⭕ Gynecomastia- গাইনি অর্থ নারীদের মতো, মাস্টিয়া অর্থ স্তন। পুরুষের অতিরিক্ত গ্ল্যানডুলার টিস্যু এবং চর্বির সমন্বয়ে বড় স্তন হলেই এ সমস্যা দেখা দেয়।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়া- Gynecomastia- প্রকৃতপক্ষে পুরুষদের স্তন গ্রন্থি টিস্যু বৃদ্ধির সঙ্গে স্তন বৃদ্ধির একটি অবস্থা। এটি যে কোনো বয়সের পুরুষদের মধ্যে দেখা যেতে পারে। তবে শিশু, বয়:সন্ধিকালে এবং বৃদ্ধ বয়সে বেশি দেখা যায়। টেস্টোস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এটি হয়।
⭕Gynecomastia- গাইনোকোমাস্টিয়া, এক পাশে বা দুই পাশেই হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুই পাশে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক পাশে হতে পারে। অথবা উভয় পাশে আকারের ভিন্নতাও থাকতে পারে।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়ার প্রকারভেদ:
🇨🇭 সুডো-গাইনোকোমাস্টিয়া: শৈশবে এটি দেখা দেয়। স্তনে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে এমনটা হয়। এর চিকিৎসায় সাধারণত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়ামকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
🇨🇭 জুভেনাইল গাইনোকোমাস্টিয়া: বয়:সন্ধিকালে এটি দেখা দেয়। এর চিকিৎসা সার্জারির মাধ্যমেই করতে হয়। অনেক সময় ছোট হলে এমনিতেও সেরে যায়।
🇨🇭 ড্রাগ ইনডিউসড গাইনেকোমাস্টিয়া: নানারকম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পুরুষের স্তন বড় হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের ওষুধের মধ্যে আছে থায়াজাইড, এইচ-2 ব্লকার। আবার উচ্চ সয়াবিনযুক্ত খাবারের কারণে এমনটা হতে পারে। খাদ্যশস্য, দুধ বা মাছ-মাংসে পরোক্ষভাবে প্রয়োগকৃত হরমোনের প্রভাবে এ ধরনের গাইনোকোমাস্টিয়া হয়ে থেকে। বর্ধিত প্রোস্টেট, প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টি-অ্যান্ড্রোজেন জাতীয় ওষুধ, যেমন: স্পিরোনোল্যাকটোন, ফিনাস্টেরাইড, এবং ফ্লুটামিডের কারণেও হতে পারে।
🇨🇭 আবার অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ও অ্যান্ড্রোজেন ওষুধগুলো বিলম্বিত বয়:সন্ধি, পেশিক্ষয় এবং অন্য রোগের কারণে হরমোনের ঘাটতির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়, এসবের কারণেও রোগটি হয়।
🇨🇭 অনেক দিন ধরে অ্যান্টি-অ্যাংজাইটি যেমন: ডায়াজেপামের মতো ওষুধগুলোও গাইনোকোমাস্টিয়া ঘটাতে পারে। অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার-অ্যাকটিভিটি ডিসঅর্ডারের ওষুধ- অ্যাডেরাল, যাতে অ্যামফেটামাইন থাকে সেগুলোও গাইনোকোমাস্টিয়ার কারণ।
🇨🇭 এ ছাড়া সংক্রমণের চিকিৎসা ও কেমোথেরাপিতে ব্যবহৃত ওষুধের কারণে গাইনোকোমাস্টিয়া হতে পারে। তালিকায় আরও আছে আলসারের ওষুধ সিমেটিডিন, মেটোক্লোপ্রামাইড, হার্টের ওষুধ ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার এবং ডিগক্সিন।
🇨🇭 সিস্টেমিক ডিজিজ গাইনেকোমাস্টিয়া: শারীরিক নানা জটিল অসুখের প্রভাবেও গাইনোকোমাস্টিয়া হয়ে থাকে। একে বলা হয় ( সিস্টেমিক ডিজিজ গাইনেকোমাস্টিয়া )। এ ধরনের রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কাশিংস সিনড্রোম ও সিরোসিস লিভার।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়ার ধরন: স্তনের ধরন অনুযায়ী গাইনোকোমাস্টিয়ার চারটি গ্রেড ( Grade 4 ) আছে:
🇨🇭 Grade – 01: অতিরিক্ত ত্বক ছাড়া স্তনের সামান্য বৃদ্ধি।
🇨🇭 Grade – 02: অতিরিক্ত ত্বক ছাড়া মাঝারি মাপের বৃদ্ধি।
🇨🇭 Grade 03: অতিরিক্ত ত্বকসমেত মাঝারি বৃদ্ধি এবং
🇨🇭 Grade -04: অতিরিক্ত ত্বকসমেত ভালো বৃদ্ধি।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত বড় স্তন/ দুধ ছোট করার হোমিও চিকিৎসা।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়ার ঝুঁকি?
🇨🇭 কিছু কারণ গাইনোকোমাস্টিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে আছে বার্ধক্য, অ্যাথলেটিক পারফরম্যান্সের উন্নতির জন্য অ্যানাবলিক স্টেরয়েড ব্যবহার করা, লিভারের রোগ, কিডনি ফেইলিউর, থাইরয়েড রোগ, টিউমার, ক্লাইনফেল্টার সিনড্রোম, অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন, কিছু ভেষজ পণ্যের ব্যবহার, মারিজুয়ানা, অ্যামফিটামাইনস, হেরোইন।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়ার লক্ষণ?
🇨🇭 গাইনোকোমাস্টিয়ায় আক্রান্ত অনেক পুরুষের উপসর্গ নাও থাকতে পারে। তবে সাধারণ কিছু উপসর্গ হলো- ব্যথা, স্তনের টিস্যু ফোলা, স্তনের সংবেদনশীলতা ও স্তনবৃন্তে স্রাব।
⭕ গাইনোকোমাস্টিয়া নির্ণয়?
🇨🇭 শারীরিক পরীক্ষা: ডাক্তার রোগীকে শারীরিকভাবে পরীক্ষা করবেন। রোগীর সম্পূর্ণ চিকিৎসা ইতিহাস এবং পারিবারিক ইতিহাসও জেনে নেবেন।
🇨🇭 রক্তে হরমোনের মাত্রা এবং অন্তর্নিহিত সংক্রমণের উপস্থিতি পরীক্ষা করাতে হতে পারে। স্তনের আল্ট্রাসাউন্ড করাতে হতে পারে। ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে স্তনের টিস্যুর পরিবর্তন বা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়া কম্পিউটারাইজড টোমোগ্রাফি ( CT ) স্ক্যান এবং ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং ( MRI ) স্ক্যান করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন স্তন টিস্যুর স্পষ্ট ছবি পাওয়া যায়।
🇨🇭 টেস্টিকুলার আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় টেস্টিসের আশপাশের এলাকার ছবি পাওয়া যায়। সন্দেহভাজন টিস্যু বৃদ্ধির একটি ছোট নমুনা বের করে ক্যান্সার কোষের উপস্থিতি পরীক্ষা করতে বায়োপসিও করা হয়।
🇨🇭 গাইনোকোমাস্টিয়া রোগের শারীরিক অসুবিধার চেয়ে সামাজিক বিড়ম্বনাই বেশি। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।