🇨🇭 মানবদেহের আট প্রকারের কোষের মধ্যে হাড় একটি। আপাতদৃষ্টে নিরেট কাঠামো মনে হলেও এটি জীবন্ত কোষ। আর তাই হাড়ের পুষ্টির জন্যেও প্রয়োজন রক্তের যথাযথ সরবরাহ। তাতে ব্যাঘাত ঘটলেই দেখা দেয় পুষ্টির অভাব, মারা যেতে থাকে হাড়ের কোষ। ধীরে ধীরে ভেঙে যেতে থাকে হাড়। উরুর উপরের অংশের হাড়েই এ ক্ষয় দেখা যায়। আর রক্তপ্রবাহের স্বল্পতার কারণে হাড়ের তরুণাস্থি ও জোড়ায় ক্ষয় দেখা দিলে তাকে বলা হয় এভাসকুলার নেকরোসিস বা সংক্ষেপে এভিএন। রোগটি অস্টিও নেকরোসিস, এসেপটিক নেকরোসিস বা ইসকেমিক নেকরোসিস নামেও পরিচিত। এভাসকুলার নেকরোসিস হতে পারে হাঁটু কিংবা গোড়ালির হাড়েও।
🇨🇭 পুষ্টিহীনতা সমস্যার অন্যতম ফল হচ্ছে ডিজেনারেশন অফ বোন বা হাড়ের ক্ষয়। মহিলারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন।
অস্টিওপোরোসিস বলতে বোঝায় ছিদ্রযুক্ত হাড়। এতে হাড় নরম হয়ে যায়, যাতে একটু বাঁকা হওয়া, হালকা জিনিস ওঠানো কিংবা কাশির মতো সামান্য চাপেও তা ভেঙে যেতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেহ থেকে ক্যালসিয়াম , ফসফেট এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের পরিমাণ কমলেই হাড় দুর্বল হয়। অস্টিওপোরোসিস অন্যান্য গ্রন্থিগত ( এন্ডোক্রাইন ) রোগের কারণে স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেও হতে পারে।
🇨🇭 হাড় ক্ষয়ের সিম্পটমগুলো?
🇨🇭 হাড় ক্ষয়ের প্রথম দিকে ব্যথা বা অন্য লক্ষণ দেখা দিতে নাও পারে। কিন্তু একবার অস্টিওপোরোসিস হলে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হচ্ছে:
- 🧪 কোমরের পেছনে ব্যথা, বিশেষকরে মেরুদন্ডে, নিতম্বে, পাঁজর কিংবা কব্জিতে, যা কিনা ভাঙা বা জোড়া লাগা ( স্পন্ডিলাইটিসের ) মেরুদণ্ডের ক্ষেত্রে আরো তীব্র হতে পারে।
- 🧪 ধীরে ধীরে উচ্চতা কমতে থাকে।
- 🧪 পিঠে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- 🧪 মেরুদণ্ড হাতে কবজি, কোমরসহ অন্যান্য হাড়ে ফ্র্যাকচার ইত্যাদি।
- 🧪 মাংসে ব্যথা।
- 🧪 গিঁটে ( জোড়ায় জোড়ায় ) ব্যথা।
🇨🇭 হাড় ক্ষয়ের কারণসমূহ?
🩸 হাড়ের শক্তি নির্ভর করে এর আকার এবং ঘনত্বের ওপর। অনেক ক্ষেত্রেই এই ঘনত্ব আবার নির্ভর করে হাড়ের ভেতরকার ক্যালসিয়াম, ফসফেট এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের ওপর। এদের পরিমাণ কমতে থাকে, তখন হাড়ের ভেতরের শক্তি কমে যেতে থাকে।
🩸 দেহের হাড় প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে অর্থাৎ নতুন হাড় তৈরি হচ্ছে এবং পুরনো হাড় ভেঙে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়াকে বলে হাঁড়ের পুনর্গঠন ( রিমডেলিং বা টার্ন ওভার )।
🩸 হাড়ের একটি পুনর্চক্র সম্পন্ন হতে সময় লাগে দুই থেকে তিন মাস। তরুণ অবস্থায় অতি দ্রুত নতুন হাড় তৈরি হয়, ফলে হাড়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। কিন্তু বয়স ত্রিশের পর থেকে হাড়ের পুনর্গঠিত হয় ঠিকই, কিন্তু বৃদ্ধির চেয়ে ক্ষয় বেশি হয় বলে হাড় দুর্বল হতে থাকে।
🩸 রজ:নিবৃত্তির ( মেনোপজ ) সময় যখন মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে, তাই সে সময় দেহে হাড়ের ক্ষয় তুলনামূলক বেশি বেড়ে যায়। যদিও হাড় ক্ষয় হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকলেও, রজঃনিবৃত্তিকালীন মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যাওয়া।
⭕ হাড়ের ক্ষয় এবং সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
আরো পড়ুনঃ বীর্যপাতের সময় ব্যাথা হওয়ার হোমিও চিকিৎসা।
🇨🇭 যা হাড়কে সবল করে:
নিম্নোক্ত বিষয় তিনটি সুস্বাস্থ্যের জন্য খুব প্রয়োজনীয়:
- 🩸 নিয়মিত ব্যায়াম।
- 🩸 পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালসিয়াম।
- 🩸 পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ডি দরকার যা ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে।
🇨🇭 বাহ্যিক কারণ ?
- 🩸 ক্যালসিয়াম সম্পুরক খাদ্যের অভাব।
- 🩸 দীর্ঘ সময় নড়াচড়া না করে কাজ করলে।
- 🩸 অতিরিক্ত ধূমপান করলে।
- 🩸 অতিরিক্ত মদ্যপান করলে।
- 🩸 দীর্ঘ দিন মাসিক হলে।
- 🩸 দীর্ঘদিন মাসিক বন্ধ থাকলে।
- 🩸 পুষ্টিকর খাবার শোষন না হলে ( Malabsorbtion )।
🇨🇭 যখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে:
🩸 অস্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ততই ভালো। রোগীর জন্য ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে মহিলারা রজ:নিবৃত্তির আগেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। হাড়ের সামান্য ক্ষয়কে বলে অস্টিওপেনিয়া।
এতে অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই সময় থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বোন ডেনসিটি বা হাড়ের ঘনত্ব পরিমাপ করে নিতে পারেন। এ ছাড়া, এক্সরেসহ আধুনিক সিটি স্ক্যান ( কম্পিউটারাইজড টোমোগ্রাফি ) মাধ্যমে স্ক্যানিংয়ের সুযোগ রয়েছে।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
এখানে কিছু না লিখলে অনেকেই বলবেন কই চিকিৎসাতো বললেননা। আচ্ছা চলেন হালকা টার্চ দেওয়া যাক। হোমিওপ্যাথি ঔষধ সবচেয়ে জনপ্রিয় রোগ নিরাময়ের একটি পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি স্বাতন্ত্র ও সদৃশ উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। এটি উপসর্গ ও জটিলতা মুছে ফেলে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থায় রোগীর ফিরে যাবার একমাত্র উপায়। সদৃশবিধানের লক্ষ্য শুধু হাড়ের ক্ষয় চিকিৎসাই শুধু নয়, এর অন্তর্নিহিত কারণ ও স্বতন্ত্র প্রবণতা মোকাবেলায়ও সহায়তা করে। স্বতন্ত্র ঔষধ নির্বাচন এবং চিকিৎসার জন্য, রোগীকে একজন যোগ্যতাসম্পন্ন এবং রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
⭕ হাড়ের ক্ষয় এবং সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।
🇨🇭 হাড়ের ক্ষয় চিকিৎসার সহায়ক ঔষধগুলো নিম্নরুপ:
- 🧪 বিউফো।
- 🧪 ক্যাল্কেরিয়া কার্ব।
- 🧪 ক্যাল্কেরিয়া ফ্লোর।
- 🧪 ক্যাল্কেরিয়া ফস।
- 🧪 কারসিনোসিন।
- 🧪 সাইলেসিয়া।
- 🧪 সিম্ফাইটাম ইত্যাদি।
🇨🇭 লক্ষন বিবেচনায় আরো আছে এ অংশে বেসিক ধারনা দেওয়া হল।
🇨🇭 সঠিক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পেতে হলে জানতে হবে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ/নির্দেশনা ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। কারণ হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিজে সেবন করতে হলে অর্গানন সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান থাকতে হয়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।