🇨🇭 কনডম – Condom, যতোই আধুনিক একটি জন্মনিরোধকের ধারণা হিসেবে বিবেচিত হোক না কেনো, সত্য হলো এই যে, প্রাচীনকাল থেকেই কখনো ধর্মীয় বিশ্বাসের খাতিরে, সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচতে, এমনকি কখনো আবার সামাজিক মর্যাদার সূচক হিসেবে কনডম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ইতিহাসের আলোকে কনডম ও তার একটি সংক্ষিপ্ত অভিযাত্রা দেখে নেয়া যাক।
🇨🇭 ফ্রান্সের গুহা-চিত্র
আনুমানিক প্রায় এগারো হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফ্রান্সের একটি গুহা-চিত্রে প্রথমবারের মতো কনডম ব্যবহারের হদিস পাওয়া যায়। সেই চিত্রে একটি পুরুষ ও নারীর মিলনের দৃশ্য চিত্রায়িত ছিলো। একটু গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখলে বোঝা যায় যে, পুরুষটি তার যৌনাঙ্গে খুব সম্ভবত পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি আবরণের মতো কিছু একটা ব্যবহার করেছেন।
🇨🇭 ক্রিটের রাজা মিনোস
যে নারীর সাথেই মিলিত হতেন, তার মৃত্যু ঘটতো। মিনোস তার পুরুষাঙ্গে ভেড়া বা ছাগলের মূত্রাশয় দিয়ে তৈরি একটি আবরণ ব্যবহার করেছিলেন। সে হিসেবে এটিকেই পৃথিবীতে কনডমের ব্যবহার ও অস্তিত্বের আদিমতম ঐতিহাসিক প্রমাণ বলে মনে করা হয়।
🇨🇭 প্রাচীন মিশর
প্রায় চার হাজার বছর আগে থেকেই জটিলভাবে শ্রেণিবিভক্ত প্রাচীন মিশরীয় সমাজে পুরুষেরা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের কারণে এবং অবশ্যই উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিশ্নে আবরণ বা খাপ ব্যবহার করতেন। আবরণগুলো লিনেন দিয়ে তৈরি করা হতো এবং তাতে ভিন্ন ভিন্ন রকমের রঙের ব্যবহার হতো, ক্যালিগ্রাফিও করা হতো, যা সেই সময়কার জটিল শ্রেণিবিভক্ত মিশরীয় সমাজের প্রত্যেকের শ্রেণিগত অবস্থান ব্যাখ্যা করতো। এই খাপ ব্যবহারের আরো একটি উদ্দেশ্য ছিলো। আর তা হলো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগগুলো প্রতিরোধ করা।
🇨🇭 রোমান সভ্যতা
রোমান সভ্যতা তার উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে পরবর্তী দিনগুলোতে পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করেছে। স্থাপত্য, দর্শন, সরকারব্যবস্থা, ভাষা, এমনকি কনডম ব্যবহারের আধুনিক ধারণার জন্যেও বিশ্ব তাদের কাছে ঋণী। তারা জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক ছিলো। রোমান সাম্রাজ্য যতো বিস্তৃতি লাভ করেছে, ততোই জনস্বাস্থ্যের উপর জোর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। ফলে প্রচলিত যৌনসংক্রামক রোগগুলো প্রতিহত করার চেষ্টা থেকেই তারা ভেড়া বা ছাগলের মতো প্রাণির অন্ত্র কিংবা লিনেন দিয়ে তৈরি কনডমের ব্যবহারের দিকে ঝুঁকেছে। এমনকি মনে করা হয় যে, তারা তাদের মৃত সৈনিকদের পেশিটিস্যুও কনডম তৈরিতে ব্যবহার করতো।
🇨🇭 নিউগিনির জুকাস নৃগোষ্ঠী নিউগিনিতে বসবাসকারী প্রাচীন ( জুকাস ) নৃগোষ্ঠীর মানুষেরা কনডমের ধারণায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তারা নারীদের জন্যে একধরনের কনডম তৈরি করেছিলো, যা উদ্ভিদদেহের একটি অংশ দিয়ে তৈরি। প্রায় ছয় ইঞ্চি লম্বা ও একমুখ খোলা এই ব্যবস্থাটি গর্ভধারণ রোধ করার জন্যে মিলনের পূর্বে যোনিতে স্থাপন করতে হতো। খোলা মুখটি থাকতো যোনির বাইরের দিকে।
🇨🇭 প্রাচীন চৈনিক সভ্যতা:
প্রাচীন চৈনিক সভ্যতায় যৌনমিলনের সময় তৈলাক্ত সিল্কের কাগজ বা কাপড় ব্যবহার করা হতো। খুব দক্ষতার সাথে রেশম তন্তু দিয়ে সিল্কের পাতলা আবরণ তৈরি করা হতো, যা তৈলাক্ত পদার্থ সহযোগে ব্যবহৃত হতো।
🇨🇭 জাপানি সভ্যতা:
পঞ্চদশ শতকের জাপানি সভ্যতায় ( কাবুটা-গাটা ) নামের কচ্ছপের খোল দিয়ে তৈরি একধরনের আবরণ ব্যবহার করা হতো, যা Panis -অগ্রভাগ ( মুণ্ডি – Panis Glans ) ঢেকে রাখতো। এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে কচ্ছপের খোলের বদলে পশুর শিঙও ব্যবহার করা হতো বলে জানা যায়।
🇨🇭 আধুনিক কনডম
ষোড়শ শতকে, ১৫৩৩ সালে যখন অ্যানাটোমিস্ট গ্যাব্রিয়েল ফ্যালোপিও তার – ( দ্য ফ্রেঞ্চ ডিজিজ ) বইয়ে সিফিলিসের বিস্তার রোধে যৌনমিলনের সময় তৈলাক্ত রাসায়নিক ভেজানো লিনেনের আবরণ – যা আবার ফিতে দিয়ে বাঁধা যায়, ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করেন, ধরা হয় যে, তখন থেকেই আধুনিক কনডমের ইতিহাস ও প্রচলন শুরু। তখন এই আবরণ ব্যবহারকারী – 1,100 পুরুষের উপর একটি সমীক্ষা চালানো হয় এবং সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, গর্ভধারণ রোধ ও বিভিন্ন রোগের বিস্তার রোধ করতে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকর!
🇨🇭 সমীক্ষা চলাকালীন আবরণগুলো পশুর অন্ত্র দিয়েই তৈরি করা হয়েছিলো। সেগুলো তৈরি করা হয়েছিলো স্থানীয় কসাইদের সাহায্যে।
🇨🇭 তখনকার চার্চ সরাসরি এর বিরোধীতা করে আসছিলো এবং ঘোষণাও করেছিলো যে, গর্ভনিরোধ পদ্ধতি অবলম্বন করা একটি গুরুতর পাপ। তবুও পরিবর্তনকামী ইউরোপীয় সমাজে এই ব্যবস্থা অবলম্বনের ঝোঁক শুরু হয়। ইংল্যান্ডের বার্মিংহামের কাছে Dudley Castle- এ একটি খাপ বা আবরণ আবিষ্কৃত হয়, যা 1640 – এর দিকে তৈরি করা হয়েছিলো এবং এটি ছিলো মাছের অন্ত্র দিয়ে তৈরি।
আরো পড়ুনঃ যৌনরোগ প্রতিহত করতে কন্ডোম এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে হোমিও!
♥ কনডম ( Condom ) নামকরণ ও প্রথম ব্যবহার:
♥ গর্ভনিরোধক এই আবরণকে- কনডম ( Condom ) নামকরণ করা হয় খুব সম্ভবত ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের চিকিৎসক- ( কর্নেল কনডমের ) নাম অনুসারে। চার্লস তার চিকিৎসককে পশুর অন্ত্র বা লিনেনের বদলে আরো স্বস্তিদায়ক কিছু একটা উদ্ভাবনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে এ-ব্যাপারে অনেক মতবিরোধ রয়েছে।
♥ নামকরণের অন্য মতগুলোর মধ্যে একটি শক্তিশালী মত হিসেবে অনেকেই ধারণা করেন যে, Condom শব্দটি ল্যাটিন শব্দ – ( কন্ডাস ) যার অর্থ আধার বা জাহাজ, এবং ফার্সি শব্দ – ( কেমডু ) যা প্রাণির অন্ত্রের একটি লম্বা অংশ, থেকে এসেছে।
♥ তবে Condom শব্দটি ড্যানিয়েল টার্নার নামের একজন চিকিৎসক তার ডায়েরিতে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেছিলেন।
♥ 1785 – সালে যখন লন্ডনের একটি স্থানীয়-ভাষা অভিধানে শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হয়, তখন থেকে ব্যবস্থাটিও এই নামেই পরিচিত হতে শুরু করে।
♥ কনডম- শিল্প:
♥ 1839 সালে চার্লস গুডইয়ার রাবার ভলকানাইজেশন পদ্ধতি আবিষ্কার করার মাধ্যমে কনডম-শিল্পের ভবিষ্যত অসম্ভব রকম পাল্টে দেন। এই পদ্ধতিতে সালফার এবং প্রাকৃতিক রাবার একত্রে রেখে তাপ দেয়া হয় এবং প্রক্রিয়া শেষে উচ্চ স্থিতিস্থাপক, ঘাতসহনীয়, নমনীয় ও টেকসই একটি উপাদান তৈরি করা হয়।
♥ এই প্রযুক্তির হাত ধরে 1855 সালে প্রথম রাবার Condom তৈরি হয়। প্রথমদিকের পুনর্ব্যবহারযোগ্য রাবার কনডমগুলো ছিলো সাইকেলের টিউবের সমান পুরু এবং প্রত্যেকের জন্যে আলাদা আলাদা মাপে তৈরি করা হতো।
♥ 1920 – এর দশকে ল্যাটেক্স উদ্ভাবিত হয়। ল্যাটেক্সই কনডমকে আজকের প্রচলিত কনডমে পরিণত করেছে। ল্যাটেক্সের খুব উচ্চ প্রসারণ ক্ষমতা রয়েছে। ছিঁড়ে যাওয়ার আগে এটি কমপক্ষে আটগুণ পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। এটি খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করা যায়, কনডমের উপর শুক্রনাশক এবং পিচ্ছিলকারী পদার্থ যোগ করা যায়। এমনকি আজকাল স্বাদও যুক্ত করা হয়।
♥ বর্তমান সময়ের কনডম
সহজলভ্যতা, আর্থিক দিক থেকে সাশ্রয়ী, সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা গেলে প্রায় শতভাগ জন্মনিরোধক, যৌনবাহিত রোগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ক্ষমতা কনডমকে আজ বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করে তুলেছে। সেই রাজা মিনোসের সময় থেকে আজ অব্দি। এটি ব্যবহারের উদ্দেশ্য সাপ-বিচ্ছু থেকে রেহাই দেয়া কিংবা সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা কিংবা গর্ভধারণ রোধ, যা-ই বলি না কেনো, কনডমের আবিষ্কার ও বিবর্তন যে মানব সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, তা স্বীকার করতেই হয়। কনডম – Condom , ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের যৌন বাহিত রোগ প্রতিরোধ করা যায়। কনডম ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – ( No Side effects ) নেই। বরং Condom নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই নিরাপদ।অন্যদিকে নারী ও পুরুষের যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে হোমিও চিকিৎসা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যৌনশক্তি বৃদ্ধি করতে একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( D. H. M. S ) ঢাকা।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।