🇨🇭 নেফ্রাইটিস মূএ যন্ত্রের এবং মূএের যে কোন পীড়া সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলেই প্রথমে যন্ত্রটি সম্পর্কে আমাদের একটি সঠিক ধারণা থাকতে হবে। মূএ যন্ত্রটিকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
- 🩸1. দুইটি কিডনী যা মূএ নিঃসৃত করে থাকে।
- 🩸2. দুটি মূএবাহী নালী বা ইউরেটারস যা প্রসাবকে কিডনী থেকে নীচে নিয়ে যায়।
- 🩸3. একটি মূএস্থলী বা ইউরিনারী ব্লাডার যেখানে মূএ সঞ্চিত থাকে।
- 🩸 4. মূএনালী বা ইউরেথ্রা যা দিয়ে প্রসাব বেরিয়ে আসে। পুরুষদের ক্ষেএে ইহা এটি যোনি বহিঃইন্দ্রীয় এবং মেয়েদের ক্ষেএে একটি ছিদ্র।
🇨🇭 মূএযন্ত্রের অংশগুলো:
- 🩸 লেফট্ কিডনী।
- 🩸 রাইট কিডনি।
- 🩸 এয়োর্টা।
- 🩸 ইনফিরিয়ার ভেনা কেভা।
- 🩸 লেফট্ ইউরেটার।
- 🩸 রাইট ইউরেটার।
- 🩸 ইউরিনারী ব্লাডার।
- 🩸 ইউরেথ্রা। উল্লেখযোগ্য।
🇨🇭 ডান কিডনি বাঁ দিকের কিডনী থেকে একটু নীচে থাকে তার কারণ ডান দিকের কিডনীর উপর লিভার থাকে। প্রতিটি কিডনি লম্বায় প্রায় ৪/৫ ইঞ্চি এবং প্রান্তেই আড়াই ইঞ্চি। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের কিডনির প্রতিটির ওজন হয় প্রায়- 140 গ্রাম।
🇨🇭 কিডনী আকৃতি অনেকটা বরবটি ভেতরের দানার মতো। ডানদিকের কিডনীর সামনে থাকে লিভার বৃহৎ অন্ত্র, ডিওডেনাম এবং ক্ষুদ্রান্ত্র। বাম দিকের কিডনি সামনে থাকে প্লীহা, প্যানক্রিয়াস,
পাকস্থলীর অংশ,ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহৎ অন্ত্র।
🇨🇭 বাংলাদেশে 2 কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রায় 75 শতাংশ কিডনি বিকল হওয়ার পর রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রতি বছর কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যাচ্ছেন 40 থেকে 50 হাজার মানুষ। অথচ গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে 60 শতাংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব।
🇨🇭 বাংলাদেশে কিডনী নষ্ট হওয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক কিডনী রোগ বৃদ্ধির যে পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যেকোন সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত হবেন। পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে 17 কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় 2 কোটি লোক কিডনী রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে দীঘর্স্থায়ী জটিল কিডনী রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় 1 কোটি 80 লক্ষ।
🇨🇭 এই রোগে প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করছে 5 জন।
🇨🇭 যেহেতু কিডনী ডায়ালাইসিস এবং নতুন কিডনী লাগানোর মতো চিকিৎসায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়, সেহেতু বেশীর ভাগ রোগীই বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে।
🇨🇭 তাছাড়া দীঘর্স্থায়ী কিডনী রোগীদের বেশীর ভাগই হার্টএটাকে মারা যায়। কারণ কিডনী রোগ, হাটর্এটাক এবং ডায়াবেটিস একেবারে ওত-প্রোতভাবে জড়িত।
🇨🇭 রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব প্রাণনাশী কিডনী রোগের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মুল কারণ হলো ভেজাল খাবার ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনী বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বরং বেশী বেশী এলোপ্যাথিক ঔষধ খাওয়াকেই কিডনী নষ্ট হওয়ার মূল কারণ বলতে হবে। কেননা আমরা অনেকেই জানি না যে, আমরা যতো ঔষধ খাই তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা করে থাকে। পরবর্তীতে তাদেরকে রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনী দুটিকে।
ফলে আমরা যতো বেশী ঔষধ খাই, আমাদের কিডনীকে তত বেশী পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলস্রুতিতে কিডনী দুটি তত বেশী দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশী বেশী ঔষধ খেলে তাদেরকে শরীর থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়। কিন্তু আমাদের অনেকেই বেশী বেশী পানি খাওয়ার বিষয়টি মেনে চলি না। কিডনী ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম নেফ্রাইটিস এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মুল কারণও এই ঔষধ।
🇨🇭 কিডনী যদিও নিয়মিত আমাদের খাওয়া সকল ঔষধসমুহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার মাঝেও ঔষধের দুয়েকটা কণা কিডনীর অজান্তেই কিডনীর গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীতে সেই কণাটির ওপর নানারকমের জীবাণু, ক্যামিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে যায়। ফলে কিডনী আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না। এক সময় কণাটি নিজে কিডনীর একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিডনী সেই কণাটিকে গ্রহন করতে রাজী হয় না। শেষ পরযন্ত কিডনীর ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারী ভাষায় বলে অটোইমিউন রিয়েকশান এভাবে কিডনীর এক অংশ অন্য অংশকে চিনতে না পেরে শত্রু হিসেবে গণ্য করে এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়।
🇨🇭 ফলে কিডনী নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে এবং আমরা কবরের বাসিন্দা হয়ে যাই। সাথে সাথে আমাদের সন্তান-সন্ততীদের করে যাই পথের ভিখারী।
🇨🇭 কেননা এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনী রোগের যে চিকিৎসা খরচ, তাতে যে-কোন কিডনী রোগীর পরিবারকে পথে নামতে ছয় মাসের বেশী লাগে না। কাজেই বলা যায় যে, উচ্চরক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস আমাদের কিডনীর যতটা ক্ষতি না করে, তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি করে এসব রোগ চিকিৎসার নামে যুগের পর যুগ খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর এলোপ্যাথিক কেমিক্যাল ঔষধগুলি।
🇨🇭 বিশেষ করে যে-সব এলোপ্যাথিক ঔষধ মানুষ বেশী বেশী খায়, যেমন: এন্টিবায়োটিক, ব্যথার ঔষধ, বাতের ঔষধ, ঘুমের ঔষধ, ব্লাড প্রেসারের ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ ইত্যাদি।
🇨🇭 এগুলো কিডনীর এতই ক্ষতি করে যে, এদেরকে কিডনীর যম বলাই উচিত। একটি বাসতব সত্য কথা হলো, প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ কখনও সারে না, বলা হয় এগুলো- নিয়ন্ত্রণে থাকে। আসল কথা হলো, কোন ঔষধ যখন বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ খাওয়া হয়, তখন সেই ঔষধ আর রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না বরং রোগই সেই ঔষধকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। ফলে এসব কুচিকিৎসায় ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ তো সারেই না বরং দিন দিন আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
🇨🇭 মাঝখানে মারাত্মক মারাত্মক ঔষধের ধাক্কায় কিডনীর বারোটা বেজে যায়। অথচ একজন বিশেষজ্ঞ হোমিও ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিলে ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপ
এবং নেফ্রাইটিস দুয়েক বছরের মধ্যেই কেবল নিয়নত্রণ নয় বরং একেবারে নির্মুল হয়ে যায়। কেননা হোমিও ঔষধে যেহেতু ঔষধের পরিমাণ থাকে খুবই কম, সেহেতু এগুলো কয়েক যুগ খেলেও কিডনীতে জমে কিডনী নষ্ট হওয়ার সম্ভাবণা নাই। হ্যাঁ, অন্যান্য রোগের মতো কিডনী রোগের চিকিৎসাতেও হোমিও ঔষধ শ্রেষ্টত্বের দাবীদার। কারণ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের কষ্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ দূর করা যায় না।
একমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমেই কেবল কিডনী রোগের পেছনের মূল কারণসমূহ দূর করা সম্ভব হয় এবং এভাবে একই রোগ কয়েক বছর পরপর ঘুরে ফিরে বার বার ফিরে আসা ঠেকানো যায়। কিডনী নষ্ট হওয়ার কারণে যারা ডায়ালাইসিস করে বেঁচে আছেন, তারাও ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা গ্রহন করে তাদের বিকল কিডনীকে ধীরে ধীরে সচল করে তুলতে পারেন।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে বংশগত রোগ প্রবনতার ইতিহাস এবং শারীরিক-মানসিক গঠন,বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা,
উজ্জীবিত হয় এবং ফলস্রুতিতে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে নষ্ট কিডনী আবার ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনী পুরোপুরি ভালো না হলেও যথেষ্ট উন্নতি হওয়ার ফলে ডায়ালাইসিসের সংখ্যা কমানো যায়। যেমন: দেখা যায় যেই রোগীর প্রতি সপ্তাহে দুইবার ডায়ালাইসিস করতে হতো, তার হয়ত এখন পনের দিনে বা মাসে একবার ডায়ালাইসিস,আর কিডনী পুরোপুরি ভালো হয়ে গেলে ডায়ালাইসিস পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া যায়। অথচ প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় একবার ডায়ালাইসিস শুরু করলে কিডনী না পাল্টানলো
পর্যন্ত আর সেটি বন্ধ করা যায় না।
বরং যত দিন যায় ডায়ালাইসিস তত বেশী ঘন ঘন করতে হয়। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে নষ্ট কিডনী কখনও ভালো করা যায় না বরং ইহার মাধ্যমে কেবল কিডনী কাজ বিকল্প উপায়ে সমপন্ন করে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা হয়। হ্যাঁ, একথা সত্য যে, শতকরা নব্বইভাগ রোগ বিনা চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায় , আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বদৌলতে। এতে সময় বেশী লাগে কিন্তু উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহন করলে অনেক কম সময়ে রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
সেহেতু অনেকের সাময়িকভাবে নষ্ট কিডনীও বিনা চিকিৎসায় ভালো হয়ে যেতে পারে। সাধারণত কিডনী রোগের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা রোগের ভয়াবহতার মাত্রা এবং রোগের পেছনের অনর্তনিহিত কারণ অনুযায়ী দুই থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ করা যায়। কিন্তু প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিডনী রোগের চিকিৎসা প্রায় সারাজীবনই চালিয়ে যেতে হয়। নষ্ট কিডনী প্রচলিত অন্যান্য চিকিৎসায় কখনও ভালো হয় না। কারণ তাদের টার্গেট হলো কিডনীকে ভালো করা নয় বরং কৃত্রিম উপায়ে কিডনীর কাজ অন্যভাবে চালিয়ে নেওয়া, যেমন: ডায়ালাইসিস করা এবং কিডনী পাল্টানো।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মায়াজমেটিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এতে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটতে দেখা যায়, যা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অকল্পনীয়। যেমন: হোমিও চিকিৎসায় কিডনীর ধ্বংস হওয়া কোষন্তুর জায়গায় ভালো টিস্যু গজাতে দেখা যায়। সাধারণত কিডনী পাল্টানোর পরে অনেক ক্ষেত্রে কিডনী গ্রহীতার শরীর এই নতুন কিডনীকে গ্রহন করতে চায় না নতুন কিডনীকে সে প্রত্যাখান করে নতুন কিডনীকে প্রত্যাখ্যানের এই হার বেশ উচ্চ। রক্ত সম্পর্কের আত্মীয় ছাড়া অন্যদের কিডনী গ্রহন করলে এসব বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে থাকে। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে নতুন কিডনীর বিরুদ্ধে শরীরের এই বিদ্রোহকে সামাল দিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হয়, অথচ এসব ক্ষেত্রে অপারেশনের পূর্ব থেকেই অথবা অপারেশনের পরেও যদি হোমিও চিকিৎসা অবলম্বন করা হয় তবে অন্তত একশগুণ কম খরচে বিদ্রোহ সামাল দেওয়া সম্ভব।
🇨🇭 নতুন কিডনী সংযোজনের পরে অনেক সময় দেখা যায় কিডনীর সাথে সম্পর্কিত রোগের যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদির, মাত্রা বেড়ে গিয়ে এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, তাকে আর নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো কিডনীর সাথে সম্পর্কিত
রোগসমুহ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় যে কত সহজে দমন করা যায়, তা পুর্বেই বলেছি। কিডনী রোগীদের পাশাপাশি যাদের কিডনী রোগ নাই কিন্তু ফ্যামিলিতে কিডনী রোগের ইতিহাস আছে, তাদের উচিত প্রতিরোধমুলক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে কিডনী নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকা।
কারণ একজন দক্ষ হোমিও ডাক্তার যেকোন মানুষের সামগ্রিক ইতিহাস শুনলে অদুর অথবা দুর ভবিষ্যতে তার কি কি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তা বুঝতে পারেন এবং সেই অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করে তাকে সে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারেন। যারা জন্মের পর থেকেই একজন হোমিও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসার অধীনে থাকেন, তাদের কিডনী নষ্ট হওয়ার কোনই সম্ভাবনা নাই।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ডায়ালাইসিস ( kidney Dialysis ) কী?
🇨🇭 আবার যেসব ডায়াবেটিস রোগী একই সাথে উচ্চ রক্তচাপেও ভোগছেন, তাদের কিডনী নষ্ট হওয়ার হাত থেকে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করা।
🇨🇭 হোমিওসমাধান: রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে কিডনী রোগীর
ডায়ালাইসিস হোমিওপ্যাথি সহ
যে কোন জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
🇨🇭 নেফ্রাইটিস নিরাময়ে হোমিও চিকিৎসা:
🇨🇭 মানুষের অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গ,প্রত্যঙ্গের মধ্যে কিডনি একটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। বেঁচে থাকার জন্য আমরা যে প্রতিনিয়ত খাবার বা পথ্য গ্রহণ করে থাকি তা শরীরে ব্যবহৃত হওয়ার পর যে বর্জ্য পদার্থ জমা হয় তা প্রধানত কিডনি দিয়েই বের হয়ে আসে। আর তাই কিডনিকে একটি নিখুঁত ছাকনির সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। অবশ্য ছাকনির কাজ ছাড়াও কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, যেমন সাহায্য করে ঠিক তেমনি সাহায্য করে রক্ত তৈরিতে এবং অস্থির গঠনে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি।
🇨🇭 কিডনী প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস, নেফ্রাইটিস কিডনীর ছাঁকনীর আবরণের এমন একটি বিশেষ রোগ যার কারণে কিডনীর লক্ষ লক্ষ ছাকনী নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে বাকী ছাঁকনীগুলোর ছিদ্রের পরিমাণ বেড়ে পরে কমে যায়। যার ভেতর দিয়ে রক্তের অত্যাবশ্যকীয় প্রোটিন- এ্যালবুমিন, বেরিয়ে আসে এর সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে আসে রক্তের লোহিত ও শ্বেত কণিকা।
🇨🇭 প্রস্রাবের সঙ্গে নির্গত রক্তের প্রোটিন ও সময় বিশেষে লোহিত ও শ্বেত কণিকা নির্গমনকেই নেফ্রাইটিস ও নেফ্রোটিক সিনড্রোম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। সুস্থ্য মানুষের প্রস্রাবে সাধারণতঃ অ্যালবুমিন থাকে না বা সামান্য পরিমাণে ( 24 ঘন্টায় 60 মি: গ্রাম: পর্যন্ত;) থাকতে পারে।
🇨🇭 আর নেফ্রোটিক সিনড্রোম হলে কিডনীর মধ্য দিয়ে প্রচুর পরিমাণে এ্যালবুমিন প্রস্রাবের সাথে বেরিয়ে আসে (24 ঘন্টায় 3 থেকে 5 গ্রাম কিংবা ততোধিক )এ প্রক্রিয়া চলতে থাকলে রক্তে এ্যালবুমিনের পরিমাণ অনেক কমে যায়। স্বাভাবিক অবস্থায় এ্যালবুমিনের অসমেটিক চাপের মাধ্যমে রক্তস্থিত পানিকে রক্তনালীর ভেতর ধরে রাখে। রক্তে এ্যালবুমিনের পরিমাণ কমে গেলে অসমেটিক চাপও কমে যায় এবং পানি রক্তনালীর ভেতর থেকে বাইরে টিস্যুতে চলে আসে। ফলে শরীরের বিভিন্ন নরম অংশ যেমন চোখের চারিদিকে, পেটে, বুকে, পায়ে চামড়ার নীচে ইত্যাদি জায়গায় পানি জমে। কোন কোন ক্ষেত্রে হৃদপিন্ডের চারিদিকে পানি জমতে পারে। এই পানি জমা হওয়ার পেছনে আরও অন্যান্য জটিল প্রক্রিয়া কাজ করে।
🇨🇭 কিডনী প্রদাহ বা নেফ্রাইটিসের কারণ:
- 🩸 বিষক্রিয়ার কারণ।
- 🩸 স্ট্রেপটোকক্কাস- হিমোলাইটিকাস নামক জীবানুর সংক্রমণ জনিত কারণে টনসিলের অসুখ হলে।
- 🩸 এছাড়া হেপাটাইটিস ভাইরাস লিভারে আক্রমণের পাশাপাশি কিডনীকেও আক্রমণ করে থাকে।
- 🩸 ম্যালেরিয়ায় ভুগলে হতে পারে।
- 🩸 ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়- যেমন: ব্যথার ঔষধ, এন্টিবায়োটিক, ফিনিটয়েন ইত্যাদি।
🇨🇭 কিডনী প্রদাহ বা নেফ্রাইটিসের লক্ষণগুলো:
লক্ষণগুলো তাড়াতাড়ি বা হঠাৎ দেখা দেয় এবং তা মৃদু থেকে মারাত্মক হতে পারে।
- 🩸 আক্রান্ত শিশুর চোখ-মুখ ফোলা ফোলা মনে হয়। বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠলে চোখের পাতা ফুলে যায়।
- 🩸 পায়ে এবং পেটেও পানি জমতে পারে।
- 🩸 প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়।
- 🩸 প্রস্রাবের রঙ ঘোলাটে, কাঁচা চা অথবা কোকাকোলার মতো কিংবা লালচে হয়।
- 🩸 শরীর ম্যাজ-ম্যাজ করা, দুর্বলতা, জ্বর-জ্বর ভাব, ক্ষুধা মন্দা, মাথাব্যথা, পেটব্যথা ইত্যাদি থেকে শুরু করে সমস্ত শরীর ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট, খিচুনি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
🇨🇭 হোমিও চিকিৎসা:
লক্ষণ অনুযায়ী কিডনি প্রদাহ রোগে নিম্নে উল্লেখিত ঔষধ সমূহ:
- 🧪 Acid Nit : মূত্র স্বল্প, কালো এবং দুর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব, মত্রে রক্তাক্ত এবং এলবুমেন যুক্ত।
- 🧪 Acid Benz: ফোঁটা ফোঁটা এবং মূত্রাশয় প্রদাহ, মূত্রে অত্যধিক ইউরিক এসিড থাকে।
- 🧪 Ars Alb: জ্বলাকর ও প্রস্রাবে এলবুমেন থাকে, মূত্রাশয় পক্ষাঘাত যুক্ত, সর্বাঙ্গে শোথ ভাব থাকে,নেফ্রাইটিস রোগে ইহা প্রযোজ্য।
- 🧪 Cantharis: মূত্রগ্রন্থিতে এবং কোমরে কেটে ফেলার মত বেদনা, জ্বালাপোড়া, কষ্টদায়ক মূত্রত্যাগ, প্রবল জ্বর থাকে।
- 🧪 Phosphorus: মূত্রের পরিমান অল্প এবং কালচে,সাদা সাদা পদার্থ বা চর্বির মত পদার্থ তলানী পড়ে। রক্ত মূত্র এবং অন্ডলালাময় মূত্র।
🧪 তাছাড়া:
- Apis Mel.
- Acid phos.
- Belladona.
- Berberis Vul.
- Chelid M.
- Heper Sulp.
- Lycopodium.
- kreosote.
- Marc Sol.
- Camphor.
- Canabis Sat.
ইত্যাদি লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ করা যেতে পারে। জার্মানী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে পারেন।
🇨🇭 কিডনি সমস্যার উপসর্গগুলি:
🇨🇭 আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল বৃক্ক বা কিডনি। কোনও কারণে কিডনি আক্রান্ত হলে বা কিডনিতে কোনও রকম সংক্রমণ হলে শরীরে একের পর এক নানা জটিল সমস্যা বাসা বাঁধতে শুরু করে। তাই কিডনির সমস্যা বা অসুখকে ( নিঃশব্দ ঘাতক ) বলেই ব্যাখ্যা করে থাকেন অনেক চিকিত্সক।
🇨🇭 কারণ, কিডনির সমস্যা বা অসুখকের নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ হয় না। তবে কয়েকটি কয়েকটি উপসর্গ যা দেখলে অত্যন্ত সাধারণ বলে মনে হলেও এগুলি লক্ষ্য করলে আগে থেকেই সতর্ক হওয়া দরকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই কয়েকটি উপসর্গ সম্পর্কে যেগুলি কিডনির সমস্যা বা অসুখকের আগাম ইঙ্গিত হতে পারে:
- মুখ, চোখের কোল যদি হঠাৎ অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে ওঠে, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কারণ, কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।
- আপনার বার বার প্রস্রাবের বেগ অনুভব করলে সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন! কিডনি সঠিক ভাবে কাজ না করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যদি দেখেন, আপনার হাত, পা বা পিঠের পেশিতে ঘন ঘন অস্বাভাবিক টান বা খিঁচুনি ধরছে, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।
- আপনার ত্বক কি অসময় হঠাৎ শুষ্ক হয়ে গিয়েছে? তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। কারণ, কিডনি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর পদার্থগুলি শরীর থেকে ছেঁকে বের করে দেয়। তাই কিডনি বিকল হয়ে পড়লে শরীরে এই ক্ষতিকর পদার্থগুলি জমে গিয়ে আমাদের ত্বককে শুষ্ক ও রুক্ষ করে দেয়।
- যদি দেখেন, আপনার গোড়ালি বা পায়ের পাতা হঠাৎই অস্বাভাবিক ফুলে যাচ্ছে, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনির সমস্যা বা অসুখকের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।
- কিডনির সমস্যা থাকলে একাধিকবার মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়াও প্রস্রাবের সময় জ্বালা বা ব্যথাও করতে পারে।
- পিঠের দিকে, কোমরের একটু উপরে যদি ঘন ঘন ব্যথা অনুভব করেন তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত চলে আসতে পারে।
- কিডনির সমস্যায় ঘুমেরও ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কিডনি ঠিক মতো কাজ না করলে রক্ত ভাল ভাবে পরিশ্রুত হতে পারে না। তাই ঘুমের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- রক্তচাপের দ্রুত ওঠাপড়া, অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট হওয়ার পেছনেও লুকিয়ে থাকতে পারে কিডনির সমস্যা।
- যদি দেখেন প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে, তা হলে অবশ্যই সতর্ক হওয়া জরুরি। কিডনি ঠিক ভাবে কাজ না করলে অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত চলে আসতে পারে।
🇨🇭 উল্লেখিত উপসর্গগুলি লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অবশ্যই মূত্র (ইউরিন) পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কোনও ত্রুটি থাকলে অবশ্যই কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252 +8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।