🇨🇭( আই বি এস – IBS ) হলো মানবদেহের একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা যা পেটে ব্যথা এবডোমিনাল পেইন এবং ঘন ঘন পায়খানায়, টয়লেটে ছুটে যাওয়ার ইচ্ছার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এটি একটি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টেস্টাইন রোগ, ভাওয়েল ডিজিজ।
🇨🇭 অধিকাংশ মানুষের মধ্যে এ রোগটির লক্ষণ অল্প অল্প দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। এটির প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হলো গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল বিশৃঙ্খলা। পেটের নিম্নভাগ হালকা ব্যথা ডিসকম্পোর্ট সহ ঘন ঘন মল স্টুল বের করে দেওয়ার প্রবণতা।
🇨🇭 বিভিন্ন সময়ে মলের পরিমাণও ঘনত্ব বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। কখনও কোষ্টবদ্ধ শক্তমল আবার কখনও উদরাময় নরম মল বা পানির মত তরল মল। অনেক সময় মল বের হওয়ার আগে কিংবা পরে যথেষ্ট পরিমাণ মিউকাস ক্ষরণ হয়ে থাকে। মলদ্বারে অস্বস্থিবোধ।
🇨🇭 এই রোগে পেট অধিকতর স্পর্শকাতর হয় বলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্রিয়াশীল হয়ে থাকে। পাশ্চাত্যে প্রতি 100 জনে অন্তত 10-15 জন এই রোগে ভুগে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে প্রতি 100 জন পুরুষের মধ্যে 20 জন ও প্রতি 100 জন নারীর মধ্যে 27 জন এ রোগে আক্রান্ত।
🇨🇭 ( IBS – আই বি এস ) এর প্রকারভেদ- যে সমস্ত লক্ষণ খুব ঘন ঘন দেখা দেয় তার ভিত্তিতে এ রোগটি নিম্নরূপে শ্রেণিবিভক্ত করা হয়।
🧪 স্প্যাসটিক কোলন: পেটে ব্যথা এবং কোষ্টবদ্ধতা এটির প্রধান বৈশিষ্ট্য। সাধারণত পেটের বামপাশে অস্বস্থি থাকে এবং টয়লেট সেরে নেয়ার পর কিছুটা শান্তি পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় কোষ্টবদ্ধতার পর উদরাময় দেখা যেতে পারে ।
🧪 ফান্কসান্যাল ডায়রিয়া: ঘন ঘন উদরাময় হওয়ার প্রবণতা। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে খুব ভোর বেলায় ঘুম থেকে জেগে উঠার পরপরই পায়খানায় ছুটে যেতে হয়। পাতলা পানির মত মল তরল হতে পারে । এক্ষেত্রে রোগী দীর্ঘ সময় পর্যন্ত টয়লেট রুমে যাতায়াত করে থাকে ।
🧪 ফোরগাট ডিসমোটিলিটি: পেটে প্রচণ্ড গ্যাস হওয়া এবং খাবার গ্রহণের পরে পেটে অস্বস্থিবোধ। প্রায়ই পেট ফেঁপে আকারে বড় হয়ে থাকে এবং ডানপাশে ব্যথা হয়।
🧪 আই বি এস কি কি কারণে হয়ে থাকে: আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও এ রোগ এর প্রাইমারি বা প্রাথমিক কারণ খুঁজে পায়নি। তবে সেকেণ্ডারি অনেক বিষয় এ রোগ জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী বলে গবেষণায় পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় সাধারণ মানুষের জানা থাকা দরকার।
🧪 সেটি হলো মানবদেহের নার্ভ সিগন্যাল ও হরমোন ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টেস্টাইন ও ব্রেইন এর মধ্যে গভীর সংযোগ বিদ্যমান। উক্ত সিগন্যালগুলো বাউয়েল ফানকসান ও লক্ষণ সমূহকে প্রভাবিত করে। মানুষ যখন প্রচণ্ড মানসিক চাপে থাকে তখন নার্ভগুলো অত্যন্ত একটিভ বা কর্মোদীপ্ত হয়ে যায় ফলে ইন্টেস্টাইন বা অন্ত্রসমূহ সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
🧪 এ রোগের উল্লেখযোগ্য সেকেণ্ডারী কারণসমূহ উপস্থাপন করা হলো:
- 🩸 মানসিক চাপ।
- 🩸 বিভিন্ন খাদ্য হজম না হওয়া /এলার্জি।
- 🩸 খাদ্যাভ্যাস হঠাৎ পরিবর্তন করা – অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠাণ্ডা খাবার গ্রহণ।
- 🩸 অনিয়মিত খাদ্য গ্রহণ সঠিক সময়ে খাদ্য গ্রহণ না করা।
- 🩸 দীর্ঘ সময় পেট খালি রাখা এবং গ্যাসে পরিপূর্ণ হওয়া।
- 🩸 পরিমিত ঘুম না হওয়া।
- 🩸 পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
- 🩸 হঠাৎ বড় কোন মানসিক আঘাত বা ভয় বা শোক পাওয়া।
- 🩸নার্ভাস সিস্টেম এর দুর্বলতা।
- 🩸 ভীষণ ক্রোধ এবং উদ্বেগ।
- 🩸 কোলন বা মলাশয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক গাঁজন প্রক্রিয়া।
- 🩸 অতিরিক্ত এলোপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার, যেমন: এন্টিবায়োটিক, এন্টিডিপ্রেসেন্ট বিষন্নতার জন্য সরবিটল ফলজাত চিনি যা দিয়ে সিরাপ জাতীয় ঔষধ তৈরি হয়।
- 🩸 মাসিক ঋতু চলাকালীন হরমোনাল পরিবর্তন হওয়া।
🇨🇭 আই বি এস-এর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ, এ রোগের লক্ষণসমূহ সব মানুষের ক্ষেত্রে একই হয় না । লক্ষণসমূহ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে । কখন হালকা আবার কখনও কঠিন ভাবে প্রকাশ পায় । তবে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে লক্ষণসমূহ খুবই হালকাভাবে প্রকাশিত হয় । নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো যদি তিন মাস সময়ের মধ্যে প্রতি মাসে কমপক্ষে তিন দিন দেখা যায় তাহলে চিকিৎসকগণ আই, বি, এস বলে থাকেন।
🇨🇭 উল্লেখযোগ্য লক্ষণসমূহ:
- 🩸 পেটে ব্যথা হওয়া ও টয়লেট সেরে নেয়ার পর ব্যথা হ্রাস পাওয়া।
- 🩸প্রতিনিয়ত গ্যাস হওয়া এবং পেটের মধ্যে কলকল শব্দ হওয়া।
- 🩸হজমের গোলোযোগ, কোষ্টবদ্ধতা ও পর্যায়ক্রমে উদরাময়।
- 🩸পেটে ফাঁপা, গলায় জ্বালা অনুভব ও বমি বমি ভাব।
- 🩸ঘন ঘন মলদ্বার দিয়ে গ্যাস বের হওয়া কিংবা ঢেকুর তোলা।
- 🩸ঘন ঘন পাতলা মল কিংবা পানির মত তরল উদরাময়।
- 🩸পায়খানায় যাওয়ার বেগ সামলাতে না পারা এবং মলদ্বারে ব্যথা।
- 🩸কোষ্টবদ্ধ অবস্থায় মলের বেগ না আসা কিংবা খুবই শক্তমল কষ্টে অল্প অল্প বের হওয়া।
- 🩸ক্ষুধা মন্দ হওয়া বা মোটেই না থাকা। আবার কখনও অতিরিক্ত ক্ষুধা থাকা।
- 🩸প্রতিবার মলত্যাগের আগে বা পরে এবং মলের সঙ্গে মিউকাস ক্ষরণ।
- 🩸ওজন হ্রাস পাওয়া।
- 🩸 মানসিক বিশৃঙ্খলা, যেমন: খিটখিটে মেজাজ, উত্তেজনা, অবসাদ ও উদ্বিগ্নতা।
- 🩸কখনও কখনও যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া।
- 🩸প্রচণ্ড শারীরিক দুর্বলতা, মস্তিষ্ক ক্লান্তি ও কাজের প্রতি অমনোযোগিতা।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি এমন একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা যা কখনও রোগের চিকিৎসা করে না, শুধুমাত্র রোগীর চিকিৎসা করে থাকে। দৈহিক ও মানসিক অবস্থায় ফিরে যায় এবং সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করে। হোমিওপ্যাথি মানবদেহে সুষ্ঠুভাবে মেটাবলিজম বা রাসায়নিক পরিবর্তন ক্রিয়া সুসম্পন্ন করে ফলে ডিজেনারেটিভ
জটিলতা বাধা প্রাপ্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ ভয়ংকর যৌন বাহিত রোগ এইডস ( AIDS ) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি- রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, অভিজ্ঞ চিকিৎসক যে সব মেডিসিন প্রাথমিক ভাবে ব্যবহার করে থাকে:
- 🧪 মার্ক সল ।
- 🧪 মার্ক কর ।
- 🧪 আর্জেন্ট নাইট ।
- 🧪 এসেফোয়েটিডা ।
- 🧪 কলোসিন্থ ।
- 🧪 লিলিয়াম টাইগ্রিনাম ।
- 🧪 লাইকোপোডিয়ম ।
- 🧪 নেট্রাম কার্ব ।
- 🧪 নাক্সভম ।
- 🧪 পডোফাইলাম ।
- 🧪 সালফার ।
- 🧪 এলোসকোট্রিনা ।
- 🧪 পালসেটিলা ।
- 🧪 ফসফরাস ।
- 🧪 সাইলেসিয়া ।
- 🧪 থুজা সহ আরো অনেক ঔষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে।
🇨🇭 আইবিএস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম পেটের একটি পরিচিত ও বিরক্তিকর সমস্যা। আমাদের আশপাশে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত দীর্ঘদিন কষ্ট পান, কোনো সুফল না পেয়ে একজনের পর একজন চিকিৎসক পরিবর্তন করতে থাকেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়। আসলে রোগটির গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা থাকলে একে মোকাবিলা করা সহজ হয়। নয়তো অধৈর্য হওয়াটা স্বাভাবিক।
🇨🇭 IBS-আইবিএস, আসলে কী?
IBS আমাদের পরিপাকতন্ত্রের একটি ফাংশনাল বা কার্যগত সমস্যা। এখানে পরিপাকতন্ত্রের কোনো গঠনগত পরিবর্তন বা সমস্যা হয় না।
🇨🇭 এই সমস্যা সাধারণত যুব বয়সেই শুরু হয়ে থাকে। নারীরাই বেশি ভুগে থাকেন। যাঁরা সব সময় উদ্বিগ্ন বা মানসিক চাপে থাকেন, তাঁরা এতে বেশি ভোগেন।
🇨🇭 এখন পর্যন্ত আইবিএসের সঠিক কারণ ভালোভাবে জানা যায়নি। তবে কিছু থিওরি রয়েছে। পরিপাকনালির পেশির অস্বাভাবিক সংকোচন, প্রসারণ, স্নায়ুর সংকেতজনিত সমস্যা, উদ্বেগ ও মানসিক চাপ, পরিপাকতন্ত্রের সহজাত ও উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিবর্তন ইত্যাদি, কারণ শনাক্ত করা হয়েছে এর পেছনে।
🇨🇭 কীভাবে বুঝবেন আপনার IBS – আইবিএস আছে?
IBS- রোগের কারণে মূলত দুই ধরনের সমস্যা হয়। একটি হলো পেটে ব্যথা অনুভব করা, অন্যটি হলো মল ত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন। পেটের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের পর চলে যায় বা কমে যায়। এতে ওজনহ্রাস, জ্বর, রক্তশূন্যতা বা মলের সঙ্গে রক্তপাত ইত্যাদি দেখা যায় না। তবে সমস্যাটি খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে জড়িত। কিছু খাবার খেলে এই সমস্যা বেড়ে যায়। এটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম, কিন্তু দুধ ও দুধজাতীয় খাবার এবং শাকসবজি ও সালাদের মতো খাবারে সাধারণত বেশি বাড়ে। তবে ভালো বিষয় হলো যে এটা মারাত্মক কোনো রোগ নয়। এ থেকে বড় কোনো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
🇨🇭 কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যায় পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞরা IBS- আইবিএস, নির্ণয় করতে কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ বা রোম ক্রাইটেরিয়া ব্যবহার করে থাকেন। এই রোগ দুই রকম হতে পারে, যেমন: আইবিএস-ডি, যেখানে পেটে ব্যথার সঙ্গে পাতলা বা নরম পায়খানা হয় এবং আইবিএস- সি, যেখানে পেটে ব্যথার সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। কারও কারও দুটিই থাকতে পারে। রোগের লক্ষণ ও ইতিহাস শুনে রোগ শনাক্ত করা হয়, তবে এর সঙ্গে অনেক সময় কিছু পরীক্ষা,নিরীক্ষা করে-নিশ্চিত করতে হয় যে অন্য কোনো পরিপাকজনিত রোগ বা জটিলতা নেই। বেশির ভাগ পরীক্ষারই রিপোর্ট স্বাভাবিক পাওয়া যায়।
🇨🇭 পরিত্রাণের উপায় কী
দু:খজনক হলেও এটা সত্যি যে এই সমস্যার পুরোপুরি কোনো সমাধান নেই। তবে একে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, শাক ইত্যাদি যেসব- খাবারে সমস্যা বাড়ে, সেসব- খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। রোজকার খাদ্যপঞ্জি মেনে চলার অভ্যাস থাকলে রোগী সহজেই বুঝতে পারবেন কবে কোন খাবারে তাঁর সমস্যা হয়েছিল। এ ছাড়া মানসিক চাপ কমাতে হবে। প্রয়োজন হলে উপসর্গ বুঝে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিছু ওষুধ দিতে পারেন। তবে IBS- আইবিএসে’র নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই আপনার নিজের হাতে। স্বাস্থ্যকর ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করলে ভালো থাকবেন।
🇨🇭 IBS- আইবিএস, থাকলে কি শাকসবজি খাওয়া নিষেধ?
🇨🇭 IBS- আইবিএস , নিয়ে ভালো থাকার উপায়:
✅ যেসব খাবারে পেটের সমস্যা বাড়ে, সেসব- এড়িয়ে চলুন। দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, শাক, অতিরিক্ত তেলে ভাজা বা ডিপ ফ্রাই খাবার, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, বেকারি, কৃত্রিম চিনি, ক্যাফেইন ইত্যাদি এড়িয়ে চলা ভালো।
✅ নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটির চেষ্টা করুন। এতে পেটের গ্যাস বা ফাঁপা ভাব কমবে।
✅ একসঙ্গে অনেক না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে ভাগ করে খান। খাবারের টাইমটেবিল বজায় রাখুন।
✅ মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাতে ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, মেডিটেশন করতে পারেন। দরকার হলে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।
🇨🇭 IBS- চিকিৎসায় হোমিও:
কথায় বলে পেট ঠিকতো দুনিয়া ঠিক, যার পেট আছে তার সমস্যাও আছে, যার পেটে সমস্যা তার শরীরে সমস্যা লেগেই থাকবে। চোখের সামনে সুন্দর সুন্দর সু-স্বাধু খাবার থাকলেও পেটের সমস্যার কারণে জিহবা সামলে নিতে হয়। আর মনের ভিতরের আপসোস চাপা রেখে না খেয়ে হাত ধৌত করে উঠতে হয়। পেটের সমস্যাগ্রস্থ রোগীর ভোগান্তির অন্ত নেই। আই.বি.এস অনেকের নিকট একটি আতংকের নাম।
🇨🇭 আই.বি.এস ( ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম )-এর রোগীরা দীর্ঘ মেয়াদী পেটের সমস্যা, অর্থাৎ বদহজম, আমাশা চির জীবনের সঙ্গী হয়ে যায়। পেটে হঠাৎ করে কামড় দেবে এবং সাথে সাথে টয়লেটে যেতে হবে।
🇨🇭 এমনও ব্যক্তি আছে যার দিনে চার-পাঁচ বার টয়লেটে যেতে হয়। ভোর বেলা একবার, ঘুম থেকে উঠার পর একবার, সকালে নাস্তা খাওয়ার পর একবার, বিকেলে ও রাতে একবার করে, অনেক সময় খাবার খাওয়ার পরপরই টয়লেটে যেতে হয়। সারা দিন পেট ডাকে ও পেটের মধ্যে ভুটভাট করে। পেটের অশান্তি বড়ই অশান্তি। যার সমস্যা হয় সে জানে পেটের জ্বালা কি জ্বালা।
🇨🇭 ইরেটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম ( IBS ): এই রোগ নির্ণয়ের জন্য সাধারণত কোনো পরিক্ষার প্রয়োজন হয় না। রোগী যে সমস্যা বা রোগের বর্ণনা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাতেই রোগ নির্ণয় হয়ে যায়। রোগীর মুখের কথায় যাবতীয় লক্ষণ পাওয়া যায়।
🇨🇭 IBS- আইবিএসে’র উপসর্গ:
🩸বদ হজম, পেটের মধ্যে ভুটভাট শব্দ করে, পেটের মধ্যে কোক কোক করে ডাকা বা আহারের পর পেটের অশান্তি বৃদ্ধি, পায়খানার সাথে বিজল যায়, পেটে কামড় দিয়ে ব্যথা করে, পায়খানা সারার পরও মনে হয় যেন এখনো ভিতরে কি যেন আটকে আছে। পায়খানা করার পর কিছু সময়ের জন্য আরাম অনুভব হবে। মাঝে মধ্যে পায়খানা নরম হবে, আবার কিছু দিন কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা এই রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। IBS-আই.বিএসে’র- রোগীরা অনেকে নিজেদের সমস্যা নিজেরা চিহ্নত করতে পারে। কোন খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে এবং কোনটাতে কমে তা রোগীরা অনুভাব করতে পারে।
🇨🇭 IBS – আইবিএসের রোগীদের নিষেধ: আমরা চর্বি যুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার, আশযুক্ত খাবার, যব, গম, গমের তৈরি খাবার না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি, শাকসবজি, ফল, সালাদ ইত্যাদি নিষেধ। হোটেলের খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বন্ধ তবে ছানা খাওয়া যাবে। অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার ও গুরুপাক বর্জন করতে হবে।
🇨🇭 IBS – আইবিএসের রোগীদের পরামর্শ: নরম ভাত, হালকা ঝোলের তরকারি, কাঁচা-পাঁকা পেঁপে, কাঁচা-পাকা বেল খাবেন, গরম-গরম-টাটকা খাবার খেতে হবে। বাসি পঁচা খাবার খাওয়া যাবে না।
IBS – ইরেটেবল বাওয়েল সিমন্ড্রোম: হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতি লক্ষণ ভিওিক সদৃস বিধান। এর এই রোগের হোমিওপ্যাথি মেডিকেল শাস্ত্রে অনেক পদের ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক ব্যতিত আইবিএস রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া অনেক কঠিন।
🇨🇭 চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা হোমিও ডাক্তার।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।