হুনজা- Hunza উপজাতিদের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য, কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রন।

হুনজা- Hunza উপজাতিদের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য, কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রন।

🇨🇭 মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যে হুনজা Hunza উপজাতি:

❣ হুনজা উপজাতিদের বসবাস পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশে।

❤ এ উপজাতির মানুষদের 165 বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার রেকর্ড রয়েছে। এবং একজন 90 বছরের বৃদ্ধও বাবা হওয়ার ক্ষমতা রাখেন, এমনকি একজন 70 বছরের নারীও অনায়াসে গর্ভবতী হন ও বাচ্চা প্রসব করেন।

❤ 2000- সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, ( হুনজা – Hunza ) উপত্যকাতে প্রায় 87 হাজার হুনজার বাস। এঁরা ইসলাম ধর্মের শিয়া সম্প্রদায় ভুক্ত নিজামী ইসমাইলি ধারার অনুসারী। কথা বলেন “বুরুশাসকি” ভাষায়। স্থানীয় লোকগাথা বলে, এঁরা একসময় হারিয়ে যাওয়া শাংগ্রিলা সাম্রাজ্যের বাসিন্দাদের উত্তরপুরুষ, যদিও তা অনেক গবেষক মেনে নিতে রাজি নন।

❤ ( হুনজা – Hunza ) জনগোষ্ঠীর দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য নিয়ে প্রায় একশ বছর ধরে চর্চা চললেও, তা বিশ্বের কাছে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে 1984 সালে। ইংল্যান্ডের হিথরো বিমানবন্দরে পাকিস্তান থেকে আসেন – সৈয়দ আব্দুল মবুদু নামে এক বৃদ্ধ হুনজা। পাসপোর্টে তাঁর জন্ম তারিখ দেখে চমকে যান ইমিগ্রেশন অফিসাররা। পাসপোর্টে সৈয়দ আব্দুল মবুদু্র জন্ম সাল দেওয়া ছিল 1832, মানে তার বয়স তখন ছিল 152 বছর। ইমিগ্রেশন অফিসাররা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে মানুষ এতদিন বাঁচতে পারে। সংবাদমাধ্যমের কল্যাণে সাড়া পড়ে যায় বিশ্বে। গবেষকরা দলে দলে আসতে শুরু করেন হুনজা উপত্যকায়।

❤ হুনজারা দিনে মাত্র 02 বার খাবার খান। সূর্য ওঠার পরে একটা ভারি ব্রেকফাস্ট ও সূর্যাস্তের পরেই হালকা ডিনার করে নেন। এর মাঝে হুনজারা আর কোনও খাবার খান না। তবে সম্পুর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খান এবং প্রত্যেকটি ( হুনজা – Hunza ) পরিবার নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্যশষ্য ও সবজি নিজেরা উৎপাদন করে নেন।

❤ হুনজারা তাদের খাদ্যতালিকায় রাখেন প্রচুর পরিমাণে শুকনো অ্যাপ্রিকট, লেবু জাতীয় ফল, বাদাম, শিম, ভুট্টা, বার্লি ও বাজরার মতো শস্য। মাখন, পনির, ডিম ও দুধ তুলনায় কম খান হুনজারা। মাংস প্রায় খানই না। খেলেও বছরে এক দুবার ভেড়া বা মুরগির মাংস খান। অন্য কোনও মাংস খান না। এছাড়াও, তুমুরু- নামে, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এক প্রকার উদ্ভিদের পাতা ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করেন হুনজারা।

❤ প্রাচীন রীতি মেনে, হুনজারা বছরে চার মাস শুকনো অ্যাপ্রিকট ফলের গুঁড়োর শরবত ছাড়া আর কিছু খান না। দুর্গম স্থানে বাস করার কারণে এবং বিভিন্ন কাজে প্রতিদিনই হুনজাদের প্রায় 15 থেকে 20 কিলোমিটার হাঁটতে হয়। এ ছাড়া হুনজারা সব কথাতেই হাসেন। হাসি ঠাট্টা তামাসা তাঁদের জীবনের অন্যতম অঙ্গ। গোমড়ামুখের হুনজাকে দেখতে পাওয়া বিরল ব্যাপার।

❤ অনেক গবেষক মনে করেন, হুনজাদের দীর্ঘায়ু ও বেশী বয়সেও কর্মক্ষম থাকার পিছনে অ্যাপ্রিকট ফলটির ভূমিকা আছে। কারণ অ্যাপ্রিকট ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিগডালিন ( ভিটামিন- B17 ) আছে, যা ক্যানসার ও অনান্য রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। হুনজারা বছরে চার মাস সারাদিন শুধু অ্যাপ্রিকটের শরবত খান বলে, তাঁদের শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধে না। এই গবেষকদের মতে, হুনজারাই সম্ভবত বিশ্বে একমাত্র ( ক্যানসার-টিউমার, ফ্রি ) সম্প্রদায়।

হুনজা- Hunza উপজাতিদের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য, কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রন।

❤ আরেক দল গবেষক মনে করেন, হুনজাদের দীর্ঘ জীবন আর নিরোগ থাকার পিছনে আছে দূষণমুক্ত বাতাস, হিমবাহ থেকে আসা প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার, সারাবছর হিমশীতল জলে স্নানের অভ্যাস। শীতকালে হুনজা ( হুনজা – Hunza ) উপত্যকা বরফে ঢেকে যায়, তখনো হুনজারা গরম জলে স্নান করেন না। এবং হুনজারা খান কম, কিন্তু পরিশ্রম করেন বেশি।

❤ কিছু গবেষক বলছেন Hunza হুনজারা নিরুত্তাপ ও উদ্বেগহীন জীবনযাপনে অভ্যস্ত। তাই তারা মানসিক চাপের সঙ্গে যুক্ত অসুখবিসুখে ভোগেন না। তারা শিশুদের মতোই জীবন যাপন করেন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেন। এটাই তাদের দীর্ঘায়ু হওয়ার রহস্য। অসামান্য রুপবতী হন হুনজা নারীরা।

❤ এই গ্রামের নারীদের 70 বছরেও থাকে ভরা যৌবন, দেখতে হুবহু 16 বছরের তরুণীর মতো।

❤ এই গ্রহের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও সুখী মানুষ হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের Hunza হুনজা উপজাতিরা। এই উপজাতিরা বুরুশো নামেও পরিচিত। তারা হিমালয়ের উচ্চভূমিতে বাস করেন। পাকিস্তানের হুনজা, চিত্রাল, নগর ও গিলগিট-বালতিস্তানের উপত্যকায় বসবাস করে এই উপজাতিরা। হুনজা সম্প্রদায়ের গড় আয়ু জানলে আপনি রীতিমতো বিস্মিত হবেন!

❤ পাকিস্তানের হুনজা- Hunza উপজাতিরা এমনকি তারা নাকি কখনো বৃদ্ধও হন না। হুনজা- Hunza উপজাতির নারীরা 70 বছরেও দেখতে ঠিক ‘তরুণীর’ মতো। দীর্ঘ ও সুখী জীবনযাপনের কারণে হুনজারা সারা বিশ্বের মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে। জানলে অবাক হবেন, তাদের গড় আয়ু 100 বছর। আবার কেউ কেউ নাকি 120 বছরও ছাড়িয়ে যায়। এ পর্যন্ত বিশ্বের অনেক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক হুনজা উপজাতির মানুষদের নিয়ে নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা ও গবেষণা করে চলেছেন।

❤ অনেক গবেষকরা তাদের আয়ু সম্পর্কে খোঁজার জন্য হুনজা বাসীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন বসবাসও করেছেন। এমনই এক বিজ্ঞানী ডক্টর রবার্ট ম্যাক্রিসন। যিনি বেশ কয়েক বছর ধরে হুনজাদের সঙ্গে বসবাস করেছিলেন।

❤ তিনি পরবর্তী সময়ে জানান, সেখানে কয়েক বছর বসবাস করার পরও তিনি কোনো ক্যানসার, পেটের আলসার, অ্যাপেনডিসাইটিস বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে খুঁজে পাননি। যা সত্যিই আশ্চর্যজনক!

❤ আরেক বিজ্ঞানী ডক্টর হেনরি কোয়ান্ডাও তাদের সঙ্গে বসবাস করেছেন। তিনি হিমবাহের পানি নিয়ে গবেষণা করেছিলেন, যা হুনজারা নিয়মিত গোসল ও পান করেন। কোয়ান্ডা গভীর গবেষণা চালিয়েছেন ও হুনজাদের পানির উপর একটি বই লিখেন। যেখানে তিনি উপজাতির দীর্ঘায়ু হওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ বর্ণনা করেছেন।

❤ হুনজার অধিবাসীদের আয়ুষ্কাল বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের কাছে একটি রহস্য হয়ে আছে। কেন তারা এই দীর্ঘায়ু উপভোগ করেন সেটি জেমস হিলটনের ‘লস্ট হরাইজন’ উপন্যাসের বিষয়বস্তু ছিল।

❤ হুনজা উপত্যকায় হুনজা বা বুরশো নামে একটি জনগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে এই দীর্ঘায়ু লক্ষ্মণ দেখা গিয়েছে বলে জানা গেছে। এখানকার 70 বছরের রমনীরাও দেখতে তরুণীর মতো।

❤ এই অঞ্চলটি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট প্রদেশে। এখানকার হুনজা উপত্যকায় হুনজা বা বুরশো নামে একটি জনগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করেন। তাঁদের মধ্যে এই দীর্ঘায়ু লক্ষ্মণ দেখা গিয়েছে বলে জানা গেছে। এখানকার 70 বছরের রমনীরাও দেখতে তরুণীর মতো। আর এ জন্য বিশ্বের মানুষের কাছেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।

❤ হুনজা জনগোষ্ঠীর এই দীর্ঘায়ুর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে আশির দশকে।

❤ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখতে পারেন টাকা-পয়সা, এই গ্রামে কখনও চুরি হয় না! একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, পাকিস্তানে অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষের গড় বয়স 67 বছরের কাছাকাছি। সেখানে হুনজা উপত্যকার মানুষের গড় বয়স প্রায় 120। এত বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচার রসায়ন কী? এ নিয়ে ইতিমধ্যে গবেষণাও শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত হুনজা উপত্যকার মানুষের হাঁটার মধ্যে লুকিয়ে আছে দীর্ঘদিন বাঁচার রসদ। জানা গেছে, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যেকোনও কারও কাছে দিনে 10 থেকে 15 কিলোমিটার হাঁটা দুধভাত। অনায়াসে পিঠে বহন করতে পারেন 40 কেজি ওজনের বস্তা।

হুনজা- Hunza উপজাতিদের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য, কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রন।

❤ হুনজা – Hunza , উপজাতিদের দৈনন্দিন খাদ্য অভ্যাস এবং জীবনধারার পদ্ধতি তাদের শরীরে কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রনে থাকে যার কারনে হুনজারা প্রফুল্লময় জীবনযাপন করে এবং দীর্ঘায়ু লাভ করে।

🇨🇭 মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে কর্টিসলের মাত্রা কম রাখার অভ্যাস, গড়তে পারলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

🇨🇭 কর্টিসল – Cortisol Hormone, কে – ( স্ট্রেস – Stress ) বা মানসিক চাপের হরমোন বলা হয়।

🇨🇭 কারণ প্রাথমিকভাবে কর্টিসল – Cortisol Hormone, মানসিক চাপ তৈরিতে ভূমিকা রাখে।

🇨🇭 যদিও কর্টিসল – Cortisol Hormone, হরমোন নিয়ে নেতিবাচক কথা বেশি বলা হয়। তবে এর প্রয়োজনীয়তাও কম নয়।

🇨🇭 Cortisol Hormone, কর্টিসল হরমোনের কাজ:

( Kidney – বৃক্কের ) ওপরে থাকা অন্ত: ক্ষরা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হওয়া কর্টিসল হরমোন মানব দেহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বলেন মার্কিন নিবন্ধিত স্থুলতা ও এই সম্পর্কিত সমস্যা বিষয়ক চিকিৎসক কেভিন হাফম্যান।

🇨🇭 রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন- ( Cortisol Hormone হরমোন বিপাক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রদাহ কমানো ও স্মরণশক্তি গঠন করতে কাজ করে )।

🇨🇭 জরুরি বা ভয়ের পরিস্থিতিতে, অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি এই হরমোনের নি:সরণ ঘটায় রক্ত প্রবাহে, ফলে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য, এটা দেহের স্বাভাবিক আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা। ( হয় মর নয় তো মার ) এরকম আরকি।

🇨🇭 বেঁচে থাকতে তাই ( Cortisol Hormone ) কর্টিসল হরমোনের এই উপকারের কথা জানার পর, মনে হতেই পারে এটা খুব একটা খারাপ নয়।

🇨🇭 তবে সমস্যা তখনই শুরু হয় যখন অতি মাত্রায় কর্টিসল হরমোন উৎপন্ন হয় বা স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরে যায় না।

🇨🇭 রক্ত প্রবাহে অতি মাত্রায় এই হরমোনের উপস্থিতি মানসিক ও শারীরিক অবস্থার জন্য ক্ষতিকর।

আরো পড়ুনঃ  ট্রমাটিক ব্রেন ইনজুরি | Traumatic Brain Injury | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 উচ্চ মাত্রায় কর্টিসল থাকার লক্ষণ:

🇨🇭 Cortisol Hormone কর্টিসলের জোয়ার-ভাটা প্রাকৃতিভাবেই দেহে ঘটতে থাকে। আর মানসিক চাপে ভুগলে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে উদ্ধার পাওয়া যায়।

🇨🇭 তবে অতিরিক্ত ও অনেকদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে ধরে নেওয়া যেতে পারে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা দেহে বেশি মাত্রায় রয়েছে। এক্ষেত্রে রক্ত, প্রস্রাব ও লালা পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব – বলেন ডা. হাফম্যান।

হুনজা- Hunza উপজাতিদের দীর্ঘ আয়ুর রহস্য, কর্টিসল হরমোন নিয়ন্ত্রন।
🇨🇭 এছাড়াও অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে আছে:

🩸 ঘুমের সমস্যা: মানসিক চাপে থাকলে ভালো ঘুম হয় না। হয়ত ঘুমাতে সমস্যা হয়, ঘুম আসে না, অথবা দুটোই ঘটে।

🩸 পেশির দুর্বলতা: দেহের প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেইট প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলে কর্টিসল। যদি সাধারণ ব্যায়াম করার পরে দুর্বল ও অবসন্ন অনুভূত হয় তবে হতে পারে সেটা কর্টিসল বৃদ্ধি কারণ।

🩸 উৎকণ্ঠা: হয়ত অস্বস্তি বোধ হবে, হৃদগতি অস্বাভাবিক বা বুক ধরফর করতে পারে, নি:শ্বাস নিতে সমস্যা মনে হবে।

🩸স্মরণশক্তি: কোনো কিছু মনে করা ও মনোযোগ দেওয়া কষ্টকর মনে হবে।

🩸সব সময় শীত লাগা: অতিমাত্রায় থাকা কর্টিসল- Cortisol Hormone, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে। যে কারণে ভাইরাস ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেহের কমে যায়।

🩸 ইরিটেবল বাওয়েল সিস্টেম: অন্ত্রের মাইক্রো-বায়োম’য়ের সাথে স্নায়ুতন্ত্রের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। মানসিক চাপ অন্ত্রের নড়াচাড়ায় প্রভাব ফেলে যে কারণে হজম জনিত নানান সমস্যা দেখা দেয়।

🩸 নারীদের অতিরিক্ত লোম গজানো: উচ্চ মাত্রায় কর্টিসল- Cortisol Hormone, থাকার কারণে লোমকূপ অতিসক্রিয় হয়ে যায়। ফলে অনেক নারীর গোঁফের রেখা দেখা দেওয়া সহ দেহের বিভিন্ন জায়গায় লোম গজানোর পরিমাণ বেড়ে যায়।

🇨🇭 দীর্ঘমেয়াদে উচ্চ মাত্রায় কর্টিসলের প্রভাব:

কর্টিসল Cortisol Hormone, প্রয়োজনীয় হলেও এর উচ্চ মাত্রা ও দীর্ঘকাল মানসিক চাপে ভুগলে দেহের অন্যান্য হরমোন প্রক্রিয়াতে বাধা দেয়। যেমন: বিপাকপ্রক্রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ও জন্ম দেওয়া ক্ষমতায় বিরুপ প্রভাব ফেলে।

🩸 যৌন তাড়না কমায়: সব সময় কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকার ফলে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যেতে পারে। বেশি মাত্রায় উৎপন্ন করতে করতে অ্যাড্রিনাল গ্রন্ত্রি এক সময় আর এই হরমোন পর্যাপ্ত হারে তৈরি করতে পারে না। ফলে কর্টিসলের মাত্রা কম থেকে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যায়।

🩸 মাসিক অনিয়মিত বা বন্ধ হওয়া: মানসিক চাপে থাকার কারণে অতিরিক্ত এন্ডোর্ফিন্স এবং কর্টিসল উৎপন্ন হয়, যা ডিম্বস্ফোটন ও এই সংক্রান্ত হরমোন তৈরিতে বাধা দেয়। ফলশ্রুতিতে মাসিক চক্রে ব্যঘাত ঘটে।

🩸 মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা: দীর্ঘকাল মানসিক চাপে ভোগার সাথে নানান মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। যেমন: বিষণ্নতা ও উদ্বিগ্নতা। কর্ম শক্তি ও ভরসা হারানোর মতো পরিস্থিতির কারণে ড্রাগ, অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে যায়।

🇨🇭 প্রাকৃতিকভাবে কর্টিসল কমাতে দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাস:

🇨🇭 স্বাস্থ্যকর মাত্রায় কর্টিসল- Cortisol Hormone থাকা দেহের জন্য উপকারী। নিচের পন্থাগুলো পালন করতে পারলে এই ( স্ট্রেস হরমোন ) স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা সম্ভব হয়।

🩸 পর্যাপ্ত ঘুম: সার্বিকভাবেই সুস্বাস্থের জন্য ভালো ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। সেই সাথে কর্টিসলে স্বাভাবিক মাত্রা ধরে রাখতেও দরকার।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 ভালো মতো ঘুমের জন্য যা করা যায় তা হল:

🇨🇭 প্রতিদিন ব্যায়াম করা: “মানসিক চাপ কমানোর ভালো অস্ত্র হল শরীরচর্চা” একই প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন নিবন্ধিত মার্কিন সেবক জুং ব্যাকাম।

🇨🇭 প্রায় প্রতিদিন 30 মিনিট মাঝারি মাত্রার ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন তিনি। সেটা হতে পারে- দ্রুত হাঁটা, ইয়োগা কিংবা রান্না করতে করতে নৃত্য করা।

🇨🇭 ব্যায়াম ঘুমের মান উন্নত করে, মানসিক চাপ দূরে রাখে পাশাপাশি ভালো অনুভূতির হরমোন সেরোটনিন এবং এন্ডোর্ফিন্স নি:সরণ বাড়ায়।

🇨🇭 শিথিলতার কৌশল রপ্ত করা: গভীর নি:শ্বাসের ব্যায়াম বা পেশি শিথিল করার মাধ্যমে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমানো যায়।

🇨🇭 হাফম্যান বলেন- “গভীর শ্বাস, ধ্যান, ইয়োগা- মানসিক চাপ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি হৃদগতিও কমায়।

🇨🇭 নিজের মানসিক চাপ সম্পর্কে জানা: নর্দান ক্যালিফোর্নিয়ার মানসিক রোগের চিকিৎসক সামিয়া এস্টার্ডা বলেন, “চাপে থাকাটা মানসিক না শারীরিক সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে।”

🇨🇭 তিনি উদাহরণ দেন, ধরা যাক একটা গাড়ি এগিয়ে আসছে আপনার দিকে। সেটা কাটাতে দ্রুত ফুটপাথে উঠে গেলেন। এই ধরনের মানসিক চাপ কিন্তু ভালো ফল দিল। আর এক্ষেত্রে কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।

🇨🇭 আবার চাকরি হারিয়েছেন এখন কীভাবে চলবেন বা বিলগুলো কীভাবে পরিশোধ করবেন? সেটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে মানসিক চাপে পড়তে পারেন। এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে কর্টিসলের মাত্রা দীর্ঘমেয়াদে দেহে বেড়ে গেল। ফলে দেহ সতর্ক হয়ে অতিরিক্ত কাজ করা শুরু করলো।

🇨🇭 তাই মানসিক চাপের কারণ সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পারলে কার্টিসলে মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

🇨🇭 আনন্দ দেয় এমন শখ বের করা: জীবনে মানসিক চাপের সব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তবে নিয়মিত আনন্দদায়ক কাজে যুক্ত থাকতে পারলে নিজেকে শান্ত রাখা সম্ভব হয়।

🇨🇭 স্বাস্থ্যকর পন্থায় মনোযোগ অন্যদিকে ঘোরানো, মেজাজ ঠিক করার মাধ্যমে দেহকে অভ্যস্ত করানো সম্ভব। প্রিয় বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটানো বা ভ্রমণ করা মতো বিষয়গুলো বেশ কার্যকর।

🇨🇭 ভ্রমণ মানেই যে দূরে কোথাও অর্থ খরচ করে যেতে হবে এমন কোনো মানে নেই। বন্ধু বা প্রিয়জনদের নিয়ে আশপাশে ঘোরাও মানসিক চাপ কমাতে পারে।

🇨🇭 স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখা: ব্যাকাম বলেন, ( জোরালে সামাজিক যোগাযোগ মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর )।

🇨🇭 যদি আশপাশের মানুষ আপনাকে নিয়ে চিল্লায় তবে তাদের সাথে স্বাস্থ্যকর দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

🇨🇭 তিনি উৎসাহ দেন, ( আসলে সব সময় সব পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় না। তবে আপনি কী বেছে নেবেন সেটার নিয়ন্ত্রণ আপনার কাছে )।

🇨🇭 প্রিয় মানুষদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা বা কোনো ক্লাবে যোগদান করার মাধ্যমে মানসিক সহচার্য পাওয়া সম্ভব।

🇨🇭 মনে রাখতে হবে মানসিক চাপ স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া এবং জীবনের অংশ। মাঝে মধ্যে হতেই পারে।

🇨🇭 তবে এটা যদি অন্যের সাথে আপনার সম্পর্কে ঝামেলা তৈরি করে, মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্যে বাজে প্রভাব ফেলে জীবনের মান কমে যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

শিশু ছেলেদের যৌনাঙ্গের রোগ | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!