শ্বেত রোগ ( Vitiligo ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা - homeo treatment

শ্বেত রোগ | Vitiligo | হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা |

🇨🇭 শ্বেত রোগেরঃ

প্রকৃত কারণ সম্বন্ধে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না। তবে পারদ ও উপদংশ রোগ এবং স্নায়বিক কারণে এই রোগ উৎপন্ন হয় বলে অনেকে মনে করে, শ্বেত বা ধবল রোগ খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। এ রোগের কারণে সমাজে অনেক বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আমরা সকলেই জানি আমাদের ত্বকের নিচে আছে মেলানিন নামের এক প্রকার হরমোন। যা আমাদের ত্বকের রং নির্ধারণ করে থাকে।

🇨🇭 এই হরমোনের তারতম্যের কারণেই গায়ের রং ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদি ত্বকের কোনো স্থানে এই মেলানিন রোগাক্রান্ত হয় বা যদি এর উৎপাদন কমে যায় বা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ত্বকের ঐ স্থানটি সাদা বা কালো হয়ে যায়। যখন ত্বকের স্বাভাবিক রং থাকে না বা ত্বকের একটি অস্বাভাবিক রং দেখতে পাওয়া যায়। তখন তাকে শ্বেত বা ধবল রোগ বলা হয়। ইংরেজিতে একে ভিটিলিগো বলা হয়। অনেকেই শ্বেত রোগকে কুষ্ঠ রোগ মনে করেন। কিন্তু একদমই ভুল।

শ্বেত এবং কুষ্ঠ রোগ সম্পূর্ণ আলাদা দুটি রোগ। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত যেকোনো বয়সেই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ১০ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যেই এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। এটা সাদা, কালো এবং বাদামি— সব বর্ণের লোকদের মধ্যেই হতে দেখা যায় এবং বংশগতভাবেও এ রোগ হতে পারে। তবে এটি মোটেই ভয়াবহ রোগ নয়! এটির সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেত রোগীকে দেখলে আঁতকে ওঠেন অনেকে। এ রোগে আক্রান্ত রোগীরা বেশিরভাগই মানসিক অবসাদে ভোগেন।

শ্বেত রোগ কি?

ত্বকের মধ্যের মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন। যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে বা ভারসাম্য নষ্ট হলেই দেখা দেয় শ্বেত। শ্বেত বংশগতভাবেও হয়।

শ্বেত রোগ ( Vitiligo ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা - homeo treatment

🇨🇭 প্রতি ১০০ জন শ্বেত রোগীর মধ্যে ৩০ জনের ক্ষেত্রেই শ্বেত হয় বংশগত ধারায়, মাতৃকুল বা পিতৃকুলের কারো না কারো থেকে জিনের প্রভাবে। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে সাদা দাগ ছড়াতে থাকে নিজস্ব কারণে। যার মূলে রয়েছে মেলানিনের কারসাজি! বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ১০ কোটি মানুষ শ্বেত রোগে আক্রান্ত। প্রয়াত শিল্পী মাইকেল জ্যাকসনও এই রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শরীরের কোন অংশে দেখা দেয় শ্বেত? সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকেই প্রথমে শ্বেত হতে শুরু করে। কখনো কখনো শ্বেত চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও শুরু হয়। কিছু ক্ষেত্রে খুব একটা ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে।

আরো পড়ুনঃ   ইরেকশন সমস্যা এবং পুরুষাঙ্গের রোগ।

আবার কখনো এমনভাবে মুখে-বুকে, হাতে-পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে, বোঝাই যায় না একসময় গায়ের রং আসলে কী ছিলো! দ্বিতীয় ধরনের শ্বেতের দাগই মানুষকে শ্রীহীন করে তোলে। ৫০ শতাংশ শ্বেত ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হওয়ার পর। শ্বেত রোগীর বৈশিষ্ট্য একজন মানুষের জন্মের পর কোনো জ্ঞাত কারণ ছাড়াই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যাওয়াকেই শ্বেত রোগ বলা হয়। শ্বেত রোগের সাথে লিউকোডামার পার্থক্য রয়েছে। কারণ লিউকোডার্মার চিকিৎসা পর্যায়ে এটি শতকরা একশভাগ নিরাময়যোগ্য। এখানে উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, কারো শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে ঘা শুকানোর একপর্যায়ে স্থানটি সাদা হয়ে যায়। এটাকে বলা হয় লিউকোডার্মা যা খুব সহজে নিরাময়যোগ্য।

এ রোগের কারণ জানা থাকায় সহজেই এর চিকিৎসা করা যায়। শ্বেত রোগের তথ্য শ্বেত রোগের প্রকৃত তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে যে, একাধিক কারণে এই রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বংশগত প্রবণতাও এ রোগের সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে বলে ধারণা করা হয়। বহু টাকা খরচ করেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাননি এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বাংলাদেশের মতোই সারাবিশ্বে শ্বেত বড় অদ্ভুত একটি রোগ, তবে ভয়াবহ নয় মোটেও! শুধু রোগটি সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে শ্বেত রোগীকে দেখলে ভয়ে আঁতকে ওঠেন অনেকেই। বেঙ্গালুরুর ক্লাসিক হোমিওপ্যাথির গবেষকদের দাবি, অন্য কোনো ওষুধ নয়, একমাত্র হোমিওপ্যাথিই শ্বেত থেকে মুক্তি দিতে পারে।

🇨🇭 গোটা বিশ্বে দুই কোটি মানুষ শ্বেতির জন্য হোমিওপ্যাথিকে বন্ধু বানাচ্ছেন। হোমিওপ্যাথি এ দেশে গত ১০০ বছর ধরে শুধু শ্বেতির ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন রোগ নিরাময়েই যথেষ্ট কার্যকর।

শ্বেত রোগের বিভিন্ন নাম:

🇨🇭 ফোকাল শ্বেত : এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত শরীরের এক বা দুটি স্থানের চামড়া সাদা হয়ে যায়। মোট শ্বেত রোগীর মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ এ ধরনের রোগী পাওয়া যায়। এ ধরনের রোগীর ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, রোগটি আপনাআপনিই সেরে যায়। এ ধরনের শ্বেতির চিকিৎসার ফল খুবই ভালো। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৮০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং ৬০ ভাগ রোগীই সম্পূর্ণ নিরাময় লাভ করে। এমনকি আমাদের দেশীয় একাধিক চিকিৎসাপদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এই সংখ্যা ৮০ ভাগ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য কয়েক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্রাফটিংয়ের মাধ্যমেও এর চিকিৎসা করা যেতে পারে।

🇨🇭 সেগমেন্টাল শ্বেত : সাধারণত এ ধরনের শ্বেত শরীরের একটি অংশে দেখা যায়। আমাদের দেশে মোট শ্বেত রোগীর মধ্যে ৩ শতাংশ এই শ্রেণির রোগী পাওয়া যায়। প্রকৃতিগতভাবে এটি স্থিতিশীল কিন্তু আপনাআপনিই সেরে যাওয়ার কোনো প্রবণতা এ ধরনের শ্বেত রোগের মধ্যে দেখা যায় না। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৬৫ শতাংশের মধ্যে ইতিবাচক ফল পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৪০ ভাগ। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতি সমন্বয়ের মাধ্যমে এ ধরনের শ্বেত রোগের নিরাময়ের হার ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। রোগ নিরাময়ে কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। স্কিন গ্লাফটিংয়ের জন্য এ ধরনের রোগী বিশেষ উপযুক্ত।

শ্বেত রোগ ( Vitiligo ) হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা - homeo treatment

🇨🇭 এক্রোফেসিয়াল শ্বেত : এ ধরনের শ্বেত রোগীর হাত-পায়ের ওপর নিচে দুদিকে, আঙ্গুলের ডগা, কব্জি, কনুই, অ্যাংকেল, হাঁটু, ঠোঁট, চোখের চারপাশে, মুখ ও যৌনাঙ্গে সাদা দাগের সৃষ্টি হয়। মোট শ্বেত রোগীর মধ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত এ ধরনের রোগী দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এটি স্থিতিশীল ধরনের হলেও অনেক সময় অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে এটা শরীরের ব্যাপক অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এই হার ৫০ শতাংশ এবং রোগ নিরাময়ের হার মাত্র ৩০ শতাংশ। তবে বিরাজমান বিভিন্ন চিকিৎসাপদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে নিরাময়ের হার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

🇨🇭 ভালগারিস শ্বেত : এ ধরনের শ্বেতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বুক, পেট, পিঠ, ঘাড়, মাথা ইত্যাদি স্থানে ব্যাপকভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়ে এবং এটা অস্থিতিশীল প্রকৃতির। কোনো রকম চিকিৎসা ছাড়াই রোগের উন্নতি বা অবনতি ঘটতে পারে। শ্বেত রোগে আক্রান্ত মোট রোগীর ৬০ শতাংশই এ ধরনের রোগী। আমাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে এ ধরনের রোগীর ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায় এবং রোগ নিরাময়ের হার ৫০ শতাংশ। তবে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসাপদ্ধতির সমন্বয়ে নিরাময়ের হার ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।

🇨🇭 ইউনিভার্সালিজ শ্বেত : এ ধরনের আক্রান্তদের সারা শরীর (মাথা থেকে পা পর্যন্ত) এমনকি শরীরের রোম পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। তবে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। যা মোট শ্বেত রোগীর ২ শতাংশের বেশি হবে না। এটা স্থিতিশীল প্রকৃতির হলেও কখনো কখনো রোগীর মুখমণ্ডল, অঙ্গ-প্রতঙ্গ, কনুই ও হাঁটুতে রোগের কিছুটা ভালো হওয়ার আভাস দেখা যায়। এ ধরনের রোগীরা থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য অটোইমিউন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

🇨🇭 হোমিও প্রতিবিধান আমাদের দেশে বর্তমানে – স্বার্থান্বেষী মহল মিশ্র হোমিওপ্যাথি, পেটেন্ট, টনিক, মলম দিয়ে শ্বেত রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যারা হানেমানের ভাষায় সংকর, তারা বিজ্ঞানকে বিজ্ঞাপনে কোণঠাসা করেছে চিকিৎসাপদ্ধতি। তাই শ্বেত রোগের চিকিৎসা নিতে হবে অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক থেকে। যেই চিকিৎসক সবসময় রোগ সম্বন্ধে গবেষণা করে এবং অর্গাননের নিয়ম মেনে চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসক দ্বারা শ্বেত রোগীর চিকিৎসা নিলে আল্লাহর রহমতে হোমিওতে আরোগ্য পাওয়া সম্ভব।

চিকিৎসা পেতে সরাসরি অথবা অনলাইনে: 01907-583252 , 01302-743871

🇨🇭 একজন রেজিস্টার্ড ও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে স্থায়ীভাবে আপনার Vitiligo থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে একটি ঔষধের সাথে অন্য ঔষধের কিছু কিছু বা অনেক পার্থক্য থাকে,যেগুলো নিখুত ভাবে বিবেচনা করা সকল চিকিৎসকের গুরু দায়িত্ব।

🇨🇭 যে কোন তরুণ-পুরাতন ও জটিল রোগের সমস্যার জন্য দেশ-বিদেশের যে কোন স্থান থেকে যোগাযোগ করতে পারেন

🇨🇭 এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন: হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

🇨🇭ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস ) (ডি, এইচ, এম, এস)
Dr.Masud Hossain

☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
– Govt reg No. 35423 ]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!