নাকে পলিপ ও সাইনাসের হোমিও চিকিৎসা। Nasal polyps Homeo Treatment 

নাকে পলিপ ও সাইনাসের হোমিও চিকিৎসা।

নাকে পলিপ হওয়ার কথা আমরা সবাই কম-বেশি শুনেছি। রোগীরা পলিপ বলতে সাধারণত যা বুঝে থাকেন মেডিকেলের ভাষায় আমরা সেটিকে পলিপ বলি না। নাকের আশপাশে কিছু প্রকোষ্ঠ (সাইনাস) আছে। চোখের ঠিক নিচে যে উঁচু হাড়টি আছে তার ভেতরে থাকে ম্যাক্সিলারি সাইনাস, নাক আর চোখের মাঝখানে যে ক্ষুদ্র স্থান সেখানে থাকে বেশ কয়েকটি ইথময়েড সাইনাস। কপালের সম্মুখভাগে থাকে ফ্রন্টাল সাইনাস। চোখের পেছন দিকে থাকে স্ফেনয়েড সাইনাস। এ সাইনাসগুলোর আবরণী অনেক সময় ফুলতে ফুলতে আঙ্গুরের থোকার মতো আকার ধারণ করে। একেই আমরা ডাক্তারি পরিভাষায় পলিপ বলে থাকি সাধারণত ইথময়েড সাইনাস থেকে পলিপ তৈরি হয়। কখনও কখনও ম্যাক্সিলারি সাইনাস থেকেও পলিপ তৈরি হতে পারে।

নাকের মধ্যে ফাংগাস ইনফেকশন আমরা অনেক সময় দেখে থাকি। নাকের ফাংগাল (ছত্রাক) ইনফেকশন থেকে নাকের উভয় দিকে এবং এ ক্ষেত্রে একাধিক সাইনাস পলিপ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এ পলিপগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে সাইনাসের ভেতর থাকে এক সময় এটা বাড়তে বাড়তে সাইনাস থেকে নাকের ভেতরে চলে আসে এবং তখন আমরা খালি চোখে নাকের ভেতরে পলিপ দেখতে পাই। এগুলো দেখতে অনেক সময় সাদা আঙ্গুরের থোকার মতো থাকে। অনেক সময় পলিপে ইনফেকশন হলে বা আঘাতজনিত কারণে এর ত্বকের স্তর মিউকোসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় এটা লালচে রঙ ধারণ করতে পারে। রোগীরা সাধারণত যাকে পলিপ বলে থাকেন সেটা আসলে নাকের মধ্যে মাংস ফুলে যাওয়াকে তারা বুঝিয়ে থাকেন।

নাকে পলিপ ও সাইনাসের হোমিও চিকিৎসা। Nasal polyps Homeo Treatment 1 1

মেডিকেলের ভাষায় একে হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেট বলা হয়। নাকের ভেতরে, পার্শ্ব দেয়ালে দুই দিকে দুইটি তাকের মতো মাংসপিণ্ড থাকে একে আমরা ইনফেরিয়র টারবিনেট বলি। এই ইনফেরিয়র টারবিনেটের প্রদাহ হলে এর আকৃতি বড় হয়ে যায়। যাকে হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেট বলা হয়। এটা সাইনাস থেকে আসে না। নাকের ভেতর থেকে এর উৎপত্তি। মেডিকেল ভাষায় এটা পলিপ নয়। অনেক ক্ষেত্রেই পলিপ এবং হাইপারট্রপিড ইনফেরিয়র টারবিনেটের কারণ একই এবং এ দুটো একসঙ্গে বিদ্যমান থাকে
উপসর্গ

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীরা সাধারণত নাক দিয়ে সর্দি ঝরা, নাক বন্ধ ভাব এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন। নাকের এ সর্দি সামনের দিকে আসতে পারে। অনেক সময় এটা সামনের দিকে না এসে পেছন দিকে চলে যায় এবং ঢোক গিলা বা গলা পরিষ্কার করার মতো প্রবণতা দেখা যায়। নাক বন্ধ থাকাটা প্রাথমিক পর্যায়ে একদিকে থাকে এবং কিছুক্ষণ পরপর এটা দিক পরিবর্তন করে নাকের দুই দিকে হয়। কিছু সময় এক নাক বন্ধ থাকে আবার কিছু সময় আরেক নাক বন্ধ থাকে। অসুখ যত বাড়তে থাকে ততই দেখা যায় ধীরে ধীরে দুটো নাকই বন্ধ হয়ে যায়, প্রথমে আংশিকভাবে এবং পরে সম্পূর্ণভাবে

হাঁচি থাকতে পারে এবং অল্প ধুলাবালি বা ধোঁয়াতে গেলেই প্রচণ্ড হাঁচি হতে থাকে। সিগারেটের বা রান্নার ধোঁয়া সহ্য হয় না। দম বন্ধ ভাব চলে আসে

নাকের ঘ্রাণশক্তি কমে যায় এবং অনেক সময় নাকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়

homeo treatment

মাথাব্যথা সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পলিপ যখন বেশ বড় আকার ধারণ করে তখন মাথাব্যথা চলে যায়। এর কারণ যে অবস্থাতে আমরা পলিপ দেখতে পাই সে অবস্থাতে মাথাব্যথার সমস্যা সাধারণত থাকে না। মাথা এবং কপালের সম্মুখ বা নাক এবং এর আশপাশে একটা বন্ধ ভাব থাকতে পারে। এ সময় রোগীর ইতিহাস নিলে অবশ্যই দেখা যাবে, কয়েক মাস বা কয়েক বছর আগে যখন এ রোগ শুরু হয়েছিল তখন তাদের মাথাব্যথার সমস্যা ছিল। পলিপ যখন বেশি বড় হয়ে যায় তখন মাথাব্যথার সমস্যাটা এতটা প্রকট থাকে না

দেখা যায় কিছু কিছু রোগীর গলায় খুসখুস ভাব থাকে। অনেকের আবার কাশিও থাকতে পারে। গলায় নিয়মিত প্রদাহ বা মুখ দিয়ে নিয়মিত শ্বাস নেয়ার ফলে অনেক সময় গলার স্বর বসে যায় বা গলা বসা বা স্বরভঙ্গ থাকতে পারে

নাকের পেছনে ইউস্টেশিয়ান টিউব আক্রান্ত হওয়ার কারণে অনেক সময় মধ্য কর্ণে সমস্যা হয়ে থাকে। কান বন্ধ বন্ধ ভাব বা কানের ভেতর পানি যাওয়ার কারণে কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাথা ঘুরানোর সমস্যাও থাকতে পারে। মধ্যকর্ণের এ সমস্যা থেকে অল্প-স্বল্প মাথা ঘুরানোভাব থেকে শুরু করে মারাত্মক রকমের মাথা ঘুরানোর সমস্যা থাকতে পারে। এ ছাড়াও কানের ভেতরে শোঁ শোঁ আওয়াজের সমস্যাও হতে পারে। কানের ভেতরে অনেক দিন পানি জমে থাকলে কানের পর্দা নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদে কান পাকা রোগের সৃষ্টি হতে পারে

আরো পড়ুনঃ  সাইনোসাইটিস , পলিপাস,ও নাকে মাংস বৃদ্ধির , হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।


কারণ : নাকের পলিপের কারণ নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। সাধারণভাবে বলা যায় নাকের এলার্জি এর অন্যতম কারণ। এ এলার্জি নাকের ভেতরে ধুলাবালি বা ধোঁয়ার এলার্জি থেকে হতে পারে। অনেকে মনে করেন, নাকের ভেতরে ক্রনিক ইনফেকশনও এ এলার্জির কারণ হতে পারে। নাকের ভেতরে ফাংগাল ইনফেকশনের এলার্জি থেকে কিছু কিছু রোগীর উভয় নাকে এবং অনেক সাইনাসজুড়ে পলিপ তৈরি হয়। নাকের ভেতরে রক্তনালির অসাঞ্জস্যতা বা অস্থিরতা থেকেও অনেক সময় পলিপ তৈরি হয় বলে অনেকে মনে করে


নাকের এলার্জি যেটাকে আমরা এলার্জিক রাইনাইটিস বলি, গলার এলার্জি যেটাকে আমরা এলার্জিক ফ্যারিনজাইটিস এবং ফুসফুসের এলার্জি যেটাকে আমরা অ্যাজমা বা হাঁপানি বলে থাকি- এর একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পৃক্ত। যাদের নাকের এলার্জি আছে তাদের শতকরা ১৭ থেকে ১৯ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে হাঁপানিও আছে। যাদের হাঁপানি আছে তাদের ৫৫ থেকে ৭০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে নাকের এলার্জিও থাকে। বিশেষভাবে বলা উচিত, নাকের এলার্জি ও ফুসফুসের এলার্জির (হাঁপানি) একটির প্রভাব আরেকটির ওপর পড়ে। নাকের এলার্জি ঠিকমতো কন্ট্রোল না করলে অনেক সময় হাঁপানি বেড়ে যেতে পারে বা হাঁপানির চিকিৎসা করা দুরূহ হতে পারে। সে রকম ফুসফুসের এলার্জি বা হাঁপানি ঠিকমতো চিকিৎসা করা না হলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নাকের ওপর পড়ে

চিকিৎসা : প্রাথমিক চিকিৎসা হল ধুলাবালি, ধোঁয়া ও ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা। পলিপ যদি নাককে সম্পূর্ণ অথবা আংশিকরূপে বন্ধ করে দেয় এরকম ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে পলিপ ফেলে দেয়া যায়।এতেও সাইনাসের ভেতরের ঝিল্লি থেকে পলিপগুলো তৈরি হয় সেটা সম্পূর্ণভাবে দূর করা সম্ভব নয়। তাই আবারো পলিপ দেখা দেয়

যৌন অক্ষমতায়
homeo treatment

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : উপরোক্ত লক্ষণের কোনো রোগী ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে প্রথমে কিছু প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা

যেমন Blood-এর IGE, Esonophil, ESR এবং X-ray-PNS, Nasopharonix করার পরে নিশ্চিত হয়ে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অনুযায়ী লক্ষণ সংগ্রহ করে সঠিক ওষুধ:

  • 🧪lac can
  • 🧪Thuja occ
  • 🧪Arum met
  • 🧪Lemna minor
  • 🧪Bacillinum
  • 🧪Bio- Cal phos 6x,12x
  • 🧪 Cal phos
  • 🧪 S.Nit
  • 🧪C.Cab
  • 🧪Natmur,
  • 🧪Formica Rufa,
  • 🧪Psorinum,
  • 🧪Calcaria Flour
  • 🧪Calcaria Phos

ইত্যাদি ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সেবন করলে কোনো প্রকার অস্ত্রোপচার ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিস্ থেকে একজন রোগীকে আরোগ্য করা সম্ভব

সতর্কতা : সব ধরনের অ্যালার্জিটিক খাদ্য পরিহার, ঠাণ্ডা লাগা, ধূলাবালি থেকে নিরাপদ থাকতে হবে। প্রথম অবস্থায় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস্ ও এজমা দেখা দেয়

নাকের_পলিপাস চিকিৎসায় অবৈজ্ঞানিক ও অপচিকিৎসা পরিহার করুন। অনেকে দ্রুত আরোগ্য করার নামে চটকদারী বিজ্ঞাপনে ফাঁদে পড়ে এসিড জাতীয় বা ক্ষতিকারক পদার্থ বা ক্ষতিকর তরল দ্রব্য বা ক্ষতিকর চূর্ণ পাউডার দ্বারা নাকের পলিপাস পুড়ানো বা নাকের পলিপাসে লাগানো বা অপসারণ করে।

এধরনের অপচিকিৎসা বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানী, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে এধরনের অপচিকিৎসা নেই। অপচিকিৎসক’রা নিজেদের স্বার্থে ও অতিরিক্ত আর্থিক লাভে বিভিন্ন প্যাথির নাম অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে প্রচার করে অপচিকিৎসা চালিয়ে আসছে।

তা সম্পূর্ণ ভাবে অপচিকিৎসা। যা কাম্য নয়। এধরনের অপচিকিৎসায় নাকের ঝিল্লির বিরাট ক্ষতি করে। ফলে নাকের হাড়ে ও ঝিল্লিতে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষত করে। ক্ষতিকারক ঘা হয়। নাকের ভিতরে পঁচন ধরে ও মাংস পঁচনের মত গন্ধ বের হয়।

যা রোগীকে অপচিকিৎসার কুফল সারাজীবন বহন করতে হতে পারে। ফলে অপচিকিৎসায় রোগী মানসিক ও শারীরিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নাকের পলিপাস নিরাময়ে কথিত চিকিৎসকগণ এসিড জাতীয় কিছু লাগিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক। ভাবতেও কষ্ট হয় এরকম অমানবিক কাজ চিকিৎসকগণ দ্বারা সম্ভব!

গত কয়েক বছরে এরকম অসংখ্য রোগী যাদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সার্জারি ছাড়া সম্ভব নয়। অথচ নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনে নাকের পলিপাস রোগী স্বাভাবিক ভাবে নিরাময়যোগ্য।

আসুন এরকম অপচিকিৎসা থেকে বিরত থাকি এবং অন্যকেও সচেতন করি। এ ধরনের অপচিকিৎসা পরিহার করা অপচিকিৎসা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

নাকে পলিপাস কি?

পলিপাস নাসারন্ধ্রের ব্যাধি। এটি একটি অতি পরিচিত সমস্যা। এ ব্যাধি সাধারণত সর্দি লেগে থাকে ও প্রচুর হাঁচি হয়। বিভিন্ন কারণে এ ব্যাধি হতে পারে। নিম্নে এ ব্যাধির কারণ ও চিকিৎসা উল্লেখ করা হলো।

homeo treatment

মানবদেহের রক্তের ইসনোফিল ও সিরাম আইজিই’র পরিমাণ বেড়ে গেলে ঠান্ডা, সর্দি, হাঁচি লেগে থাকে এবং নাকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিগুলোতে অ্যালার্জিক প্রদাহ সৃষ্টি হয়। ঝিল্লি থেকে আস্তে আস্তে এক ধরনের গোশতপিন্ড বাড়তে থাকে। প্রথমে এটা মটরশুটির মতো হয়। আস্তে আস্তে বড় হয়ে আঙ্গুরের মতো হয় এবং নাকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এটিকে Nasal Polip বা নাকের পলিপাস বলে। এটি এক বা দুই নাকেও হতে পারে।

এ রোগ মহিলাদের তুলনায় পুরুষদের অধিক হতে দেখা যায়। অনেক সময় নাকের পলিপাস থেকে রক্ত বের হতে দেখা যায়। কোন কোন সময় নরম, নীল বর্ণ, মসৃণ শ্বেতময় ও পুঁজময় ক্ষত হতে দেখা যায়। তবে নাক বন্ধ থাকা মানেই পলিপাস নয় এবং নাক বন্ধ অবস্থায় এর মধ্যে পিন্ডাকৃতির কিছু দেখলেই তা পলিপাস নয়। আবার সব ধরনের পিন্ডই পলিপাস নয়। এজন্য সঠিক পরীক্ষার মাধ্যমে পলিপাস কি’না নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসা করা উচিত।

পলিপাসের প্রকারভেদ। নাকের পলিপাস দুই ধরনের হয়ে থাকে।

যেমন : ⛑️ ইথময়ডাল পলিপাস, যা এলার্জির কারণে হয় এবং দুই নাকে হয়। এটা মধ্যম বয়সে দেখা যায়।
⛑️ এন্ট্রোকোয়ানাল পলিপাস, যা ইনফেকশনের কারণে হয় এবং এক নাকে হয়। এটা শিশু বা কিশোর বয়সে দেখা যায়।

পলিপাস হওয়ার কারণ :
নাসারন্ধ্রের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি হতে উদ্ভুদ হয়। নাসিকা প্রদাহ বৃদ্ধির কারণেও হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অ্যালার্জি জনিত কিংবা দীর্ঘমেয়াদী নাক ও সাইনাসের প্রদাহই এর প্রধান কারণ।

এক-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে সঙ্গে হাঁপানিও থাকে। দুই শতাংশ ক্ষেত্রে ঋতু পরিবর্তনজনিত অ্যালার্জি দায়ী। অনেক সময় বংশানুক্রমিকও হতে পারে।

লক্ষণ :
এ ব্যাধি নাসারন্ধ্রের অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। বারবার হাঁচি, সর্দি থাকা, নাক দিয়ে টপ টপ করে পানি ঝরা, নাক বন্ধ থাকা, নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, মুখ হা করে নিঃশ্বাস নেওয়া, নাক চুলকানো, নাকে ব্যথা, মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, জ্বর জ্বর অনুভূতি, অরুচি, নাক ডাকা, শরীর শুকিয়ে যাওয়া ও কখনো নাকের গোশতপিন্ড বাইরে বের হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
রোগীকে – Blood-এর IGE, Esonophil, ESR এবং X-ray-PNS, Nasopharonix করার পরে নিশ্চিত হয়ে লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগ করা যায়।

homeo treatment
homeo treatment

হোমিওপ্যাথি রেজিঃ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে কোন প্রকার অপারেশন ছাড়াই নাকের পলিপাস ও সাইনোসাইটিস থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।

সতর্কতা :
সব ধরনের অ্যালার্জি,ক খাদ্য পরিহার, ঠান্ডা লাগা ও ধূলাবালি থেকে সাবধান থাকতে হবে। প্রথম অবস্থায় পলিপাসের চিকিৎসা না নিলে পরবর্তী সময়ে সাইনাসের ইনফেকশন হয়ে সাইনোসাইটিস ও এ্যাজমা দেখা দেয়।

নোট: হোমিওপ্যাথিতে একটি ঔষধের সাথে অন্য ঔষধের কিছু কিছু বা অনেক পার্থক্য থাকে,যেগুলো নিখুত ভাবে বিবেচনা করা সকল চিকিৎসকের গুরু দায়িত্ব।

🛑যে কোন তরুণ-পুরাতন ও জটিল রোগের সমস্যার জন্য দেশ-বিদেশের যে কোন স্থান থেকে যোগাযোগ করতে পারেন

⛑️ ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি, এইচ,এম, এস)
☎️মোবাইল নাম্বার: 01907-583252 01302-743871

⛑️ এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:

🇨🇭ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস ) (ডি, এইচ, এম, এস)

☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!