🇨🇭 টনসিলাইটিস ও অ্যাডিনয়েড দেহের প্রয়োজনীয় অঙ্গ হলে ও এগুলোর প্রদাহ বা সমস্যা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের বেলায় বিষয়টি বেশি হয়।
🛑 টনসিল ও অ্যাডিনয়েড বলতে কী বুঝি ? এগুলোর অবস্থান কোথায় ?
🩸 আর মুখগহ্বরের ভেতরে আলাজিহ্বার দুই পাশে দুটো টনসিল থাকে। বাচ্চাদের সাধারণত টনসিল দুটো বড় হয়। টনসিল এক ধরনের লিম্ফোয়েড টিস্যু বা লসিকা গ্রন্থি। এখান থেকে শ্বেতকণিকা তৈরি হয়। আমাদের রোগ প্রতিরোধ করার কাজে তার একটি ভূমিকা থাকে। এটা গলাকে পাহারা দেওয়ার কাজটা করে। এই টনসিল আমরা চিনি,মানুষ দেখে। এ ছাড়া কিন্তু জিহ্বের গোড়ায় দুই পাশে টনসিল থাকে। নাকের পেছনে আলাজিহ্বার ওপরে যেই অদৃশ্য জায়গা থাকে, তাকে এক্স-রে করলে বা এন্ডোস্কোপি করলে দেখতে পারি। তবে এমনিতে খালি চোখে দেখা যায় না। সেই জায়গাটাকে ন্যাজোফেরিংস বলে। সেখানে ছোট ছোট টনসিলের টিস্যু থাকে। সেই টিস্যুগুলো একসঙ্গে হয়ে যখন বড় হয়ে যায় এবং বিভিন্ন উপসর্গের জন্ম দেয়, তখন তাকে অ্যাডিনয়েডস বলে।
🩸 তবে আমরা টনসিল বলতে কেবল গলার দুটো টনসিলকেই বুঝি। কিন্তু ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে যে অ্যাডিনয়েডের সমস্যা থাকে, এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দুই-তিন বছর বয়স থেকে অ্যাডিনয়েডটা বড় হতে শুরু করে। সাত থেকে নয় বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ আকারে চলে যেতে পারে। যদি এটি অনেক বেশি বড় হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষ ছোট বাচ্চাদের ওপরে তার অসীম প্রভাব ফেলে।
🩸 টনসিলাইটিস এবং ফ্যারেনজাইটিস নিয়ে সতর্কতা জরুরি , কারও ক্ষেত্রে
সমস্যাগুলি ফিরে ফিরে আসে। তাই এই সমস্যার উৎস, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
🩸গলার স্বর পরিবর্তন হলে বুঝতে হবে বেড়েছে ল্যারেনজাইটিসও। বিশ্রামে উপশম হয় ENT,র এই সমস্যাগুলির।
🇨🇭 গলায় ব্যথা, জ্বর, খুশখুশে কাশি, টনসিলাইটিসের চেনা লক্ষণ। টনসিলাইটিস ও ফ্যারেনজাইটিস পরস্পর সম্পর্কিত। আবার কোনও কারণে গলা ভেঙে যাওয়া বা গলার স্বর পরিবর্তন ল্যারেনজাইটিসের প্রধান লক্ষণ। ENT , এই তিনটি সমস্যা নিয়ে প্রায়শই অনেককে ভুগতে হয়। কারও ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি ফিরে ফিরে আসে। তাই এই তিনটি সমস্যার উৎস, লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা জরুরি।
🇨🇭 টনসিলাইটিস- Tonsillitis:
🩸 মুখ হাঁ করে আয়নায় গলার যে অংশটি দেখা যায়, সেটিই হল ফ্যারিংক্স। টনসিল হল ফ্যারিংক্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টাকরা, তালু, আলজিভ, গলার পিছন দিকের দেওয়াল, এই পুরো অংশটি ফ্যারিংক্স। ওই অংশেই একাধিক টনসিল গ্রন্থি থাকে। ফ্যারিংক্সের সংক্রমণ মানেই ফ্যারেনজাইটিস। ফ্যারেনজাইটিস আলাদা রোগ কি না, তা নিয়ে চিকিৎসকদের ভিন্ন মত রয়েছে। ফ্যারেনজাইটিস এবং টনসিলাইটিস সাধারণত একসঙ্গে হয়। টনসিলাইটিস হয়েছে মানেই তার ফ্যারেনজাইটিসও হয়েছে। তবে টনসিলের সমস্যা না হয়েও, ফ্যারেনজাইটিস হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সমস্যা ক্রনিক।
🇨🇭 টনসিলাইটিস ( Tonsillitis) কারণ:
কনকনে ঠান্ডা কিছু খাওয়ার ফলে টনসিলাইটিস বাড়ে। যেমন: ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা জল সরাসরি পান করলে বা আইসক্রিম খাওয়ার পরে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। AC- ঘরে থেকে ও টনসিলাইটিস হতে পারে। তবে পরিবেশগত ফ্যাক্টরের চেয়েও ঠান্ডা খাবার খাওয়া এ ক্ষেত্রে বেশি দায়ী।
আরো পড়ুনঃ হার্নিয়া রোগের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা | Homeopathy treatment of Hernia
🇨🇭 টনসিলাইটিস ( Tonsillitis) লক্ষণ:
কাশি, জ্বর – ক্ষেত্রবিশেষে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়, গলায় প্রচণ্ড ব্যথা।
🩸 গ্র্যানিউলার ফ্যারেনজাইটিস: অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, গলার পিছনের দেওয়ালের গ্র্যানিউলগুলি – গুটি গুটি লাল দানার মতো, বড় হয়ে গিয়েছে। একে বলা হয়, গ্র্যানিউলার ফ্যারেনজাইটিস।
🩸 ফলিকিউলার টনসিলাইটিস: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, টনসিলের মধ্যে সাদা সাদা ফলিকলগুলিতে পুঁজ জমে গিয়েছে। এটিকে বলা হয় ফলিকিউলার টনসিলাইটিস।
🇨🇭 সাধারণত টনসিলাইটিসের চিকিৎসা, বিশ্রাম নেওয়া। দিনে দু’বার গার্গল করতে দেওয়া হয়। জ্বর এবং গলা ব্যথার তীব্রতা বুঝে ওষুধ দেওয়া হয়। পাঁচ-ছয়, আট-বারো বছর বয়সিদের মধ্যে টনসিলাইটিস হওয়া স্বাভাবিক। এক বার হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। তবে বারবার হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাঁদের শিশুবয়সে টনসিল হয়েছে, তাঁদের একাংশের বড় বয়সে ফ্যারেনজাইটিস দেখা যায়। কিন্তু সেটা টনসিলাইটিস না কি অন্য কারণে হচ্ছে, সেটা আগে দেখা প্রয়োজন।
🇨🇭 অনেকের ক্রনিক নাক বন্ধ থাকে। তাঁরা মুখ দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করেন তখন।
🇨🇭 নাকের তিনটি কাজ:
- শ্বাসবায়ু ফিল্টার করা।
- সেটিকে গরম করা । এবং
- সেটিকে একটু ভিজে রাখা।
🩸 মুখ দিয়ে যাঁরা শ্বাস নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই কাজগুলি হয় না। তাই নাকের কোনও সমস্যার জন্য এ রকম হচ্ছে কি না, সেটা আগে দেখা হয়। তা যদি না হয়, তখন সমস্যাটি ফ্যারেনজাইটিস-টনসিলাইটিসজনিত বুঝতে হবে।
🩸 ফ্যারেনজাইটিসের আর একটি কারণ হচ্ছে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স। পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়ে গলায় উঠে এসে গলার পিছনের দেওয়ালের ক্ষতি করে। এটিকে বলা হয় গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়অর্ডার ( জিইআরডি-GRD )।
🩸 টনসিলের মধ্যে কিছু ক্রিপ্টস (গর্ত) থাকে, যার মধ্যে খাদ্যকণা ঢুকে গিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে টনসিলাইটিস- Tonsillitis ,হতে পারে। যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে, তাঁদের খাওয়ার পরে গার্গল করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সারা বছরই যেন তাঁরা এটা পথ্যের মতো মেনে চলেন।
🩸 পেরি-টনসিলাইটিস: টনসিলাইটিস যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে যায়, তখন আলজিভ, টাকরা-সহ পুরো অঞ্চলটি লাল হয়ে গিয়ে পুঁজ জমে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে অস্ত্রোপচার করে সেই পুঁজ বার করতে হয়।
🩸 ল্যারেনজাইটিস:
গলা ব্যথা, কাশির সঙ্গে যদি গলার স্বর পরিবর্তিত হয়, তবে বুঝতে হবে স্বরযন্ত্র বা ভোকাল কর্ডে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এটিই মূলত ল্যারেনজাইটিস।
🩸 ক্রনিক ল্যারেনজাইটিসের ক্ষেত্রেও অ্যাসিড রিফ্লাক্স ডিজ়অর্ডার একটি কারণ। এ ক্ষেত্রে এটিকে বলা হয়, ল্যারিঙ্গো ফ্যারিনজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজ়অর্ডার। সে ক্ষেত্রে রোগীর সারা বছর কণ্ঠস্বর একটু কর্কশ থাকবে।
🩸 যাঁরা বেশি ধূমপান করেন, খুব দূষিত অঞ্চলে কাজ করেন, ক্লোরিন নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের ল্যারেনজাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঠান্ডা থেকে শুধু নয়, চেঁচামেচি করলে গলা বসে যায়। চিকিৎসক, সাংবাদিক, সেলসের কাজ যাঁরা করেন অর্থাৎ বেশি কথা বলতে হয়, তাঁদের এটি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সংক্রমণের জন্য রোগ না ও হতে পারে। পেশির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেও গলার স্বর বসে যেতে পারে। তবে সংক্রমণজনিত কারণে হলে পরামর্শ নিতে হবে।
🇨🇭 চিকিৎসা: টনসিলাইটিসের সম্পূর্ণ বিপরীত চিকিৎসা এ ক্ষেত্রে করা হয়। অর্থাৎ গলা বসে গেলে গার্গল একেবারেই করা যাবে না। স্টিম বা ভেপার নিতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ভেপার অব্যর্থ ওষুধের মতো কাজ করে। তবে বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
🩸 এ ধরনের সমস্যা থাকলে সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। গলাকে বিশ্রাম দেওয়া, চেঁচিয়ে কথা না বলা সমস্যার হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
🇨🇭 অ্যাডিনো টনসিলাইটিস ও ফ্যারেনজাইটিস এর হোমিও চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথিতে অ্যাডিনো টনসিলাইটিস ও ফ্যারেনজাইটিস এর কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। হোমিওপ্যাথি হচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত প্রাকৃতিক নিরাময় ব্যবস্থা। লক্ষনভিত্তিক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে অ্যাডিনো টনসিলাইটিস ও ফ্যারেনজাইটিস নিরাময় করা সম্ভব। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।