🇨🇭 অস্টিওম্যালেসিয়া শব্দের অর্থ হচ্ছে নরম হাড়। এ সমস্যার মূল কারণ দেহে ভিটামিন-ডি এর অভাব। শরীরের হাড় ঠিকমতো গঠন করতে যেসব খনিজ উপাদান প্রয়োজন যেমন: ক্যালশিয়াম, ফসফরাস যা ভিটামিন-ডি এর অভাবে সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। এছাড়া হাড়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস কম থাকলে হাড় নরম হয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাড় বেঁকে গিয়ে ভেঙে যেতে পারে। অস্টিওম্যালেসিয়া পুরুষের চেয়ে মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এটি শুধু বড়দের হয় তবে শিশুদের এই সমস্যা হলে তাকে রিকেটস বলে। আসুন জেনে নেই রোগটির কারণ, লক্ষন ও প্রতিকার :
🇨🇭 অস্টিওম্যালেসিয়া রোগের কারণঃ আপনার হাড় শক্তিশালী হওয়ার জন্য কিছু খণিজ যেমন ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের প্রয়োজন হয়। যদি শরীরে এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকে তাহলে দেহে অস্টিওম্যালেসিয়া হতে পারে। বিভিন্ন কারণে এটি ঘটতে পারে।
🇨🇭 নিম্নে এসব কারণগুলো বর্ণনা করা হলো:
🇨🇭 পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার গ্রহণ না করা: খাদ্য থেকে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস দেহে শোষিত হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান। যদি কেউ সূর্যালোক বা নির্দিষ্ট কিছু খাবার কিংবা সাপ্লিমেন্ট থেকে এই ভিটামিন না গ্রহণ করে তাহলে তার হাড় দুর্বল হয়ে যায়। ধীরে ধীরে তার হাড়ের স্বাস্থ্য টলে গিয়ে বেঁকে যেতে পারে।
🇨🇭 কোন রোগের কারণে শরীরে ভিটামিন-ডি প্রবেশ না করলে : শরীরে বিভিন্ন অসুখ যেমন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে কিংবা কারও পাকস্থলী বা অন্ত্রে অপারেশন করে কিছু অংশ কেটে ফেলে দিলে শরীরের ভিটামিন ডি গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এছাড়া বাইপাসের রোগী এবং লিভার ও কিডনির কিছু অসুখে যারা ভোগেন তাদেরও এ জাতীয় সমস্যা হয়। কিডনি ঠিকমতো এসিড নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে এটি হতে পারে। কিডনির সমস্যায় শরীরে অতিরিক্ত সময় ধরে ফ্লুইড জমে ধীরে ধীরে হাড়কে নরম করে তোলে।
🇨🇭 কোন ঔষধের কারণেঃ কিছু খিঁচুনি নিরাময়ের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণেও এ ধরণের সমস্যা হতে পারে। এ জাতীয় ওষুধের মধ্যে এন্টিকনভালসেন্ট, সিডেটিব বা ঘুমের ওষুধ এবং রিফামপিসিন সেবন করলে।
🇨🇭 বংশগত কারণেঃ অল্প কিছু ক্ষেত্রে,বংশগত কারণেও অস্টিওম্যালেসিয়া হতে পারে।
🇨🇭 অস্টিওম্যালেসিয়া রোগের কিছু লক্ষণ :
- 🇨🇭 শরীরের হাড়ের মধ্যে অস্বস্থি ভাব হওয়া।
- 🇨🇭 পিঠে ও কোমরে ব্যথা হওয়া।
- 🇨🇭 চেয়ার থেকে উঠতে কষ্ট অনুভব করা।
- 🇨🇭 প্রায় সময় শরীরের মাংসপেশিতে দুর্বলতা অনুভব করা।
- 🇨🇭 উপরের দিকে উঠতে যেমন সিঁডি বেয়ে উপরে উঠতে এবং দুর্বলতা অনুভব করা।
- 🇨🇭 কোনো প্রকার আঘাত ছাড়াই শরীরে হাড় ভেঙে যাওয়া।
- 🇨🇭 অনেক সময় এসব রোগীরা হাঁসের মতো থপ থপ করে হাঁটে।
- 🇨🇭 অনেক সময় রোগীর খিঁচুনি দেখা দিতে পারে
- 🇨🇭 রোগীর অজান্তেই মুখের মাংসপেশি নড়তে থাকা
- 🇨🇭 হাড়ের এক্স-রে করলে তা ক্ষয় ও ভাঙা মনে হওয়া। তবে এ রোগে সাধারণত রোগীর বুকের পাজরের হাড় ,পায়ের ওপরের অংশের হাড় এবং শ্রোণিচক্রের হাড় বেশি আক্রান্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ নারী ও পুরুষের হোমিও চিকিৎসা
🇨🇭 রোগের উপসর্গ হাড় নরম হয়ে গেলে যে উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে :
- 🇨🇭 কোনো আঘাত ছাড়াই শরীরের হাড় ভেঙে যাওয়া
- 🇨🇭 ক্লান্তি অনুভব করা
- 🇨🇭 ব্যথা
- 🇨🇭 অস্থিসন্ধি শক্ত হওয়া
- 🇨🇭 বসা থেকে উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হওয়া কিংবা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কষ্ট হওয়া।
- 🇨🇭 বাহু ও উরুর মাংসপেশি দুর্বল হওয়া।
- 🇨🇭 অস্টিওম্যালেসিয়ার রোগী হাঁসের মতো হেলে দুলে থপ থপ করে হাঁটতে পারে।
🇨🇭 রোগ নির্ণয় :
- 🇨🇭 রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’ মাত্রা পরিমাপ করা
- 🇨🇭 হাড়ের কাঠামো দেখার জন্য এক্স-রে করা
- 🇨🇭 হাড়ে ক্যালসিয়াম ও ফসফেটের পরিমাণ নিরূপণ করার জন্য বোন মিনারেল ডেনসিটি স্ক্যান করা।
🇨🇭 অস্টিওম্যালেসিয়া রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথমত এর কারণ বের করা জরুরী কারণ সে অনুযায়ী রোগীকে চিকিৎসা দিতে হয়। এ রোগটি যেহেতু সাধারণত ভিটামিন-ডি কম গ্রহণ করার জন্য হয়, তাই চিকিৎসার ক্ষেত্রে খাদ্যে ভিটামিন-ডি গ্রহণ করার জন্য বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়ে থাকে। তাই যেসব খাবার ভিটামিন-ডি’ বেশী পরিমাণে রয়েছে সেসব খাবার বেশী খেতে হবে।
🇨🇭চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
🇨🇭 অষ্টিওমালাসিয়ার লক্ষনভিত্তিক কিছু হোমিও ঔষধ এর নাম:
- 🧪Cal phos
- 🧪cal flourica
- 🧪Silicea
- 🧪flouric acid
- 🧪symphytum
- 🧪Merc sol
- 🧪thuja
- 🧪Mag phos
- 🧪phosphorus
- 🧪ruta
- 🧪hekla lava
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]
🇨🇭 WhatsApp নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন ।
ধন্যবাদান্তে , Dr. Masud Hossain