অর্শ বা পাইলস

অর্শ বা পাইলস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🛑 পরিপাকতন্ত্র তীব্র বেদনা দায়ক এবং জটিল রোগগুলোর মধ্যে অর্শ বা পাইলস হলো একটি কিন্তু মলদ্বারে বা পায়ুপথ দিয়ে রক্ত আসলে বা ব্যথা করলেই যে অর্শ বা পাইলস হয়েছে তা মনে করা ঠিক নয় – যেসব রোগের কারনে টয়লেটে রক্ত যায় তার মধ্যে রয়েছে পাইলস, এনালফিশার, পলিপ, ক্যান্সার, ফিস্টুলা, আলসারেটিভ কোলাইটিস, রেকটাল প্রোলোপস ইত্যাদি এবং তার মধ্যে মাত্র ১৮ শতাংশ পাইলস, ২ শতাংশ থ্রমবোসড পাইলস, ৩৫ শতাংশ এনাল ফিশার, ২.২ শতাংশ পাইলস, ফিস্টুলা, এনাল ফিশার একত্রে, ১৫ শতাংশ ফিস্টুলা, ২.৫৫ শতাংশ পায়ুপথ ক্যান্সার, ৩.৫ শতাংশ রেকটাল পলিপ, ২ শতাংশ মলদ্বারে ফোঁড়া, ১.৮৪ শতাংশ অজানা কারণে মলদ্বারে ব্যথা, ৬ শতাংশ ক্রণিক আমাশয় (আইবিএস), ০.৫ শতাংশ অজানা কারণে রক্ত যাওয়া, ০.২৫ শতাংশ অজানা কারণে মলদ্বারে চুলকানি রোগে ভুগে থাকেন ।

সে জন্য অর্শ বা পাইলস নিয়ে জানার আগে পায়খানার সাথে অন্যান্য প্রধান যে সকল অসুখের কারনে পায়খানার রাস্থায় জ্বালা পূড়া, ব্যথা ও রক্ত যেতে পারে সেই সকল অসুখ নিয়ে অল্প কিছুটা জানার দরকার –নতুবা পাইলস হলে মনে করবেন ফেস্টুলা আর ফেস্টুলা হলে মনে করবেন পাইলস রোগে ভুগিতেছেন ইত্যাদি

🛑অর্শ বা পাইলস ( Hemorrhoids )

প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের মলদ্বারের অভ্যন্তরে এর আবরণী (মিউকাস মেমব্রেন অথবা চামড়া) -র নীচে বিভিন্ন ধরণের রক্তনালী ও যোজক কলার (কানেকটিভ টিস্যু) সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি কুশন থাকে যেগুলি পরস্পরের সাথে ঘনিষ্টভাবে সংলগ্ন থেকে মলদ্বারের মধ্য দিয়ে মল ও বায়ুর নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে। নানাবিধ কারণে এই কুশনসমূহ স্ফীত হতে পারে বা ফুলে ঊঠতে পারে এবং এদের ন্থানচ্যুতি হতে পারে। এই স্ফীত ও স্থানচ্যুত রক্তনালীর কুশনগুলিই পাইলস বা অর্শ।

পাইলস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

🛑অ্যানাল ফিসার — Anal Fissures

🚨অ্যানাল অর্থ মল দ্বার আর ফিশার মানে ঘা বা ফেটে যাওয়া – অর্থাৎ মলদ্বারের রাস্থা ফেটে যাওয়া ।

🛑অ্যানাল_ফিস্টুলা বা ভগন্দর ( Anal fistula )

🚨 অ্যানাল অর্থ মল দ্বার আর ফ্যাস্টুলা মানে সঙ্কীর্ণ পথ অথবা সরু নালী = অ্যানাল ফিস্টুলা বা ভগন্দর ।দেখতে মলদ্বারের পাশে ফোঁড়ার মত হয়, ফুলে উঠে, পুজ জমে ফেটে যায় এবং এটা বার বার হয়। এতে মলদ্বারের সাথে মলদ্বারের আশেপাশের ত্বকের মধ্যে নালির মত সৃষ্টি হয় এবং মাঝে মাঝে এই নালি বন্ধ হয়ে পুঁজ হয় এবং তা ফেটে বের হয়ে যায়। একেই অ্যানাল ফিস্টুলা বা ভগন্দর বলা হয়

🚨পেরিএনালএবসেস বা ফোড়া ( P -A Abscess )

🚨 মলদ্বারের আশপাশে এই ফোড়া হয়ে থাকে। ফোড়ার স্থানটি ফুলে যায়, প্রচণ্ড টনটনে ব্যথা ও জ্বালা থাকে বা পুজ রক্ত আসতে দেখা যায় এবং একেই পেরি এনাল এবসেস বা ফোড়া বলা হয় । চিকিৎসা করাতে দেরী করলে ফোঁড়া নিজে নিজে ফেটে যেতে পারে যা পরবর্তীতে ফিস্টুলা বা ভগন্দর এ রূপ নিতে পারে

🚨পেরিএনালহিমাটোমা ( perianal_hematoma )

🚨এই রোগে মলদ্বারের পাশে স্কিনের নিচে রক্তনালী ছিঁড়ে রক্ত জমা হয়। মোটা বড় আকারের শক্ত পায়খানা করার সময় মলদ্বারে অতিরিক্ত চাপ দেয়ার ফলে রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে এই রোগের উৎপত্তি হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তান প্রসবের সময় এ রোগের উৎপত্তি হতে পারে। এই রোগে মলদ্বারের পাশে ব্যথা ও ফোলা থাকে এবং দেখতে লালচে বেগুনি রঙের মতো হয়। যাকে পেরি এনাল হিমাটোমা বলা হয় ।

🛑আলসারেটিভ_কোলাইটিস : ( U_Colitis )

🛑মলদ্বার এবং মলাশয়ের যে কোন ধরণের প্রদাহ অথবা ক্ষত হলে পায়খানার রাস্থা দিয়ে রক্ত আসতে পারে৷

🛑 Cornice ডিজিজঃ ( Crohns_disease )

🚨এই জাতীয় রোগকে অনেকে পুরাতন আমাশয় ও বলে থাকেন। পেটে ব্যথা হওয়া, ঘনঘন মলত্যাগ, জ্বালা, যন্ত্রনা, মলের সাথে রক্ত যাওয়া, পুঁজ যাওয়া, মিউকাস বা আম যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ সহ অন্ত্রে কামড়ানো মোচড়ানোর নানা ধরণের লক্ষণ থাকে ।

পাইলস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

🛑ইরিটেবলবাওয়েলসিন্ড্রম ( আই. বি . এস )

🚨কোলন পলিপ 🙁 Colon_Polyps )

🚨 এক ধরনের টিউমার। মাঝে মাঝে রক্তপাত হয় এবং অনেক সময় মলদ্বার দিয়ে মাংসের মত বেরিয়ে আসে। পায়খানার রাস্তায় আঙ্গুলদিয়ে পরীক্ষা করলে অনেক সময় তা হাতে অনুভব করা যায়। উপরের দিকে থাকলে কোলনস্কপির মাধ্যমে দেখা যায়। ইহা এক বা একাধিক হতে পারে। বাচ্চাদের এই রোগ বেশী হয় তবে যে কোন বয়সেই এই রোগ হতে পারে। এই পলিপ থেকে এই পলিপ থেকে অনেক সময় ক্যন্সার হয়। তাই যতদ্রুত সম্ভব কেটে ফেলাই ভাল।

🚨কলোরেকটাল ক্যান্সার 🙁 Bowel cancer or colorectal cancer)

🚨মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া (সাধারনত মলের সাথে মিশানো ) মল ক্লিয়ার না হওয়া, বার বার মলত্যাগের চেষ্টা করা এবং পরিপূর্ণ তৃপ্তি না আসা,মিউকাস ও রক্ত একসাথে যাওয়া, পেটে ব্যথা, কোমর ব্যথা, পেট ফুলে যাওয়া এবং সেই সাথে পেটে চাকা অনুভব করা মনে করলে কলোরেকটাল ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে- সে জন্য । উপসর্গ অভিজ্ঞ কলোরেকটাল বিশেষজ্ঞের পরামর্ষ ও চিতসা নিলে খুব দ্রুত তার উপযুক্ত ব্যবাস্থা গ্রহন করা সম্ভব

🚨পেরি এনাল ওয়ার্ট ( আঁচিল ) or Anal Warts:

🚨এই রোগে ছোট ছোট অসংখ্য ওয়ার্ড বা আঁচিল মলদ্বারের চার পাশে দেখা যায়। এই রোগ ভাইরাস দ্বারা হয়ে থাকে এবং যৌন সংসর্গের মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। এই রোগী ব্যথায় অস্বস্তি, ঘা এবং মলদ্বারে জ্বালাপোড়ার কথা বলে থাকে। ইত্যাদি !

আরো পড়ুনঃ  হাইপারসালিভেশন এর কার্যকরী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।

🛑পাইলস কি ?

প্রতিটি সুস্থ্য মানুষের মলদ্বারের অভ্যন্তরে এর আবরণী (মিউকাস মেমব্রেন অথবা চামড়া) -র নীচে বিভিন্ন ধরণের রক্তনালী ও যোজক কলার (কানেকটিভ টিস্যু) সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি কুশন বা নরম মাংস পিণ্ড থাকে যেগুলি পরস্পরের সাথে ঘনিষ্টভাবে সংলগ্ন থেকে মলদ্বারের মধ্য দিয়ে মল ও বায়ুর নির্গমনকে নিয়ন্ত্রণ করে। নানাবিধ কারণে এই কুশনসমূহ স্ফীত হতে পারে বা ফুলে ঊঠতে পারে এবং এদের ন্থানচ্যুতি হতে পারে। এই স্ফীত ও স্থানচ্যুত রক্তনালীর কুশনগুলিই পাইলস বা অর্শ। যে সকল কারণে মলদ্বারের নিকটবর্তী শিরা সমূহে রক্ত চলা-চলের গতিরোধ হয়ে রক্ত সঞ্চিতির ফলে স্ফীতি এবং বড় হয় এবং ভেতরে ফুলে ওঠা রক্তের শিরার একটি মাংসপিণ্ড বিশেষ ।

🛑পাইলস সাধারনত দুই রকমের হয়ে থাকে

🛑যেমন : ১- Internal haemorrhoids বা অভ্যন্তরীণ পাইলস
২- External haemorrhoids বা বাহ্যিক পাইলস ।

তবে কোন কোন রোগীর ক্ষেত্রে উভয় ধরনের পাইলসই একসাথে পাওয়া যেতে পারে।
শিরা স্ফীতির ওপর অভ্যন্তরীণ পাইলসের প্রকারভেদ যথা :- ( ১-২ ইঞ্চি ভেতরের দিকে শিরার স্ফীতি হয়ে বলির সৃষ্টি হয় তাও আবার ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। )

প্রথমতঃ মলদ্বারের ভেতর থেকে ব্যথাহীন রক্তপাত হয়। কিন্তু পাইলসের মাংসপিণ্ড মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে না।
দ্বিতীয়তঃ মাংসপিণ্ড মলদ্বারের বাইরে বের হয়ে আসে, তবে মলত্যাগের পর নিজে নিজেই ভেতরের দিকে চলে যায়।
তৃতীয়তঃ মাংসপিণ্ড গুলো বাইরে বের হয়ে আসে এবং হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে না দিলে বাইরেই থেকে যায়।
চতুর্থ : মাংসপিণ্ড গুলো সবসময় বাইরে বের হয়ে থাকে। ভেতরে ঢোকানো যায় না। তখন রক্তজমাট বাঁধা , সংক্রমণ, ক্ষত কিংবা রক্ত চলাচল ব্যাহত হয় বা পচন ধরতে পারে ।

২ . এক্সটারনাল বা বাহ্যিক :
মলদ্বারের বাইরে মাংসপিণ্ড সৃষ্টি হয় এবং হাত দিয়ে তা অনুভব করা যায় বা দেখা ও যায় এবং এতে মলদ্বারের পার্শ্বে সামান্য স্ফীতি বা ফোলা দেখা যায়, সাধারনত ব্যথাহীন তবে ভিতরে রক্ত জমাট বেধে গেলে তীব্র ব্যথা হয়ে থাকে। আশপাশের চামড়ায় এবং মলদ্বারে চুলকানী হয়।
৩ . মিশ্র অর্শ : mix haemorrhoids
এক্ষেত্রে মলদ্বারের ভেতরে এবং বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই অর্শের বলি পাওয়া যায়।

তা ছাড়া আকৃতি অনুযায়ী দেখতে ভিন্ন রকম হতে পারে :
যেমন :-ছোলার মতো,আঙুরের মতো, খেজুর গাছের শিকড়ের মতো, রেশন গাছের গোটার মতো,খেজুরের মতো, ডুমুরের মতো ইত্যাদি ।

🛑পাইলসের কারণ সমুহ:

অর্শে রোগের সঠিক কারণ জানা না গেলেও নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ অর্শ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখেঃ

🧪৬০% রোগীদের পাইলস হয়ে থাকে যে দুটি কারনে, তা হলো – কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া ও আই.বি.এস জাতীয় অসুখে । এ জন্য বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দায়ী করা হয় খাদ্য অভ্যাস কে । যেমন, কম পানি, কম শাকসবজি, বেশি চর্বিযুক্ত খাবার অথবা বেশী প্রাণীজ প্রোটেন জাতীয় খাবার । সেই সাথে জীবনযাপন ও নিয়মিত কিছু অভ্যাস পরিবর্তন ইত্যাদি ।
এ ছাড়া, সময়মতো মলত্যাগ না করা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যতার জন্য পায়খানায় বেশী সময় বসে থাকা ( মনে রাখবেন সময় মত মল ত্যাগ না করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় এবং মলত্যাগের সময় অতিরিক্ত প্রেসার দিতে হয়। ফলে মলদ্বারের চারদিকে রক্তনালী ও মাংসপি- ফুলে গিয়ে পাইলস সৃষ্টি করে। )

  • 🧪অতিরিক্ত মাত্রায় লেকজেটিভ (মল নরমকারক ওষুধ)ব্যবহার করা বা এনেমা (শক্ত মল বের করার জন্য বিশেষ তরল মিশ্রণ ব্যবহার করা) গ্রহণ করা
  • 🧪 সর্বদা বসে কাজ করা, অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া, দীর্ঘদিন রাত জোগে কাজ করা,- মেদ ভুড়ি বেশী হলে , বংশগত কারনে সন্তানেরও এই রোগ হতে পারে।
  • 🧪 লিভার সিরোসিস (such as cirrhosis — end stage liver disease)
  • 🧪 বয়স্কদের বেলা ৭৫% এমনিতেই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহের গঠনকে ধরে রাখার কলার ক্ষয় হতে থাকে যার কারণে মলদ্বারের ভেতরের কুশনটি ঢিলা হয়ে ঝুলে পড়তে থাকে। এমতাবস্থায় শিরাগুলোর স্পিতি হয়ে পাইলস হয়ে থাকে ।
  • 🧪গর্ভবতী অবস্থায় অথবা পেলভিকের আভ্যন্তরীণ মাংসপেশির ত্রুটিগত কারনে হতে পারে ।
পাইলস এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

🛑 Internal haemorrhoids বা অভ্যন্তরীণ পাইলস
এ ক্ষেত্রে টয়লেটে টাটকা লাল রক্ত দেখা যায় এবং এতে কোনোরূপ ব্যথা থাকে না যা মলত্যাগের শেষে রক্ত যায়। রক্ত ফোঁটায় ফোঁটায় যায় আবার কখনো তীরের বেগে যায়। ( তবে অনেক সময় রক্ত যাওয়ার পর যদি বেশি ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হয় তাহলে এনাল ফিশার বা ক্যান্সারের মত মারাত্মক অসুখের সন্দেহ করা হয় ) রক্ত যেতে যেতে রোগী গভীর রক্তশূন্যতায় ভুগতে পারেন।
মলদ্বারের বাইরে পাইলসটি ঝুলে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে মলত্যাগের শেষে পাইলসটি আপনাআপনি ভেতরে ঢুকে যেতে পারে অথবা রোগী হাত দিয়ে চাপ দিয়ে ঢুকিয়ে দিতে হয় ।

🛑 পাইলসে ব্যথা কখন হতে পারে :

🛑মলদ্বার পিচ্ছিল ও ভিজে থাকা, চুলকানী, স্থানচ্যুত পাইল্সসমূহ মলদ্বারের বাহিরে চলে আসে যা পর্যায়ভেদে আপনাতেই ভিতরে চলে যায় বা আঙ্গুল দিয়ে ভিতরে ঠেলে দিতে হয় তখন পাইলসসমূহের ভিতরে রক্ত জমাট বেধে গেলে বা ইনফেকশন হলে বা পচন ধরে গেলেই ব্যথার সৃষ্টি হয় ।

🚨পাইলস মলদ্বারের বাইরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ

মলদ্বারের বাইরে ফুলে যাওয়া যা হাত দিয়ে স্পর্শ ও অনুভব করা যায় ও সেই সাথে পায়খানা করার সময় অত্যধিক বা অল্প পরিমাণে রক্ত যাওয়া সহ মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে।
মাঝে মাঝে মাংশ পিণ্ডতে চুলকায়, দপদপ করে, টাটানী বা কাঁটাবিদ্ধ অনুভূতি এবং জ্বালাকর বেদনা। মলদ্বারে বা পায়খানার রাস্তায় কাটা বা কাটি থাকার অনুভুতি সহ পায়ুপথের মুখে চাকা অনুভব করার কথা বলে থাকেন । পাইলসের বেদনা ও জ্বালা মলত্যাগের কোথ দেয়ার সময় একটু বেশী বাড়ে । এ ছাড়া কারও কারও বেলায় উরুদেশ, বক্ষ, নাভির চারপাশে ব্যথা ও মলদ্বারে ভার বোধ সহ কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে ।

🛑হেমোরয়েড কুশন বা পাইলসের নরম পিণ্ড মুলত স্বাভাবিক মানব শরীরের অংশ ও তাতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা দিলেই কেবল তার পরিবর্তিত বিকৃতি ঘটেই অসুখ টি দেখা দেয় । স্বাভাবিক ভাবে পায়ু পথে প্রধান তিনটি কুশন বা নরম পিণ্ড থাকে থাকে। এগুলি বাম পার্শ্বে, ডানদিকে সম্মুখভাগে ও ডানদিকে পিছনে অবস্থিতএবং ইহা ধমনী বা শিরা দ্বারা গঠিত নয়, তবে সাইনোসয়েডস নামক রক্তনালী, যোজক কলা ও মসৃণ কলা দ্বারা গঠিত যা সাইনোসয়েডের প্রাচীরে শিরা-প্রাচীরের ন্যায় কোনো পেশী কলা নাই । এই রক্ত নালীগুলো হেমোরয়ডাল প্লেক্সাস (হেমোরয়েডের জাল) হিসাবে পরিচিত। ( মোঠা মুঠি ভাবে মনে করতে পারেন নাকের পলিপের মতই )

এই হেমোরয়েড কুশন বা নরম পিণ্ড সমুহ পায়ুপথে গ্যাস বা মল নির্গমনের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ন্ত্রণহীনতা স্বাভাবিক রাখতে খুবী গুরুত্বপূর্ণ । সেই সাথে পায়ু বেষ্টনকারী রিং আকারের মসৃণ পেশী, স্বাভাবিক অবস্থায় যা পায়ু পথকে সংকুচিত রাখে এবং সুরক্ষা করে ।
ধারণা করা হয় যে, এসব রক্তনালী নিচের দিকে নেমে গেলে বা শিরার চাপ খুব বেড়ে গেলে হেমোরয়েডের উপসর্গ দেখা দেয় অথবা অ্যানাল স্ফিঙ্কটার এর বর্ধিত চাপও হেমোরয়েডের উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

🛑ডায়াগনোসিস :

🚨অর্শ পাইলস অসুখ না মলাশয়ের অন্য অসুখ তা সঠিক ভাবে বুজার জন্য অবশ্যই সঠিক পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন : ( কেননা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় অসুখটি পাইলস না হয়ে এনালফিশার, পলিপ অথবা ফিস্টুলা অথবা ক্যানসার জাতীয় অসুখ হয়ে যেতে পারে ! )
সে জন্য চিকিৎসকরা প্রথমেই ডিজিট্যাল রেক্টাম পরীক্ষা করে থাকেন ( আঙ্গুল দিয়ে পায়ুপতের পরীক্ষা )

একি সাথে প্রয়োজন বোধে কলনোস্কোপী (Colonoscopy) অথবা সিগময়ডস্কপি করার কথা বলতে পারেন । যদি পারিবারিক ভাবে কারও বৃহদান্ত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে তা হলে অবশ্যই সিগময়ডস্কপি অথবা প্রকটস্কপি করা উচিৎ ( মলদ্বার, পায়ুপথ ও বৃহদান্ত্রের ভেতরে এ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করতে হয়। প্রকটস্কপি এ যন্ত্র দিয়ে মলদ্বার ও পায়ুপথের নিচের দিক পরীক্ষা করা হয় )

🛑চিকিৎসা
🚨পাইলসের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
🚨 উপশম করতে হোমিওপ্যাথি কম্বাইন্ড ঔষধ উপকারী ।
বর্তমানে কম্বাইন্ড – হোমিওপ্যাথি হিসাবে বেশ ভাল উপকারী ।

Dr. Masud Hossain ☎️01907-583252, 01302-743871

অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!