কামরস জাতীয় পদার্থ

যৌন উত্তেজনার সাথে কামরস জাতীয় পদার্থ বের হলে কি নামাজ-রোজা হবে?

🇨🇭 স্ত্রীকে যৌন উত্তেজনার সাথে স্পর্শ বা আলিঙ্গন করার সময় যদি লজ্জা স্থান থেকে পানি/ কামরস জাতীয় পদার্থ বের হয় তাহলে কি নামাজ-রোজা হবে?

♥ Ans: স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে যৌন উত্তেজনার সাথে স্পর্শ বা আলিঙ্গন করার সময় যদি লজ্জা স্থান থেকে কামরস, বীর্য – যৌন উত্তেজনা বশত: সুখানুভূতি সহকারে সবেগে স্খলিত ধাতু, নির্গত হয় তাহলে গোসল ফরজ হবে।

♥ আর গোসল ফরজ হলে গোসল করা ছাড়া সালাত পড়া বৈধ নয়। পড়লেও কবুল হবে না।
রোজা অবস্থায় এমন হলে ( বীর্যপাত হলে ) রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর নিকট তওবা করত: পরবর্তীতে উক্ত রোজাটি কাজা করাই যথেষ্ট।
কিন্তু যৌন চিন্তা বা যৌন উত্তেজনা বশত: কামরস ( হালকা আঠালো ও পিচ্ছিল পানি জাতীয় ধাতু ) নির্গত হলে তাতে গোসল ফরজ হবে না এবং এতে রোজাও ভঙ্গ হবে না। তবে ওজু অবস্থায় নির্গত হলে ওজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।

কামরস জাতীয় পদার্থ

এটি নাপাক। সুতরাং ওযুর পূর্বে লজ্জা স্থান ধৌত করা আবশ্যক। আর কাপড়ে লাগলে এক অঞ্জলী পানি নিয়ে কাপড়ের যেখানে তা লেগেছে তার উপর ছিটিয়ে দিলেই পবিত্র হয়ে যাবে। অর্থাৎ – কামরস নাপক হলেও হালকা নাপাক। কাপড়ে লাগলে তা ধৌত করা আবশ্যক নয় বরং উক্ত স্থানে এক অঞ্জলী পানির ছিটা দিলে তা পবিত্র হয়ে যাবে-যেভাবে দুগ্ধপৌষ্য ছেলে সন্তানের পেশাব কাপড়ে লাগলে তার উপর এক অঞ্জলী পানির ছিটা দিলেই পবিত্র হয়ে যায়।

‏আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ত
বলেন, আমার খুব বেশি কামরস
নির্গত হতো। এজন্য আমি গোসল করতাম। এমনকি অত্যধিক গোসলের কারণে আমার পিঠ ফেটে যেত , ব্যথা অনুভূত হতো। তাই আমি রসূলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বিষয়টি অবহিত করলাম কিংবা কেউ তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলো।

তখন রসূলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম, বললেন: ( এরূপ করো না। তোমার- লজ্জাস্থানে- কামরস দেখতে পেলে তা ধুয়ে নিবে এবং সালাতের ওযুর ন্যয় ওযু করবে।
( সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পবিত্রতা অর্জন, অনুচ্ছেদ- 83 বীর্যরস (মযী) সম্পর্কে, হা/206-সহিহ )

🛑 অন্য একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে:

সাহল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, বীর্যরস বের হওয়ার কারণে আমি কঠিন অবস্থার মধ্যে ছিলাম। কেননা এ কারণে আমাকে প্রায়ই গোসল করতে হত। আমি ব্যাপারটা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট বর্ণনা করলাম এবং তার বিধান জানতে চাইলাম।
তিনি বললেন: এটা বের হলে তোমার জন্য ওযুই যথেষ্ট।

আমি বললাম: হে আল্লাহর রাসূল, তা যদি আমার কাপড়ে লেগে যায়, তবে কী করব?
তিনি বললেন: এক আঁজলা পানি তোমার কাপড়ের যে অংশে বীর্যরস দেখতে পাও সেখানে ছিটিয়ে দিবে। এটাই তোমার জন্য যথেষ্ট। (আবু দাউদ, তিরমিযী। তিরমিযী বলেন: হাদীসটি হাসান সহীহ। শায়খ আলবানিও এটিকে হাসান বলেছেন-সূত্র: সহিহ আবু দাউদ)
উল্লেখ্য যে, কাপড়ে কামরস লেগে গেলে এর হুকুম সম্পর্কে আলিমগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

হোমিওপ্যাথির
  • 🩸 ইমাম শাফিঈ ও ইসহাকের মতে কাপড় ধুতে হবে।
  • 🩸 কেউ কেউ বলেন, মযী লাগার জায়গায় পানি ঢেলে দেওয়াই যথেষ্ট।
  • 🩸 ইমাম আহমাদ বলেন, আমার মতে পানি ছিটিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট।
    উ্ক্ত হাদিসের আলোকে ৩য় মতটি অধিক বিশুদ্ধ বলে প্রতিয়মান হয়।

🛑 বিশেষ দ্রষ্টব্য:

রোজা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে-বীর্যপাত হোক না হোক-তাতে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। রমাযানের দিনের বেলা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়া কবিরা গুনাহ। কেউ এমনটি করলে তার জন্য আল্লাহর নিকট লজ্জিত অন্তরে তওবা করার পাশাপাশি কাফফারা দেয়া ওয়াজিব। তা হল:

  • 🩸 একটি রোজার বিনিময়ে একটি দাস মুক্ত করা।
  • 🩸 তা সম্ভব না হলে একটানা বিরতি হীনভাবে 60টি রোজা রাখা।
  • 🩸 তাও সম্ভব না হলে 60 জন মিসকিনকে একবেলা খাবার খাওয়ানো বা প্রতিটি রোজার বিনিময়ে অর্ধ সা তথা সোয়া বা দেড় কিলোগ্রাম চাল দেয়া। টাকা দেয়া ঠিক নয়।
  • 🛑 কেউ যদি হিদায়াতের পথে আহবান করে তাহলে সে তার অনুসারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, তবে অনুসরণকারীদের সাওয়াব থেকে মোটেও কম করা হবে না। আর বিপথের দিকে আহবানকারী ব্যক্তি তার অনুসারীদের পাপের সমপরিমাণ পাপের অংশীদার হবে, তবে তাদের – অনুসরণকারীদের, পাপ থেকে মোটেই কমানো হবে না।
( সুনান আত তিরমিজী : 2674 )

🛑 আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্ট তায় পতিত হয়।

( সূরাহ আল আহযাব – 33:36 )

🛑 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সাবধান! ধর্মে- প্রতিটি নব আবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নব আবিষ্কার হলো বিদ‘আত এবং প্রতিটি বিদ‘আত হলো ভ্রষ্টতা।

( সুনান আবূ দাউদ: 4607, সুনান আত তিরমিজী : 2676 )

🛑 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর এক খুতবায় বলেছেন, – নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ্‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল – দ্বীনের মধ্যে, নব উদ্ভাবিত বিষয়। আর নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।

( সুনান আন-নাসায়ী : 1578 )

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!