🇨🇭 দ্রুত সিরাম ক্রিয়েটিনিন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানবো । সাধারণভাবে সমস্যাটি লং টার্ম বা ক্রনিক কিডনি রেনাল ডিজিজ বা Chronic Renal Failure (CRF) নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি অসুখ, যা লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াই কয়েক বছরব্যাপী ধীরে ধীরে কিডনিকে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে যে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এ অসুখে কিডনি ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়, সাধারণত রোগের শেষ পর্যায়ে অসুস্থতা প্রকাশ পায়। এ রোগের জটিলতা হিসেবে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া, হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়া, স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ইত্যাদি হতে পারে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি কিডনির অসুখ থাকে তাদের কিডনি ফেইলিওর হতে পারে।
🛑 ক্রনিক কিডনি ডিসিজ – কেন হয়?
🇨🇭 দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগের প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। দেখা যায়, দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্তদের তিন ভাগের দুই ভাগেরই এ দুটি রোগের একটি বা দুটোই থাকে।
🇨🇭 ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে চিনির মাত্রা বেশি থাকে। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেমন- কিডনি, হার্ট, রক্তনালি, চোখ ও স্নায়ু।
🇨🇭 আবার উচ্চ রক্তচাপ হলেই যে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অসুখ হবে তা নয়, যদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকে বা প্রোপার #হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে সেটি ঠিক করা না হয় তাহলে এটি হবে। আবার কিডনি অসুখ হলে রক্তচাপও বাড়তে পারে।
🇨🇭 গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস নামের কিডনির অসুখ যাদের থাকে, তাদেরও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হতে পারে। এ রোগের প্রধান লক্ষণ শরীর, হাত-পা ফুলে যাওয়া।
🇨🇭 বংশগত বা জন্মগত অসুখ যেমন পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি কিডনি অসুখ হতে পারে। আবার মাতৃগর্ভে কিডনির গঠনগত অস্বাভাবিকতার জন্যও হতে পারে।
🇨🇭 যাদের কিডনিতে পাথর, টিউমার আছে, যেসব পুরুষের প্রোস্টেটগ্রন্থি বড় তাদেরও কিডনির দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হতে পারে। এমনকি যারা বারবার প্রস্রাব ইনফেকশনে আক্রান্ত হয় তাদেরও এ রোগ হওয়ায় ঝুঁকি থাকে।
🇨🇭 এ ছাড়া কিডনি ধমনি সরু হয়ে যাওয়া, ম্যালেরিয়া, অতিরিক্ত এলোপ্যাথিক ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, নেশা ইত্যাদিতেও অসুখটি হয়।
🛑 ক্রনিককিডনিডিসিজ
আরো পড়ুনঃ ইউভাইটিস ( Uveitis ) কি ও এর হোমিও চিকিৎসা।
🇨🇭 ক্রনিক কিডনি ডিসিজ : লক্ষণগুলি কি কি ?
বেশির ভাগ মানুষই রোগটি বেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত বুঝতে পারে না। সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে:
- 🧪বেশি দুর্বল বোধ করা
- 🧪পরিশ্রম করার শক্তি হারিয়ে ফেলা
- 🧪মনোযোগের ঘাটতি
- 🧪রুচি কমে যাওয়া
- 🧪ঘুমের অসুবিধা
- 🧪রাতে শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশিতে ব্যথা
- 🧪পা ও গোড়ালি ফুলে যাওয়া
- 🧪চোখের নিচে ফুলে যাওয়া, মুখ ফোলা ফোলা লাগা
- 🧪চুলকানি ও শুষ্ক ত্বক
- 🧪বারবার প্রস্রাব পাওয়া
- 🧪প্রস্রাব ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়া
- 🧪রাতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব পাওয়া
- 🧪অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা
- 🧪প্রায় সব সময়ই মাথাব্যথা
- 🧪পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন দুর্বলতা।
🛑ক্রনিক কিডনি ডিসিজ : নির্ণয়ের উপায়
🇨🇭 রোগীর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস ছাড়া কিডনির রোগের ডায়াগনিসিস অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই যেকোন হোমিও চিকিৎসক রোগীর ফ্যামিলি হিস্ট্রি নিয়ে থাকেন। পরবর্তীক্ষেত্রে, ডাক্তার হৃৎপিণ্ড বা রক্তবাহী নালিতে হওয়া সমস্যার লক্ষণ পরীক্ষার জন্য, শারীরিক এবং স্নায়ুতন্ত্রেরও পরীক্ষা করেন।
🛑কিডনি রোগের নির্ণয়ের জন্য রোগীকে সুনির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষা করাতে হয়, যা হল :
🇨🇭 রক্ত পরীক্ষা: কিডনি ফাংশান টেস্ট, প্রধানত রক্তে ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিয়ার মত বর্জ পদার্থের মাত্রা পরীক্ষা করে।
🇨🇭 মুত্র পরীক্ষা: মুত্রের নমুনা পরীক্ষা করলে কিছু অস্বাভাবিক কারণ বেরোনোর সম্ভবনা থাকতেও পারে, যা ক্রনিক কিডনি ফেলিওরের দিকে ইঙ্গিত করতে পারে এবং একই সাথে কিডনির ক্রনিক রোগের কারণও চিহ্নিত করতে পারে।
🇨🇭 ইমেজিং টেস্ট: কিডনির সঠিক আকার ও আকৃতি মাপার জন্য ডাক্তাররা আলট্রাসাউন্ড ব্যবহার করতে পারেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ইমেজিং টেস্টও ব্যবহার করা যেতে পারে।
🇨🇭 টেস্টের জন্য কিডনির টিস্যুর নমুনা বের করা: নির্দিষ্ট এই রোগ নির্ণয় করতে, কিডনি বায়োপসি বা কিডনির টিস্যুর বের করা হয়। চামড়া ফুটো করে কিডনির ভেতরে লম্বা ও পাতলা সূচ ঢুকিয়ে স্থানীয়ভাবে অ্যানাস্থেসিয়া করে কিডনি বায়োপসি করা হয়। কিডনির পরীক্ষা ও এর পেছনে কোন কারণ দায়ী সেটা বের করতে, বায়োপসির নমুনা তারপরে ল্যাবে পাঠানো হয়।
🇨🇭 ক্রিয়েটিনিন কি ?
🇨🇭 ক্রিয়েটিনিন হলো এক ধরনের বর্জ্য যেটি মাংসপেশীর কোষ ভেঙে তৈরি হয়। যখন ক্রিয়েটিনিন উৎপন্ন হয় তখন রক্তের সঙ্গে তা মিশে যায়। পরে রক্ত যখন কিডনির ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন কিডনি এই রক্ত ছেঁকে ক্রিয়েটিনিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। তাই রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নির্ণয় করলে বোঝা যায় কিডনি কতখানি কর্মক্ষম আছে। ক্রিয়েটিনের মাত্রা নির্দিষ্ট লেভেলের উপরে হলেই বোঝা যায় তার কিডনি সমস্যা হয়েছে। রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার বেশ কিছু উপায় আছে।
🇨🇭 রক্তে ক্রিয়েটিনিন – এর স্বাভাবিক মাত্রা
মানবদেহে মাংসপেশীর বিপাক কর্ম বা মেটাবলিজমের কারণে উৎপন্ন বর্জ্য পদার্থই হলো ক্রিয়েটিনিন, যা ক্রিয়েটিন থেকে উৎপন্ন হয় এবং রক্তের মাধ্যমে কিডনিতে পৌঁছায়। ক্রিয়েটিন মাংশপেশীতে শক্তি উৎপাদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিন গড়ে ২% ক্রিয়েটিন বিপাকের ফলে ক্রিয়েটিনিনে পরিণত হয়। কিডনি ছাঁকনের মাধ্যমে দেহ হতে মূত্রের সাথে ক্ষতিকর ক্রিয়েটিনিন বের করে দেয়।
🇨🇭 স্বাভাবিক নারীদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা থাকে ০.৫-১.১ গ্রাম। স্বাভাবিক পুরুষের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসি লিটার রক্তে এর মান ০.৬-১.২ মিলিগ্রাম। একটা কিডনী যাদের নেই তাদের ক্ষেত্রে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা প্রতি ডেসি লিটার রক্তে ১.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত স্বাভাবিক।
🇨🇭 ক্রনিক কিডনি ডিজিজ(CKD) এর লক্ষণ সাদৃশ্য কিছু হোমিও ঔষধ এর নাম:
- 🧪Cantharis
- 🧪apis mel
- 🧪arsenic album
- 🧪Clematis
- 🧪Berberis vul
- 🧪Nux vomica
- 🧪Lycopodium
- 🧪uva ursi
- 🧪belladona
- 🧪merc cor
- 🧪terebinthina
- 🧪Aalserum
- 🧪borax
- 🧪hepar sulph
- 🧪bryonia
- 🧪eupatorinum
- 🧪Kali nitric
- 🧪acid benz
- 🧪sulphur
- 🧪Silicea
- 🧪nat mur
🇨🇭 রোগী দেখার সময়ঃ
🛑সকাল ০৯.০০_ ০১.০০ টা।
🛑বিকাল ০৫.০০_ রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]