ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন- insulin কার্যকরী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন- insulin কার্যকরী।

🇨🇭 ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা একবার হলে মৃত্যু পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হয়। ডায়াবেটিস মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে: টাইপ-1 ডায়াবেটিস, টাইপ-2 ডায়াবেটিস ও প্রেগন্যান্সি ডায়াবেটিস।

🇨🇭 আমাদের দেশের 95 ভাগ রোগীই টাইপ-2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই সব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি কার্যকরী উপায় হলো ইনসুলিন গ্রহণ।

🇨🇭 যখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় বা ইনসুলিন যখন আমাদের শরীরে ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় বলা হচ্ছে ডায়াবেটিস।

🇨🇭 তাই ডায়াবেটিস ইনসুলিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কাজ হলো রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমানো। খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

🇨🇭 বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ অবস্থায় শরীরে ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। যেমন, টাইপ-1 ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বলে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের প্রথমদিক থেকেই ইনসুলিন নিতে হয়।

🇨🇭 তবে আশার কথা হলো, ডায়াবেটিস রোগীদের 90 ভাগই টাইপ-2 এ আক্রান্ত। এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ওষুধ যখন শরীরে কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকরা ইনসুলিন গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

🇨🇭 তবে যে ধরনের ডায়াবেটিসেই আপনি আক্রান্ত হন না কেন, ইনসুলিন গ্রহণের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস রোগীদের কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যার ফলে প্রায়ই তারা নানা শারীরিক জটিলতার সম্মুখীন হন। আসুন জেনে নিই ইনসুলিন সম্পর্কিত কিছু ভ্রান্ত ধারণা সম্পর্কে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন- insulin কার্যকরী।

1.অনেক রোগীই মনে করেন, চিকিৎসকের ইনসুলিন গ্রহণের পরামর্শ মানেই রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, যা মোটেও সঠিক নয়।

2.আসলে এটি একটি চিকিৎসা পদ্ধতি মাত্র। রোগী ডায়েট, ব্যায়াম ও ওষুধের নিয়ম মানার পরও যখন আর অগ্ন্যাশয় থেকে পর্যাপ্ত ইনসুলিন বেরোয় না, তখন বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে হয়। তাই ইনসুলিন গ্রহণে কখনো দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না।

3.আবার অনেক রোগীই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের কোনো নিয়ম আগে মানলেও ইনসুলিন গ্রহণের পর থেকে তা মানেন না, যা মোটেও উচিত নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

4.শরীরে ইনসুলিনের প্রয়োজন হওয়ার পরও যদি কোনো রোগী তা গ্রহণ না করেন, তবে তার শরীরে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, হৃদ্‌যন্ত্র, কিডনি থেকে শরীরের সব প্রত্যঙ্গই খারাপ হতে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

5.ইনসুলিন নিলে অনেকেই ভাবতে শুরু করেন তার ওজন কমে যাবে। অথচ এমন কোনো কিছুরই সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

6.ইনসুলিন নিলেও ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরচর্চা বন্ধ করা উচিত নয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত ইনসুলিন নেয়া সত্ত্বেও রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিকভাবে কমে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের অবশ্যই ইনসুলিন গ্রহণের সময়ও ব্যায়াম চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ব্যায়াম করার অভ্যাসে ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে।

7.ইনসুলিন বিষয়ে অনেকেই যে বিষয়টি জানেন না তা হলো 12-14 ঘণ্টার বেশি ইনসুলিন ফ্রিজের বাইরে রাখলে তার কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সবসময় ইনসুলিন ফ্রিজে রাখুন।

8.ইনসুলিন গ্রহণের সময় আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর ইনসুলিন গ্রহণের সময় ইনজেকশনের সুচ বদলানো। এই নিয়মের অবহেলায় অনেক ডায়াবেটিস রোগীর সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই জীবনকে সুন্দর ছন্দে ফিরিয়ে আনতে সব ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই এসব ভুল বা ভ্রান্ত ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন- insulin কার্যকরী।
🇨🇭 ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, ক্লান্তি, তৃষ্ণা, যখন তখন ক্ষিদে পাওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, ক্ষত সেরে উঠতে সময় লাগলে, দেরি না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 মধুমেহ ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা প্রাকৃতিক ভাবেই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
মধুমেহ ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা প্রাকৃতিক ভাবেই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
একবার মধুমেহ আক্রান্ত হলে সারা জীবন এর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নানান প্রচেষ্টা করতে হয়, যাতে এর কারণে হৃদরোগের সম্ভাবনা, স্ট্রোক, কিডনির রোগ, অন্ধত্ব ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা না-দেয়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি নাহলে বা ইনসুলিন সঠিক ভাবে ব্যবহার নাহলে ডায়বিটিসের সম্ভাবনা থাকে।

🇨🇭 ঘন ঘন মূত্র ত্যাগ, ক্লান্তি, তৃষ্ণা, যখন তখন ক্ষিদে পাওয়া, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা, ক্ষত সেরে উঠতে সময় লাগলে, দেরি না-করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুনঃ নেফ্রোটিক সিন্ড্রোম- Nephrotic syndrome কি?

🇨🇭 মধুমেহ ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি এমন কিছু খাবার খাওয়া উচিত, যা প্রাকৃতিক ভাবেই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। বেদিকিওর হেল্থকেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেসের সিইও এবং ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ড: সমুদ্রিকা পাটিল জানিয়েছেন যে, প্রাকৃতিক হার্ভ, মশলা, সবজি এবং ফল এনার্জির স্তর বৃদ্ধিতে চমৎকার সাহায্য করতে পারে। এর পাশাপাশি তিনি এমন সাতটি খাবারের উল্লেখ করেছেন, যা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা উচিত:

1.নীম: বহু বছর ধরে শারীরিক সুস্থতার জন্য নীমের ওপর ভরসা রেখেছেন সকলে। ত্বক পরিশোধন, দাঁত এবং ত্বকের সমস্যা থেকে শুরু করে ডিটক্সিফিকেশান পর্যন্ত নানান ক্ষেত্রে নীমের উপকার পাওয়া যায়। ড: পাটিল বলেন যে, ‘নীমের মধ্যে ফ্ল্যাভনয়েডস, গ্লাইকোসাইডস এবং ট্রিটারপেনয়েডস নামক রসায়ন থাকে, যা গ্লুকোসের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। পাওডার হিসেবে, চায়ের মধ্যে দিয়ে, জল বা খাবারের সঙ্গে দিনে দুবার এটি খেতে পারেন।’

2.করলা: সামগ্রিক সুস্বাস্থ্যের জন্য মা, ঠাকুরমারা করলা খাওয়ার ওপর জোর দেন। এটি একটি ডায়বিটিস বিরোধী সবজি, যার মধ্যে চ্যারাটিন এবং মোমোরডিসিন থাকে, যা মধুমেহ রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ‘আপনি সকালে করলার রস পান করতে পারেন। এতে আমলকি বা নিজের পছন্দের কোনও সবজির রস মিশিয়ে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়ো ও নুন ছড়িয়ে পান করতে পারেন, জানান ড: পাটিল।

3.আদা: সকলের হেঁশেলেই আদা পাওয়া যাবে। অসাধারণ গুণে সমৃদ্ধ আদা ইনসুলিন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রিত করতে পারে। ড: পাটিলের মতে, চায়ের মধ্যে আদা মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এ ছাড়াও দুধের সঙ্গে আদা এবং হলুদ গুঁড়ো মিশিয়েও পান করা যায়। তবে আদা রান্না করে খাওয়ার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়ার কথা বলছেন তিনি। এ ছাড়া আদার পাওডারও খাওয়া যেতে পারে।

4.কালো জাম: মধুমেহ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কালো জাম একটি অসাধারণ ও চমৎকার ফল। এই জামের মধ্যে জামোবোলাইন নামক একটি উপাদান থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জামের বীজে এই উপাদানটি পাওয়া যায়। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা ইনসুলিন রেসিসটেন্সের বিপরীত। শরীরে উপস্থিত ইনসুলিনের যথাযথ ব্যবহার না-হওয়াকে ইনসুলিন রেসিসটেন্স বোঝায়, অন্য দিকে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা হল এই হরমোনের উন্নত ব্যবহারে সাহায্য করা। কালো জাম ইনসুলিম সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে ডায়বিটিসে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি কালো জাম ইমপেয়ার্ড ফাস্টিং গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী

WhatsApp Image 2024 05 19 at 01.10.45 a2d00553

5.মেথি: শরীরের মধ্যে গ্লুকোজ সহনশীলতা বৃদ্ধি করে মেথি। এটি দ্রাব্য ফাইবারে সমৃদ্ধ। ধীর গতির পাচন প্রক্রিয়া ও কার্বোহাইড্রেট শোষণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

6.দারচিনি: কালোজামের পর দারচিনি অন্য আর একটি উপাদান, যা ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং ইনসুলিনের কার্যকারিতা উদ্দীপিত করে। অর্থাৎ এর ফলে শরীর ভালো ভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করতে পারে। দিনে দুবার 250 মিলিগ্রাম দারচিনি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাবার খাওয়ার আগে এটি খাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক সমুদ্রিকা পাটিল।

7.জিনসেং: এটি একটি গাছের শিকড়, যা উত্তর আমেরিকায় পাওয়া যায়। জিনসেং ইনসুলিনের ক্ষরণ উন্নত করে। মেথি ও কালো জামের মতো এটিও ইনসুলিনের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে এবং এই হরমোনের প্রতি কোষের প্রতিক্রিয়াকে আরও উন্নত করে। প্রতিদিন ৩ গ্রাম করে জিনসেং খাওয়া যেতে পারে। তবে যাঁরা অ্যাসপিরিনের মতো রক্ত পাতলা করে দিতে পারে এমন ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে জিনসেং কোনও কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

🇨🇭 ডায়াবেটিস গত কয়েক হাজার বছর ধরে মানবজাতিকে প্রভাবিত করে আসছে । অথচ বিগত একশত বছরে ডায়াবেটিস এর প্রকৃত কারনগুলো এবং ইনসুলিন আবিষ্কৃত হয়েছে। তবে গত শতাব্দিতে ডায়াবেটিসের চিকিৎসার উদ্ভাবন গুলো কেবল ইনসুলিনে থেমে থাকে নি, এই রোগ সম্পর্কে নতুন ধারনা বের হয়ে আসছে। নতুন ঔষধ তৈরি করা হয়েছে যা শুধু রক্তে শর্করার মাত্রাকেই ঠিক রাখে না এর সাথে হৃদপিন্ড সম্পর্কিত জটিলতাকেও মোকাবেলা করে ,যেটা ডায়াবেটিসের রোগীদের মৃত্যুর হার হ্রাস করেছে।

🇨🇭 যখন ডায়াবেটিসের কথা বলা হয়, আজকাল বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রথমেই যে বিষয়টি আসে সেটি হলে মৌখিক চিকিৎসা। তবে আপনি কি জানেন যে এই উপকারী ইনসুলিনটি ডায়াবেটিস রোগীদের জীবন দীর্ঘায়িত করা প্রথম সফল ঔষধ? ডায়াবেটিস ঔষদের অত্যাধুনিক অগ্রগতিতে ইনসুলিন তাদের সময় বিলাসিতায় উন্নতির জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য।
ইনসুলিন হরমোনটি অগ্ন্যাশয় থেকে নিসৃত হয়। এটি দেহের ব্যবহারের জন্য শর্করাকে শক্তিতে রুপান্তরিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরণের ইনসুলিনজনিত ব্যাধির কারনে বিভিন্ন ধরণের ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়:

1.ডায়াবেটিস টাইপ -01 ,সাধারণত এটি শিশুদের মধ্য দেখা যায় এটি তখনই ঘটে যখন দেহ ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না।

2.ডায়াবেটিস টাইপ-02, সাধারণত মাত্রাতিরিক্ত ওজনের প্রাপ্তবয়স্কের দের মধ্য দেখা যায়,এটি ঘটে যখন দেহ ঠিকমত ইনসুলিন ব্যবহার করতে
পারে না।

3.গর্ভকালীন ডায়াবেটিস গর্ভকালীন মহিলাদের মধ্য দেখা যায়, প্লাসেন্টাল হরমোনের কারণে ইনসুলিনের মাত্রা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে শরীর তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 হেপাটিক স্টেটোসিস( ফ্যাটি লিভার ),মূত্রাশয়ের রোগ( রক্তে অতিরিক্ত শর্করা কিডনির ছাকন প্রক্রিয়াতে চাপ দেয় ) এমনকি হৃদরোগে ( রক্তে অতিরিক্ত শর্করার কারনে ধমনীতে ক্ষতি হওয়া ) সমস্তধরণের ডায়াবেটিস জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
ইনসুলিন আবিষ্কার এবং ডায়াবেটিসে এর ভূমিকা ছিল একটি যুগান্তকারী চিকিৎসার সেই মাত্রা যেটি কয়েকটি বৈজ্ঞানিক দলকে নোভেল প্রাইজ প্রাপ্ত করেছিল। তাদের গবেষণায়,অস্কার মিনকোভস্কি এবং জোসেফ ভন মেরিং দেখতে পেয়েছেন যেসব কুকুরদের অগ্ন্যাশয় সরিয়ে ফেলা হয়েছিলো তাদের ডায়াবেটিস হয়েছে। ফ্রেডেরিক ব্যান্টিং এবং চার্লস বেস্ট এই গবেষণার ব্যাখা দিয়েছেন , যারা ডায়াবেটিস হওয়া কুকুরদের স্যালাইন দ্রবণে অগ্ন্যাশয়ের নির্যাস দিয়ে বাচিয়ে রঅবশেষে, জেমস কলিপ এবং জন ম্যাকলেয়ড বাছুরের অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন সংগ্রহ করে তা পরিশোধন পদ্ধতিতে বিশুদ্ধ করেন এবং মানুষের ব্যবহারের উপযোগি করে তোলার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসেন।

🇨🇭 1922 সালের জানুয়ারিতে এই বিজ্ঞানীদের চেষ্টার উদ্দীপনা ছিলো 14 বছর বয়সী লিওনার্ড থম্পসন,যার জীবনে অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছিলো, যিনি ডায়াবেটিসের কঠিন অবস্থায় ছিলেন এবং তার অবস্থাও গুরুতর ছিলো। পরিশোধিত ইনসুলিন প্রথম ডোজ পাওয়ার 24 ঘন্টার মধ্য তার রক্তে শর্করার মাত্রা আকাশ চুম্বি 520 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার এরপর তা মাত্র 120 মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারে নেমে যায়। চাক্ষুস তার অবস্থার উন্নতি হয়েছিলো,তিনি ইনসুলিন গ্রহন চালিয়ে গিয়েছেন এবং বেঁচে ছিলেন। ইনসুলিনের জন্য লিওনার্ড থম্পসনের মৃত্যুর দ্বার থেকে বেঁচে আসাটা বিশ্বজুড়ে সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশার আলো হয়ে উঠে।

🇨🇭 1982 সাল থেকে ইনসুলিনের উৎপাদনের জন্য আর প্রাণীর উপর নির্ভরশীল থাকতে হয় নি। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর অগ্রগতির ফলে ব্যাক্টেরিয়া থেকে মানব ইনসুলিন উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। 1985 সালে ইনসুলিন পেন আবিষ্কার করা হয়েছিলো, কার্যকারিতার অপরিহার্য্য উন্নতি, সুবিধাসমূহ, এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনের চূড়ান্ত নিশ্চয়তা। 1997 সালের দিকে ইনসুলিনের পুরাতন আবিষ্কার গুলো মানব দেহের উপযোগী অনুয়ায়ী পরিবর্তিত হয়ে আসে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের এবং তাদের পরিবারের জন্য তাদের নিজস্ব দৈনিক সময়সূচী এবং ক্রিয়াকলাপ অনুসারে ইনসুলিন গ্রহণের উপযোগী করে তাদের জীবনমানকে আরও উন্নত করেছে। প্রকৃতপক্ষে, ইনসুলিন 100 বছরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বর্তমান অবস্থায় আসেছে।

🇨🇭 ইনসুলিন ছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উজ্জ্বল একটি চিকিৎসা সাফল্য রয়েছে, যেটি ইনসুলিন থেকেও বেশি কার্যকর এবং ঔষধটি মুখে নেওয়া যেতে পারে।

🇨🇭 এই নতুন উদ্ভাবিত ডায়াবেটিসের ঔষধটির বিভিন্ন ধরনের নিম্নলিখিত প্রভাব রয়েছে :
  • 🩸 যকৃত দ্বারা রক্তে যে পরিমান শর্করা মুক্ত হয় তার পরিমাণ হ্রাস করে।
  • 🩸শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা দীর্ঘায়িত করে ইনসুলিনের উৎপাদন উদ্দীপিত করে।
  • 🩸 শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা দীর্ঘায়িত করে কিডনিতে গ্লুকোজের পুন-শোষন হ্রাস করে।
  • 🩸 এইসব মৌখিক ডায়াবেটিক রোধী ঔষধগুলো ইনসুলিনের চেয়ে সঞ্চয়,পরিবহন এবং পরিচালনা করা অনেক বেশি সুবিধাজনক। বিশেষত অপেক্ষাকৃতভাবে হালকা ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্য দত্তক গ্রহন দ্রুত এবং ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 তবু ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কেবল রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রার উপর দেখায় না। মূত্রাশয়ের রোগ,লিভারের রোগ এবং হার্টের রোগ থেকেও ডায়াবেটিসের হুমকি থাকে। যার কারনে আজ ডায়াবেটিসের ঔষধ কেবল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়েই মনোনিবেশ করে না। পরিবর্তে, তারা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সম্পূর্ণ হোস্টকে অন্যান্য সিস্টেমেটিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সম্বোধন করছে, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের দ্বারা ওষুধ অনুমোদনের প্রক্রিয়া এই নতুন পদ্ধতিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ঔষধের সর্বশেষ উদ্ভাবনটি তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে যে কেবল তার খুব কম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াই নয় এটি ডায়াবেটিসজনিত হার্টের রোগ থেকে অল্প সংখ্যক হাসপাতালে ভর্তি এবং কম মৃত্যুতে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করছে।

🇨🇭 ইনসুলিনের 100 বছরের ইতিহাসে যা ফুটে উঠেছে তা হলো বিজ্ঞান ও চিকিৎসায় কিছু শ্রেষ্ঠ মানুষ দ্বারা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দৃঢ সংকল্পতা এবং দক্ষতা। বুমরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতাল ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনমানের উন্নতির ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হতে পেরে অত্যান্ত গর্বিত। আমরা আমাদের রোগীর চিকিৎসার জন্য সর্বশেষ অগ্রগতি আনার জন্য অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাই,যার ফলে প্রথম শতাব্দীতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত সেই তরুন ছেলেকে ইনসুলিন দিয়ে পুরাতন শিখাটি বহন করে চলেছি।

🇨🇭 ডায়াবেটিসে আশীর্বাদ ইনসুলিন:

🇨🇭 টাইপ-01ডায়াবেটিসে বিটা কোষ সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনো ইনসুলিন থাকে না এবং ইনসুলিন দিয়েই চিকিৎসা করতে হয়।

🇨🇭 ডায়াবেটিস খুব পরিচিত অসুখ। এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই একজন দুইজন ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে। দিনদিন এ রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, এ কথা ধরেই নেওয়া যায়। ডায়াবেটিসের বিভিন্ন প্রকারভেদ আছে। এদের মধ্যে টাইপ-01 এবং টাইপ-02 অন্যতম। আমাদের দেশে টাইপ-02 এর প্রচুর রোগী দেখা যায়।

🇨🇭 টাইপ-01 ডায়াবেটিসের একমাত্র চিকিৎসা ইনসুলিন। এক্ষেত্রে ট্যাবলেট খেলে কোনো কাজ হয় না। আমাদের অগ্নাশয় বা প্যানক্রিয়াস থেকে ইনসুলিন তৈরি হয়। বিটা কোষ থেকে এই ইনসুলিন বের হয়। টাইপ-01 ডায়াবেটিসে বিটা কোষ সব নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে কোনো ইনসুলিন থাকে না এবং ইনসুলিন দিয়েই চিকিৎসা করতে হয়। এক্ষেত্রে ভয়-ভীতি করে কোনো লাভ নেই। এসব রোগীর শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বলে প্রথম থেকেই ইনজেকশন নিতে হয়। তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে 95 শতাংশেরও বেশি ভোগেন টাইপ-02 ডায়াবেটিসে। সাধারণত কম বয়সে টাইপ-01 ডায়াবেটিস হয়।

🇨🇭 মধ্যবয়সের পরে ডায়াবেটিস হলে রোগের পর্যায়ের উপর নির্ভর করে লাইফস্টাইল মেনে ও ওষুধ খেয়ে অনেকটা ভালো থাকা যায়। নিয়ম মেনে চললে অসুখ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এদের অনেকের জীবনের কোনো না কোনো সময় ইনসুলিন লাগে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ রোগীই ইনসুলিন নিতে চান না। অনেকেই সুঁই ভয় পান। ইনসুলিনের কথা শুনে অনেকেই কেঁদেও ফেলেন। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ইনসুলিন নিলে অনেক ভালো থাকা যায়। ওষুধ খেলে বেশি ইনসুলিন নি:সরণ হয়। কিছু ওষুধ আবার ইনসুলিনের কাজ বাড়ায়। কিন্তু ইনসুলিন ইনজেকশন আকারে নিলে সরাসরি কাজ হয়। বর্তমানে যেসব উন্নতমানের সিরিঞ্জ পাওয়া যায়, সেসবে ব্যথা হয় না বললেই চলে।

যেসব হোমিও ঔষধ ও খাবার খেলে পুরুষের লিঙ্গ মোটা হয়

🛑 ইনসুলিন শুরু হলে থামানো যায় না?

✅ ইনসুলিন শুরু করলেই অনেকে ভেবে বসেন, ডায়াবেটিস খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। ব্যাপারটা সবসময় সত্য নয়। অনেকে ভাবেন, ইনসুলিন একবার শুরু করলে আর থামানো যায় না। এ কথাও সত্য নয়। অনেক সময় সাময়িকভাবে ইনসুলিন ব্যবহার করে পরে ট্যাবলেট খাওয়া যায়। কেউ কেউ ইনসুলিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় পান।

✅ কেউ আবার ইনসুলিন নিচ্ছেন বলে নিয়ম-কানুন সব ভুলে গিয়ে অনিয়ম শুরু করেন। বর্তমানে যেসব ইনসুলিন পাওয়া যায় নিয়ম মেনে ব্যবহার করলে সমস্যা খুব কম হয়। তেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এসবের।

🛑 ইনসুলিনে সুগার কমে ওজন নয়!

✅ ইনসুলিন নিলেও খাবারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ইনসুলিন নিলে ওজন বাড়তে পারে। এর সাথে অতিরিক্ত খাবার খেলে ওজন আরও বাড়বে এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি হবে। মনে রাখতে হবে ইনসুলিনে সুগার কমে, কিন্তু ওজন কমে না।

✅ অনেক সময় পর্যাপ্ত ইনসুলিন নেওয়া সত্ত্বেও সুগার ঠিকভাবে কমে না। একে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বলে। এ রকম হলে অর্থাৎ ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স হলে কিছু ওষুধ খেলে বা ব্যায়াম করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ হয়।

✅ বিভিন্ন রকম ইনসুলিন পাওয়া যায়। কোনোটা একবেলা আবার কোনোটা দুইবেলা বা তিনবেলা দেয়া যায়। কার জন্য কোনটা উপযুক্ত বা কার কোনটা লাগবে, সেটা একজন চিকিৎসকই ঠিক করবেন। বর্তমানে পেন সিস্টেমের ইনসুলিন পাওয়া যায়। এসবের ব্যবহার খুব সহজ, আবার খরচও নাগালের মধ্যেই।

🛑 ইনসুলিন ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ নয়:

✅ বাড়িতে ফ্রিজ না থাকলেও ইনসুলিন রাখতে সমস্যা নেই। গরমকালে পাত্রে পানি নিয়ে তার মধ্যে ইনসুলিনের ভায়াল রাখা যায়। শীতে এমনিতেই রাখা যায়। ঘরের তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রির কম হলে একমাস ইনসুলিন ভাল থাকবে। তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, ইনসুলিন ডিপ ফ্রিজে রাখা যাবে না৷

🛑 হঠাৎ রক্তের গ্লুকোজ কমে যাওয়া বিপজ্জনক!

✅ নিয়ম মেনে ইনসুলিন নিলে হঠাৎ রক্তের গ্লুকোজ খুব কমে না। তবে এই অবস্থা বেশ বিপজ্জনক। এই সময় নানারকম শারীরিক সমস্যা হয়। এ রকম হলে চিনি বা গ্লুকোজ পানি খেতে হবে। তাহলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাল হয়ে যাবে। এরপরেও যদি ভাল না হয় বা সমস্যা থাকে, তবে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। দেরি করলে বড় বিপদে পড়তে হবে।

✅ ইনসুলিন বর্তমান সভ্যতার একটি আশীর্বাদ। ডায়াবেটিস রোগীর কোনো ইমারজেন্সি হলে ইনসুলিন দিয়েই চিকিৎসা করা হয়। এই সময় ট্যাবলেট খেয়ে লাভ হয় না, বরং জটিলতা হয়। ইনসুলিন নিলে নিয়ম করে খেতে হবে। চিকিৎসক যেভাবে বলেন সেভাবে চলতে হবে। তবেই পরিপূর্ণভাবে সুস্থ থাকা যাবে।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!