ইরেকটাইল ডিসফাংশন

সহবাসের আগে ইরেকটাইল ডিসফাংশন | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 পুরুষের দুর্বলতা বলতে যৌন অক্ষমতা বা যৌন আচরণে অতৃপ্তি, যৌন অসন্তোষ ইত্যাদি বোঝানো হয়ে থাকে। মূলত যৌন আচরণের যে দিকটি পুরুষের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর তা হলো পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গের উত্থানে ব্যর্থতা।

🇨🇭 এটিকে আমরা অনেক সময় ইরেকটাইল ডিসফাংশন বলে থাকি। অবশ্য মেডিকেল টার্ম হিসেবে একে ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতাও বলা হয়ে থাকে।

🇨🇭 একজন পুরুষ যখন যৌন সঙ্গম বা যৌনমিলনের জন্য মনোশারীরিকভাবে প্রস্ততি লাভ করে তখন যদি তার লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গ সঙ্গমের জন্য উপযুক্তভাবে উত্থিন না হয়তবে তা তার জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক।

🇨🇭 সন্তোষজনকভাবে সেক্স করার জন্য ইরেকশন বা লিঙ্গের পর্যাপ্ত উত্থান একটি বাধ্যতামূলক আচরণ। এর ফলশ্রুতিতে পুরুষের যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছার যেমন: ঘাটতি দেখা যায় তেমনি চরমপুলক অনুভূতি লাভও তার ভাগ্যে জোটে না। যে পুরুষ এর ভুক্তভোগী তিনিই কেবল জানেন এর কেমন মর্মপীড়া। অথচ মেডিকেল স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে পুরুষত্বহীনতার অনেক আধুনিক কার্যকারী চিকিৎসা রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে,ইরেকটাইল ডিসফাংশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যা যে কোনো বয়সের পুরুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে। ফিজিশিয়ানরা সাধারণত ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতার টার্মটির পরিবর্তে ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটি বেশি ব্যবহার করে থাকেন , কেননা এটি ইম্পোটেন্সির চেয়েও অনেক ব্যাপক অর্থ বহন করে।

সহবাসের আগে ইরেকটাইল ডিসফাংশন

🇨🇭 পুরুষের যৌন কর্মের মানে যে কেবলমাত্র পুরুষাঙ্গের ইরেকশন বা উত্থান হওয়া তা কিন্তু নয় এর সঙ্গে মনোগত এবং আবেগজনিত অনেক ফ্যাক্টরই জড়িত। পুরুষত্বহীনতা শব্দটির সঙ্গে যেহেতু অনেক নেতিবাচক ধারণা জড়িত তাই ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটি আমরা ব্যবহার করব। শারীরিক বা দৈহিক নানা কারণে যেমন লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হতে পারে ঠিক তেমনি মানসিক সমস্যার কারণে বা আবেগজনিত বা সাইকোসেক্সুয়াল – মানসিক যৌন সমস্যা, ইত্যাদির কারণেও পুরুষত্বহীনতা হতে পারে।

🇨🇭 যে কারণেই হোক না কেন ডায়াগনোসিস বা রোগ নির্ণয় হচ্ছে সবার আগে। সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার জন্য পুরুষত্বহীনতার জন্য উপযুক্ত কারণ খুজে বের করে তবেই তার চিকিৎসা করতে হবে।

🇨🇭 লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যা যেমন: ইরেকশন প্রবলেমের জন্য মূলত দুই ধরনের কারণ দায়ী।

  • 🩸 ফিজিক্যাল বা শারীরিক কারন: এটি সাধারণত রক্তনালী সম্পর্কীয় বা নার্ভের সাথে সম্পর্কিত।
  • 🩸 সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ: নানা ধরনের মানসিক বিকারজনিত কারণে।

🇨🇭 পুরুষত্বহীনতা অনেক ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। আবার অনেকের লিঙ্গ উত্থানজনিত নানা সমস্যার পেচনে রক্তনালী, লার্ভ বা স্নায়ু, নানা ধরনের সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক কারণজনিত ফ্যাক্টর দায়ী থাকতে পারে। শারীরিক নানা কারণের মাঝে রয়েছে দীর্ঘ মেয়াদি অসুস্থতা, ইনজুরি বা আঘাত, অপারেশনজানত কারনে জটিলতা। যেমন: প্রস্টেট সার্জারি জনিত সমস্যা ইত্যাদি। এসকল সমস্যার কারণে পেনিসে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্নায়ুবিক সংবেদী তাড়না ও রক্তপ্রবাহ বিঘ্নতা ঘটে থাকে। এখানে একটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন ইরেকশন হলো এক ধরনের ভাসকুলার
বা রক্তনালীতে পর্যাপ্ত রক্ত সংবহনজনিত ঘটনা। যদি স্নায়ুতন্ত্র যৌনশিহরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সিগন্যাল বা সংকেত পাঠাতে না পারে তাহলে পেনিসের রক্তনালী গুলোতে ইরেকশনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণে রক্ত আসে না ফলে লিঙ্গ উত্থান ঘটে না।

🇨🇭 গবেষণা সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়েছে যে, শতকরা 48 ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার মূল কারণ ভাসকুলারবা রক্তনালী সম্বন্ধীয় নানা সমস্যা শতকরা 14 ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার
ক্ষেত্রে নার্ভকে দায়ী করা হয়েছে। নানা ধরনের নিউরোলজিক বা স্নায়ুবিক সমস্যার কারণে যৌন অক্ষমতা ঘটতে পারে। শতকরা 03 ভাগ ক্ষেত্রে পেনিসের কাঠামো অথবা এর পার্শ্ববর্তী কোষকলাকে ইরেকশনের প্রবলেমের জন্য দায়ী করা হয়েছে।

🇨🇭 কতক ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া জনিত কারণে যেমন: যারা উচ্চ রক্তচাপবিরোধী ওষুধ সেবন বা করছেন বিষন্নতাবিরোধী ওষুধ সেবন করছেনতাদের ক্ষেত্রেও সাময়িক যৌন অক্ষমতা ঘটাতে পারে। হরমোনাল ফ্যাক্টরস বা হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে পুরুষত্বহীনতা শিকার অনেকেই হতে পারে। জিষ্কের স্বল্পতাজনিত কারণে অনেকের পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। সাধারণত শতকরা 50 ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতাগুলোকেই দায়ী করা হয়ে থাকে।

🇨🇭 দৈহিক বা শারীরিক অসুস্থতার জন্য , যেমন: ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে। ঠিক তেমনি মনোগত নানা সমস্যায়ও যৌন অক্ষমতা হতেই পারে।
এগুলোর মাঝে রয়েছে ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা এ্যাংজাইটি বা দুশ্চিন্তা, মনোদৈহিক চাপ বা স্ট্রেস,
দীর্ঘমেয়াদি অনুশোচনাবোধ অথবা নারী-পুরুষের আন্ত:সম্পর্কজনিত নানা সমস্যা। এ সকল নানা সমস্যায় যৌন
সঙ্গম বা যৌনমিলনের সময় পুরুষ একটু অন্যমনস্ক হয়ে থাকে ফলে স্বাভাবিক যৌনতার জন্য যে শিহরণ লাভ করা উচিত তার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে যায়। ফলে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান ঘটে না।

সহবাসের আগে ইরেকটাইল ডিসফাংশন

🇨🇭 সাইকোলজিক্যাল নানা সমস্যার জন্য শতকরা 40 ভাগেরও বেশি ক্ষেত্রে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হয়:
যেসব পুরুষের বয়স 50 বছরের নিচে তাদের ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার মূল কারণ সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যা।

🇨🇭 নারী-পুরুষের মাঝে আন্ত:সম্পর্কজনিত নানা দ্বন্দ্ব ,দাম্পত্য কলহ দুজনের সাঝে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের
অনুপস্থিতি,একজন আরেকজনের নিকট নানা ব্যক্তিগত বিষয় গোপন করা ইত্যাদি নানা কারণে যৌন পার্টনারদের মাঝেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার এটাও ঠিক যে, কোনো পুরুষ যদি নির্দিষ্ট কোনো নারীর প্রতি যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা হারিয়ে ফেলে তার ক্ষেত্রেও ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে। যে পুরুষের হঠাৎ করে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তারও লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা হতে পারে।

🇨🇭 কতক পুরুষের আবার স্ত্রীর প্রথম সন্তান জন্মের পর সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সে কতক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

🇨🇭 লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার নানা উপসর্গ: পুরুষের পুরুষঙ্গ যখন উত্থিত না হয় তখন লিঙ্গ সম্পর্কীয় কতক উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে।

🇨🇭 এগুলো হলো:
পুরুষ ইচ্ছা করলে পার্টনারের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতিতে লিঙ্গ উত্থান ঘটাতে পারে না। এর মানে হলো পুরুষ যদি পার্টনারের অনুপস্থিতিতে হস্তমৈথুন করতে চায় তথাপিও তাদের লিঙ্গ
উত্থিত হয় না। একবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান হলেও উত্থানজনিত অবস্থা একেবারে ধরে রাখতে না পারা। এর ফলে লিঙ্গ একবার শক্ত হলেও একটু পরে আবার আগের মত স্বাভাবিক নরম অবস্থায় চলে যায় যৌন সঙ্গম বা ইন্টারকোর্সের সময় সঙ্গমকে পরিপূর্ণতা দান করতে বা সঙ্গমে সন্তুষ্টি লাভ করতে যে পরিমাণ ইরেকশনের প্রয়োজন তা না হওয়া।

🇨🇭 যৌন আগ্রহ বা যৌন ইচ্ছা ইত্যাদিতেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পুরুষের চরমপুলকজনিত ব্যর্থতা এবং বীর্যস্খলনজনিত নানা সমস্যাও একই সঙ্গে বিরাজ
করতে পারে।

🇨🇭 কখন এ সমস্যা বেশি হয় ?

বেশিরভাগ পুরুষের প্রফেশনাল বা হঠাৎ করে দু-একবার লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু এই লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যখন দীর্ঘমেয়াদি রূপ লাভ করে এবং অব্যাহত থাকে তখনই তা ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের ওপরে এবং ব্যক্তির যৌন জীবনে নানা ধরনের শষ্কা ও নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম দেয়।

🇨🇭 এখানে একটি কথা বিশেষভাবে বলা দরকার একবার যাদের লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা হয়ে পড়ে তারা বারবার মনে করতে থাকে পরের বার যৌনমিলনে সমস্যাটি বুঝি আবার হবে এই অতিরিক্ত আগাম যৌন দুশ্চিন্তার কারণে যৌনমিলনের সময় লিঙ্গ উত্থান নাও ঘটতে পারে একে আমরা বলি পারফরমেন্স এ্যাংজাইটি। এই এ্যাংজাইটি জনিত কারণে সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।

🇨🇭 আবার অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের যৌন সঙ্গমকালীন সময়ে লিঙ্গ ঠিকই উত্থিত হল কিন্তু বর্ধিত যৌন চাপের কারণে সাথে সাথেই বীর্যস্খলিত হয়ে গেল। এরও মূল কারণ এ্যাংজাইটি, এটাকে বলে প্রি-ম্যাচিউর ইজাকুলেশন।

🇨🇭 আবার কতক পুরুষ রয়েছে যাদের সন্তোষজনক যৌন সঙ্গমের জন্য অনেকক্ষণ লিঙ্গকে যোনির ভেতরে ক্রমাগতভাবে ঢুকাতে এবং বের করতে হয়। অনেকের ক্ষেত্রে এটি পুরুষাঙ্গে ব্যথার উদ্রেক করতে পারে। যেহেতু এ ধরনের পুরুষদের ইজাকুলেশন বা বীর্যস্খলনে অনেক সময় প্রয়োজন হয় তাই তারা এ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কেননা বীর্যস্খলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এরা চরমপুলক লাভ করতে পারে না।

🇨🇭 এত কিছুর পরেও সৌভাগ্যের কথা এই যে, পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার জন্য শারীরিক ও মানসিক যে কারণেই
দায়ী হোক না কেন উপযুক্ত এবং বর্তমানে প্রচলিত আধুনিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ( Homeo Treatment ) ব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়।

সহবাসের আগে ইরেকটাইল ডিসফাংশন
আরো পড়ুনঃ  পুরুষের যৌন অক্ষমতা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 কোন কোন ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকে?

অনেকগুলো মেডিকেল ফ্যাক্টর রয়েছে যেগুলো পুরুষের মাঝে উপস্থিত থাকলে যৌন অক্ষমতা বা পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বাড়ে। একটু আগেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষত্বহীনতার জন্য রক্তনালী সম্পর্কীয় নানা অসুখ বা নার্ভ সম্পর্কীয় অসুখ ইত্যাদি দায়ী থাকতে পারে। যে সকল শারীরিক কারণে পুরুষত্বহীনতার ঝুঁকি বাড়ে সেগুলোর কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হল:

🩸 ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ: যেসকল পুরুষের ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ রয়েছে তাদের অনেকেই পুরুষত্বহীনতায় ভুগে থাকে। গবেষণা সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগ নির্ণীত হওয়ার 05 বছরের ভেতরে প্রায় শতকরা 50 ভাগ ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতার অভিজ্ঞতা লাভ করে।

🩸 উচ্চ রক্তচাপ: যেসকল পুরুষ উচ্চ রক্তচাপে ভোগে তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রক্তনালীর ভেতরের লুমেন্ট বা গহ্বরে কোলেস্টেরল জাতীয় পদার্থ জমা হয়ে ভেতরে স্পেস বা জায়গা কমিয়ে দেয়। ফলশ্রতিতে পর্যাপ্তপরিমাণ রক্ত এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না।

🇨🇭 এ কারণেও ইরেকশন সমস্যা দেখা দিতে পারে:
  • 🩸 রক্তনালী সম্পর্কীয় অসুখ।
  • 🩸 স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ।
  • 🩸 রক্তে উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল বিশেষত অল্প ঘনত্বমাত্রার কোলেস্টেরল এখানে উল্লেখ্য যে, যেসকল কোলেস্টেরল বেশি ঘনত্বের মাত্রার হয়ে থাকে সেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
    যৌন অঙ্গগুলোর স্বাভাবিক বিকাশ এবং কার্যকারীতার জন্য যেসকল হরমোনের প্রয়োজন সেগুলোর লেবেল যদি কম থাকে এ মেডিকেল জটিলতাটিকে আমরা বলি হাইপোগনাট ডিজাম। এর ফলে রক্তে টেস্টোস্টেরন হরমোনের লেবেলে আশষ্কাজনক ভাবে কমে যায়। ফলশ্রতিতে ইরেকশনে নানা ধরনের সমস্যার হতে পারে।
  • 🩸 থাইরয়েড গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ডের নানা ধরনের সমস্যার জন্য ইরেকশনে সমস্যা হতে পারে।
  • 🩸 মাল্টিপল ক্লোরোসিস নামক স্নায়ুবিক অসুখটিতেও পুরুষত্বহীনতা একটি বড়
    সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • 🩸 পেনিস বা পুরুষাঙ্গের কোনো ধরনের আঘাত বা শ্রোণী চক্রের কোনো ধরনের ইনজুরির জন্য এ সমস্যা হতে পারে।
  • 🩸 পেলভিস বা শ্রোণী চক্রের সার্জারি বা অস্ত্রোপচার।
  • 🩸 রেডিয়েশন ট্রিটমেন্ট বা রঞ্জনরশ্মির সাহায্যের চিকিৎসা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসকল ওষুধ সেবন করা হয় তাদের কতকগুলোতে যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারে।
  • 🩸 এন্টিডিপ্রেসেন্ট বা বিষন্নতারোধী কতক ওষুধ সেবনেও ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে।
  • 🩸 ডাই-ইউরেটিক বা মূত্রবর্ধক ওষুধ সেবনেও সাময়িকভাবে ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে।
  • 🩸 যারা দীর্ঘমেয়াদি এ্যালকোহল এবিউজ বা মদ্যপান করে থাকেন তাদের কতকের যৌন অক্ষমতা দেখা দিতে পারেশ ড্রাগ এডিক্স বা মাদকাসক্তের মাঝেও যৌন অক্ষমতার প্রবণতা অপেক্ষাকৃত বেশি।
  • 🩸 যারা অতিমাত্রায় ধূমপান করেন তাদের ক্ষেত্রেও পুরুষত্বহীনতা বিরল ঘটনা নয়। এতক্ষণ আমরা পুরুষত্বহীনতা যেসব শারীরিক কারণে ঘটে সেগুলোর কথা বললাম এবার আসা যাক সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কি কি সমস্যায় ইরেকশনের ঝুঁকি বাড়ে।

🩸 ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা:
এ্যাংজাইট বা দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগরোগ। আন্ত:সম্পর্কজনিত দ্বন্দ্ব সমস্যা ( রিলেশনশিপ প্রবলেম)।

🩸 সাম্প্রতিক জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তী , যেমন: বাচ্চার জন্মদান, চাকরি থেকে অবসর গ্রহন,
চাকরি পরিবর্তী, কোনো অন্তরঙ্গ পার্টনারকে হারানো, অন্তরঙ্গ পার্টনারের মৃত্যু, বিবাহ
বিচ্ছেদ ইত্যাদি কারণেও ইরেকশনের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হোমিও-চিকিৎসা.

🇨🇭 কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন?

🇨🇭 ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানে সহায়তা করে এরকম কোনো মেডিকেশন বা ওষুধ সেবনে ( ইনজেকশন বা অন্য
কোনো ওষুধ ) চার ঘন্টার চেয়ে বেশি স্থায়ীভাবে ইরেকশন থাকে তবে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 নিন্মোক্ত মেডিকেল জটিলতায় ইরেকশনের সমস্যা হতে পারে:

  • 🩸 পশ্চাদদেশে বা পেনিসে অথবা শুক্রাশয়ে কোনো ধরনের ইনজুরি।
  • 🩸 যৌনঙ্গ এলাকায় চুল বা বগলের নিচে হঠাৎ করে চুলের পরিমানে হ্রসি পেলে এবং স্তরের বৃদ্ধি ঘটলে।

🇨🇭 ওপরের জটিলতাগুলোতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি।
যদি এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝে শতকরা 25 ভাগ ক্ষেত্রে আপনার ইরেকশন না হয় এবং সাথে নিচের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো থাকে তাহলেও ভালো হোমিওপ্যাথিক ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

🇨🇭 ইরেকশনের সমস্যাটি যদি পশ্চাদদেশে অবিরত ব্যথাসহকারে হয়ে থাকে। লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি নতুন কোনো ওষুধ সেবনজনিত কারণে অথবা ওষুধের ডোজের পরিবর্তনজনিত কারণে হয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে আপনার আত্ম ইমেজ পরিবর্তিত হয়, নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মে।পর্যাপ্ত পরিমাণ য্তন নেয়ার পরেও যদি সমস্যার কোনো সাবধান না ঘটে। আপনার যদি ইরেকশন প্রবলেমের সাথে সমন্বিত হয় মূত্রতন্ত্র সম্পর্কীয় কোনো সমস্যা, তলপেটে ব্যথা বা পশ্চাদদেশের নিচের দিকে ব্যথা, জ্বর অথবা আঘাতজনিত কারণে অন্য কোনো উপসর্গ থাকে তাহলেও জরুরি ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন।

🇨🇭 হঠাৎ করে দুই এবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান না ঘটা সাময়িক হতে পারে। এটি আশা করা যায় ধীরে ধীরে অবস্থায়
ফিরে যাবে। তাই এক্ষেত্রে আগেই ধারণা করা উচিত নয় যে, উত্থানজনিত সমস্যাটি আবারও ঘটবে যদি সম্ভব হয় তবে উত্থানজনিত যে সমস্যাটি ঘটেছিল সেটির কথা ভুলে যান এবং পরবর্তীতে আপনি আরো সুখকর যৌনানুভূতি লাভ করবেন মনে মনে এমন ধারণাটি পোষণ করুন। যৌন পার্টনারের সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে, যৌন আচরণে আপনার কোনো ভয়-ভীতি বা দুশ্চিন্তা থাকলে একেবারে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করুন।

🇨🇭 এতে অনেক বিষয়ে ডাক্তারের সাহায়তা ব্যতীত একটি ভালো পারস্পারিক সমঝোতায় পোঁছানো যায়। যদি দুই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের সমস্যাটির সমাধান না হয় এবং প্রতি চারবারে একবার করে ইরেকশনের সমস্যা হয় তবে এ বিষয়ে কোনো হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অনেক পুরুষ তাদের পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার বিষয়টি সেক্স পার্টনারের নিকট কৌশলে এড়িয়ে যেতে চান এবং অনেকদিন ভোগার পর গোপনে গোপনে ডাক্তারের পরামর্শ নেন। এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ হল আপনার যদি ইতিমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ইরেকশন বা উত্থানজনিত সমস্যা থাকে তাহলে সবরকম লাজ লজ্জা ঝেড়ে আপনার সেক্স পার্টনারকে খুলে বলুন এবং প্রথমে একজন হোমিওপ্যাথিক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অতি সত্ত্বর নিন।

কতকক্ষেত্রে দেখ যায় যৌনতা বিষয়ক এবং ইরেকশন সম্পর্কিত নানা আলোচনায় তারা এসব প্রফেশনালদের সামনে এক ধরনের অস্বস্তি এবং অস্বাচ্ছন্দ্যবোধে ভুগে থাকে।ফলশ্রতিতে তারা তাদের মূল যৌন সমস্যার কথা ডাক্তারের কাছে মুখ খুলে বলতে পারেন না। অবশ্য এটা ঠিক যে, ডাক্তার এবং রোগী উভয়ের কিছু ক্রটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। অনেক সাধারণ ফিজিশিয়ানসহ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন যারা নিজেরাও যৌনতা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করতে পারেন না।

🇨🇭 আপনার ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তবে আপনার হোমিওপ্যাথিক প্রফেশনালের পরামর্শ নেয়া উচিত।

homeo-treatment-dr-masud-hossain

🇨🇭 ইরেকশন ডিসফাংশনে কি কি পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন?

🇨🇭 ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানঘটিত সমস্যা দূরীকরণে প্রথমত যা দরকার তা হচ্ছে উত্থানে ব্যর্থতার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা। একটু আগেই উল্লেখ করেছি সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ এবং ফিজিক্যাল বা শারীরিক কারণ যে কোনটিতেই ইরেকশন সম্পর্কীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেহেতু মনোদৈহিক নানা কারন এর সঙ্গে জড়িত
তাই এর সঠিক রোগ নির্ণয় একটু জটিল। সঠিক মূল্যায়নের জন্য একজন অভিজ্ঞ হেলথ প্রফেশনাল সাধারণভাবে নিম্নোক্তভাবে এগিয়ে থাকেন, আপনার লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা থাকলে তার সাথে সমন্বিত হয়ে কি কি ঝুঁকিজনিত ফ্যাক্টর রয়েছে তা খুঁজে বের করা। আপনার সম্পূর্ণ সেক্সুয়াল বা যৌনতার ইতিহাস নেয়া। সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা।

  • 🧪 বিশেষত- পেট, পেনিস বা পুরুষাঙ্গ,প্রস্টেট বা পুরুষগ্রন্থি, রেক্টাম / মলাশয় এবং শুক্রাশয় ইত্যাদি।
  • 🧪 রক্তের টেস্টোস্টেরন, প্রোলাক্টিন এবং থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা।
  • 🧪 ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা রক্তের গ্লুকাজের মাত্রা ও প্রস্রাব পরীক্ষা করা।
  • 🧪 নিদ্রাকালী লিঙ্গ উত্থান ঘটে কিনা এবং লিঙ্গ পর্যপ্ত পরিমাণে দৃঢ় থাকে কিনা তা পরীক্ষা করা। এটিকে পূর্বে স্ট্যাম্প টেস্ট বলা হতো।

🧪 বড় কোনো ধরনের সাইকোলজিক্যাল বা মনোগত কারণ রয়েছে কিনা তা জানার জন্য সম্পূর্ণ মানসিক বা সাইকোলজিক্যাল মূল্যায়ন পরীক্ষা করে দেখা দরকার।
এসকল নানা পরীক্ষ-নিরীক্ষার মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করা সম্ভবপর হবে আপনার পুরুষত্বহীনতার বা যৌন অক্ষমতার পেছনে মূলত কোন কারণেটি দায়ী। এর ওপর ভিত্তি করে আপনার ডাক্তার মেডিকেশন বা ওষুধ কোনটি নিতে হবে তা নির্ধারণ করবেন।

🧪 কতক পুরুষের আবার পেনিসে রক্তসংবহনকারী ধমনি এবং শিরা পরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষা এক ধরনের ইন্ট্রাকেভার্নাস বা ইন্ট্রাইউরেথ্রাল ইনজেকশন দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্র সম্পর্কীয় কোনো ধরনের জটিলতা রয়েছে কিনা তাও ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। আলট্রাসনোগ্রাফি এবং রক্তনালীর একটি পরীক্ষা যাকে এনজিওগ্রাফি বলে তার মাধ্যমে মোটামুটি একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। পেনিসে সংবহনকারী রক্তনালীগুলোকে যদি মেরামত করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তাহলে সার্জারির মাধ্যমে তা করা সম্ভবপর। তবে এটা ঠিক যে, পুরুষত্বহীনতার সঠিক কারণটি খুঁজে বের করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এটি করার জন্য আজ পর্যন্ত সরাসরি কোনো স্ক্রিনিং টেস্ট বা পরীক্ষা আবিস্কৃত হয়নি।

🇨🇭 ইরেকটাইল ডিসফাংশনে ট্রিটমেন্ট –

লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা বা ইরেকশন প্রবলেমের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তবে এটি নির্ভর করে পুরুষত্বহীনতা কি কারণে হল তার ওপর। যদি মনোগত কারণে লিঙ্গঘটিত সমস্যা হয় তবে বিশেষজ্ঞই এর সঠিক চিকিৎসা করতে পারে। শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল কারণে যদি ইরেকশন সম্পর্কীয় সমস্যা হয় তাহলে তার মূল চিকিৎসা করেন মূত্র ও জননতন্ত্র বিশেষজ্ঞ।

homeo treatment

🇨🇭 কতক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ইরেকশনের সাথে জড়িত রয়েছে মনোদৈহিক উভয় রকমের মেডিকেল জটিলতা। সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ইউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে একত্রে চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়।
শুরুতে আমার উল্লেখ করেছিলেন ডাক্তাররা ইম্পোটেন্স বা পুরুষত্বহীনতার পরিবর্তে ইরেকটাইল ডিসফাংশন টার্মটিকে বেশি উল্লেখযোগ্য মনে করেন। একজন পুরুষের যৌনক্রিয়া কেবলমাত্র পেনিসে ইরেকশন নয় এর সঙ্গে মনোদৈহিক নানা জটিলা যৌন আচরণ জড়িত। পুরুষত্বহীনতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অনেকগুলো নেতিবাচক ধ্যান ধারণা।

চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনেক দিক বিবেচনা করে দেখা হয় রোগীর বয়স কত, রোগের তীব্রতা কেমন, যৌনতা সম্পর্কে রোগীর দৃষ্টিভঙ্গি কেমন, যৌন পার্টনারের সাথে তার সম্পর্ক, তারা কি কি যৌন আচরণ করে থাকে, যৌন সঙ্গমের পূর্বে তারা সঙ্গম বহির্ভূত যৌন আচরণ করে কিনা ইত্যাদি সবকিছু মূল্যায়ন করে উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তাররা চেষ্টা করেন ওষুধ দিয়ে বা মানসিক কারণ দায়ী থাকলে সেক্স থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করতে।

🇨🇭 নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের জন্য কেভারজ্যাক্ট নামক ইনজেকশন অথবা মিউস নামক এক
ধরনের পদার্থ যা পেনিসে ঢোকাতে হয় এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই লিঙ্গ উত্থান ঘটে থাকে। আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং ওষুধ সেবনজনিত কারণে ইরেকশনের
সমস্যা দেখা দেয় তবে ডাক্তার আপনার জন্য ওষুধটি বদলিয়ে অন্য কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন। নানা ধরনের ভ্যাকুয়াম বা খালিকরণ সংকোচনক্ষম ডিভাইস দিয়ে চিকিৎসা।
পেনাইল ইমপ্ল্যান্টস( সার্জারির মাধ্যমে একপ্রকার চিকিৎসা )।

🇨🇭 তবে সবচেয়ে কার্যকর এবং স্থায়ী হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা, ( Homeo Treatment ) হোমিও ঔষধসমূহ রোগের মূল থেকে সমস্যাটাকে নির্মূল করে বিধায় সেটা একবার ভালো হওয়ার পর আর পুনরায় দেখা দেয় না। মনোগত কারণে যদি আপনার পুরুষত্বহীনতা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং। অবশ্য ফিজিক্যাল ডিসঅর্ডারের জন্য যৌন অক্ষমতায় ভুগছে এমন অনেক পুরুষের জন্যও সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় সময়ই দেখা যায় শারীরিক কারণের পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল পুরুষত্বহীনতার সাথে জড়িত থাকতে পারে। তবে এটা ঠিক যে, ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং পরিমাপ করা যেহেতু জটিল তাই কোন চিকিৎসা পদ্ধতি কতটুকু কার্যকারী তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। Homeo Treatment ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। Homeo Treatment যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি তাই উচিত রোগীর পর্যাপ্ত ধৈর্য্যসহকারে বিশেষজ্ঞের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।

অনেক পুরুষেরই আবার যৌনতার এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে । তারা একবার লিঙ্গ উত্থান ঘটার পরেও সাবলীলভাবে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে না। পঠকদের জানার জন্য ভলা হয় যে, একবার যৌনসঙ্গম করার পর পুরুষের পেনিস কিছু সময়ের জন্য আপাত ঘুমন্ত অবস্থায় বিরাজ করে। এসময়ে লিঙ্গ উত্থত হয় না তাই
এটিকে কেউ যদি যৌন অক্ষমতা মনে করেন তাহলে তিনি মারাক্তক ভুল করছেন।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( বি, এইচ, এম, এস )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!