⭕ মেয়েদের জীবনকালের কোন না কোন সময়, নিজের বা কাছের কারো জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া ( Uterine prolapse ) খুবই স্বাভাবিক একটি ঘটনা। একটু সচেতন থাকলেই নিজের, কাছের বান্ধবীদের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করে ফেলতে পারবেন। জরায়ু পেলভিসে আটকে থাকে ( পেটের নিচের দিকের অংশে ) কিছু মাংস, লিগামেন্ট এবং অন্যান্য কিছু সাপোর্ট দিয়ে। জন্মগত ও জন্মের পরের কিছু কারণে এই মাংস ঝুলে যেতে পারে। বয়সের সাথে স্বাভাবিক ভাবেই ইস্ট্রোজেন হরমোনের ঘাটতি হতে থাকে। তখন অনেক মহিলার জরায়ু মুখ যোনির দিকে নেমে আসে। যার ফলে প্রলাপস হয়। এই আর্টিকেলে জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া বা ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ধরণ, কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে আপনাদের জানাবো।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্স ( Uterine prolapse ) বা জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া- এর ক্ষেত্রে ইউটেরাস কোন অবস্থানে আছে তার উপর নির্ভর করে তিন ভাগে ভাগ করা হয় একে। চলুন এ নিয়ে জেনে নেই আরো বিস্তারিত।
⭕ প্রলাপসকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
🩸 প্রথম ডিগ্রি: জরায়ু মুখ তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে কিছুটা নিচে নেমে আসে। কিন্তু যোনি ছিদ্রের বাইরে অবস্থান করে না।
🩸 দ্বিতীয় ডিগ্রি: জরায়ু মুখ যোনি ছিদ্রের বাইরে বের হয়ে আসে। কিন্তু জরায়ুর শরীরের বেশির ভাগ অংশই ভিতরে থেকে যায়। সবসময় বেরও হয়ে আসে না। কাশি দিলে, প্রস্রাব করতে গেলে বের হয় আসে। এমন কি বের হলেও হাত দিয়ে ঢুকিয়ে ফেলা যায়।
🩸 তৃতীয় ডিগ্রি: জরায়ু মুখ তার শরীরসহ সম্পূর্ণ রূপে বাইরে বের হয়ে আসে এবং আর ভিতরে ঢুকানো যায় না ফলে প্রস্রাব ও পায়খানা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এই স্টেজে গেলে অপারেশন করা অতিশয় জরুরী হয়ে দাঁড়ায়।
⭕ জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও হোমিও চিকিৎসা কী?
⭕ প্রলাপস সাধারণত একা হয় না, আরও কিছু কন্ডিশন এক সাথে হয়ে পরিস্থিতি জটিল করে তোলে । যেমন:
🇨🇭 Cystocele: মুত্রথলির একটি অংশ যোনির সামনের দিকের অংশে চাপ দিয়ে ফুলিয়ে তোলে। কাজেই প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব আটকে থাকা সহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ায় প্রলাপসকে জটিল করে তোলে।
🇨🇭 Enterocele: খাদ্যনালীর একটি অংশ ( ক্ষুদ্রান্ত্রের ছোট অংশ ) যোনির সামনের দিকের অংশে চাপ দিয়ে ফুলিয়ে তোলে । দাঁড়িয়ে থাকলে টান লাগার মত অনুভূতি এবং পিঠে ব্যথা হয়। শুয়ে থাকলে ব্যথা কমে আসে।
🇨🇭 Rectocele: রেক্টাম যোনির দেয়ালের পিছনের অংশে চাপ দিতে পারে। ফলে পায়খানা করতে সমস্যা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে যোনির ভিতরে আঙ্গুল দিয়ে রেক্টাম ঠেলে সরিয়ে পায়খানা করতে হয়।
⭕ জরায়ু নিচে নেমে যাওয়া বা ইউটেরাইন প্রলাপ্সের কারণসমূহ?
🩸 জন্মগত: যেসব মাংস পেশি জরায়ুকে সঠিক স্থানে ধরে রাখে , তাদের কারো জন্মগত দুর্বলতা থেকে থাকে।
🩸 জন্মের পর: জন্মের পরের বলতে এক্ষেত্রে আমরা সন্তান ধারণের সময়টাকেই বুঝি । সন্তান জন্মধারণের পরে বেশ কিছু কারণে প্রলাপস হতে পারে। জরায়ুমুখ সম্পূর্ণ রকমে খোলার আগেই যদি চাপ দেয়া হয়, অতিরিক্ত টানাটানির কারণে হতে পারে। ডেলিভারি বিলম্বিত হলে, প্লাসেন্টা বের করার জন্যে জরায়ুতে নিচের দিকে অতিরিক্ত চাপ দিলে। অনেক বেশি সন্তান ধারণের ফলে হয়। মা খালাদের মধ্যে যাদের চার-পাঁচটা নরমাল ডেলিভারি হয়েছে খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাদের প্রায় সবারই একটু হলেও এই সমস্যাটা আছেই। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মাংস পেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে আসতে থাকে। হরমোনাল সাপোর্টের অভাবও একটি বড় কারণ।
🩸 দীর্ঘদিন ধরে পেটে চাপ পড়ার মত রোগ যেমন: কাশি , কোষ্ঠকাঠিন্য , পেটে পানি জমে থাকলেও এমন হতে পারে। অতিরিক্ত ওজন থাকলে পেটের উপর চাপ পড়ে এবং স্বাভাবিক ভাবে পেটের মাংস পেশির উপর ও চাপ পড়ে। ভারী জিনিস ওঠা নামা করালে পেটে চাপ পড়তে পারে। পেলভিসে বড় কোন অপারেশন হলেও সাপোর্ট কমে গিয়ে প্রলাপস হয়ে থাকে।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) লক্ষণসমূহ?
- 🩸 মনে হবে যেন পেটের ভিতরটা ভরে আছে বা চাপ অনুভব করবেন ঠিক যেন ছোট্ট একটি বলের উপর বসে আছেন।
- 🩸 কোন কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মত অনুভূতি হতে পারে।
- 🩸 পিঠে ব্যথা।
- 🩸 হাঁটতে কষ্ট হওয়া।
- 🩸 প্রস্রাব বা পায়খানা করতে সমস্যা হওয়া।
- 🩸 যৌন মিলনে ব্যথা পাওয়া।
🇨🇭 উপরের যে কোন সমস্যা অনুভব করে থাকলে এবং বিশেষ করে যদি জরায়ু মুখ, আংশিক বা সম্পূর্ণ জরায়ু বেরিয়ে আসলে।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) চিকিৎসা?
🇨🇭 মাংস পেশি কতটা দুর্বল সেটার উপর নির্ভর করে অপারেশন করা লাগবে কি না। অনেক ক্ষেত্রে এক্সারসাইজ করলে পেলভিক মাংসগুলো আবার শক্তিশালী হয়। ইস্ট্রোজেন ক্রিম বা সাপোজিটরি অনেক ক্ষেত্রে মাংস পেশির হৃত শক্তি ফিরে আনতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে এটি মেনপজের পরেই ব্যবহার করা যায় এবং সবাইকে দেয়াও যৌক্তিক নয়।
🇨🇭 বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক কিনা তার উপর নির্ভর করে জরায়ুর আশেপাশের কাঠামো ঠিক করা এমনকি জরায়ু সম্পূর্ণরূপে ফেলে দিতে হতে পারে। সাধারণত পেট কেটে জরায়ু ফেলা হয়। কিন্তু যোনি দিয়ে জরায়ু বেরিয়ে আসলে যোনিপথেও অপারেশন করা হয়। পাশাপাশি যোনি দেয়াল, মুত্রথলি, মূত্রনালির ঝুলে পড়াও অপারেশনের সময় ঠিক করে দেয়া হয়।
🇨🇭 আমাদের দেশের বয়স্ক মহিলারা এই সমস্যায় বেশি পড়েন। তাদের মধ্যে অনেকেই অবহেলা ও অযত্নের আশঙ্কায় বলতে চায় না কাউকে এমনকি নিজের পরিবার থেকেও অনেক সময় লুকিয়ে রাখে। আপনার কাছের কেউ যদি এই রোগে ভুগে থাকেন তবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। অনেক বয়স হলেও বড় কোন শারীরিক সমস্যা না থাকলে অপারেশন করা যায়। বয়স হয়ে গিয়েছে ভেবে অবহেলা করা উচিত নয়। শেষ বয়সে এসে প্রস্রাব, পায়খানার কষ্ট কেউই চায় না। সচেতনতাই স্বস্তি।
🇨🇭 দেশের নারীরা কিছু সমস্যার কথা অন্যের কাছে বলতে খুবই সংকোচ বোধ করেন। যত দিন সম্ভব সমস্যার কথা চেপে রাখেন। একপর্যায়ে রোগটা জটিল আকার ধারণ করে। জরায়ু নিচের দিকে নেমে যাওয়া এমনই একটি সমস্যা।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) কারণ?
🇨🇭 কিছু মাংসপেশি ও লিগামেন্ট জরায়ুকে নির্দিষ্ট জায়গায় ধরে রাখতে সাহায্য করে। জন্মগতভাবে যদি কারও এ কাঠামো দুর্বল থাকে, তবে এ সমস্যা হতে পারে।
🇨🇭 সন্তান প্রসবের সময় জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণভাবে খোলার আগেই যদি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা হয়।
🇨🇭 প্রসবব্যথা যদি 12 থেকে 16 ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় এবং প্রসবকালে জরায়ু নিচের দিকে ছিঁড়ে যায়।
🇨🇭 এক সন্তান নেওয়ার পর স্বল্প বিরতিতে আরেক সন্তান নিলে। দুই সন্তানের মধ্যে বয়সের ব্যবধান এক বছরের কম হলে ঝুঁকি বেশি।
🇨🇭 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জরায়ুর মাংসপেশিসহ সহায়ক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়লে।
🇨🇭 অনেক দিন ধরে কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে।
🇨🇭 প্রসব-পরবর্তী যত্ন সঠিকভাবে না নিলে এবং ভারী জিনিস ওঠানোর কাজ করলে।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সে ( Uterine prolapse ) কীভাবে বুঝবেন?
🇨🇭 তলপেটে ও যোনিপথে কোনো কিছু নিচের দিকে নেমে যাওয়ার মতো অস্বস্তিকর অনুভূতি হলে।
🇨🇭 মাসিকের পথে জরায়ু বের হয়ে এলে।
🇨🇭 কোমরে ও সহবাসের সময় ব্যথা হলে।
🇨🇭 প্রস্রাব ঘন ঘন হওয়া বা প্রস্রাব অসম্পূর্ণ হওয়ার মতো অনুভূতি হলে।
🇨🇭 কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা পায়খানা সম্পূর্ণ হয়নি বলে অনুভূত হলে।
🇨🇭 সাদা স্রাব বা লালচে স্রাব হলে।
⭕ জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও হোমিও চিকিৎসা কী?
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) চিকিৎসা?
🇨🇭 জরায়ুর মুখ কিছুটা বা সম্পূর্ণ বেরিয়ে এলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ব্যায়ামে (কেগেল এক্সারসাইজ) পেলভিক মাংসপেশি আবার শক্তিশালী হয়ে ওঠে। বয়স কম এবং সন্তান নিতে আগ্রহীদের ক্ষেত্রে জরায়ু আগের জায়গায় প্রতিস্থাপন করাই হলো চিকিৎসা। সন্তান নিতে আগ্রহী না হলে অথবা বয়স 50 বছরের বেশি এবং মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে, এমন রোগীদের জরায়ু কেটে ফেলা হয়।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) সতর্কতা!?
🇨🇭 সন্তান প্রসবের সময় পাশে অভিজ্ঞ ধাত্রী থাকা বা হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
🇨🇭 প্রসব-পরবর্তী সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সাধারণভাবে বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের পর ছয় মাসের মধ্যে কোনো ভারী কাজ করা চলবে না।
🇨🇭 প্রসব-পরবর্তী যথাসম্ভব দ্রুত স্বাভাবিক হাঁটাচলা শুরু করা উচিত।
🇨🇭 জরায়ুর আশপাশের মাংসপেশিগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে। এগুলো নিয়মিত করা উচিত।
🇨🇭 দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে চিকিৎসা করাতে হবে।
🇨🇭 সঠিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ এবং স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ জরায়ু প্রলাপস বা মেয়েদের জরায়ু নিচে নেমে আসা |
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সের ( Uterine prolapse ) জরায়ু স্থানচ্যুতির হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ?
🇨🇭 জরায়ু স্ব-স্থান থেকে সরে যাওয়াকে জরায়ুর স্থানচ্যুতি বলা হয়। বিভিন্ন কারণে জরায়ুর স্থানচ্যুতি ঘটতে পারে। লিগামেন্ট নামক দড়ির মতো কাঠামো দিয়ে জরায়ু নিজেকে স্ব-স্থানে ধরে রাখে। যেকোনো কারণে এই কাঠামো দুর্বল হয়ে গেলে জরায়ুর অবস্থান স্বাভাবিক থাকে না।
⭕ ইউটেরাইন প্রলাপ্সে ( Uterine prolapse ) জরায়ু স্থানচ্যুতির মধ্যে রয়েছে:
- 🩸 রিট্রোভার্সান (স্যাক্রামের বাঁকের মধ্যে পতিত হওয়া)।
- 🩸 রিট্রোফ্লেকসান (পশ্চাতে বক্র হয়ে পড়া)।
- 🩸 ইনভার্সান ( উল্টে যাওয়া )।
- 🩸 জরায়ুর প্রোল্যাপ্স ( নিচে নেমে যাওয়া )।
🇨🇭 নারীদের জরায়ু সংক্রান্ত রোগসমূহের মধ্যে ( জরায়ু নেমে আসার ) সমস্যাটি অন্যতম। দেখা যায়, এই রোগটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই একটি বা একাধিক সন্তান জন্মের জন্য হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে জরায়ু প্রায় সবটাই যোনির মধ্যে ঝুলে পড়ে। বাইমেনুয়াল পরীক্ষাতে একটি আঙ্গুল প্রবেশ করালেই এই রোগ অনেকটা বুঝতে পারা যায়।
এই রোগের নিশ্চিত আরোগ্যকারী চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বিজ্ঞানে।
🇨🇭 নারীদের জরায়ু নেমে আসার কারণসমূহ: বিভিন্ন কারণে জরায়ু নেমে আসতে পারে, যথা:
🩸 জন্মগত কারণে এই রোগ দেখা দিতে পারে এবং ইহা যোনির আগমনের সঙ্গেই বুঝতে পারা যায়।
🩸 কখনো কখনো ব্লাডার নিচের দিকে নেমে আসে বলে তার সাথে জরায়ুও নেমে আসে। একে বলে Cystocele.
🩸 কখনো কখনো রেক্টাম নিচের দিকে নেমে আসে বলে তার সাথে জরায়ুও নেমে আসতে পারে। একে বলে Rectocele.
🩸 কোন কোন ক্ষেত্রে অধিক সন্তান ধারণের ফলে জননেন্দ্রিয়ের বিভিন্ন অংশ ঢিলে হয়ে যায় এর ফলে জরায়ুর লিগামেন্টগুলি ঢিলে হয়ে যায় এবং নিচের দিকে নেমে আসে।
🩸কোনো কোন সময় দেখা যায় যেসব নারীরা অনবরত আমাশয়, উদরাময় ইত্যাদি রোগে ভুগে থাকে তাদের এই রোগটি প্রকাশ পায়।
🇨🇭 নারীদের জরায়ু নেমে আসার লক্ষণসমূহ:
🩸 এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর কোমরে এবং পিঠে বেদনার লক্ষণ দেখা দেয়।
🩸 অনেক সময় প্রদাহ ভাবের সৃষ্টি হয় এবং প্রদাহ বেশি হলে জ্বরও আসতে পারে।
🩸 যদি জরায়ু অধিক পরিমান নেমে আসে তবে রোগীর পায়খানা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
🩸 আবার অনেক সময় পেলভিক ক্যাভিটিতে সেপটিক হতে পারে এবং ধীরে ধীরে তা ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে।
⭕ জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও হোমিও চিকিৎসা কী?
🇨🇭 জরায়ু অধিক পরিমান নিচে নেমে আসলে যৌন মিলনে অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে।
জরায়ু কতটা পরিমান নেমে আসে তার একটা মোটামুটি মাত্রা রয়েছে এবং সেই মাত্রা অনুসারে এই রোগ লক্ষণটিকে তিনভাবে ভাগ করা যায় যথা :
🩸 প্রথম ডিগ্রী: সামান্য নেমে আসা অর্থাৎ 1/4” পর্যন্ত নেমে আসা।
🩸 দ্বিতীয় ডিগ্রী: অনেকটা বেশি নেমে আসা অর্থাৎ 1” পর্যন্ত নেমে আসা।
🩸 তৃতীয় ডিগ্রী: প্রায় সবটাই নেমে আসা অর্থাৎ 2” – 2.1/4” পর্যন্ত নেমে আসা অথবা তার চেয়ে বেশি নেমে আসা।
নারীদের জরায়ু নেমে আসার সমস্যায় তৃতীয় ডিগ্রীই মারাত্মক। তবে অন্য দুটি ক্ষেত্রেও নারীরা বেশ জটিলতায় ভুগে থাকেন।
🇨🇭 জরায়ু নিচে নেমে আসা রোধে হোমিওপ্যাথিতে অনেক ঔষধ আছে।এর মধ্যে লক্ষণানুসারে নিম্ন লিখিত ঔষধ গুলো সব চেয়ে বেশী ব্যবহার হয়:
🧪 এলো সকোট্রিনা :
যোনিদ্বার দিয়ে কিছু ঠেলে বেড়িয়ে আসার ন্যায় অনুভুতি, দাঁড়িয়ে থাকলে ও মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালিন অবস্থায় বৃদ্ধি। জরায়ুতে ভারবোধ এবং এই কারনে বেশী হাঁটতে পারে না। কোমরে প্রসব বেদনার ন্যায় বেদনা, বেদনা নীচের দিকে পা পর্যন্ত প্রসারিত হয়।
🧪 আর্জেন্টাম মেটালিকাম :
ডিম্বাশয় বড়ো হয়েছে বলে মনে হয়। নীচের দিকে ঠেলা মারার মত বেদনা। জরায়ুর স্থানচ্যুতি। ক্ষয়প্রাপ্ত এবং স্পঞ্জের মত সারভিক্স। জরায়ুর রোগ তৎসহ সন্ধিস্থানে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বেদনা।
🧪 অরাম মেটালিকাম :
নিজেকে তিরস্কার করার প্রবণতা ও নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করে। তীব্র নৈরাশ্য, জীবনে বিতৃষ্ণা এবং অত্মহত্যার ইচ্ছা সহ যোনি নালী অত্যধিক অনুভুতি প্রবণ। জরায়ুর বিবৃদ্ধি ও স্থানচ্যুতি। বন্ধ্যাত। যোনিনালীর আক্ষেপ।
🧪 অরাম মিউর নেট্র :
জরায়ু গ্রীবার কঠিনতা। যুবতী মেয়েদের হৃদকম্প। পেটের ভিতর শীতল অনুভুতি। জরায়ুর পুরাতন প্রদাহ ও স্থানচ্যুতি। মনে হয় জরায়ু সমগ্র বস্থিকোঠর জুড়ে রয়েছে। জরায়ুর অল্প বিবৃদ্ধি। ডিম্বাশয়ের কঠিনতা।
🧪 ক্যাল্কেরিয়া কার্ব :
ক্যাল্কেরিয়া কার্বের প্রধান কাজ হল, শারীরিক যন্ত্রসমূহের কার্যপদ্ধতির উপর। পিটুইট্যারি ও থাইরয়েড গ্রন্থির ক্রিয়া বৈকল্য। ক্যাল্কেরিয়ার রোগী মেদযুক্ত, ফর্সা, থল থলে চেহারা যুক্ত এবং ঘামযুক্ত ও ঠাণ্ডা আদ্র, এবং অম্লগন্ধযুক্ত। ক্যাল্কেরিয়ার রোগিণীর জরায়ু খুব সহজেই স্থানচ্যুত হয়ে থাকে।
🧪 ফ্র্যাক্সিনাস – অ্যামেরিকানা :
জরায়ুর বিবৃদ্ধি (Hyper trophy), জরায়ুর স্থানচ্যুতি ( Displacement ), প্রসবের পর জরায়ুর আকার ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় পরিণত না হওয়া ( Subinvolution ), জরায়ু সম্মুখদিকে বাঁকিয়া আসা ( Anteversion ), জরায়ু পশ্চাৎদিকে বাঁকিয়া বা ঘুরিয়া যাওয়া ( Retroversion ), জরায়ুর বহিনির্গমন ( Prolapsus ), জরায়ুর টিউমার, বাধক, মেট্রাইটিস প্রভৃতি স্ত্রীলোকের কতকগুলি জরায়ু সম্বন্ধীয় পীড়ায় এবং পায়ের তলায় খিলধরায় ইহা উপকারী।
🧪 ফেরাম আয়োড :
সামান্য পরিমাণ আহারেও পেট পূর্ণ হইয়া উঠে, যেন কত অধিক আহার করা হইয়াছে , আহারীয় বস্তু উপরদিকে গলায় ঠেলিয়া উঠে, তাহাতে বোধ হয় যেন কিছুই পাকস্থলীর মধ্যে প্রবেশ করে নাই তৎসহ জরায়ুর পশ্চাৎ-বক্রতা ( Retroversion ), সিদ্ধ মণ্ডের মত একপ্রকার শ্বেত-প্রদর স্রাব, মলত্যাগের সময় দড়ি কিম্বা তারের মত এক প্রকার লম্বা সাদা স্রাব যোনি দিয়ে নির্গমন। সর্বদাই বোধ হয় যেন তলপেট হইতে কোন পদার্থ যোনিদ্বার দিয়া বাহির হইয়া আসিতেছে।
🧪 ফেরাম ব্রোমেটাম :
জরায়ু বাহির হইয়া পড়ে, প্রসবের পর প্রলাপ্সস, চটচটে শ্বেতপ্রদর স্রাব, স্রাবে হাজিয়া যায়। প্রস্রাব ত্যাগ কালে জ্বালা, কোঁথানিসহ আমরক্ত, স্পারম্মাটরিয়া।
⭕ জরায়ু নিচে নেমে যাওয়ার কারণ ও হোমিও চিকিৎসা কী?
⭕ এছাড়াও আরও অসংখ্য ঔষধ লক্ষণ অনুসারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
🇨🇭 বি: দ্র: হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষন ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। তাই একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের পরার্মশ নিয়ে ঔষধ খাবেন। আপনি এই রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পেতে পেজে ম্যাসেজ দিয়ে বিস্তারিত রোগ লক্ষন জানাতে পারেন ]
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।