যৌনবাহিত কারণে অণ্ডকোষে অরকাইটিস হয়?

যৌনবাহিত কারণে অণ্ডকোষে অরকাইটিস হয়?

⭕ অণ্ডকোষের প্রদাহ:
ছেলেদের দুইটি অণ্ডকোষ বা টেস্টিস থাকে। অরকাইটিস হলো একটি বা দুটি অণ্ডকোষের প্রদাহ। এই প্রদাহ সচরাচর সংক্রমণের কারণে হয়। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে। অরকাইটিস হলো একটি বা দু’টি অণ্ডকোষের প্রদাহ, যা সচরাচর সংক্রমণের কারণে হয়। অনেকে এটাকে এপিডিডাইমো-অরকাইটিস অথবা টেস্টিস ইনফেকশন বলে থাকেন।

⭕ অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দিয়ে হয়। সবচেয়ে বেশি হয় মাম্পস ভাইরাস দিয়ে। প্যারোটিড গ্রন্থির প্রদাহকে মাম্পস বলে। মাম্পসের প্রায় ৩০ শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পর হয়ে থাকে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনোরিয়া ও ক্ল্যামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে।

⭕ যৌনকর্মে সক্রিয় পুরুষদের অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়। একাধিক যৌনসঙ্গিনী থাকলে এবং অস্বাভাবিক যৌন আচরণ করলে অরকাইতিসের সম্ভাবনা অনেক বাড়ে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষে প্রদাহ হলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়।

যৌনবাহিত কারণে অণ্ডকোষে অরকাইটিস হয়?
⭕অরকাইটিসের কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো?

⭕ অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা ঘটতে পারে। এটা সাধারণত এপিডিডাইমিসের প্রদাহের ফলস্বরূপ হয়। অণ্ডকোষের শেষ প্রান্তে থাকে এপিডিডাইমিস। এটা একটি নল, যা ভাস ডিফারেন্স (শুক্রবাহী নালি) ও অণ্ডকোষকে সংযুক্ত করে।

⭕ অরকাইটিসের সবচেয়ে সাধারণ ভাইরাসজনিত কারণ হচ্ছে মাম্পস। মাম্পসের প্রায় 30 শতাংশ রোগীর অসুস্থতার সময় অরকাইটিস হয়। এটা সবচেয়ে বেশি হয় বয়:সন্ধিকাল পার হয়ে আসা ছেলেদের। 10 বছর বয়সের আগে এটা তেমন একটা দেখা যায় না। এটা সাধারণ মাম্পস হওয়ার চার থেকে ছয় দিন পরে ঘটে। অরকাইটিস রয়েছে এমন এক-তৃতীয়াংশ ছেলেদের এটা ঘটে থাকে মাম্পসের কারণে। পরিণতিতে অণ্ডকোষ ছোট হয়ে যায়।

⭕ 2-20% পুরুষের অরকাইটিস হয় বিরল রোগ ব্রুসেলোসিসের কারণে। অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ প্রোস্টেট বা এপিডিডাইমিসের সংক্রমণের কারণে হতে পারে। যৌন সংক্রামক রোগ যেমন গনরিয়া ও ক্লামাইডিয়ার কারণেও এটা হতে পারে। সাধারণত 19 থেকে 35 বছর বয়সী পুরুষদের যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিস বা অণ্ডকোষের প্রদাহ বেশি হয়।

আারো পড়ুনঃ ক্ষতিকর ওয়ান টাইম যৌন উত্তেজক ওষুধে নষ্ট হয় যৌনশক্তি।

⭕ যৌনবাহিত কারণ ছাড়া অন্য যেসব কারণে অরকাইটিস হতে পারে তা হলো:

🩸 মাম্পস রোগের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রতিরোধ ক্ষমতা , বয়স 45 বছরের বেশি, বারবার মূত্রপথে সংক্রমণ, মূত্রপথের জন্মগত সমস্যা, জনন-মূত্রপথে অস্ত্রোপচার, দীর্ঘদিন ফলিস ক্যাথেটারের ব্যবহার।

⭕ যৌনবাহিত কারণে অরকাইটিসের ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • 🩸 একাধিক যৌনসঙ্গিনী।
  • 🩸 অস্বাভাবিক যৌন আচরণ।
  • 🩸 যৌনসঙ্গিনীর আগে কোনো যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস।
  • 🩸 গনরিয়া অথবা অন্য যৌনবাহিত রোগের ইতিহাস।

⭕ উল্লেখ্য, এ রোগে প্রথমে প্রস্রাবে জীবাণু সংক্রমণ হয়। আস্তে আস্তে এ জীবাণু প্রোস্টেটে সংক্রমিত হয় এবং প্রোস্টেট থেকে এ রোগের জীবাণু এপিডিডাইমিসকে আক্রমণ করে।

যৌনবাহিত কারণে অণ্ডকোষে অরকাইটিস হয়?

⭕ অণ্ডকোষের প্রদাহের উপসর্গ?

  • 🩸 অণ্ডকোষে ব্যথা হওয়া।
  • 🩸 অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া ও ভারী বোধ হওয়া।
  • 🩸 অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া।
  • 🩸 কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া, ফুলে যাওয়া।
  • 🩸 জ্বর হওয়া।
  • 🩸 প্রস্রাবে ব্যথা ও জ্বালাপোড়া করা।
  • 🩸 বীর্যে রক্ত যাওয়া। তবে সবসময় এই উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

🇨🇭 চিকিৎসা ও করণীয়

অণ্ডকোষে প্রদাহ ডায়াগনোসিসের জন্য বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা এবং ল্যাব টেস্ট করা হয়। প্রস্রাবের রুটিন ও কালচার পরীক্ষা করলে জীবাণু বোঝা যায়। ক্লামাইডিয়া ও গনোরিয়ার পরীক্ষা দিয়ে প্রদাহ হয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়। ডপলার আল্ট্রাসাউন্ড টেস্টিকুলার স্ক্যান করে নিশ্চিতভাবেই রোগ ধরা যায়। অন্য কোন রোগ আছে কিনা তাও বুঝা যায় ।

যদি সংক্রমণ ব্যাকটেরিয়া দিয়ে ঘটে তাহলে চিকিৎসা করতে হবে। গনোরিয়া বা ক্ল্যামাইডিয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই যৌনসঙ্গিনীকেও চিকিৎসা দিতে হবে। ব্যথা, রোগীকে বিশ্রামে রাখতে হবে এবং অণ্ডথলি একটু উঁচু করে রাখতে হবে।

🇨🇭 রোগের জটিলতা:

অরকাইটিসের কারণে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং একটি বা দু’টি অণ্ডকোষই ছোট হয়ে যেতে পারে। অরকাইটিসের কারণে আরো যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে সেসবের মধ্যে রয়েছে অণ্ডথলিতে ফোড়া হওয়া, অণ্ডকোষে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়া, অণ্ডথলির ত্বকে ফিস্টুলা হওয়া এবং দীর্ঘস্থায়ী এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া।

⭕ অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হলে তাৎক্ষণিক অপারেশনের প্রয়োজন হয়। যদি আপনার অণ্ডথলিতে কিংবা অণ্ডকোষে তীব্র ব্যথা হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:

   +8801907-583252

   +8801973-962203

   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!