🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস হল এপিডিডাইমিসের প্রদাহ- একটি টিউব যা অণ্ডকোষের পিছনে অবস্থিত যা শুক্রাণু বহন করে এবং সঞ্চয় করে।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস যে কোনো বয়সে পুরুষদের প্রভাবিত করতে পারে এবং সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) কি?
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস হল একটি ক্লিনিকাল সিনড্রোম যা এপিডিডাইমিসের প্রদাহ, ব্যথা এবং ফোলাভাব নিয়ে গঠিত, যা শুক্রাণু বহনকারী টেস্টিসের পিছনে একটি অত্যন্ত জটিল নালী। এটি যেকোন বয়সের পুরুষদের প্রভাবিত করতে পারে তবে বেশিরভাগই এটি 14 থেকে 35 বছরের মধ্যে বয়সের গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করে। এটি যৌনবাহিত সংক্রমণ, প্রধানত গনোরিয়া এবং ক্ল্যামাইডিয়া,এপিডিডাইমাইটিসের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কারণ।
🇨🇭 একটি অ-যৌন সংক্রমণ, যেমন: মূত্রনালীর সংক্রমণ ( UTI ) বা প্রোস্টেট সংক্রমণও এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) হতে পারে।
🇨🇭 দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমাইটিস অন্ডকোষ এবং অণ্ডকোষ বা এপিডিডাইমিসে অস্বস্তি বা ব্যথা সহ স্বাভাবিক ছয় সপ্তাহের চেয়ে দীর্ঘায়িত হয়।
🇨🇭 প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এপিডিডাইমাইটিসের ( epididymitis ) প্রায় 600,000 কেস সনাক্ত করা হয়।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিসের লক্ষণ:
🩸 ফোলা, লাল বা উষ্ণ অন্ডকোষ বেদনাদায়ক অণ্ডকোষ। এটি সাধারণত একদিকে হয়, যেমন: একটি বেদনাদায়ক বাম অণ্ডকোষ, এবং সাধারণত ধীরে ধীরে ঘটে, লিঙ্গ থেকে স্রাব
বেদনাদায়ক প্রস্রাব বা মলত্যাগ বা ঘন ঘন বা জরুরী বা প্রস্রাব করার প্রয়োজন, তলপেটে বা পেলভিক এলাকায় অস্বস্তি বা ব্যথা,
বীর্য রক্তের চিহ্ন, হালকা জ্বর, ঠান্ডা বা কাঁপুনি, কুঁচকি অঞ্চলে লিম্ফ নোডের বৃদ্ধি,
কিছু বিরল ক্ষেত্রে, যে ফোঁড়া তৈরি হয়েছে তা নিষ্কাশন করতে আপনার অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) কেন হয়?
🩸সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল ব্যাকটেরিয়া মাইকোপ্লাজমা, ক্ল্যামিডিয়া বা ইকোলি দ্বারা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ। যৌনবাহিত রোগগুলি এপিডিডাইমাইটিসের বাহক। মাম্পস ভাইরাস এবং যক্ষ্মা ( টিবি ), প্রস্রাবের পিছনে প্রবাহ
মূত্রনালীতে বাধা সংক্রমিত এবং বর্ধিত প্রোস্টেট গ্রন্থি, ক্যাথেটার ব্যবহার ( প্রস্রাব পাস করা নল )
আঘাতমূলক কুঁচকির আঘাত।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিসের ( epididymitis ) ঝুঁকির কারণগুলি কী কী?
- 🩸 অরক্ষিত যৌনতা।
- 🩸 প্রোস্টেট সংক্রমণ।
- 🩸 মূত্রনালীর সংক্রমণ।
- 🩸 চিকিৎসা পদ্ধতির ইতিহাস যা মূত্রনালীকে প্রভাবিত করে, যেমন: একটি মূত্রনালীর ক্যাথেটার সন্নিবেশ।
- 🩸 মূত্রনালীর অস্বাভাবিকতা যক্ষ্মা।
🇨🇭 যদি চিকিত্সা না করা হয়, তাহলে অণ্ডকোষে ফোড়া ( পুঁজ-ভরা থলি ) তৈরি হতে পারে ফোলা এবং সংক্রমণের কারণে অণ্ডকোষের ত্বক খোলা
চরম ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব প্রাথমিক রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সা জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে।
🇨🇭 সতর্কতা: এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) প্রতিরোধে নিরাপদ যৌন পদ্ধতি অনুশীলন করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি।
🇨🇭 প্রতিবার সহবাস করার সময় কনডম ব্যবহার করুন, এমনকি যদি এটি আপনার দীর্ঘদিনের পরিচিত সঙ্গীর সাথে হয়। আপনি যদি নিয়মিত মূত্রনালীর সংক্রমণ বা অন্যান্য ঝুঁকির কারণগুলি অনুভব করেন, তাহলে কীভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করবেন সে সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
🛑 এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে কী হতে পারে?
🩸 আপনার ব্যথা এবং অস্বস্তি সৃষ্টি করা ছাড়াও, এই অবস্থাটি অণ্ডকোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং অণ্ডকোষের সংকোচন, টেস্টিকুলার টিস্যুর মৃত্যু, বন্ধ্যাত্ব এবং এপিডিডাইমিসে ঘা বা সিস্ট তৈরির মতো আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
🇨🇭 টেস্টিকুলার ব্যথার ( epididymitis ) সবচেয়ে সাধারণ কারণ কী?
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস, টর্শন, ভ্যারিকোসেল, শারীরিক আঘাত, এবং টেস্টিকুলার টিউমার ইত্যাদি, টেস্টিকুলার ব্যথার পিছনে সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) কতক্ষণ স্থায়ী হতে পারে?
🇨🇭 তীব্র এপিডিডাইমাইটিস ছয় সপ্তাহের কম স্থায়ী হয় যখন দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমাইটিস ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়। আপনি যদি কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করেন তাহলে আপনাকে অবিলম্বে ( Homeo ) হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসা সহায়তা চাইতে হবে।
🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস ( epididymitis ) কি সম্পূর্ণ নিরাময় করা যায়?
🇨🇭 যদি অবস্থা এবং এর অন্তর্নিহিত কারণটি অবিলম্বে চিকিত্সা করা হয়, তাহলে অবস্থা সম্পূর্ণ নিরাময় করা যেতে পারে।
🇨🇭 এপিডিডাইমিটিস ( epididymitis ) কি?
🇨🇭 এপিডিডাইমিটিস হল এপিডিডাইমিসের ব্যথা বা প্রদাহজনক অবস্থা, যে নলটি শুক্রাশয় থেকে শুক্রাণু নিয়ে পুংজননেন্দ্রিয়ে বহন করে। এই এপিডিডাইমিসে অস্বস্তি বা ফোলাভাব দেখা যায়। এই রোগ যে কোন বয়সে হতে পারে, কিন্তু সাধারণত 14 থেকে 35 বছর বয়সের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
🇨🇭 ( epididymitis ) সাধারণ উপসর্গগুলি হল:
- 🩸 অন্ডকোষ অঞ্চলে ব্যথা।
- 🩸 অন্ডকোষে ফোলাভাব এবং লালচেভাব।
- 🩸 জ্বর এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
- 🩸 মূত্রত্যাগে যন্ত্রণাবোধ।
🇨🇭( epididymitis ) খুব সাধারণ কারণ হল সি. ট্রাকোমেটিস বা এন. গনোরিয়ার কারণে সংক্রমণ, যা প্রায়ই ছড়িয়ে পড়ে যৌন মিলনের সময়।
🇨🇭 এপিডিডাইমিটিস আরও অন্যান্য যেসব সংক্রমণের কারণে হতে পারে তার মধ্যে মাম্পস (ভাইরাস ঘটিত সংক্রমণ) এবং টিউবারকুলোসিস (ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ) আছে। শিশুদের মধ্যে, বয়স্ক পুরুষ এবং সেইসব মানুষ যারা মলদ্বারে যৌন মিলনে লিপ্ত হয়, তাদের সাধারণত একটি ব্যাকটেরিয়া ই-কোলাইয়ের কারণে এটি হয়। কিছু ওষুধও এপিডিডাইমিটিসের কারণ। ভারী জিনিস উত্তোলনের কারণে প্রস্রাব আঁটকে গেলে এপিডিডাইমিটিস সাময়িক ভাবে হতে পারে। যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, এরফল স্বরূপ অন্ডকোষে পুঁয জমা হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে এতে বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 ( epididymitis ) কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?
🇨🇭 শারীরিক পরীক্ষা করা হয় কোন মাংসপিন্ড বা নরম অংশ আছে কিনা তা জানার জন্য। মুত্র পরীক্ষা করা হয় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ আছে কিনা জানার জন্য। অন্ডকোষ এলাকায় আল্ট্রাসাউন্ড দ্বারা পরবর্তী পরীক্ষাটি করা হয়।
🇨🇭 ( epididymitis ) অন্যান্য যেসব পরীক্ষা করা হতে পারে:
🧪 সম্পূর্ণ রক্তপরীক্ষা, ক্ল্যামেডিয়া এবং গনোরিয়ার জন্য রক্ত পরীক্ষা, চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত যুক্ত কোন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার কারণে সংক্রমণ ঘটেছে তা চিহ্নিত করে।
🇨🇭 নিজস্ব-যত্নের পরামর্শগুলি:
🩸 যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম নেওয়া, অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে অন্ডকোষটিকে উর্ধ্বমুখী রেখে ঘুমানো, সহ্য ক্ষমতা অনুযায়ী বরফের ব্যাগ ব্যবহার আক্রান্ত স্থানে, তরল খাবার বেশি করে খাওয়া, ব্যথা উপসমকারী ওষুধ ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
🇨🇭 প্রতিরোধক ব্যবস্থাগুলি হল:
- 🩸 যৌন মিলনের সময় কন্ডোমের ব্যবহার।
- 🩸 সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ভারী জিনিস না তোলা।
- 🩸 দীর্ঘ সময় বসে না থাকা।
- 🩸 হঠাৎ যদি প্রচন্ড ব্যথা হয়, তাহলে জরুরী অবস্থায় চিকিৎসা নেওয়া উচিত এবং তাৎক্ষণিক ভাবে চিকিৎসাগত পরিষেবার প্রয়োজন পূরণ করতে হবে।
🇨🇭 অণ্ডকোষে ব্যথা ( epididymitis ) হলে কিংবা অণ্ডথলির ( যে থলির মধ্যে অণ্ডকোষ থাকে ) এক পাশে বা দুই পাশে ব্যথা হলে সেটাকে
অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। যেকোনো বয়সের পুরুষের, এমনকি নবজাতকেরও অণ্ডথলিতে ব্যথা করতে পারে। অণ্ডকোষ হলো পুরুষদের প্রজনন অঙ্গ। শরীরে দু’টি অণ্ডকোষ থাকে। এই অঙ্গ বা গ্রন্থিগুলো খুবই সংবেদনশীল। খুব সামান্য আঘাতেও ব্যথা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্য ছোট হলে মহিলারা যৌন সুখ কম পায়!
🇨🇭 অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলিতে যেকোনো ধরনের ব্যথা হলেই চিকিৎসাগত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
🇨🇭 অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলিতে ব্যথা হঠাৎ করে হতে পারে অথবা তীব্র হতে পারে। এ ব্যথা আঘাতের কারণে হতে পারে, ব্যথার সাথে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে। রোগীর বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
অণ্ডথলিতে ব্যথার সাথে রোগীর অণ্ডথলিতে চাকা, জ্বর, অণ্ডথলির ত্বক লাল, প্রস্রাবে রক্ত, মূত্রনালীপথে অস্বাভাবিক নি:সরণ, গলা ফুলে যাওয়া প্রভৃতি উপসর্গ থাকলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যদি সময়মতো চিকিৎসা করা না হয় তাহলে বন্ধ্যত্ব ও পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। রোগীর তীব্র বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা থাকবে। অনেক সময় অপারেশন করে অণ্ডকোষ ফেলে দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের ব্যথার উৎস অণ্ডকোষ নয়, ব্যথা শুরু হয় অণ্ডথলিতে। অণ্ডকোষের কাজ হলো শুক্রাণু তৈরি করা। তাই অণ্ডকোষকে সুস্থ রাখা অপরিহার্য। প্রতিটি অণ্ডকোষের ওপরে থাকে এপিডিডাইমিস। এই এপিডিডাইমিসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়। অণ্ডথলি হচ্ছে এমন একটি থলি যা অণ্ডকোষ ও এপিডিডাইমিসকে সুরক্ষা দেয়।
🇨🇭 অণ্ডকোষে ব্যথার কারণ অণ্ডকোষ কিংবা অণ্ডথলির ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে :
- 🩸 সংক্রমণ বা প্রদাহ।
- 🩸 অণ্ডকোষের প্রদাহ বা সংক্রমণের সাথে সবচেয়ে যে সাধারণ অবস্থাটি সম্পৃক্ত তা হলো এপিডিডাইমাইটিস।
- 🩸 এপিডিডাইমাইটিস হলো একটি বা দু’টি এপিডিডাইমিসের প্রদাহ।
- 🩸 এপিডিডাইমিসে সংক্রমণ হলে সেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অণ্ডকোষে। এটা যেকোনো বয়সে হতে পারে এবং হঠাৎ করে হতে পারে।
- 🩸 সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয় তরুণ ও যুবকদের। এ সংক্রমণের প্রধান কারণ হলো যৌনবাহিত ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে ক্ল্যামাইডিয়া ও গনোরিয়া।
🇨🇭 আঘাত: অণ্ডকোষের আঘাতজনিত ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলাজনিত আঘাত।
যদি আঘাত পাওয়ার পর ব্যথা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী থাকে তাহলে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
🇨🇭 আঘাত পাওয়ার পর একটা চাকা দেখা দিতে পারে। আবার না-ও পারে। আঘাত পাওয়ার পর অবশ্যই অণ্ডকোষ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
🇨🇭 অণ্ডকোষে টরসন বা প্যাঁচ খাওয়া, অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়া একটি জরুরি অবস্থা। এ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। অণ্ডকোষে প্যাঁচ খেলে অণ্ডথলিতে ব্যথা করে ও ফুলে যায়। যদি 5/6 ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে আক্রান্ত অণ্ডকোষের টিস্যু মরে যেতে পারে। যদিও এ সমস্যা নবজাতক ও বয়:সন্ধিকালে ছেলেদের ( 18 বছরের নিচে ) বেশি হয়। তবে এটা যেকোনো বয়সে হতে পারে। অণ্ডকোষের উপাঙ্গে প্যাঁচ খেলেও অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়ার মতো একই অনুভূতি হতে পারে। অণ্ডকোষে প্যাঁচ খেলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, কিন্তু অণ্ডকোষের উপাঙ্গে প্যাঁচ খেলে সেটা জরুরি অবস্থা নয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই ব্যথা সাধারণত এক সপ্তাহ স্থায়ী থাকে।
🇨🇭 অন্য যেসব কারণে অণ্ডথলিতে ব্যথা হয়:
🩸 অণ্ডকোষে টিউমার।
অণ্ডকোষের টিউমারগুলো সাধারণত ব্যথা ঘটায় না, তবে এটা সম্ভব। যেহেতু অণ্ডকোষের ব্যথা অল্পবয়সী পুরুষদের ( 18 থেকে 32 বছর বয়সের মধ্যে ) বেশি হয় তাই অণ্ডকোষে কোনো চাকা বা দলা দেখা দিলে দ্রুত হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইনগুইনাল হার্নিয়া
এ ক্ষেত্রে অন্ত্রের কিছু অংশ কুঁচকির মাঝামাঝি এক-দুই ইঞ্চি ওপরে চলে আসে। কুঁচকির ওপরটা গোল হয়ে ফুলে ওঠে, মাঝে মাঝে শক্ত হয় ও ব্যথা হয়। কিছু দিন পর গোলাকার ফোলাটি অণ্ডথলিতে নেমে আসে। হার্নিয়া চিকিৎসা করা না হলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
পুডেনডাল নার্ভের ক্ষতি
পুডেনডাল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অসাড় অনুভূতি কিংবা ব্যথা হতে পারে। যারা অতিরিক্ত বাইসাইকেল চালান, চাপের কারণে তাদের পুডেনডাল নার্ভ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুডেনডাল নার্ভ যৌনাঙ্গ, মূত্রনালী, মলদ্বার এবং অণ্ডথলি ও মলদ্বারের মধ্যবর্তী অংশে অনুভূতি জোগায়। তাই এসবের যেকোনো স্থানে ব্যথা হতে পারে।
🩸 শল্য চিকিৎসা:
তলপেটের যেকোনো অপারেশনের কারণে ( যেমন: হার্নিয়া রিপেয়ার ও ভ্যাসেকটমি ) অণ্ডকোষে সাময়িক ব্যথা হতে পারে ও অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে। অপারেশনের পরে এ ধরনের কোনো ব্যথা হলে সাথে সাথে চিকিৎসককে অবহিত করবেন। ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে কিংবা বারবার ব্যথা হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
🩸 কিডনিতে পাথর:
কিডনিতে পাথরের কারণে সাধারণত পেটে ব্যথা হয়। তবে ব্যথা অণ্ডকোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি অণ্ডথলিতে তীব্র ব্যথা হয় এবং হঠাৎ করে ব্যথা হয় তাহলে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে ব্যথার উৎস কিডনিতে পাথর কি না।
🩸 ফোলা ও অস্বস্তি:
অণ্ডথলিতে বিভিন্ন কারণে ফোলা থেকে অস্বস্তি হতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে ভ্যারিকোসিল, হাইড্রোসিল ও স্পারম্যাটোসিল। যদি হাইড্রোসিল ( অণ্ডকোষের দুই আবরণের মধ্যে অস্বাভাবিক পানি জমা ) সংক্রমিত হয় তাহলে সেখান থেকে এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হতে পারে এবং এর ফলে অণ্ডকোষে ব্যথা হতে পারে।
🩸 পুরুষাঙ্গ শক্ত হওয়া:
যদি পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে ওঠে, কিন্তু বীর্যপাত না ঘটে তাহলে কখনো কখনো অণ্ডকোষে ভোঁতা ধরনের ব্যথা হতে পারে। সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিংবা বীর্যপাত ঘটালে ব্যথা চলে যায়।
🇨🇭 তীব্র এপিডিডাইমাইটিস ছয় সপ্তাহের কম স্থায়ী হয় যখন দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমাইটিস ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়। আপনি যদি কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করেন তাহলে আপনাকে অবিলম্বে ( Homeo ) হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসা সহায়তা চাইতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।