🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিস কি? What Is Genital Herpes ?
🇨🇭 জেনিটাল হারপিস হল এক ধরনের যৌন সংক্রমণ ( STI ) যা ফোস্কা এবং আলসার সৃষ্টি করে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ( HSV ) নামক একটি ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়, যা সরাসরি ত্বক থেকে ত্বকের যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যৌনাঙ্গে হারপিস মৌখিক, পায়ুপথ বা যোনিপথের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🇨🇭 হারপিস শরীরের অনেক অংশকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে এটি সাধারণত যৌনাঙ্গ, মলদ্বার এবং মুখকে প্রভাবিত করে। যদিও আলসার এবং ফোস্কাগুলি 2 থেকে 3 সপ্তাহের মধ্যে নিরাময় শুরু করে, যে ভাইরাসটি তাদের ঘটায় তার কোন পরিচিত প্রতিকার নেই, এবং তাই, সংক্রমণের পুনরাবৃত্তি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
🇨🇭 জেনিটাল হারপিস এর কারণ কী? What Are The Causes Of Genital Herpes ?
🩸 হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস -1 ( HSV-1 ) এবং হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস -2 ( HSV-2 ) হল দুটি ধরণের ভাইরাস যা যৌনাঙ্গে হারপিস সৃষ্টি করে।
HSV-1 প্রধানত মৌখিক হারপিস সৃষ্টি করে এবং এটি ঠান্ডা ঘা এবং জ্বর, মুখের চারপাশে এবং মুখে ফোস্কা সৃষ্টি করে। এটি চুম্বন বা টুথব্রাশ এবং পাত্রের মতো জিনিস ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
🇨🇭 ( HSV-2 ) প্রাথমিকভাবে যৌনাঙ্গে হারপিসের দিকে পরিচালিত করে এবং যৌনাঙ্গে হারপিস প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী। একজন ব্যক্তি শুধুমাত্র যৌনাঙ্গে ( HSV-2 ) সংক্রমণে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন যোগাযোগের কারণে হারপিস টাইপ 2 সংক্রমণ করতে পারে।
🇨🇭 হারপিস জোস্টার ভাইরাস দাদ এবং চিকেনপক্স হতে পারে।
হার্পিস ভাইরাস টিস্যুর পাতলা স্তরের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যা শরীরের খোলা অংশকে মিউকাস মেমব্রেন বলে। এই ভাইরাসটি একজন ব্যক্তির নাক, মুখ এবং যৌনাঙ্গে দেখা যায়। ভাইরাস শরীরে প্রবেশের পর দেহের কোষে প্রবেশ করে। এই ভাইরাসগুলি সংখ্যাবৃদ্ধি করে এবং খুব সহজেই তাদের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়, তাদের চিকিৎসা কঠিন করে তোলে।
🇨🇭 ( HSV-1 বা HSV-2 ) শারীরিক তরলগুলিতে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে:
- 🧪 বীর্য।
- 🧪 যোনি স্রাব।
- 🧪মুখের লালা।
🇨🇭 জেনিটাল হার্পিসে ( Genital Herpes ) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?
🩸 HSV-2 সংক্রমণ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি – 5 জনের মধ্যে প্রায় 1 জন মহিলা।
🩸 সাধারণ – 9 জনের মধ্যে 1 জন। এটি হতে পারে কারণ পুরুষ-থেকে-মহিলা সংক্রমণ নারী-থেকে-পুরুষ সংক্রমণের তুলনায় তুলনামূলকভাবে সহজ।
🩸 এটি আফ্রিকান-আমেরিকান জনসংখ্যার মধ্যেও বেশি দেখা যায়। অনুমান করা হয় যে 14 থেকে 49 বছর বয়সী আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলাদের মধ্যে 2 জনের মধ্যে 1 জন HSV-2 দ্বারা সংক্রামিত।
🩸 এটি সাধারণত এমন ব্যক্তিদের মধ্যেও দেখা যায় যাদের একাধিক যৌন সঙ্গী রয়েছে। প্রতিটি অতিরিক্ত অংশীদার ভাইরাসের সংকোচনের ঝুঁকি বাড়ায়।
🩸 মলদ্বার এবং ওরাল সেক্সে জড়িত সমকামী ব্যক্তিরাও এই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) লক্ষণগুলি কী কী?
🩸 ত্বকে ফোস্কা দেখা দেওয়া হার্পিস সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ। ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার পর লক্ষণগুলি দেখা দিতে 3 থেকে 30 দিন সময় লাগতে পারে।
🩸 মহিলাদের এবং পুরুষদের যৌনাঙ্গে হারপিসের সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে শরীরের নিম্নলিখিত অঞ্চলে ফোসকা অন্তর্ভুক্ত।
🧪 মহিলা:
- ❤ যোনি।
- ❤ নিতম্ব।
- ❤ মলদ্বার।
- ❤ সার্ভিক্স।
🧪 পুরুষ:
- 🩸 লিঙ্গ।
- 🩸 অণ্ডকোষ।
- 🩸 নিতম্ব।
- 🩸 মলদ্বার।
🇨🇭 মহিলাদের এবং পুরুষদের মধ্যে যৌনাঙ্গে হারপিসের অন্যান্য সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
- 🩸 ফোস্কা দেখা দেওয়ার আগে সংক্রামিত যৌনাঙ্গে প্রায়ই চুলকানি অনুভূত হয়
- যৌনাঙ্গে বেদনাদায়ক ফোসকা যা খুলে যেতে পারে
- ফোসকা বা ঘা থেকে তরল বের হওয়া,
- এক সপ্তাহের মধ্যে ঘাগুলির উপর একটি ভূত্বক তৈরি হতে পারে,
- ফোলা লিম্ফ নোড,জ্বর,ক্লান্তি,
- শরীরের ব্যাথা ,মাথাব্যথা,
- ঠাণ্ডা ,যৌনাঙ্গে জ্বালা,
🇨🇭 কিভাবে যৌনাঙ্গে হারপিস ( Genital Herpes ) নির্ণয় করবেন?
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিস নির্ণয়ের জন্য নিম্নলিখিত পরীক্ষাগুলি নিযুক্ত করা হয়:
🩸 রক্ত পরীক্ষা : হার্পিসের আগের কোনো সংক্রমণ শনাক্ত করতে এইচএসভি অ্যান্টিবডির উপস্থিতির জন্য রক্তের নমুনা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষা করা হয়।
🩸 ভাইরাল কালচার পরীক্ষা:
এই পরীক্ষায়, ত্বকের টিস্যু বা হারপিস ফোস্কাগুলির একটি ছোট টুকরা স্ক্র্যাপ করা হয় এবং পরীক্ষা ও পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।
🩸 পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন টেস্ট ( PCR- টেস্ট ) : এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে রোগীর রক্ত, ক্ষত বা মেরুদন্ডের তরল থেকে নমুনা নিয়ে 🧬 DNA কপি করা হয়। এটি উপস্থিতি স্থাপন এবং ভাইরাসের ধরন সনাক্ত করার জন্য করা হয়।
🇨🇭 আক্রান্ত যৌনাঙ্গ সবসময় পরিষ্কার ও শুষ্ক রাখতে হবে।
গরম পানিতে গোসলের সময় হালকা সাবান বা ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত।
আক্রান্ত স্থানে কোনো জ্বালা এড়াতে একজনের আরামদায়ক ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরা উচিত।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) চিকিৎসার সময়, রোগীর নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত:
- 🧪 ঘন ঘন ফোস্কা স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন।
- 🧪 আপনার হাত সঠিকভাবে ধুয়ে নিন।
- 🧪 আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
- 🧪 সংক্রমণ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত যৌন যোগাযোগ এড়ানো উচিত।
🇨🇭 কিভাবে যৌনাঙ্গে হারপিস ( Genital Herpes ) প্রতিরোধ করতে পারেন?
🩸 নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি হারপিস ( Genital Herpes ) হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে:
- 🧪 যৌন মিলনের সময় কনডমের মতো সুরক্ষার বাধা পদ্ধতি ব্যবহার করা যৌনাঙ্গে হারপিস প্রতিরোধ করে।
- 🧪 হারপিসের কোনো উপসর্গ দেখা গেলে সেক্স এড়ানো উচিত।
- 🧪 মুখের অঞ্চলের চারপাশে একটি দৃশ্যমান ঠান্ডা ঘা দেখা দিলে চুম্বন এবং ওরাল সেক্স এড়ানো উচিত।
- 🧪 আপনার হাত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধুয়ে ফেলুন, বিশেষ করে যদি তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সংস্পর্শে আসে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) জটিলতাগুলি কী?
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের সাথে সম্পর্কিত জটিলতাগুলি নিম্নরূপ:
🧪 অন্যান্য যৌন সংক্রামিত সংক্রমণের ঘটনা ( STIs ):
যৌনাঙ্গে ঘাগুলির উপস্থিতি আপনার HIV এবং এইডসের মতো অন্যান্য যৌন সংক্রামিত সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
🧪 নবজাতকের সংক্রমণ: সংক্রামিত মায়েদের জন্ম নেওয়া শিশুরা জন্মের সময় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসতে পারে। এর ফলে অন্ধত্ব, মস্তিষ্কের ক্ষতি বা নবজাতকের মৃত্যু হতে পারে।
🧪 মূত্রাশয়ের সমস্যা:
কিছু ক্ষেত্রে, যৌনাঙ্গে হারপিসের সাথে যুক্ত ঘাগুলি মূত্রনালীর চারপাশে প্রদাহ এবং ফুলে যেতে পারে (একটি টিউব যা আপনার মূত্রাশয় থেকে প্রস্রাব বের করে দেয়)। ফুলে যাওয়া মূত্রনালী বেশ কয়েকদিন বন্ধ করে দিতে পারে, তাই মূত্রাশয় নিষ্কাশনের জন্য ক্যাথেটার ঢোকানোর প্রয়োজন হয়।
🧪 মেনিনজাইটিস:
বিরল ক্ষেত্রে, হারপিস সংক্রমণ আপনার মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের চারপাশের ঝিল্লি এবং সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড ( CSF ) এর প্রদাহের দিকে পরিচালিত করে যা মেনিনজাইটিস নামে একটি অবস্থার সৃষ্টি করে।
🧪 মলদ্বারের প্রদাহ (প্রোক্টাইটিস):
যৌনাঙ্গে হার্পিস মলদ্বারের আস্তরণের প্রদাহের দিকে নিয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যারা পায়ূ যৌনতায় লিপ্ত হয় তাদের ক্ষেত্রে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিস ( Genital Herpes ) সম্পর্কে প্রশ্নাবলী :
🛑 কতক্ষণ হারপিস ( Genital Herpes ) শনাক্ত করা যায় না?
✅ Ans : HSV সংক্রামিত হওয়ার পরে, হারপিস শনাক্ত হওয়ার আগে একটি ইনকিউবেশন পিরিয়ড (ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার পর থেকে প্রথম লক্ষণ প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে) থাকে। HSV-1 এবং HSV-2-এর ইনকিউবেশন সময়কাল প্রায় 2 থেকে 12 দিন। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে, লক্ষণগুলি প্রায় 3 থেকে 6 দিনের মধ্যে দেখা দিতে শুরু করে।
🛑 হারপিসের ( Genital Herpes ) প্রাদুর্ভাব কি সবসময় একই এলাকায় ঘটে?
✅ Ans : যারা হার্পিসের বারবার এপিসোড পেয়ে থাকেন, তারা সাধারণত তাদের প্রাদুর্ভাব একই এলাকায় দেখতে পাবেন এবং তারা জানতে পারবেন কখন এটি আসছে কারণ তাদের আগেও এটি ছিল।
🛑 কি অবস্থা হার্পিস ( Genital Herpes ) অনুকরণ করতে পারে?
✅ Ans : অসংক্রামক অবস্থা যা যৌনাঙ্গে হারপিসের অনুকরণ করতে পারে তার মধ্যে রয়েছে রেইটার সিন্ড্রোম, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস, ক্রোহন ডিজিজ, বেহেসেট সিন্ড্রোম, ট্রমা, এরিথেমা মাল্টিফর্ম এবং লাইকেন প্লানাস।
আরো পড়ুনঃ যৌন মিলন এ সঙ্গিনিকে বাড়তি সুখ দিতে | Sexual Activity🛑 কখন হারপিস ( Genital Herpes ) সবচেয়ে সংক্রামক হয়?
✅ Ans : প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার প্রায় 3 দিন আগে হারপিস সবচেয়ে সংক্রামক বলে মনে করা হয়, এই সময়ের ফ্রেমটি সাধারণত যে জায়গায় প্রাদুর্ভাব ঘটবে সেখানে চুলকানি, জ্বলা, সংবেদন বা ব্যথার সাথে মিলে যায়।
🇨🇭 আপনার যৌনাঙ্গে হারপিস ( Genital Herpes ) এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে, আপনি একটি সংক্রামক রোগের ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিস ( Genital Herpes ) একটি যৌন সংক্রামিত রোগ, যা ফোস্কা এবং আলসারের মতো সমস্যা সৃষ্টি করে। হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ( HSV ) দ্বারা সৃষ্ট। HSV- মূলত দুই প্রকার। যেমন:
- ( HSV – 1 ) এটি সাধারণত মুখে জ্বর এবং ফোস্কা সৃষ্টি করে।
- ( HSV – 2 ) যৌনাঙ্গে এবং মলদ্বারে সমস্যা সৃষ্টি করে।
🇨🇭 বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, HSV- 1 এবং HSV – 2 নিষ্ক্রিয় এবং নীরব থাকে। এগুলো কোন ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করে না। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ফোসকা এবং আলসারে আক্রান্ত হয়। আবার কখনো এটি থেকে শরীরে ঘা হতে পারে যেটা অনেক ব্যাথা করে। যে ব্যাক্তি একবার HSV রোগে সংক্রমিত হয়,সে আজীবন সংক্রমিত থাকে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) কারণ ও লক্ষণ:
🩸 যৌনাঙ্গে হারপিস ( HSV-1 এবং HSV-2 ) ভাইরাসের কারণে হতে পারে। যদিও HSV-2 যৌনাঙ্গে হারপিসের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
🩸 এই ভাইরাসটি এক জনের ত্বকের সাথে আরেকজনের ত্বকের স্পর্শ করা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও পায়ূ মিলনের সময় যৌনাঙ্গের নি:সরণের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
🩸 হারপিসের প্রাদুর্ভাবের পর, ভাইরাসটি স্নায়ু দিয়ে প্রবেশ করে এবং শরীরের মধ্যে স্নায়ু টিস্যুতে অবস্থান করে থাকে। মানুষের নাক, যৌনাঙ্গ এবং মুখে থাকা শ্লেষ্মা ঝিল্লির মাধ্যমে হারপিস মানব দেহে প্রবেশ করে। একবার ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে এটি স্নায়ু কোষের সাথে এমন ভাবে মিশে যায়, পরবর্তীতে চিকিৎসা করাও কঠিন হয়ে পড়ে। HSV-1 এবং HSV-2 উভয় ধরনের ভাইরাস মানব দেহে সংক্রমিত হলে, মানুষের শরীর থেকে লালা, বীর্য এবং যোনি নিঃসরণ হতে থাকে।
🩸 একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 14 থেকে 49 বছর বয়সী প্রায় 16 শতাংশ মানুষেরই এই HSV রয়েছে। অনেক মানুষ আছে যে তারা জানেই না তাদের শরীরে হারপিস আছে। কেননা হারপিস ( Genital Herpes ) রোগের কারণ, উপসর্গ এবং লক্ষণগুলি খুব হালকা হওয়ায় জন্য এটি শরীরে আছে কিনা বুঝা কঠিন। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের যৌনাঙ্গে হারপিস রয়েছে কিনা এটা নিয়ে বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে থাকেন।
🩸 এই ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার পর, এটার লক্ষণগুলি বুঝতে 12 দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এটার কোন উপসর্গ বা লক্ষন হালকা এবং নাও থাকতে পারে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) কিছু সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
🧪 প্রস্রাব করার সময় জ্বালা পোড়া অনুভব করা। বিশেষ করে যদি প্রস্রাব করার রাস্তায় হারপিসের ঘা হয়ে থাকে ।
- যৌনাঙ্গে ব্যাথা এবং চুলকানি।
🧪 যৌনাঙ্গে ছোট ছোট লাল বা ছোট সাদা ফোস্কা।
🧪 ফোস্কা ফেটে যাওয়া, তরল পদার্থ বা এমনকি রক্তপাতের সাথে আলসার গঠন। আলসার প্রস্রাবের জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে।
🧪 আলসার সেরে গেলে ত্বক ক্রাস্ট হয়ে যাবে এবং স্ক্যাব তৈরি করবে।
🧪 শ্রোণী অঞ্চল, গলা এবং বাহুর নীচের গ্রন্থি গুলো ফুলে যাওয়া।
🧪 ঠাণ্ডা, জ্বর এবং মাথাব্যাথা।
🧪 ব্যাথা এবং ক্লান্ত বোধ করা।
🇨🇭 এছাড়াও মানুষের শরীরের সংক্রমিত স্থানে ঘা দেখা দেবে। সংক্রমিত স্থানে ছোঁয়া বা আঁচড় দেওয়ার পরে যদি চোখ সহ শরীরের অন্য কোন স্থানে স্পর্শ করা হয় তাহলে সেগুলোতেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। হারপিস পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই নিতম্ব, উরু, মলদ্বার, মুখ এবং মূত্রনালীতে ঘা সৃষ্টি করতে পারে। সেইসাথে মহিলাদের যোনি অঞ্চল, বাহ্যিক যৌনাঙ্গ এবং জরায়ুতে ঘা সৃষ্টি করতে পারে। পুরুষদের লিঙ্গ এবং অণ্ডকোষের উপরেও ঘা হতে পারে।
🇨🇭 যৌনাঙ্গে হারপিসের ( Genital Herpes ) প্রতিরোধ
স্বামী বা স্ত্রী যারই হারপিস হোক না কেন, যৌন মিলনের সময় অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে। কেননা কনডম ব্যবহার না করার ফলে এক জনের সংক্রমিত রোগ আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে যেতে পারে। সঙ্গীর যৌনাঙ্গে বা অন্য কোথাও হারপিসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন:
- যৌন মিলনের আগে সঙ্গীকে তার যৌন ইতিহাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, একাধিক যৌন সঙ্গীর সাথে সহবাস করলে হারপিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
- যৌন সঙ্গীর সংখ্যা সীমিত করতে হবে। কারণ, জীবনে যত কম যৌন সঙ্গী থাকবে, হারপিস ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা তত কম থাকবে।
- যোনীর কাছে ঘা হলে সঙ্গীর কাছে থেকে ওরাল সেক্স গ্রহণ করা যাবে না। হারপিস ওরাল সেক্সের মাধ্যমে যৌনাঙ্গে যেতে পারে।
- মাতাল অবস্থায় সেক্স করা যাবে না। কেননা, মানুষ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিরাপদ যৌন অনুশীলনের বিষয়ে কম সতর্ক থাকে এবং পরে এটার জন্য অনুশোচনা করে।
- নিজের এবং সঙ্গীর যৌনাঙ্গে হারপিসের জন্য পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ, যে কেউ যৌনাঙ্গে হারপিসের ঝুঁকিতে থাকতে পারে। তাই নিজেকে এবং সঙ্গীকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষা করানো উচিত।
🇨🇭 ঘরোয়া উপায়েও হারপিস ( Genital Herpes ) কিছুটা প্রতিরোধ সম্ভব:
✅ জলপাইয়ের তেল : জলপাইয়ের তেল ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রমন রোধ করতে সাহায্য করে।
✅ আপেল সিডার ভিনেগার : আপেল সিডার ভিনেগার ব্যাকটেরিয়াদের দেহে ছড়ানো থেকে প্রতিরোধ করে। হারপিসের কারণে দেহের যেসব অংঙ্গে ব্যাথা বা ঘা হয়েছে অই সব স্থানে এই ভিনেগার লাগালে আরাম পাওয়া যায়। সেই সাথে পানির সাথে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।
✅ চা গাছের তেল : চা গাছের তেল প্রাচীন কাল থেকেই রোগ সংক্রমনের ঔষধ হিসেবে কাজ করে আসছে। এটি ভাইরাল এবং ফাংগাল চিকিৎসার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করলে হারপিসের ব্যাথা এবং অস্বস্থি থেকে আরাম পাওয়া যায়।
✅ যষ্টিমধুর শিকড় : অ্যান্টঅক্সিডেন্ট এবং ব্যাকটেরিয়া বিরোধীর বৈশিষ্ঠ্য যষ্টিমধুতে পাওয়া যায়। পানির সাথে যষ্টিমধু গুড়ো করে ব্যাথা যুক্ত স্থানে লাগিয়ে দিলে আরাম পাওয়া যায়।
✅ লেবুর সুগন্ধি নির্যাস : হারপিসের ব্যাথা প্রতিকার করতে এটি অনেক সুন্দর ভাবে কাজ করে। হারপিসের প্রাদুর্ভাব থেকে আরাম দিতে লেবুর সুগন্ধি নির্যাস অনেক উপকার করে থাকে।
✅ ঘৃতকুমারী জেল : ঘৃতকুমারী জেল ব্যাথা উপশম করতে সহায়তা করে থাকে। সেই সাথে এটি হারপিস সংক্রমন রোধ করতে সহায়তা করে এবং এটি ছড়ানো থেকে রোধ করে।
🇨🇭 যে ব্যক্তির হারপিস আছে তার গোসল করার জন্য হালকা ক্লিনজার এবং উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করা উচিত। হারপিসে আক্রান্ত স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে। আক্রান্ত স্থান আরামদায়ক রাখার জন্য ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড় পরিধান করতে হবে ।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে জেনিটাল হারপিস এর কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। হোমিওপ্যাথি হচ্ছে লক্ষনভিত্তিক প্রাকৃতিক চিকিৎসা ব্যবস্থা।লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হলে জেনিটাল হারপিস স্থায়ী ভাবে নিরাময় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।
