🇨🇭 সিজোফ্রেনিয়া, Schizophrenia- একটি গুরুতর মানসিক ব্যাধি। এর ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বিঘ্নিত হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তি বাস্তব ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত ও অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা ব্যাখ্যা করে থাকে।
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের মধ্যে একটি কাল্পনিক জগত তৈরি করে নেয় এবং তার চিন্তা-ভাবনা ও কাজকর্মের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল থাকে না।
🇨🇭 ধীরে ধীরে আক্রান্ত ব্যক্তি হ্যালুসিনেশন, বিভ্রম ও অন্যান্য মানসিক সমস্যার শিকার হয়।
সিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন: প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এটিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় একাধিক ব্যক্তিত্বের সমন্বয় হিসেবে।
🇨🇭 যদিও সিজোফ্রেনিয়ার বুৎপত্তিগত অর্থ হল ( Split Mind ) ( বিভক্ত মন ) তবে সিজোফ্রেনিয়া বলতে মূলত একজন ব্যক্তির আবেগ ও চিন্তা-ধারার ভারসাম্যহীনতা বা অসামঞ্জস্যতাকে বোঝায়।
🇨🇭 এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক সমস্যা এবং এ ধরনের রোগীর আজীবন চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণে থাকার প্রয়োজন হয়।
🇨🇭 কয়েক ধরনের সিজোফ্রেনিয়া- Schizophrenia দেখা যায়।
🩸 যেমন:
🩸প্যারানয়েড সিজোফ্রেনিয়া ( Paranoid Schizophrenia ) : এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণ হয়ে পড়ে, নিজেকে বিভিন্ন কারণে নির্যাতিত ভাবে এবং আশেপাশের মানুষের ব্যাপারে অহেতুক সন্দেহ প্রকাশ করে। কেউ তার ক্ষতি করতে চাচ্ছে বা তার ব্যাপারে সমালোচনা করছে- সবসময় এ রকম করে থাকে।
🩸 ডিসঅর্গানাইজড সিজোফ্রেনিয়া ( Disorganized Schizophrenia ) :
এর কারণে কথাবার্তা ও চিন্তাধারায় অসংলগ্নতা দেখা দেয়। তবে এতে আক্রান্ত ব্যক্তি বিভ্রমের শিকার হয় না।
🩸ক্যাটাটোনিক সিজোফ্রেনিয়া ( Catatonic Schizophrenia ) : এতে আক্রান্ত ব্যক্তির আবেগ বা আচরণগত পরিবর্তন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে তার কথা বলা ও
অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপ আকস্মিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি সে কোনো কিছুর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাতেও সক্ষম হয় না।
🩸 রেসিডিউয়াল সিজোফ্রেনিয়া (Residual Schizophrenia) : এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি বেঁচে থাকার সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং হতাশ হয়ে পড়ে।
🩸 সিজোএফেক্টিভ ডিসঅর্ডার ( Schizoaffective Disorder ) : এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সিজোফ্রেনিয়ার- Schizophrenia, সাথে বিষণ্নতার মতো অন্যান্য মুড ডিসঅর্ডারের লক্ষণ দেখা দেয়।
🇨🇭 সিজোফ্রেনিয়ার- Schizophrenia কারণ:
🩸ঠিক কি কারণে সিজোফ্রেনিয়া হয় তা এখনও সঠিকভাবে জানা যায় নি। তবে গবেষকদের মতে, জেনেটিক ও পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে সিজোফ্রেনিয়া Schizophrenia, হয়ে থাকে।
🩸মস্তিষ্কের জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় কোনো ত্রুটি দেখা দিলে সিজোফ্রেনিয়া- Schizophrenia, হতে পারে।
🩸ডোপামিন ও গ্লুটামেটসহ মস্তিষ্কে যে সকল জৈব-রাসায়নিক উপাদান – Neurotransmitters, থাকে সেগুলি এই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে। এ উপাদনগুলোর ভারসাম্যে ত্রুটি দেখা দিলে সিজোফ্রেনিয়া হয়ে থাকে।
🩸নিউরো ইমেজিং- ( Neuro-Imaging ) গবেষণায় দেখা গেছে, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কের গঠন ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তবে এই পরিবর্তনগুলো সিজোফ্রেনিয়ার ক্ষেত্রে কতটুকু সক্রিয় ভূমিকা রাখে সে ব্যাপারে গবেষকেরা নিশ্চিত নয়।
🇨🇭 সিজোফ্রেনিয়ার Schizophrenia, লক্ষণ:
🩸এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
- 🩸বিষণ্নতাজনিত সমস্যা ( Depressive Or Psychotic Symptoms.)
- 🩸ডিলিওশন অথবা হ্যালুসিনেশন ( Delusions Or Hallucinations.)
- 🩸বিষণ্নতা ( Depression.)
- 🩸উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা ( Anxiety And Nervousness.)
- 🩸আক্রমণাত্মক আচরণ ( Hostile Behavior.)
- 🩸ভয় এবং আতংক ( Fears And Phobias.)
- 🩸 ঔষধের অপব্যবহার ( Drug Abuse.)
- 🩸অনিদ্রা ( Insomnia.)
- 🩸মেজাজজনিত সমস্যা ( Temper Problems.)
- 🩸 অতিরিক্ত রাগ ( Excessive Anger.)
- 🩸উন্মত্ত আচরণ ( Hysterical Behavior.)
- 🩸হীনমন্যতায় ভোগা ( Low Selfesteem.)
🛑 চিকিৎসা- Treatment:
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকেরা সিজোফ্রেনিয়া-Schizophrenia, রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
🇨🇭 যদিও সিজোফ্রেনিয়ার সঠিক কারণ এখনও অজানা, তবে কয়েকটি কারণে সিজোফ্রেনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে। যেমন:
- 🩸 জেনেটিক বা বংশগত কারণ।
- 🩸 গর্ভাবস্থার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মাতৃগর্ভে শিশু কোনো ভাইরাস বা বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসলে বা অপুষ্টির শিকার হলে।
- 🩸 ইনফ্লামেশন বা অটোইমিউন ডিজিজের জন্য দেহের রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলো অধিক সক্রিয় হয়ে পড়লে।
- 🩸 নবজাতকের বাবার বয়স বেশি হলে।
- 🩸 বয়:সন্ধিকালে ও প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় সাইকোঅ্যাক্টিভ বা সাইকোট্রপিক ঔষধ ব্যবহার করলে।
আরো পড়ুুনঃ লুপাস রোগ কি ? লুপাস কেন হয় ? এর হোমিও চিকিৎসা।
🇨🇭 যারা সিজোফ্রেনিয়ার- Schizophrenia, ঝুঁকির মধ্যে আছে:
🛑 লিঙ্গ:পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।
🛑 জাতি: কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ বেশি। শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা একগুণ কম। অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
🛑Q. সিজোফ্রেনিয়ার- Schizophrenia পূর্বলক্ষণগুলো কি কি ?
উত্তর: সিজোফ্রেনিয়ার পূর্বলক্ষণগুলো হলো:
- 🧪 অলীক বা অবাস্তব কোনো কিছু দেখা বা শোনা।
- 🧪 সার্বক্ষণিকভাবে কেউ নজর রাখছে এমন অনুভূতি হওয়া।
- 🧪 অদ্ভুত বা অসংলগ্নভাবে লেখা বা কথা বলা।
- 🧪 অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি।
- 🧪 কর্মদক্ষতা কমে যাওয়া।
- 🧪 ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আসা।
- 🧪 স্বাস্থ্যসুরক্ষার ব্যাপারে উদাসীন হয়ে যাওয়া ও চেহারায় পরিবর্তন আসা।
- 🧪 সামাজিক কাজকর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া।
- 🧪 কাছের মানুষের প্রতি বিরক্তিভাব ও রাগ পোষণ করা।
- 🧪 ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া এবং কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা।
- 🧪 অসংলগ্ন আচরণ।
🛑Q. সিজোফ্রেনিয়ার- Schizophrenia, ফলে একজন ব্যক্তি অন্যান্য কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ?
উত্তর: সিজোফ্রেনিয়া একজন ব্যক্তির জীবনে অন্যান্য যে সকল সমস্যা সৃষ্টি করা থাকে সেগুলো হলো:
- 🧪 আত্মহত্যা।
- 🧪 নিজেই নিজের ক্ষতি করা।
- 🧪 উদ্বেগ ও ভীতি সৃষ্টি করা।
- 🧪 অ্যালকোহল, মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার।
- 🧪 দারিদ্রতা।
- 🧪 গৃহহীন হয়ে পড়া।
- 🧪 পারিবারিক দ্বন্দ্ব ও কলহ।
- 🧪 কাজ করতে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হওয়া।
- 🧪 নিজেকে সবকিছু থেকে আলাদা করে রাখা।
- 🧪 উগ্র বা আক্রমণাত্মক আচরণ।
🛑Q. সিজোফ্রেনিয়ায়- Schizophrenia, আক্রান্ত হলে পরবর্তীতে একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু ?
উত্তর: যথাযথ চিকিৎসা ও রিহেবিলিটেশন থেরাপির সাহায্যে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। তবে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য চিকিৎসার সাথে সাথে প্রয়োজন ভালোবাসা ও একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অনুকূল পরিবেশ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।