🇨🇭 নারীর যৌন স্বাস্থ্য বা যৌনসঙ্গম নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক রকম ভুল ধারণা, কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে। এই ব্যাপারগুলো সংবেদনশীল মনে করে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করতেও অনেকে সংকোচ বোধ করেন। দেখা যায়, সহবাস নিয়ে ভুল ধারণাগুলোর ওপর ভিত্তি করে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এর ফলে সৃষ্টি হয় নানান শারীরিক, মানসিক ও পারিবারিক জটিলতা।
💋 সন্তান ধারণের জন্য প্রতিদিন সহবাস বা যৌনসঙ্গম করতে হবে , অনেকের ধারণা বাচ্চা চাইলে প্রতিদিন যৌন মিলন জরুরী। তা না হলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা অনেকাংশেই কমে যায়।
🩸প্রতিদিন যৌনসঙ্গম এ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
গবেষণায় দেখা গেছে , প্রতিদিন সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে-37 %। একদিন পর পর সহবাস করলেও সফলতার সম্ভাবনা কাছাকাছি থাকে 33%।
সপ্তাহে একবার সহবাস করলে সম্ভাবনা নেমে আসে মাত্র- 15%।
অর্থাৎ ঘন ঘন যৌন মিলনে সফলতার সম্ভাবনা বাড়ে, এবং প্রতিদিন বা 1- দিন পর পর চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ সম্ভাবনা থাকে। আর যদি গর্ভধারণের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সময় খুঁজে বের করে তখন ঘন ঘন চেষ্টা করা যায়, তাহলে আরও ভালো।
💋 নির্দিষ্ট কিছু অবস্থানে সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে
বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম কী ? এই প্রশ্নের একটি বহুল প্রচলিত উত্তর হলো মিশনারি অবস্থান। এই অবস্থানে সহবাসের সময় পুরুষ ওপরে ও নারী নিচে থাকে। এই অবস্থানে সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে দাবি করা হয়।
💋 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল প্রচারিত কিছু ভিডিওতে বিশেষ কিছু অবস্থানে সহবাসের মাধ্যমে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলে, কিংবা সহবাসের পর মেয়েরা দৌড়,ঝাঁপ- করলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না এমন ধারনাও প্রচলিত।
🩸যৌনসঙ্গম এর অবস্থান সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
এগুলোর কোনটাই সঠিক নয়। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা অবস্থানে সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলে সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি , এই দাবিগুলো মোটেও বিজ্ঞান সমর্থিত নয়।
💋 সন্তান ধারণের জন্য শুক্রাণু যোনিপথ বা মাসিকের রাস্তায় পৌঁছানো প্রয়োজন। এমনকি বীর্য যোনিপথের কাছাকাছি পৌঁছলেও গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তাই যেসব অবস্থানে সহবাস করলে মাসিকের রাস্তায় বীর্যপাত হয়, কনডম বা অন্য কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার না করা হলে, সেসব অবস্থানের সবগুলোতে গর্ভধারণে সম্ভাবনা থাকে। কোন একটা অবস্থান অন্যটির চেয়ে বেশি ভালো বা কার্যকর,বিষয়টি এমন নয়।
💋 যে অবস্থানেই সহবাস বা যৌনসঙ্গম হোক না কেন, পুরুষের বীর্যপাতের পরে নারীর যোনিপথ থেকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু পৌঁছে যায় জরায়ুমুখে। তাই নির্দিষ্ট একটা বা দুটো অবস্থানে সম্ভাবনা বেশি বা সেগুলো ছাড়া সন্তান হবে না, এমন কথা মোটেও বিজ্ঞানসম্মত নয়।
💋 যোনিপথ দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসলে গর্ভবতী হওয়া যাবে না
অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন যে বীর্যপাতের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বের হয়ে আসার অর্থ হলো সব শুক্রাণু সব বের হয়ে যাওয়া এবং নারীর গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাওয়া। এই বেরিয়ে আসা বা ফ্লোব্যাক ঠেকানোর জন্য ইন্টারনেটে নানা পন্থা অবলম্বনের পরামর্শ পাওয়া যায়, যেমন:
- 💋 নারীকে আধা ঘণ্টা চিৎ হয়ে শুয়ে থাকতে হবে।
- 💋 কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে উঁচু করে রাখতে হবে।
- 💋 শুয়ে পা দুটো উঁচু করে রাখতে হবে।
💋 এছাড়া অনেকে প্রশ্ন করে থাকে, সহবাসের পর কতক্ষণ শুয়ে থাকতে হয়। এসম্পর্কে ধারণা হলো সহবাস বা যৌনসঙ্গম করার পর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকলে কিংবা পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে রাখলে শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছতে পারবে।
🩸 যৌনসঙ্গম এর পরে কি করা উচিত চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
মাসিকের রাস্তা দিয়ে বীর্য বেরিয়ে আসাকে বলা হয় ফ্লোব্যাক। এটা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক একটি ঘটনা। একটা গবেষণায় দেখা গেছে যে 94 শতাংশ সহবাসের পরেই এই ফ্লোব্যাক দেখা যায়। সেটা বিছানায় শোওয়া অবস্থায় হতে পারে, উঠে হাঁটতে গেলে হতে পারে, আবার প্রস্রাব করার সময়েও হতে পারে। এটা দুশ্চিন্তার কোন বিষয় নয়।
💋 এজন্য বিশেষ কোনো কাজ করার বা বিশেষ অবস্থানে শুয়ে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। এমনকি শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছানোর জন্যও বিশেষ কিছু করার প্রয়োজন নেই। শুক্রাণু সাধারণত দেহের গতানুগতিক প্রক্রিয়াতে যোনিপথ থেকে খুব দ্রুত জরায়ুতে পৌঁছে যায়। তাই এই বিশেষ কাজগুলোর কোনোটাই গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায় এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে এতে আপনার ভালো লাগলে করতেই পারেন।
💋 মোট কথা, বীর্য বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। বরং বাচ্চা নিতে চাইলে শুক্রাণু নারীদেহে একটা অনুকূল পরিবেশ পাচ্ছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। মাসের কয়েকটা নির্দিষ্ট দিনে নারীদেহ শুক্রাণুর জন্য খুব সুন্দর পরিবেশ তৈরি করে।
💋 গর্ভধারণ করতে চাইলে সহবাসের সময় বা যৌনসঙ্গমে এই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করুন:
💋 এখানে এমন একটি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যা করলে সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
💋 সহবাসের সময়ে অনেকে পিচ্ছিল করার জন্য মুখের থুতু ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করেন। ল্যাবে পরীক্ষা করে পাওয়া গেছে যে থুতু এবং কয়েক ধরনের লুব্রিকেন্ট শুক্রাণুর চলাচল ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
💋 ( American Society for Reproductive Medicine ) সাবধানতা বশত: এগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেয়। অর্থাৎ, আপনি যদি থুতু ব্যবহার করেন, সেটা বন্ধ রাখলে ভালো হবে। আর যদি লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হয়, তবে( Hydroxyethylcellulose – Based ) লেখাটা প্যাকেটের গায়ে দেখে কিনবেন। এসব লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করলে যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে, তা নয়। বরং প্রয়োজন হলে এগুলো ব্যবহার করা যায়।
💋 প্রথমবার সহবাসে কেউ গর্ভধারণ করে না গর্ভধারণ করতে হলে বেশ কয়েকবার সহবাস বা যৌনসঙ্গম করতে হয়, অনেকে এমন ধারণা পোষণ করেন। তাই প্রথমবার সহবাস করার সময় অনেকেই কোনো জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন না।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে: ধারণাটি সম্পূর্ণভাবে ভুল। বয়ঃসন্ধির সাথে সাথে, এমনকি প্রথম মাসিক শুরু হওয়ারও কিছুদিন আগে থেকে নারীরা গর্ভধারণের উপযুক্ত হয়। প্রথম ডিম্বপাতের সময় থেকে প্রথমবার বা কেবল একবার সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলেও সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে।
🩸 ছেলে সন্তান হওয়ার উপায় কি?
💋 এই বিষয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। প্রশ্নটির উত্তর হলো, কোনো বিশেষ নিয়ম মানলে বা নির্দিষ্ট সময়ে সহবাস বা যৌনসঙ্গম করলে বা বিশেষ কোন খাবার ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান হবে,এসব কথারও কোনো ভিত্তি নেই।
🩸 বীর্য খেয়ে ফেললে প্রেগন্যান্ট হবার সম্ভাবনা থাকে! চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
বীর্য গিলে ফেললে গর্ভধারণ করার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে এক্ষেত্রে গনোরিয়া, হার্পিস, ক্ল্যামিডিয়াসহ বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিরাপদ থাকতে পুরুষদের কনডম ব্যবহার করা উচিত।
💋 পায়ুপথে সঙ্গম বা অ্যানাল সেক্সের ক্ষেত্রে বীর্য যোনিপথের সংস্পর্শে না আসলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে এক্ষেত্রেও কোনো সঙ্গীর – HIV- এইডস, গনোরিয়া ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগ থেকে থাকলে সুস্থ সঙ্গীরও এসব রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনিরাপদ সহবাসে কনডম ব্যবহার করা উচিত।
🩸 বীর্যপাতের পূর্বে পুরুষের যৌনাঙ্গ বের করে ফেললে নারী গর্ভবতী হবে না! চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
বীর্য মেয়েদের যোনিপথের বাইরে ফেললেই সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না,এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। এর ব্যাখ্যা হলো, বীর্যপাতের আগের উত্তেজিত (ইরেকশন থাকা) অবস্থায় পুরুষদের যৌনাঙ্গ থেকে কিছু তরল রস বের হয়, যেটিকে ( Pre-Ejaculatory Fluid ) বলা হয়। এই রসে হাজারো শুক্রাণু থাকে। যা দ্বারা গর্ভধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গর্ভধারণ এড়াতে চাইলে সুরক্ষা ব্যবহার করা প্রয়োজন।
💋 গর্ভধারণের জন্য সহবাসের পর অন্তত 1 ঘণ্টা যৌনাঙ্গ না ধুয়েই থাকতে হবে,
অনেকে হয়তো শুনে থাকবেন, গর্ভবতী হতে চাইলে সহবাসের পর নারীদের অন্তত 1 ঘণ্টা পানি বা সাবান দিয়ে নিজেকে পরিষ্কার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তা না হলে শুক্রাণু ধ্বংস হয়ে যাবে, ফলে গর্ভধারণ সম্ভব হবে না।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
এই দাবিও ভিত্তিহীন। বীর্যপাতের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুক্রাণু জরায়ুমুখে পাওয়া যায়। তাই এক ঘণ্টা অপেক্ষা করার বিষয়টি অর্থহীন। বরং কুসুম গরম পানি দিয়ে সহবাসের পর নিজেকে পরিষ্কার করে নিলে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়, যা প্রস্রাবের রাস্তার ইনফেকশন কমাতে সহায়তা করতে পারে।
💋 সর্বোপরি সহবাসের মাধ্যমে যারা বাচ্চা নেয়ার চেষ্টা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে গুজব এড়িয়ে চলে বরং মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। একটি উদাহরণ হলো দৈনিক ফলিক এসিড খাওয়া, যেন বাচ্চার ব্রেইন আর মেরুদণ্ডে জন্মগত ত্রুটি হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
🩸যোনিপথ দিয়ে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই! চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
যদিও যোনিপথ দিয়ে পুরুষের যৌনাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা খুবই কম, তবুও এমন সহবাসে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেওয়া যাবে না। এমনটা হতে পারে যদি:
💋 যোনির খুব কাছাকাছি বীর্যপাত হয়, অর্থাৎ বীর্য যোনির সংস্পর্শে আসে , পুরুষের যৌনাঙ্গ উত্তেজিত থাকা অবস্থায় নারীর যৌনাঙ্গের সংস্পর্শে আসে
বীর্য ও বীর্যপাতের আগের ( Pre-Ejaculatory Fluid ) এ থাকে অসংখ্য শুক্রাণু। এগুলো দেহের বাইরে বেশিক্ষণ বাঁচতে পারে না। তবে কোনোভাবে যদি শুক্রাণু যোনিপথে ঢুকে যায় তাহলে তা জরায়ুর ভেতরে ঢুকে ডিম্বাণু নিষিক্ত করার মাধ্যমে সন্তান ধারণ করাতে সক্ষম।
💋 পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা:
💋 প্রতিদিন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়
একটি প্রচলিত ধারণা হলো প্রতিদিন শারীরিক মিলনের ফলে পুরুষের বীর্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। আবার অনেকের ধারণা হলো ঘন ঘন বীর্যপাত করলে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যায়। অনেকদিন পর পর বীর্যপাত করলে বীর্য ঘন মনে হয়, সেখান থেকে হয়তো এই ধারণার সূত্রপাত।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
প্রায় দশ হাজার বীর্যের স্যাম্পল নিয়ে করা একটা বড় গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন বীর্যপাতেও শুক্রাণুর সংখ্যা স্বাভাবিক থাকে। উপরন্তু ঘন ঘন সহবাস যৌনসঙ্গম যোনিপথ দিয়ে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ না করা হলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা নেই! করলে বীর্যের জীনগত মান উন্নত হয়।
💋 সহবাস বা যৌনসঙ্গম না করলে অণ্ডকোষ ব্যথায় নীল হয়ে যায়, এমনকি ফেটে যেতে পারে!
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। সহবাস বা যৌনসঙ্গম না করার কারণে পুরুষ বা নারী কারো কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা হয় না। পুরুষদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ ফেটে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
💋 পুরুষদের দেহে সবসময় শুক্রাণু ও বীর্য তৈরি হতে থাকে। বীর্যপাত না হলে এই বীর্য শরীরে আবার শোষিত হয়ে যায়। সহবাস বা যৌনসঙ্গম ছাড়াও হস্তমৈথুন ও স্বপ্নদোষের মাধ্যমেও বীর্যপাত হয়। তাই এমন অমূলক ভয় থেকে সহবাস করার কোনো প্রয়োজন নেই।
- 💋 কনডম কি একবার ব্যবহারের পর ধুয়ে বারবার ব্যবহার করা যায়?
- 🩸 এটি একেবারেই ভুল এবং ক্ষেত্রবিশেষে ভয়ংকর একটি ধারণা। একবার ব্যবহারের পরেই কনডম ফেলে দিতে হবে, এবং নতুন আরেকটি কনডম ব্যবহার করতে হবে।
- 💋 30 মিনিট সহবাসের পরেই কনডম বদলে ফেলা উচিত। ঘর্ষণের কারণে কনডমের দেয়াল দুর্বল হয়ে যাওয়ার ফলে তা ছিঁড়ে বা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানি বেড়ে যায়।
- 💋 নারীর যৌন স্বাস্থ্য বিষয়ক ভুল ধারণা:
- 🩸 মাসিক হওয়ার সাথে সাথেই মেয়েরা সহবাসের উপযুক্ত হয়ে যায়!
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
এ ধারণা পুরোপুরি সঠিক নয়। মাসিক শুরু হওয়ার অর্থ মেয়ে শিশু বড় হচ্ছে এবং সহবাস করলে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে এই অবস্থায় মেয়েরা সহবাস করার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত কিংবা তাদের এই বয়স থেকেই সহবাস বা যৌনসঙ্গম করা উচিত।
💋 মাসিকের সময় সহবাস করলে নারীরা গর্ভবতী হয় না,এই কথাটি হয়তো অনেকেরই খুব পরিচিত। মাসিকের সময় যোনিপথ দিয়ে রক্তক্ষরণ হয় বলে অনেকে ধারণা করেন যে শুক্রাণু জরায়ুমুখে পৌঁছাবে না, বা পৌঁছালেও তা রক্তের কারণে নষ্ট হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ নিয়মিত যৌন মিলন এ রয়েছে যে উপকরিতা।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
মাসিকের সময় নারীদের দেহের হরমোনগুলো যে অবস্থায় থাকে, তা গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত অবস্থার ঠিক বিপরীত। কিন্তু এরপরেও মাসিকের সময় সহবাস বা যৌনসঙ্গম করার ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
💋 এর কারণ হলো বীর্যপাতের পর শুক্রাণু নারীদেহে পাঁচ,ছয়- দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তাই যদি নারীদের ওভুলেশন বা ডিম্বপাত নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়ে যায়, তাহলে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে সন্তান ধারণ করা অসম্ভব কিছু নয়।
💋 গবেষণায় উঠে এসেছে, নারীদেহ মাসিক হওয়ার চতুর্থ দিন থেকেই গর্ভধারণের জন্য উপযুক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই মাসিক চক্রের যেকোনো সময়েই একজন নারী গর্ভধারণ করতে পারেন।
💋 প্রথমবার সহবাসের সময় সব নারীরই যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়, একটি বহুল প্রচলিত ধারণা হলো- নারীরা প্রথমবার সহবাস বা যৌনসঙ্গম করার সময় তার যোনিপথ দিয়ে রক্তপাত হয়, এটি নারীর কুমারিত্ব বা ভার্জিন হওয়ার অন্যতম প্রধান নির্দেশক। যোনিপথে সতিচ্ছদ বা হাইমেন অক্ষত থাকার অর্থ মেয়েটি ভার্জিন, আর যোনিপথের ছিদ্র আকারে বড় হলে মেয়েটি কুমারী নয়,এমন বিশ্বাস পোষণ করা হয়ে থাকে।
🩸 চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে:
এমনটা সবসময় ঘটে না। কারও কারও ক্ষেত্রে প্রথমবার দৈহিক মিলনের পর মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হয়, আবার অনেকের এমনটা হয় না। দুটোই সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক ঘটনা। এর সাথে কুমারিত্বের সম্পর্ক নেই।
💋 নারীর যোনিপথের মুখে হাইমেন বা যোনিচ্ছদ বা সতীচ্ছদ নামের একটি পর্দা থাকে। এটি পাতলা চামড়ার মত একটি পর্দা যা যোনিপথের মুখকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। যোনিচ্ছদ কিছুটা নমনীয়, অর্থাৎ টান পড়লে সামান্য বড় হতে পারে।
💋 সকল নারীর হাইমেন একই রকম হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সতীচ্ছদ যোনিপথের মুখকে চারিদিক থেকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। তবে অনেকের দেহে এই পর্দাটি একেবারেই থাকে না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে হাইমেন যোনিপথকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে রাখে, যা সহবাস কিংবা ট্যাম্পন ব্যবহারে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেক্ষেত্রে পর্দাটি অপারেশনের মাধ্যমে সরিয়ে ফেলা হতে পারে।
💋 প্রথম সহবাসের সময়ে নারীর সতীচ্ছদকে পুরুষের যৌনাঙ্গ ভেদ করলে সতীচ্ছদে টান পড়তে বা সেটি ছিঁড়ে যেতে পারে। এর ফলে যোনিপথে সামান্য ব্যথা বা রক্তপাত হতে পারে। আবার কখনও সহবাস না করলেও অন্যান্য কিছু কারণে হাইমেনে টান পড়ার কিংবা ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
💋 সতীচ্ছদ ছিঁড়ে গেলে কিংবা তাতে টান লাগলে একজন নারী সবসময় বুঝতে পারে না, কারণ এসব ক্ষেত্রে সবসময় ব্যথা হবে বা লক্ষণীয় পরিমাণে রক্তপাত হবে ব্যাপারটি এমন নয়। জীবনে প্রথমবার সহবাসের পূর্বেই যেসব স্বাভাবিক কারণে নারীদের সতীচ্ছদ সহজেই ছিঁড়ে যেতে পারে তার মধ্যে রয়েছে:
- 💋 বিভিন্ন ধরনের শারীরিক।
- 💋খেলাধুলার ফলে।
- 💋ঘোড়ায় চড়লে।
- 💋মাসিকের সময় ট্যাম্পন ব্যবহার করলে।
- 💋হস্তমৈথুন করলে।
🩸 তাই যোনিপথে রক্তপাত বা হাইমেনের ওপর ভিত্তি করে কুমারিত্ব নির্ধারণের প্রচলিত প্রক্রিয়াটি ভুল, অপ্রয়োজনীয় এবং অমূলক।
🇨🇭 আমার চেম্বার চট্টগ্রাম আগ্ৰাবাদ বেপারি পাড়া (চৌমুহনী রোড) ইংলিশ স্কুলের সামনে।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
What’s app/হোয়াটসঅ্যাপ এবং IMO/ইমো খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎️ 01302-743871(WhatsApp, IMO)
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]