⭕ সাধারণত 10-11, বছর বয়স থেকে মেয়েদের মাসিক ঋতুস্রাব শুরু হয় এবং প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত এটা চলে ( কিছুটা আগে পরে হয় )।
⭕ সাধারণ হিসেবে মাসে একবার 03 থেকে 07 দিন, গড়ে পাঁচ দিনের জন্য ঋতুস্রাব বা মেনসট্রুয়েশন বা মাসিক হয়।
⭕ এসময় 30 থেকে 80 এমএল পর্যন্ত রক্ত যেতে পারে ( একটু কম বেশি হতে পারে )।
⭕ অনেক সময়ই দেখা যায় বিভিন্ন বয়সে মাসিকের বেশ কিছু অনিয়ম হয়। যেমন: মাসিক না হওয়া, দেরিতে হওয়া, কম রক্ত যাওয়া, বেশি রক্ত যাওয়া, বেশি সময় ধরে বা কম সময় ধরে মাসিক হওয়া, রক্তপাত বন্ধই না হওয়া, মাসে একাধিকবার বা কয়েকমাসে একবার মাসিক হওয়া, মাসিকের সাথে অনেক বেশি ব্যথা ইত্যাদি। বিভিন্ন কারণে এসব সমস্যা হতে পারে।
⭕ মাসিকের বিভিন্ন অনিয়মের সাথে রক্তের কিছু রোগেরও সম্পর্ক আছে! যাদের মাসিকে অধিক রক্ত যায় কিংবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দিন ধরে রক্ত যায় বা একমাসেই একাধিকবার মাসিক হয় তাদের অনেক সময়ই রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া দেখা দেয়। কিশোরি মধ্যবয়স্ক বা মেনোপজের কাছাকাছি বয়সের অনেক মহিলাই মাসিকের সমস্যার কারণে রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। দিনের পর দিন মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর এই রক্তস্বল্পতা জনীত ক্লান্তি, দূর্বলতা, অবসাদ, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, খিটখিটে মেজাজ নিয়ে এভাবেই জীবন যাপন করতে থাকেন অনেকেই।
⭕ অধিক মাসিক জনীত রক্তপাতের কারণে যেমন: রক্তস্বল্পতা হয় তেমনি রক্তের কিছু রোগের কারণে মাসিকে অধিক রক্তপাত হতে পারে। যেমন: কোন কারণে রক্তের প্লেটলেট বা অনুচক্রিকা কমে গেলে মাসিকে অধিক রক্তপাত হতে পারে। আইটিপি ( ITP ), এপ্লাস্টিক এনিমিয়া, লিউকেমিয়া, SLE ( এসএলই ), বিভিন্ন ধরনের বাত, লিভারের সমস্যা, ভাইরাস ইনফেকশন ( ডেংগু ) সহ বিভিন্ন কারণে রক্তের প্লেটলেট কমে যেতে পারে।
⭕ অনেক সময় প্লেটলেট পরিমানে ঠিক থাকলেও প্লেটলেট ঠিকমত কাজ করেনা। বেশ কিছু রোগ এবং ওষুধের কারণে এমন হতে পারে। এ অবস্থায় মাসিকে অধিক রক্তপাত হতে পারে।
⭕ রক্তের ভন উইলিব্র্যান্ড ডিসিস ( VWD ) সহ বিভিন্ন রোগে রক্ত জমাট বাঁধার বিভিন্ন ফ্যাক্টর কমে গেলে বা ঠিকমত কাজ করতে না পারলে মাসিকে অধিক রক্তপাত হতে পারে।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
⭕ মাসিকে অধিক রক্তপাতের সাথে শরীরে লাল নীল কাল দাগ, মাড়িতে বা প্রস্রাব পায়খানায় রক্ত যাওয়া, জয়েন্ট ফোলা, মুখের ভিতরে ঘা, রোদে গেলে মুখের চামড়া জ্বলা, অনেক বেশি চুল পড়ে যাওয়া, জ্বর, অনেক বেশি শরীর বা জয়েন্ট ব্যথা, চোখ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিস, গলায় কোমরে বগলে ছোট বলের মত ফোলা বা পেট ফুলে যাওয়া কিংবা একাধিক গর্ভপাত এ ধরণের যে কোন সমস্যা হতে পারে লুকিয়ে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কোন রোগের লক্ষণ।
⭕ আর এমনিতেই মাসিকের অধিক রক্তপাতের সাথে দূর্বলতা, বুক ধড়ফর, মাথা ঘোরা, শক্তি না পাওয়া ও ক্লান্তি, কাজ করতে ইচ্ছে না হওয়া, খিটখিটে আর মনমরা ভাব নির্দেশ করে সম্ভবত রক্তস্বল্পতা হয়েই গিয়েছে।
⭕ অনেকেই মাসিকে অধিক রক্তপাতকে স্বাভাবিক মনে করেন। এটা নিয়েই খুব কষ্ট করে জীবন কাটান। অথচ খুব সাধারণ কিছু চিকিৎসাই এই অধিক রক্তপাত ও রক্তস্বল্পতার কষ্ট থেকে আমাদের নারী সমাজকে রক্ষা করতে পারে ইনশা আল্লহ। এ জাতীয় যে কোন সমস্যায় নীরবে কষ্ট না পেয়ে একজন সম্মানিত হোমিও চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ করুন।
⭕ অধিক মাসিক জনীত রক্তস্বল্পতায় রোগীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। কিন্তু দু:খজনকভাবে এসব রোগীর অনেকেই শরীরে অপ্রয়োজনীয়ভাবে রক্ত নিচ্ছেন যা বিশাল ক্ষতির কারণ হতে পারে।
⭕ সম্মানিত হোমিও চিকিৎসকগণকে অনুরোধ করব এই ধরণের সমস্যার পেছনে কোন রক্তরোগ লুকিয়ে আছে কিনা সেটা খেয়াল রাখা দরকার। প্রয়োজনে সম্মানিত রক্তরোগ বিশেষজ্ঞগণের মতামত নিন।
⭕ আমাদের কন্যা, স্ত্রী, বোনেরা, মায়েরা ভাল থাকুক।
❤ মহান আল্লহ আমাদের পরিবারগুলোকে ভাল রাখুন।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
⭕ তলপেটের ব্যথা / ডিসমেনোরিয়া কেন হয়?
⭕ এক মা তাঁর 15/16 বছরের মেয়েকে নিয়ে আমার চেম্বারে এলেন। দেখলাম মেয়েটি একটু কুঁজো হয়ে আছে। চোখে-মুখে কষ্টের ছাপ। জানতে চাইলাম কী হয়েছে? সে জানাল, মাসিকের সময় তলপেটে তীব্র ব্যথা হয়।
⭕ মনে হয় যেন কেউ তার তলপেটে ছুরি দিয়ে স্ট্যাব করছে।
জি হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। এমনি হয়, মাসে মাসে।
⭕ নির্দিষ্ট কিছু দিনে সোজা বাংলায় মাসিকের সময়।
মাসিকের সময়ের ব্যথা-কে ( ডিসমেনোরিয়া ) বলে।
⭕ ডিসমেনোরিয়া- 2 প্রকারের হয়:
- প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া।
- সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া।
⭕ প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া : সাধারণত 25 বছরের আগে হয়। মাসিকের সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা সাধারণত 24 ঘণ্টা থাকে। ব্যথার তীব্রতা এতই থাকে যে ব্যথার চোটে বমি হয়ে যায়। মেয়েগুলো ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে যায়। তারা স্কুল মিস করে। কর্মজীবী নারীরা কাজে যেতে পারেন না। ব্যথা এতই থাকে যে পেইনকিলার নিতে হয়।
⭕ সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া: সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়ার সাধারণত কারণ থাকে। কী সেই কারণ? পেলভিক অর্গানিক সব কারণ।
🇨🇭 যেমন:
🩸 জরায়ুজ টিউমারের মধ্যে ফাইব্রয়েড, পলিপ।
🩸 জরায়ুজ রোগের মধ্যে এন্ডোমেট্রিওসিস, এডেনোমায়োসিস।
🩸 জরায়ুর ইনফেকশন অন্যতম।
🇨🇭 ব্যথা সাধারণত রোগের কারণে হয়। যে যে রোগ ব্যথা সে অনুযায়ী।
🩸 এন্ডোমেট্রিওসিস: ব্যথা শুরু হয় মাসিক শুরুর দুই-তিন দিন আগে থেকে। ম্যক্সিমাম ব্যথা মাসিকের শেষের দিকে হয়। দুই মাসিকের মাঝেও ব্যথা থাকে। সহবাসেও ব্যথা হয়। বন্ধ্যত্বও থাকতে পারে।
🩸 এডেনোমায়োসিস: ব্যথা ও ব্লিডিং প্রগ্রেসিভ ইন নেচার। মানে এই মাসে যতটুকু ব্যথা হবে, ব্লিডিং হবে পরের মাসে তার চেয়েও বেশি।
🩸 পিআইডি: ব্যথা শুরু মাসিকের আগে থেকেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে, ব্লিডিং শুরু হলে ব্যথা কমে যায়।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
🩸 কেন ব্যথা হয়? প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ার সাধারণত কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। জরায়ুর মাংসপেশির তিনটা জোন থাকে। সবচেয়ে ভেতরের জোন এন্ডোমেট্রিয়াম, যেখান থেকে ব্লিডিং হয়, তারপরের জোন মায়োমেট্রিয়াম, তারপরের জোন পেরিমেট্রিয়াম। ধরে নেওয়া হয়, এই ব্যথাটা এন্ডোমায়োমেট্রিয়াল জোনের ডিসফাংশনের জন্য হয়।
🇨🇭 সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়ায় পেইনের কারণ অনেক। যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে সব কন্ডিশনেই তলপেটের পরিবেশ নষ্ট হয়।
🇨🇭 এডহেশন মানে সব কিছু একে অপরের সঙ্গে লেগে থাকে, ব্যথা হয়। আরো অনেক মেকানিজম থাকে।
✅ রোগ নির্ণয়: ডায়াগনোসিস করার অনেক উপায় আছে। সে জন্য ডাক্তারের কাছে, বিশেষ করে গাইনি বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে।
⭕ চিকিৎসা: প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া সাধারণত সাপোর্টিভ চিকিৎসায় সেরে যায়। পর্যাপ্ত কাউন্সেলিং লাগে। তবে সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়ায় চিকিৎসা লাগে। ডিসমেনোরিয়াকে অবহেলা না করে চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।
⭕ যেভাবে বুঝবেন- মেনোরেজিয়ায় ভুগছেন!
⭕ মেয়েদের কাছে খুবই পরিচিত একটি সমস্যা মেনোরেজিয়া। অনেকেই এই রোগের নাম হয়তো জানেন না, কিন্তু এ সমস্যায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরেই। অনেকে আবার এই বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা পান, আর ডাক্তারের কাছে এ ধরনের রোগ নিয়ে যাওয়ার অনীহা তো আছেই। মাসিক চলাকালে স্বাভাবিকের চাইতে বেশি রক্তপাত হলে তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় মেনোরেজিয়া বা অতি রক্তস্রাব বলা হয়। 20-40 বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়।
⭕ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট বলছে, 30 থেকে 35 বছর বয়সী প্রায় 1 কোটি 80 লাখ নারী মনে করেন মাসিক কালীন সময়ে তারা অতি রক্তস্রাবজনিত সমস্যার ভোগেন। পাশাপাশি এ সময় প্রচলিত সামাজিক কুসংস্কারে নারীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা। শতকরা 95 ভাগ নারীই তাদের মাসিককালে নানাবিধ কুসংস্কারের শিকার হন। বিশেষত, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করাকে কেন্দ্র করে। ফলে সামাজিক কুসংস্কার নারীর মেনোরেজিয়ায় হওয়া শারীরিক ক্ষয়কে আরও বাড়িয়ে তোলে। বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ দেশের 10 থেকে 49 বছর বয়সী প্রতি তিনজনের একজন নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পায় না।
⭕ বিভিন্ন কারণে মেনোরোজিয়া নামের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। হরমোন জনিত সমস্যা, জরায়ুতে টিউমার বা ক্যানসার, রক্তে কোনো সমস্যা, জরায়ু বা ডিম্বনালিতে জীবাণু সংক্রমণ, জননাঙ্গে সিস্ট থাকা, ওভারিয়ান ক্যানসার, কিডনির অসুখ বা যকৃতের অসুখ, মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তাসহ নানা কারণে এই রোগের সূত্রপাত হতে পারে। তবে মজার বিষয় অনেকেই হয়তো সচেতনতার অভাবে জানেনই না, যে রোগে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন বা যে কষ্ট তারা অনেকদিন ধরে করে আসছে, সেটির আসলে চিকিৎসা রয়েছে।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
⭕ প্রশ্ন হলো, ঠিক কতখানি রক্ত গেলে তাকে – অতি রক্তস্রাব’ বলবেন?
⭕ একজন নারীর সাধারণত প্রতিটি ঋতুচক্রে গড়ে 30-40 মিলিলিটার রক্ত বেরোয়। কিন্তু যখন 80 মিলিলিটার বা তার থেকে বেশি রক্তপাত হয় তখনই ভারী রক্তক্ষরণ-সহ অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বা ‘হেভি মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিং’ বলা হয়। তবে মিলিলিটার দিয়ে মাপ বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। যখন প্রতি দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পর পর ন্যাপকিন বদলাতে হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা অতি ঋতুস্রাব। এ ক্ষেত্রে ঋতুকালীন অবস্থা চারদিনের বেশি, আবার কখনো সাতদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এছাড়াও এই সমস্যার কিছু নিয়মিত লক্ষণ দেখা যায়, যেমন:
- 🩸 প্রতি ঘণ্টায় একটি বা তার বেশি স্যানিটারি প্যাড লাগলে। ডাবল প্যাড ব্যবহার করতে হলে।
- 🩸 ব্লাড ক্লটের পরিমাণ বেশি দেখা গেলে ( জমাট বাঁধা/রক্তের চাকা )।
- 🩸 এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে।
- 🩸 অতিরিক্ত রক্তপাত যা আপনার প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজ কর্মকে বাঁধাগ্রস্ত করে।
- 🩸 অতিরিক্ত ক্লান্ত বা দুর্বল লাগা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা এমন কী শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত শুরু হতে পারে।
🇨🇭 সচেতনতা, যথাযথ জ্ঞান, চিকিৎসা ইত্যাদির অভাবে মেনোরেজিয়ার প্রভাবে একজন নারীর দীর্ঘকালীন বিভিন্ন যন্ত্রণাদায়ক শারীরিক অবস্থার সম্মুখীন হন। এর ফলে শরীরে ব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, মাথা ঘোরা, চোখে ঝাপসা দেখা, হরমোনের তারতম্য জনিত অস্বস্তি, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যার উদ্ভব ঘটে। শুধু তাই নয়, একই সাথে অবনতি ঘটে মানসিক স্বাস্থ্যেরও। মেনোরেজিয়াজনিত সমস্যায় ভোগা একজন নারী প্রায় সবসময় বিষণ্ণতায় ভোগেন যার প্রভাব পড়ে তার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে। অন্যদিকে অধিক রক্তপাতে অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে শতকরা প্রায় 42 ভাগ মেয়ে বা নারী আয়রন বা রক্তে লৌহ-স্বল্পতায় ভুগছেন। অর্থাৎ প্রতি 10 জন মেয়ের মধ্যে চারজন অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতার শিকার, যা পরে আরও জটিল সমস্যার জন্ম দিতে পারে। এমনকি মাতৃমৃত্যুর কারণও হতে পারে।
🩸 মাসিক ঋতুস্রাব মেয়েদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণও বটে। মাসিক নিয়মিত ও সঠিকভাবে হওয়ার অর্থ হচ্ছে সে নারী সন্তান ধারণে সক্ষম। মেয়েদের এবং মায়েদের মধ্যে অনেক ভুল ধারনা মাসিক নিয়ে বিদ্যমান। এক সময়ে মাসিককে অপবিত্র ও নোংরা বলে মনে করা হত। একসময় বেশি মাসিক হলে নোংরা রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করা হত। কিন্তু এই ধারণা ভুল। এরকম হলে বরং রক্তাল্পতা হয়ে নানা সমস্যা হয়। তাই এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কারণ বের করে চিকিৎসা নিতে হবে। সবাই সচেতন হলে এই সমস্যা অনেক কমে আসবে।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
🇨🇭 সিডিসি বা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজন নারীর মধ্যে একজনের পিরিয়ডে ( ঋতুস্রাব ) অস্বাভাবিক ভারী রক্তপাত হয়। ভারী রক্তপাত স্বাভাবিক, কিন্তু তা মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেই সতর্কতা জরুরি। কারণ, পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ মেনোরেজিয়ারও লক্ষণ।
🇨🇭 কেউ মেনোরেজিয়ায়- ( Menorrhagia ) আক্রান্ত কি না, তা জানার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, পিরিয়ডের সময় আপনার প্যাড বা স্যানিটারি ন্যাপকিনটি কতবার পরিবর্তন করতে হবে তা নোট করা। যদি প্রতি এক বা দুই ঘণ্টায় একাধিকবার প্যাড পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় বা পিরিয়ড 01 সপ্তাহের চেয়ে বেশি সময় ধরে থাকে, তবে হয়তো আপনি মেনোরিয়াজিয়ায় ভুগছেন। এর অসংখ্য কারণ আছে, একই সঙ্গে প্রতিকারও রয়েছে।
🇨🇭 বয়:সন্ধিকাল বা কৈশোরে এবং মেনোপজ শুরু হওয়ার কয়েক বছর আগে পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার সময় নারীদের শরীরে হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করে। এই ওঠানামা প্রায়ই জরায়ুতে অতিরিক্ত রক্তপাতের প্রবণতা তৈরি করে। জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি এবং হরমোন চিকিৎসার সাহায্যে এটি প্রতিরোধ করা যায়।
🇨🇭 30 বা 40 বছরের নারীদের জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা ক্যানসারবিহীন টিউমার হলেও মেনোজেরিয়া হতে পারে। এই টিউমারগুলো মূলত এস্ট্রোজেন নির্ভর। এর চিকিৎসা হিসেবে মায়োমেকটমি, এন্ডোমেট্রিয়াল অ্যাবলেশন, জরায়ু ধমনির এম্বোলাইজেশন, জরায়ু বেলুন থেরাপি এবং হিস্টেরেক্টোমি। এই অস্ত্রোপচারের চিকিৎসাগুলো এখন বেশ সহজলভ্য। অস্ত্রোপচার করতে না চাইলে জিএনআরএইচ অ্যাগ্রোনিস্টস এবং মুখে গ্রহণ করার বড়ি সেবনও কাজে আসে। তবে মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরে জরায়ুর ফাইব্রয়েড টিউমারগুলো সাধারণত চিকিত্সা ছাড়াই সংকুচিত এবং অদৃশ্য হয়ে যায়।
🇨🇭 কোনো সংক্রমণ, জরায়ুতে অবস্থিত রক্তনালিতে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বেড়ে সার্ভিক্যাল পলিপ হলেও বাড়তে পারে রক্তক্ষরণ। Homeopathic- এ এর চিকিৎসা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ মধ্যবয়সী নারীদের শরীরে যৌন অর্গাজম বেশি!
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
🇨🇭 এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপসের প্রসারণ: এন্ডোমেট্রিয়াল পলিপগুলো সাধারণত ক্যানসারের ঝুঁকি ছাড়াই তৈরি হয়। এর অবস্থান জরায়ুর আস্তরণে। কেন হয়, তার কারণ অস্পষ্ট। তবে homeopathic চিকিৎসাপদ্ধতির সাহায্যে এর চিকিৎসা সম্ভব।
🇨🇭 শ্রোণী প্রদাহজনিত রোগ বা PID: পিআইডি হলো এক বা একাধিক অঙ্গের সংক্রমণ, যা ফ্যালোপিয়ান টিউব ও জরায়ুকে প্রভাবিত করে। মূলত যৌন সংক্রমণ হলেও কখনো কখনো প্রসব, গর্ভপাত বা অন্যান্য স্ত্রীরোগের কারণে এর জন্ম। Homeopathic-এ এর চিকিৎসা করা যায়।
🇨🇭 জরায়ুর ক্যানসার জরায়ুর ক্যানসার এমন একধরনের ক্যানসার হয়, যখন জরায়ুর কোষগুলো অস্বাভাবিক হয়ে যায়, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং শরীরের স্বাস্থ্যকর অংশগুলোর ক্ষতি করে। সমস্ত জরায়ু ক্যানসারের নব্বই শতাংশের বেশি কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা – ( HPV- এইচপিভি )।
🇨🇭 এন্ডোমেট্রিয়াল বা জরায়ুর আস্তরণের ক্যানসার জরায়ুতে অবস্থিত কিছু কোষ মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে জরায়ুর আস্তরণ এবং অন্য অঙ্গগুলোর ক্ষতিসাধন শুরু করে, যাকে বলা হয় এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার। গবেষণায় জানা গেছে, সাধারণত পঞ্চাশের বেশি বয়সী নারী, যাঁদের এন্ডোমেট্রিয়াল হাইপারপ্লাজিয়া থাকে বা দীর্ঘদিন ধরে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি ( HRT ) ব্যবহার করছেন, তাঁদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি থাকে।
🇨🇭 গর্ভনিরোধের জন্য ব্যবহৃত আইইউডি ডিভাইস ভারী রক্তপাত বা মেনোরেজিয়ার আরেকটি সম্ভাব্য কারণ। দীর্ঘদিন আইইউডি ব্যবহার করছেন এবং ভারী রক্তপাত হচ্ছে, তাঁদের অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণের বিকল্প পদ্ধতি বেছে নেওয়া উচিত।
🇨🇭 অস্বাভাবিক ভারী রক্তপাত হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে। একই সঙ্গে নিজেকে শুষ্ক এবং পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। এ জন্য হেভি ফ্লো ধারণ করতে সক্ষম, এমন প্যাডই ব্যবহার করা উচিত। কেননা, এ সময় প্যাডের শোষণক্ষমতা কার্যকর না হলে প্রজননতন্ত্রের নানাবিধ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হতে পারে। তাই বাজারে সুলভ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মধ্যে ফ্রিডমের হেভি ফ্লো স্যানিটারি ন্যাপকিন আপনি বেছে নিতেই পারেন। এর উচ্চ শোষণক্ষমতা সম্পন্ন 11 দশমিক 4, ইঞ্চি লম্বা প্যাড পিরিয়ডের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে কার্যকরভাবে। ফলে চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত ভারী রক্তপাতের মধ্যেও আপনি অন্যান্য সংক্রমণ থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন।
⭕নারীদের মাসিকের সমস্যা ও Menorrhagia চিকিৎসা কী?
⭕ হোমিওপ্যাথিক সমাধান:
✅ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া: এটি সবচেয়ে প্রথম এবং জরুরি পদক্ষেপ। ডাক্তার পরীক্ষা করে সমস্যার মূল কারণ নির্ণয় করতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে পারেন।
Menorrhagia সমস্যা সমাধানের জন্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা এবং সুস্থ থাকার চেষ্টা করা খুবই জরুরি।
🇨🇭 সমস্যা সমাধানে হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।