🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ( ASD ) একটি জটিল স্নায়বিক বিকাশ সংক্রান্ত রোগের শ্রেণী।
🇨🇭 সামাজিক বিকলতা, কথা বলার প্রতিবন্ধকতা, এবং সীমাবদ্ধ, পুনরাবৃত্তিমূলক এবং একই ধরনের আচরণ দ্বারা এটা চিহ্নিত হয়।
🇨🇭 এটা একটি মস্তিষ্কের রোগ যা সাধারণত একজন ব্যক্তির অন্যদের সাথে কথা বলার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। ( ASD ) ধরণের রোগ সাধারণত শৈশবে শুরু হয় এবং বড় হওয়া পর্যন্ত থাকে।
🇨🇭 ( ASD ) ধরণগুলো হল:
অটিস্টিক ডিজঅর্ডার – ক্লাসিক অটিজম, নামেও পরিচিত, এটা অটিজমের সাধারণ ধরন।
🇨🇭 অটিস্টিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত লোকেদের সাধারণত গুরুত্বপূর্ণভাবে ভাষাগত বাধা থাকে। এক্ষেত্রে সামাজিক ও ভাষা বিনিময়ে প্রতিবন্ধকতা থাকে এবং অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় । এই রোগে আক্রান্ত অনেক লোকের বুদ্ধিগত অক্ষমতা থাকতে পারে।
🇨🇭 এসপারজার সিন্ড্রোম: এসপারজার সিন্ড্রোমে আক্রান্ত লোকেদের অটিস্টিক ডিজঅর্ডারের হালকা উপসর্গ থাকে। এদের মধ্যে সামাজিক প্রতিবন্ধকতা এবং অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দিতে পারে।
🇨🇭 যাইহোক, এদের সাধারণত ভাষা বা বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা বা সমস্যা থাকে না।
পার্ভেসিভ ডেভোলাপমেন্টাল ডিজঅর্ডার – ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি সংক্রান্ত রোগ , অন্যভাবে চিহ্নিত করা যায় না , এটিকে ( এটিপিকাল অটিজম ) বলা হয়।
🇨🇭 যেসব লোকেদের মধ্যে অটিস্টিক ডিজঅর্ডার বা এসপারজার সিন্ড্রোম নির্ণায়ক কিছু উপসর্গ দেখা যায় , কিন্তু সব উপসর্গ দেখা যায় না , তাদের সাধারণত – PDD – NOS , হিসাবে রোগ নির্ণয় করা হতে পারে। ( PDD – NOS ) আক্রান্ত লোকেদের মধ্যে সাধারণত অটিস্টিক ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত লোকেদের থেকে কম এবং হালকা উপসর্গ দেখা যায়। এই উপসর্গগুলি শুধুমাত্র সামাজিক ও ভাষা বিনিময় সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।
🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ( ASD ) উপসর্গ, লক্ষণ:
🩸 ( ASD ) সাধারণত একজন লোকের 3 বছর বয়স বা তার আগে শুরু হয়ে শেষ জীবন পর্যন্ত থাকতে পারে, যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উপসর্গ কমে যেতে পারে। ( ASD )আক্রান্ত শিশুদের অধিকাংশর জীবনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে ভবিষ্যতে সমস্যার ইঙ্গিত দেখা যেতে পারে।অধিকাংশ ( ASD ) আক্রান্ত শিশুদের তাদের জীবনের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই ভবিষ্যতে সমস্যার সংকেত দেখা যায়। অন্যদের মধ্যে – 24 মাস বা তারও পরে উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
🩸 কিছু ( ASD ) আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় 18 থেকে 24 মাস বয়স পর্যন্ত স্বাভাবিক বিকাশ হচ্ছে বলে মনে হয় এবং তারপর তারা নতুন দক্ষতা অর্জন বন্ধ করে দেয় অথবা পূর্বের অর্জিত দক্ষতা হারিয়ে ফেলে।
🇨🇭 একজন ( ASD ) আক্রান্ত শিশুর মধ্যে যা যা দেখা দিতে পারে :
🩸 12 মাস বয়সেও তার নাম ধরে ডাকলে প্রতিক্রিয়া করে না,
18 মাস বয়সে খেলতে পারে না,
এরা সাধারণত অন্যের চোখের দিকে সোজাসুজি তাকানো এড়িয়ে যায় এবং একা থাকতে পছন্দ করে, এই শিশুরা অন্য মানুষের অনুভূতি বুঝতে বা তাদের নিজস্ব অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে অসুবিধা অনুভব করে
এই শিশুরা দেরী করে কথা বলা এবং ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে পারে
শব্দ বা ছোটো ছোটো বাক্য বারবার বলতে থাকে (ইকোলালিয়া)
প্রশ্নের সঙ্গে সম্পর্কহীন উত্তর দেয়
কোনো ছোটখাটো পরিবর্তন পছন্দ করে না,
কিছু বদ্ধমূল আগ্রহ থাকে
কিছু কিছু সময় তারা তাদের দুই হাতে ঝাপট মারতে থাকে, তাদের শরীর দোলাতে থাকে, অথবা চক্রাকারে ঘোরাতে থাকে
কিছু শব্দের, গন্ধ, স্বাদ, চেহারা বা অনুভবের সঙ্গে অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।
🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ( ASD ) কারণ:
🩸 ( ASD ) হওয়ার সঠিক কারণ এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি , কিন্তু এটা জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণের জন্য সম্ভবত হতে পারে। এই রোগের সঙ্গে যুক্ত জিনগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
🩸 ( ASD ) আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে গবেষণায এর কারণ, মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়মিতিভাবে পাওয়া গেছে।
( ASD ) আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে মস্তিষ্কের সেরোটোনিন বা অন্যান্য নিউরোট্র্রান্সমিটার অস্বাভাবিক মাত্রায় আছে।
🩸 এই সব অস্বাভাবিকতা ধারণা দেয় যে ভ্রুণ বৃদ্ধির প্রারম্ভিক অবস্থায় স্বাভাবিক মস্তিস্কের বৃদ্ধিতে গোলমাল দেখা যায় জিনের অস্বাভাবিকতার জন্য যা মস্তিস্কের বৃদ্ধি এবং মস্তিস্কের কোষগুলির নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। সম্ভবত জিন ও পরিবেশগত উপাদানের প্রভাবে – ( ASD ) রোগের সৃষ্টি হয়।
🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ( ASD ) রোগ নির্ণয়:
🩸 ( ASD ) নির্ণয় করা কঠিন হয় কারণ এখানে কোনো ডাক্তারী পরীক্ষা যেমন:
রক্ত পরীক্ষার মতো কোনো পরীক্ষা এক্ষেত্রে নেই যার দ্বারা এই রোগ নির্ণয় করা যেতে পারে। চিকিৎসক শিশুর আচরণ এবং বৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে এই রোগ নির্ণয় করতে পারেন।
🩸 যাইহোক, শিশুদের একটি শ্রবণযোগ্য মূল্যায়ন এবং অটিজমের জন্য একটি বাছাই পরীক্ষা করা যেতে পারে যেমন শিশুদের জন্য অটিজমের চেকলিস্ট।
🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ( ASD ) করনীয়:
🩸 এই রোগের কোনো নিরাময় নেই। যাইহোক, এটা ঔষধ এবং বিশেষজ্ঞর সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
🩸 প্রারম্ভিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে শিশুর সেবা করলে শিশুর উন্নতিতে সাহায্য হয়। এই সকল সেবাযত্ন বলতে শিশুদের কথা বলা, হাঁটতে পারা এবং অন্যদের সঙ্গে কথা বিনিময় করা বোঝায়।
🩸 সুতরাং, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রথমে শিশু চিকিৎসকের সাথে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কথা বলা।
🇨🇭 অটিজম ( Autism ) কি পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব?
🇨🇭 চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবেন?
🩸 অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে অটিজম পুরোপুরি নিরাময় করা আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। কিন্তু সঠিক টেস্ট, চিকিৎসা, থেরাপি এবং কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে শিশুদের 90 থেকে 95 ভাগ জীবন আচরণ স্বাভাবিক গন্ডির মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব।
🩸 বর্তমানে দেশের অনেক শিশুই অটিস্টিক হওয়া সত্তেও স্বাভাবিক জীবনের সাথে মানিয়ে চলতে সক্ষম হচ্ছে। এই জন্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করতে পারে নিউরোজেন। আমাদের আছে দেশের সেরা থেরাপিস্ট, জেনেটিক এক্সপার্ট এবং কাউন্সিলর। তারা আপনার শিশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
🇨🇭 অটিজম এর কারণ, লক্ষন সমূহ এবং চিকিৎসা:
🩸 অটিজম আজ শুধু সারা পৃথিবীতেই নয় আমাদের দেশেও বহুল আলোচিত একটি শব্দ। তবে আমাদের অনেকেরই এই শব্দ টি জানা থাকলেও প্রকৃত ভাবে এই শব্দটি কেন বহুল আলোচিত।
🩸 অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার :
অটিজম হলো শিশুদের স্নায়ুবিকাশজনিত একটি সমস্যা বা রোগ, যার কারণে একটি শিশু সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়। এ রোগটিকে একটি স্বতন্ত্র রোগ হিসাবে বিবেচনা করলে ভুল হবে – যদিও এ রোগটির কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বরং বোঝানো হয়ে থাকে-স্নায়ুবিকাশজনিত সমস্যাগুলোর সংমিশ্রণ, যেখানে আত্মসংবৃতি, অ্যাসপারজারের সংরক্ষণ – Asperger’s Syndrome এবং পরিব্যাপক বিকাশমূলক ব্যাধির – Pervasive Developmental Disorder- PDD, লক্ষণগুলো বিদ্যমান।
🩸 আবার এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিশেষ এক ধরনের সিনড্রোম, যার নাম ( ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম- Fragile X syndrome – FXS ). যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ ( FXS ) কে সরাসরি অটিজমের অংশ হিসাবে গণ্য করেন না, বরং বলেন যে FXS- আক্রান্ত রোগীদের অটিজম হওয়ার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেশি।
🩸 ফ্র্যাজাইল এক্স সিনড্রোম মানব X ক্রোমোজোমে FMR-1 ( ফ্র্যাজাইল এক্স মেসেঞ্জার রিবোনিউক্লিওপ্রোটিন ) জিনের মধ্যে নিউক্লিওটাইড – CGG, ট্রিপলেট পুনরাবৃত্তির কারণে ঘটে, যার পুনরাবৃত্তি 55 থেকে 200 পর্যন্ত দেখা যায়। ফলে FMR-1-জিনটি অকার্যকর হয় এবং তার প্রোটিন ( FMRP ) তৈরিতে ঘাটতি দেখা দেয়।
🩸 এ কারণে স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে সংযোগের ত্রুটি ও এমনকি বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতাও পরিলক্ষিত হয়। অটিজমের যে উপসর্গগুলো দৃশ্যমান, তার মধ্যে যোগাযোগ ও বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতাই হচ্ছে প্রকট। তাই বর্তমানে শুধু অটিজমের পরিবর্তে এ মিশ্র-সমস্যাটি ( অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার – ASD ) বলে আখ্যায়িত হয়েছে।
🩸 লক্ষণগুলো : ASD -আক্রান্ত শিশুদের আচরণ সাধারণ শিশুদের থেকে আলাদা। এক্ষেত্রে শিশুদের মধ্যে মানসিক সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। তারা সব সময় আত্মলীন থাকে, কারও সঙ্গে কথা বলে না, খেলা করে না, নিজের জগতেই নিজে বিচরণ করে এবং তাদের মধ্যে একই কাজ বারবার করার প্রবণতা দেখা যায়। তারা অন্যদের সঙ্গে ঠিকমতো মিশতেও পারে না। এ ছাড়াও অনেক সময় শিশুটির মা প্রথম বুঝতে পারেন যে, তার শিশুটি কথা বলতে পারছে না বা কথা বলতে দেরি হচ্ছে।
🩸 শিশুটির বাবা,মা – স্বভাবতই উদ্বিগ্ন হন। তাদের আরও একটি বৈশিষ্ট্য প্রকট থাকে-তারা কারও চোখে চোখ রেখে কথা বলে না বা শোনে না। এমনকি নিজের বাবা বা মায়ের চোখের দিকেও এরা চোখ রাখতে পারে না। অনেকে হাইপার অ্যাকটিভ হয়, নিজের হাত কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে বা হাতের কাছের জিনিসপত্র ভেঙে নষ্ট করে। তবে যাই হোক অন্যান্য মানসিক ব্যাধির মতো – ASD কে মানসিক ব্যাধি হিসাবে দেখার কোনো কারণ নেই।
🩸 ASDরোগে লিঙ্গ পার্থক্য : বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেন, প্রতি 54 জনের মধ্যে একটি শিশুর ASD হওয়ার প্রবণতা আছে। এ রোগটি সমগ্র আর্থ-সামাজিক স্তরেই দেখা যায়। তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ASD হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্য হারে বেশি, অর্থাৎ ছেলে থেকে মেয়ে – 4:1 অনুপাতে।
🩸লিঙ্গ পার্থক্যের অন্তর্নিহিত জিনগত কারণ লুকিয়ে রয়েছে মানুষের সেক্স-ক্রোমোজমে। গবেষণায় দেখা গেছে, মানব – ( এক্স X ) – ক্রোমোজমে অবস্থিত নিউরোলিগিন নামক একটি জিনের মিউটেশন ASD,র একটি অন্যতম কারণ। নিউরোলিগিন প্রোটিনটি স্নায়ুগুলোর মধ্যে সিন্যাপসিস -সংযোগস্থল, স্থাপন এবং বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যাতে করে স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন থাকে।
🩸 যেহেতু মেয়েদের- ( সেক্স-SEX ) ক্রোমোজমের দুটিই হলো- ( X X ) ক্রোমোজম এবং ছেলেদের মধ্যে একটি – ( X ও একটি Y ) কাজেই একটি- X ক্রোমোজমে ঘটে যাওয়া NLGN4X-জিনটির মিউটেশন আরেকটি X ক্রোমোজমের স্বাভাবিক NLGN4X জিন দ্বারা সুরক্ষা পায়।
🩸 কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে ( Y ) ক্রোমোজমে যেহেতু কার্যকরীভাবে সমতুল্য জিন থাকে না, তাই তারা সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত। প্রসঙ্গত, সাধারণ অবস্থায় মেয়েদের দুটি X ক্রোমোজমের একটি নিষ্ক্রিয় থাকে। তবে এক্ষেত্রে – NLGN4X জিনটি নিষ্ক্রিয়করণ থেকে মুক্তি পেয়ে একটি স্বাভাবিক প্রোটিন তৈরি করে মেয়েদের সুরক্ষিত রাখে।
🩸 কখনো এই শিশুরাই আবার বিশেষ গুণে পারদর্শী হয়। বিশ্বখ্যাত অনেক মনীষী আছেন, যারা অটিজম রোগে আক্রান্ত ছিলেন। দেখা গেছে ASD- আক্রান্ত কিছু মানুষ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জীবনে অবিশ্বাস্যভাবে সফলতা এনেছে। অনেক উদাহরণ রয়েছে, তবে দুজন বিজ্ঞানীর নাম উল্লেখ না করলেই নয়। প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও নোবেল জয়ী আলবার্ট আইনস্টাইন অটিস্টিক ছিলেন এবং তিনিও কথা বলা শুরু করেছেন অনেক দেরিতে। আইজ্যাক নিউটনও অটিস্টিক ছিলেন। 2022 সালের অর্থনীতিতে নোবেল জয়ী ভার্নন স্মিথ আক্রান্ত ছিলেন অ্যাসপার্জার সিনড্রোমে।
🇨🇭 কারণগুলো : ASD সৃষ্টির একাধিক কারণ রয়েছে, যার ফলে এ রোগের সঠিক চিকিৎসাও জটিল হয়ে পড়েছে। দুই দশকের নিবিড় গবেষণার ফলাফল থেকে অটিজমের কারণ সম্বন্ধে এখন অনেকটা স্পষ্ট ধারণা হয়েছে। একটি ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা একমত হয়েছেন যে, আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুতন্ত্রের বিভিন্ন কোষের পারস্পরিক সংযোগ কমে যাওয়া বা বিচ্ছিন্ন হওয়া কিংবা স্নায়ু থেকে নিঃসৃত কিছু রাসায়নিক পদার্থের অভাব হওয়ার কারণেই শিশুদের এএসডি রোগ দেখা দেয়। যাই হোক, ASD,র পেছনে দুটি মূল কারণ হচ্ছে জিনগত ও পরিবেশগত সমস্যা।
🩸 জিনগত কারণ : FMR1 জিনের মিউটেশন ও নিউক্লিওটাইড-পুনরাবৃত্তি ছাড়াও, মানব – ( এক্স – X ) -ক্রোমোজমে অবস্থিত নিউরোলিগিন ( Neuroligin, NLGN4 ) জিনের মিউটেশন অটিজমের একটি অন্যতম কারণ, যা আগেই উল্লেখ করেছি। স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য প্রিসিন্যাপটিক নিউরেক্সিন প্রোটিন এবং পোস্টসিন্যাপটিক নিউরোলিগিন প্রোটিন-দুটি সরাসরি জড়িত এবং সংকেত সংবহনে ত্রুটির কারণেই সৃষ্টি হয় এএসডিসহ নানা স্নায়ুবিকাশ সম্পর্কিত রোগ। নিউরোলিগিন পরিবারের চারটি জিন রয়েছে; তন্মধ্যে NLGN3 ও NLGN4 জিনের একাধিক মিউটেশনকে এএসডির কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছে।
🩸 ( SHANK ) প্রোটিন হলো পোস্টসিনাপটিক নিউরোনের একটি মাল্টিডোমেন স্ক্যাফোল্ড প্রোটিন, যা নিউরোট্রান্সমিটার রিসেপ্টর, আয়ন চ্যানেল এবং অন্যান্য মেমব্রেন প্রোটিনকে অ্যাক্টিন সাইটোস্কেলটন এবং জি-প্রোটিন-যুক্ত সিগন্যালিং পাথওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এ প্রোটিনগুলো সিন্যাপস গঠনেও ভূমিকা পালন করে। ( SHANK ) – জিনের মিউটেশন – ASD রোগের কারণ হিসাবে চিহ্নিত। বিশেষ কিছু জিনের কপি নাম্বার বৈচিত্র্য ( Copy Number Variation, CNV ) ASD -রোগের একটি বড় কারণ হিসাবে স্বীকৃত।
🩸( Copy Number Variation, CNV ) আমাদের জিনোমের কোনো জিন বা DNA 🧬 খণ্ডের কপি বা অনুলিপির সংখ্যাকে বোঝায়। জিনোমে CNV বৈচিত্র্য আনে ডুপ্লিকেশন এবং ডিলিশন জিনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ডুপ্লিকেশনের মাধ্যমে কারও জিনোমে নির্দিষ্ট কোনো একটি জিনের অনেক কপি দেখা যায়, কিন্তু অন্যদের মাঝে ডিলিশনের কারণে ওই একই জিনটির কপি নাম্বার অনেকাংশে কম পাওয়া যায়। CNV-র ক্লাসিক উদাহরণ হিসাবে আমরা অ্যামাইলেজ জিনটিকে তুলে ধরি। মানব জিনোমে বিশেষ কিছু জিনের সংখ্যার এ পরিবর্তন – ডুপ্লিকেশন বা ডিলিশন, শিশুদের স্নায়ুবিকাশে এক বড় পরিণতি ডেকে আনে। মানব জিনোমের 15 নং ক্রোমোজোমের এক প্রান্তে, ঠিক 15q11.2 লোকাসে, এ ধরনের একটি ভঙ্গুর অঞ্চল রয়েছে, যেখানে অবস্থান করে চারটি জিন- ( TUBGCP5, NIPA1, NIPA2 ও CYFIP1) গবেষষণায় দেখা গেছে, শেষোক্ত দুটি ( NIPA2 ও CYFIP1 ) জিন মস্তিষ্কের সেরিব্রাল কর্টেক্স, হিপ্পোক্যাম্পাস ও সেরেবেলাম অঞ্চলগুলোতে প্রকাশ পায় এবং জিনগুলোর ( CNV – ASD ) ও অন্যান্য স্নায়ুবিকাশজনিত ও বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
🩸 স্বাভাবিক সিন্যাপটিক ফাংশন এবং আচরণ বজায় রাখতে CYFIP1 ( Cytoplasmic FMR1 interacting protein1 ) সিন্যাপসগুলোতে NMDA গ্লুটামেট রিসেপ্টর এবং সংশ্লিষ্ট উপাদানগুলোর প্রোটিন সংশ্লেষণকে নিয়ন্ত্রণ করে। রোগের স্পেকট্রাম বিশেষে জিনটির ডুপ্লিকেশন বা ডিলিশন এএসডির অন্যতম একটি কারণ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এমনকি ( CYFIP1 ) জিনটির ডোজ পরিবর্তন করে গবেষকরা উত্তেজক এবং প্রতিরোধমূলক সংকেত-সংবহনের দ্বিমুখী প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ পাকস্থলী ও খাদ্যনালীর ক্যান্সার কি এবং এর হোমিও প্রতিবিধান।
🩸 গবেষণামূলক একটি বড় সমীক্ষায় আরও একটি বিষয় উদ্ঘাটিত হয়েছে যে, এএসডি-আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্যানাবিনোয়েড ( CBD ) উপাদানগুলো উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এ নিরীক্ষণটি প্রমাণ করে, শিশুদের ASD – সম্পর্কিত সামাজিক আচরণের অস্বাভাবিকতার পেছনে অভ্যন্তরীণ CBD- গুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
🩸 পরিবেশগত কারণ : গর্ভাবস্থার প্রথম দুটি মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ সময়ে মায়েদের সংক্রমণকে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের মতো স্নায়ুবিকাশজনিত অবস্থার ঝুঁকির কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময়ে গর্ভবতী মায়েদের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে তাদের দেহে যেসব অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা ASD সৃষ্টির জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, গর্ভাবস্থার তৃতীয় সপ্তাহে ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশ শুরু হয়। নবম সপ্তাহের মধ্যে, মস্তিষ্ক একটি ছোট, মসৃণ গঠন হিসাবে উপস্থিত হয় এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে, ভ্রুণের মস্তিষ্ক সম্পূর্ণরূপে বিকশিত হয়।
🩸 এছাড়াও, গর্ভধারণের সময় পিতামাতার বেশি বয়স, বায়ু দূষণ, মাতৃ-স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা ইমিউন সিস্টেমের ব্যাধি, শিশুর মস্তিষ্কে প্রসবকালীন অক্সিজেন প্রতিবন্ধকতা এএসডি-র কারণ হতে পারে। পরিবেশের বিষাক্ত উপকরণ , যেমন : মার্কারি, আর্সেনিক, কীটনাশক ইত্যাদি, গর্ভাবস্থায় শিশুর বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। গর্ভাবস্থায় অধিক দুশ্চিন্তা করা, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, অতিমাত্রায় ওষুধ সেবন, মায়ের ধূমপান ও মদ্যপান ASD,র সূত্রপাত হিসাবেও বিবেচনা করা হচ্ছে।
🇨🇭 ASD- রোগের প্রতিকার : শিশুদের মধ্যে এএসডির কোনো লক্ষণ দেখতে পাওয়া গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অজ্ঞানতা সবসময়ই সমস্যা সমাধানের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। তাই এএসডি-আক্রান্ত শিশুদের অভিভাবকদের এ রোগটি সম্বন্ধে সচেতন করে প্রয়োজন। নইলে দেরি হয় রোগ নির্ণয় ও নিরাময় করতে, তৈরি হয় নতুন জটিলতা। বর্তমানে অটিজম চিকিৎসার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের কাউন্সেলিং ও থেরাপি গ্রহণ করা উচিত। অনেক চিকিৎসক বিশেষ করে , আচরণ এবং যোগাযোগ বৃদ্ধিকারক থেরাপি করার পরামর্শ দেন। এসব থেরাপি আক্রান্ত শিশুদের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে শেখায়। ASD, আক্রান্ত অনেক শিশুর মধ্যে হাইপার অ্যাকটিভিটি, অনিদ্রা, খিঁচুনি জাতীয় রোগ দেখা যায়। তবে ঠিক সময়ে দক্ষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে দেখা গিয়েছে এদের অনেকেই সমাজের স্বাভাবিক ধারায় ফিরে আসে।
🇨🇭 দুঃখের বিষয় ASD রোগের নিরাময়ের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল চিকিৎসায় অদ্যাবধি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। গবেষকরা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কিন্তু ASD-এর জিনগত ও বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতা, ব্যাপকতা এবং বহুমাত্রিক রূপ চিকিৎসা বিকাশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে। সে কারণে এ রোগটির প্রতিকার হিসাবে কোনো জাদুকরী ওষুধ বর্তমানে নেই। যেসব- প্রচলিত অ্যান্টিসাইকোটিক ও অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ ASD, চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, তার কার্যকারিতা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে সেগুলোর ব্যবহার থেকে বিরত থাকতেই বলেন। বর্তমানে ASD,র যেসব জিনগত কারণগুলো চিহ্নিত হয়েছে সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছু নতুন প্রজন্মের ওষুধ পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।
🇨🇭 আশা করি, নতুন প্রজন্মের এ ওষুধগুলো ASD নিরাময়ে অচিরেই উল্লেখযোগ্য ফলাফল এনে দেবে। আবার অনেক নিউরোবিজ্ঞানী স্টেমকোষ, থেরাপিকে ও ASD- নিরাময়যোগ্য কৌশল হিসাবে দেখছেন।
🩸 গবেষণায় দেখা গেছে, সতর্কতা হিসাবে প্রসবপূর্ব- ফলিক অ্যাসিড – Folic Acid /ভিটা.বি-9 )সহ মাল্টিভিটামিন গ্রহণ অটিজম ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
🩸 অধিকন্তু গর্ভাবস্থায় ভিটামিন ও সম্পূরক গ্রহণ নির্দিষ্ট পরিবেশগত দূষকগুলোর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের জন্য সুরক্ষামূলক প্রভাব প্রদান করতে পারে। এছাড়া ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ, ডিম, ফল ও সবজি শিশুদের – ASD, বিকাশকেও প্রতিহত করে। কারণ এ খাবারগুলোর মধ্যেই রয়েছে প্রাকৃতিক আনন্দ-মাইড, CB1 রিসেপ্টরের লাইগ্যান্ড।
🇨🇭 অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার – ASD, বিভিন্ন শিশুর মধ্যে বিভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। শিশুরা মোটামুটি – 3 বছর বয়সের আগে তেমনভাবে কথা বলতেও শেখে না বলে ASD, নির্ণয় হয় অনেক দেরিতে। অটিস্টিক চিলড্রেনস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন-2011 এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় তিন লাখ শিশু অটিজমে আক্রান্ত, যেখানে প্রতি – 94 জন ছেলের মধ্যে একজন এবং প্রতি -150 জন মেয়ের মধ্যে একজন ASD, রোগে আক্রান্ত বলে অনুমান করা হয়েছিল। ( 18-36 ) মাসের শিশুদের নিয়ে- 2018 সালের একটি সমীক্ষায় আক্রান্ত শিশুদের পরিসংখ্যান আগের তথ্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বলে ঢাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিস অর্ডার ও অটিজমের ( IPNA ) গবেষকরা উল্লেখ করেছেন।
🩸 যুক্তরাষ্ট্রের ( CDC ) কেন্দ্রের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি 36 টি শিশুর মধ্যে একজন শিশুর ধরা পড়ে – ASD, তবে জিনগত অবকাঠামো ও অঞ্চল ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যানের পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ( বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ) পালন করা হয়। বাংলাদেশেও তা উদযাপন করা হয়, কিন্তু ASD -সংক্রান্ত গবেষণায় ও চিকিৎসা-ব্যবস্থায় গবেষকদের উচ্চ গুণমানসম্পন্ন অংশীদারত্ব দেখা যায় না। বলতেই হয়, পৃথিবীর অন্য উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে অটিজম গবেষণা অনেকটাই পিছিয়ে। আশা করি, সরকার ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ASD সম্বন্ধে আরও সচেতনতামূলক ও গবেষণামূলক-কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। এছাড়াও প্রয়োজন সরকার থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা।
🇨🇭 অটিজমের (Autism) সচেতনতা ও চিকিৎসা:
🩸 অটিজম (Autism) বা অটিস্টিক শব্দটার সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। কিন্তু বিষয়টা সম্পর্কে কে কতটুকু জানে বা জানাটা কতটুকু স্বচ্ছ সে ব্যাপারে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ আছে। গ্রামে কিছুদিন পূর্বে কিংবা বলা যেতে পারে এখনও মনে করা হয় অটিস্টিক শিশুরা ও ব্যক্তিরা জিন বা ভুতের আছরের শিকার। কিংবা মনে করা হয় তারা পাগল। শুধু গ্রাম কেন শহরের অনেকের মাঝেও এরকম ধারণা অছে।
🩸 অটিজম সম্পর্কে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে স্বাস্থ্য সচেতনতা তেমন নেই বললেই চলে। অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে অটিস্টিক শিশুদের প্রতি অভিভাবক ও সমাজ হয়ে ওঠে বৈরি। অনাদর অবহেলায় বড় হয়ে ওঠে তারা পরিণত হয় সমাজের বোঝা হিসেবে।
🇨🇭 অটিজম (Autism) কি?
🩸 অটিজম কোন রোগ, বংশগত বা মানসিক রোগ নয়, এটা স্নায়ুগত বা মানসিক সমস্যা। এ সমস্যাকে ইংরেজিতে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার ( Neural Development Disorders ) বলে।
🩸 অটিজমকে সাধারণভাবে শিশুর মনোবিকাশগত জটিলতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অটিজমের লক্ষণগুলো একদম শৈশব থেকেই, সাধারণত তিন বছর থেকে প্রকাশ পেতে থাকে। অটিজমে আক্রান্তরা সামাজিক আচরণে দুর্বল হয়, পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম সক্ষম হয়। মানসিক সীমাবদ্ধতা ও একই কাজ বারবার করার প্রবণতা দেখা যায়।
🩸 অটিজম আক্রান্ত শিশু কারো সাথেই, সে সমবয়সী হোক কিংবা অন্য যে কোনো বয়সী কারো সাথে সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে না। নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দেয় না। এরা অনেকেই আকার ইঙ্গিতে কথা বলতে পছন্দ করে। এ ধরণের শিশু আপন মনে থাকতে পছন্দ করে। নিজের ইচ্ছে মত চলে। যখন যা করতে ইচ্ছে হয় তা করতে না পারলে এদের খিঁচুনি ভাব হয়। এরা কারো চোখের দিকে তাকায় না। কারো সাথে নিজের ব্যবহারের জিনিস পত্র শেয়ার করতে চায় না। কারো দিকে তাকিয়ে হাসে না কিংবা আদর করলেও ততটা সাড়া দেয় না। অনেকে আবার আদর ও পছন্দ করে না। সাধারণভাবে অটিষ্টিক শিশুরা একই কথা বারবার বলে এবং একই কাজ বার বার করতে পছন্দ করে। তবে অটিস্টিক সব শিশুই একই রকম আচরণ করে না।
🇨🇭 অটিজম (Autism)কেন হয়?
🩸 অটিজম মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বায়োলজি ও কেমিস্ট্রির ফলে সৃষ্ট একটি সমস্যা। ঠিক কী কারণে অটিজম সমস্যা হয় তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। এর সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও জানা যায়নি। কিছু বিষয়ের সমন্বয়ে অটিজম ঘটে থাকে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা করে থাকেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জেনেটিক ফ্যাক্টর। অনেক সময় দেখা গেছে, অটিজমের ইতিহাস যে পরিবারের আছে সেই পরিবারের আরও অনেকরই কথা বলতে সমস্যা, অন্যান্য জেনেটিক্যাল সমস্যা ইত্যাদি পাওয়া যায়। গর্ভাবস্থায় খাদ্যাভ্যাস, বাচ্চার অন্ত্রের পরিবর্তনগত সমস্যা, মার্কারির পারদ- বিষক্রিয়া, বাচ্চার ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ পরিপাক করতে না পারা, টিকার প্রতিক্রিয়া ইত্যাদিও অটিজমের কারণ। এর বাইরে পরিবেশ দূষণ, রাসায়নিক মেশানো খাদ্যগ্রহণ এসব ও অটিজমের (Autism) জন্য দায়ী ৷
🇨🇭 অটিজমের (Autism) লক্ষণ:
🩸 অটিজমের লক্ষণগুলো অনেক সময় 18 থেকে 24 মাসের মধ্যে পরিলক্ষিত নাও হতে পারে। অনেক সময় 24 মাস থেকে 06 বছরের মধ্যে পরিলক্ষিত হতে পারে। ( The National Institute of Child Health And Human Development ) -এর চিহ্নিত লক্ষণগুলো হলো:
- শিশুর বয়স 12 মাস পেরিয়ে গেলেও যদি কোনো শব্দ না করে ( যেমন: কু কু বু বু ইত্যাদি )৷
- বয়স 12 মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো কিছু পাওয়ার জন্য হাত বা দৃষ্টি দিয়ে দেখিয়ে না দেওয়া বা কোনো কিছু আঁকড়ে না ধরা।
- 16 মাস বয়সের মধ্যে কোনো একটি শব্দ না বলা।
- 24 মাস বয়সের মধ্যে দুটি শব্দ না বলা।
- আগে রপ্ত করা কোনো দক্ষতা যে কোনো সময় যে কোনো বয়সে কমে যাওয়া।
🇨🇭 এই 5 টি লক্ষণ থাকলেই যে শিশু অটিজমের শিকার হবে তা নয়, অটিজমের (Autism) এই লক্ষণগুলো আরও ভালোভাবে নিউরোলজিস্ট, সাইকোলজিস্ট, ও বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিশু অটিজমের শিকার কিনা তা নির্ণয় করতে হবে।
🇨🇭 অটিস্টিক (Autism) শিশুদের বিকাশে 3 টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সমস্যার সৃষ্টি হয়। সামাজিক, ভাষাগত এবং আচরণগত। এ লক্ষণগুলো একেকজনের বেলায় একেকভাবে প্রকাশ পায়। 2 টি অটিস্টিক শিশুর বেলায় লক্ষণের ব্যাপক হেরফের হতে পারে।
🇨🇭 অনেকের খুব অল্প বয়সে লক্ষণ দেখা দেয়। আবার কেউ কেউ প্রথম কয়েক মাস বা বছর স্বাভাবিক বিকাশ লাভ করে। তারপর হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়, গুটিয়ে যায় বা ভাষাজ্ঞান হারিয়ে ফেলে, যা আগে অর্জন করেছিল।
🇨🇭 অটিস্টিকদের কিছু উল্লেখযোগ্য লক্ষণ নিম্নে দেয়া হলো:
🛑 সামাজিক:
1.) নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয় না।
2.) চোখে চোখ রাখে না বা কম রাখে।
3.) মাঝে মাঝে কথা শুনে না বলে মনে হয়।
4.) অটিস্টিক শিশুরা সাধারণত সমবয়সিদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে না।
5.) কিছু শিশু সমাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখে অন্যের প্রতি কোন আগ্রহ দেখায় না।
🛑 ভাষাগত:
1.) দুই বছরের ও পরে কথা বলা শুরু করে।
2.) অতীতে দেখা শব্দ বা কথা ভুলে যায়।
3.) অস্বাভাবিক স্বর বা আওয়াজে কথা বলে।
4.) কখনো দেখা যায় একই শব্দ বারবার করে সে উচ্চারণ করে যাচ্ছে।
🛑 আচরণগত:
1.) একই আচরণ বারবার সে করতে থাকে। যেমন: হাত নাড়ানো, হাত দেখা, একইভাবে ঘোরা বিভিন্ন জিনিষ সারিবদ্ধভাবে সাজানো।
2.) তারা নিজস্ব রুটিন মেনে চলতে ভালবাসে। দৈনন্দিন কোন রুটিনের হেরফের হলে তারা অস্থির হয়ে যায়।
3.) কোন কারণ ছাড়াই হঠাৎ রেগে যায়, হাসে কাঁদে বা ভয় পায়। অনেক সময় নিজের শরীরে বা অপরকে কামড় দেয় বা আঘাত করে।
🇨🇭 অটিস্টিক শিশুর স্বাস্থ্য ও IQ :
🩸 বেশির ভাগ অটিস্টিক শিশুর স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকে। শতকরা 70 % অটিস্টিক শিশুর – IQ- 70-এর নিচে থাকে। তবে আশার কথা হলো কিছু কিছু অটিস্টিক শিশু বেশ বুদ্ধিমান হয়। অনেক সময় দেখা যায় বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে অটিস্টিক শিশু অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে থাকে।
🩸 অটিস্টিক শিশু জন্ম নিলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ সব অটিস্টিক শিশুর IQ কম থাকে না। তবে এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সন্তান না নেয়াই ভাল, যেহেতু পরে আরেকটি অটিস্টিক শিশু জন্ম নেয়ার সম্ভাবনা থাকে। অটিস্টিক শিশু জন্ম নিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসককে দেখিয়ে চিকিৎসা নিলে শিশুর মানসিক বিকাশ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়। তা ছাড়া অটিস্টিক শিশুদের যেহেতু কেউ কেউ বেশ বুদ্ধিমান থাকে তাই যত্ন নিলে তারাও জীবনে ভাল করতে পারে।
🇨🇭 অটিষ্টিক (Autism) শিশুরা কি প্রতিবন্ধী ?
🩸 অটিষ্টিক শিশুদের প্রতিবন্ধী বলা যাবে না, কেননা প্রতিবন্ধীত্ব অর্থ হল বিশেষ কোন বাধার বা প্রতিবন্ধকতায় কোন কাজ করতে না পারা।পরিবারে এমন কিছু শিশু দেখা যায় যাদের শারিরীক গঠন স্বাভাবিক নয়, হাত বা পা নাই। কানে শোনে না। ফলে কথা বলতে পারে না। অনেকে চোখে দেখে না বা কম দেখে। এটা হল প্রতিবন্ধীত্ব। যে এই প্রতিবন্ধীত্বের শিকার সে প্রতিবন্ধি। অন্যদিকে অটিস্টিক শিশুদের সাধারণত এ ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে না। এ ধরনের শিশুদের সাধারনত মানসিক ক্ষমতার বিকাশ বন্ধ হয় না।
🇨🇭 অটিস্টিক (Autism) শিশুর সাথে আচরণ কেমন হওয়া উচিত?
🩸 অটিজম (Autism) হচ্ছে মস্তিষ্কের বিন্যাসগত সমস্যা । অটিজম শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে, যার ফলে শিশু শুধুমাত্র নিজের মধ্যে আচ্ছন্ন থাকে, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে । শিশু যখন শুধু নিজের মধ্যে আচ্ছন্ন থাকে তখন তার অন্যদের সাথে যোগাযোগ, সামাজিকতা, কথা বলা, আচরণ ও শেখা বাধাপ্রাপ্ত হয়।
🇨🇭 তাই একটি অটিস্টিক (Autism) শিশুর সাথে নিম্ন লিখিত আচরণ গুলো করা যায়:
❤ অটিস্টিক শিশুটিকে সহজ ভাবে গ্রহণ করুন ও শিশুর বর্তমান অবস্থা মেনে নিয়ে ধৈর্য্যশীল, সহমর্মী ও আন্তরিক হোন।
❤ অটিস্টিক শিশুর সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন।
শিশুর শেখার উপযোগী পরিবেশ তৈরিসহ সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।
❤ অটিস্টিক শিশুকে সহজ ভাষায় নির্দেশনা দিন এবং তাকে আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করুন ।
❤ অটিস্টিক শিশুকে তার দৈনন্দিন কাজ করতে সাহায্য করুন।
❤ অটিস্টিক শিশুকে ,কোন কাজ সে সঠিকভাবে করতে পারলে তাকে উৎসাহ দিন – আদর, চুমু, পিঠ চাপড়ে দেয়া প্রভৃতি।
🇨🇭 অনেক অভিভাবকই অটিস্টিক শিশুর রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসাদানে ভুল পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন। সাধারণ মেডিকেল চিকিৎসা আর ওষুধ সেবনে অটিজম থেকে সুস্থ হওয়া সম্ভব নয়। অটিজম চিকিৎসায় ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই৷ এর জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ৷
🇨🇭 অটিজম (Autism) একটি মানসিক সমস্যা, তাই অভিভাবকদের প্রয়োজন অটিস্টিক শিশুকে একজন মনোবিদ বা মানসিক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া। সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা পেলে অটিস্টিক শিশু সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই আলাদা হওয়ায় তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারটি একজনের চেয়ে আরেকজনেরটা আলাদা। যত আগে অটিজমের বিষয়টা উপলব্ধি করে চিকিৎসা শুরু করা যায় ততই ভাল৷ ৷ অটিস্টিক শিশু হয়তো আর সব সাধারণ শিশুর মতো সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক আচরণ করতে পারবে না। কিন্তু সাইকোথেরাপি বা স্পেশাল শিক্ষাদানের মাধ্যমে এসব শিশুকে – 80-90 % পর্যন্ত সুস্থ করে তোলা সম্ভব। সঠিক পদ্ধতিতে এগোলে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুই উন্নতি করে৷ এমনকি অনেকে সাধারণ স্কুলে যাওয়ার মতোও হয়ে ওঠে৷ চিকিৎসা গ্রহণ করে সম্পূর্ণ সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে বিয়ে ও সংসার করাও অনেকের পক্ষে সম্ভব।
🇨🇭 অটিজম (Autism) নিয়ে ভুল ধারণা:
🩸 অনেকেই মনে করেন, অটিজম বংশগত রোগ। সম্পূর্ণভাবে সুস্থ-স্বাভাবিক বাবা-মায়ের ঘরেও অটিস্টিক শিশু জন্মগ্রহণ করে থাকে। পরিবারের বা বংশের কেউ এই সমস্যায় আক্রান্ত না হলেও একটি শিশু অটিস্টিক হতে পারে। বাবা-মায়ের সঠিক পরিচর্যার অভাবে শিশু অটিস্টিক হয় এমন একটি প্রচলিত বিশ্বাস অনেকের মাঝেই রয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, একান্নবর্তী পরিবার অথবা একমাত্র সন্তান হওয়ার পরও অটিস্টিক শিশু হয়ে থাকে।
🩸 অটিস্টিক শিশুকে অনেকে পাগল, আলগা দোষ, বাবা-মায়ের অভিশাপ ইত্যাদি কুসংস্কারে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন। এরূপ বিশ্বাসের ফলে অনেক সময় শিশুর ভুল চিকিৎসা হয়ে থাকে, যা শিশুর জীবনের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
🩸 কিছু কিছু শিশু জন্ম ও স্বভাবগতভাবেই একটু বেশি অস্থির, চঞ্চল, রাগী ও জেদি প্রকৃতির হয়ে থাকে। এতে করে শিশুটি অটিস্টিক শিশু হতে পারে এমনটা ভেবে ভয় পাওয়ারও কিছু নেই। অটিজমের বেশ কয়েকটি লক্ষণ শিশুর মধ্যে প্রকাশ পেলেই দেরি না করে প্রাথমিক অবস্থাতেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত।
🇨🇭 অটিজম (Autism) বা সেরিব্রাল পলসি কি ?
🩸 আমাদের সমাজে এখনো অটিজম বা সেরিব্রাল পলসি এই দু’ শিশু ব্রেইন রোগ নিয়ে জন্ম নেওয়ার জন্য মা কিংবা বাবা কে অথবা পরিবারের কারো অতীতের কোন পাপ কাজকে দায়ী করা হয়। শিক্ষিত পরিবারের অনেকেই আছেন যারা অটিস্টিক বেবী বা CP বেবী নিয়ে কিছুটা হীনমন্যতায় ভোগেন। কিন্তু তা কি ঠিক। মোটেই না। কিডনি, লিভার কিংবা রক্তের বিভিন্ন রোগের মতো এটাও এক ধরনের রোগ। তবে এটা যেহেতু ব্রেইনের রোগ তাই এ রোগে চলা ফেরা কথা বার্তা ও আচার আচরনে লক্ষন প্রকাশিত হয়। কারন এ সকল কাজের নিয়ন্ত্রক হলো আমাদের ব্রেইন।
🩸 অনেকে অভিভাবক বা চিকিৎসক অটিজম ও সেরিব্রাল পলসি কে এক করে গুলিয়ে ফেলেন। দুটো সম্পুর্ন আলাদা। অটিস্টিক বেবির চলাফেরা থাকে স্বাভাবিক কিন্তু সমস্যা হয় আচার আচরণ ও কথাবার্তায়, আর সি পি বেবীর মুল সমস্যা হয় চলাফেরায়। কথা বার্তা, আচার আচরণেও কিছু সমস্যা থেকে থাকে।
🩸 অটিজমের (Autism) যেমন অনেক প্রকার ভেদ আছে তেমনি CP,র ও অনেক প্রকার ভেদ আছে। অটিজম (Autism) বা CP মানেই ভবিষ্যৎ কষ্টের তা কিন্তু নয়। এই রোগ গুলো নিয়ন্ত্রনে রেখে লাইফ মেনটেইন করা কোন সমস্যাই না। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় জ্ঞান বিজ্ঞানে পৃথিবী পাল্টে দেয়া সেরা ব্যক্তিগন যেমন স্যার নিউটন, আইনস্টাইন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, আর্কিমিডিস, ভন গেগ, জুলিয়াস সিজার, স্টিফেন্স হকিন্স এরা অনেকেই অটিস্টিক, সি পি কিংবা নিউরো ডিভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার এর রোগি ছিলেন। তাই এই রোগী দের হেলা করবেন না। ইউরোপ আমেরিকায় এই রোগী দের ব্যাপারে অত্যন্ত যত্ন নেওয়া হয়, তাই তারা আজো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত।
🩸 এ রোগের মুল কারন এখনো অজানা। তবে জেনেটিক, এনভায়রনমেন্টাল কিছু ফ্যাক্টর, রেডিয়েশন, গর্ভাবস্থায় মায়ের অপুষ্টি, রোগ বালাই ও প্রসব জটিলতায় ব্রেইনে আঘাত বা অক্সিজেনের ঘাটতি ইত্যাদির জন্য ও এই রোগ হতে পারে।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিতে অটিজম (Autism) এর কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হয়।পর্যায়ক্রমে লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হলে অটিজম (Autism) ডিজিজ নিয়ন্ত্রনে আনা যায়। তবে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে হবে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।