মূত্রনালীর প্রদাহ - Urethritis কি

মূত্রনালীর প্রদাহ – Urethritis কি ?

🇨🇭 মূত্রনালীর প্রদাহঃ

মূত্রনালীর প্রদাহকে ইংরেজিতে ইউরেথ্রাইটিস বলে। মূত্রনালীতে গনোকক্কাস নামক রোগের জীবানু প্রবেশ করে এই জাতীয় রোগের সৃষ্টি করতে পারে। তবে এটি অন্য ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারাও ঘটতে পারে। আবার কখনো কখনো কোনো প্রকার সংক্রমণ ছাড়াও ঘটতে পারে যেমন : মূত্রনালীতে আঘাত পেলে বা কোনো প্রকার অপারেশন হলে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি রোগের কারণে এটি দেখা দিতে পারে।

🇨🇭 গনোরিয়া এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ যা মূত্রনালীর প্রদাহ ঘটাতে পারে। গনোরিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো কারণে মূত্রনালীর প্রদাহ হলে তাকে নন-গনোকক্কাল ইউরেথ্রাইটিস বলে। এটার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো ক্লামাইডিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া। এটা এক ধরনের যৌনবাহিত সংক্রমণ। কোনো কোনো পুরুষের একই সময়ে গনোরিয়ার জীবাণু এবং অন্য জীবাণু দ্বারা মূত্রনালীর প্রদাহ হতে পারে। যদি কারো মূত্রনালী পথে রস নিঃসরণ হয়, তাহলে হয়ত যৌনবাহিত রোগের সংক্রমণ রয়েছে মনে করতে হবে যা অন্যের মধ্যেও ছড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তার দেখানো উচিত, এমনকি উপসর্গ চলে গেলে ও।

মূত্রনালীর প্রদাহ
মূত্রনালীর প্রদাহ – Urethritis কি

🇨🇭 মূত্রনালীর প্রদাহের (Urethritis) লক্ষণ :

এর ফলে মূত্রনালীতে ক্ষত ও বেদনাবোধ হয়। মূত্র ত্যাগের সময় ভয়ানক জ্বালা পোড়া ভাবের সৃষ্টি হয়। প্রস্রাবের সাথে পুজরক্ত নির্গত হয়। এই রোগের প্রথমে মূত্রনালীর মুখে ইরিটেসন হয়, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ হয় কিন্তু অল্প অল্প প্রস্রাব হয়। পরে প্রস্রাবের দ্বার বেদনা, জ্বালা এবং প্রস্রাবের সময় ভয়ানক কষ্ট হয়। প্রদাহ ভাব যতই বৃদ্ধি পেতে থাকে ততই মূত্রনালীর মেমব্রেনগুলো স্ফীত হয়। এর ফলে প্রস্রাব ত্যাগে আরো কস্ট হয়। প্রস্রাব কখনো পানির মত হয় না, ৪/৫ ধারায় প্রস্রাব পড়তে দেখা যায়, প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়ে। প্রস্রাবে তলানি পড়ে শ্লেষ্মার মত পদার্থ ও পুঁজ দেখাতে পাওয়া যায়। অনেক সময় পুরুষ লিঙ্গ শক্ত এবং বেঁকে যায়। এর সাথে অণ্ডকোষ মূত্রস্থলী প্রভৃতির প্রদাহ হয়। বেদনা জ্বালা পোড়া ও পুঁজরক্ত নিঃসরণ।

🇨🇭  মূত্রনালীর প্রদাহের মহিলাদের বেলায় যে সব উপসর্গ থাকতে পারে :

মহিলাদের ক্ষেত্রে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে তা হলো :

🇨🇭 অস্বাভাবিক যোনি – স্রাব,জ্বর এবং শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, পেটের ব্যথা বেদনাদায়ক মূত্রত্যাগ, ঘন ঘন প্রস্রাব বা মূত্রত্যাগ এবং তখন প্রস্রাবের প্রচণ্ড চাপ অনুভব । তল পেটে স্বাভাবিকভাবে অথবা চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব করেন সেই সাথে কার কার কোমরের পাশের দিকে অথবা পিছনে মাঝামাঝি অংশে ব্যাথা বা খিল ধরার মত কিছু মনে হয় । মাঝে মাঝে বমি হতে পারে । নববিবাহিত মেয়েদের মধুচন্দ্রিমা যাপনকালে প্রস্রাবের প্রদাহ হতে পারে ।

মূত্রনালীর প্রদাহ

🇨🇭 সহবাসের পর জীবাণু মূত্রনালী দিয়ে মূত্রথলিতে প্রবেশ করে বেশির ভাগ মহিলাদের , তবে ছত্রাক বা ফাঙ্গাস জনিত কারনে হলে অবশ্যই মুত্র নালীর মুখ বা ভেজিনাতে চুলকানির লক্ষণ থাকবেই প্রেগন্যান্ট মায়েরা দ্বিতীয় বা তৃতীয় ট্রাইমিস্টারে ( ১২/১৬ সপ্তাহ পর ) বেক্টোরিয়া আক্রমণে মুত্র নালীর যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে। কিছু কিছু মহিলাদের হরমোন জনিত ঔষধ সেবন করার কারনে বেক্টোরিয়া ডেবলাপ্ট হয়ে হতে পারে তবে তা মাত্র ২ ভাগ অথবা মেনোপজ এর সময় একটু বেশি হওয়ার সম্বাভনা আছেই ।

🇨🇭 এলাজি জনিত কারনে হলে অবশ্যই যোনি মুখের আশ পাশ লাল হয়ে ফুলে যাওয়া ও উষ্ণ চুল্কানির লক্ষণ – অপরিষ্কার ভাবে স্পার্মিসাইড বা কৃত্রিম ডায়াফ্রাম ব্যবহার করেন বা সজোরে যৌনমিলন করলে তাদের বেলায় একটু ঝুঁকি বেশি আছেই।

🇨🇭 ইউরেথ্রাইটিসের প্রতিরোধ ও প্রতিকার – ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং ঘুম থেকে জাগার পর প্রস্রাব করতে হবে।

🇨🇭 প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানির পরিমাণ এত বেশি হওয়া উচিত যাতে দৈনিক কমপক্ষে দুই লিটার প্রস্রাব তৈরি হয় যা দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টার মধ্যে প্রস্রাব করতে হবে।

🇨🇭 কখনো প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না। বাথরুম ব্যবহারের পরে টয়লেট টিস্যু পিছন থেকে সামনের দিকে না এনে সামনে থেকে পিছনের দিকে ব্যবহার করা, যাতে মলদ্বারের জীবাণু মূত্র পথে এসে সংক্রমণ করতে না পারে অথবা পরিষ্কার কাপড় ব্যাবহার করলে প্রতি বার তা সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং যদি দেখা যায় আপনার প্রস্রাবের রাস্তার জ্বালা যন্ত্রণা জীবাণু জনিত বলে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনার চিকিত্সা সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বা আপনার উপসর্গ না যাওয়া পর্যন্ত কার ও সাথে যৌন সম্পর্ক করা উচিত নয়। কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

🇨🇭 মহিলাদের মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড ঘন ঘন বদলাতে হবে এবং সহবাসের আগে ও পরে, যাতে মূত্র নালীতে আগত সকল জীবাণু পরিষ্কার হয় সে দিকে লক্ষ রাখবেন।

মূত্রনালীর প্রদাহ - Urethritis কি
মূত্রনালীর প্রদাহ – Urethritis কি

🇨🇭 খতনা করানো হলে ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায় অর্থাৎ ব্যক্তিগত পরিষ্কার,পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেস্টা করবেন প্রতিদিন।

🇨🇭 আন্ডার পেন্ট বা ঐ জাতীয় কিছু যেন অন্য কার ও সংস্পর্শে না যায় সে দিকে ও লক্ষ্য রাখতে হবে।

🇨🇭 মূত্রনালীর প্রদাহ – Urethritis প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া এবং এ সংক্রান্ত যে কোন সমস্যা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় খুব তাড়াতাড়িই ঠিক হয়ে যায়। তাই নিঃসন্দেহে এর জন্য কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিন। আর বিবাহিত অবস্থায় অবশ্যই স্বামী স্ত্রী দুজনেই ডাক্তারের কাছে যাবেন।

🇨🇭 তবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ও রেজিঃ প্রাপ্ত হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়: ⏱️

🛑সকাল ০৯.০০ – ০১.০০ টা।
🛑বিকাল ০৫.০০ – রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)

☎️ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎️ 01302-743871(WhatsApp, IMO)

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন

 

Youtube : https://www.youtube.com/c/HomeopathicDoctorBD?sub_confirmation=1

Facebook Page: https://www.facebook.com/Homoeopathic-Doctor-BD-new-104188911800693/

Facebook Group: https://www.facebook.com/groups/626287091281092/?ref=share

Location: https://goo.gl/maps/4pgmakecWsZT2ots5

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!