🇨🇭 হাইড্রোসেফালাস এমন একটি সমস্যা যার কারণে মস্তিষ্কের গভীরে অবস্থিত গহ্বরে তরল জমা হয়। অতিরিক্ত তরল জমার ফলে গহ্বরের আকার বড় হয়ে যায় এবং এটি মস্তিষ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
🇨🇭 সেরিব্রো-স্পাইনাল ফ্লুইড, সাধারনত গহ্বরের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কলামে এসে জমা হয়।
🇨🇭 সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করলে হাইড্রোসেফালাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়।
🇨🇭 হাইড্রোসেফালাস যে কোনো বয়সের ব্যক্তিদের হতে পারে। তবে শিশু এবং বৃদ্ধ ব্যক্তিদের এই সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।
🇨🇭 হাইড্রোসেফালাস রোগটিকে সার্জারির মাধ্যমে নিরাময় করা যায় এবং এই ধরনের চিকিৎসার মাধ্যমে মস্তিষ্কে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা
সম্ভব। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের উপসর্গ গুলোকে নিয়ন্ত্রন অথবা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
🇨🇭 হাইড্রোসেফালাস এর কারণ:
হাইড্রোসেফালাসের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায় নি।
🩸 যাদের জিনগত ত্রুটি- যেমন: অ্যাকুডাকটল স্টেনোসিস, অথবা ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার
, যাদের নিউরাল টিউব- যেমন: স্পাইনা বাইফিডা- এনসেফালোসিলে ত্রুটি, রয়েছে তাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
🇨🇭 হাইড্রো-সেফালাসের অন্যান্য সম্ভাব্য কারণ:
🩸অপরিপক্ক শিশুর বিভিন্ন ধরনের জটিলতা, যেমন: ইন্ট্রাভেনট্রিকুলার হেমোরেজ, তাছাড়াও মেনিনজাইটিস, টিউমার, ট্রুমাটিক হেড ইনজুরি,
সাবএরাকনোইয়েড হেমোরেজ।
আরো পড়ুনঃ অর্থোস্ট্যাটিক-হাইপোটেনশন | Orthostatic Hypotension | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 হাইড্রোসেফালাস এর লক্ষণ:
🩸 হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
- 🩸 মাথা ব্যথা (Headache.)
- 🩸 খিঁচুনি ( Seizures.)
- 🩸 বমি ( Vomiting.)
- 🩸 বিষণ্নতাজনিত সমস্যা ( Depressive Or Psychotic Symptoms.)
- 🩸 নড়াচড়া করতে সমস্যা হওয়া ( Problems With Movement.)
- 🩸 কথা বলতে কষ্ট হওয়া ( Difficulty Speaking.)
- 🩸 ত্বকে অস্বাভাবিক অনুভূতি হওয়া ( Paresthesia.)
- 🩸 আংশিক দুর্বলতা ( Focal Weakness.)
- 🩸 স্মৃতিশক্তির সমস্যা ( Disturbance Of Memory.)
- 🩸অস্বাভাবিক অনৈচ্ছিক নড়াচড়া ( Abnormal Involuntary Movements.)
- 🩸 শারীরিক বৃদ্ধির অভাব ( Lack Of Growth.)
🇨🇭 হাইড্রো-সেফালাসের ঝুঁকি:
হাইড্রোসেফালাসের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিচে বর্ননা করা হলো।
🩸শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন সময় থেকেই হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত হতে পারে অথবা শিশুর জন্মের পরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নিন্ম লিখিত কারণ গুলোর
জন্য এই রোগে দেখা দিতে পারে।
🩸 শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অস্বাভাবিকতার কারণে সেরিব্রাল স্পাইনাল ফ্লুইড প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্কের গহ্বরে রক্তক্ষরণ হওয়া। এই সমস্যাটি অপরিপক্ক শিশুর হয়ে থাকে।
🩸গর্ভাবস্থায় জরায়ুর- যেমনঃ রুবেলা বা সিফিলিস, ইনফেকশনের কারণে ভ্রূণের মস্তিষ্কের টিস্যু গুলোতে ইনফ্লামেশন – জ্বালাপোড়া, দেখা দেয়।
🩸 যে কোনো বয়সের ব্যক্তিদের হাইড্রোসেফালাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় গুলো নিম্নরূপ।
🩸 মস্তিষ্ক অথবা স্পাইনাল কোডে ক্ষত বা টিউমার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে ইনফেকশন, যেমন: ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস অথবা মাম্পস, স্ট্রোক অথবা মস্তিষ্কে আঘাত লাগার কারণে মস্তিষ্ক থেকে রক্তপাত হওয়া
মস্তিষ্কে অন্যান্য ট্রমাটিক ইনজুরির কারণেও হাইড্রোসেফালাস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
🇨🇭 যারা হাইড্রো-সেফালাসের ঝুঁকির মধ্যে আছে:
🛑 লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01গুণ কম।
🛑 জাতি: শেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ এবং অন্যান্য জাতির মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01গুণ কম। অন্যদিকে হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে।
🛑Q. মাতৃ গর্ভে থাকাকালীন সময়ে শিশুর হাইড্রোসেফালাস কিভাবে নির্নয় বা চিহ্নিত করা হয় ?
উত্তর: আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে চিকিৎসক ভ্রূণের বিকাশ পরীক্ষা করে থাকেন। আল্ট্রাসাউন্ড হচ্ছে এমন এক ধরনের টেস্ট (পরীক্ষা) যার মাধ্যমে ঘনঘন শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে গর্ভাশয়ের ভ্রূণের ছবি দেখানো হয়। আল্ট্রাসাউন্ড করার সময় চিকিৎসক বিভিন্ন বিষয়, যেমন: ভ্রূণের মস্তিষ্ক এবং স্পাইনের- মেরুদণ্ড, বিকাশ লক্ষ্য করেন। গর্ভধারনের 13 সপ্তাহের মধ্যেই এই রোগ নির্নয় করা যায়। যদিও গর্ভধারনের 20 থেকে 24 সপ্তাহের মধ্যেই শিশুর মস্তিষ্কের গহ্বরের অস্বাবিকতা লক্ষ্য করা যায়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে হাইড্রোসেফালাস ভালো হয়। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো লক্ষনভিত্তিক চিকিৎসা ।লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হলে হাইড্রোসেফালাস অতি দ্রুত নিরাময় লাভ করে। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S )
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।