ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার,Over Active Bladder

ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার-Over Active Bladder

🇨🇭 তলপেটে অস্বস্তি অনুভব হচ্ছে, আর বেশিক্ষণ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, প্রস্রাবের যে সমস্যায় ভুগছেন, তা অত্যন্ত বিরক্তিকর এবং একই সঙ্গে বিব্রতকর একটি সমস্যা। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয় ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার বা অতি ক্রিয়াশীল মূত্রাশয়। এ সমস্যায় রোগীকে দিনের বেলায় ঘন ঘন প্রস্রাব করতে হয়, হঠাৎ প্রবল বেগ পায়, দ্রুত টয়লেটে যেতে হয় এবং মূত্র ত্যাগ বিলম্বিত করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়, এমনকি টয়লেটে যেতে যেতে অনেক সময় নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কাপড়ে প্রস্রাব হয়ে যায়। এ ছাড়া রাতে একাধিকবার ঘুম ভেঙে প্রস্রাব করতে উঠতে হয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি (ক্রনিক) সমস্যা, যা বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। রোগের তীব্রতা কিছুদিন বেড়ে যায়, আবার কিছুদিন একটু সহনীয় পর্যায়ে আসে। আমাদের দেশে কত শতাংশ মহিলা এ রোগে ভুগছেন, তার কোনো পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এশীয় মহিলারা স্থান বা দেশভেদে 16 থেকে 53 শতাংশ ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের সমস্যায় ভুগছেন। আমেরিকায় 20 মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার এ সমস্যা রয়েছে।

🇨🇭 স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মূত্রাশয়ে বৃক্কদ্বয় ( কিডনি ) থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে আসা মূত্র জমা হতে থাকে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ জমা হলে আমাদের প্রস্রাবের বেগ হয় এবং যথাযথ সুযোগ ও স্থান না পেলে বেশ কিছু সময় পর্যন্ত প্রস্রাব ধরে রাখা যায়। কিন্তু অতি ক্রিয়াশীল মূত্রাশয় রোগে মূত্রথলিতে সামান্য প্রস্রাব জমলেই মূত্র ত্যাগের প্রবল তাড়া অনুভূত হয়, যা দমন করা কষ্টকর। ফলে রোগী এই তাড়া বা আর্জেন্সি থেকে মুক্তি পেতে ঘন ঘন প্রস্রাব করে। এ সমস্যা রোগীর জীবনে অত্যন্ত নেতিবাচক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। প্রথম প্রথম বাইরে বের হলেই কাছাকাছি টয়লেট খুঁজে রাখে। ধীরে ধীরে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে বাইরে বেরোনো কমে যায়। কর্মজীবী মহিলাদের বারবার টয়লেটে যাওয়ার ফলে অফিসের স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে এবং সমস্যা আরও প্রকট হলে কর্মদক্ষতা কমে আসে, এমনকি কর্মস্থলে অনুপস্থিতি বেড়ে যায়।

ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার,Over Active Bladder

স্ট্রেট ইনকন্টিনেন্সের মতো অতি ক্রিয়াশীল মূত্রাশয়ের বিষয়েও আমাদের রয়েছে ভ্রান্ত ধারণা ও সংস্কার। অনেকে মনে করেন, বাচ্চা প্রসবের কারণে বা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি একটি স্বাভাবিক দুর্বলতা। আবার অনেকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করলেও মনে করেন, এ রোগের ভালো চিকিৎসা নেই বা লজ্জার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। কেউ কেউ চিকিৎসাসহায়তা নেওয়ার বদলে অভ্যাস ও জীবনাচরণে পরিবর্তন এনে এ সমস্যার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যেমন: কেউ পানি খাওয়া কমিয়ে দেন, কেউ বা আবার পানি বেশি খেলে ভালোভাবে প্রস্রাব হয়ে যাবে ভেবে অতিরিক্ত পানি পান করেন এবং তাড়া এড়ানোর জন্য বেগ হওয়ার আগেই মূত্র ত্যাগের অভ্যাস করেন। অনেকে কোথাও যাওয়ার আগে সেই স্থানে টয়লেট আছে কি না, জেনে নেন, এমনকি যেসব জায়গায় টয়লেট নেই, এমন স্থানে যাওয়া বন্ধ করে দেন। আর যাঁদের বেগ এলেই নিয়ন্ত্রণহীনভাবে কাপড়ে প্রস্রাব হয়ে যায়, তাঁরা প্যাড বা কাপড় ব্যবহারের অভ্যাস করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ রোগী চিকিৎসাসহায়তা নেওয়ার আগে অন্তত দুই বছর অতি ক্রিয়াশীল মূত্রাশয়ের উপসর্গে ভোগেন।

🇨🇭 চিকিৎসা:
চিকিৎসার শুরুতেই যথাযথ রোগ মূল্যায়নের জন্য রোগীকে পাঁচ থেকে সাত দিনের ব্লাডার ডায়েরি বা পানীয় গ্রহণ এবং মূত্র নিঃসরণের তালিকা তৈরি করতে দেওয়া হয়। এ রোগের চিকিৎসায় এই চার্ট বা তালিকা অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। রোগী আগে থেকে যেসব ওষুধ খান, তাও ভালোভাবে নিরীক্ষা করতে হয়। রোগের ইতিহাস ও শারীরিক পরীক্ষার পর এবং ব্লাডার ডায়েরি বিশ্লেষণ করে ও প্রস্রাব পরীক্ষা করেই চিকিৎসক এ রোগের অন্য কোনো কারণ থাকলে তা চিহ্নিত করতে পারেন। প্রয়োজনে আলট্রাসনোগ্রাফির সহায়তা নেওয়া হয়।
অন্য কোনো কারণ না পাওয়া গেলে ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারের চিকিৎসা শুরু করা হয়। প্রথমত, রোগীর জীবনাচরণ ও অভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের মাধ্যমে। যেমন: ধূমপান পরিহার করা, অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখা ইত্যাদি। প্রস্রাবের পরিমাণ ও আবহাওয়ার উষ্ণতার ওপর নির্ভর করে পরিমিত পানি পান ( কখনোই অতিরিক্ত নয় ), যেসব পানীয়তে প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যায়, যেমন- চা, কফি, কিছু ফলের রস, বিভিন্ন কোমল পানীয় ইত্যাদি পান করা কমিয়ে দিতে হবে। বহুমূত্র রোগ থাকলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এর সঙ্গে রোগীকে তাঁর মূত্রদ্বার, যোনিপথ ও মলদ্বারের চারপাশের মাংশপেশিগুলোকে ( পেরিনিয়াল মাংশপেশি ) নিয়মিত বিরতিতে সংকোচন ও প্রসারণের ব্যায়াম শিখতে হবে। এ ছাড়া মূত্রাশয়ের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মূত্রাশয়ের পুন:প্রশিক্ষণের জন্য রোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ প্রশিক্ষণে রোগী ধীরে ধীরে প্রস্রাব বেশিক্ষণ ধরে রাখা এবং মূত্র ত্যাগের মধ্যবর্তী সময় বাড়ানোর অভ্যাস করেন।

ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার-Over Active Bladder

🇨🇭 ছয় সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গের যথেষ্ট উন্নতি না হলে উপরিউক্ত চিকিৎসা বা থেরাপির সঙ্গে ওষুধ ব্যবহার শুরু করা হয়। এ রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়, আর অতিসম্প্রতি কিছু ভালো ওষুধ বাজারে এসেছে। যে ওষুধ বা ব্যবস্থাপত্রই দেওয়া হোক না কেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা দীর্ঘদিন খেতে হবে। ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডারে যেসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়, সেসব ওষুধের সবগুলোরই কমবেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে মুখ ও গলা শুকিয়ে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, চোখে ঝাপসা দেখা অন্যতম।

🇨🇭 নতুন ওষুধগুলোর এসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছুটা কম হলেও একেবারে মুক্ত নয়। আর বড় কথা হলো, ওষুধ খাওয়া শুরু করার পর থেকে উপসর্গের উন্নতি দেখা দিতে বেশ সময় লাগে, ফলে অনেক সময়ই রোগীরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তাই এ রোগের চিকিৎসায় প্রয়োজন মনোবল ও ধৈর্য। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবনাচরণ ও অভ্যাসে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সঠিক নিয়মে ওষুধ সেবন করুন।

আরো পড়ুনঃ গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস | Glomerulonephritis | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 ওভার অ্যাক্টিভ ব্লাডার-Over Active Bladder :

🇨🇭 অতিসক্রিয় মূত্রাশয় রোগ বলতে সেই অবস্থাকে বোঝায়, যেখানে কোনও ব্যক্তি মূত্র ত্যাগ করার হঠাৎ এবং অনিবার্য তাড়না অনুভব করেন। এই তাড়না দিনে যেকোনও সময় অনুভূত হতে পারে। এই রোগটি খুবই সাধারণ এবং কোনও ব্যক্তির দৈনিক জীবনে অসুবিধা এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে।

🇨🇭 এর সাথে জড়িত প্রধান লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কি কি?

🩸 মূত্রত্যাগের করার তীব্র তাড়না: এই তাড়না অনিবার্য হতে পারে এবং চেপে রাখা খুবই কঠিন। এর ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, যা আর্জেন্সি ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স নামে পরিচিত।

🩸 বারবার প্রস্রাব করা: অতিসক্রিয় মূত্রাশয়ের কারণে কোনও ব্যক্তির স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিবার প্রস্রাব হতে পারে।

🩸 ঘুমে ব্যাঘাত: হঠাৎ করে মূত্রত্যাগ করার তাড়নার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে রাত্রিবেলা বারবার ঘুম থেকে উঠতে হতে পারে। এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মানসিক চাপ ও উদ্বিগ্নতা উপলব্ধি করেন তাহলে অতিসক্রিয় মূত্রাশয় রোগ আরও খারাপ আকার নিতে পারে।

🇨🇭 Overactive Bladder-এর প্রধান কারণ কি?

🩸 অতিসক্রিয় মূত্রাশয় রোগের অন্তর্র্নিহিত কারণ মূত্রাশয়ের পেশীগুলির অতিরিক্ত সংকোচন, যা বারবার প্রস্রাব করার তাড়না উৎপন্ন করে। তবে, ঠিক কি কারণে পেশীগুলির সংকোচনে অস্বাভাবিকতা আসে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

🩸 দেখা গিয়েছে, এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মূত্রাশয় মস্তিস্কে বার্তা পাঠাতে পারে যে মূত্রাশয় বরে উঠেছে, কিন্তু আদৌ তা ভর্তি হয়নি।

🇨🇭 কিছু কিছু ক্ষেত্রে, অতিসক্রিয় মূত্রাশয় রোগ মস্তিষ্কের কোনও রোগের কারণে হতে পারে, যেমন:
  • 🧪 পারকিনসন রোগ।
  • 🧪 মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস।
  • 🧪 সুষুম্নাকাণ্ডে আঘাত।

🇨🇭 Overactive Bladder কিভাবে নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হয়?

🩸 অতিসক্রিয় মূত্রাশয় রোগ নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসক সাধারণত উপসর্গ সম্পর্কে জানতে চান এবং তারপর সংক্রমণের কোনও লক্ষণ আছে কিনা তা জানতে, শারীরিক পরীক্ষা করেন অথবা মূত্র পরীক্ষা করান। মূত্র প্রবাহের গতি এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মূত্রাশয় সম্পূর্ণরূপে খালি করছে কিনা, তা মূল্যায়ন করার জন্য ফ্লো টেস্ট করা হতে পারে।

🩸 এই রোগের চিকিৎসার জন্য ব্লাডার ট্রেনিং করানো হয়, এর ফলে কোনও ব্যক্তি মূত্রাশয়ের গতিবিধির উপর কিছু মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ আনতে পারেন এবং মূত্রত্যাগের তাড়নাকে খানিকটা বিলম্বিত করা যায়। ওষুধ দেওয়া হতে পারে, কিন্তু পেলভিক ব্যায়াম করা, ক্যাফেন ও অ্যালকোহল বর্জন আর অতিরিক্ত ওজন কমানোর মতো জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এই রোগের পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!