🇨🇭 চতুর্দশ এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে সোরা নম্ররূপ লাভ করার ফলে চুলকানিরূপে আবির্ভূত হয়। চুলকানি বা কন্ডুরোগে কেউ সংক্রমিত হলে ত্বকে সংক্রমণের স্থানে চুলকানিযুক্ত কিছু ফুস্কুড়ি উপস্থিত হতো। উক্ত স্থানে অবিরত চুলকানোর ফলে কিছু রস বের হতো। তখন এ চুলকানি উদ্ভেদগুলো খুব লুকিয়ে রাখা হতো। ফলে যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি তার সাথে মেলামেশা করতে দ্বিধা করতো না। এবং কন্ডুরোগ নিয়ে সে ব্যক্তি সর্বত্র অবাধে চলাফেরা করতে পারতো। কিন্তুগ্রস্ত রোগী তার হাত দ্বারা চুলকানি স্থানে চুলকানোর ফলে তার হাতটি সোরা রসে সিক্ত হতো। সে ব্যক্তি সোরা রসে সিক্ত নোংড়া হাত দ্বারা যে বস্তু স্পর্শ করতো তা যারা স্পর্শ করতো অথবা কন্ডু রোগীদের সাথে যারা মেলামেশা করতো তারা কন্ডু রোগে সংক্রমিত হতো।
🇨🇭 ফলে সোরা সর্বজনীন সংক্রামক রোগে পরিণত হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, সোরার রূপ পরিবর্তন করে কুষ্ঠ থেকে কন্ডুতে প্রত্যাবর্তনের ফলে মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ কন্ডরূপ লাভ করার ফলে সোরা খুব সহজে ত্বক থেকে অপসারণ করা যায়। সোরা ত্বক থেকে অপসারিত হয়ে দেহাভ্যন্তরে এর বিকাশের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে রোগীর বাহ্যিক সোরা অপেক্ষা আভ্যন্তরীণ সোরা আরো বেশি ক্ষতি করে, গোটা দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে কখনো কখনো রোগটি দূরারোগ্য হয়ে পড়ে। অপরদিকে সোরার প্রধান ত্বক লক্ষণ দূর করার ফলে এর গৌণ লক্ষণ উৎপাদন করার প্রবণতা ব্যাপক বৃদ্ধি পায় এবং তখন মনে হয়, খুজলি আরোগ্যের পর সে আরো বেশি রোগে আক্রান্ত হয়।
রোগীরা বুঝেনা, যে এ বেশি রোগ চুলকানি। চাপা দেয়ার ফল ছাড়া আর কিছু নয়। দ্বিতীয়ত খুজলি রোগের উপর গন্ধক, পারদ, সীসা, তামা ইত্যাদির মলম দিলে যেহেতু খুব সহজে অপসারিত হয় তাই এ রোগ ভয়াবহ কিছু নয়, এ ধারণা থেকে মানুষ খোস-পাঁচড়াগ্রস্ত ব্যক্তিদের কখনো এড়িয়ে চলতো না। ফলে রোগটি বেশি বেশি বিস্তার লাভ করার সুযোগ পায়, বেশি মানুষ এ রোগে সংক্রমিত হয়। এভাবে গোটা মানবজাতি আজ সোরাগ্রস্ত হয়েছে। এজন্যই বলা হয়েছে যে, সোরা চুলকানি রোগে পরিণত হয়ে খুব বেশি সার্বত্রিক হয়েছে, অর্থাৎ- সর্বত্র ব্যাপ্তি লাভ করেছে। এভাবে সোরা কুষ্ঠ অপেক্ষা কন্ডুরূপে খুব বেশি ক্ষতিকারক হয়েছে।
🇨🇭 এখানে আরো একটি কথা বলা আবশ্যক যে, সোরার গৌণ লক্ষণগুলো ত্বক থেকে কন্ডুরোগ তাড়ানোর ফলেই সৃষ্টি হয়।
🇨🇭 চুলকানি রোগ এমন প্রকৃতির ব্যাধি যা বিনা চিকিৎসাতে ত্বক থেকে আপনিতে সরে যায় এবং অভ্যন্তরমুখী হয়ে যায়।
কিন্তু সিফিলিস এবং সাইকোসিস রোগের স্থানীয় লক্ষণ স্বভাবগতভাবে স্থিতীশীল। এ দুইটি মায়াজম ঘটিত রোগের স্থানীয় লক্ষণ কখনো বিনা চিকিৎসায় ধ্বংস হয় না। যতদিন পর্যন্ত মায়াজমঘটিত ব্যাধির স্থানীয় লক্ষণ স্থিতাবস্থায় বহাল থাকে ততদিন পর্যন্ত তা প্রকটরূপ ধারণ করে না। কারণ তাদের অপরিবর্তিত স্থানীয় লক্ষণ ব্যাধিকে আভ্যন্তরীণভাবে প্রকট হতে বাধা দেয় কিন্তু মায়াজমঘটিত ব্যাধির স্থানীয় লক্ষণ কোনোভাবে ধ্বংস হলে আভ্যন্তরীণভাবে উক্ত ব্যাধি চরম বিকাশ লাভ করে এবং আভ্যন্তরীণ প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ নারীদের যোনিপথে চুলকানি কেন হয়? Female Itching Vagina Homeo Treatment
তার ফলে অসংখ্য গৌণ লক্ষণ উৎপন্ন হয়, এবং বিভিন্ন নামের অসংখ্য ব্যাধি সৃষ্টি হতে থাকে। এ পাদটীকায় আরো বলা হয়েছে যে, সোরা খোস-পাঁচড়ায় রূপান্তর হয়ে যদিও দৃশ্যত বাহ্যিকভাবে নমনীয় হয়েছে, যার ফলে বাহ্যিক ঔষধ দিয়ে সহজে অপসারণ করা যায়, কিন্তু তা প্রাচীন কুষ্ঠ থেকে মোটেও আলাদা কিছু হয় নি। সোরা সমূলে আরোগ্য করা কুষ্ঠরোগের মতো একটি কঠিন কাজ। প্রাচীনকালে কুষ্ঠ ব্যাধি দুরারোগ্য পর্যায়ে বিকশিত হওয়ার আগে বাহ্যিক মলম, শীতল জলে স্নান, খনিজ জলে স্নান ইত্যাদি ব্যবস্থা দ্বারা বাহ্যিকভাবে অপসারণ করা যেতো।
🇨🇭খোঁস,পাঁচড়া ফুস্কুড়ি চর্মরোগ সম্পর্কে প্রথাগত ধারণা :
মানবজাতির কল্যাণের বিরুদ্ধে সাধারণ প্রতিষ্ঠানের আধুনিক চিকিৎসকগণ কি পরিমাণ অন্যায় করেছে তা অবিশ্বাস্য – যেহেতু, সামান্য ব্যতিক্রম ব্যতীত, মেডিসিনের শিক্ষক এবং অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ আধুনিক চিকিৎসকগণ এবং চিকিৎসাশাস্ত্র সংক্রান্ত লেখকগণ বিধি প্রণয়ন করেন এবং অব্যর্থ তত্ত্ব হিসাবে এটি শিখান যে, চুলকানির প্রত্যেকটি উদ্ভেদ ত্বকের নিছক স্থানীয় পীড়া, যে পীড়ায় দেহের অবশিষ্ট অঙ্গ মোটেও কোনো অংশ গ্রহণ করে না, তার ফলে এটি সম্ভবত এবং অবশ্যই যে কোনো সময় ত্বক থেকে অপসারণ করতে হবে এবং নিঃসঙ্কোচে, গন্ধকের মলম বাহ্যিক প্রয়োগের মাধ্যমে, অথবা জেসারের আরো কার্যকর মলম প্রয়োগের মাধ্যমে, গন্ধকের উপধূপন, সীসা এবং জিঙ্কের দ্রাবণের মাধ্যমে, কিন্তু সবচেয়ে দ্রুত অপসারিত হয় পারদ নির্যাস প্রয়োগে।
যদি উদ্ভেদ ত্বক থেকে একবার অপসারণ করা হয় তাহলে সবই ভাল হয় এবং ব্যক্তির স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার হয় এবং সমগ্র ব্যাধি অপসারিত হয়। অবশ্যই, যদি ত্বক উদ্ভেদ অবহেলা করা হয়। এবং ত্বকে ছড়িয়ে পড়তে দেয়া হয়, তাহলে এটি অবশেষে এমন রূপ নিবে যে মারাত্মক পদার্থসমূহ লসিকা নালীসমূহের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সুকৌশলে রসপিন্ডের ভিতরে প্রবেশের সুযোগ পাবে, এবং এভাবে রক্ত, রস এবং স্বাস্থ্য বিকৃত করবে। তখন, বাস্তবিকই, মানুষ শেষ পর্যন্ত এসব মারাত্মক রস থেকে রোগাক্রান্ত হবে, যদিও এ রসগুলো পুনরায় জোলাপ এবং রক্ত বিশুদ্ধকারী ঔষধের মাধ্যমে শীঘ্রই দেহ থেকে অপসারণ করা যাবে, কিন্তু ত্বক থেকে উদ্ভেদ দ্রুত অপসারণের মাধ্যমে সকল পরিণাম নিবারিত হয় এবং আভ্যন্তরীণ দেহটা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।