সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস - Cervical Spondylosis

সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস – Cervical Spondylosis এবং হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস- Cervical Spondylosis এবং লাম্বার স্পন্ডিলোসিস হল স্পন্ডিলাইটিসের 02টি খুব সাধারণ রূপ।

🇨🇭 সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস দেখা দেয় যখন আপনার ঘাড়ের তরুণাস্থি, হাড়, লিগামেন্ট এবং হাড় বয়সের সাথে বা বয়স ছাড়াই পরতে শুরু করে। প্রাচীনকালে, সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস এবং স্পন্ডাইলোসিস বার্ধক্যের সাথে যুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রজন্ম এবং বর্তমান জীবনধারার সাথে, স্পন্ডিলাইটিস এবং স্পন্ডিলোসিস কোনো বয়সের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

🇨🇭 সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস /স্পন্ডিলোসিস – Cervical Spondylosis কি?

🇨🇭 সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস বা অস্টিওআর্থারাইটিস বা ডিজেনারেটিভ অস্টিওআর্থারাইটিস নামেও পরিচিত।

🇨🇭 বয়স এবং সময়ের সাথে সাথে লক্ষণগুলি বৃদ্ধি পায়। সঠিক এবং সময়মত চিকিত্সা ছাড়া, সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস এমনকি হাঁটা কঠিন করে তুলতে পারে।

🇨🇭 সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিসের – Cervical Spondylosis , ঘটনা বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি হয়। বয়সের সাথে সাথে আমাদের হাড় এবং লিগামেন্ট তাদের স্বাভাবিক শক্তি হারাতে শুরু করে। সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস – Cervical Spondylosis , ঘাড়কে প্রভাবিত করে এবং নড়াচড়া শক্ত করে। ঘাড়ের চাকতি ধীরে ধীরে ভেঙে যায়, যার ফলে তরল ক্ষয় হয়। তরল ক্ষতির সাথে, ডিস্কগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষা শুরু করে। এটি সার্ভিকাল ব্যথা এবং শক্ত হয়ে যায়।

🇨🇭 ডিস্কের আরও অবক্ষয় এবং তরল হ্রাসের সাথে, ঘাড়ের হাড়গুলিতে স্পারস বা অস্টিওফাইট নামে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। অস্টিওফাইট মেরুদণ্ডের কলামকে সংকুচিত করে মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের দিকে পরিচালিত করে। মেরুদন্ডের স্টেনোসিস সাধারণত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ঘটে যখন মেরুদণ্ডের খাল সরু হয়ে যায়, যা সার্ভিকাল ব্যথার দিকে পরিচালিত করে।

সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস - Cervical Spondylosis

🇨🇭 Cervical Spondylosis – সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিসের লক্ষণ:

🩸 ঘাড়ের ব্যথা: সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস – Cervical Spondylosis, ঘাড়ের ব্যথার দিকে পরিচালিত করে যা আপনার বাহু বা কাঁধে যেতে পারে। শুরুতে একটি ঝাঁঝালো ব্যথা রয়েছে যা যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে আরও খারাপ হতে পারে। জরায়ুর ব্যথা দাঁড়ানো, হাঁচি, বসা, কাশি বা ঘাড় পিছনের দিকে কাত করা বাড়তে পারে। এটি সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ।

🩸 পেশী দুর্বলতা: সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস – Cervical Spondylosis , পেশী দুর্বলতা হতে পারে। পেশীগুলি এতটাই দুর্বল এবং শক্ত হয়ে যায় যে বাহু তুলতে বা কিছু ঠিকভাবে ধরতে অসুবিধা হয়, মাথাব্যথা, শক্ত ঘাড়, মাথাব্যথা হতে পারে, মাথাব্যথা বেশিরভাগই আপনার মাথার পিছনে ঘটবে।

🩸 অসাড়তা: প্রধানত বাহু এবং কাঁধে ঝাঁকুনি এবং অসাড়তা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, সুড়সুড়ি পায়ে যেতে পারে। যদি রোগটি চিকিত্সা না করা হয় তবে অসাড়তা সহ টিংলিং হতে পারে।

🩸 ভারসাম্য হারানো: যেহেতু হাড়গুলি শক্তি হারাতে শুরু করে, আপনি ভারসাম্য হারাতে এবং হাঁটতে অসুবিধা হতে পারেন।

🩸 মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণের ক্ষতি: বিরল ক্ষেত্রে, সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস মূত্রাশয় এবং অন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে আপনাকে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সেবাসিয়াস সিস্ট ( Sebaceous Cyst ) এর হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 Cervical Spondylosis স্পন্ডিলোসিসের জটিলতা বা ঝুঁকি:

🩸 স্পাইনাল স্টেনোসিস: আপনি যদি সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিসকে খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিকিত্সা না করে রেখে থাকেন তবে আপনি স্পাইনাল স্টেনোসিসে ভুগতে পারেন। স্পাইনাল স্টেনোসিস বা সার্ভিকাল মাইলোপ্যাথি একটি বেদনাদায়ক অবস্থা যখন মেরুদণ্ডের খাল সরু হয়ে যায়। ধীরে ধীরে সরু হয়ে গেলে মেরুদন্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আপনি ঘাড়, বাহু এবং কাঁধে একটি ঝাঁঝালো সংবেদন অনুভব করতে পারেন যা পায়ে যেতে পারে। চরম ক্ষেত্রে, আপনি আন্দোলন সমন্বয় করা কঠিন হতে পারে। Cervical Spondylosis- সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিস ও লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস হতে পারে।

🩸 স্নায়ু সংকোচন: আপনি যখন – Cervical Spondylosis , সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিসে ভোগেন, তখন মেরুদণ্ডের স্নায়ুর উপর অবিরাম চাপ পড়ে। আপনি স্পাইনাল রেডিকুলোপ্যাথি নামক অবস্থাতে ভুগতে পারেন। সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি হাত, পা এবং কাঁধে অসাড়তা এবং ঝাঁকুনি সৃষ্টি করে। আপনি শরীরের সমন্বয়ের ক্ষতিও অনুভব করতে পারেন। তীব্র ক্ষেত্রে, আপনি চরম কাঁধ এবং বুকে ব্যথা ভোগ করতে পারেন। স্নায়ু সংকোচনের ফলে স্বাভাবিক পেশী সংকোচনের ক্ষতি হয়।

🩸 স্থায়ী অক্ষমতা: Cervical Spondylosis – সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিসের লক্ষণগুলি, যদি চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে আপনার মেরুদণ্ডের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। সার্ভিকাল মাইলোপ্যাথি এবং সার্ভিকাল রেডিকুলোপ্যাথি তীব্র হতে পারে। প্রতিদিনের কাজ কঠিন হয়ে ওঠে, এবং অস্ত্রোপচারই একমাত্র সমাধান হয়ে ওঠে।

🇨🇭 Cervical Spondylosis চিকিৎসা: ডাক্তার বিভিন্ন চিকিৎসার পরামর্শ দিতে পারেন যেমন:

🩸 শারীরিক থেরাপি: আপনার ডাক্তার আপনাকে একজন থেরাপিস্টের সাথে দেখা করার পরামর্শ দিতে পারে। একজন শারীরিক থেরাপিস্ট আপনাকে আপনার পেশী এবং ঘাড় প্রসারিত করতে সাহায্য করবে। শারীরিক থেরাপি এছাড়াও ঘাড় ট্র্যাকশন অন্তর্ভুক্ত, ঘাড় ট্র্যাকশন ওজন ব্যবহার করে সার্ভিকাল জয়েন্টগুলির মধ্যে স্থান বাড়াতে সাহায্য করে।

🩸 ঔষুধ: সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিসের চিকিৎসার জন্য, আপনার ডাক্তার নির্দিষ্ট কিছু ঔষুধ লিখে দিতে পারেন।

🩸 সার্জারি: সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিসের ক্ষেত্রে আপনার ডাক্তার অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিতে পারে যখন ঔষুধ এবং শারীরিক থেরাপি আপনাকে স্বস্তি দিতে পারে না।

সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস - Cervical Spondylosis

🇨🇭 সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিসের সতর্কতা:

🛑 সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিছু সহজ সতর্কতা হল:

🩸আপনার ডাক্তারের পরামর্শ এবং চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসরণ করতে ভুলবেন না। আপনার ভঙ্গি সোজা রাখতে হবে। বসা ও দাঁড়ানোর সময় ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। আপনার নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী। স্বাস্থ্যকর খাওয়ার মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন বজায় রাখা উচিত। আপনার ঘাড়, বাহু এবং কাঁধে চাপ না দিয়ে আপনাকে সঠিকভাবে তুলতে শিখতে হবে।

🇨🇭 খাদ্য তালিকাগত পরিবর্তন হল:

🩸আপনার ডায়েটে ওমেগা-থ্রি, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন- ই সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আপনার আরও বাদাম, তৈলবীজ এবং মাছ খাওয়া উচিত, যা জয়েন্টের প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভাজা খাবার, অত্যধিক মাংস এবং তৈলাক্ত খাবারের মতো অ্যাসিড তৈরির খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
আপনি মিষ্টি, মিষ্টান্ন, এবং পরিশোধিত খাদ্য আইটেম এড়াতে হবে।

🇨🇭 Spondylosis – স্পন্ডিলোসিস:

🩸চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে আক্রান্ত হলে কেবল ওষুধ খেলেই চলবে না। জীবনযাপনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।

🩸 স্পন্ডিলোসিস আসলে শিরদাঁড়ার হাড়ের সমস্যা।

🩸 কখনও পেশার তাগিদ আবার কখনও বা নিজের স্বভাব-দোষে অকালেই শিরদাঁড়ার হাড়ের ক্ষয় দেখা যায়। সহজ ভাষায় বললে- স্পন্ডিলোসিস Spondylosis – বাসা বাঁধছে শরীরে। অফিস ডেস্কে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই টনটন করে উঠছে পিঠ, কাঁধ। বাড়িতেও একটানা টিভির সামানে বসলে বা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই মালুম হচ্ছে, কলকব্জা ঠিক নেই! এমন সমস্যা আপনার একার নয়। দৈনন্দিন দৌড়ঝাঁপের সময়ও মাঝেমধ্যে অনেকেই এমন ব্যথা টের পান। স্পন্ডিলোসিস আসলে শিরদাঁড়ার হাড়ের সমস্যা। আমাদের শরীরে হাড়ের যে সংযোগস্থল বা অস্থিসন্ধিগুলি থাকে, তা নিয়েই আমরা বেড়ে উঠি, এ বার সে সব ব্যবহার করতে করতে যন্ত্রের মতোই ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। কখনও আবার অস্থিসন্ধি অঞ্চলে থাকা তরল পদার্থ বাইরে বেরিয়েও আসে। তখনই জানান দেয় ব্যথা। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সারা ক্ষণের ব্যথা, ঘাড় নাড়াতে অসুবিধা হওয়া এই রোগের মূল কষ্ট। ঘাড়ের দিকের অংশে এই রোগ হলে তাকে আমরা বলি, Cervical Spondylosis – সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিস।

🩸 আবার শিরদাঁড়ার নীচের দিকের অংশে অর্থাৎ পিঠের নীচের দিকে হলে তাকে আমরা বলি লাম্বার স্পন্ডিলোসিস।

🩸 চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে আক্রান্ত হলে কেবল ওষুধ খেলেই চলবে না। জীবনযাবনেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।

শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 Spondylosis – স্পন্ডিলোসিস , হলে কী ভাবে খেয়াল রাখবেন নিজের?
  1. এই অসুখে ভুগলে সবার আগে আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যায়াম করুন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্রাকশন নেওয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়। যোগাসন করেও এই রোগ দূর করা সম্ভব। নিয়মিত গরম জলে স্নান করার অভ্যাস করুন।
  2. ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বসার অভ্যাসে বদল না আনলে কিন্তু বিপাকে পড়তে হবে। পেশার তাগিদে তেমন ভাবে বসতে হলে মাঝেমাঝেই উঠে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। খানিক ক্ষণ ঘাড়ের ব্যায়াম করে নিতে পারেন। চোখ ও কম্পিউটারের স্ক্রিন যেন সোজাসুজি থাকে, সেই ব্যবস্থা করুন।
  3. আপনি কী ভাবে ঘুমোচ্ছেন, সেটাও কিন্তু ভীষণ জরুরি। উপুড় হয়ে ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হতে হবে। অনেকেই স্পন্ডিলোসিসের সমস্যায় বালিশ ছাড়া ঘুমোন। কখনও ই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন, দেখবেন বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডের উপর আরও চাপ পড়তে পারে।
  4. নিয়মিত গরম জলে স্নান করার অভ্যাস করুন। এতে ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। ব্যথার জায়গায় এক বার গরম জলের সেঁক দিন, সঙ্গে সঙ্গেই আবার ঠান্ডা জলের সেঁক দিন। এই পদ্ধতিতেও ব্যথায় উপশম মেলে।
  5. ব্যথার তীব্রতা যদি অনেক বেড়ে যায়, সে ক্ষেত্রে আকুপাংচার পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন। ব্যথা উপশমে এই পদ্ধতি আদতে অব্যর্থ দাওয়াই।

🛑 অফিস ডেস্কে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই টনটন করে উঠছে পিঠ, কাঁধ।কিংবা বাড়িতেও একটানা টিভি দেখতে গিয়ে বা ঘুম থেকে উঠে ঘাড় ঘোরাতে গেলেই মনে হচ্ছে কলকব্জা বশে নেই। দৈনন্দিন দৌড় ঝাঁপের সময়ও মাঝে মাঝেই টের পান যে ব্যথা, তা আধুনিক জীবনযাত্রার অসুখ বা লাইফস্টাইল ডিজিজ বলছেন চিকিৎসকরা। শিরদাঁড়ার হাড় ক্ষয়ের জানান দেয় অকালেই। সহজ করে বললে, স্পন্ডিলাইটিস বাসা বাঁধছে শরীরে। এ রোগের কোনো বয়সসীমা যেমন নেই, তেমন নেই কোনো লিঙ্গ প্রাধান্যও। শিশুদের বেলাতেও এমন উচ্চতায় টেবিল-চেয়ার দিন, যাতে পড়তে বা লিখতে গেলে খুব ঘাড় ঝোঁকাতে না হয়। এই অসুখ সামলাতে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ।

🇨🇭 কেবল ঘাড়ে ব্যথাই নয়, হাতে এবং ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো বোধ হওয়া মাথা ঘোরার সমস্যাও এই অসুখের লক্ষণ। তবে এ রোগের হাত থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাসও। মাংসপেশিকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন। ছয় ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টা ঘুমোতেই হবে রাতে। বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হোন। অনেকেই বালিশ ছাড়া ঘুমোন। কখনোই বালিশ ছাড়া ঘুমোবেন না। নরম দেখে একটা বালিশ নিন। কেমন বালিশে শোবেন তা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। ঘুম ভাঙার পর পাশ ফিরে উঠুন। সোজা উঠলে মেরুদণ্ডে চাপ পড়বে আরো। রান্না করার সময় একটা চুল ব্যবহার করুন। সাধারণ টয়লেট নয়, কমোডের ব্যবস্থা করুন। কমোড একান্তই না থাকলে প্লাস্টিকের কমোড কিনুন।

🇨🇭 চিকিৎসকের মতে, শুধু ওষুধ খাওয়াই নয়, তার পাশাপাশি কাজ করার ভঙ্গীও বদলাতে হবে। ঘাড় বা পিঠ বেঁকিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসার অভ্যাস বদলাতেই হবে। আমাদের শিরদাঁড়ায় কিছু ডিস্ক রয়েছে তা ব্যবহারের ফলে নষ্ট হতে পারে। এরা আশপাশের হাড় ও মাংসপেশির উপরে চাপ দেয়। পেশার তাগিদে তেমনভাবে বসতে হলে মাঝে মাঝেই উঠে হাঁটতে হবে। ঘাড় এ দিক ও দিক ঘুরিয়ে নিতে হবে, ঘড়ির কাঁটার দিকে ও ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘাড় ঘুরিয়ে ফের সিটে এসে বসুন। চাকা লাগানো ঘোরানো চেয়ারে না বসে চেষ্টা করুন। কাঠের চেয়ারের ব্যবস্থা করতে হবে। চেয়ারে সোজা বসুন। আরাম করে হেলান দিয়ে পিঠকে সাপোর্ট দিয়ে নয়, এতে মেরুদণ্ডকে বেঁকে যেতে থাকে। 20-30 মিনিট অন্তর অবশ্যই চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। খেয়াল রাখবেন বসার সময় পা যেন মাটি ছুঁয়ে থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে রোগীকে বেল্ট, কলার বা বিশেষ ট্রাকশান নেয়ার ব্যায়াম দেওয়া হয়।

🇨🇭 অস্থি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্পন্ডিলাইটিস আসলে শিরদাঁড়ার হাড়ের সমস্যা। জন্মের পর থেকে আমাদের হাড়ের সংযোগস্থল বা অস্থিসন্ধিগুলো যেমন থাকে, তা নিয়েই আমরা বেড়ে উঠি, এ বার সে সব ব্যবহার করতে করতে যন্ত্রের মতোই ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। কখনও আবার অস্থিসন্ধির অঞ্চলে থাকা তরল জেল বাইরে বেরিয়েও আসে। তখনই জানান দেয় ব্যথা। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সারাক্ষণের ব্যথা, ঘাড় নাড়াতে অসুবিধা হওয়া এই রোগের মূল কষ্টের দিক। ঘাড়ের দিকের অংশে এই রোগ হলে তাকে আমরা বলি, Spondylosis – স্পন্ডিলোসিস। আবার শিরদাঁড়ার নিচের দিকের অংশে অর্থাৎ পিঠের নিচের দিকে হলে তাকে আমরা বলি লাম্বার স্পন্ডিলাইটিস।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 Spondylosis – স্পন্ডিলোসিস এর ব্যথায় হোমিও

🩸 কম-বেশি অনেকেরই ঘাড়,পিঠ বা কোমর ব্যথার অভিজ্ঞতা রয়েছে। মেরুদন্ড, ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। বিষেশত বয়ষ্কা মহিলারা ব্যথায় বেশি কষ্ট পায়। আঘাতহীন ব্যথার জন্য প্রাথমিক মেরুদন্ডে হালকা ব্যথা হলেও পরবর্তী সময়ে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরের অন্য অংশে। তাই মেরুদন্ডের ব্যথায় সবার আগে প্রয়োজন রোগ নির্ণয় ও সঠিক-কার্যকর চিকিৎসা। তা না হলে বাড়তে থাকে রোগীর যন্ত্রনা।

🩸মেরুদন্ড সমস্যার লক্ষন :
দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় ঘাড়ে ব্যথা হওয়া, ব্যথা ঘাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে হাতের দিকে ছড়িয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে কাধে ও হাতে ব্যথা ও হাতের বিভিন্ন অংশে ঝিন ঝিন, শিন শিন করা। হাতের বোধশক্তি কমে আসা, পর্যায়ক্রমে হাতের অসারতা ও ধীরে ধীরে হাত দুর্বল হয়ে কার্যক্ষমতা লোপ পায়, চুড়ান্তপর্যায়ে পঙ্গুত্বের দিকে ধাবিত হয়। চলার ও হাটার স্বাভাবিক ভঙ্গির পরিবর্তন হয়ে যায়।

🇨🇭 কোমর ব্যথার লক্ষন:
দাঁড়ানো বা বসা অবস্থায় কোমরে ব্যথা অনুভূত হওয়া, ব্যথা কোমর থেকে আরাম্ভ হয়ে পায়ের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিতম্ব ও পায়ের মাংসোপেশিসহ ব্যথা অনুভূত হয়, পায়ের বিভিন্ন অংশে ঝিন ঝিন, শিন শিন করা,পায়ের বোধশক্তি কমে আসা ও পর্যায়ক্রমে পা দুর্বল হয়ে পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পায়।

🇨🇭 পরামর্শ: ব্যথার নিরাময়ের জন্য রোগীরা সাধারনত ব্যথানাশক ঔষধের ওপর নির্ভর করে তা উপশমরে চেষ্টা করে। নিয়মিত ব্যথানাশক খাওয়ার ফলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। তাই ঘাড় পিঠ বা কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে দ্রত চিকিৎসকের কাছে সরনাপন্ন হওয়া উচিত। ব্যথা বাড়তে থাকলে প্রচলিত অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।

🛑 চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক রোগীর ভাল-মন্দ অবায়ব, সর্বদৈহিক, শারীরিক ও মানসিক কাতরতাসহ যাবতিয় দিক বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়। হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে কাটা ছেড়া-রক্তপাতহীন উপায়ে কোমর ও হাড় ক্ষয়ের ব্যথা আরোগ্য করা সম্ভব। তাই এখানে ওষুধের নাম উল্লেখ করা হলো না।

🛑 সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস ( Spondylosis – স্পন্ডিলোসিস ) এবং হোমিও চিকিৎসা:

🩸 বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের দেহের হাড় গুলো ডিহাইড্রেড এবং সংকোচিত হতে থাকে।যাদের সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস সমস্যাটি রয়েছে তাদের প্রতিনিয়ত যন্ত্রনাদায়ক মুহুর্ত অতিক্রম করতে হয়। হোমিওপ্যাথিতে সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস এর কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা হলো বিজ্ঞানসম্মত ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এবং স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি। লক্ষনভিত্তিক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস সমস্যাটি নিরাময় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
(ডি, এইচ, এম, এস) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!