🫦 পরকীয়া-প্রেম, সব দোষ হরমোনের! পরকীয়া – Adultery বা Extramarital Affair বা Extramarital Sex, হল বিবাহিত কোন ( নারী বা পুরুষ )- স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তির সাথে বিবাহোত্তর বা বিবাহবহির্ভূত প্রেম, যৌন সম্পর্ক ও যৌন কর্মকাণ্ড করা।
🫦 প্রেম আসলে পিটুইটারির খেলা, আমরা বোকারা বলি প্রেম। পরকীয়াও তো সেই প্রেমই। দোষ তো সব হরমোনের।
🫦 অধিকাংশের নজরেই বিষয়টি বেশ খারাপ। রয়েছে প্রবল সমালোচনা, তাও যুগ যুগ ধরেই পরকীয়া বহাল তবিয়তেই টিকে আছে। আচ্ছা, জানেন কি সামাজিক ‘সম্মান’, ‘নৈতিকতা’ প্রশ্নগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো রিস্ক নিয়েই কেন কেউ নিজের পার্টনারকে ছেড়ে অন্য কারও দিকে ঝুঁকে পড়ে?
🫦 সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলালেও কেন একই রকম রয়ে গিয়েছে চোরাগোপ্তা পরকীয়ার প্রবণতা? আসলে এটাই মানুষের সহজাত প্রবনতা। যা নিয়ে লুকোছাপা বেশি তাতেই বেশি ঝুঁকে থাকে মানুষ। সাদা বাংলায় সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে ঠকানোর পিছনে আসলি কারণটা ঠিক কী? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আমাদের শরীরের অন্যতম দু’টি হরমোন ডোপামিন এবং ভ্যাসোপ্রেসিন চিটিং করার প্রবণতার অন্যতম দুই কারণ!
🫦 মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিটাল অ্যান্ড ফ্যামিলি থেরাপি নামের একটি জার্নাল কিছু দিন আগেই একটি সমীক্ষা করেছিল। এই সমীক্ষায় উঠে আসে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। 57% পুরুষ এবং 54% মার্কিন মহিলারা জানান জীবনে অন্তত একবার পার্টনারকে ঠকিয়ে অন্য কারও শয্যাসঙ্গী বা সঙ্গিনী হয়েছেন!😮
🫦 ডোপামিন! এর কারণে 40 আপ মহিলারা পরকীয়া করে!
🫦 মনো-বিদরা পরকীয়ার
কারণ হিসেবে বহু মানসিক ও পারিপার্শ্বিক কারণকে দায়ী করলেও বিজ্ঞানীরা কিন্তু অন্য কারণও দেখাচ্ছেন।
ডোপামিনের জন্য মোট 200 রকমের রিসেপটার জিন আছে। ডোপামিন মস্তিষ্কে যৌন তৃপ্তি তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যাদের শরীরে ডোপামিন রিসেপটর জিনের অ্যালিলের সংখ্যা যত বেশি, তাদের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতাও তত বেশি হয়!
🫦 পরকীয়ার পিছনে অন্যতম কারণ শরীরে ভ্যাসোপ্রেসিন নামের হরমোনের অতিরিক্ত উপস্থিতি। মূলত যৌন মিলনের সময় নির্গত হয় এই হরমোন। দেখা গিয়েছে পরকীয়া-দের শরীরে এই হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে যে দিন তার সংখ্যা অত্যন্ত কম।
🫦 নারীর মন ডোপামিন-অপিওয়েড ও অক্সিটোসিনের অ্যাক্টিভিটি!
🫦 ডোপামিন! এর কারণে 40 আপ মহিলারা পরকীয়া করে!
🫦 কিছুদিন পূর্বে আমার এক বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন নারীর মন কী? আমি ভাবছিলাম এ প্রশ্নটির উত্তর কেমন হওয়া উচিত। আমাদের দেহের প্রতিটি সেলে প্রতিনিয়ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। মস্তিষ্কে বিলিয়ন বিলিয়ন সিগনাল ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আমরা কী সেগুলো সম্পর্কে সচেতন? না! সচেতন নই! আমাদের দেহে সংগঠিত রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলো যেমন আমাদের অগোচরে থাকে ঠিক তেমনি আমাদের মনের বিরাট একটি অংশ আমাদের আড়ালে।
🫦 তাই আমি মনে করি, বিজ্ঞানী নয় এমন নারীরা নিজেরাও জানেনা তারা কারা? আর কেনো তারা নারী। কিন্তু আমরা যদি নারীদের সেক্সচুয়াল মনস্তত্ব বিশ্লেষণ করি তবে আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারি নারীর মনস্তত্ব হলো ডোপামিন, অপিওয়েড এবং অক্সিটোসিনের একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের অ্যাক্টিভিটি – কথাটি একটি সীমিত সেন্সে বলা।
🫦 আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, সেটা কেমন? তবে চলুন আমরা ঘুরে আসি নারীর মনের নিউরোকেমিক্যাল ওয়ার্ল্ডে।
🫦 সেক্স করার পূর্বে ও পরে নারীর মস্তিষ্কের এ নিউরোট্রান্সমিটার ও হর্মোনগুলোর সাথে মূলত কী ঘটে?
🫦 ডোপামিন হলো আল্টিমেট ফেমিনিস্ট কেমিক্যাল! বলতে পারেন, কী বলেন এইসব? পুরুষের মস্তিষ্কেও তো ডোপামিন থাকে তাহলে আপনি ডোপামিনকে কেনো চূড়ান্ত নারীবাদী কেমিক্যাল বলছেন? ব্যাপারটা কী? আরেহ! আমারও একই প্রশ্ন! তো আসুন আমরা নোয়ামি ওলফের কাজ থেকে জেনে আসি তিনি মূলত কী বোঝাতে চেয়েছেন এ বক্তব্যের মাধ্যমে।
🫦 যখন নারীর মস্তিষ্কের ডোপামিন সিস্টেম অপটিম্যালি অ্যাক্টিভেট হয় তখন নারীর খুলির ভেতর দুর্দান্ত যৌনতা কাজ করে, তার মধ্যে সেক্সের তীব্রতা বেড়ে যায়, সে এটা নিয়ে চিন্তা করতে সুখবোধ করে এবং নিজেকে যৌনতার কাছে ছেড়ে দেয় ,এটি তার মধ্যে মনোযোগ ও অনুপ্রেরণা তৈরি করে এবং তার জীবনের লক্ষ্যের দিকে সে একদম স্থির হয়ে যায়। ডোপামিনের অভাবে নারীর মস্তিষ্ক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে যেতে পারে। সে শক্তি পায়না। এসবকিছু ডোপামিনের কার্যকারীতার উপরই নির্ভর করছে।
🫦 অন্যকথায় আপনি যদি অধিক সেক্স পাওয়ার জন্য একজন নারী হিসেবে আপনার ডোপামিন সিস্টেমকে সক্রিয় করেন তবে আপনার ব্রেন সে উচ্চতর ডোপামিনের সক্রিয়তা থেকে শুধুই যে যৌনসুখ পাবে তাই নয়। সেক্সের পরও আপনার মস্তিষ্কের মধ্যে ডোপামিনের শক্তি থেকে যাবে যা আপনাকে জীবনের অন্যান্য দিকের প্রতি মনোযোগী হতেও সাহায্য করবে এবং এতদিন যে ক্ষেত্রগুলোতে আপনি হাল ছেড়ে দিয়েছেন সে সকল ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করার প্রচেষ্টা আপনার নাটকীয় ভাবে বেড়ে যাবে।
🫦 এটা আপনাকে সুপারওমেন করে তুলবে, সেল্ফ পটেনশিয়াল। কিন্তু মনে রাখতে হবে এজন্য রিওয়ার্ড প্রয়োজন। বুঝেননি? ভাবতে পারেন, পুরস্কারের সাথে ডোপামিনের কী সম্পর্ক! তাহলে শুনুন, আমাদের মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেগমেন্টাল এরিয়া যেখান থেকে ডোপামিন তৈরি হয় সেটাকে রিওয়ার্ড সার্কিট বলে। কেবল বাহিরের জগত থেকে আপনার শরীরের স্নায়ুতন্ত্র যদি পজেটিভ ফিডব্যাক বা পুরস্কার পায় তবেই এটি নি:সৃত হবে। তো নারীর মস্তিষ্কের ডোপামিনকে সক্রিয় করতে হলেও তার দেহের নিউরাল নেটওয়ার্কে পুরস্কার দিতে হবে।
🫦 এ পুরস্কার বিভিন্নভাবে দেয়া যায়। আপনি যদি কনো নারীর রোম্যান্টিক লাভার হোন তবে জাস্ট ছুঁইয়ে দিলেই আগুন লেগে যাবে! স্যরি, আই মিন তার মস্তিষ্ক পুরস্কার পেয়ে যাবে!
🫦 একজন নারী হিসেবে আপনি যদি সেক্সচুয়ালি ফ্রাস্টেটেড হয়ে থাকেন তবে আরও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হবে, আপনার ব্রেন জাগ্রত হবে কিন্তু রিলিজ হবেনা, আপনার ডোপামিন সিস্টেমে অবশেষে যৌনতার প্রত্যাশা হ্রাস পায়। আর এতে করে আপনি পজেটিভ এনার্জির উপর আপনার অধিকার হারিয়ে ফেলবেন যা শুধু সেক্সের ক্ষেত্রেই নয় আপনার সমস্ত জীবনে সুফল বয়ে আনতো।
🫦 আর এজন্য যে বিষয়টি দায়ী তাকে বিজ্ঞানীরা বলেন ( অ্যাক্টিভেশনের অভাব )! আপনি মূলত অ্যাক্টিভেশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা যদি শব্দটিকে হালকা ভাবে ট্রান্সলেট করি তবে যেটা দাঁড়ায় তা হলো ( এক্সাইটম্যান্ট )! ইয়েস! আপনি এক্সাইটম্যান্ট পাননি। আর এর ফলশ্রুতিতে আপনি হতাশ হয়ে যাবেন এবং আপনার একটা মানসিক সমস্যা তৈরি হবে যেটাকে বলে ( অ্যানহিডোনিয়া ) এ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হলো ( নো প্লেজার )! এটি একজন নারীর মনের এমন একটি পরিস্থিতি যখন তার সমস্ত জগত কালারলেস হয়ে যায়।
🫦 আপনি যদি একজন নারী হয়ে থাকেন এবং আপনার মস্তিষ্কে যদি ডোপামিনের অ্যাক্টিভেশন লো হয়ে যায় তবে আপনার মধ্যে কোনো আকাঙ্খা কাজ করবেনা এবং আপনার কামনার ড্রাইভ আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় হয়ে যেতে থাকবে।
🫦 কিন্তু আপনার ডোপামিন লেভেল যদি সঠিক থাকে তবে আপনি আত্মবিশ্বাসী, সৃষ্টিশীল ও বাচাল হয়ে উঠবেন। মারিয়া রবিনসন ছবির মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন কীভাবে ডোপামিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে মানব আচরণ ও সামাজিক সেটিংসে প্রভাব বিস্তার করে।
🫦 আপনি দেখবেন এই সামাজিক ড্রাইভ ডোপামিনের অ্যাক্টিভিটির সাথেই জড়িত।
🫦 ডোপামিন আর অপিওয়েডের ওভার অ্যাকটিভিটির কারণে যেগুলো খুব সিম্পলি নারীর অর্গাজমের সময় উৎপন্ন হয়।
🫦 একেবারে হুবহু একই প্রক্রিয়ায় একজন নারী সেল্ফ ফ্রিডমের অভিজ্ঞতা লাভ করে আর এতে করে তার মধ্যে নিজের প্রতি ভালোবাসা বেড়ে যায়। ফেমিনিস্ট কৌতুহল এবং ফেমিনিস্ট সংবেদনশীলতা একজন নারীর মধ্যে মজবুত হয় তার প্রি-অর্গ্যাজমিক ডোপামিন এবং অর্গাজমের সময় তার মস্তিষ্কের প্রভাব দ্বারা।
🫦 মস্তিষ্কের লিম্বিক সিস্টেম নারীর মস্তিষ্কের উত্তেজনার সময় প্রাপ্ত হর্মোনগুলোর মধ্যস্থতা করে এবং অর্গাজমের পর এগুলো উৎপাদন করে ( অথবা অর্গাজমের অভাব)।
🫦 এই উপায়ে ভ্যাজাইনা হলো নারীদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন দশার ডেলিভারি সিস্টেম যেগুলোকে আমরা কনফিডেন্ট, ফ্রিডম, লিভারেশন, সেল্ফ রিয়েলাইজেশন অথবা মিস্টিজম ইন ওমেন বলে থাকি।
🫦 যেহেতু এ সকল দশা রাসায়নিক মধ্যস্থতা থেকে জন্ম হয় এটা আমাদেরকে বোঝায় না যে, এগুলো বাস্তব নয়। সেল্ফ লাভ স্বাধীনতার সাথে বাস্তব সংযুক্তি এবং বাস্তব পরমানন্দ। আমরা যারা সায়েন্টিস্ট নই, তারা ভুলে যাই যে রসায়নই হলো মানুষ সম্পর্কে সকল সত্যের বাহক। আমরা আগেই দেখেছিলাম কীভাবে নোয়ামি ওলফের স্পাইনাল কর্ডের ইনজুরির ফলে তার জগত ম্লান, রঙহীন এবং স্যাঁতস্যাতে হয়ে যায়। তার এ বিশ্বদৃষ্টি পরিবর্তন হওয়ার পেছনে সম্ভবত ডোপামিন ও অপিওয়েড সিস্টেমের নিষ্ক্রিয়তাই মূল কারণ ছিল। কারণ তার পেলভিক নার্ভের শাখা যেগুলো ডোপামিনের অ্যাক্টিভেশনকে উদ্দীপিত করতে পারে সেগুলো অসাড় হয়ে যায়। তার স্নায়ুতন্ত্রের একটি শাখার ত্রুটির কারণে তার মস্তিষ্কে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ডোপামিন, অক্সিটোসিন এবং অপিওয়েড অ্যাক্টিভেট হতো। তিনি বলেন, আমি ক্লাইটোরাল অর্গাজম থেকে কিছু মাত্রার হর্মোন পেয়েছি কিন্ত আমি আমার মস্তিষ্কের একই কেমিক্যালগুলোর সম্পূর্ণ সক্রিয়তা পাইনি যেটা আমি প্রত্যাশা করতে পারতাম যদি আমার পেলভিক নিউরাল নার্ভের ফাংশন পুরোদমে ঠিক থাকতো।
🫦 আমরা বিশ্বের কম নারী সম্পর্কেই জানি এ সার্কিটের ব্যাঘাত ও হিলিং এর অভাব অনুভব করে। তিনি বলেন, আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে যা শিখেছি তা হলো, যদি আমি বদলে যাই তবে আমার বিশ্বও বদলে যাবে।
🫦 যে সকল নারীদের ডোপামিন কম উৎপাদন হয় তাদের মধ্যে নিন্মমাত্রিক কামনা ও ডিপ্রেসন কাজ করে। অন্য কথায়, আপনি যদি একজন নারী হতেন আর আপনার ডোপামিন লেভেল অপটিম্যালি অ্যাক্টিভেট হতো তবে আপনি অধিক আত্মবিশ্বাস, সৃষ্টিশীলতা এবং সামাজিকতা অনুভব করতেন। আপনার মধ্যে দৃঢ় মতামত, পরিস্কার সীমারেখা কাজ করতো আর আপনি আপনার কাজের জন্য সুখী হতেন। আপনার মধ্যে কল্যাণ ও সন্তুষ্টির অনুভূতি জন্ম হতো। আপনার মধ্যে একাগ্রতা, অধ্যাবসায় তৈরি হতো, অন্যদের প্রতি দৃঢ় অনুভূতি কাজ করতো, আপনি স্বাস্থ্যকর পছন্দ করতে পারতেন এবং আপনার মধ্যে রিয়েলিস্টিক প্রত্যাশা সৃষ্টি হতো।
🫦 এগুলো হলো সে সকল কোয়ালিটি যেকোনো CEO যে কোয়ালিটিগুলোর কথা লিখবেন ,যেগুলো খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় এবং বিশ্বকে সবচেয়ে গুরুতর উপায়ে অ্যাফেক্ট করে।
🫦 আপনার জীবন খুবই মিনিংফুল হয়ে উঠবে। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি রিওয়ার্ড পাচ্ছেন। আপনি মানুষের মাঝে কানেকশন দেখতে সক্ষম হবেন। ডোপামিনের ভূমিকার কারণে আপনি আপনার নিজের শরীরের, ক্রিয়া ও অন্যদের প্রতি প্রতিক্রিয়ার মধ্যেও সংযোগ দেখতে শুরু করবেন। কিউবেক, কনোকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড: জিম ফাউস বলেন, আপনি ডোপামিনকে কজ এন্ড ইফেক্ট কেমিক্যাল বা কার্য-কারণ সম্পর্কের রসায়ন বলতে পারেন।
🫦 আপনি বিভিন্ন উপায়ে মস্তিষ্ক থেকে ডোপামিন রিলিস করতে পারেন৷ আমি বলছিনা যে ,এ জন্য আপনাকে শুধু সেক্সই করতে হবে, অ্যারোবিক এক্সসারসাইজ, ড্রাগ গ্রহণ যেমন – কোকেইন, সমাজের সাথে মেশা, শপিং এবং খেলাধুলার মাধ্যমে আপনি আপনার মস্তিষ্কে ডোপামিন তৈরি করতে পারবেন।
🫦 একজন নারীর মস্তিষ্কে নিয়মিত ফেমিনিস্ট প্রতিধ্বনি দৃঢ় হয় তার ব্রেনের কার্য-কারণের সংবেদন থেকে , একজন ব্যক্তির উদ্দেশ্য এবং আকাঙখার ভেতর যা সুস্পষ্ট।
🫦 ড. ফাউস নোট করলেন, আপনার মস্তিষ্কে ডোপামিন যদি অপটিম্যালি কাজ করে তবে আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়ে যাবে, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এ জগতে ডোপামিন আপনাকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। এ কেমিক্যাল হলো ডিসাইডার কেমিক্যাল বা সিদ্ধান্তগ্রহণকারী রসায়ন।
আরো পড়ুনঃ হরমোনের সমস্যার কারণে সেক্সর সুখ নষ্ট হয়! এবং সহবাসে দূর হয় মাইগ্রেনের ব্যথা!
🫦 এই কেমিক্যাল লিডারশীপ ও কনফিডেন্স তৈরির সাথে জড়িত।
ডেভিড J. linden তার বই The Compass of Pleasure,
নামক বইটিতে ডোপামিনের ইফেক্ট দেখিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ডোপামিন আপনার সম্পর্কে ভালোবোধ করতে সাহায্য করে, আপনার মনে হবে যেন আপনার মধ্যে খুবই স্ট্রং ইগো কাজ করছে, আপনাকে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সহযোগিতা করবে।
🫦 ড. হেলেন ফিশার, যিনি একজন অ্যানথ্রোপোলজিস্ট এবং অ্যানাটমি অব লাভ বইয়ের লেখক তিনি বলেন, রোম্যান্টিক ভালোবাসা কোনো আবেগ নয়। এটি দুর্দমনীয়ভাবে আমাদের ( মোটিভেশান সিস্টেমের ) একটি অংশ। এটি মস্তিষ্কের রিওয়ার্ড সিস্টেমের সাথে সম্পৃক্ত একটি ড্রাইভ।
🫦 ড. ফিশার রোম্যান্টিক ভালোবাসার মধ্যে তিনটি উপাদান পেয়েছেন, আকাঙখা বা লালসা যা অ্যান্ড্রোজেন ও ইস্ট্রোজেন দিয়ে গঠিত, অ্যাট্রাকশন যা উচ্চমাত্রার ডোপামিন, নরপাইনফ্রাইন এবং নিন্মমাত্রিক সেরেটনিন দ্বারা গঠিত এবং অবশেষে অ্যাটাচমেন্ট যা অক্সিটোসিন এবং ভেসোপ্রেসিন দ্বারা গঠিত। আর এ সকল মুড অল্টারিং কেমিক্যাল সম্ভবত অনেক বেড়ে যায়। কিছুকিছু নারীর মধ্যে বেড়ে যায় মাল্টি অর্গ্যাজমিক পটেনশিয়ালের কারণে অধিকাংশ পুরুষদের তুলনায়৷
🫦 গবেষক চিনডি মেস্টন এবং কে এম ম্যাককল তাদের 2005 সালের ( Film-Induced Sexually functional and Dysfunctional Woman ) এ বিবৃতি দেন, তারা ওয়েল ফাংশনিং ডোপামিন সিস্টেমের সাথে স্ট্রং ফিমেইল সেক্সচুয়াল প্রতিক্রিয়াশীলতার মিল খুঁজে পেয়েছেন।
🫦 ফরাসি স্নায়ুবিজ্ঞানী ক্লদ ডি কনট্রেকার যিনি আচরণ ও অনুভূতির পেছনে সেরেটোনিন ও ডোপামিনের প্রভাব খোঁজেন তিনিও বলেন, সেরেটোনিন থেকে ডোপামিনের ভিন্ন রকম প্রভাব রয়েছে। আপনি যদি আপনার মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটার ডোপামিন স্টিমুলেট করেন তবে কী ঘটবে? আপনার মন অনেক বেশি অ্যাক্টিভ হয়ে যাবে এবং আপনি চারপাশে ঘুরতে থাকবেন। ডোপামিন আপনার মধ্যে অনুপ্রেরণা তৈরি করে এবং সিদ্ধান্তহীনতা দূর হয়। তিনি লিখেন, ডোপামিন আপনার রক্তপ্রবাহ সক্রিয় করে তোলে যেটি এন্টি ডিপ্রেসেন্ট অ্যাকশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কোনো কারণে ডোপামিন ওভারঅ্যাকটিভেট হয়, তিনি সতর্ক করেন, আপনার সেলফ কনফিডেন্স সেল্ফ ডিল্যুশনাল পর্যায়ে চলে যাবে।
🫦 কিন্তু সেরেটোনিনকে বোঝাটাও গুরুত্বপূর্ণ। মিলিয়নস নারীকে Selective Serotonin Reuptake Inhibitor. প্রেসক্রাইভ করা হয়, যেগুলো অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্টের আধুনিক রূপ। এ সংখ্যয় পুরুষদের চেয়ে নারী অনেক বেশি। কিন্তু এ মিলিয়ন মিলিয়ন নারী ও পুরুষকে কী একবারের জন্যও সতর্ক করা হয় যে SSRI এর ব্যবহার তাদের অর্গাজমকে শেষ করে দিতে পারে?
🫦 এসএসআরআই আপনার মধ্যে একপ্রকার তৃপ্তি তৈরি করে, যা আনন্দদায়ক কিন্তু একই পরিস্থিতি আপনার অনুপ্রেরণা হ্রাস করে দিতে পারে! এসএসআরআই যা সেরেটোনিনকে বাড়িয়ে আমাদের আবেগ অসাড় করে দেয়, যৌন আকাঙখাকে অবরুদ্ধ করে দেয়, মানুষের মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব তৈরি করে, তাকে কম আক্রমণাত্মক করে তোলে এবং সে স্থিতিশীল হয়ে যায়।
🫦 আবার বিপরীতক্রমে সেরেটোনিন লেভেল নিচে নেমে গেলে ডোপামিনের অ্যাকটিভিটি বেড়ে যায়। ডি কনট্রেকার বিশ্বাস করেন, এর ফলে সম্পূর্ণ বিপরীত ভাবে আপনার মধ্যে সামাজিকতা, মেজাজ, আগ্রাসন ও সেক্সচুয়ালিটি তৈরি হয়।
🫦 এ দুটি মাইন্ড স্টেটের রাজনৈতিক গুরুত্বও আমাদের কাছে এখন সুস্পষ্ট। যৌনতার দিক থেকে আত্মপ্রত্যয়ী নারী মনোযোগী, অনুপ্রাণিত, উজ্জীবিত ও জৈবিকভাবে ক্ষমতাবান হয়ে থাকে। এটা আধুনিক বিজ্ঞান ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দুজনেরই জানা আছে।
🫦 আর এজন্য নোয়ামি ওলফ ডোপামিনকে আল্টিমেট ফেমিনিস্ট কেমিক্যাল বলেছেন। একজন নারীর মাঝে ডোপামিন যদি অপটিম্যাল লেভেলে উৎপাদন হয় তবে সে কখনোই নিজের বিপক্ষে যাবেনা। সে কখনো নিজেকে ধবংস করতে চাইবেনা, তাকে শাসন করা অথবা নিয়ন্ত্রণ করা পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পক্ষে এতটা সহজ না!
🫦 অন্যান্য নিউরোসায়েন্টিস্ট ও ইভোলিউশনারী বায়োলজিস্টরা নিশ্চিত করেছেন যে, আমাদের মস্তিষ্কে যখন অর্গাজম তৈরি করার জন্য ডোপামিন ছুটে চলে তখন গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সংঘটিত হয়। অর্গাজমের পর লিঙ্গের বৈষম্য বেরিয়ে আসে। পুরুষদের ক্ষেত্রে আশংকাজনকভাবে ডোপামিন ড্রপ করে এবং পুরুষ তাৎক্ষণিক একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেক্সের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এটাকে বলে রিফ্রেক্টরি পিরিয়ড ( Refractory Period ) যে সময় তারা চাইলেও আর জাগ্রত হতে পারেনা।
🫦 কিন্তু একজন নারীর ক্ষেত্রে কী যতদুর সম্ভব ডোপামিন ড্রপ করে, এবং যথেষ্ট পরিমাণ প্রোল্যাক্টিন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি পায় একইভাবে, বিশেষ করে যদি সে মাল্টিঅর্গ্যাজমিক হয়?
🫦 প্রয়োজন নেই আসলে। একজন নারীর যদি একবার অর্গাজম হয়, তারপর আবার আর একবার, তার মধ্যে মেইনলাইন ডোপামিনের বুস্ট’ই চলতে থাকে। নতুন একটি গবেষণা দেখিয়েছে যে, ভার্চুয়ালি প্রতিটি নারী সঠিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত সহজে অর্গ্যাজম অর্জন করে। কিন্তু এটি কেনো ঘটে? কারণ এটি নির্দেশনা দেয় যে, সকল নারী যারা অর্গ্যাজমিক ( বিশেষ করে যারা অনেক বেশি অর্গ্যাজমিক ) তাদের অধিক ডোপামিন রিসিভ করার ক্ষমতা আছে, এই মাত্র সে যে পুরুষটির সাথে ঘুমিয়েছে তার তুলনায় তাদের অধিক অপিওয়েড বুস্ট হয় যেজন্য তাদের দিন ভালো কাটে এবং সে সকল নারীদের চেয়েও বেশি যারা সেক্সচুয়াল প্লেজার সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই রাখেনা।
🫦 নোয়ামি ওলফ ড. ফাউসকে জিজ্ঞেস করেন, অধিক ফিমেইল অর্গ্যাজম কী অধিক অপিওয়েড রিলিজ করবে না? তিনি বলেন, এটা ভালো করতে পারে। যে সকল নারীদের মাল্টিপল অর্গাজম হয়, আপনি তাদের মাঝে অধিক অপিওয়েড খুঁজে পাবেন।
🫦 ফিমেইল অর্গাজম বিস্ময়করভাবে নারীর মাঝে টেস্টোস্টেরনও বাড়িয়ে দেয়। আর এ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায় কেনো গ্রেট সেক্স নারীকে ঠেলে ফেলে দেয়া কঠিন করে তোলে। বিজ্ঞান লেখক, ম্যারি রোস বলেন, টেস্টোস্টেরন ( অন্যান্য হর্মোনের তুলনায় নারীদের যৌনতায় বেশি প্রভাব সৃষ্টি কর ) আর এজন্য নারীরা বেশি বেশি সেক্স চায়।
🫦 অতএব আমরা বলতে পারি, টেস্টোস্টেরনের বৃদ্ধি নারীদের যৌন আকাঙখা তীব্র করে তোলে, যা নারীদের অধিক আত্মপ্রত্যয়ী এবং সেক্সের প্রতি অধিক কৌতুহলী করে তোলে – এ কানেকশন খুব ভালোভাবেই প্রমাণিত হয় বিতর্কিত মেনোপজ ট্রিটমেন্টের টেস্টোস্টেরন থেরাপিতে যা নারীদের আত্মপ্রত্যয়ী ও লালসাগ্রস্ত করে তোলে)।
🫦 নোয়ামি ওলফ বলেন, পুরুষতান্ত্রিকদের মধ্যে সবসময় একটি ভয় কাজ করতো যে, আপনি যদি নারীদের সেক্স করার সুযোগ দেন, আর তারা যদি বুঝতে পারে এটার উপলব্ধি কেমন তবে এটি তাদেরকে ক্রমবর্ধমানভাবে কামলালসাপূর্ণ করে তোলে এবং তারা ক্রমবর্ধমানভাবে নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়, কিন্তু আজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে এটি বায়োলজিক্যালি সত্য!
🫦 তিনি বলেন, আমি সে ধরণের ফেমিনিজম পছন্দ করিনা যা একটি লিঙ্গকে অন্যটির উপর স্থান দেয় আর আমি এটাকে সেইভাবে মূল্যায়ন করছিনা। কোনো জেন্ডারই ভালো নয়। কিন্তু কোনো একটি জেন্ডার থিয়োরিটিক্যালি সেক্সের সময় অধিক সুনির্দিষ্ট ডোপাপমিনিক ও অপিওয়েড অ্যাক্টিভেশন পায়, যেটার মস্তিষ্ক ও ব্যক্তিত্বের উপর খুবই সুনির্দিষ্ট প্রভাব রয়েছে। আমরা ফিমেইল সেক্সচুয়ালিটির এই গণিত অস্বীকার করতে পারিনা। এটি মধ্যস্থতাহীন , অগোছালো একটি দশা, প্রকৃতি দুটি সেক্সের মধ্যে একদম যথাযথ তারতম্য তৈরি করেছে যা নারীকে পুরুষদের তুলনায় সম্ভাব্য একটি অবস্থানে রাখে, পুরুষদের তুলনায় যেখানে গ্রেটার বায়োকেমিক্যাল ক্ষমতায়ন কাজ করে, যৌন কার্যক্রমের মাধ্যমে যৌন সন্তুষ্টি প্রদানের ভেতর দিয়ে। ( যদিও এটি জিরো সাম গেম নয়, কারণ পুরুষ অন্যান্য উপায়ে এক্সট্রা-ডোপামিন হিট পায় )৷
🫦 ভালো সংবাদ হলো যদি একজন নারীর ভ্যাজাইনা কষ্ট না পায়৷ অবদমিত, আক্রান্ত এবং অপমানিত না হয় নারীরা অধিক আত্মবিশ্বাস, অধিক উচ্ছ্বাস, অধিক সৃষ্টিশীল এবং আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠে , সম্ভবত পুরুষ শাসিত সমাজ এটার সাথে কম্পোর্ট ফিল করবে না। নারীবাদীরা চায় নারীরা তাদের কন্ঠস্বর প্রকাশ করুক। সেরেটোনিন আক্ষরিক অর্থেই নারীর কন্ঠস্বরকে বশীভূত করে এবং ডোপামিন আক্ষরিকভাবেই এটি বাড়িয়ে দেয়।
🫦 বিজ্ঞানের সর্বশেষ মডেল হিসেবে, ডোপামিন ফোকাস ও উদ্যোগের কারণ। অপিওয়েড পরমানন্দ ও মহাসমুদ্রের অনুভূতি জন্ম দেয়। আপনি কখনো কোকেইন সেবনকারীদের কথোকপথন থামাতে পেরেছেন? আপনি তাদের থামাতে পারবেন না। কোকেইন আপনার মস্তিষ্কে ডোপামিন রিলিজ করে ও প্রভাব সৃষ্টি করে, মূলত: কোকেইন সর্বপ্রথম অপব্যবহার করেছেন জন হপকিন্স কলেজের ড. ইউলিয়াম হালস্টেড কারণ এটি আপনার মধ্যে অজেয় এক অনুভূতি তৈরি করে যা শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস দ্বারা পরিপূর্ণ এবং যা তার ক্লান্তির সাথে যুদ্ধ করে।
🫦 হেট্রোসেক্সচুয়াল মহিলারা স্মরণ করে দেখুন আপনার স্বামী যখন আপনার সাথে একবার প্রণয়ের পর ঘুমিয়ে পড়ে আপনি তার সাথে কথা বলার জন্য মাঝরাতে কেমন গল্পপ্রবণতা অনুভব করেন। আপনি জাস্ট তার সাথে কথা বলতে চান। পরিসংখ্যান দেখিয়েছে, হতবুদ্ধিকর সংখ্যক নারী স্বীকার করেছে তারা তাদের ঘুমন্ত পার্টনারকে জাগিয়ে তুলেছে কথা বলার জন্য।
🫦 আপনি যদি এটা করে থাকেন তবে আপনি হয়তো জানেন না কোন অজানা ড্রাইভ আপনার মধ্যে কাজ করছে। এটি হলো অপ্রতিরোধ্য ডোপামিনের সামাজিকতা, একের অধিক অর্গাজম পাওয়ার জন্য।
🫦 এখান থেকে আমরা যা স্পষ্ট হই তা পুননির্ধারণের জন্য: যৌনতার দিক থেকে ভালো ট্রিট পাওয়া ভ্যাজাইনা নারীদের রিওয়ার্ড সিস্টেমে অত্যন্ত শক্ত অ্যাক্টিভেশন তৈরি করে, কানেকশন তৈরির জন্য অক্সিটোসিনের জোয়ার সৃষ্টি করে এবং অপিওয়েড সৃষ্টি করে যা আনন্দের সেন্সকে পরিচালনা করে। আর এজন্য ভ্যাজাইনা নারীদের মাঝে এমন সব ফিলিংস ডেলিভার করে যা তাকে সৃষ্টিশীল, উদ্ভাবনী, যোগাযোগ স্থাপনকারী, বিজেত্রী এবং স্থান-কালাতীত করে তোলে।
🫦 যেহেতু নারীদের পুরুষের তুলনায় অধিক অর্গাজম হয় তাই তাত্ত্বিকভাবে তারা অধিক পরিমাণ অক্সিটোসিন রিলিজ করে প্রণয়ের সময় এবং এতে করে তাদের মধ্যে অধিক ভালোবাসা, আকর্ষণ ও মমতা সৃষ্টির ঝুঁকি তৈরি হয়।
🫦 আসুন অক্সিটোসিনকে আমরা ( আদুরে হর্মোন ) ধরে নেই। অক্সিটোসিন মানুষের মাঝে কাজ করে একে অন্যের সহিত বন্ধন সৃষ্টি করার জন্য যাতে করে তারা আরও ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়। অক্সিটোসিন মানুষকে বস্তুর মধ্যে পরিস্কারভাবে সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে। ড. ডেভিড জে লিন্ডেন রিপোর্ট করেছেন যে, ন্যাসাল অক্সিটোসিন স্প্রে যা নতুন মায়েদের মধ্যে অধিক দুধ উৎপাদন করার জন্য ব্যবহার করা হয়, এটি এমন একটি ব্র্যান্ড যাকে বলে ট্রাস্ট লিকিউড। এটা অন্যান্য কাজেও ব্যবহার করা যায়। এই পানীয়টি যদি কারো প্রতি স্প্রে করা হয় তবে সে খেলায় প্রতারিত হওয়ার পরও অপরিচিত কারো প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে উঠে। তারা আরও বেশি সামাজিক ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক হয়। তারা বস্তুর মধ্যে কানেকশন দেখতে শুরু করে, তারা সুন্দরভাবে অন্যদের মানসিক পরিস্থিতি অনুমান করতে সক্ষম।
🫦 একটি বিখ্যাত এক্সপেরিমেন্টে দেখা যায়, অক্সিটোসিন একজন ব্যক্তিকে অন্য আর একজনের ইমোশনাল স্টেট সঠিকভাবে অনুমান করতে হেল্প করেছে যেখানে তাকে শুধু দুজন মানুষের চোখের ছবি দেখানো হয়েছিল। অক্সিটোসিনের প্রভাবে সে চোখ দেখেই মনের পরিস্থিতি বলে দিতে সক্ষম হয়।
🫦 অক্সিটোসিন হলো একজন নারীর ইমোশনাল পাওয়ার। অক্সিটোসিন সন্তান জন্মের সময় জরায়ুর সংকোচন বৃদ্ধি করে। এর বিবর্তনীয় গুরুত্ব হলো সন্তানের সাথে নারীর বন্ধন তৈরি করা, আমাদের সঙ্গীর সাথে সম্পর্কের দৈর্ঘ সম্প্রসারিত করা, যাতে করে তারা একে অন্যের সাথে নির্ভরশীল থেকে সন্তানের প্রতি যত্মশীল আচরণ করে।
🫦 এক্সপেরিমেন্টে দেখা যায় যখন অক্সিটোসিন ও ডোপামিন ব্লক করে দেয়া হয় তখন মা স্তন্যপায়ী তার সন্তানদের উপেক্ষা করতে শুরু করে। এটি আসক্তি কমিয়ে দেয়।
🫦 যখন কোকেন, মরফিন ও হেরোইন আসক্ত ইঁদুরদের পরীক্ষা করা হয় ইঁদুরগুলো নিন্মমাপের ড্রাগ নির্বাচন করে ও তাদের মধ্যে কমমাত্রার প্রত্যাখ্যান দেখা যায়।
🫦 নবনীত মাগন এবং সঞ্চয় কালরা , নামক গ্রন্থে বলেন, সুখের উপাদান গুলোর মধ্যে অক্সিটোসিন প্রধান প্রতিযোগী। অক্সিটোসিন আপনাকে শান্তও করে, ইঁদুরের উপর অক্সিটোসিন ইনজেক্ট করে দেখা যায় যেখানে খাচার সমস্ত ইঁদুর কিচিরমিচির করছে সেখানে একটি ইঁদুর সাইলেন্ট।
🫦 এটি সেক্সচুয়াল রিসেপ্টিভিলিটি তৈরি করে। আর এজন্য এটা আশ্চর্যজনক নয় মোটেই যে, যখন একজন ব্যক্তির ভ্যাজাইনা ও ব্রেনের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয় সে তার জীবনের মিনিং হারিয়ে ফেলে, আর এজন্য কোনোপ্রকার অতিরঞ্জন ছাড়াই আমরা বলতে পারি ভ্যাজাইনা নারী মস্তিষ্কের এমন একটি মিডিয়াম যেটি স্বয়ং তার জীবনের মিনিং তৈরির রাসায়নিক উপাদান।
❤ যেভাবে বাড়বে ডোপামিন হরমোন!?
❤ ডোপামিন হলো একটি হরমোন এবং ক্যাটেকোলামাইন ও ফেনাথ্যালামিন পরিবারের একটি নিউরোট্রান্সমিটার যা মানব মস্তিষ্ক ও শরীরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাকৃতিকভাবেই মানব শরীরে উৎপন্ন হয় ডোপামিন। আনন্দের অনুভূতি জাগাতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে ডোপামিন হরমোন। মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া এই রাসায়নিক অনুভূতি ছাড়াও শারীরিক ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে।
❤ ডোপামিন হরমোন বৃদ্ধির উপায়:
- 🫦 ডোপামিন বাড়ানোর ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস ভূমিকা রাখে। অ্যামিনো অ্যাসিড টাইরোসিন আছে এ রকম খাবার বেশি খেতে হবে। যেমন: কলা, বাদাম, মুরগির মাংস, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার, সয়াবিন, পনির, গোটা শষ্য, মটরশুঁটি, গরুর মাংস ইত্যাদি। অর্থাৎ প্রোটিন ধরনের খাবার থাকতে হবে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
- 🫦 জীবনযাপনের পদ্ধতি পরিবর্তন, যেমন: দৈনিক ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো, সকাল-বিকেল যখন সূর্যের তাপ কম তখন রোদ পোহানো, মন ভালো রাখে এরকম কাজে নিযুক্ত থাকা, ধ্যান করা ও আনন্দে থাকার চেষ্টা করার মতো বিষয়গুলো ডোপামিনের মাত্রা বাড়াতে পারে।
- 🫦 ( স্যাচুরেইটেড ফ্যাট ) যা খারাপ চর্বি হিসেবে পরিচিত। এটা গ্রহণ এড়াতে হবে। ভাজাপোড়া খাবারে এই ধরনের চর্বি বেশি থাকে।
- 🫦 প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার ডোপামিনের মাত্রা বাড়িয়ে মনমেজাজ ভালো রাখতে পারে। যেমন: দই।
- 🫦 ভিটামিন ডি-থ্রি, বি-সিক্স, আয়রন ট্যাবলেট বা সাপ্লিমেন্টস গ্রহণের মাধ্যমে ডোপামিন বাড়ানো যায়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- 🫦 সামাজিকভাবে মেলামেশা বজায় রাখাও ডোপামিন বাড়াতে সাহায্য করে বলে দেখা গেছে বিভিন্ন গবেষণায়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ও ডোপামিন বাড়াতে সাহায্য করে।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।