নারীদের জরায়ু টিউমার এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং

নারীদের জরায়ু টিউমার এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং কি? ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 জরায়ুর টিউমার / ফাইব্রয়েড কি?

🩸 প্রজনন-ক্ষম বয়সের বিভিন্ন পর্বে জরায়ুতে নানা ধরনের টিউমার দেখা দিতে পারে। জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি যে টিউমার দেখা যায়, তার নাম ফাইব্রয়েড বা মায়োমা। 30 বছরের ঊর্ধ্ব নারীদের মধ্যে এ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি।

🩸 ফাইব্রয়েড/টিউমার একধরনের নিরীহ টিউমার, সাধারণত এটি বড় ধরনের বিপত্তি ঘটায় না।

🇨🇭 নারীদের ফাইব্রয়েড / টিউমার কেন হয়?

🩸 জরায়ু মসৃণ পেশি-কোষ দিয়ে তৈরি। এ কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণেই জরায়ুতে ফাইব্রয়েড Fibrosis , তৈরি হয়। ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন সংবেদনশীল হরমোন ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়লে টিউমারের আকার বাড়ে।

🩸 সাধারণত গর্ভকালে ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি পায়। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমলে টিউমারের আকার সংকুচিত হয়, যেমন- মেনোপজের ( মাসিক বন্ধ ) পর এটা ঘটে। তবে মেনোপজের পর হরমোন প্রতিস্থাপন থেরাপি নিলে ফাইব্রয়েডের আকার সংকুচিত হওয়া বিলম্বিত হতে পারে।

নারীদের জরায়ু টিউমার এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং
নারীদের জরায়ু টিউমার এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং কি? ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 নারীদের ফাইব্রয়েড / টিউমার এর লক্ষণ:

🩸এই টিউমার লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও থাকতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সমস্যার জন্য পেটের আলট্রাসাউন্ড করতে গিয়ে ধরা পড়ে। তবে যেসব লক্ষণ দেখা যেতে পারে?

🩸 ঋতুস্রাবের সমস্যা: ঋতুচক্র 05 থেকে 07 দিনের মধ্যে শেষ না হয়ে 07 থেকে 10 দিন পর্যন্ত হতে পারে। চাকা চাকা হিসেবেও রক্তপাত হতে পারে।

🩸 ব্যথাযুক্ত ও অতিরিক্ত পরিমাণে রক্তস্রাব: টিউমারের কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রক্তক্ষরণ হয়। কখনো কখনো অত্যধিক ব্যথা অনুভূত হয়। ফলে রক্তে আয়রনের পরিমাণ কমে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

🩸বন্ধ্যত্ব বা গর্ভপাত: জরায়ুর অভ্যন্তরীণ অংশে ফাইব্রয়েড হলে তা ফেলোপিয়ান টিউবকে বন্ধ করে দেয়, যা গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে বন্ধ্যত্বের কারণ হয়। আবার কখনো ফাইব্রয়েডের কারণে গর্ভপাত হয়।

🩸 ঘন ঘন প্রস্রাব বা কোষ্ঠকাঠিন্য: কখনো ফাইব্রয়েড জরায়ুর সামনে অবস্থিত মূত্রথলিতে চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। কখনো ফাইব্রয়েড জরায়ুর পেছনে অবস্থিত অন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।

🩸সহবাসকালীন ব্যথা: ভ্যাজাইনা- Vagina ( যোনি ) অথবা জরায়ুমুখে টিউমার হলে সহবাসের সময় অস্বস্তি বা ব্যথা হতে পারে।

🩸তলপেট ফোলা বা কোমর ব্যথা: বড় আকারের টিউমারের ক্ষেত্রে অস্বস্তিসহ তলপেট ফুলতে পারে। কোনো কোনো সময় ফাইব্রয়েডের জন্য কোমর ব্যথাও হতে পারে।

🇨🇭 নারীদের ফাইব্রয়েড টিউমার বিভিন্ন রূপে পরিবর্তিত হতে পারে। প্রধানত, ডিজেনারেটিভ, ইনফেকশন অথবা সারকোমেটাজে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সারকোমেটাজ বা জরায়ু ক্যানসারে রূপ নেয় মাত্র 0 দশমিক 01 শতাংশ ক্ষেত্রে। তাই ক্যানসার হয়ে যাবে বলে এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

🇨🇭 যদি চিকিৎসার পর আবারও সমস্যা ফিরে আসে বা খুব দ্রুত টিউমার বড় হয়ে যায় কিংবা মেনোপজের পর আবার রক্তক্ষরণ শুরু হয়, তবে ক্যানসার সন্দেহ করা যেতে পারে। টিউমার অতি দ্রুত বড় হতে থাকলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

🇨🇭 নারীদের ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) কাকে বলে?

🩸গর্ভধারণ হয়েছে কি না জানার জন্য যতগুলি লক্ষ্মণ আছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ( ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং ) বা গর্ভ-রোপণের রক্তক্ষরণ। প্রতি তিন জন প্রসূতির মধ্যে এক জনের এই উপসর্গ হয়।

🩸 সাধারণত ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলনের 10-14 দিনের মাথায় নিষিক্ত ডিম জরায়ুর গায়ে নিজেকে রোপণ করে। তখন নিষিক্ত ডিমের নড়াচড়ার জন্য জরায়ুর দেওয়ালের রক্ত-জালিকা ভেঙে হালকা রক্তক্ষরণ হয়। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় এবং এর জন্য চিন্তা করার দরকার নেই।

🩸অধিকাংশ সময় এই রক্তক্ষরণ এতটাই কম হয় যে নজরেও আসে না। তাই গর্ভধারণ হয়েছে কি না জানার জন্য ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এর অপেক্ষা করে বসে থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আবার অনেকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিংকে মাসিক ঋতুস্রাবের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন সময়ের আগে হয়ে গিয়েছে ভেবে। সেক্ষেত্রে সন্তান-সম্ভবা হওয়া সত্ত্বেও তা অজানা থেকে যায়। আরও অনেকদিন পর যখন সত্যি-টা সামনে আসে তখন সন্তানের জন্মগ্রহণের সময় নির্ধারণে – ডিউ ডেট, সমস্যা হয়।

🇨🇭 ইম-প্লান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) দেখতে কেমন হয়?

🩸মহিলাদের ঋতুস্রাবের কাছা কাছি সময়েই ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হয় বলে অনেকসময় দু’টোকে আলাদা করা যায না বা গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে। ঋতুস্রাব ওভ্যুলেশনের 14 দিন পরে হয় আর ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং 8-10 দিনের মাথায় হয়। কিন্তু ঋতুস্রাবের থেকে চরিত্রে, দেখায় অনেকটাই আলাদা ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং। প্রথমত- ঋতুস্রাবের ক্ষেত্রে রক্তের রং- গাঢ় টকটকে লাল। সেখানে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং-এ ফ্যাকাশে গোলাপী বা লালচে বাদামি রঙের ছোপ হয়। ঋতুস্রাবে অনেকেরই ক্লটিং হয়। ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং-এ কোনও ক্লটিং থাকে না। আর একটা বড় পার্থক্য হল পরিমাণের। ঋতুস্রাবে টানা তিন থেকে 5/6 দিন রক্তপাত হয়।

🩸 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এ কিন্তু টানা রক্তক্ষরণ হয় না, কিছু সময় অন্তর বা মৃদু রক্তক্ষরণ হয়। অন্তর্বাসে হালকা লালচে বা বাদামি ছোপ থাকে কিংবা যোনি-দেশ মোছার সময় হয়তো দাগ চোখে পড়ল। অনেক সময় সেটা এতটাই নগণ্য হয় যে নজরেও আসে না।

নারীদের জরায়ু টিউমার এবং ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং

🇨🇭 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) কতদিন থাকে?

🩸 সাধারণত ওভ্যুলেশনের 08 থেকে 10 দিন ( 06-12 দিনেও হতে পারে ) পরে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং হয় এবং 01 থেকে 02 দিন থাকে। ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং কম করে কয়েক ঘণ্টার জন্য থেকে খুব বেশি হলে 02 থেকে 03 দিন থাকতে পারে। তবে 05 দিন পর্যন্ত ও ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং হয়েছে, এমন উদাহরণ আছে। কিন্তু 03 বা 05 দিন ধরে হলেও কখনও-ই এক টানা রক্তপাত হয়ে যাবে না। বরং অনেকটা সময় অন্তর এবং খুবই কম রক্তপাত হবে।

🩸 প্রথমবার গর্ভবতী হলে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং এ তুলনায় একটু বেশি রক্তপাত হয়।

🇨🇭 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এর উপসর্গ কি?

🩸 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং নিজেই গর্ভধারণের উপসর্গ। তাই সেই অর্থে এর কোনও লক্ষ্মণ নেই। ঋতুস্রাবের কাছাকাছি সময়ে এটা হয় বলে অনেকসময় বোঝা যায় না। সেই জন্য কিছু লক্ষ্মণের উল্লেখ করা হল, যেগুলি রক্তক্ষরণের সঙ্গে হলে বুঝতে হবে ঋতুস্রাব নয়, ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং!

  • 🛑 তলপেটে সামান্য ব্যথা, তবে ঋতুস্রাবের সময় যতটা ব্যথা হয় ততটা নয়।
  • 🛑 মেজাজ পরিবর্তন, এই হাসিখুশি, এই মুখ ভার।
  • 🛑 দুর্বলতা, মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি।
  • 🛑 বমি ভাব।
  • 🛑 স্তনের আকার বৃদ্ধি ও নরম ভাব।
  • 🛑 পিঠের নীচের দিকে ব্যথা।
  • 🛑 ঘন ঘন প্রস্রাব।
  • 🛑 খিদে বেড়ে যাওয়া।

🇨🇭 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) এ কখন চিন্তার কারণ হয়?

🩸 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং এ চিন্তার কারণ নেই। তবে, ঋতুস্রাবের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও হালকা স্পটিং হলে সেটা চিন্তার। কারণ সেটা ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং নয়। সেটা গর্ভধারণে রক্তপাতের সমস্যা বা অন্য কোনও স্ত্রী রোগ সমস্যা। নানা কারণে এটা হতে পারে। স্ত্রী জননাঙ্গ পরীক্ষা করার সময় কোনও আঘাত লাগলে, যৌনসংসর্গে আঘাত লাগলে, ভারী জিনিস তোলার ব্যায়াম করলে বা যোনিতে সংক্রমণ থেকে। হালকা ছোপ না হয়ে বেশি রক্তপাত হলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে। আবার যাদের ক্লান্তি, বমি ভাবের সঙ্গে দুর্বলতা, তলপেটে ব্যাথা বিশেষ করে একদিকে ব্যথা হচ্ছে এবং সেই ব্যথা বেড়ে চলেছে, তাদের ইক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রক্তপাতের পরিমাণও ক্রমশ বাড়তে থাকবে। তাই ঋতুস্রাবের আগে হোক বা পরে, যোনিতে রক্তক্ষরণ অস্বাভাবিক হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া ভাল।

🇨🇭 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এর সময় কি প্রেগন্যান্সি টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসবে?

🛑 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) এর সময় বাড়িতে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে দেখা যেতে পারে। কারণ এই টেস্টে HCG – Hormone, হরমোনের উপস্থিতি দেখা হয়, যা মূলত ভ্রূণ জরায়ুর গায়ে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করার পরে উৎপাদিত হয়। অর্থাৎ যে কারণে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হচ্ছে, সেটাই এই হরমোন উৎপাদনের শুরুর সময়। কিন্তু মনে রাখতে হবে বেশি আগে টেস্ট করলে ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসতে পারে। কারণ এই সময় শরীরে সবে HCG Hormone, উৎপাদন শুরু হয়।

🇨🇭 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হলে কী করা চলবে না?

🛑 এই সময় একটু বিশ্রামে থাকতে পারলেই ভাল। এই সময় ভারী জিনিস তোলা বা হাই ইমপ্যাক্ট কার্ডিও করতে বারণ করা হয়। এর ফলে ইউটেরাইন কনট্র্যাকশন হতে পারে যেটা ভ্রূণ প্রতিস্থাপনে বাধা দেবে। কয়েকটা দিন অপেক্ষা করার পর আবার স্বাভাবিক শরীর চর্চার রুটিনে ফেরা যাবে।

🇨🇭 কী ভাবে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং থামানো যাবে?

🛑 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং নিজে থেকেই থেমে যায় 01- 02 দিনের মধ্যে। এটা থামানোর জন্য কোনও চিকিৎসার দরকার নেই। তবে রক্তক্ষরণ না থেমে উল্টে বেড়ে চললে এবং তার সঙ্গে আনুষঙ্গিক ব্যথা, বমিভাব বা শারীরিক অস্বস্তি থাকলে সেটা চিন্তার কারণ। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেক্ষেত্রে।

🇨🇭 ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হলে কোন খাবার না খাওয়া ভাল?

🛑 মদ্যপান এবং অতিরিক্ত সুগার, আছে এমন খাবার এই সময় শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। প্রক্রিয়াজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত মাংস না খাওয়া ভাল।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 কতটা রক্তপাত ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এ স্বাভাবিক ?

🛑 এটা প্রসূতি বিশেষে নির্ভর করে। সকলের শরীর এক নয়। কারও ইমপ্ল্যান্টেশনের সময় সামান্য স্পটিং হয়, কারও 02 দিন ধরে হালকা রক্তপাত হয় আবার কারও নজরেই আসে না। রক্তপাত না হওয়া থেকে হালকা রক্তক্ষরণ হল স্বাভাবিক। 2/3 দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও রক্তপাত হতে থাকলে এবং তা বাড়লে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ  জরায়ু মুখের ক্ষত ও প্রদাহে || Cervicitis best homeo treatment || 01907-583252

🇨🇭 ঋতুস্রাব হওয়ার আগেই কেন স্পটিং হচ্ছে ?

🛑 অনেক কারণেই ঋতুস্রাবের আগে মেয়েদের স্পটিং হতে পারে। ভয় না পেয়ে এর কারণ বোঝার চেষ্টা করুন:

🩸 ঋতুস্রাবের এখনও বেশ কিছু দিন বাকি। অথচ বাথরুমে গিয়ে দেখলেন সামান্য রক্ত লেগে রয়েছে অন্তর্বাসে। তারপর বাকি দিনটায় আর এমন কিছু হল না। ফের পরদিন একই কাণ্ড। দিনে খুব অল্প সময়ের জন্য 01 ফোঁটা, 02 ফোঁটা রক্ত। বাকি সময়টা আর কোনও রকম ব্লিডিং নেই। এই সমস্যার নাম স্পটিং। বহু মেয়েরই এমন হয়ে থাকে মাঝে মাঝে। কেন এমন হতে পারে, জেনে নিন:

🩸গর্ভনিরোধক ওষুধ: প্রথম কোনও রকম হরমোনের ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা হঠাৎ ওষুধ পাল্টালে বা ঠিক মতো রোজ ওষুধ না খেলেও স্পটিং হতে পারে।

🩸ওভিউলেশন: অনেকে মেয়েরই ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময়ে অল্প স্পটিং হতে পারে। রক্তের রঙের চেয়ে একটু ফিকে হয় এর রং, ঋতুস্রাবের প্রথম দিনের 11 দিন থেকে 21 দিনের মধ্যে যে কোনও সময় এমন হতে পারে।

🩸অন্তঃসত্ত্বা হলে: ভ্রুণ যখন প্রথম জরায়ুর দেওয়ালে প্রবেশ করে অনেকের সেই সময়ে সামান্য স্পটিং হতে পারে। তবে এটি সকলের ক্ষেত্রে হয় না। স্পটিং হওয়া মানেই ধরে নেবেন না আপনি অন্ত:সত্ত্বা।

🩸অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায়: বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অন্ত:সত্ত্বা মেয়েদের স্পটিং হচ্ছে। বিশেষ করে প্রথম 03 মাসে। এমনিতে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু স্পটিং বেড়ে যদি অনেক রক্তপাত হয়, তা হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যেতে হবে। গর্ভপাত বা টিউবাল প্রেগন্যান্সির কারণ হতে পারে সেটি।

🩸জরায়ুতে জটিলতা: ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। পলিসিস্টিক ওভারি, এনড্রোমেট্রিয়োসিস বা অন্য কোনও টিউমার হলেও এই সমস্যা হঠাৎ দেখা দিতে পারে।

🩸 মানসিক চাপ: অনেক সময়ে মানসিক চাপ বাড়লে বা রোজকার রুটিনে খুব গোলমাল হলেও স্পটিং হতে পারে মেয়েদের

🩸যৌনরোগ: গনোরিয়ার মতো যৌনরোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। পাশাপাশি অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কিনা খেয়াল করুন।

🇨🇭 কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন?

🩸 এমনিতে স্পটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ হয়ে যায় এই সমস্যা। কিন্তু স্পটিং হওয়া কালীন অন্য কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না, খেয়াল করতে হবে। যেমন: জ্বর, খুব বেশি রক্তপাত, পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা, অল্পতেই কেটে যাওয়া, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং এবং আপনার পিরিয়ডের মধ্যে পার্থক্য কীভাবে করবেন?

🩸আপনি যখন গর্ভবতী হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, তখন ওভুলেশন এবং একটি পজিটিভ হোম প্রেগন্যান্সি টেস্ট বা আপনার পিরিয়ড এর মাঝের দুই সপ্তাহকে অনন্তকাল মনে হয়। অন্যান্য বেশিরভাগ মহিলার মতো, আপনি শরীরের প্রতিটি ব্যথা, ঝাঁকুনি এবং লালসা সম্পর্কে অতিরিক্ত সচেতন হয়ে, এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ কিনা সেটি ভাবতে ভাবতে এই সময়গুলি কাটিয়ে ফেলবেন।

🩸গর্ভাবস্থার সবচেয়ে বড় লক্ষণগুলির মধ্যে অন্যতম হল রক্তপাত। আপনার যদি কিছু হালকা স্পট দেখা যায়, তাহলে কি এটির কোনো অর্থ থাকে? যদিও এটা বলা কঠিন, তবু অনেক মহিলা যারা সুস্থ, স্বাভাবিক গর্ভধারণ করেন, তাদের ভ্রূণ জরায়ুর মধ্যে একপাশে থাকাকালীন সময়ে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং হয়।

শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🛑 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং কি?What Is Implantation Bleeding?

🩸ওভুলেশনের পরে এবং সেই মুহূর্তে একটি ডিম্বাণু যখন সফলভাবে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তখন ভ্রূণটি বিভাজিত হতে এবং বৃদ্ধি পেতে শুরু করে এবং গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য একজন মহিলার শরীরে সংকেত পাঠায়। এর বদলে, জরায়ুর দেওয়াল, যাকে এন্ডোমেট্রিয়াম বলা হয়, সেটি পরিবর্তন হতে শুরু করে, তারা ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ মেন্সট্রুয়াল সাইকেল জুড়ে পুরু হয়ে আসছে, কিন্তু নয় মাস ধরে একটি ভ্রূণের রক্ষা ও পুষ্টির জন্য তাদের আরও বেশি বৃদ্ধি পেতে এবং পরিপক্ক হতে হবে।

🩸নিষিক্তকরণ প্রক্রিয়ার ছয় থেকে 12 দিনের মধ্যে যে কোনো সময়ে, দ্রুত-বর্ধনশীল ভ্রূণটি ফ্যালোপিয়ান টিউবের মধ্যে দিয়ে নিচে জরায়ুতে চলে গেছে। এখন এটির আরও বেশি পুষ্টির প্রয়োজন হতে শুরু করেছে, এবং এন্ডোমেট্রিয়ামটি ভ্রূণকে সাপোর্ট করার জন্য এখন যথেষ্ট পরিমাণে পূর্ণ হয়েছে। এই পর্যায়ে, ভ্রূণ নিজেই এন্ডোমেট্রিয়ামের সাথে সংযুক্ত হয়, যেখানে এসে এটি পুষ্টি এবং অক্সিজেনের জন্য, প্রথমবারের মতো – মায়ের শরীরের উপর নির্ভরশীল হয়। যাইহোক, যখন ভ্রূণ জরায়ুতে প্রবেশ করে, যার ফলে কখনও কখনও ছোটো রক্তনালীগুলি ফেটে যায়, আর তখনই ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং ঘটে।

🛑 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং কখন হয়? When Does Implantation Bleeding Occur ?

  • 🩸 যখন ভ্রূণটি জরায়ুর লাইনিংয়ে প্রতিস্থাপিত হয়, তখন যেখানে এটি গর্ত করে, ছোট রক্তনালীগুলি সেই জায়গায় ব্যাহত হয়। যাইহোক, এটি কোনো সমস্যা সৃষ্টি করবে না- এন্ডোমেট্রিয়াম সেরে যায়, তবে কিছু মহিলা গোলাপী বা লাল থেকে শুরু করে বাদামী স্রাবসহ হালকা রক্তপাত অনুভব করবেন।
  • 🛑 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং কতক্ষণ স্থায়ী হয়? How Long Does Implantation Bleeding Last?
  • 🩸তথাকথিত এই ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং সম্ভবত আপনার প্রত্যাশিত মাসিক প্রবাহের ( সাধারণত গর্ভধারণের প্রায় পাঁচ থেকে 10 দিন পরে ) আগে আসবে।
  • 🛑 ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং কীভাবে চিনতে হয়? How To Recognize Implantation Bleeding?
  • 🩸যেহেতু ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) এমন একটি উপসর্গ যা প্রায়ই আপনার প্রেগন্যান্সি টেস্টের পজিটিভ ফলাফলের আগে ঘটতে পারে, তাই হালকা রক্তপাত হওয়া গর্ভাবস্থার কোনো প্রাথমিক লক্ষণ নাকি আপনার পিরিয়ড এর স্বাভাবিক স্পট, তা জানা কঠিন। এবং দুর্ভাগ্যবশত, এটি খুঁজে বের করার কোন চূড়ান্ত উপায় নেই।

🇨🇭 প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মহিলা, যারা ইমপ্লান্টেশনের ব্লিডিংয়ের ( Implantation Bleeding ) অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন, তারা এটিকে তাদের স্বাভাবিক প্রি- মেন্সট্রুয়াল, স্পটিং থেকে আলাদা বলে বর্ণনা করেছেন- কেউ কেউ বলেন যে এই রক্তটি স্বাভাবিক সময়ের পিরিয়ডের রক্তের তুলনায় আরো গাঢ় এবং এটি লাল রঙের নয়। অন্যদের স্পটিংয়ের সাথে সাথে এই একই সময়ে হালকা ক্র্যাম্পিংও হয়েছে। কিন্তু অনেক মহিলার কাছে, এই দুই ধরনের রক্তপাত একেবারেই আলাদা নয়। এই কারণেই ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) বনাম মিস করা পিরিয়ডের মধ্যে পার্থক্য বলা খুবই কঠিন। সুতরাং, যদি আপনি ধরে নেন যে কিছু স্পটিং এর অর্থ – ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং এবং এর কয়েক দিন পরেই আপনার পিরিয়ড হয়, অথবা আপনি যদি ধরে নেন যে ইমপ্ল্যান্টেশন ব্লিডিং ( Implantation Bleeding ) হলো স্বাভাবিক স্পটিং এবং শেষ পর্যন্ত আপনি গর্ভবতী! তাহলে আপনি একা নন!

🛑 ডাক্তারের সাথে কখন দেখা করা উচিত?

🩸 ইমপ্ল্যান্টেশন ছাড়া অন্য সময়ে গর্ভাবস্থায় হালকা রক্তপাত প্রায়ই স্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে বিবেচিত হয়। এর কারণগুলির মধ্যে একটি পেলভিক এক্সাম বা শ্রোণী পরীক্ষা, যৌনমিলন বা যোনিতে সংক্রমণের পরে সারভিক্স বা জরায়ুর অস্বস্তির মতো সাধারণ জিনিসগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কিন্তু যেহেতু কখনও কখনও একটি পজিটিভ প্রেগন্যান্সি টেস্টের পরে রক্তপাত হওয়া একটোপিক গর্ভাবস্থা, মোলার গর্ভাবস্থা বা গর্ভপাতের একটি চিহ্ন হতে পারে, তাই আপনি যদি এটি অনুভব করেন, তাহলে সর্বদা আপনার চিকিৎসা প্রদানকারীকে কল করা উচিত যাতে আপনি অন্য যেকোনো উপসর্গগুলির বিষয়ে কথা বলতে পারেন। খুব বেশি চিন্তা করবেন না, যদি রক্তপাত হালকা হয় এবং এটি দীর্ঘস্থায়ী না হয় তাহলে সবকিছু ঠিক আছে।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল- 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!