🇨🇭 Kidney Stones: কিডনি স্টোন হলেই কি কাটাছেঁড়া করতে হয়? কিডনিতে পাথর কেন হয়?
🇨🇭 ক্যালসিয়াম, অক্সালেট এবং ইউরিক অ্যাসিডের মতো বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে স্ফটিক অর্থাৎ ছোট পাথরের আকার ধারণ করতে সক্ষম না হলে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। এর পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে।
🇨🇭 কিডনিতে পাথর অতিপরিচিত একটি রোগ, মোটামুটি সকলেই এই রোগ সম্পর্কে জানেন। ডাক্তারি ভাষায় একে Nephrolithiasis বা Urolithiasis ও বলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল কম খাওয়া থেকেই মূলত কিডনির যাবতীয় অসুখের সূত্রপাত। এছাড়াও ডায়াবিটিস থাকলে কিডনির সমস্যা আসে বলে মনে করা হয়। আমাদের শরীরে বৃক্ক জোড়ার সমস্যা হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়।
🇨🇭 Kidney Stones: কিডনি স্টোন হলেই কি কাটাছেঁড়া করতে হয়?
🇨🇭 বিশেষজ্ঞদের মতে, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, সাপ্লিমেন্ট এবং ওষুধ কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে। কিডনিতে পাথর হলে মূত্রনালীর যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। কখনও প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হয়ে গেলে, বমি বমি ভাব হলেও কিডিনির পাথরের লক্ষণ হতে পারে। তাই সমস্যা হলে আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া শুরু করতে হবে। প্রস্রাব পেলে কোনওভাবেই তা চেপে রাখবেন না। তবে ওষুধ ছাড়া কিডনি থেকে পাথর বের করতে হলে বেশ কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চলতে হবে।
🇨🇭 হার্ভার্ড হেলথের মতে, কখনও কখনও ছোট পাথর প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় তবে কিছু ক্ষেত্রে সেগুলি মূত্রনালীতে আটকে থাকতে পারে, যার ফলে রোগীর প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া, ব্যথা, পেটের মাঝখান ও শরীরের একপাশে ব্যথা করে।
🇨🇭 কিডনির পাথর অপসারণ করবেন কী ভাবে?
🇨🇭 পাথরের আকার এবং সংখ্যার উপর নির্ভর করে তা কী ভাবে বের করা হবে। কী ভাবে বের করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে কিডনির পাথর যেমন কয়েক সপ্তাহের মধ্য়েই বেরিয়ে যায়, আবর কারও কারও ক্ষেত্রে পাথর বেরতে এক মাসের উপর সময় লেগে যেতে পারে। এই সমস্যার জন্য অনেক ওষুধ ও চিকিৎসা আছে। কখনও কখনও পাথর অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হতে পারে। তবে হার্ভার্ড হেলথের মতে, কিছু সহজ ঘরোয়া প্রতিকার কিডনির পাথর অপসারণ বা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
✅ প্রচুর জল পান করুন:
হার্ভার্ড হেলথের মতে, যারা প্রতিদিন 2 থেকে 2.5 লিটার প্রস্রাব করেন তাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা 50% কম। এর জন্য প্রতিদিন প্রায় 02 লিটার জল পান করতে হবে।
✅ বেশি করে ক্যালশিয়াম খান:
ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। দই, সয়া পণ্য, মটরশুটি, মসুর ডাল এবং বীজ ক্যালশিয়ামের ভালো উৎস বলে মনে করা হয়। ক্যালশিয়াম অন্ত্রে অক্সালেটকে আবদ্ধ করে কাজ করে। যার ফলে প্রস্রাবে এর পরিমাণ হ্রাস পায়।
✅ লেবু হল মহাষৌধি:
কিডনির পাথর এড়াতে লেবুর রস পান করা উচিত। এতে উপস্থিত সাইট্রেট বা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালশিয়াম তৈরি করতে সাহায্য করে এবং পাথর রোধ করে। প্রতিদিন আধ কাপ লেবুর রস জলে মিশিয়ে পান করুন। দুটো লেবুর রস পান করলে প্রস্রাবের সাইট্রেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
✅ সোডিয়াম এড়ান:
সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। সোডিয়াম প্রস্রাবের মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায়। তাই দিনে 2300 মিলিগ্রামের বেশি সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়।
✅ প্রাণীজ প্রোটিন এড়িয়ে চলুন:
মাংস, ডিম এবং সামুদ্রিক খাবারের প্রোটিনকে প্রাণীজ প্রোটিন বলা হয়। এগুলো খেলে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই এমন ধরনের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
🛑 Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও বিস্তারিত জানার জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
🇨🇭 কিডনিতে পাথর কেন জমে?
🇨🇭 শরীরের রক্ত পরিশোধনকারী অঙ্গ হচ্ছে কিডনি। আর সেই কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে দেহের বর্জ্য নিষ্কাশন সুচারুরূপে হবে না। সেক্ষেত্রে দেহের অন্যান্য অঙ্গও অকার্যেকর হয়ে পড়বে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে হলে কিডনিও ভালো থাকা প্রয়োজন।
🇨🇭 কিডনির মূল সমস্যা হচ্ছে পাথর জমা। কিডনিতে পাথর আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।
🇨🇭 আসুন জেনে নিই কেন কিডনিতে পাথর হয়?
🩸 কাঁচা লবণ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কারণ লবণে সোডিয়াম খুব সহজে জমা হতে থাকে কিডনিতে। এছাড়া অতিরিক্ত সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কারণেও কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।
🩸 কিডনির কাজ হচ্ছে শরীরের বর্জ্য ছেঁকে শরীরকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি কিডনি করে পানির সহায়তায়।তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে।চাহিদামত পানি পান না করার কারণে কিডনি সঠিক ভাবে শরীরের বর্জ্য দূর করতে পারে না। ফলে আর ওই বর্জ্য কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে।
✅ কিডনি সুস্থ রাখতে যা করবেন:
- 🩸 কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি এড়াতে চাইলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পানি গ্রহণও কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
- 🩸 দীর্ঘক্ষণ প্রসাব চেপে রাখা একেবারেই অনুচিত। বেগ এলেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেয়াটাই উত্তম।
- 🩸 তবে বারবার প্রসাবের জন্য শৌচাগারে যাওয়াও একটি বড় সমস্যা। এমন অভ্যাস হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত এবং কিডনিতে সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত।
- 🩸 খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ যুক্ত খাবার। আমলকী, লেবুর জুস প্রতিদিনই খাদ্য তালিকায় রাখলে কিডনি সমস্যা এড়ানো যাবে।
- 🩸 অতিরিক্ত মাত্রায় দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যাবে না।
- 🩸 চিকৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ বা কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।
- 🩸 আপনার বয়স 40 বছরের বেশি হয়ে গেলে নিয়মিত বছরে অন্তত একবার ডায়বেটিস ও ব্লাড প্রেসার পরীক্ষা করান।
- 🩸 বছরে অন্তত একবার প্রস্রাবের মাইক্রো-এলবুমিন পরীক্ষা করান।
🇨🇭 Kidney Stone Symptoms: শরীরের এই কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ! চিকিৎসকের পরামর্শে সতর্ক হলে এড়ানো যায় অপারেশন, কিডনি স্টোনের অনেক কারণ হতে পারে। পিছনে থাকতে পারে ক্য়ালশিয়াম, ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিড সহ অন্যান্য যৌগ। এই যৌগগুলি কিডনিতে স্টোন হয়ে জমে। দেখা গিয়েছে কিডনিতে স্টোন হলে ব্যথা হয়। কোথায় ব্যথা হয়, লক্ষণ, চিকিৎসা ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক।
🇨🇭 কিডনি স্টোন একটি গুরুতর রোগ। এই অসুখে আক্রান্ত হলে মানুষের জীবনে নেমে আসে বহু ঝামেলা। তাই বলা হয় এই অসুখটিকে যতটা দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করে নিতে। তবে বহু ক্ষেত্রে মানুষ কিডনি স্টোনের লক্ষণটা-ই জানেন না। আর এই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কিন্তু প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। কারণ এই অসুখকে প্রথমাবস্থায় ধরে ফেলতে পারলেই সমস্যা বহুগুণ কমতে পারে। অন্যথায় বাড়তে থাকলে একটা সময় পরে অপারেশন ছাড়া কোনও গতি থাকে না।
🇨🇭 কিডনি স্টোন ( Kidney Stone ) আসলে আমাদের কিডনিতে জমতে পারে ক্যালশিয়াম, ফসফেট, ইউরিক অ্যাসিড। স্বাভাবিক অবস্থায় তা মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়ার কথা। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা বের হতে পারে না। তখন জমে কিডনিতে। প্রথমে বালির মতো থাকলেও পরে এই স্টোনের আকার বড় হয়। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষকে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
( Kidney Stone ) শরীরের কয়েকটি জায়গায় ব্যথা হল কিডনি স্টোনের লক্ষণ!
কিডনি স্টোনের ব্যথা বেশিরভাগ মানুষই সহ্য করতে পারেন না। তারপরও প্রথমদিকে বিষয়টি নিয়ে মানুষ ছেলেখেলা করতে শুরু করে দেন। এই কারণে একটা সময়ের পর গুরুতর দিকে মোড় নেয় রোগ। তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকতে হবে।
🇨🇭 কিডনি স্টোনের ( Kidney Stone Disease ) প্রথমেই লক্ষণ ধরে নিতে পারলে রোগ নির্ণয়ে সুবিধা হয়। রোগ দ্রুত ধরা পড়লে সহজেই করা যেতে পারে চিকিৎসা। তাই এর লক্ষণ জানতেই হবে।
🇨🇭 আসলে কিডনি স্টোন অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তে পারে দ্রুত। সেক্ষেত্রে কয়েকটি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোমরের নীচের দিকে ব্যথাটা হয়। পিঠের দিকেও ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ব্যথাটা তলপেটের দিকে আসে। আবার ইউরিন করার সময় ব্যথা হতে পারে। ব্যথাটা হয় অসহ্য। এছাড়া ইউরিনে ব্লাড বা ইউরিন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
🇨🇭 কাদের বেশি হয়? Who is at Risk of Kidney Stone?
🇨🇭 শরীরে ফসফেট, ক্যালশিয়াম, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রে বেশি থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। এছাড়া দেখা গিয়েছে যে জলপান যাঁরা কম করেন তাঁদেরও এই অসুখ হয়ে থাকে। এবার এই বিষয়টিও মাথায় রাখতেই হবে।
🇨🇭 রোগ নির্ণয় কী ভাবে? Kidney Stone Test?
🇨🇭 আসলে রোগীর খরচ কমানোটাও আমাদের কাজ। তাই প্রথমে দেওয়া হয়ে থাকে ইউএসজি। এক্ষেত্রে ইউএসজি অব কেইউবি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এর মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সম্ভব না হলে দিতে হয় সিটি স্ক্যান অব কেইউবি। এতেই রোগ নির্ণয় সম্ভব হয়। তাই চিন্তার কিছু নেই।
🇨🇭 কিডনি স্টোন ছোট থাকলে তা ওষুধ দিয়ে বের করার চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে 10.mm- এর নীচে কিডনি স্টোন হলে ওষুধ দেওয়া হয়। ওষুধের মাধ্যমে মূত্রের সঙ্গে স্টোন বেরিয়ে যেতে পারে। তবে
🇨🇭 কিডনি স্টোন পরবর্তী জীবনযাত্রা ? Lifestyle Change In Kidney Stone?
🇨🇭 একবার স্টোন হলে বারবার হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভালোমতো জলপান করতে হবে। দিনে অন্ততপক্ষে 03 থেকে 04 লিটার জলপান হল বাধ্যতামূলক। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যে এই মানুষগুলিকে কিছু ওষুধ সারাজীবন খেতে হতে পারে। তাই সেই দিকটাও মাথায় রাখা দরকার।
🛑 বি-দ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 পৃথিবীর প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান নিয়ে প্রকৃতিতে যেমন: পাথর তৈরি হচ্ছে, মানবদেহের উপাদান ও খনিজ দিয়ে আমাদের শরীরের কয়েকটি অঙ্গে পাথর তৈরি হতে পারে। যেমন: পিত্তথলি, কিডনি, অগ্ন্যাশয়ে পাথর হতে পারে। কিডনি ও মূত্রথলির পাথর আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়।
🇨🇭 কিডনিতে পাথর তৈরির কারণ জানার জন্য অনেক গবেষণা হয়েছে এবং চলছে। সাম্প্রতিক ধারণা হলো, প্রস্রাবে দ্রব অত্যধিক ঘন হলে পাথরের কণা বা ক্রিস্টাল তৈরি হয়। এ অবস্থা সৃষ্টি হয় যদি শরীর থেকে প্রতিনিয়ত পানি কমে যায় , ( ডিহাইড্রেশন হয় )।
🇨🇭 পাথর তৈরির প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন। যাঁরা গরম আবহাওয়ায় কাজ করেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করেন না, তাঁদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে পাথর তৈরির আশঙ্কা বেশি। তাই মরুভূমিতে, মধ্যপ্রাচ্যের গরম দেশগুলোতে এমনকি আমাদের এই উপমহাদেশের কিছু কিছু স্থানে প্রচুর কিডনি পাথরের রোগী পাওয়া যায়। এ ছাড়া প্রস্রাবে বারবার সংক্রমণ থেকেও পাথর হতে পারে। শরীরের কিছু খনিজ উপাদান, যেগুলো পাথর তৈরিতে বাধা দেয় ( ইউরিনারি স্টোন ইনহিবিটরস ) সেগুলো প্রস্রাবে কমে গেলেও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন: প্রস্রাবে সাইট্রেট, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকের পরিমাণ কমে গেলে।
🇨🇭 আবার শরীরে এমন কিছু উপাদান আছে, যেগুলোর পরিমাণ প্রস্রাবে বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর তৈরি হতে পারে। যেমন: প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক অ্যাসিড বেশি পরিমাণে নির্গত হওয়া। যেকোনো কারণে মূত্রপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে এবং মূত্রতন্ত্রে জন্মগত কোনো সমস্যা থাকলেও পাথর তৈরির আশঙ্কা থাকে। বিভিন্ন মেটাবলিক কারণ যেমন: প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির অত্যধিক কার্যকারিতা বা টিউমার রক্তে ও প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। আর এ ক্ষেত্রে দুই দিকের কিডনিতেই অনেক পাথর তৈরি হয়। শিশুদের জন্মগত মেটাবলিক কারণ, যেমন: সিসটিনিউরিয়া এবং জ্যানথিনিউরিয়া, কিডনি পাথরের কারণ। পাথর সাধারণত কিডনিতে তৈরি হয়ে প্রস্রাবের নালি এবং মূত্রথলিতে নেমে আসে।
🇨🇭 কিডনির পাথরের রকমফের কিডনির সব পাথরই কিন্তু এক রকম না। রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে কয়েক ধরনের পাথর পাওয়া যায়।
🧪 ক্যালসিয়াম অক্সালেট: সবচেয়ে বেশি, প্রায় 60-80 শতাংশ ক্ষেত্রে পাওয়া যায়। এক্স-রে করলে ধরা পড়ে।
🧪 মিক্সড: ক্যালসিয়াম অক্সালেট ও ফসফেটের মিশ্রণ।
🧪 ট্রিপল ফসফেট (অ্যামোনিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-ক্যালসিয়াম ফসফেট): সংক্রমণ হলে সাধারণত এ জাতীয় পাথর হয় ক্ষারীয় ( অ্যালকালাইন ) প্রস্রাবে।
🧪 ইউরিক অ্যাসিড স্টোন: সাধারণত এক্স-রেতে দেখা যায় না। গাউট বা বাতজনিত রোগীদের এই পাথর থাকতে পারে।
🧪 কিডনিতে পাথরের লক্ষণ অনেক ক্ষেত্রেই কিডনিতে পাথরের কোনো লক্ষণ না ও থাকতে পারে। মেরুদণ্ডে ব্যথার জন্য নিয়মিত চেকআপের সময় অনেক ক্ষেত্রে ধরা পড়ে। কিডনির পাথরের জন্য ব্যথা হলে ওপরের পেটের অথবা নিচের পিঠের ডানে বা বাঁয়ে মাঝে মৃদু ব্যথা হতে পারে।
🧪 লাল প্রস্রাব বা প্রস্রাবে হালকা রক্ত যাওয়া আরেকটি লক্ষণ। পাথর যদি প্রস্রাবের নালিতে নেমে আসে তাহলে ওপরের পেট-পিঠ থেকে কুঁচকির দিকে প্রচণ্ড ব্যথা হয় এবং সঙ্গে বমি, জ্বর ইত্যাদি থাকে। পাথর মূত্রনালি বা ইউরেটারে আটকে গেলে কিডনি ফুলে যায়। অনেক সময় ইউরোসেপসিস বা মারাত্মক সংক্রমণ হয়ে জীবনের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে জরুরিভাবে ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিয়ে পাথর বের করতে হবে, শিরার মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক নিতে হবে।
🇨🇭 কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের পাথর শনাক্ত করার পরীক্ষা:
মূত্রতন্ত্রের পাথরের রোগীদের প্রস্রাব পরীক্ষা করলে- লোহিতকণিকা, পাস-সেল বা পাথরের ক্রিস্টাল পাওয়া যেতে পারে। পেটের এক্স-রে করলে প্রায় 90 শতাংশ পাথর দেখা যায়। তবে কিডনির খুব ছোট পাথর বা মূত্রনালির পাথর শনাক্ত করতে হলে সিটি স্ক্যান প্রয়োজন হয়। আলট্রাসনোগ্রাম করলেও কিডনি ও মূত্রথলির পাথর ধরা পড়ে।
আরো পড়ুনঃ কিডনির নেফ্রাইটিস নিরাময়ে হোমিও চিকিৎসা। ডায়ালাইসিস নয় হোমিও সমাধান।
🇨🇭 কিডনি ও মূত্রতন্ত্রের পাথরের চিকিৎসা:
কিডনির পাথর যদি 04 মিলিমিটার বা তার থেকে ছোট হয়, তাহলে 90 শতাংশ সম্ভাবনা থাকে যে, সেটি নিজেই প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আমরা রোগীদের বেশি করে পানি পান করতে বলি। প্রয়োজনে ব্যথার ওষুধ দিয়ে থাকি। আর কয়েক সপ্তাহ পরপর এক্স-রে বা সিটি স্ক্যান করে দেখি পাথরটা কতটুকু নেমেছে বা প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে গেছে কি না।
🇨🇭 ছাঁকনির মধ্যে প্রস্রাব করলে অনেক সময় পাথর ধরা যায় অথবা রোগীরা বুঝতে পারেন যে প্রস্রাবের সঙ্গে জমাট রক্তের মতো কিছু একটা বের হয় বা কমোডের পানির নিচে জমা হয়। কিন্তু পাথর যদি মূত্রনালির বা ইউরেটারের কোনো অংশে আটকে যায় আর নিচে নামে, প্রস্রাবের প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে সংক্রমণ হয়, সে ক্ষেত্রে পাথর ছোট হলেও বের করে প্রস্রাবের বাধা দূর করতে হবে। কিডনির পাথর দশমিক 05 থেকে 02 সেন্টিমিটার আকারের হলে এবং সুবিধামতো জায়গা থাকলে শরীরের বাইরে থেকে শক ওয়েভ দিয়ে পাথর গুঁড়া করা সম্ভব। পরে গুঁড়াগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। কিডনি থেকে ছোট আকারের পাথর অপসারণের আরেকটি মিনিম্যাল ইনভেসিভ পদ্ধতি হলো আরআইআরএস ( রেট্রোগ্রেড ইন্ট্ররেনাট সার্জারি )। এই পদ্ধতিতে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে ফেক্সিবিল ইউরেটেরোস্কোপ দিয়ে কিডনিতে পৌঁছে লেজারের মাধ্যমে পাথর গুঁড়া করে বের করে আনা হয়।
🇨🇭 তবে কিডনির পাথর অপসারণের সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি ( গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ) হলো পিসিএনএল। এই পদ্ধতিতে ছোট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে পিঠের দিক দিয়ে যেকোনো আকার ও প্রকৃতির পাথর ভেঙে 100 শতাংশ বের করা সম্ভব। উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও কিডনির পাথর এসব পদ্ধতিতে বের করা হয়। এখন আর পেট কেটে কিডনি পাথরের সার্জারি করা হয় না বললেই চলে। তাই রোগীকে পুরো অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না এবং দুদিনেই বাসায় ফিরে যেতে পারেন। এসব পদ্ধতিতে ব্যথা-বেদনা তেমন একটা হয় না। কিডনির পাথর ইউরেটার বা মূত্রনালিতে নেমে এলে তা ইউরেটেরোস্কোপের মাধ্যমে প্রস্রাবের নালি দিয়ে বের করা হয়। মূত্রথলির পাথরও পেট না কেটে যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে বের করা হয়।
🇨🇭 কিডনির পাথর প্রতিরোধের উপায়:
খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন ও পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনি পাথর প্রতিরোধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিডনির পাথর বের করলেও আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যাঁদের একবার পাথর হয়েছে, তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে।
🧪 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলো পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে যাতে শরীর শুষ্ক না থাকে। কতটুকু পানি আপনার জন্য পর্যাপ্ত, তা নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন, অবস্থান ও জলবায়ুর ওপর। যাঁরা বাইরে মাঠে কাজ করেন তাঁদের শরীরে পানির প্রয়োজন নিশ্চিতভাবে ঘরে এসির ভেতর অবস্থানরত মানুষের চেয়ে বেশি। তেমনি গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে বা গ্রীষ্মকালে, শীতপ্রধান অঞ্চলে বা শীতকালে পানির প্রয়োজন বেশি হবে। যাঁদের আগে পাথর হয়েছে তাঁদের বেলায় সাধারণত আমরা বলি এমন পরিমাণ পানি ও তরল পান করবেন, যাতে প্রস্রাব 24 ঘণ্টায় 02 লিটারের মতো হয় অথবা প্রস্রাব উচ্চবর্ণের না হয়। এটি দেখতে যেন অনেকটা পানির মতোই হয়। আপনার অবস্থানভেদে 2-8 লিটার পান করার প্রয়োজন হতে পারে।
🧪 কোনো অসুখের কারণে প্রস্রাব প্রবাহে বাধা অথবা সংক্রমণ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
🧪 খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে।
🧪 মূত্রতন্ত্র বা কিডনি থেকে পাথর বের করার পর আমরা পাথরের রাসায়নিক পরীক্ষা করে থাকি। ক্যালসিয়াম অক্সালেট পাথরের ক্ষেত্রে যেসব খাদ্যে অক্সালেট বেশি থাকে তা কম খেতে হবে। যেমন: পালংশাক, স্ট্রবেরি, মাখন, চকলেট, দুগ্ধজাতীয় খাবার। প্রস্রাবে সাইট্রেট কম থাকলে পটাশিয়াম সাইট্রেট খেতে দেওয়া যেতে পারে। এটি প্রস্রাবে অ্যাসিডোসিস কমায়। অজ্ঞাত কারণে প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে মূত্রবর্ধক থায়াজাইডজাতীয় ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড থেকে পাথর হলে লাল মাংস খাওয়া কমাতে হবে, অ্যালোপিউরিনল ওষুধ অনেক ক্ষেত্রে দেওয়া যেতে পারে।
🧪 মেটাবলিক সমস্যার জন্য পাথর হলে তার চিকিৎসা করতে হবে। প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা টিউমার থাকলে তার শল্যচিকিৎসা করাতে হবে।
🧪 অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ( যা শরীরে অক্সালেটে পরিণত হয় ) ও ভিটামিন ডি ( শরীরের ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বাড়ায় ) খাওয়া পরিহার করতে হবে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন শরীরের জন্য ভালো।
🇨🇭 অনেক রোগীই ওষুধ চান, যা খেলে পাথর গলে বের হয়ে যাবে। সত্যিকার অর্থে এমন কোনো কার্যকরী ওষুধ নেই। তাই একবার পাথর হলে, ছোট অবস্থায় তা নিজেই বের হয়ে যেতে পারে, অন্যথায় তাকে বের করে ফেলতে হবে। পাথর কিডনির ভেতর থাকলে কিডনির ক্ষতি হয়। পাথর যাতে কিডনিতে না হতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।
🇨🇭 কিডনি মানবদেহের অন্যতম প্রধান অংশ। বেঁচে থাকার জন্য যেমন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র জরুরি, ঠিক তেমনি জরুরি হলো কিডনি। কিডনি না থাকলে মানুষের জীবনধারণ অসম্ভব। সাধারণত মানুষের পেটের ভেতর মেরুদণ্ড বা শিরদাঁড়ার উভয় পাশে একটি করে মোট দুটি কিডনি থাকে। কিডনিগুলো দেখতে অনেকটা সিমের মতো।
🇨🇭 কিডনি রোগগুলোর মধ্যে স্টোন বা পাথর হওয়া অন্যতম। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলো নির্ভর করে কিডনির কোথায় স্টোন আছে এবং কীভাবে আছে। স্টোনের আকার আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনো ব্যথা ছাড়াই দীর্ঘদিন এমনকি কয়েক বছর পর্যন্ত শরীরে সুপ্তভাবে থাকতে পারে! স্টোনটি বড় হলে বা বড় হতে শুরু করলে এটি কিডনির ভেতরে ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং ব্যথা অনুভূত হয়। কিডনির মধ্যে শক্তদানার মত কঠিন পদার্থ বা স্টোনের মত জমা হলে তাকে রোনাল স্টোন বা কিডনি পাথর বলা হয়, এ পাথর কখনো মূত্রগ্রন্থি, কিডনি, মূত্রনালী, আবার কখনো মূত্রথলিতে এসে জমা হয়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যাসহ প্রস্রাব বন্ধ বা অবরোধ হতে পারে। কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীরের রক্ত থেকে ময়লা আবর্জনা ও পানি প্রসাব আকারে শোধন করে বের করে দেয়। দুটি ইউরেটারের মাধ্যমে প্রসাব মূত্রথলিতে এসে জমা হয়। তারপর প্রয়োজন মতো বেরিয়ে আসে। আমরা সারাদিন যে খাবার গ্রহণ ও পান করি তা হতে শরীরের প্রয়োজনীয় পদার্থ বা অংশ শরীর কোষ নিজে রাখে। বাকী অপ্রয়োজনীয় অংশ বজ্য পদার্থ হিসাবে রক্তের সাথে মিশে কিডনি এ বর্জ্য পদার্থ রক্ত থেকে বের করে প্রস্রাব আকারে নিঃস্বরণ করে।তাছাড়া আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও কিডনি পালন করে থাকে।
🇨🇭 পাথর যে কারণে হয়: কিডনিতে অনেক রকম স্টোন হতে পারে, যেমন: ইউরিক স্টোন,স্ট্রভাইন স্টোন, সিস্টিক এবং ক্যালসিয়াম স্টোন হতে পারে। যে খাবারে ইউরিয়া বা ইউরিক এসিড বেশি থাকে এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবারের কারণেও কিডনি সমস্য দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 যারা প্রতিনিয়ত পান খান তারাও ক্যালসিয়াম খাচ্ছে। অর্থাৎ যিনি পানের সাথে চুন খাচ্ছেন আর চুনে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকে। একটু ভেবে দেখুনত চুন আর মিষ্টি মশলা খাচ্ছেন তাদের জন্য কি এটা হওয়া খুব অসাধারণ?
🇨🇭 অতিরিক্ত স্নেহ জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে যারা রক্ত সংবহন ক্রিয়ার ব্যাঘাত, পরিপাক বা পরিপোষন কাজের ব্যাঘাত, যে কোন সংক্রামক রোগ যদি মুত্রযন্ত্র আক্রমণ করে, শরীের হতে অতিমাত্রায় ঘাম নির্গত হওয়ার ফলে, জলবায়ু, পেশী,সর্বপরি বংশে থাকলেও হতে পারে।
🇨🇭 কিডনি পাথর আছে কিভাবে বুঝবেন?
🇨🇭 যে কোন বয়সের নারী-পুরুষ সকলেরই কিডনিতে পাথর জমতে পারে, বার বার প্রস্রাবের বেগ, বেদনা কিডনি বরাবর হয়ে নিম্ন কুচকির দিকে, পেটে ও বুকেও প্রসারিত হতে পারে। কুচকি, অণ্ডকোষ প্রভৃতি স্থানে অত্যন্ত যন্ত্রণা হতে পারে। যে কোন ভারী জিনিস তুলতে গেলে বা রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ বেদনা হতে পারে। অণ্ডকোষ উপরের দিকে টেনে ধরার মত অনুভব হতে পারে। কখনো ও হঠাৎ বেদনা ও যন্ত্রণা বা সব সময় বেদনা থাকতে পারে।
🇨🇭 বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। হিক্কা কপালে ঘাম, নাড়ী দ্রুত ক্ষীণ, দেহের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে 103 থেকে 105 ডিগ্রী পর্যন্ত। সর্বদাই প্রস্রাব করার ইচ্ছা থাকে কিন্ত প্রস্রাব বাহির হয় না। প্রস্রাব ফোটা ফোটা বের হয়। তলপেটে ব্যথা হয়, প্রস্রাবে পুঁজ-রক্ত মিশ্রিত থাকতে পারে। রক্ত প্রস্রাব, প্রস্রাব ধোঁয়ার মত দেখায়। দু-তিন নালে প্রসাব হতে পারে। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কোন কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে রোগী বোধ করে পাথর যেন নড়া চড়া করে।
🇨🇭 ছোট বাচ্ছারা প্রস্রাব করতে গিয়ে কান্না করতে পারে। যথা সময়ে চিকিৎসা না নিলে এর জটিলতা কিডনির প্রদাহ, শরীর হাত-পা ফুলে যেতে পারে। মূত্র অবরোধ হয়ে যন্ত্রণায় অস্থির ও অজ্ঞান হতে পারে।
🇨🇭 আপনাকে পানি পানের অভ্যাস রাখতে হবে প্রয়োজন মতো শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। বেদনা উপশমের জন্য হালকা গরম সেক দেওয়া যেতে পারে। হাটাহাটিতে বা ঝাঁকিতে অনেক সময় পাথর নেমে আসতে সাহায্য করে। দুধ, সাগু, বার্লি, দধি সুপথ্য, লেবুর শরবত বিশুদ্ধ পানি, বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণ করা প্রয়োজন।
🇨🇭 করনীয়: রোগ নিয়ে অবহেলা করা যাবে না। চুন- সুপারি খাবেন না। অম্ল, অর্জনকর দ্রব্য, মদ্যপান, মাংস, গুরুপাক খাদ্য বর্জন করবেন। পেইনকিলার দীর্ঘদিন সেবন না করা উত্তম ।
🇨🇭 হোমিও প্রতিবিধান: রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। এই জন্য এক জন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকে রোগীর পুরা লক্ষণ নির্বাচন করে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে পিথ পাথরে রোগীর চাইতে কিডনী পাথর রোগীর চিকিৎসা দেওয়া অল্প সময়ে সম্ভব।
🇨🇭 কিডনি স্টোনের হোমিও চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথিতে কিডনির স্টোনের জন্য অনেক মেডিসিন আছে। তবে ঔষধ গুলো এলোপ্যাথির ন্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রয়োগ করা চলে না। যেমন:
- 🧪 লাইকোপোডিয়াম।
- 🧪 লিথিয়াম কার্ব।
- 🧪 সার্সাপেরিলা।
- 🧪 থ্যালাপসি- বার্সা।
- 🧪 এপিজিয়া।
- 🧪 ক্যানথারিস ও
- 🧪 ক্যালকেরিয়া-সহ,
অনেক মেডিসিন লক্ষণের উপর আসতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক ছাড়া নিজে নিজে মেডিসিন ব্যবহার করলে রোগ আরো জটিল আকার পৌছতে পারে।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার গুণে সার্জারি ছাড়াই বেরিয়ে যাবে কিডনি স্টোন!
কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় অ্যালোপ্যাথিতে তেমন একটা বিকল্প নেই। বরং এক্ষেত্রে সার্জারি করারই পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আপনি চাইলে এই রোগে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করাতেই পারেন। এই কাজটা করলেই শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমেই এই অসুখকে বাগে আনা সম্ভব হবে। আর এই বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করলেন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।
কিডনি স্টোনের মতো একটি জটিল অসুখের ফাঁদে পড়লে যন্ত্রণার চোটে চোখ কপালে ওঠে। এমনকী ব্যথার চোটে হিতাহিত জ্ঞানও হারিয়ে ফেলতে পারেন রোগী। তাই শরীরে এই অসুখের লক্ষণ ফুটে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নইলে যে ঝক্কির শেষ থাকবে না।
🇨🇭 যদিও দুর্ভাগ্যের বিষয় হল, বেশিরভাগ সময় অ্যালোপ্যাথি বা মডার্ন মেডিসিনের চিকিৎসায় এই রোগকে বশে আনতে অপারেশন করানোরই পরামর্শ দেওয়া হয়। আর সার্জারির ভয়েই অনেকে রোগ ফেলে রেখে দেন। আর তাতে বিপদ আরও বাড়ে। তবে জেনে রাখুন, এই ভয়াল রোগের সহজ সমাধান রয়েছে লুকিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাতেই।
🇨🇭 আমাদের শরীরে স্বাভাবিক নিয়মেই ক্যালশিয়াম অক্সালেট, ইউরিক অ্যাসিড সহ একাধিক ক্রিস্টাল সৃষ্টিকারী উপাদান তৈরি হয়। তারপর এইসব উপাদান মূত্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে অনেক সময় বিপাকীয় কারণে এইসব উপাদান দেহে বেশি মাত্রায় তৈরি হয়। আর তখনই তা কিডনির অন্দরে স্টোন হিসাবে জমে। সহজে বললেই এটাই হল কিডনি স্টোন তৈরির মেকানিজম।
🇨🇭 কিডনির স্টোন বের করে দেওয়ার কাজে হোমিওপ্যাথি ওষুধের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষত, কিডনি স্টোন যদি ইউরেটাস বা কিডনির বাইরের দিকে থাকে, তাহলে তা খুব সহজেই বেরিয়ে যায়। তবে স্টোন যদি কিডনির ভিতরের দিকে থাকে, তাহলে একটু ধৈর্য ধরে ওষুধ খেতে হবে। এই কাজটা করলেই ধীরে ধীরে গলে বেরিয়ে যাবে স্টোন। এই কয়েকটি ওষুধ ভীষণ ভালো কাজ করে-
- 🧪 Lycopodium.
- 🧪 Sarsaparilla.
- 🧪 Tabacum.
- 🧪 Medorrhinum.
- 🧪 Thuja.
- 🧪 Morgan Gaertner.
- 🧪 Morgan Pure.
- 🧪 Berberis vulgaris. ইত্যাদি।
🇨🇭 পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করুন:
আমাদের মধ্যে অনেকেই পরিমিত পরিমাণে জলপান করেন না। আর এই কারণেই তাঁদের কিডনিতে পাথর জমা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনাকে সবার প্রথমে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করতে হবে। এক্ষেত্রে দিনে অন্তত পক্ষে 03 লিটার জলপান করা খুবই জরুরি। তবে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে আবার হুট করে জলপান করার পরিমাণ বাড়াবেন না। বরং এই রোগে ভুক্তভোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই মেপে জল খান। তাহলেই সুস্থ থাকবে শরীর।
🇨🇭 কিছু খাবার থেকে দূরত্ব রাখতে হবে:
একবার এই রোগের ফাঁদে পড়লে শর্ষে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মসুর ডাল, রেডমিট, মাছের ডিম সহ একাধিক ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধিকারী খাবারের থেকে কিছুটা হলেও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। নইলে একবার সুস্থ হয়ে ওঠার পর আবারও পড়তে হবে এই রোগের ফাঁদে। তাই হেসেখেলে জীবন কাটাতে চাইলে এই নিয়মটাও মেনে চলা জরুরি।
🛑 Disclaimer: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।