছে কি না জেনে নিতে হয়। তা না হলে এই অবস্থায় রোগীকে সাপ্লিমেন্ট দিলে তাঁর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কিন্তু এই সাপ্লিমেন্ট দেওয়ার পরেও তার যদি কোনও উন্নতি না হয়, সে ক্ষেত্রে এই সাপ্লিমেন্ট দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়।

🩸 অ্যান্ড্রোপজ়ের উল্লিখিত লক্ষণগুলি দেখা দিলে বিলম্ব না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

🇨🇭 পুরুষের অ্যান্ড্রোপজ – Andropause কী?

❤ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানা রোগ বাসা বাধে শরীরে। কিছু গোপন রোগও দেখা দেয় একটা পর্যায়ে। অ্যান্ড্রোপজ – Andropause তেমনি একটা রোগ।

❤ পুরুষত্বের জন্য দায়ী মূল হরমোন হচ্ছে টেস্টোস্টেরন। পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন শরীরে কমে যাওয়ার কারণে অ্যান্ড্রোপজ – Andropause হয়।

❤ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে হরমোনের মাত্রা পরিবর্তিত হতে থাকে। মেয়েদের নিয়মিত রজ:স্রাবের জন্য দায়ী যেসব হরমোন, সাধারণত 45 থেকে 50 বছর বয়সে তা সহসা কমে যায় এবং রজ:নিবৃত্তি ঘটে। ইংরেজিতে একে মেনোপজ বলা হয়।

❤ পুরুষদের বেলায় পুরুষত্বের জন্য দায়ী হরমোনের মাত্রা হঠাৎ কমে যায় না। কিন্তু ধীরে ধীরে এর মাত্রা কমতে থাকে এবং এই পরিবর্তন কয়েক বছর ধরে চলে।

❤ একপর্যায়ে পুরুষত্বের অনেক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায়। অধিকাংশ চিকিৎসা বিজ্ঞানীই পুরুষত্বের বৈশিষ্ট্যসমূহ লোপ পাওয়াকে অ্যান্ড্রোপজ Andropause , বলে থাকেন।

❤ টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাবে পুরুষের যৌন চাহিদা, মানসিক শক্তি ইত্যাদি ক্রমশ পরিবর্তিত হতে থাকে। গড়ে 30 বছর বয়স হওয়ার পরে এর মাত্রা প্রতিবছর 01% করে কমে, সাধারণত 70 বছর বয়স্ক পুরুষের শরীরে এর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক কমে যায়। কারও কারও এ মাত্রা আরও কমে যেতে পারে।

❤ টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে নানা রকম লক্ষণ, উপসর্গ দেখা যায়। যেমন:

  • 🩸 পুরুষের স্বাভাবিক যৌনাচরণের পরিবর্তন: অনেকের অণ্ডকোষ দুটি আকারে-আকৃতিতে ছোট হয়ে যায় এবং যৌন দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • 🩸 ঘুমের পরিবর্তন : অনেক পুরুষের ঘুমের ধরন বদলে যায়। অনেকে নিদ্রাহীনতায় ভুগতে পারেন।
  • 🩸 শারীরিক পরিবর্তন: শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়,পেশির পরিমাণ কমে যায় এবং ভারি কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। অনেক পুরুষের স্তন বৃদ্ধি ঘটে এবং তা ব্যথাযুক্ত হতে পারে। অনেকের মাথার চুল পড়ে যায় এবং টাক দেখা যায় এবং কেউ কেউ হঠাৎ হঠাৎ শরীরে উত্তাপের ঝলক সৃষ্টি হয় বলে অনুভব করে থাকেন।

❤ মানসিক পরিবর্তন: কর্মস্পৃহা অনেক কমে যায়। কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার পাশাপাশি অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। যৌবনের যে উৎসাহ-উদ্দীপনা, মনের জোর, সব জয় করার এক উদগ্র বাসনা, টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ কমার ফলে তা কোথায় যেন উবে যায়। অনেকে কোনো কাজে একভাবে মন:সংযোগ করতে পারেন না, স্মৃতিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসে, এমনকি অনেকে বিভিন্ন মাত্রার বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

❤ অনেক সময় অন্যান্য শারীরিক অসুখ যেমন: থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, বিষণ্ণতা রোগ, অতিরিক্ত মদ্যপান, ইত্যাদি কিংবা ওষুধ সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবেও এ রকম হতে পারে। সুতরাং একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যুক্তিসঙ্গত।

❤ পুরুষের পরিণত বয়সে টেস্টোস্টেরন Testosterone, কমে যাওয়ার ফলে পুরুষত্বের ইতি বা অ্যান্ড্রোপজ। এটি জীবনের একটি পরিবর্তিত ধাপ বা পর্যায় মাত্র।

❤ চিকিৎসকের সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলা উত্তম। সমস্যাগুলো যদি বয়স বাড়ার কারণে না হয়ে অন্য কোনো অসুখ-বিসুখ কিংবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়, তাহলে তার সমাধান করা যেতে পারে।

❤ জীবনাচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। যেমন:স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা করা ইত্যাদি। সুস্থ জীবনাচরণ শারীরিক শক্তি ও মানসিক উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।

❤ বিষণ্ণতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে গেলে পুরুষের কর্মস্পৃহা, মানসিক উৎসাহ-উদ্দীপনা হ্রাস পায়। বিষণ্ণতার কারণে অনেকের মেজাজ খিট খিটে হয়ে যায়, নি:সঙ্গ থাকতে পছন্দ করেন এবং সামাজিক কর্ম থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত কাজ করার প্রবণতা, অতিরিক্ত নেশা করা কিংবা বিপজ্জনক কাজকর্ম করাও বিষণ্ণতার কারণে হতে পারে।

🛑🛑 বনজ ওষুধ সেবনের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে!! গাছগাছড়ার কিংবা পাতার রস খেয়ে হরমোন বাড়ানো যায় না। এগুলো সেবন করে যকৃত কিংবা কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

♥ মহিলাদের মধ্যে নিয়মিত মেনোপজের কথা হয় এটি এমন একটি পরিস্থিতিতে যেখানে মহিলাদের নির্দিষ্ট বয়সে স্রাব হয় না। বয়স মহিলাদের উপর নির্ভর করে এবং তাদের পরিস্থিতি। পুরুষদের ক্ষেত্রে, Andropause.
এটি টেস্টোস্টেরন উত্পাদন হ্রাস, এক পুরুষ হরমোন মানুষের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

❤ অ্যান্ড্রোপজের মূল লক্ষণগুলি এবং এটি সম্পর্কে আপনার যা যা জানা দরকার তা:

♥ অ্যান্ড্রোপজের প্রভাব, যেমনটি আমরা আগে উল্লেখ করেছি, টেস্টোস্টেরন একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ পুরুষ হরমোন। এটি মানবদেহে অসংখ্য প্রয়োজনীয় কার্যাবলী রয়েছে এবং এর বিভিন্ন প্রক্রিয়া রয়েছে যার সাহায্যে এর সংশ্লেষণকে উদ্দীপিত করা যায়। সাধারণত, আপনি অল্প বয়সে টেস্টোস্টেরন সংশ্লেষ তার প্রাকৃতিক শিখরে পৌঁছে। এটি পেশী ভর পেতে সহায়তা করার জন্য শরীরচর্চা এবং ফিটনেসে উত্সর্গীকৃত পুরুষদের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

♥ এন্ড্রোপজ হল এমন এক রাজ্যে যেখানে এই পুরুষ হরমোনটি বরাবরের মতো একই পরিমাণে উত্পাদন বন্ধ করে দেয়। সাধারণত, পুরুষরা যে বয়সে এটি উত্পাদন বন্ধ করে দেয় তা সাধারণত 55 এর দশকের মধ্যে। টেস্টোস্টেরন হরমোন যা কোনও মহিলার ইস্ট্রোজেনের মতো একই প্রভাবগুলি সম্পাদন করে।

♥ 40 বছর বয়স থেকে, একজন মানুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা 15% কমে যেতে শুরু করে। 45 বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই এন্ড্রোপজের প্রথম লক্ষণগুলি অনুভূত হওয়া শুরু হয়। 50 বছর বয়সে, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা 50% পর্যন্ত নেমে যায়। 70 বছর বা তার বেশি বয়সী লোকেরা খুব কম, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা খুব কম থাকে এবং এটি আর খুব সহজেই বা খুব কম ক্ষেত্রে উত্থানের অনুমতি দেয়। বেশি কারণ যেমন – অ্যালকোহল, স্ট্রেস, কিছু ওষুধ এবং স্থূলত্ব। উচ্চ ফ্যাট শতাংশযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বনিম্ন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা থাকে এবং ফলস্বরূপ, তাদের যৌন কামনা কম হয়।

🇨🇭 Andropause এর প্রধান লক্ষণসমূহ:

🩸 অ্যান্ড্রোপজ লক্ষণগুলি টেস্টোস্টেরন যেহেতু প্রোটিন তৈরি করতে সহায়তা করে এবং পুরুষদের যৌন প্রজননের জন্য প্রধান দায়ী তাই উর্বরতা হ্রাসের প্রধান লক্ষণগুলি লক্ষ করা যায়।

🩸 এন্ড্রোপজের শুরুতে আমরা যে প্রধান লক্ষণগুলি পাই তা হল:

  • 🩸 মনোভাব এবং মেজাজ পরিবর্তন। আপনি সাধারণত আরও হতাশ এবং কম আগ্রহ দেখায়। কম কামনা এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা থাকে এবং যৌনতা থেকে দূরে থাকা।
  • 🩸 শক্তি হ্রাস থেকে ক্লান্তি বৃদ্ধি। আপনি তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং আপনার আগের মতো স্ট্যামিনা নেই।
  • 🩸 কম কামনা এবং যৌন আকাঙ্ক্ষায় ইরেকশন কম হয়।
  • 🩸 লিঙ্গের উত্থান অনুভব করে না, উত্থান পাওয়ার জন্য যথেষ্ট অনুপ্রেরণা নেই।
  • 🩸 অনেক পুরুষ জোর করে যৌনতা বা যৌন ইচ্ছা শেষ করে কিন্তু শরীর তাদের প্রতিক্রিয়া জানায় না।
  • 🩸 ওজন ও বিরক্তি বাড়ায়।
  • 🩸 হ্রাস হয় শক্তি এবং বীর্যপাত এর পরিমাণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D.H.M.S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতা:চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!