⭕ মেয়েদের স্তনের আকার ও আয়তন বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে কিছু কারণ থাকে প্রাকৃতিক আর কিছু অভ্যাসজনিত। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে সবাই বিব্রত হলেও খুবই প্রয়োজনীয় একটি টপিক।
স্তন ঝুলে যায় তখনই যখন এর চারপাশের চামড়া তার ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হারায়।
⭕ স্তনের টিস্যু ফ্যাট সেল এবং লিগামেন্ট দিয়ে তৈরী যা কলার বোন থেকে আন্ডারআর্মস পর্যন্ত বিস্তৃত।
⭕ স্তনের যে অংশে লোবুলস এবং নালী ছড়িয়ে থাকে সেই অংশটি ফ্যাট, লিগামেন্ট এবং সংযোগকারী টিস্যু দিয়ে গঠিত হয়। ফ্যাটের টিস্যুকে বলা হয় অ্যাডিপোজ। বড় আকারের স্তনে বেশি ফ্যাট টিস্যু থাকে। আর ছোট আকারের স্তনে থাকে কম পরিমাণ ফ্যাট টিস্যু।
⭕ নারীর বয়সের নানা স্তরে এই ফ্যাটের পরিমাণ কম-বেশি হয়। এ ছাড়া সংযোগকারী টিস্যুর একটি পাতলা আবরণের নাম ফাসসিয়া। এটি স্তনের সব টিস্যুর চারদিকে ছড়িয়ে থাকে। এর অবস্থান বুকের পেশির ওপরের অংশে। স্তনের মধ্যে আসলে কোনো পেশি নেই। তবে পেকটোরিয়ালস মাসল রয়েছে যা একেবারে নিচের দিকে অবস্থান করে। এটি পাঁজর থেকে স্তনকে আলাদা করে রাখে।
🇨🇭 ব্রেস্ট স্যাগিং – স্তন ঝুলে পরা নির্ণয়?
⭕ সাধারণ চিকিৎসক বা প্লাস্টিক সার্জন স্যাগির গ্রেড নির্ণয় করার জন্য Ptosis স্কেল ব্যবহার করে, স্কেলটি রেগনাল্ট পটিসিস স্কেল:
⭕ মাইল্ড পাইটোসিস ( প্রথম গ্রেড ): হালকা পাইটোসিসের ক্ষেত্রে স্তনবৃন্তটি ইনফ্র্যাম্মারী ক্রিজের সমান স্তরে থাকে।
⭕ মাঝারি পাইটোসিস ( দ্বিতীয় গ্রেড ): মাঝারি পাইটোসিসের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে স্তনবৃন্তটি ইনফ্র্যাম্মারী ক্রিজের নীচে অবস্থিত তবে স্তনের নীচের স্তরের টিস্যু স্তনবৃন্তের নীচে স্তব্ধ থাকে।
⭕ অ্যাডভান্সড পাইটোসিস ( তৃতীয় গ্রেড ): অ্যাডভান্সড পাইটোসিসের ক্ষেত্রে স্তনবৃন্তটি ইনফ্রামামারী ক্রিজের নীচে এবং সর্বাধিক স্তনের অভিক্ষেপের স্তরে অবস্থিত।
⭕ সিভিয়ার পাইটোসিস ( তৃতীয় গ্রেড ): মারাত্মক পাইটোসিসের ক্ষেত্রে স্তনবৃন্তটি ইনফ্র্যাম্যামারী ক্রিজের অনেক নিচে এবং সর্বাধিক স্তনের অভিক্ষয়ের স্তরে অবস্থিত।
আরো পড়ুনঃ যেসব কারণে পুরুষের স্তন বড় হয়ে যায়!
🇨🇭 ব্রেস্ট স্যাগিং বা স্তন ঝুলে পড়ার কারন ?
⭕ এটা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এদেশের বেশিরভাগ মহিলাই এই সমস্যার মুখোমুখি হন। নানা কারণে এই স্যাগিং হয় তার মাঝে বংশানুক্রমে বা রোগেও অনেকের হয়ে থাকে।
⭕ এক্সারসাইজের সময় সঠিক সাইজের স্পোর্টস ব্রা ব্যাবহার না করলেও হতে পারে।
⭕ ( Gravity is working against you every day. While it pulls your breasts down, it strains and stretches your breast’s ligaments. )
⭕ মেয়েদের শরীর নানা পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায় এবং এক একটি পর্যায়ে স্তনের আকার-আয়তন একেক রকম থাকে।
⭕ নারীদের স্তনের আকার বা আয়তন পরিবর্তনের কারণগুলো এখানে দেওয়া হলো?
⭕ বয়সজনিত: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেকের-ই ব্রেস্ট এর শেইপ নষ্ট হয়ে যায়।বয়সের সাথে সাথে দেহে যে পরিমাণ এস্ট্রোজেন উৎপন্ন হয় তার পরিমাণ কমে যায় এতে করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে এবং ফলস্বরূপ স্তন ঝুলে যায়।
⭕ ওজন বৃদ্ধি-দ্রুত ওজন কমানো: অতিরিক্ত ওজন বাড়লে আবার সে ওজন দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেললেও এই সমস্যা দেখা দেয় । এসবে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যায় এবং স্তন ঝুলে পড়ে।
⭕ গর্ভাবস্থা: স্যাগিংয়ের আরেকটি কারণ এবং গর্ভধারণের সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন দেখা যায় স্তনে। স্তন্যদানের জন্য এই সময় প্রকৃতি শরীরকে তৈরি করে। এ সময় স্তনের আকার-আয়তন তো বাড়েই, দুগ্ধগ্রন্থি সক্রিয় হওয়ায় স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ভারীও হয়ে যায় স্তন।একাধিক গর্ভাবস্থার পরে এর প্রভাবগুলি আরও প্রকট হয়।
⭕ ধূমপান : ব্রেস্ট স্যাগিং হতে পারে এমন অনেকগুলি কারণ রয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে, মূল কারণগুলির মধ্যে একটি হ’ল সিগারেট ধূমপান। আমাদের ত্বকে ইলাস্টিন নামে একটি প্রোটিন রয়েছে যা এর স্থিতিস্থাপকতার জন্য দায়ী। ধূমপান এই প্রোটিনকে ভেঙে দেয় এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা হ্রাস করে যা ফলস্বরূপ স্তনগুলি স্যাগিং করে।
⭕ মেয়েদের লাইফস্টাইলের জন্যেও স্তনের আকারে বদল আসতে পারে। আরও কিছু কারন নিচে দেয়া হল:
⭕ পিরিয়ডের দুটি পর্যায় থাকে- ফলিকিউলার ও লিউটিয়াল। একটি পিরিয়ড শেষ হওয়ার ঠিক পরের পাঁচ-সাতদিন, মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রা অনেক কমে যায়। মাসের এই সময়টায় স্তনের ওজন সবচেয়ে কম থাকে।
লিউটিয়াল পর্যায়ে অর্থাৎ পিরিয়ড হওয়ার ঠিক আগে আগে, স্তনে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন হরমোনের মাত্রাও বাড়ে। ফলস্বরূপ এই সময়ে স্তন অনেকটা বেশি ভারী লাগে।
গর্ভনিরোধক পিলে ইস্ট্রোজেন থাকে। যারা নিয়মিত এই পিল খান, তাদের স্তনের আকার-আয়তন দুটিই অনেকটা বেড়ে যায়।
মেনোপজের পরে শরীরে ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ অনেক কমে যায়। তাই এই সময়ে স্তনের কাপ সাইজ কমে যাওয়ার কথা। কিন্তু আদতে তা হয় না। দেখা গেছে, বরং হরমোনের মাত্রার পরিবর্তনের ফলে শরীরের মাঝামাঝি অংশে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে থাকে। ফলে স্তনও ভারী হয়।
⭕ তবে এই বিষয়ে সচেতন থাকলে এবং হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় এই সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।