প্যারাফিলিয়া বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি এবং হোমিও চিকিৎসা।

প্যারাফিলিয়া বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি এবং হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 প্যারাফিলিয়া (Paraphilia) হল এক ধরণের বিকৃত যৌন আচরণের বহিঃপ্রকাশ।

🇨🇭 সেক্স বা যৌনতা- শব্দগুলো বরাবরই সুড়সুড়ি দেয়ার মতো। এতদিন ধরে যৌনতা বিষয়ক যে কোনো আলোচনা ছিল ট্যাবু। কিন্তু বর্তমানে মিডিয়া, ইন্টারনেটের কল্যাণে – সেক্স – ( Sex ) শব্দটি আর নিষিদ্ধ নয়। এখন যৌন আচরণ অনেকক্ষেত্রেই অস্বাভাবিক, কখনো কখনো বড্ড নোংরা। অস্বাভাবিক এবং বিকৃত এই যৌনাচারকে মেডিকেলের ভাষায় – প্যারাফিলিয়া ( Paraphilia ) বলে।

🇨🇭 আজকে কিছু কমন প্যারাফিলিয়া বা বিকৃত যৌন আচরণ সম্পর্কে আমরা জানবো।

🩸 পেডোফিলিয়া- ( Pedophilia ):
এ শব্দটির সাথে অনেকেই পরিচিত, বাংলায় যাকে শিশুকাম বলে। যখন বয়স্ক ব্যক্তিরা কোনো বাচ্চার প্রতি যৌনাকাঙ্ক্ষা অনুভব করে, তখন বুঝতে হবে তিনি পেডোফিলিক। চাইল্ড পর্নোগ্রাফি দেখা অধিকাংশ ব্যক্তির মধ্যে শিশুকামিতার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

🩸 এক্সি-বিশনিজম- ( Exhibitionism ) :
অপরিচিত কাউকে বা জনসম্মুখে নিজের গোপনাঙ্গ দেখিয়ে যৌন তৃপ্তি পাওয়াকেই এক্সিবিশনিজম বলে। একটি সুইডিশ সার্ভে মতে, সুইডেনের – 2.1 % নারী ও 4.1 % পুরুষ মনে করে, অপরিচিত কারও কাছে নিজেদের গোপনাঙ্গের প্রকাশ তাদেরকে উত্তেজিত করে। মাঝেমাঝেই আমরা শুনি, অমুক মডেল ঘোষণা দিয়েছে তার প্রিয় কোনো দল খেলায় জিতলে তিনি উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় নামবেন। কিংবা ক্রিকেট খেলার মাঠে হঠাৎ করেই এক তরুণী উলঙ্গ হয়ে দৌড়ানো শুরু করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ব্যক্তিরা এক্সিবিশনিজমে আক্রান্ত থাকে।

🩸 জুওফিলিয়া- ( Zoophilia ):
এটি – ( Bestiality ) বা বাংলায় পশুকামী ও পশ্বাচার নামে পরিচিত। আপনি কি ভাবছেন পশুর সাথে মানুষের যৌন সম্পর্ক স্থাপন কীভাবে সম্ভব!!? আপনার জ্ঞাতার্থে জানানো দরকার= জাপান, আর্জেন্টিনা, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং রোমানিয়া সহ বেশ কিছু দেশেই পশুকামিতা বৈধ!!! এমনকি অনেকের কাছে ( স্বপ্নের দেশ ) হিসেবে পরিচিত আমেরিকার অনেক স্থানেই পশুকামিতার বৈধতা রয়েছে। অনেক ব্যক্তিই পশু পালন করে এ উদ্দেশ্যে। 👌 বাংলাদেশে পশ্বাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবৎজীবন কারাদণ্ড👌।

প্যারাফিলিয়া বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি এবং হোমিও চিকিৎসা।

🩸 নেক্রোফিলিয়া- ( Necrophilia ):
নেক্রোফিলিয়া বলতে লাশের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে বোঝায়। খুবই ভয়ঙ্কর ব্যাপার না ? ড. রোজম্যান এবং র‍্যাসনিকের গবেষণা মতে- 57 % নেক্রোফিলিকই হয় মর্গ দেখা-শোনাকারী কিংবা হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কেউ।

🩸 ভয়েরিজম – ( Voyeurism ):
কোনো মেয়ে পোশাক পাল্টাচ্ছে বা গোসল করছে, আর কোনো ছেলে সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে তার যৌন ক্ষুধা মেটাচ্ছে, এ ধরনের বিকৃত যৌনাচরণকে বলা হয় ভয়েরিজম, গোপনে কারও নগ্ন বা অর্ধনগ্ন শরীর বা কারো যৌন কর্ম দেখে সুখ অনুভব করা। এই ভয়েরিজমকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয়েছে নানান সিনেমা। সেখানে দেখানো হয় নায়ক বাইনোকুলার ব্যবহার করে নায়িকার বেডরুমে ফোকাস করছে। তারপর গোপনে নায়িকার নগ্ন হয়ে যাওয়াটাকে উপভোগ করছে। মাঝে মাঝেই ট্রায়াল রুম বা পার্লারে ( CCTV camera 🤳 ) সিসিটিভি ক্যামেরা অথবা কোনো মেয়ের গোপন ভিডিও ফাঁস সংক্রান্ত যে খবরগুলো আমরা শুনি, তার অধিকাংশ কেসই ভয়েরিজমের ফসল। উন্নত দেশ কানাডাতে রয়েছে ভয়েরিজমের মতো বিকৃত যৌনাচারের বৈধতা🙄।

🩸 ফ্রটিউরিজম – ( Frotteurism ):
এটি সাধারণত জনবহুল জায়গায় বেশি হয়। বাংলাদেশের মত জনবহুল দেশে এই বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়নি কিংবা কাউকে রাস্তাঘাটে কাউকে এর শিকার হতে দেখেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই ভিড়ের মধ্যে মেয়েদের শরীরে হাত দেয়, কনুই কিংবা হাত দিয়ে স্তনে চাপ দেয় অথবা নিজের যৌনাঙ্গ ভিড়ের মধ্যে আরেকজনের সাথে ঘষে। ছেলেদের ক্ষেত্রে ফ্রটিউরিজমের হার মেয়েদের তুলনায় বেশি।

🩸 ম্যাসোচিজম – ( Masochism ):
এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত যৌন ক্রিয়ার সময় নিজেকে নানাভাবে শারীরিক কষ্ট বা আঘাত দিয়ে আনন্দ পায়। সাধারণত সেক্স করার সময় এরা অন্যের মাধ্যমে নিজেকে প্রহার করে। দড়ি দিয়ে বেঁধে কিংবা ইলেকট্রিক শক দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে নিজের কামনা মেটায়। এই ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের মধ্যে – 2.2 % হল পুরুষ এবং 1.3 % নারী। মাত্রাতিরিক্ত পর্নোগ্রাফি আসক্তিই এই ডিজঅর্ডারের প্রধান কারণ।

আরো পড়ুনঃ    পুরুষের লিঙ্গের আকার বৃদ্ধি আসলেই করা যাবে |

🩸 স্যাডিজম- ( Sadism ):
এটি এক প্রকারের ধর্ষণ। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজম একই মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। ম্যাসোচিজম হলো নিজেকে কষ্ট দেয়া আর স্যাডিস্টরা যৌন ক্রিয়ায় অন্যকে তার অনিচ্ছায় জোরপূর্বক একইভাবে কষ্ট দেয়। ম্যাসোচিজম এবং স্যাডিজমে অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।

🩸 এমেটোফিলিয়া- ( Emetophilia ):
সেক্সের সময় বমি করে, অন্যের বমি দেখে এবং ক্ষেত্রবিশেষে সঙ্গী,সঙ্গীনীর বমি খেয়ে যৌন সুখ অনুভব করে এমেটোফিলিয়ায় আক্রান্তরা। ভাবতেই গা গুলিয়ে আসছে!!

🩸 ফেটিশিজম- ( Fetishism ):
প্রায়ই মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক চুরি হওয়ার ঘটনা শোনা যায়। সেটা হতে পারে আন্ডারগার্মেন্টস অথবা সাধারণ কোনো পোশাক। এই চুরির অনেকগুলোই হয়ে থাকে ফেটিশিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা। এরা সাধারণত যৌনাঙ্গ ব্যতীত দেহের নির্দিষ্ট কোনো অঙ্গ বিশেষ করে- পা, বস্তুগত জিনিস, যেমন: ব্রা, আন্ডারওয়্যার, প্যান্ট অথবা সাধারণ জামাকাপড় , এসব নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগে। 2014 সালে সেক্সচুয়্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি জার্নালের গবেষণার তথ্যানুযায়ী- 26.3 % নারী এবং 27.8 % পুরুষের এ ধরণের ফেটিশ নিয়ে ফ্যান্টাসি রয়েছে।

🩸 বাইসেক্সুয়ালিটি- ( Bisexuality ):
যারা নারী, পুরুষ নির্বিশেষে সবার প্রতিই আকর্ষণ অনুভব করে, অর্থাৎ- লিঙ্গ নিরপেক্ষ যৌনতা, তাদেরকে বলা উভকামী বা বাইসেক্সুয়াল। গবেষণায় দেখা গেছে উভকামী, সমকামীরা বিপরীতকামীদের তুলনায় 17 গুণ বেশি মলদ্বারের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে আছে। ব্যাঙ্গালোরের ( পিপলস ইউনিয়ন অব সিভিল লিবার্টি’র ) একটি সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে, সমকামীরা উভকামীদের শুধু প্রত্যাখ্যানই করে না, ঘৃণাও করে। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, মেগান ফক্স, মাইলি সাইরাস, লিন্ডসে লোহান, লেডি গাগা, ক্যামেরুন ডিয়াজ, ডেভিড বওয়ি, ম্যাট বোমার এবং ক্যারি গ্র্যান্ট সহ অজস্র পশ্চিমা সেলেব্রিটিই উভকামী।

🩸 ইনসেস্ট- ( Incest ):
অজাচার বা ইংরেজিতে ইনসেস্ট হল নিজের আপন রক্ত সম্পর্ক বা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা। সেটা নিজের মায়ের সাথে হতে পারে, হতে পারে নিজের বোনের সাথে। ইনসেস্টকে বলা হয় ( The Last Taboo )। অনেক বিকৃত যৌনাচারকেই বহু মানুষ স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করেছে।

প্যারাফিলিয়া বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি এবং হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 কিন্তু দিনশেষে বিকৃতিরও তো একটা সীমা আছে – তাই না? তাই অনেক মানুষের কাছেই এটা মানব ইতিহাসের লম্বা একটা সময় বিকৃতি হিসেবেই গণ্য হয়ে এসেছে। তবে বর্তমান বিশ্বে নৈতিকতার অধ:পতনে সে প্রাচীরও ভাঙতে শুরু করেছে। NDTV-এর একটি রিপোর্টে ভারতে অজাচারের একটি পরিসংখ্যান দেখানো হয়েছে। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে – 53% শিশু শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়। অজাচারের শিকার 32% শিশুর বয়স কেবল দুই থেকে দশের মধ্যে। কল্পনা করতে কষ্ট হয়, তাই না?

🇨🇭 পরিসংখ্যান বলছে – 1955 সালে আমেরিকাতে প্রতি মিলিয়নে কেবল একজন মানুষ অজাচারে লিপ্ত হতো। আর এখন? প্রতি তিনটি মেয়ের মধ্যে একটি মেয়ে তাদের বয়স 18 হবার আগে নিজ গৃহে-ই অজাচারের শিকার হয়।

🇨🇭 মানুষ প্যারাফিলিয়াতে আক্রান্ত কেন হয়? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, এসব আচরণের শেকড় একদম শৈশবে প্রোথিত। মাত্রাতিরিক্ত পর্ণ আসক্তি মূল কারণগুলোর মধ্যে একটি। যারা চূড়ান্ত পর্যায়ের পর্ণে আসক্ত, তারা একসময় স্বাভাবিক যৌনাচারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করে। সেখান থেকেই বিকৃতির শুরু হয়। 🤲 ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, প্যারাফিলিয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ।

🇨🇭 সকল মানুষের মধ্যেই কম-বেশী যৌন চাহিদা রয়েছে। মানবজাতি এই প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই আজকের অবস্থানে এসেছে। তাই একে ঘৃণা করার কিছু নেই। তবে সেই যৌনতা যদি আমাদের প্যারাফিলিয়ার দিকে নিয়ে যায়, তবে তা নিয়ে চিন্তা করার সময় সম্ভবত এখনই।

🇨🇭 পর্নো আসক্তি – Pornographe:

🩸 অভিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন যৌনাচরণ ও যৌনসঙ্গমের খোলামেলা উপস্থাপনা করাই হচ্ছে পর্নোগ্রাফি। পর্নোগ্রাফি – সংক্ষেপে ( পর্ন বা পর্নো ) যৌন আবেগ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যৌনসংক্রান্ত বিষয়বস্তুর প্রতিকৃতি অঙ্কন বা পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা।

🩸 পর্নোগ্রাফি শব্দটি গ্রিক শব্দ ( পরনোগ্রাফিয়া ) থেকে নেওয়া হয়েছে। পর্নোগ্রাফি বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে উপস্থাপন করা হতে পারে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির সহজলভ্যতা ও ইন্টারনেটের কল্যাণে গোটা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনের একটি ক্লিকেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের যে কোনো স্থানে। প্রবেশ করতে পারেন পর্নোগ্রাফির সাইটেও। এখন কথা হচ্ছে এই যে পর্নোগ্রাফি আসক্তি এটা মোটেও কোনো ভালো কথা নয়।

🩸 পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্তি জীবনে নিয়ে আসতে পারে বিরূপ প্রভাব এমনকি অনাগ্রহী করে তুলতে পারে স্বাভাবিক জীবনেও। পর্নো আসক্তির ফলে যৌনজীবনেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। একটানা পর্নো আসক্তির ফলে স্নায়ু, মস্তিষ্কের উপরে চাপ পড়ে। এমনকি- উগ্র ছবি, ভিডিও দেখে তৃপ্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। যার থেকে যৌন বিকৃতিও জন্মাতে পারে। মানসিক ক্ষতি তো রয়েছেই, পর্নো আসক্তির ফলে শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনাও প্রবল।

🩸 ভয়, দুশ্চিন্তা, অবসাদ, রাগ, একাকিত্বের মতো সমস্যা সম্প্রতি জার্মান গবেষকদের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের পত্রিকা ডেইলি মেইল জানিয়েছে – নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখার ফলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ অংশ সংকুচিত হয়ে যায়। একই সঙ্গে কমে যায় এর কার্যক্ষমতা। বৈজ্ঞানিক নানা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণিত যে, পর্নোগ্রাফি একটি আসক্তি। পর্নো আমাদের ব্রেইনের স্বাভাবিক গঠনকে ঠিক ড্রাগের মতোই পরিবর্তিত করে। ফলে আমাদের শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গবেষকরা জানান, মানুষ যখন পর্নোগ্রাফি দেখে তখন মস্তিষ্কের অন্যতম পরিবাহক ( নিউরোট্রান্সমিটার ) ডোপামিনে একটি ঢেউ তোলে। এই পরিবাহকটির অন্যতম কাজ আনন্দ এবং সুখের অনুভূতিগুলো বহন করে তার স্মৃতি নিউরনে পাঠিয়ে দেওয়া। একটা সময় মানুষ পর্নোগ্রাফি দেখা ছাড়তে চাইলেও মস্তিষ্ক অভ্যস্ততা থেকে একই রকম ঢেউ চায়, অর্থাৎ পর্নোগ্রাফি দেখতে আসক্ত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি মানুষ বাস্তব জীবনে যৌনক্রিয়া থেকে আগ্রহও হারিয়ে ফেলে। আবার কারও কারও মধ্যে লক্ষ্য করা যায় হাইপারসেক্সুয়ালিটি বা অতিরিক্ত যৌন আকাঙ্ক্ষা।

প্যারাফিলিয়া বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি এবং হোমিও চিকিৎসা।

🩸 হাইপারসেক্সুয়ালিটি হলো মানসিক স্বাস্থ্য গবেষকরা এবং বিশেষজ্ঞদের দ্বারা চিকিৎসাবিদ্যায় নির্ণীত একটি রোগ যা দ্বারা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়া বা অতিমাত্রার বারবার যৌন আকাঙ্ক্ষা বা যৌন কর্মকান্ডকে ব্যাখ্যা করা।

🩸 অন্ডকোষ থেকে অ্যান্ড্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়। অল্পবয়সে এই হরমোনের ক্ষরণ বেশি হলে অপরিণত বয়সেই যৌন লক্ষণ প্রকাশ পায়। এটি হলো যৌনসঙ্গম করার জন্য স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক দৃঢ় চাহিদা। নারীদের ক্ষেত্রে এটি নিমফোমেনিয়া এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি সেটিরিয়াসিস নামে পরিচিত।

🩸 যৌন বিকৃতি বা মনোরোগ বিজ্ঞানের ভাষায় প্যারাফিলিয়া অর্থাৎ – এমন সব যৌনকর্মকান্ডের প্রতি আকর্ষণ এবং সেই সব কর্মকান্ডের সংঘটন বোঝায় যেগুলো স্বাভাবিক নয়।

🩸 চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে যৌন বিকৃতিকে মানসিক রোগ বা বৈকল্য হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়ে থাকে। আমাদের বর্তমান সমাজ যেখানে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে অনেক সচেতনতা সৃষ্টি করছে, সেখানে পর্নোগ্রাফির বিষয়টাতে এমন অসচেতনতা সত্যিই দুঃখজনক। বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও, আমাদের এই প্রজন্মের তরুণদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ হলো পর্নোগ্রাফি। যদিও 28 ফেব্রম্নয়ারি 2012 সালে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন – 2012 অনুমোদন লাভ করে।

পরে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন 2012 প্রতিষ্ঠা করা হয়। পর্নো আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে ভালো গান শোনা, ভালো বই পড়া হতে পারে সম্ভাব্য ভালো অপশন। বন্ধুদের সঙ্গে ভালো আড্ডাও হতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তনের উৎস। অনুশীলন করতে হবে ধর্মীয় মূল্যবোধ। প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসা নিতে হবে। মনে রাখতে হবে রাতারাতি এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই চিকিৎসকের কাছে কাউন্সেলিং নিয়ে তার পরামর্শমাফিক জীবন পরিচালনা করতে হবে। আর তা হলেই আশা করা যায়, ধীরে ধীরে এই কুঅভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

🇨🇭 বিকৃত যৌনাচার হলো একটি মানসিক ব্যাধি এবং পর্ণগ্ৰাফি হলো আসক্তি। বিকৃত যৌনাচার ও পর্ণগ্ৰাফি আসক্তি পরিনাম ভয়াবহ। এ সমস্যা গুলো হতে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা গ্ৰহনের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করা যায়। তাই একজন রেজিস্টার্ড প্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্ৰহন করতে হবে। ‌

homeo treatment

🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’s App- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo-ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)

☎ 01907-583252 (WhatsApp, IMO)
☎ 01302-743871(WhatsApp, IMO)

[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!