🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস ) (ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
🇨🇭 সারা বিশ্বের তুলনায় আমাদের দেশে লিভার সমস্যার রোগী দিন দিন বেড়ে চলছে। লিভার সিরোসিস শব্দটি প্রথম বর্ণনা করেন বিখ্যাত ফরাসি বিজ্ঞানী – ডা. রিনে লেনেক ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে।
শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ কিরাস থেকে। যার শাব্দিক অর্থ তামাটে হলুদ অমসৃণ রং যা লিভারের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহে রোগীর শরীরে দেখা যায়।
🇨🇭 আমরা জানি যকৃত বা লিভার হলো মানুষের শরীরের একটি অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গ। পিত্ত নিঃসরণের মাধ্যমে খাবার হজম হতে শুরু করে শরীরের যাবতীয় বিপাকীয় কার্যাবলির দ্বারা সম্পাদিত হয়। ফলে লিভারের অসুস্থতার ফলাফল হয় ব্যাপক ও ভয়াবহ। অনেক রকম লিভার সিরোসিস হত পারে।

🇨🇭 লিভার সিরোসিস :
সিরোসিস বা লিভার সিরোসিস নামক রোগটির কথা আমরা অনেকেই জানি।কিন্তু জন্ডিস কথাটি শুনলে আমরা যতটা বিচলিত হয়, লিভার সিরোসিস কথাটি আমাদের ঠিক ততটা বিচলিত করে না। অথচ বিশ্বব্যাপী অন্তত ৫০ মিলিয়ন এবং বাংলাদেশে প্রায় ৫ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত।
এই রোগে লিভার তথা যকৃতের শেষ পর্যায়ের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের কারণে এর স্বাভাবিক কাঠামো স্থায়ীভাবে বিনষ্ট হয়।
ফলে এর কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে লিভার দুর্বলতাজনিত জটিলতায় রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
লিভারের নিস্ক্রিয়তা, লিভার ক্যান্সার ও লিভার জনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো এই সিরোসিস।
🇨🇭 লিভার সিরোসিসের কারণ:
সিরোসিসের কারণগুলো বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। বাংলাদেশে লিভার সিরোসিসের অন্যতম প্রধান কারণ হেপাটাইটিস বি ভাইরাস, আর এর পরেই রয়েছে ফ্যাটিলিভার। নানা কারণে হয়ে থাকে। যেমন – ডায়বেটিস, রক্তে বেশি থাকা, অতিরিক্ত ওজন,উচ্চরক্তচাপ, হাইপোথাইরয়েডিজম ইত্যাদি।
এক গবেষণায় জানা যায়, ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী পরে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়।
তবে কারণ যাই হোক, নূন্যতম ৬ মাসব্যাপী প্রদাহ না হলে লিভারের স্বাভাবিক কাঠামোর পরিবর্তন হয় না।
🇨🇭 লিভার সিরোসিস হতে সময় লাগে কমপক্ষে ৪-১০ বছর। বাংলাদেশে সিরোসিসের প্রধান কারণ শরীরে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের সংক্রমণ।
🇨🇭 এ ছাড়া আরও কারণ রয়েছে :
🩸 হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাস সংক্রমণ
🩸 লিভারের অতিরিক্ত চর্বি
🩸 অতিরিক্ত মদ্যপান
🩸 ইমিউনোলজিক্যাল রোগ: অটোইমিউন লিভার ডিজিজ
🩸 প্রাইমারি বিলিয়ারি সিরোসিস
🩸 জেনেটিক / বংশানুক্রমিক রোগ, যেমন- হেমোক্রমাটোসিস, উইলসন্স ডিজিজ
🇨🇭 লিভার সিরোসিসের লক্ষণসমূহ:
দুর্বলতা, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, জ্বর জ্বর ভাব, পেটের ডান পাশে ব্যথা, দাঁতের মাড়ি বা নাক থেকে রক্ত পড়া, ঘনঘন পেটের সমস্যা পরে লিভার সিরোসিস আরও জটিল আকার ধারণ করতে দেখা যায়।
🇨🇭 পেটে পানি আসার কারণে পেট ফুলে যাওয়া, জন্ডিস, অজ্ঞান হওয়া, রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ফুসফুসে পানি আসা, কিডনি ফেইলিউর, শরীরের যে কোন যায়গা থেকে অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত, সর্বশেষ লিভার ক্যান্সার।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা :
লিভার সিরোসিসের উপরোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত রেজিস্ট্রার অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারে চিকিৎসা নিন। আল্লাহর রহমতে সুস্থ থাকুন।
🇨🇭দৈনন্দিন ভুলে লিভার নষ্ট করছেন নাতো?
🇨🇭 আমরা খাবার বলি বা ওষুধ বলি, যেকোনো কিছু আমরা মুখে গ্রহণ করি, সেগুলো কিন্তু লিভার হয়ে আমাদের রক্তে মিশ্রিত হয়ে, হয় শক্তি তৈরি করে, নয়তো প্রতিদিনের যে ক্ষতি হয়, সেগুলোকে পূর্ণ করে। যখন খাবার গ্রহণ করি, তখন কার্বোহাইড্রেটগুলোকে লিভার জমিয়ে রাখে। যখন আমরা না খেয়ে থাকব,তখন কিন্তু গ্লাইকোজেন- যেটা জমিয়ে রেখেছিল, সেগুলোকে খরচ হিসেবে ধরে। লিভার শর্করাকে জমা রাখে। প্রয়োজনে একে ভাঙে। রক্ত যে জমাট বাঁধে, লিভার কোয়াগুলেশন ফ্যাক্টর, এর উপাদানগুলো তৈরি হয়। আরেকটি জিনিস একমাত্র লিভারেই তৈরি হয়, অ্যালবুমিন। এটা আমাদের দেহের জন্য অবশ্যই দরকারি।দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় লিভারের সুস্থতা অনেক জরুরী। কিন্তু কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে প্রতিনিয়ত মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শরীরের অন্যতম প্রয়োজনীয় এই অঙ্গটি। এর ফলে মারাত্মক সমস্যায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই।আর তাই আজকের লেখাতে থাকছে এমনি কিছু তথা যার কারণে হতে পারে আপনার লিভার নষ্ট।

🛑 তাহলে জেনে নেওয়া যাক লিভার নষ্টের কারণগুলোঃ
১) দেরি করে ঘুমোতে যাওয়া এবং দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা দুটোই লিভার নষ্টের কারণ। এতে শারীরিক সাইকেলের সম্পূর্ণ উল্টোটা ঘটতে থাকে এবং তার মারাত্মক বাজে প্রভাব পরে লিভারের উপরে।
২) অতিরিক্ত বেশি খাওয়া লিভারের পক্ষে ক্ষতিকর। অনেকেই আবাব বহুক্ষণ সময় না খেয়ে একবারে অনেক বেশি বেশি করে খেয়ে ফেলেন। এতে হঠাৎ করে লিভারের উপরে চাপ বেশি পরে এবং লিভার ড্যামেজ হওয়ার আশংকা থাকে।
৩) অনেক বেশি ঔষধ খেলে লিভার নষ্ট হয়। বিশেষ করে ব্যথানাশক ঔষধের জেরে লিভারের কর্মক্ষমতার হ্রাস পায়ে। এছাড়াও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ক্ষতি হয় লিভারের। এতে করে লিভার ড্যামেজ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দেয়।
৪) সকালের খাবার না খাওয়ায় লিভার পক্ষে ক্ষতিকর। যেহেতু অনেকটা সময় পেট খালি থাকার কারণে অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পাশাপাশি খাদ্যের অভাবে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে লিভারও।
৫) অতিরিক্ত কাঁচা খাবার খাওয়াও লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যেমন আপনি যদি খুব বেশি কাঁচা ফলমূল বা সবজি খেতে থাকেন তাহলে তা হজমের জন্য অতিরিক্ত কাজ করতে হয় পরিপাকতন্ত্রের। এর প্রভাব পড়ে লিভারের উপরেও। সুতরাং অতিরিক্ত খাবেন না।
৬) খারাপ তেল ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একই তেলে বারবার ভাজা খাবার বা পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে লিভার তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারাতে থাকে।
৭) কেমিক্যাল সমৃদ্ধ যেকোনো কিছুই লিভারের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু আলসেমি ও মুখের স্বাদের জন্য আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ খাবার, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলি যা লিভার নষ্টের অন্যতম কারণ।
🇨🇭 এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্য পান করা লিভার নষ্টের আরেকটি মূল কারণ। অ্যালকোহলের ক্ষতিকর উপাদান সমূহ লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে।
🇨🇭 লিভার সিরোসিস (Liver cirrhosis) এর লক্ষণ সাদৃশ্য কিছু হোমিও ঔষধ :
🧪bryonia alba
🧪Nux vomica
🧪chelidonium
🧪Merc sol
🧪iodum
🧪phosphorus
🧪Lycopodium
🧪carduas
🧪Thuja
🧪Myrica cerifera
🧪pulsatilla
🧪natrum sulph
🧪sulphur
🧪China
🇨🇭 এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস ) (ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন
আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।