মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের স্নায়ু একটি মিশ্র স্নায়ু- যা মেরুদন্ড এবং শরীরের মধ্যে-মোটর,সংবেদনশীল এবং স্বায়ত্তশাসিত সংকেত বহন করে। মানবদেহে মেরুদণ্ডের স্নায়ুর- 31 জোড়া থাকে, মেরুদণ্ডের কলামের প্রতিটি পাশে একটি করে।
এগুলি মেরুদণ্ডের সংশ্লিষ্ট সার্ভিকাল,থোরাসিক,কটিদেশীয়, স্যাক্রাল এবং কোসিজিয়াল অঞ্চলে বিভক্ত।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথায় হোমিও আমাদের মধ্যে কম-বেশি অনেকেরই ঘাড়, পিঠ বা কোমর ব্যথার সমস্যায় পড়েছে, তাদের আবার অনেকে মেরুদণ্ড, ঘাড়, পিঠ ও কোমরের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। বিষেশত বয়ষ্ক মহিলারা বেশি কষ্ট পায়।

🇨🇭 আঘাতহীন ব্যথার জন্য মেরুদণ্ডে হালকা ব্যথা হলেও পরবর্তী সময়ে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায় শরীরের অন্য অংশে। তাই মেরুদণ্ডের ব্যথায় সবার আগে প্রয়োজন রোগ নির্ণয় ও সঠিক ও কার্যকর চিকিৎসা। তা না হলে রোগীর যন্ত্রণা বাড়তে থাকে।

🇨🇭 আমাদের মেরুদণ্ডের গঠন অনুযায়ী মাথার খুলির নীচ থেকে প্রথম 07 টি হাড় বা কশেরুকা নিয়ে ঘাড়, পরবর্তী 12 টি হাড় নিয়ে পিঠ, তার নিচের 05 টি হাড় নিয়ে কোমড় গঠিত।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের গঠন: গঠন অনুযায়ী মাথার খুলি থেকে প্রথম সাতটি হাড় বা কশেরুকা নিয়ে ঘাড়, পরবর্তী 12 টি হাড় নিয়ে পিঠ, তার নিচে পাচটি হাড় নিয়ে কোমর গঠিত।

🇨🇭 নানা কারণে মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়ে থাকে। ব্যথার উৎপত্তিস্থল ও লক্ষন প্রকাশের ভেতর দিয়ে মাথার খুলি থেকে নেমে আসা নার্ভ বা স্পাইনাল কর্ডে দুই হাড়ের মধ্যবর্তী ডিস্কের কিছু অংশ বের হয়ে গিয়ে চাপের সৃষ্টি করলে ব্যথা হয়।

🇨🇭 প্রচলিত ভায়ায় এ জাতীয় ব্যথাকে মেরুদণ্ড হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের ফাক হয়ে যাওয়া বা হাড়ের বৃদ্ধি বলা হয়ে থাকে। প্রকৃত পক্ষে চিকিৎসাশাস্ত্রে এ জটিলতাকে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স, হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পাইনাল স্টেনোসিস বলা হয়।ডিস্কের স্থানচ্যুতি বা সরে যাওয়ার মাত্রার ওপর নির্ভর করে প্রোল্যাপ্স রোগের জটিলতা।

মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথার লক্ষন সমূহ:

🩸 দাড়ানো বা বসা অবস্থায় কোমড়ে ব্যথা অনুভূত হওয়া।

🩸পায়ের বোধশক্তি কমে আসা ও পর্যায়ক্রমে পা দুর্বল হয়ে পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পায়।

🩸কোমড় থেকে উৎপন্নব্যথা পায়ে ছড়িয়ে পড়া।

🩸পায়ের নিতম্ব ও পায়ের মাংস পেশীতে ব্যথা।

🩸পায়ের বিভিন্ন অংশে ঝিন-ঝিন, শিন-শিন করা।

🩸পায়ের বোধ শক্তি কমে আসা পর্যায়ক্রমে পায়ের অসারতা।

🩸ধীরে ধীরে পা দূর্বল হয়ে পায়ের কার্যক্ষমতা লোপ পাওয়া, চূড়ান্ত পর্যায়ে পঙ্গুত্ব বরণ করা।

🩸নানাবিধ কারনে মেরুদণ্ডের ব্যথা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ব্যথার উৎপত্তি স্থল ও লক্ষন প্রকাশের স্থান আলাদা হওয়ায় প্রায়শই সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যহত হয়।

🩸 মেরুদণ্ডের হাড় গুলির ভিতর দিয়ে মাথার খুলি থেকে নেমে আসা রগ বা ষ্পাইনাল কর্ডে দুই হাড়ের মধ্যবর্তী ডিস্কের কোন অংশ বের হয়ে গিয়ে চাপের সৃষ্টি করলে ঐ স্নায়ু মুলেও সেখান থেকে বেড়িয়ে যাওয়া নার্ভের বিচরন ক্ষেত্রে ব্যথা হয়।

🩸এ জাতীয় ব্যথাকে প্রচলিত ভাষায় মেরুদণ্ডের হাড়ের ক্ষয়, হাড়ের ফাক হয়ে যাওয়া, হাড়ের বৃদ্ধি হিসাবে বলা হয়ে থাকে।

🩸 প্রকৃত পক্ষে মেডিক্যাল টার্মে এই জটিলতাকে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স, হার্নিয়েটেড ডিস্ক, স্পাইনাল স্টেনোসিস বলা হয়। ডিস্কের স্থানচ্যুতি বা সরে যাওয়ার মাত্রার উপর নির্ভর করে ডিস্ক প্রোল্যাপ্স রোগের জটিলতা।

🩸 দীর্ঘমেয়াদী রোগ যন্ত্রনায় রোগীরা সাধারণত ব্যথানাশক ঔষধের উপর নির্ভর করে সাময়িক ব্যথা মুক্তির চেষ্টা করে। নিয়মিত ব্যথানাশক খাওয়ার ফলে কিডনী বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুকি অনেক বেড়ে যায়।

মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 পরামর্শ: ব্যথা নিরাময়ের জন্য রোগীরা সাধারণত ব্যথানাশক ঔষধের ওপর নির্ভর করে ব্যথা উপশমরে চেষ্টা করে। নিয়মিত ব্যথানাশক খাওয়ার ফলে কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার ঝুকি বেড়ে যায়। তাই ঘাড় পিঠ বা কোমর ব্যথায় অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

🇨🇭 হোমিও প্রতিবিধান: রোগ নয় রোগিকে চিকিৎসা করা হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা লক্ষণ ভিত্তিক। রোগীর ভাল-মন্দ অবয়ব, সর্বদৈহিক, শারীরিক ও মানসিক কাতরতাসহ যাবতীয় দিক বিবেচনা করে চিকিৎসা করা হয়, সেই জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকে রোগীর পুরা লক্ষণ নির্বাচন করে মেরুদণ্ডের রোগীর চিকিৎসা দিতে পারলে আল্লাহর রহমতে এই সব রোগীরা ভাল হয়ে যায়।

🇨🇭 অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকগণ প্রাথমিকভাবে যেসব ওষুধ নির্বাচন করে থাকেন:

  • 🧪 আর্নিকা মন্ট ।
  • 🧪 কস্টিকাম ।
  • 🧪 এরাম ট্রাইফাইলাম ।
  • 🧪 ক্যালমিয়া ।
  • 🧪 ন্যাজা ।
  • 🧪 জিম্কাম মেট ।
  • 🧪 আয়োডাম ।
  • 🧪 প্যারিস ।
  • 🧪 এসিডফ্লুয়োরিক ।
  • 🧪 লাইসিন ।
  • 🧪 স্ট্রামোনিয়াম ।
  • 🧪 ল্যাকেসিস ।
  • 🧪 আর্নিকা ।
  • 🧪 কোবাল্টাম ।
  • 🧪 সাইলিসিয়া ।
  • 🧪 রাস টক্স । – সহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে।

🇨🇭 মেরুদণ্ড আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। পুরো শরীরের নিয়ন্ত্রণ এই মেরুদণ্ডের সুস্থতার উপরে নির্ভর করে। মেরুদণ্ড আমাদের পুরো শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে। মেরুদণ্ডের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদের পুরো শরীরই ব্যথাগ্রস্থ হয় এবং স্বাভাবিক নড়াচড়া এবং চলাফেরা কষ্টদায়ক হয়। মেরুদণ্ড সমস্যাগ্রস্ত হলে যে বিষয়টি প্রথমেই পরিলক্ষিত হয় সেটি হচ্ছে ব্যাকপেইন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে অনির্দিষ্ট ব্যাকপেইন শিল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রায় 60 থেকে 70 ভাগ লোকের হয়ে থাকে। এই ব্যাকপেইনের অন্যতম প্রধান কারণ মেরুদণ্ডের সমস্যা। আবার এই মেরুদণ্ডের মধ্যে দিয়েই আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ু সারা শরীরে বিস্তৃত থাকে। মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই স্নায়ুর উপরেও চাপ পড়ে যার কারণে আমাদের ব্যথাসহ অন্যান্য অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই মেরুদণ্ডের যত্ন নেয়া এবং যে সকল কাজ করলে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেগুলো থেকে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য অত্যন্ত দরকারি।

মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
আরো পড়ুনঃ গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস | Glomerulonephritis | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের গঠন:

প্রথমেই মেরুদণ্ডের গঠন সম্বন্ধে একটু জেনে নেয়া দরকার। মেরুদণ্ড মূলত বিভিন্ন ধরনের কশেরুকা, মাংসপেশি, লিগামেন্ট এবং কশেরুকার মধ্যবর্তী নরম জেলির মত পদার্থ বা ডিস্ক এর সমন্বয়ে গঠিত। দুটি কশেরুকার মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা দিয়ে দুই পাশ দিয়ে বের হয় আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুসমূহ। এদের কোনো একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরুদণ্ড তার ভারসাম্য হারাতে পারে। আবার কশেরুকা, মাংসপেশি, লিগামেন্ট, ও ডিস্ক এগুলোর সজীবতা রক্ষা করার জন্য দরকার সঠিক রক্ত চলাচল ব্যবস্থা। কোন কারণে ডিস্ক এর উপরে চাপ পড়লে সেটা পরবর্তীতে আমাদের শরীরকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুর উপরে চাপ প্রয়োগ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে তীব্র ব্যথা অনুভূত হতে পারে। যেহেতু কশেরুকা একটি হাড় সেহেতু এর সঠিক গঠন বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এগুলোর অভাবেও কশেরুকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা ভঙ্গুর হতে পারে। যা ঘটে থাকে সাধারণত অস্টিওপোরোসিস এই রোগটিকে। যাদের অস্টিওপোরোসিস থাকে তাদের রক্তে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম এর পরিমাণ কম থাকে যে কারণে কশেরুকায় সঠিক মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকেনা। এছাড়াও অস্বাভাবিক নড়াচড়া বা মুভমেন্টের কারণে লিগামেন্টস ও মাংস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হঠাৎ করে অত্যাধিক ভার বহন করার কারণেও আমাদের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

🇨🇭 যেসব কারণে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে:

  • 🩸 আঘাতজনিত কারণে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • 🩸 মেরুদণ্ডে কোনো টিউমার হলে অথবা অন্য জায়গার কোনো টিউমার মেরুদণ্ডে আসলে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • 🩸 ডিজেনারেটিভ ডিস্ক ডিজিজ হলে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। জন্মগত অথবা অন্য কোনো কারণে মেরুদণ্ড অস্বাভাবিক বাঁকা হয়ে গেলে।
  • 🩸 মেরুদণ্ডের কশেরুকা হাড় একটির ওপর আরেকটি উঠে গেলে মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে।
  • 🩸 রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস অথবা অন্য কোন কারণে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁকা নষ্ট হয়ে যেতে পারে যেটাকে বলা হয় স্পনডাইলোসিস।
  • 🩸 যারা দীর্ঘদিন যাবৎ অতিরিক্ত ভার বহনের কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
  • 🩸 যারা দীর্ঘদিন যাবত ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা পরবর্তীতে তার স্বাভাবিক জায়গা থেকে বের হয়ে এসে আমাদের শরীর নিয়ন্ত্রণকারি স্নায়ু কে চাপ দিয়ে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
  • 🩸 যারা অস্টিওপোরোসিস এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে মেরুদন্ড যেকোনো সময় সূক্ষ্ম ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে।

🇨🇭 মেরুদন্ডের স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখতে কিছু কৌশল:

🩸 সঠিক ঘুমের পদ্ধতি: আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের মেরুদণ্ড অনেক কাজ করে। মেরুদণ্ডকে সজীব রাখার জন্য এর প্রয়োজনীয় উপাদান রক্তের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। আমাদের ঘুমের সময় যদি মেরুদণ্ডের ও শরীরের অন্যান্য সংযোগস্থলে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় না থাকে তাহলে মেরুদণ্ডের রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। যার ফলে মেরুদণ্ডের হাড় কশেরুকা মাংসপেশি ও লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে একসময় শরীরে ব্যথার সমস্যা তৈরি হয়। তাই সঠিক ঘুমের পদ্ধতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের হাট হাট পা খাটো হিসাব গুলো সঠিক ভাবে থাকে। একটি সাধারন কৌশল হলো ঘাড়ের নিচে বালিশ দিয়ে ঘুমানো। যদি চিৎ হয়ে ঘুমেচ্ছে হয় তাহলে হাটুর নিচে একটি বালিশ দিলে ভালো হয়। হাত হয়ে ঘুমালে দুই হাঁটুর মাঝখানে বালিশ বা কোলবালিশ ব্যবহার করা উত্তম। ঘুমানোর সময় অতিরিক্ত শক্ত ম্যাট্রেস বা অতিরিক্ত নরম ম্যাট্রেস ব্যবহার করা ঠিক নয়। মাঝারি ধরনের নরম ও স্বপ্নের মাঝে মাঝে ম্যাট্রেস ব্যবহার করা উত্তম। আমাদের সঠিক ঘুমের কৌশলের মাধ্যমে মেরুদন্ডে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং সারাদিন সে যে লোড নেয় সেটি ওভার কাম করে স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে পারে।

মেরুদণ্ডের- ( স্নায়ু ) নার্ভের ব্যথার হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🩸 মাংসপেশির স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ: মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখার জন্য মাংস পেশীর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মাংসপেশির ব্যায়াম মেরুদণ্ডের মাংসপেশিকে স্বাভাবিক রাখতে এবং অতিরিক্ত লোড নেয়ার জন্য সহনীয় করতে কাজে লাগে। এক্সারসাইজের মাধ্যমে মাংসপেশির রক্ত চলাচল বেড়ে যায় যার ফলে মেরুদণ্ডের হার এবং ডিস্ক তাদের সজীব থাকার উপাদান যথাযথভাবে পেতে পারে।

🩸সঠিক জুতা ব্যবহার করা: আমাদের শরীরের ভার পা দিয়ে গ্রাভিটি বা পৃথিবীর কেন্দ্রে নিউট্রালাইজ হয়। সাধারণত অস্বাভাবিক ধরনের উঁচু জুতা বা সামনে-পেছনে উঁচু-নিচু জুতা ব্যবহার করার কারণে আমাদের পুরো শরীরের ভার সঠিকভাবে নিউট্রালাইজ হতে পারে না। যে কারণে মেরুদণ্ডের উপরে চাপ তৈরি হতে পারে। এজন্য সঠিক মাপের নরম ও হালকা উঁচু জুতা ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে হাইহিল ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

🩸সঠিক নিয়মে বসে কাজ করার পদ্ধতি: যারা দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে বসে কাজ করার পদ্ধতি জেনে নেয়া খুবই জরুরী। চেয়ারের পেছনে সামনের বাঁকানো ব্যাক রেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। দীর্ঘক্ষন বসে কাজ না করে মাঝে মাঝে 05 মিনিটের জন্য একটু হেঁটে আবার বসে কাজ করা যেতে পারে। বসার জায়গা অত্যন্ত শক্ত বা অধিক নরম না করে শক্ত কাঠের চেয়ারে হালকা কুশন ব্যবহার করা যেতে পারে। বসে কাজ করার ফাঁকে ফাঁকে নিজের শরীরকে ডানে এবং বামে ঘুরিয়ে কিছুটা Stress free করা যেতে পারে।

🩸 ধূমপান বর্জন করা: দীর্ঘদিন ধূমপান করার কারণে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়। মেরুদণ্ডে রক্তনালীগুলো এমনিতেই সরু। দীর্ঘদিন ধূমপান করার কারণে রক্তনালীগুলো আরো সরু হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেরুদন্ডের হাড়, মাংসপেশি, ডিস্ক এর সজীবতা রক্ষাকারী উপাদান সরবরাহ কমে যায়। যার ফলে মেরুদন্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই ধূমপান বর্জন আপনার মেরুদন্ডে স্বাভাবিক গঠন বজায় রাখতে খুবই সাহায্য করে।

🇨🇭 এছাড়া আরও যা অনুসরণ করতে হবে:

  • 🩸 শরীরের ওজন সঠিক রাখা সুষম খাদ্য গ্রহণ।
  • 🩸 ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
  • 🩸 নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা।
  • 🩸 যারা বাসায় বয়োবৃদ্ধ আছেন তাদের ঘুমের সঠিক নিয়ম শেখানো ও মাঝে মাঝে বিভিন্ন জয়েন্টগুলো অন্য কাউকে দিয়ে নাড়াছাড়া করিয়ে নেয়া।
  • 🩸মাঝে মাঝে মাসাজ পদ্ধতি গ্রহণ করা যেতে পারে।
  • 🩸স্বাভাবিক মাত্রায় পানি পান করা।
  • 🩸নিজের শরীরের ওজনের চার ভাগের এক ভাগের -25%, বেশি ওজন বহন না করা। যেমন আপনার ওজন যদি 60 কেজি হয় তাহলে 15 কেজির বেশি হয়েছে না বহন করে।

🇨🇭 যেসকল বিষয়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি:

  • 🩸 হঠাৎ কোনো অস্বাভাবিক আঘাত পাওয়ার কারণে ব্যথা অনুভূত হলে।
  • 🩸শরীরের কোন স্থানে টিউমার দেখা দিলে।
  • 🩸অল্প সময়ের মধ্যে শরীরের ওজন কমে গেলে।
  • 🩸হঠাৎ করে পা এ অবশ্ অনুভূত হলে।
  • 🩸পায়খানা বা প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারলে।
  • 🩸অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে মাজায় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
  • 🩸মাজার ব্যথা পায়ের ডান পাশে বাবা-মা পাশ দিয়ে নিচে নেমে আসা।

🇨🇭 মেরুদন্ড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। সুরক্ষার জন্য আমাদের সতর্ক ও তৎপর হওয়া উচিত। সামান্য অসতর্কতা অনেক সময় অনেক বড় বিপদ নিয়ে আসতে পারে। যে বিষয়গুলো আমাদের জানা সেই বিষয়গুলো তে সর্তকতা অবলম্বন করতে পারি।

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিসের লক্ষণ ও উপসর্গ:

🇨🇭 মেরুদণ্ডের সমস্যাগুলি আপনার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। রাতের খাবার রান্না করতে দাঁড়ানো বা নীচে যাওয়ার মতো সাধারণ জিনিসগুলি সম্পাদন করার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রমের প্রয়োজন। যদিও অনেক মেরুদণ্ডের অবস্থা এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে, আপনি মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের সাথে মোকাবিলা করতে পারেন। নীচে স্পাইনাল স্টেনোসিসের লক্ষণ ও উপসর্গ এবং এর জন্য কী করা যেতে পারে তা জানুন।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিস কি?

🩸 স্পাইনাল স্টেনোসিস হল আপনার মেরুদন্ডের খালের সংকীর্ণতা- যে স্থানটি আপনার মেরুদন্ডে অবস্থান করে। মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস বোঝার জন্য, আপনি মেরুদণ্ডের শারীরবৃত্তীয় ওভারভিউ থেকে উপকৃত হতে পারেন। প্রথমত, আপনার মেরুদণ্ডের কলামে 33টি কশেরুকার হাড় একে অপরের উপরে স্তুপীকৃত, আপনার খুলির গোড়া থেকে শুরু করে আপনার পেলভিসে শেষ হয়। প্রতিটি মেরুদণ্ডের আইটিসিএস কেন্দ্রে একটি রিং-আকৃতির খোলা থাকে, যেখানে মেরুদণ্ডের খালটি যায়। প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে ডিস্কগুলি শক শোষণ করে এবং কশেরুকার হাড়ের স্তূপকে কুশন করে।

🩸 স্পাইনাল কর্ড- আপনার শরীরের বাকি অংশের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগকারী হাইওয়ে- মেরুদণ্ডের খালের মধ্য দিয়ে চলে। স্পাইনাল কর্ড একটি স্নায়ু টিস্যু কলাম যা তিনটি প্রতিরক্ষামূলক ঝিল্লি স্তর দ্বারা আবৃত। স্নায়ুর শিকড় প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে ফাঁকা স্থান দিয়ে মেরুদন্ড থেকে প্রস্থান করে। এই স্থানগুলিকে নিউরাল ফোরামেন বলা হয় – স্নায়ুগুলি প্রতিটি খোলার মাধ্যমে প্রস্থান করে এবং আপনার সারা শরীর জুড়ে ভ্রমণ করে।

🩸 যখন মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস ঘটে, তখন সংকীর্ণ মেরুদণ্ডের খাল স্নায়ু এবং মেরুদন্ডে চাপ সৃষ্টি করে। বর্ধিত চাপ মেরুদন্ড এবং স্নায়ুকে জ্বালাতন, সংকুচিত বা চিমটি করতে পারে। আপনার মেরুদণ্ড এবং শরীরের ব্যাপক সমস্যা হতে পারে।

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিসের প্রকারভেদ:

🩸স্নায়ু সংকোচন এবং সংকীর্ণ অবস্থানের উপর নির্ভর করে মেরুদণ্ডের বিভিন্ন ধরণের স্টেনোসিস বিদ্যমান। মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের ধরন দুটি নির্ধারণকারী পার্থক্য জড়িত। প্রথম পার্থক্য হল এটি সার্ভিকাল , থোরাসিক বা কটিদেশীয় মেরুদণ্ডে ঘটে কিনা। দ্বিতীয় পার্থক্য হল যদি এটি মেরুদণ্ডের ফোরামেন বা নিউরাল ফোরামেনে ঘটে। আপনার মেরুদণ্ডের ফোরামেন মেরুদণ্ডের খাল গঠন করে, যখন নিউরাল ফোরামেন প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে হাড়ের খোলা অংশ। আপনার স্নায়ু এই হাড়ের খোলার মাধ্যমে মেরুদণ্ডের কর্ড থেকে প্রস্থান করে।

🩸 সার্ভিকাল স্টেনোসিস: আপনার ঘাড়ের মেরুদণ্ডের চারপাশে মেরুদণ্ডের খাল সংকুচিত হয়।

🩸 কটিদেশীয় স্টেনোসিস: আপনার মেরুদণ্ডের নীচের অংশে সংকীর্ণতা দেখা দেয়।

🩸সেন্ট্রাল ক্যানাল স্টেনোসিস: সার্ভিকাল ক্যানাল স্টেনোসিস ঘটে যখন মেরুদণ্ডের ফোরামেন সরু হয়ে যায়।

🩸ফরমাইনাল স্টেনোসিস: নিউরাল ফোরামেন সরু হয়ে গেলে ফোরামিনাল স্টেনোসিস হয়। এই স্পাইনাল স্টেনোসিস টাইপটিকে ল্যাটারাল স্টেনোসিসও বলা হয় কারণ মেরুদণ্ডের খালের পাশে সংকীর্ণতা ঘটে। কিছু ক্ষেত্রে, ফরমিনাল স্টেনোসিস এবং সেন্ট্রাল ক্যানাল স্টেনোসিস সহ-ঘটতে পারে। থোরাসিক স্পাইনাল স্টেনোসিস- মেরুদণ্ডের মাঝামাঝি সংকীর্ণতা-এছাড়াও সম্ভব কিন্তু খুব কমই ঘটে।

🇨🇭 স্পাইনাল স্টেনোসিসের লক্ষণগুলি কী কী?

🩸 মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের লক্ষণগুলি প্রকার এবং অবস্থার তীব্রতার সাথে পরিবর্তিত হয়। তারা অবস্থানের উপরও নির্ভর করে। আপনি কম্প্রেশন স্তরের নিচে আপনার শরীরের যে কোনো সময়ে ব্যথা এবং কর্মহীনতা অনুভব করতে পারেন। আপনার যদি কটিদেশীয় মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস থাকে তবে আপনি নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারেন:

🩸 আপনার পায়ে ভারীতা
লেগ বাধা, নীচের পিঠে ব্যথা, যা আপনি নিস্তেজ, কোমল, বৈদ্যুতিক বা জ্বলন্ত হিসাবে অনুভব করতে পারেন
আপনার নিতম্ব, পা বা পায়ে অসাড়তা বা ঝাঁকুনি
নিচের দিকে হাঁটলে বা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে ব্যথা আরও বেড়ে যায়, আপনি ঝুঁকে পড়লে, সামান্য সামনে বাঁকলে, চড়াই হাঁটলে বা বসলে ব্যথা কমে যায়, সায়াটিকা, বা একটি চিমটিযুক্ত সায়াটিক স্নায়ু, যা আপনার নীচের পিঠ থেকে, আপনার নিতম্বের মধ্য দিয়ে এবং প্রতিটি পায়ের নীচে ভ্রমণ করে, স্টেনোসিস খারাপ হওয়ার সাথে সাথে আপনি পায়ে বা পায়ের দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন, যা হাঁটার সমস্যার সাথে মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসকে সংযুক্ত করে। গুরুতর ক্ষেত্রে, আপনি মূত্রাশয় বা অন্ত্রের অসংযম অনুভব করতে পারেন। কটিদেশীয় মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস কদাচিৎ কউডা ইকুইনা সিন্ড্রোম সৃষ্টি করে, যার মধ্যে সংকুচিত কউডা ইকুইনা স্নায়ু জড়িত। সায়াটিক নার্ভ সহ স্নায়ুর এই বান্ডিলটি মেরুদন্ডের নীচে থাকে। কাউডা ইকুইনা সিন্ড্রোম একটি বিরল অস্ত্রোপচারের জরুরি কারণ এটি পায়ের স্থায়ী পক্ষাঘাত সৃষ্টি করতে পারে।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক;
🇨🇭 সার্ভিকাল স্পাইনাল স্টেনোসিসের সাথে, আপনি এই ধরনের লক্ষণগুলি অনুভব করতে পারেন:

🩸 ঘাড় ব্যথা, আপনার বাহু, হাত, পা বা পায়ে অসাড়তা বা ঝাঁকুনি।
বাহু, হাত, পা বা পায়ের দুর্বলতা বা আনাড়ি।
ভারসাম্য সমস্যা। প্রতিবন্ধী হাতের কার্যকারিতা, যা শার্টের বোতাম বা লেখার মতো কার্যকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে।
মূত্রাশয় বা অন্ত্রের অসংযম, গুরুতর ক্ষেত্রে।
মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে এবং মাঝে মাঝে ঘটে। উপসর্গগুলি প্রায়শই অসাড়তা, ঝনঝন বা দুর্বলতার মতো স্নায়বিক ঘাটতির চেয়ে ব্যথা হিসাবে বেশি অনুভব করা হয়।

🩸কারণ এবং ঝুঁকির কারণ মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের কারণ এবং ঝুঁকির কারণগুলি জানা এই অবস্থা প্রতিরোধে সহায়তা করে। আসুন নীচে মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের কারণ এবং ঝুঁকির কারণগুলির মধ্য দিয়ে যাই।

🩸স্পাইনাল স্টেনোসিস কারণ বিভিন্ন আঘাত এবং অবস্থার কারণে মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস হতে পারে, যার মধ্যে সাধারণ পরিধান এবং টিয়ারও রয়েছে। কিছু সাধারণ মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

🩸 হাড়ের স্পার্স: হাড়ের স্পার্স সাধারণত অস্টিওআর্থারাইটিসের ফলে হয়, যা জয়েন্টের তরুণাস্থি দূর করে, যার ফলে আপনার হাড় একে অপরের বিরুদ্ধে ঘষে। যেহেতু আপনার হাড় একে অপরের বিরুদ্ধে পিষে যায়, ক্ষতি অস্টিওব্লাস্ট কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করে । অস্টিওব্লাস্ট হল কোষ যা নতুন হাড়ের টিস্যু গঠন করে। এই পরিস্থিতিতে তৈরি নতুন হাড়ের টিস্যু হাড়ের স্পার তৈরি করে। মেরুদন্ডী স্টেনোসিসের ফলাফল যখন মেরুদণ্ডে হাড়ের স্পার্স ঘটে এবং মেরুদণ্ডের খালে প্রসারিত হয়।

🩸 হার্নিয়েটেড ডিস্ক: একটি হার্নিয়েটেড ডিস্ক হল যখন প্রতিটি কশেরুকার মধ্যবর্তী কুশনিং ডিস্কের কিছু অংশ মেরুদন্ডের খালে ফুলে যায়। যখন মেরুদণ্ডের ডিস্কের বাইরের প্রান্ত দুর্বল হয়ে যায় বা ফাটল ধরে, জেলের মতো কেন্দ্রটি নিম্নমুখী মেরুদণ্ডের চাপ থেকে প্রান্তের মধ্য দিয়ে ধাক্কা দেয়।

🩸 ঘন লিগামেন্ট: আপনার মেরুদণ্ডের লিগামেন্ট প্রতিটি কশেরুকাকে একসাথে ধরে রাখে। লিগামেন্টগুলি সাধারণ পরিধান এবং টিস্যু থেকে স্ট্রেস এবং প্রদাহ অনুভব করে, দাগ টিস্যু গঠন করে। এই দাগের টিস্যু লিগামেন্টকে ঘন করে এবং নমনীয়তা হারায়। পুরু লিগামেন্ট মেরুদণ্ডের খাল এবং কর্ডকে চাপ দিতে পারে, যার ফলে মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস হয়।

🩸 স্পাইনাল ফ্র্যাকচার বা ট্রমা: মেরুদণ্ডের ফাটল, প্রদাহ বা স্থানচ্যুতি মেরুদণ্ডের খালকে সংকুচিত করতে পারে এবং মেরুদন্ডে চাপ তৈরি করতে পারে।
স্পাইনাল কর্ড সিস্ট বা টিউমার: মেরুদন্ডে বা এটি এবং কশেরুকার মধ্যে সৌম্য বা ক্যান্সারযুক্ত বৃদ্ধি মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস সৃষ্টি করতে পারে।

🩸 জন্মগত মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস: একটি ছোট মেরুদণ্ডের খাল নিয়ে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা একটি জন্মগত মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস নির্ণয় পান।
স্পাইনাল স্টেনোসিস রিস্ক ফ্যাক্টর
কিছু ব্যক্তির মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস বা এটির কারণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের ঝুঁকির কারণ অন্তর্ভুক্ত। মেরুদণ্ডের স্টেনোসিসের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

🩸 অস্টিওআর্থারাইটিস।
বয়স, বিশেষ করে যারা 50 এর বেশি। মেরুদণ্ডের বিকৃতি, যেমন স্কোলিওসিস। মেরুদণ্ডের আঘাত। স্পাইনাল স্টেনোসিসের চিকিৎসা
মেরুদণ্ডের স্টেনোসিস চিকিত্সার মধ্যে অস্ত্রোপচার এবং ননসার্জিক্যাল বিকল্পগুলি জড়িত। চিকিত্সকরা প্রথমে ননসার্জিক্যাল বিকল্পগুলি অনুসরণ করেন, শুধুমাত্র গুরুতর ক্ষেত্রে বা রক্ষণশীল পদ্ধতিগুলি ব্যর্থ হলে অস্ত্রোপচারের জন্য বেছে নেন। ননসার্জিক্যাল স্পাইনাল স্টেনোসিস চিকিত্সার বিকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে:

🩸 শারীরিক থেরাপি নমনীয়তা এবং স্থিতিশীলতা বাড়াতে, শক্তি এবং সহনশীলতা তৈরি করতে এবং ভারসাম্য উন্নত করতে।
স্পাইনাল ডিকম্প্রেশন স্পাইনাল ক্যানাল স্পেস বাড়াতে এবং স্নায়ুর প্রতিবন্ধকতা দূর করতে।
প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা উপশম করতে।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথার কারণ ও প্রতিকার:
মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভোগে বিশ্বের অনেক মানুষ। এক গবেষণায় দেখা গেছে- 22 থেকে 48 শতাংশ মানুষ এক মাসের ভেতর মেরুদণ্ডের কোনো না কোনো ব্যথায় ( ঘাড়, পিঠ, কোমরব্যথা ) ভোগে।

🇨🇭 মেরুদণ্ড কেবল একটি হাড় নয়। অনেকগুলো ছোট ছোট হাড় বা কশেরুকার সমন্বয়। মাথা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে মেরুদণ্ডের উৎপত্তি। এর শেষ হয়েছে পশ্চাদ্দেশে। ঘাড়, পিঠ এবং কোমর, মেরুদণ্ডের এই তিন অংশ। মেরুদণ্ডের হাড়, দুই হাড়ের মাঝের ইন্টারভার্টিবাল ডিস্ক, লিগামেন্ট, মাংসপেশি, মেরুদণ্ডের মাঝে যে স্নায়ু আছে এই সবকিছুর কোনো না কোনো সমস্যার জন্য মেরুদণ্ডে ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ মানুষেরই এ ব্যথার অভিজ্ঞতা আছে। পজিশনগত কারণে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের ব্যথা হয়ে থাকে।

🇨🇭 আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে ধরনের কাজ করতে হয়, সেখানে কাউকে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকতে হয়, কাউকে অনেক ভারী জিনিস ওঠানামা করতে হয়। আবার কেউ কেউ খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত, অনেকের ঘুমানোর ভঙ্গিমা সঠিক নয়। এসব কারণে মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মেরুদণ্ডে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ রোগও হতে পারে। কিছু রোগ আছে যেমন নার্ভাল বা সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলাইটিস, ক্ষয়জনিত রোগ অস্টিওপোরোসিস, এসব রোগের কারণেও ব্যথা হয়। বাতের কারণে মেরুদণ্ডে ব্যথা হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। মেরুদণ্ডের ভেতরে ইন্টারভার্টিবাল ডিস্ক স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করলেও ব্যথা হয়।

🇨🇭 অনেক বেশি বয়সী কারও মেরুদণ্ডে ব্যথা হলে তা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। পাশাপাশি হাত-পায়ের কোনো একটি অংশ অবশ হয়ে যাচ্ছে এবং প্রস্রাব-পায়খানার বেগ টের পাচ্ছে না এমন লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে সমস্যা বেশ গুরুতর। এ ছাড়া যদি কোনো রোগীর অতীতে ক্যানসার বা যক্ষ্মা রোগের ইতিহাস থাকে এবং ব্যথার সঙ্গে জ্বর হয়, তাহলেও সেটা মেরুদণ্ডের কোনো মারাত্মক রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরে নিতে হবে। কখনো কখনো দেখা যায় তীব্র ব্যথা, কোনোভাবেই তা কমানো যাচ্ছে না। অথবা আঘাতের কারণে অতি তীব্র ব্যথা, বাতজনিত ব্যথার সঙ্গে গিরা ফুলে গেছে, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এ ছাড়া অল্প ঝামেলাহীন ব্যথা ছয় সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে, তখনই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

🇨🇭 এ ধরনের ব্যথাগুলো সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা না হলে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। একধরনের বাতের ব্যথাকে অ্যাঙ্কাইলসিং স্পন্ডিলাইটিস বলে। এটি মেরুদণ্ডে বেশি আক্রমণ করে। এ রোগ হলে কাজের সময় ব্যথা কম থাকে, বিশ্রামের সময় বেশি হয়। এর যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে মেরুদণ্ডের হাড় জোড়া লেগে শক্ত হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা যায় না। সাধারণত তরুণদের ভেতর এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। আবার কারও ক্যানসারের কারণে ব্যথা হলে সেটির চিকিৎসা না হলে হাড় ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে একটি অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। যক্ষ্মার ইনফেকশনে মেরুদণ্ডের ব্যথার ক্ষেত্রে হাড় বাঁকা, কুঁজো হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ক্ষয়ের কারণে ব্যথার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক চলাচলে সমস্যা হয়। নার্ভের কারণে ব্যথা হলে স্থায়ীভাবে শরীর অবশ হয়ে চলাফেরা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে মেরুদণ্ডের যেকোনো ব্যথার সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা করতে পারলে স্বাভাবিক ব্যথাহীন জীবনযাপন করা সম্ভব।

🇨🇭 মেরুদণ্ডের ব্যথার কারণ নির্ণয়ের সময় রোগীর ইতিহাসের দিকে নজর দিতে হবে। তার বয়স, পেশা, ভারী জিনিস ওঠানোর ইতিহাস, অতীত ও বর্তমানের কোনো রোগ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা হয়। এ ছাড়া চিকিৎসকেরা রক্তের সিবিসি সিআরপি, এক্স–রে, এমআরআই, বায়োপসি ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে থাকেন।
মেরুদণ্ডের ব্যথা প্রতিরোধের জন্য জীবনযাপন পদ্ধতিতে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে সঠিক পজিশনে দাঁড়াতে এবং বসতে হবে। মেরুদণ্ড একদম সোজা করে।

🇨🇭 একটানা বেশিক্ষণ বসে বা না দাঁড়িয়ে আধা ঘণ্টা পরপর পাঁচ মিনিটের জন্য হাঁটাহাঁটি করতে হবে। ঘুমের ভেতর বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। কোনো ভারী জিনিস ওঠাতে গেলে সেটাও মেরুদণ্ড সোজা রেখে ওঠাতে হবে। যে ভর আমরা বহন করতে পারি, তার চেয়ে বেশি মাত্রার কিছুই বহন করা যাবে না। মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে নজর দিতে হবে ঘুমানোর ম্যাট্রেসের ওপর। এটি খুব নরম বা শক্ত কোনোটাই হওয়া যাবে না।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!