
টিউমার চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি
টিউমার(Tumor) ইংরেজি শব্দ। এর বাংলা নাম অর্বুদ। টিউমার বলতে শরীরের যে কোনো স্থানে কোষ সমূহ যদি ধীরে ধীরে বা দ্রুততার সঙ্গে অস্বাভাবিক ও অসামঞ্জস্যভাবে ফুলে ওঠে বা এক কথায় টিউমার হলো মূল দেহে নতুন কোষের সংযোজন।
টিউমার প্রধানত ৩ প্রকার:
১. হিস্টোমা বা কানেক্টিভ টিস্যু টিউমার।
২. সাইটোমা (Cytoma)
৩. টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার।
হিস্টোমা বা কানেক্টিভ টিস্যু টিউমার ২ প্রকার:
১. বিনাইন (Binain)
২. ম্যালিগন্যান্ট (Malignant)
বিনাইন টিউমার: বিনাইন টিউমার তুলতুলে নরম হয়। খুব আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পায়। এর কোনো আবরণ থাকেনা। এর উপরের চামড়া পৃথক মনে হয়। চাপ দিলে এতে কোনো ব্যাথা অনুভূত হয়না। আশেপাশের গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয় না।
ম্যালিগন্যান্ট টিউমার: এটা নিরেট বা শক্ত হয়। এটা খুব দ্রুত বড় হয়। এতে আবরণ থাকে। এর উপরের চামড়া পৃথক মনে হয় না। চাপ দিলে এতে কোনো ব্যাথা অনুভূত হয়। আশেপাশের গ্রন্থিসমূহ আক্রান্ত হয়। অশ্রপ্রচার করলে ক্ষতি হয় এবং ক্যান্সার ও হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন স্থানের Tumor বিভিন্ন নাম পরিচিত:
১. প্যাপিলোমা (Papilloma)= নাক, জরায়ু প্রভিতি সৈলস্মিক ঝিল্লির Tumor এর নাম
২. মাইওমা (Myoma)= জরায়ু, পাকস্থলী প্রভিতি স্থানের মাংসপেশির Tumor এর নাম
৩. এপিথেলিওমা (Epithelioma)= চর্মের Tumor এর নাম
৪. লিপোমা (lipoma)= পিঠ, কাঁধ, প্রভৃতি স্থানে ফ্যাটিটিস্যু Tumor এর নাম
৫. কন্ড্রোমা (Condorma)= বোনের কার্টিলেজের Tumor এর নাম
৬. অস্টিওমা (Osteoma)= মাথার খুলি, মুখমন্ডল, নাসিকা প্রভৃতি স্থানে হাঁড়ের অস্থি Tumor এর নাম
৭. গ্লাইওমা (Glioma)= মস্তিস্ক কোষের Tumor এর নাম
৮. হেমান জিওমা (heman gioma) = মস্তিস্ক, লিভার, এইসব স্থানে রক্ত নালিকার Tumor এর নাম
৯. লিম্ফ্যানজিওমা (লিম্ফোমা)= ঘাড়, জিব্বা, বগল এইসব স্থানের লসিকা নালীর Tumor এর নাম
১০. সার্কোমা (Sarcoma)= সাধারণতঃ হাঁড়ের কশেরুকা, চর্বি বা মাংসপেশির ক্যান্সার কে, (সংযোগ কলা উৎসের ক্যান্সার). সাধারণত কম বয়সে সার্কোমা এটি দেখা যায়।
১১. কার্সিনোমা (Carcinoma)= এটা খুব সাধারণ ধরণের ক্যান্সার। ফুসফুস, মলদ্বার, স্তন, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার এর অন্তর্ভুক্ত। (আবরণী কলা উৎসের ক্যান্সার). সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর কার্সিনোমা এটি দেখা যায়।
১২. লিউকিমিয়া (Leukemia): রক্ত কোষের ক্যান্সার কেই লিউকিমিয়া বলে। এই রক্তকোষগুলো হাঁড়ের মজ্জা থেকে জন্ম নেয়।

টিউমার এর কারণ:
১. যে সব মহিলা ডিএন্ডসি বা এম আর করে /যে সব মহিলা প্রসবকালে প্রচুর কষ্ট হয়/যেসব মহিলা ঘন ঘন সন্তান প্রসব করে/যে সব মহিলার অতি অল্প বয়সে বিয়ে হয় / সেই সব মহিলার জরায়ুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। ফলে জরায়ু, জরায়ু মুখ, ডিম্বকোষ, স্তন গ্রন্থিতে Tumor দেখা দিতে পারে।
২. পুরুষদের অন্ডকোষের কোনো রকম আঘাত লাগলে অন্য কোষ ফুলে শক্ত হয়ে Tumor দেখা দেয়
৩. কোনো কোনো পরিবারে বংশগতভাবে Tumor দেখা দিতে পারে
৪. আঘাত, ঘর্ষণ, পেষণ বা উদ্দীপনার ফলে স্থান বিশেষ এডিনোমা সৃষ্টি হতে পারে
৫. যারা কলকারখানায় চিমনি পরিষ্কার করে তাদের বিভিন্ন স্থানে এটি দেখা দিতে পারে।
৬. পুরোনো পোড়া ঘায়ে Tumor বা ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
অস্থি বৃদ্ধি বা হাঁড়ের টিউমার : সাধারণত হাঁড়ের যেকোনো এক প্রান্তে এটি হয়। তবে হাঁড়ের মধ্যেখানেও এটি হতে দেখা যায়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির পর থেকেই ২৫-৩০ বছরের মধ্যে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। Tumor হলে যথারীতি হাঁড়ের ওই অংশ ফুলে যায়। হাত দিয়ে অনুভব করলে রোগী নিজেই এটা বুঝতে পারে। একই হাড়ে এক বা একাধিক টিউমার দেখা দিতে পারে। এক্সরে করে এই টিউমার এর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
মূল থেকে পূর্ণাঙ্গ ভাবে রোগ আরোগ্য করা হোমিওপ্যাথি এর বলিষ্ঠ দাবি।
৭. আলকাতরা, সেল অয়েল সুট ইত্যাদি রাসায়নিক দ্রব্য চামড়ার উপর প্রদাহ সৃষ্টি করে Tumor দেখা দিতে পারে।
৮. খাদ্যর পরিপুষ্টির অভাবে লিভার এটি দেখা দিতে পারে
৯. গায়ক, বংশীবাদক এদের গলায় বা ফুসফুস এটি দেখা দিতে পারে
১০. ইস্ট্রিন হরমোন এর অভাবে এটি দেখা দিতে পারে
১১. জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে নারীদের সাধারণ হরমোন বিকাশ বাধা গ্রস্থ হয় ফলে জরায়ুতে বা স্তনে বা যোনিতে এটি দেখা দিতে পারে

উপরোক্ত কারণ ছাড়াও নানাবিধ কারণে Tumor দেখা দিতে পারে। হোমিওপ্যাথি দৃষ্টিতে যাদের সোর, সিফিলিস, সাইকোসিস, ও টিউবার্কুলার মায়াজম সংমিশ্রিত থাকে তাদের টিউমার দেখা দিতে পারে।
এটি এর সাধারণ চিকিৎসা অপারেশন। কিন্তু অনেক সময় অপারেশন করলে ক্যান্সার এ আক্রান্ত হতে পারে। ম্যালিগন্যান্ট Tumor অপারেশন করা নিরাপদ নয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে সবরকম টিউমার কে আরোগ্য করা সম্ভব।
অস্থি বৃদ্ধি বা হাঁড়ের টিউমার : সাধারণত হাঁড়ের যেকোনো এক প্রান্তে এটি হয়। তবে হাঁড়ের মধ্যেখানেও এ টিউমার হতে দেখা যায়। সাধারণত বয়ঃসন্ধির পর থেকেই ২৫-৩০ বছরের মধ্যে এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। এটি হলে যথারীতি হাঁড়ের ওই অংশ ফুলে যায়। হাত দিয়ে অনুভব করলে রোগী নিজেই ইটা বুঝতে পারে। একই হাড়ে একই সাথে এক বা একাধিক অস্থির এটি হতে পারে। এক্সরে করে এই Tumor এর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।
মূল থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে রোগ আরোগ্য করা হোমিওপ্যাথি এর একমাত্র লক্ষ্য।
এ ধরনের ভিবিন্ন প্রকার Tumor স্থায়ীভাবে সমাধান করতে আপনি হোমিও চিকিৎসা নিতে পারেন। ইচ্ছা করলে আপনি আমাদের থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে পারেন।
আমার এখানে দেশে ও দেশের বাহিরে ঔষধ পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে কুরিয়ার মাধ্যমে।
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন
ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )(ডি, এইচ, এম, এস) ☎️01907-583252 ☎️01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]
আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।