ফিমেল ডিজিজ সাদাস্রাব। Leucorrhoea homeopathic treatment.

ফিমেল ডিজিজ সাদাস্রাব। Leucorrhoea homeopathic treatment.

🛑সাধারনত যে ফিমেল ডিজিজ গুলো সচরাচর হয় সেগুলো হল:

  • 🇨🇭মাসিকের গন্ডগোল ও যন্ত্রনা।
  • 🇨🇭সাদাস্রাব।
  • 🇨🇭স্তনের অসুখ ও টিউমার।
  • 🇨🇭গর্ভপাত।
  • 🇨🇭প্রসবের সময় অসুবিদা।
  • 🇨🇭মহিলাদের বয়ঃসন্ধিকালীন অসুবিধা।

🛑 সাদাস্রাব(Leucorrhoea)

🇨🇭 সাদাস্রাব কী?

লিউকোরিয়া বা সাদা স্রাব হচ্ছে সমস্ত মহিলাদের একটি সর্বজনীন সমস্যা।অধিকাংশ স্রাব জীবন শৈলী ও শারীরবৃত্তীয় সংক্রান্ত যার কোন চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না । ইহা প্রচুর পরিমানে, রক্তে দাগ, দুর্গন্ধ যুক্ত, স্বাভাবিক রংয়ের না হলে গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে । সাধারণত, স্বাভাবিক স্রাব পাতলা এবং সামান্য চটচটে হয় । এটা অনেকটা নাসিকা স্রাব (সর্দি) এর মত । সাধারণত যোনি সাদা স্রাবের পরিমাণ ডিম্বস্ফোটন এবং যখন মানসিক চাপের বৃদ্ধি, মাসিক চক্রে তারতম্য হয় ।মেয়েদের এমন অনেক কথাই আছে, যা অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলেও ডাক্তার কে দেখাতে হবে ভেবে লুকিয়েই রাখা হয়। সাদা স্রাব বা লিউকোরিয়া তেমনি একটি বিষয়। আগে জানতে হবে স্বাভাবিক সাদা স্রাব দেখতে কেমন হয়?

ফিমেল ডিজিজ সাদাস্রাব। Leucorrhoea homeopathic treatment.

🇨🇭 সাদা স্রাব : হলুদ , সাদা পিচ্ছিল ও আঠালো রঙের নিঃসরণ, যা শুকালে হালকা বাদামি-হলুদ রঙের বর্ণ ধারণ করে। যে সব মেয়েরা বয়ঃসন্ধিকালের শুরুতে, তাদের জন্য বলছি নিজের অজান্তে যদি কাপড়ে এমন দাগ পড়ে তবে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই। এটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার জন্য হতে পারে। নারীর রিপ্রোডাক্টিভ এইজে (১৪-৫০) যোনি দেয়াল পুরু থাকে। যোনিতে এক ধরনের জীবাণু থাকে, যা যোনির জন্য স্বাভাবিক। সেটি যোনি থেকে নিয়মিত খসে পড়া কোষের গ্লাইকোজেন কে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। এটি যোনিতে পিচ্ছিল ভাব আনে। পাশাপাশি এর অম্লতাও ঠিক রাখে। ক্ষতিকারক জীবাণু থেকে প্রজনন অঙ্গকে নিরাপদ রাখে।

🇨🇭 সাদা স্রাবের রোগ সম্বন্ধীয় কারণগুলো:

  • 🇨🇭 ইনফেকশন – যক্ষা, ছত্রাক (candida)।
  • 🇨🇭 মানসিক অশান্তি।
  • 🇨🇭 পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পুষ্টির অভাব।
  • 🇨🇭 বিভিন্ন ধরনের ক্রিমির সংক্রমণ।
  • 🇨🇭 অপরিচ্ছন্নতা এবং কাপড় সঠিক ভাবে না শুকিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে রাখলে
  • 🇨🇭 জন্ম বিরতিকরণ পিল খাওয়ার কারণেও সাদা স্রাবের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্খা থাকে।
  • 🇨🇭 সাদাস্রাব জনিত সমস্যায় প্রথমেই টাবলেট জাতীয় ওষুধের দিকে ঝুঁকে না গিয়ে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিলে সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ   মেয়েদের যৌন রোগ সংক্রান্ত সমস্যা গুলোর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🇨🇭 হোমিওপ্যথিক ঔষধ :

সাদাস্রাব(Leucorrhoea) সমস্যায় সাধারনত যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো হল:

  • 🧪Allunina
  • 🧪Borax
  • 🧪Sepia
  • 🧪Cocculas
  • 🧪Graphitis
  • 🧪Iodium
  • 🧪Pulsatilla
  • 🧪Ammonium carb
  • 🧪Calcarea carb
  • 🧪Amonnium mur
🇨🇭 হোমিওপ্যথিক চিকিৎসা : অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের প্রধান প্রধান লক্ষন দেওয়া হল:

🔴Alumina :
মাসিকের সময় মাসিকের পরিবর্তে প্রচুর সাদাস্রাব হয়।এলুমিনার প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা নরম কিন্তু বের করতে কষ্ট হয়। কখনও পায়খানার বেগ থাকে আবার নাও থাকতে পারে। শিশুদের কোষ্টকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে যখন মুখ শুকিয়ে থাকে, পায়খানার রাস্তা লাল হয়ে যায়, ব্যথায় চীৎকার করতে থাকে, পায়খানা করার সময় বসার সিট অথবা সামনে যা থাকে তাকে খুব শক্ত করে ধরে এবং পায়খানার সময় রক্ত পড়ে।

🔴Borax :
সোডিয়াম বোরেট / সোহাগা / সোডি বোরাস হতে প্রস্তুত। রাসায়নিক চিহ্ন : Na2 B4 O7 + 10H2O
ডিমের লালার মত সাদা স্রাবে বোরাক্স প্রয়োগ করা উত্তম।বোরাক্স হলো মুখের ঘায়ের এক নাম্বার ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো নীচে নামতে ভয় পায়। শিশুকে হাত দিয়ে উপরে ধরে তারপর আস্তে আস্তে নীচে নামান, দেখবেন ভয় পায় কিনা। যদি ভয় পায় তবে কেবল মুখের ঘা নয়, শিশুর যে-কোন শারীরিক-মানসিক রোগই বোরাক্সে সেরে যাবে।

ফিমেল ডিজিজ সাদাস্রাব। Leucorrhoea homeopathic treatment.

🔴Sepia:
প্রচুর পরিমানে সাদাস্রাব হয়ে রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে।সিপিয়া খুসকির একটি ভালো ঔষধ বিশেষত যদি মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং ঘিয়ের মতো আঠালো হয়। সিপিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।মাসিক বন্ধের চিকিৎসায় সিপিয়ার লক্ষণ হলো পেটের মধ্যে চাকা বা বলের মতো কিছু একটা আছে বলে অনুভূত হয়। শারীরিক দুর্বলতা থাকে প্রচুর এবং সংসারের প্রতি কোন আকর্ষণ থাকে না।

🔴Cocculus indicus : সাধারণত ভীতু, নার্ভাস, অত্যধিক পড়াশোনা করে এমন লোকদের ক্ষেত্রে কুকুলাস প্রয়োগ করতে হয়। রাত জেগে কাজ করার কারণে যদি সাদা সস্রাব দেখা দেয়, তবে অবশ্যই ককুলাস প্রযোজ্য।

🛑নোটঃ এভাবে বাকি ঔষধগুলো স্ট্যাডি করলে সাদা স্রাবের সঠিক হোমিওপ্যাথিক
চিকিৎসা করা সম্ভব।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়ঃ
🛑সকাল ০৯.০০_ ০১.০০ টা।
🛑বিকাল ০৫.০০_ রাত ১০.০০ টা পর্যন্ত।

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)

☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (ডি,এইচ এম,এস )
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!