⭕ পলিসিস্টিক ওভারি। এই অসুখটার সঙ্গে আমরা যতটা পরিচিত, পলিসিস্টিক কিডনি ততটাই অপরিচিত আমাদের কাছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে এই সমস্যা কিন্তু বাড়ছে। কিডনির নানা অসুখের মধ্যে অন্যতম কিডনিতে সিস্ট।
⭕ পলিসিস্টিক কিডনি / কিডনিতে সিস্ট কী ঠিক হয়?
⭕ কিডনি সারাদিনে শরীরে 178 লিটার ইউরিন তৈরি করে। তার থেকে রি-প্রসেস করে মাত্র- দেড় থেকে 2-লিটার ইউরিন আমরা ত্যাগ করি।
⭕ এই পুরো কাজটা প্রতিনিয়ত করতে করতে কখনও কখনও কিডনির দেওয়ালে ফ্লুয়িড সমৃদ্ধ ছোট ছোট থলি তৈরি হয়। এটাকেই আমরা সিস্ট বলি।
⭕ যা নানাভাবে কিডনির কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে প্রকাশ থাকে না বলে, রোগ ধরাও পড়ে দেরিতে। ফলে সমস্যা গুরুতর হয়।
⭕ সিস্টের নানা প্রকার রয়েছে:
🩸 কিডনিতে সাধারণত যে সিস্ট অধিকাংশের দেখা যায় তা হল সিম্পল সিস্ট। এক্ষেত্রে কোনওরকম লক্ষণ থাকে না। এই সিস্ট তেমনভাবে কোনও সমস্যাও তৈরি করে না। তবে চিকিৎসা না করালে তখন কিন্তু নানারকম কষ্ট প্রকাশ পায়। সাধারণত যাদের দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের এই ধরনের সিস্টের সম্ভাবনা বেশি। সিস্ট দু’টি কিডনিতে একসঙ্গে হবে তা নয়। একটি কিডনিতেও সিস্ট হতে পারে।
🩸 পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ। এক্ষেত্রে দু’টি কিডনিতেই অসংখ্য ছোট-ছোট সিস্ট দেখা যায়। এই রোগ সাধারণত বংশ পরম্পরায় কোনও একজন রোগীর শরীরে আসে। এই ধরনের সিস্ট হলে একটু চিন্তার। এই রোগের নাম, অটোসোমাল পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ।
🩸 তবে সবচেয়ে খারাপ ধরনের সিস্ট হল, যেগুলিতে ম্যালিগন্যান্সি থাকে। এই ধরনের সিস্ট আসলে একপ্রকার কিডনি টিউমার। পরিসংখ্যানগত দিক থেকে দেখা গিয়েছে এই ধরনের সিস্টে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনা মূলকভাবে কম। মূলত সাধারণ সিস্টের সমস্যাতেই বেশিরভাগ ভোগেন। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সিস্ট হলে আগে কী ধরনের সিস্ট সেটা জানা খুব দরকার।
⭕ কিডনিতে সিস্টের কোন লক্ষণ থাকবে?
- 🩸 সাধারণত সিস্টের কোনও লক্ষণ থাকেই না। তবে সিস্টের আকার বড় হয়ে গেলে কিডনিতে চাপ পড়তে শুরু করলে পেটে ব্যথা হয়। কোমরের দিকে ব্যথা বা পেটের দু’ধারে ব্যথা হতে থাকে।
- 🩸 কারও কারও জ্বর আসতে পারে।
- 🩸 প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে।
- 🩸 প্রস্রাবের গতি ঠিক থাকে না।
- 🩸 কিডনির কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়।
- 🩸 আর একটা সমস্যা হল, সিস্টের ভিতরে সংক্রমণ হয়ে গেলে ব্যথার সৃষ্টি হয়। কিছু কিছু সিস্ট ফেটে গিয়ে বিপদ বাড়াতে পারে। তখনই ইউরিনের সঙ্গে রক্তপাত হতে শুরু করে।
⭕ Homeopathic ওষুধে কিডনিতে সিস্টের কাজ হয়?
🩸 এখন অনেক রকমের- Homeopathic ওষুধ রয়েছে যেগুলির দ্বারা সিস্টের সমস্যা ঠিক করা সম্ভব। তবে প্রয়োজনে সিস্ট অপারেশনের দরকার পড়ে। ক্যানসারাস সিস্ট হলে তার চিকিৎসা আবার অন্যরকম। তবে কার, কোন পথে চিকিৎসা হবে সেটা চিকিৎসই সিদ্ধান্ত নেবেন। সিস্ট ধরতে সিটি স্ক্যান, পাওয়ারফুল এক্সরে, এমআরআই করার দরকার পড়ে।
আরো পড়ুনঃ কিডনির পাথর চিকিৎসায় হোমিও কার্যকরী?
⭕ কিডনিতে সিস্ট হলে করণীয় কি?
🩸 কিডনির সিস্ট নিয়ে রোগী কিংবা সাধারণ মানুষের চিন্তা-দুশ্চিন্তা কিংবা টেনশনের শেষ নেই। কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে ডাক্তার এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখেন আবার কারও ক্ষেত্রে গুরুত্বই দেন না। আসলে বিষয়টি কী?
⭕ কিডনি সিস্ট আসলে কী?
🩸 কিডনিকে 2 অংশে ভাগ করা যায়। বাইরে কর্টেক্স আর ভেতরে মেডুলা। আর মেডুলার ভেতরের অংশে পেলভিস থাকে।
🩸 সিস্ট হলো পানির থলি যেটি কর্টেক্স অঞ্চলে থাকতে পারে আবার পেলভিসের আশপাশেও থাকতে পারে। এগুলো সাধারণত সিম্পল সিস্ট। তবে কমপ্লেক্স বা জটিলও হতে পারে। আবার কিছু সিস্ট এমনভাবে হয় যে কর্টেক্স, মেডুলা আলাদা করা যায় না। এগুলো সাধারণত কমপ্লেক্স বা জটিল সিস্ট।
🩸 সিম্পল সিস্ট হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে 6 মাস পর পর দেখতে হবে সিস্ট বড় হচ্ছে কি না। কিংবা সিস্টের ভেতরে সেপ্টাম তৈরি হচ্ছে কি না। রক্তচাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কারণ 20 বছর বা তার বেশি বয়সীদের কিডনিতে সিস্ট থাকলে তারা উচ্চরক্তচাপ নিয়ে আসতে পারেন। অনেকে আবার প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়ার উপসর্গ নিয়ে হাজির হতে পারেন।
🩸 আগে থেকে যদি কিডনি সিস্ট থাকে এবং আকস্মিক খুব ব্যথা কিংবা জ্বর ওঠে তাহলে বুঝতে হবে সিস্টের ভেতরে ইনফেকশন বা সিস্ট ছিদ্র হয়ে ভেতরের পানি বাইরে বের হয়ে আসছে।
🩸 তবে হ্যাঁ, বয়স এবং সংখ্যাভেদে এটি জটিল এবং যথেষ্ট আতঙ্কের কারণ হতে পারে।
🩸 কারও বয়স যদি 15 থেকে 39 বছর হয় এবং প্রতি কিডনিতে 3 বা তার অধিক সিস্ট থাকে, বয়স যদি 40-59 হয় এবং প্রতি কিডনিতে ন্যূনতম 2 টি করে সিস্ট থাকে, বয়স যদি 60 বা তার অধিক হয় এবং একেক কিডনিতে 4 বা তার অধিক সিস্ট থাকে এবং পরিবারে অন্য কারও যদি সিস্ট থাকে তাহলে এটিকে পলি সিস্টিক কিডনি রোগ বলে। এদের ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।
⭕ Prevention?
- 🩸 বেশি করে পানি খাওয়া।
- 🩸 রক্তচাপ নিয়মিত মাপা। প্রয়োজন হলে ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খাবেন।
- 🩸 কিডনিতে পাথর ও রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়মিত পরিমাপ করবেন।
- 🩸 কিডনি রোগের 2nd এবং 3rd ধাপে পৌঁছালে Homeopathic ওষুধ খেতে পারেন।
- 🩸 কিডনি সম্পূর্ণ বিকল হলে কিডনি প্রতিস্থাপন কিংবা ডায়ালাইসিস করাবেন।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।