চর্মরোগ ছুলির হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

চর্মরোগ ছুলির হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 মানব দেহের ত্বকের উপরিভাগে ব্রণ, ফুসকুড়ি, অ্যালার্জি, একজিমা বা চুলকানি ইত্যাদি, নানান ধরনের চর্মরোগে হরহামেশাই বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষকে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। কখনো কখনো এটি দীর্ঘমেয়াদি আকার ধারণ করে। বছরের সবসময়ই এই রোগ হতে পারে। শীতকালে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এ সময় শুষ্ক ত্বক ফেটে যায়, আকান্ত স্থান পুরু হয়ে ওঠে, চুলকানির সৃষ্টি হয় এবং ফুসকুড়ি হতে পারে। শরীরের যে কোনো স্থানেই চর্ম রোগ দেখা দিতে পারে। তবে হাত-পা মুখে বা পেটের ত্বকে এ রোগ বেশি দেখা যায়।

🇨🇭 চর্মরোগ অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। কম-বেশি ভুগতে হয় সবাইকে। আর অনেক সময়ই কী করতে হবে সেটা না জানার কারণে দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগতে হয়।

🇨🇭 মাঝে মাঝে ত্বকে মাকড়সার জালের মতো কৈশিক নালী ফুটে ওঠতে দেখা যায়। বিশেষ করে পা, মুখের ত্বক ইত্যাদি সংবেদনশীল ত্বকে এই সমস্যা দেখা যায়। মূলত ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে স্পাইডার ভেইনস বা অ্যাজমাজনিত চর্মরোগ সমস্যা দেখা দেয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এছাড়াও সবজি ও ফল-মূলজাতীয় খাবার খেলে ত্বকের এ সমস্যা কমানো যায়। ত্বক ফেটে গেলে হোমিও ওষুধ পেট্রোলিয়াম সেবন করবেন। আর যদি ফেটে পানি বের হয় তবে হোমিও ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।

🇨🇭 যাদের লিভার বা যকৃতে সমস্যা থাকে তাদের ত্বকে এই ধরনের চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। তাই ত্বকে যদি অতিরিক্ত স্পাইডার ভেইনসের সমস্যা হয় তাহলে দেরি না করে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আমাদের মুখের ত্বকে অনেক তৈল গ্রন্থি রয়েছে। আর বয়:সন্ধির সময়ে ত্বকে তেলের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর সেখান থেকে হয় ব্রণ।

চর্মরোগ ছুলির হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।

🇨🇭 লোম-কপে তেল বেড়ে গেলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। ত্বকে ছোট ছোট লালচে গোটা বা ব্রণ হয়। লোমক‚প বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ত্বকে ব্রণ হতে পারে।
অনেকে ব্রণ হলে সেটি নিয়ে বেশি চাপাচাপি করে থাকেন। ফলে ত্বকে বা চর্মে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। তাই ব্রণ হলে হাত না লাগানোই ভালো। তাছাড়া অতিরিক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। দিনে দুইবার ত্বক পরিষ্কারের জন্য হালকা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

🇨🇭 চর্মরোগ ব্রণের সমস্যা কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসও প্রয়োজন। বাদাম ও শস্যজাতীয় খাবার, ফলমূল, মাছ, সবজি ইত্যাদি খাবার ত্বকের জন্য উপকারি। তাছাড়া ত্বক সুস্থ রাখতে প্রচুর পানি পান করাও জরুরি।
চুলকানিও এক ধরনের চর্মরোগ। একজিমার কারণেও ত্বক লাল হয়ে যায় এবং চুলকানি হয়। শরীরের বিভিন্ন সন্ধিস্থলে মূলত একজিমা বেশি হতে পারে। একজিমা শরীরের ভেতরে ও বাইরে, দুই কারণে হতে পারে। পোকার কামড়, হেয়ার ডাই ব্যবহার বা বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে একজিমা হতে পারে। আবার খুশকি বা এ ধরনের একজিমা হতে পারে অভ্যন্তরীণ কারণে।

🇨🇭 শিশুদের ক্ষেত্রে জন্মগতভাবেই একজিমা হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে জন্মের সময়ই একজিমা দেখা যায়। এতে করে বাচ্চাদের গাল লাল হয়ে যায় এবং ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এদের গোসল করানোর সময় সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। আর তাদের ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। অনেক সময় পোকার কামড় বা একজিমার প্রদাহ হলে জীবাণুনাশক তরল বা ক্রিম ব্যবহার করা হয়। তবে এটি করা উচিত নয়। বরং লাল হয়ে যাওয়া স্থানে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

🇨🇭 ছত্রাক জনিত চর্মরোগে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাসকারীরাই বেশি ভোগেন। তবে ইদানীং অনেকইকে ভুগতে দেখা যায়। শুকনো চুলকানিতে হোমিও ওষুধ আর্সেনিক আয়োড সেবন করে উপকার পাবেন। আর যদি আক্রান্ত স্থান হতে পানি বের হয় তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।

🇨🇭 পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা, নিয়মিত গোসল করা, আক্রান্ত স্থানকে ধুলাবালি ও জীবাণুমুক্ত রাখা, গমর ও ধুলোবালি এড়িয়ে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যারা দ্রæত অরোগ্য লাভ করতে চান তারা চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করবেন। ইনশাল্লাহ চর্মরোগ সেরে যাবে। বেশি সমস্যা মনে হলে আজই অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। চর্মরোগ হোমিও চিকিৎসায় সহজেই নিরাময়যোগ্য।

চর্মরোগ ছুলির হোমিও চিকিৎসা | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
🇨🇭 সোরা মায়াজমের লক্ষণসমূহ:

🇨🇭 সোরার মানসিক লক্ষন: দার্শনিকের ন্যায় সর্বদা চিন্তা করে এবং অপরিস্কার, অপরিচ্ছন্ন, অগোছাল থাকার প্রকৃতি। ছেঁরা কাঁথায় শুয়ে রাজা হবার স্বপ্ন দেখে। ভীতু, কৃপন, স্বার্থপর, অলস্যপ্রিয়, ব্যস্তবাগীশ। সর্বদা অস্থির একস্থানে স্থির থাকতে পারে না। ধপাস করে এক স্থানে বসে পরে। ঈর্ষাপরায়ন, বকধার্মিক, হটকারিতায় পটু এবং হুকুম দেওয়া তার নৈমিওিক স্বভাব। গোসলে অনিচ্ছা এবং নিজের শরীরে দুর্গন্ধ নিজের নাকে শুকিয়ে দেখা তার অভ্যাস। ( নাসিকা স্রাব, কানে গন্ধ ইত্যাদি )।

🇨🇭 সোরার সার্বদৈহিক লক্ষণ: যান্ত্রিক কোন পরিবর্তন না ঘটিয়ে য়ুতন্ত্রের উপর ক্রিয়া করে মানসিক এবং শারীরিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে থাকে। সমস্ত শরীরে জলা বিশেষত: হাত-পা ও মাথার তালুতে। প্রাত:কালে মলত্যাগের বেগ এবং মধ্যাহেৃর পুর্বে প্রচন্ড ক্ষুধার অনুভুতি। প্রায় সবসময় খোঁস-পাচড়া লেগেই থাকে। গোছলে অনিচ্ছা ও দুগ্ধে অরুচি। প্রচন্ড শীতেও মাথা ও পা ঢেকে ঘুমাতে পাড়ে না। ঠোট, নাসারন্ধ ও শরীরের বহির্গমনের ছিদ্রপথগুলি রক্তিম আকার ধারণ করে।

🇨🇭 সোরার কথা ও কাজকর্মের প্রকৃতি: সোরা রোগী সর্বদা অস্থির, চঞ্চল। কোন কাজ কর্মেও মধ্যে স্থিরতা নাই। সব কিছুর মধ্যে তড়িঘড়ি ভাব, কথাবর্তা, কাজ কর্ম, খাওয়া দাওয়া, উঠা বসা, এমন কি ঘুমের মধ্যেও স্থির থাকতে পারে না। গান বাজনা খুব পছন্দ করে।

🇨🇭 সোরার দোষসৃষ্টির কারণ: দু:শ্চিন্তা হতে চর্ম রোগের সৃস্টি হতে পারে। চর্ম রোগ চাপা পড়েও সোরার দোষ সৃষ্টি হতে পারে। পূর্ব পুরুষ হতেও সোরার আবির্ভাব হতে পারে। আসলে পৃথিবী সৃষ্টির পর ধেকে সোরার জন্ম।

🇨🇭 সোরার জিহ্বার স্বাদ: মিষ্টি, টক ও বিস্বাদ তিক্ত হয়।

🇨🇭 সোরার ক্ষুধার অবস্থা: অত্যাধিক ক্ষুধা, রাতে উঠে খেতে চায়। আহারের পরেই ক্ষুধা, ক্ষুধার জন্য অস্থির, শুন্যতাবোধ, বিশেষ করে সকাল 10/11 টার সময়।

🇨🇭 সোরার খাদ্য পছন্দ অপছন্দ ও অসহ্য: মিষ্টি, টক খেতে ইচ্ছে করে, গরম খাবার খেলে ভাল থাকে। গর্ভাবস্থায় অস্বাবাভিক খাদ্য খেতে চায়। তৈলাক্ত খাবার খেতে চায় কিন্তু সহ্য হয় না, দুধ খেতে চায় না এবং সহ্যও হয় না।

🇨🇭 সোরার শেষ আক্রমণের স্থান: স্নায়ূ মন্ডলী, চর্ম, মন, মস্তিস্ক ও পরিপাকতন্ত্র।

🇨🇭 সোরার ঘুমের অবস্থা: ঘুম পাতলা, উঁচু বালিশে শুইতে চায়, সাধারনত কপালে হাত রেখে ঘুমায়।

🇨🇭 সোরার স্বপ্নের অবস্থা: স্বপ্নের মধ্যে গান গায়, বোবায় ধরে, জীব জন্তু, ভুত-প্রেত মৃত ব্যক্তি, মলমুত্র ত্যাগ ও আগুন ইত্যাদি স্বপ্ন দেখে।

🇨🇭 সোরার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ:
হস্ত পদের তলা গরম, শুস্ক ও জালা যুক্ত, ব্যথা বেদনা থাকে। জ¦লা বিশেষত হাত, পায়ের তালু এবং মাথায়। অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা, বেদনা নড়াচড়ায় উপশম বোধ করে।

আরো পড়ুনঃ  দাদ বা রিংওয়ার্ম Homeo হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 সোরার নখসমূহ: নখ বড় করে রাখে। তার নোংরা স্বভাবের জন্য ময়লা জমে থাকে।

🇨🇭 সোরার চর্মরোগ প্রবণতা: চর্মে সাধারনত: পুঁজ, জন্মে না অত্যন্ত সুখানুভুতীয়ুক্ত চুলকানীর পর জালা। স্বল্প পুঁজ, চর্ম শুস্ক, সহজে ক্ষত শুকিয়ে যায়। সোরার মামড়ী পাতলা, সরু, সুক্ষ, ক্ষুদ্র, চুলকানীতে জালা থাকে। পানিতে এবং বিছানার গড়মে বৃদ্ধি দেখাযায়। চর্মরোগ প্রায়ই লেগে থাকে।

🇨🇭 সোরার ঘর্ম প্রবণতা: সোরর রোগী ঘর্মে উপশম বোধ কওে, ঘুমের পর, আহারের পর ঘর্ম এবং দুর্গন্ধ থাকে।

🇨🇭 সোরার দৈহিক গঠন ও আকৃতি: ঘাড়টি কুঁজ, উস্ক, শুস্ক চেহারা, অপরিস্কার মুখমন্ডল, চুলগুলি আগোছাল ও অকালে চুলে পাক ধরে, মুখ মন্ডল অরক্তিমাভ, চর্ম রোগের প্রাবল্য, শরীরের বহির্গমনের ছিদ্রপথগুলি রক্তিম যেমন ঠোট, নাসারন্দ্র ও মলদ্বার।

🇨🇭 সোরার হ্রাস-বৃদ্ধি: প্রাতঃ কালে, বেলা 10-11 টার সময় হতে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত এবং সুর্যেও তাপে বৃদ্ধি দেখা যায়। অগ্নিতাপে রোগের উপশম হয়, পর্যাক্রমে বা নির্দিষ্ট সময় অন্তর রোগের আক্রমণ সোরা দোষ লক্ষণ।

🇨🇭 সোরার রোগ সমূহ: মানসিক দু:শ্চিন্তা ও কু-মনয়ন হতে কু-প্রবৃতি, চুলকানী, বিসর্গ, পক্ষাঘাত, হিষ্টিরিয়া, গর্ভপাত, এপেন্ডিসাইটিস, বেরিবেরি, রক্তস্রাব, বসন্ত, কলেরা, উদরাময়, খুসকী, লিউকেরিয়া, সোরাইসিস, সায়েটিকা, চর্মরোগ প্রবণতা ইত্যাদি।

🇨🇭 সোরার ঔষধ সমূহ: সালফার, সোরিনাম, সিপিয়া, সাইলি, এলোমি, ল্যাক, আর্স, লাইকো, ক্যাপসি, নেটমিউর, সেলিনি, ডালকা, ক্রোটেল, নেটসালফ, এমন মিউর, জিঙ্ক, এলো, হিপার, আর্স সালফ, এনাকার্ড, এসিড ফস, এসিড ফ্লোর, ফসফর, গ্রাফা, হাইড্রা, ক্যা-কার্ব ইত্যাদি।

🇨🇭 ছুলি কিন্তু ছোঁয়াচে!
বাচ্চা থেকে বড় সকলেরই হতে পারে এই রোগ। উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্র চিকিৎসা শুরু করুন। তা হলে রোগ সারবে তাড়াতাড়ি।
এটি এক ধরনের ফাঙ্গাসজনিত চর্মরোগ।

🇨🇭 ছুলি বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গায়ের লালচে, বাদামি, সাদা দাগ। এটি এক ধরনের ফাঙ্গাসজনিত চর্মরোগ, যা নানা কারণে হতে পারে। অনেকের কিছু দিনেই ঠিক হয়ে যায়, আবার কারও ক্ষেত্রে রোগটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। গরম ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বেশি হতে দেখা যায়। ঘাম ও ভেজা শরীর ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। যাঁরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন, তাঁদের ছুলি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

🇨🇭 কী কী কারণে ছুলি রোগটি হতে পারে?

🇨🇭 উত্তপ্ত, আর্দ্র আবহাওয়া, তৈলাক্ত ত্বক, হরমোনের পরিবর্তনকেই ছুলির কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে, ডায়াবিটিস বা ক্যানসার জাতীয় কঠিন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরও রোগটি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া রোগটি কারও মধ্যে দেখা দিলে সেই ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও সংক্রমণ হতে পারে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সন্দীপন ধর বলছেন,‘‘ছুলি কিন্তু ছোঁয়াচে। একজনের ব্যবহার করা জিনিস থেকে আর-একজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক সম্ভাবনা রয়েছে। বাচ্চার মুখে, গালে ছুলি হলে তার গাল-মুখ ধরে আদর করলে সেখান থেকেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ট্রিটমেন্ট শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যেই চর্মরোগটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তখন আর তা সংক্রামক হয় না। একবার হলে ছুলি প্রতিবছর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, ঠিক যেমনটি অন্যান্য ছত্রাক জাতীয় অসুখে দেখা দেয়।’’

🇨🇭 ছুলির ধরন কিন্তু বাচ্চা ও বড়দের ক্ষেত্রে আলাদা-আলাদা হয়। শিশু বা কমবয়সিদের মুখের চারপাশে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। আর বয়স্কদের ক্ষেত্রে পিঠে, বুকে, ঘাড়ে এবং হাতের চারপাশে দেখা দেয়। অনেক সময়েই এগুলো চুলকায়, ব্যক্তিবিশেষে তার প্রবণতা বেড়ে যায় ও খসখসে হয়ে দাগটি ধীরে ধীরে আশপাশের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে। সঙ্গে ত্বকের রঙের বদল ঘটতে পারে। এই দাগের ধরন রোগীর স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে হালকা বা ডার্ক কালারের হয়। সে সঙ্গে ত্বকের রোমগুলিও একই বর্ণ ধারণ করে।

🇨🇭 সাধারণত আক্রান্ত অংশটি দেখেই রোগটি নির্ণয় করা যায়। তবে প্রয়োজনে ত্বকের ফাঙ্গাস পরীক্ষার মাধ্যমে ছুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় আরও সহজেই। ছুলিকে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসার জন্য চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আবহাওয়ার বদল, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় থাকার জন্য কিংবা ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাবের জন্য এটি দেখা দিলে সামান্য চিকিৎসাতেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন রোগী। চিকিৎসার জন্য সেলেনিয়াম সালফাইড সাবান, শ্যাম্পু বা ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। আক্রান্ত অংশে সেলেনিয়াম সালফাইড সপ্তাহে একবার করে তিন থেকে চার সপ্তাহ ধরে লাগালেই ছুলির উপশম সম্ভব। তবে সমস্যাটি আরও জটিল হলে পাঁচ থেকে সাতদিন ছত্রাকনাশক ওষুধ খেতে হবে। তবে এর পরও চর্মরোগটি দীর্ঘস্থায়ী হলে সত্বর চিকিৎসককে জানাতে হবে।

🇨🇭 ‘‘ছুলি থেকে মুক্তি মিললেও, তিন থেকে ছ’মাস দাগগুলো রয়ে যেতে পারে। তাই দাগ দূর না হলে বিভ্রান্ত হবেন না। আর ওই দাগকে শ্বেতী বলে ভুল করবেন না বা ভয় পাবেন না। জেনে রাখুন, ছুলির সঙ্গে শ্বেতীর কোনও সম্পর্ক নেই।’’

🇨🇭 সমস্যা থেকে দূরে থাকার উপায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন নিজেকে। সাধারণত সকলেরই নিজের যত্ন নেওয়া উচিত যাতে শুধু ছুলিই নয়, অন্যান্য ছত্রাকজনিত রোগও যেন না হয়। দিনে দু’বার স্নান জরুরি। শরীরে ঘাম বসতে দেবেন না। বাচ্চাকেও তাই রোজ স্নান করাবেন। গরমে সুতির পোশাক পরুন। ঘর্মাক্ত পোশাক না কেচে দ্বিতীয়বার পরবেন না। তাই নিয়মিত জামাকাপড়, রুমাল, তোয়ালে, বিছানার চাদর কাচবেন। আর এই রোগটি কারও মধ্যে দেখা দিলে তার ব্যবহৃত কোনও জিনিস কোনও ভাবেই ব্যবহার করবেন না।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
🇨🇭 ছুলি (Frecle) এর হোমিও চিকিৎসা।

🇨🇭 এক রকম চর্মরোগ। ইংরাজী নাম পিটাইরিয়াসিস ভার্সিকালার ( Pityriasis Versicolor ) বা টিনিয়া ভার্সিকালার ( Tinea Versicolor )। গ্রীষ্মকালে বেশী হয়। চমড়ায় ঘাম বেশী জমা হলে ম্যালাসেজিয়া ফারফার ( প্রাক্তন নাম পিটাইরোস্পোরাম অরবিক্যলার ) নামের ঈস্ট খুব বৃদ্ধি পায়। এই ঈস্ট সাধারণ চামড়াতেও থাকতে পারে কিন্তু বেশী হলে তা শরীরে ছোপ ছোপ সাদা দাগের সৃষ্টি করে, গরমে চুলকানী বাড়ে, ইহাই ছুলি ( ছলম বা ছৈদ )।

🧪 Acid Nit: রোগী শীতকাতর, ঠোঁটের কোনে ঘা, মুখে মাঝে মাঝেই ঘা উঠে, ঘুমের ঘোরে মুখ থকে দুর্গন্ধ লালা পড়ে, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকে। 200 শক্তি উপকারী।

🧪 Arsenic Alb: সৌখিন পরিচ্ছন্ন শীতকাতর রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানের ছুলি। 200 – 1 M. শক্তি।

🧪 Psoralia Cory: ছুলির জন্য কার্যকরী একটি ঔষধ। 06-30 শক্তি সেব্য এবং Q শক্তি ব্যবহার্য।

🧪 Sulpher: অপ্রিচ্ছন্ন নোংরা স্বভাবের রোগীদের ছুলি। 30 শক্তি। পুরনো হলে 200 – 1M শক্তি ফলপ্রদ।

🧪 বায়োকেমিকঃ Kali Mur, Nat.Mur 12x – 200x শক্তি ছুলির জন্য অব্যর্থ।

ডাঃ মাসুদ হোসেন
ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!