🇨🇭 মেয়েদের যৌনাঙ্গে চুলকানিঃ
🇨🇭 যারা মেয়ে, তাদের প্রতিদিন কতই না সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। ঘর থেকে শুরু করে শরীর সব দিক থেকে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। আজকে মেয়েদের একটি অতি পরিচিত কিন্তু অতি বিব্রতকর একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা করব। আর তা হলো যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি। এটি খুবই কমন একটি অসুখ। মেয়েরা ৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়সের যে কোন সময় এই সমস্যায় পড়তে পারে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে প্রত্যেক ৪ জন মহিলার মধ্যে ৩ জনেরই জীবনের কোন না কোন সময় একবার হলেও এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাই এর গুরুত্বও কম নয়। চলুন আজ এই অসুখটি সম্পর্কে জানি।
🛑যৌনাঙ্গে চুলকানি কারণ:
কোন অসুখ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের আগে আমাদের জানতে হবে অসুখটার কারণ কি? কেনোনা কারণ জানলে অসুখ মোকাবেলা সহজ হয়। যোনিতে অনেক কারণে চুলকানি হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কারণসমূহ হলো :
০১. ঈস্ট বা ছত্রাকের আক্রমন:
এটি যৌনাঙ্গের চুলকানি বা ইচিং হওয়ার অন্যতম কারণ। সাধারণত Candida Albicans, এই ছত্রাকের কারণে যোনিতে চুলকানি হয়। এই ছত্রাক নরমালি মেয়েদের যৌনাঙ্গে পরজীবী হিসেবে থাকে। কিছু ল্যাকলোব্যাসিলাস নামে উপকারী ব্যাকটেরিয়া এই ছত্রাকের বংশবিস্তারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। কিন্তু এন্টিবায়োটিক খেলে, গর্ভাবস্থায়, দুশ্চিন্তাগ্রস্থ থাকলে, হরমোনাল ইমব্যালেন্স থাকলে ও খাদ্যাভাসের কারণে এই উপকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়, ফলে ঈস্টগুলো তাদের জন্মের জন্য অনুকূল পরিবেশ পায়। এর কারণে যোনিতে ইনফেকশন হয়।
🛑 যৌনাঙ্গে চুলকানি উপসর্গ :
🇨🇭 যোনি পথ দিয়ে ঘন, সাদা তরলের নির্গমন হয়।
🇨🇭 চুলকানি, ব্যথা ও প্রদাহ হয়।
🇨🇭 যৌন মিলনের সময় ব্যথ্যা হয়।
০২.ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের সংক্রমণ:
এটি ভ্যাজাইনা বা যোনিতে চুলকানি হওয়ার অন্যতম কারণ। যোনিতে নরমালি কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে। যখন কোন কারণে এই ব্যাকটেরিয়া গুলোর অনেক বেশি বংশবিস্তার ঘটে তখন যোনিতে ইনফেকশন হয়।
🛑যৌনাঙ্গে চুলকানি উপসর্গঃ
🇨🇭 গন্ধযুক্ত ও মাছের আশঁটে গন্ধযুক্ত তরল নির্গত হয় যোনি দিয়ে।
🇨🇭 চুলকানি হয় প্রচুর।
🇨🇭 প্রসাবের সময় জ্বালাপোড়া হওয়া।
০৩. ট্রাইকোমোনিয়াসিস এর আক্রমণঃ
এটি একটি প্যারাসাইট। এটির আক্রমণে যোনিতে চুলকানি হয়।
🛑 যৌনাঙ্গে চুলকানি উপসর্গ :
🇨🇭 হলুদ, সবুজ রঙের ও খুব তীব্র বাজে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়।
🇨🇭 তলপেটে ব্যথ্যা হয়।
🇨🇭 যোনিতে চুলকানি হয়।
০৪. এছাড়াও যৌনাঙ্গে উকুন, খোসপাচড়া ও মাইকোপ্লাজমা জেনেটালিয়াম এর সংক্রমণ হলে যোনিতে চুলকানি হয়।
০৫. কিছু সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ যেমন – সিফিলিস, গনোরিয়া, এইডস ইত্যাদির কারণে যৌনাঙ্গে ইচিং বা চুলকানি হতে পারে।
০৬. বিভিন্ন বিরক্তিকর পদার্থ যেমন – বিভিন্ন ডিটারজেন্ট, কেমিক্যাল, সুগন্ধিযুক্ত সাবান, রঙ ওয়ালা টিশ্যু পেপার, ফেমিনিন হাইজেনিক স্প্রে, ডুশ ব্যবহার করলে যোনিতে চুলকানি হতে পারে।
০৭. মেনোপোজের পর মহিলাদের ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন কমে যায়। ফলে যোনি শুকিয়ে যায়। এর ফলে বিভিন্ন পরজীবীর সংক্রমণ হয়। ফলে যোনিতে ইচিং হয় ।
০৮. ডায়াবেটিস, রেনাল ডিজিজ, একজিমা ও রক্তে কোন রোগ থাকলে ও অন্যান্য কোন রোগ থাকলেও যৌনাঙ্গে চুলকানি হয়।
০৯. মাসিকের সময় , অস্বাস্থ্যকর প্যাড ও কাপড় ব্যবহার করলে।
১০.যৌনকর্মীদের এই রোগগুলো বেশি হয়। তাই অবাধ যৌন আচরণের কারণে হয়ে থাকে।
১১.যৌনাঙ্গ সবসময় গরম ও আর্দ্র রাখলে।
১২.অপরিষ্কার থাকলে।
❤️যৌনাঙ্গে চুলকানি প্রতিকার :
এসব সমস্যার একমাত্র প্রতিকার হলো সিম্টম অনুযায়ী তার সু-চিকিৎসা নেওয়া।
❤️ যৌনাঙ্গে চুলকানি প্রতিরোধঃ
বলা হয়ে থাকে যে কোন অসুখ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই বেশি ভাল। সুতরাং এই রোগটি যাতে আপনার না হয় তাই আগেই সাবধান থাকুন ও নিচের কথাগুলো মেনে চলুন।
০১. রঙীন ও বেশি সুগন্ধিযুক্ত টয়লেট টিশ্যু ও সাবান যৌনাঙ্গে ব্যবহার করবেন না।
০২. ফেমিনিন হাইজিন স্প্রে ও ডুশ ব্যবহার করবেন না।
০৩. ভেজা কাপড় পরে বেশিক্ষণ থাকবেন না। গোসল বা ব্যায়ামের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভেজা কাপড়টি পাল্টে নিবেন। যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন তাদের ক্লোরিনের কারণেও ইচিং হতে পারে , তাই সাবধান হন।
০৪. আপনার যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখুন সবসময়। খেয়াল রাখবেন পায়খানার রাস্তার জীবাণু যেন যোনিতে না লাগে।
০৫. দই খান, এতে ল্যাকটোব্যাসিলাস নামক উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে।
০৬. সুতির কাপড় দিয়ে তৈরি অন্তর্বাস বা পেন্টি পরুন। সিনথেটিক পেন্টি পরবেন না।
০৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
০৮. ওজন কমান।
০৯. যোনি আর্দ্র ও ভেজা রাখবেন না।
১০. মাসিকের সময় নোংরা কাপড় ব্যবহার করবেন না। পরিষ্কার প্যাড ব্যবহার করুন।
১১. সহবাসের পর যৌনাঙ্গ ভাল ভাবে পরিষ্কার করুন। ধুয়ে ফেলুন।
১২. সহবাসের পর প্রসাব করুন।
১৩. একাধিক ব্যক্তির সাথে যৌন সহবাস পরিত্যাগ করুন।
১৪. নিয়মিত গোসল করুন।
🛑বিঃদ্রঃ অবস্যই ফোন দিয়ে কনফার্ম করে আসবেন।
❤️ সবাই সুস্থ থাকুন।
❤️ ধন্যবাদ সবাইকে।
আপনি যদি চিকিৎসা নিতে চান তাহলে আপনি আপনার সমস্যা গুলো আমাকে লিখে IMO , অথবা WhatsApp লিখে পাঠিয়ে দিবেন, অথবা অডিও রেকর্ড দিবেন। আমাকে WhatsApp, IMO করার সময় সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এবং রাত ১০.৩০ থেকে ১১.৩০ পর্যন্ত। আমি সরকারি রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত একজন ডাক্তার। আমি জার্মানির ক্লাসিক্যাল হোমিও চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেই এবং অরিজিনাল জার্মানির ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা দেই। আমার ডোজগুলো সাধারণত পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে, পুরুষের অন্ডকোষ ঝুলে গেলে,লিঙ্গ ছোট ও চিকন হয়ে গেলে, সহবাসের সময় লিঙ্গ শক্ত না হলে, সহবাস করার সাথে সাথে বীর্য আউট হয়ে গেলে এবং পুরুষাঙ্গ মোটা তাজা করার জন্য স্থায়ীভাবে কার্যকরী হয়। তাছাড়া পুরুষের অন্ডকোষের ভেরিকোসিল,এপিডিডাইমেল সিস্ট,অন্ডকোষের টিউমার, প্রস্রাবের আগে পরে ধাতু ক্ষয় , অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে গেলে, লিঙ্গের স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে, সিফিলিস ও গনোরিয়া ভালো করতে হাই পটেন্সি ঔষধ ব্যবহার করে থাকি। আপনি চাইলে আমার চেম্বারে আসতে পারেন অথবা চাইলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে হাতে হাতে পৌঁছে দিবো ইনশাল্লাহ। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে আমি প্রচুর ঔষধ পাঠাই। হোমিও ঔষধ প্রোপারলী প্রয়োগ যৌন রোগ স্থায়ীভাবে ভালো হয়ে যায় কিন্তু কোন সাইড এফেক্ট হয় না। আমার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন।বিভিন্ন প্রকার জটিল ও কঠিন রোগ নিয়ে আলোচনা করি। আপনি সাবস্ক্রাইব করলে রোগ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
🇨🇭 আপনি চিকিৎসা নেন অথবা না নেন তবু ও আমার ইউটিউব লিঙ্ক দিলাম।
🇨🇭 নিচে আমার WhatsApp , IMO – নাম্বার দেওয়া হলো:
☎️01907-583252
☎️ 01302-743871
https://youtube.com/c/HomeopathicDoctorBD
🇨🇭 রোগী দেখার সময়ঃ
🛑সকাল ০৯.০০_ ০১.০০ টা।
🛑বিকাল ০৫.০০_ রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎️ 01302-743871(WhatsApp, IMO)
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]
অন্য লেখা পেড়তে ক্লিক করুন
https://www.facebook.com/groups/626287091281092/?ref=share