মহিলাদের গর্ভপাত (abortion) ও ওভুলেশন (ovulation) এর হোমিও চিকিৎসা ।
⛑️বর্তমানে মহিলাদের গর্ভপাত রোধ করার ও ওভুলেশন ত্বরান্বিত করার হোমিওপ্যাথিতে ভালো চিকিৎসা রয়েছে
⛑️ওভ্যুলেশন(Ovulation) সম্পর্কে বিস্তারিত:
⛑️Ovulation এর লক্ষন যেভাবে বোঝা যায়:
এর জন্য বাজারে কিট কিনতে পাওয়া যায় যার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন আপনার ডিম্বস্ফুটন হলো কিনা।
⛑️ওভ্যুলেশন প্রেডিক্টর কিট:
- যাকে সংক্ষেপে OPK বা Ovulation Predictor Kit বলে।
- সেটা প্রেগন্যান্সি কিটের মতই ইউরিন দিয়ে চেক করতে হয়।
- Kit যেকোন ভালো ওষুধের দোকানে পাওয়া যায়।
- তবে সব জায়গায় নাও পাওয়া যেতে পারে।
- যাদের মাসিক অনিয়মিত তারা ১০ টা কিট কিনবেন
- নিয়মিত হলে ৩ টা
- মাসিক ভালো হওয়ার দশম দিন থেকে ২০ তম দিন পর্যন্ত(অনিয়মিত দের জন্য) প্রতিদিন সকালের প্রথম প্রসাব দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে যেমন ভাবে প্রেগন্যান্সি কিট দিয়া পরীক্ষা করা হয়।
- আর যাদের নিয়মিত তাদের তিনটা কিনলেই যথেষ্ট।
- সার্কেল বুঝে মাসিকের ১৪/১৫/১৬ তম দিনে পরীক্ষা করতে হবে।
- যদি আপনার ওভ্যুলেশন বা ডিম্বস্ফুটন হয় তাহলে দুটো লাল দাগ আসবে। যেমন টা প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটে আসে।
- যদি দেখেন লাল দাগ দুটো অর্থাৎ ওভ্যুলেশন হইছে তাহলে অবশ্যই তখন সহবাস করতে হবে।
- কারণ ডিম্বানু মাত্র ২৪ ঘন্টা কার্যকর অবস্থায় থাকে।
- আর যাদের ১০০% রেগুলার সর্কেল বা মাসিক হয় তারা তিনটা কিনলেই হবে
- নিয়মিত মাসিক চক্র ২৮,৩০ ও ৩৫ দিনে হয়।
- এর কম বা বেশি হলে সেটা অনিয়মিত মাসিক হিসাবে গণ্য হবে।
- সেক্ষেত্রে অনেকগুলো কিট কিনতে হয়।
- এখন যাদের ২৮ দিনের দিন মাসিক হয় তারা ১৩,১৪ ও ১৫ তম দিনে পরীক্ষা করবে।
- যাদের ৩০ দিন,
- তারা ১৪,১৫ ও ১৬ তম দিন পরীক্ষা করবে।
- আর যাদের ৩৫ দিন।
- তারা ১৬,১৭ ও ১৮ তম দিন পরীক্ষা করবে।
- কিট কিনতে না পেলে অর্ডার করবেন দোকানে/ফার্মেসীতে।
⛑️খেয়াল রাখবেন:
ওভ্যুলেশন নিয়মিত না হলে কোনভাবে সন্তান ধারণ সম্ভব নয়।
Ovulation সাধারণত ঘটে আপনার পরবর্তী পিরিয়ডের ১০-১৬ আগে।আপনার পিরিয়ড যদি নিয়মিত থাকে, Ovulation ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে সহজেই বলতে পারবেন কোন সময় আপনি সবচেয়ে fertile। অনেক চিহ্ন আছে যার মাধ্যমে আপনি বলতে পারবেন কখন আপনি Ovulate করছেন। কিছু বিষয়ের উপর আপনাকে নজর রাখতে হবে যেমন ধরুন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, vaginal discharge এ পরিবর্তন লক্ষ্যনীয় (পাতলা সূতার মত পরিমানে বেশী Ovulation এর সময়)।
যদি কেউ গর্ভধারণের জন্য আগ্রহী হয় তাহলে তাদের এই fertile সময়ে unprotected sex করা উচিৎ। যাদের menstruation ccycle/ মাসিক চক্র নিয়মিত তাদের মাসের ১২-১৮ তম দিন পর্যন্ত গর্ভধারণ সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
⛑️গর্ভপাতের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ :
⛑️একজন নারীর জন্য জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মা হওয়া। তবে একটি মিসক্যারেজ নিমিষেই সেই স্বপ্নকে ভেঙে দিতে পারে।
⛑️কোন মায়ের পূর্বে যদি এটি ও মৃত সন্তান প্রসবের ইতিহাস থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিলে, আশা করি ওই গর্ভবতী মায়ের গর্ভপাত ও মৃত সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
⛑️এবার আমরা কারণ গুলো জানার চেষ্টা করি, মিসক্যারেজ বা অকাল গর্ভপাত হল কোনো কারণে গর্ভে থাকা ভ্রুণের অকাল মৃত্যু। ডিম্বাণু নিষিক্ত হওয়ার পর পরবর্তী পাঁচ মাসের (২০ সপ্তাহ) মধ্যে যে কোন সময়ে এটি হতে পারে। এটি নানা কারণে হতে পারে এবং একবার হলে বারবার হবার সম্ভাবনাও থাকে। তাই আজকের লেখায় আপনাদের গর্ভপাতের কারণ ও লক্ষণ এবং এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
🇨🇭⛑️গর্ভপাতের কারণ ও লক্ষণ কি কি?
⛑️গর্ভপাতের কারণ ও লক্ষণ যদি একজন নারীর জানা থাকে তাহলে এটি অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। চলুন জেনে নিই এটির কারণ ও লক্ষণ এবং এর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত
⛑️গর্ভপাতের কারণ:
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটা দেখা যায় যে প্রথম তিন মাসে যে বাচ্চাগুলো নষ্ট হয় হয়, সেগুলোর শতকরা ৭০-৮০ ভাগ ক্ষেত্রে ভ্রূণটিতে সমস্যা থাকে। আর হয়তো ২০ ভাগ ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে কোনো সমস্যা থাকে। আবার যদি ১২ সপ্তাহ থেকে ২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ দ্বিতীয় তিন মাসে যদি কোনো বাচ্চা নষ্ট হয়, তাহলে শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চার সমস্যা থাকতে পারে, অথবা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে মায়ের কোনো কারণে হয়তো বাচ্চাটি নষ্ট হচ্ছে। আবার শেষের দিকে ২৮ সপ্তাহের পরে যদি পেটে বাচ্চা মারা যায়, কিংবা অকালে এটি হয়, তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সমস্যাটা মায়ের শরীরে থাকে।
⛑️বিভিন্ন কারণে গর্ভপাত হতে পারে যেমন:
⛑️সবথেকে যে কারণে বেশি গর্ভপাত হয়ে থাকে তা হল শুক্রাণু বা ডিম্বাণুর ক্রোমোজমাল বা গঠনগত কোন ত্রুটি।
⛑️সার্ভিকাল ইনকম্পিটেন্স বা জরায়ুর মুখ যদি ভ্রূণকে জরায়ুর ভেতর ঠিকভাবে ধরে না রাখতে পারে।
⛑️গর্ভাবস্থায় যদি মায়ের রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায় তবে ভ্রূণেরও রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে এটি হতে পারে।
⛑️গর্ভবতী মায়ের যদি আগে থেকেই ডায়াবেটিস থেকে থাকে এবং তা যদি অনিয়ন্ত্রিত থাকে তবে অনেক সময় এটি হতে পারে।
⛑️যদি মা গুরুতরভাবে ম্যালেরিয়া, সিফিলিস, হাম বা কলেরা রোগে আক্রান্ত হন তবে এর জীবাণুর কারণে এটি হতে পারে।
⛑️মায়ের যদি থাইরয়েড-এর সমস্যা থাকে তাহলে ভ্রূণের বিকাশে ব্যাঘাত ঘটে এটি হতে পারে।
⛑️গর্ভপাতের কারণ থাইরয়েড এর সমস্যা :
⛑️গর্ভাবস্থায় মা যদি প্রচন্ড মানসিক দুশ্চিন্তা বা কষ্টে থাকেন তখন ভ্রূণের হৃদস্পন্দনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এটি হতে পারে।
⛑️গর্ভাবস্থায় পড়ে গিয়ে পেটে প্রচন্ড আঘাত পেলে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণের কারণে এটি হতে পারে।
⛑️গর্ভপাতের ঝুঁকিতে রয়েছেন কারা?
⛑️যাদের এর আগে দুই বা ততোধিক বার গর্ভপাত হয়েছে।
⛑️মায়ের বয়স যদি ৩৫ বা তার বেশী হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটির ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
⛑️মা যদি সিগারেট, অ্যালকোহল বা অন্য কোনও নেশায় আসক্ত থাকেন, তাহলেও ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত।
⛑️মা যদি গর্ভাবস্থায় কোন ক্ষতিকর ক্যামিকেল-এর সংস্পর্শে আসে তবে এটির ঘটনা ঘটতে পারে।
⛑️মায়ের শরীরে যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে এবং মায়ের বডি ম্যাস ইন্ডেক্স যদি ৩০ বা তার বেশী হয় তাহলে এটির ঝুঁকি বেশী থাকে।
⛑️এছাড়াও পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) -এর কারণেও এটির ঝুঁকি বাড়তে পারে।
⛑️গর্ভপাতের লক্ষণ ও করণীয়
গর্ভধারণ করার ৭-১০ দিনের মাথায় ইমপ্লান্টেসন-এর কারণে কিছু রক্তপাত হয়। এটা স্বাভাবিক। এই রক্তের পরিমাণ অনেক কম থাকে, এমনকি নরমাল মাসিকে যে রক্ত যায়, তার চেয়েও কম। তবে অতিরিক্ত রক্ত গেলে অবশ্যই হোমিও ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করতে হবে এতে আল্লাহর রহমতে এটি থেকে মুক্ত হওয়া যায় ।
⛑️ গর্ভপাতের পর চিকিৎসা ব্যবস্থা কি?
⛑️গর্ভধারণের পর অস্বাভাবিক রক্তস্রাব এটির প্রধান লক্ষণ। গর্ভপাতের সময় রক্তপাতের পরিমাণ সাধারণ পিরিয়ড বা ঋতুস্রাবের চেয়ে বেশি হয়। তলপেটে ব্যথাও হতে পারে। অনেক সময় রক্তের সাথে মাংসল চাকার মতো বের হতে পারে। শুরুতে রক্তপাত অল্প থাকে, কিন্তু ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং তার পরেই রক্তপিন্ড বের হতে থাকে। এতে বুঝে নিতে হবে গর্ভপাত হয়ে গেছে।
⛑️গর্ভপাত হলে প্রথম করণীয় হলো রক্তক্ষরণ বন্ধ করা এবং এটি পরবর্তী ইনফেকশন প্রতিরোধ করা। যদি গর্ভধারণের প্রাথমিক পর্যায়ে গর্ভপাত হয় তবে গর্ভের সমস্ত ফিটাল টিস্যু এমনিতেই বের হয়ে যায়। কিন্তু ভ্রূণ ও প্লাসেন্টার সকল অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বের হয়ে না গেলে অপারেশন করে বের করে ফেলতে হবে। তবে অপারেশনের পরও রক্তস্রাব পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। কোনো কারণে রক্তস্রাবের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিংবা জ্বর এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এবং বিশ্ব | Homeopathy & Would Health
🇨🇭গর্ভপাত প্রতিরোধের উপায়সমূহ কি কি?
গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এ সময় যেকোনো মাকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। ভারী কাজ করা ও সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। পূর্বে কোনো রোগের ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। পুর্বে একাধিকবার গর্ভপাত হয়ে থাকলে পুনরায় গর্ভধারণের আগে ফিজিক্যাল চেকআপ করিয়ে নিন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। পূর্বের গর্ভপাতের কারণ জানতে চেষ্টা করুন। কোন কারণে এটির লক্ষণ প্রকাশ পেলে একজন রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা সেবা নিন। এতে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে ঝুঁকি কমানো যায়। পরবর্তীতে যাতে একই কারণের পূনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া দীর্ঘ ভ্রমণ করা যাবে না। প্রচুর পানি পান করতে হবে।
⛑️গর্ভপাত প্রতিরোধে গর্ভাবস্থায় খাওয়ার দাওয়ার কেমন হবে?
⛑️ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
ফলিক এসিড, আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এটি বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি হওয়ার প্রবণতাকে কমিয়ে দেয় এবং এটির ঝুঁকি কমায়। এছাড়া ধূমপান, অ্যালকোহল, ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় যেমন চা, কফি বা চকলেট এবং মানসিক চাপের সাথে গর্ভপাতের সর্ম্পক রয়েছে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভাবস্থায় বেশি সতর্ক থাকতে হয় ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে। কারণ অনেক ওষুধ এমন আছে যার ফলে গর্ভের সন্তানের সরাসরি ক্ষতি সাধিত হয়। শিশু বিকলাঙ্গ, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হতে পারে। অনেক সময় ওষুধ সেবনের ফলে মৃত সন্তানের জন্মও হতে পারে। তাই ওষুধ সেবনের আগে সতর্ক থাকতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া যাবে না।
🚨গর্ভপাত প্রতিরোধে পরিবারের দায়িত্ব ।
অনেক কারণেও মা অনেক সময় বিষণ্ণ বোধ করেন। এর সাথে যদি থাকে পূর্বের গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসবের ইতিহাস তাকে তাহলে তো কথাই নেই, তাই এ সময় পরিবারের সকল সদস্যদের উচিত মাকে সবসময় সাহস দেয়া এবং মায়ের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। মায়ের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পূর্ণ বিশ্রামের ব্যাবস্থা করা।
⛑️উপরোক্ত বিষয়গুলি যদি উপকারী মনে করেন, তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন, আপনার একটি পোস্টে হয়তো একটি শিশুর জীবন এবং একজন মায়ের স্বপ্ন রক্ষা হইতে পারে।
⛑️বি:দ্র: রেজিস্টার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না।
🇨🇭আপনার যদি কোন রকম যৌন বা গুপ্ত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আমার সাথে নির্দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন।
🇨🇭এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন
🇨🇭ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]