খতনা করালে লিঙ্গে ক্যান্সার হয় না! | লিঙ্গে চুলকানি হলে হোমিও চিকিৎসায় ভাল হয়!

খতনা করালে লিঙ্গে ক্যান্সার হয় না! | লিঙ্গে চুলকানি হলে হোমিও চিকিৎসায় ভাল হয়!

🇨🇭 পেনাইল ক্যান্সার একটি রোগ, যাতে পেনিস বা লিঙ্গের টিস্যুতে ম্যলিগন্যান্ট বা ক্যান্সারযুক্ত কোষগুলির অনিয়ন্ত্রিতভাবে সংখ্যাবৃদ্ধি হয়। এটি একটি বিরল ধরণের ক্যান্সার, যা চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষদের মধ্যে দেখা যায়।

🇨🇭 পুরুষাঙ্গের যেকোনো স্থানে ক্যান্সার হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি হয় পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া অথবা মাথায় ( লিঙ্গমুণ্ডুতে )। সাধারণত এই ক্যান্সার ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসায় সেরে যায়।

🇨🇭 আমেরিকায় লিঙ্গ বা পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার খুব বিরল। প্রতি ( 1 ) লাখ পুরুষের মধ্যে মাত্র একজন বা দু’জন। যেসব ছেলেশিশুর খতনা করা হয়েছে তাদের মধ্যে লিঙ্গের ক্যান্সার নেই বললেই চলে। বাংলাদেশে অনেক পুরুষের লিঙ্গের ক্যান্সার দেখা দেয়, বিশেষ করে যেসব পুরুষের খতনা করানো হয় না।

🇨🇭 দু:খজনক ব্যাপার হলো কিছু পুরুষ ক্যান্সার ছড়িয়ে যাওয়া না পর্যন্ত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন না।

🇨🇭 প্রায় সব লিঙ্গের ক্যান্সার হলো ত্বকের ক্যান্সার। এর সবচেয়ে সাধারণ ধরনটি হলো স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, যার সাথে ত্বকের অন্য অংশের যেমন মুখ বা হাতের স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমার মিল রয়েছে। কিছু লিঙ্গের ক্যান্সার হলো মেলানোমো, যেগুলো নীল-বাদামি চ্যাপ্টা গ্রোথ হিসেবে আবির্ভূত হয় এবং যার প্রবণতা থাকে দ্রুত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার। মাঝে মাঝে লিঙ্গের গভীর টিস্যুতে ক্যান্সার হয়। এটার নাম সারকোমা। ত্বকের যে জায়গায় প্রথম ক্যান্সার দেখা দেয়, সে জায়গায় ক্যান্সার ধীরে ধীরে বড় আকারে ছড়াতে থাকে। শেষ পর্যন্ত এটা লিঙ্গের শরীরের ভেতরে গভীর টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়ে এবং কুঁচকির লিম্ফনোডগুলোতে বা তলপেটে ছড়িয়ে যায়।

🇨🇭 যদি ক্যান্সার শুধু লিঙ্গে সীমাবদ্ধ থাকে এবং আশপাশে কুঁচকি এলাকার লিম্ফনোডে ছড়িয়ে না পড়ে, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারানো যেতে পারে। কিন্তু ক্যান্সার যদি একবার তলপেটের লিম্ফনোডে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা আর সারানো সম্ভব হয় না। একবার লিঙ্গের ক্যান্সার ধরা পড়লে, তা লিঙ্গ থেকে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে কি না তা নিরূপণ করার জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।

খতনা করালে লিঙ্গে ক্যান্সার হয় না! | লিঙ্গে চুলকানি হলে হোমিও চিকিৎসায় ভাল হয়!

🇨🇭 ক্যান্সার ছড়ানোর বিভিন্ন স্তর রয়েছে:

🩸 স্তর 01: ক্যান্সার কোষ কেবল লিঙ্গের মাথায় ও মাথার চামড়ায় দেখা যায়।

🩸 স্তর 02: ক্যান্সার কোষ লিঙ্গের মাথার গভীর টিসুতে দেখা যায় এবং কোষগুলো লিঙ্গের শরীরে ছড়িয়ে যায়।

🩸 স্তর 03:ক্যান্সার কোষগুলো লিঙ্গে দেখা যায় এবং কেষাগুলো কুঁচকি এলাকার লিম্ফনোডগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

🩸 স্তর 04: ক্যান্সার কোষগুলো সমস্ত লিঙ্গে এবং কুঁচকির লিম্ফনোডগুলোতে দেখা যায় এবং শরীরের অন্য অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

🇨🇭 লিঙ্গের ক্যান্সারের কারণ ও ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো:

যেসব পুরুষের জন্মের সময় খতনা করা হয়, তাদের অধিকাংশেরই পরে কখনো লিঙ্গের ক্যান্সার হয় না।

🇨🇭 বয়:সকিালে খতনা করালে পরে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি থাকে, আর যেসব পুরুষ প্রাপ্ত বয়স্ককালে খতনা করান, তাদের লিঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি যারা কখনোই খতনা করাননি, তাদের চেয়ে মোটেই কম নয়।

🇨🇭 সাধারণ অর্থে লিঙ্গের ক্যান্সার হলো­ অপরিচ্ছন্নতার অসুখ। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, লিঙ্গের মাথার চামড়ার নিচে জমে থাকা কোষগুলো ( স্মেগমা ) চুলকানি বা জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে এবং ক্যান্সার ঘটায়।

🇨🇭 যেসব পুরুষের যৌনাঙ্গে ভাইরাসজনিত আঁচিল হয় তাদের লিঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার অনেক ঝুঁকি থাকে। ভাইরাসজনিত আঁচিল ( কনডাইলোমা অ্যাকুমিনাটা ) এবং লিঙ্গের ক্যান্সারের মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ভাইরাস ( হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস-টাইপ 16 ও 18 ) কনডাইলোমাটা এবং লিঙ্গের ক্যান্সার ঘটায়। এসব হিউমান প্যাপিলোমা ভাইরাস ( HPV ) মহিলাদের ভেতরেও দেখা যায়­ যাদের জরায়ু মুখের ক্যান্সার রয়েছে।

🛑 যে মহিলার জরায়ু মুখের ক্যান্সার রয়েছে, সেই মহিলার সাথে কোনো খতনা না করানো পুরুষ যৌনমিলন করলে সেই পুরুষের লিঙ্গে ক্যান্সার হওয়ার উচ্চ ঝুঁকি থাকে।

খতনা করালে লিঙ্গে ক্যান্সার হয় না! | লিঙ্গে চুলকানি হলে হোমিও চিকিৎসায় ভাল হয়!

🇨🇭 লিঙ্গের ক্যান্সারের উপসর্গ:

🩸 যৌনাঙ্গের ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পায় এর ত্বকেই, লক্ষণগুলো:

  • 🩸 ত্বকে গুটি ওঠে যা 4 সপ্তাহ পরও ভালো হয় না। এটাকে অনেকটা আঁচিল, আলসার বা ফোস্কার মতো দেখা যায়।
  • 🩸 যৌনাঙ্গের ভেতর থেকে বা ত্বক থেকে রক্ত বের হওয়া।
  • 🩸 এমন কিছু বের হওয়া যার গন্ধ বিদঘুটে।
  • 🩸যৌনাঙ্গে ফোরস্কিন টেনে নামাতে না পারা।
  • 🩸 র‌্যাশ বা ফুসকুরি ওঠা।
  • 🩸 যৌনাঙ্গের রং বদলে যাওয়া।
  • 🩸 কুঁচকিতে মাংসপিণ্ড দেওয়া দেওয়া।
  • 🩸 ক্লান্তি বোধ করা।
  • 🩸 পেটে ব্যথা হওয়া।
  • 🩸 হাড়ে ব্যথা।
  • 🩸 ওজন কমতে থাকা।

🇨🇭 রোগ নির্ণয়:

শারীরিক পরীক্ষার সময়, আপনার চিকিত্সক আপনার লিঙ্গটি দেখবেন এবং উপস্থিত যে কোনও গলদা, জনতা বা ঘা দেখাবেন। যদি ক্যান্সারের সন্দেহ হয় তবে আপনার ডাক্তার সম্ভবত বায়োপসি করবেন, একটি বায়োপসি লিঙ্গ থেকে ত্বক বা টিস্যু একটি ছোট নমুনা অপসারণ জড়িত। ক্যান্সার কোষ উপস্থিত কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য নমুনাটি বিশ্লেষণ করা হয়।

🇨🇭 যদি বায়োপসি ফলাফলগুলি ক্যান্সারের লক্ষণগুলি দেখায়, আপনার ডাক্তার ক্যান্সারটি ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা দেখতে একটি সিস্টোস্কোপি করতে চাইতে পারেন। সিস্টোস্কোপি একটি পদ্ধতি যা সিস্টোস্কোপ নামে একটি যন্ত্র ব্যবহার জড়িত। একটি সিস্টোস্কোপ হ’ল একটি পাতলা নল যা একটি ছোট ক্যামেরা ।

🇨🇭 সিস্টোস্কোপির সময় আপনার ডাক্তার আলতো করে লিঙ্গ খোলার মধ্যে এবং মূত্রাশয়ের মাধ্যমে সিস্টোস্কোপটি আলতোভাবে প্রবেশ করান। এটি আপনার ডাক্তারকে লিঙ্গ এবং আশেপাশের কাঠামোগুলির বিভিন্ন অঞ্চলগুলি দেখতে দেয়, ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা সম্ভব করে।

🇨🇭 কিছু ক্ষেত্রে, লিঙ্গটির একটি MRI Scan, কখনও কখনও তা নিশ্চিত করার জন্য পরিচালিত হয় যে ক্যান্সারটি পুরুষাঙ্গের গভীর টিস্যুগুলিতে আক্রমণ করেছে না।

খতনা করালে লিঙ্গে ক্যান্সার হয় না! | লিঙ্গে চুলকানি হলে হোমিও চিকিৎসায় ভাল হয়!

🇨🇭 লিঙ্গে চুলকানি হয় কেন? লিঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়:

  • 🩸নারিকেল তেলের ব্যবহার।
  • 🩸 লিঙ্গ ঠান্ডা রাখা।
  • 🩸 লবণ পানিতে গোসল।
  • 🩸 সাবান জাতীয় পদার্থ ব্যবহার পরিহার।
  • 🩸 আপেল সিডার ভিনেগার।
  • 🩸 যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা।
  • 🩸 লিঙ্গে চুলকানির চিকিৎসা।
  • 🇨🇭 লিঙ্গে চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়?
  • 🩸সাবানের ব্যবহার পরিহার।
  • 🩸 লিঙ্গের মাথার চামড়া পরিষ্কার করা।
  • 🩸 যৌন মিলনে কনডম ব্যবহার।
  • 🩸 গুপ্তাঙ্গের লোম শেভে সচেতনতা।
  • 🩸খতনা করানো।
  • 🩸 ভালো স্বাস্থ্যবিধ মেনে চলা।
আরো পড়ুনঃ   ❤ লিঙ্গের মাথা – Glans Penis এর রোগ | হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

🇨🇭 কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

🩸 আমাদের অনেকেরই লিঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে। এ চুলকানি এমনিও হতে পারে আবার কোন কিছুর সংস্পর্শে ও সংক্রমণে হতে পারে। পুরুষাঙ্গে চুলকানি হওয়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে ইনফেকশন, সোরিয়াসিস ও ব্যালানাইটিস ।

🩸 এছাড়াও লিঙ্গে চুলকানি হওয়ার বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে। চুলকানির ধরনের উপর নির্ভর করছে তার জন্য কী ধরনের চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

🩸 লিঙ্গে চুলকানি হলে সবসময় অস্বস্তিকর বোধ হয়। কেননা জনসম্মুখে যৌনাঙ্গ চুলকানো বিষয় টা আপত্তিকর লাগে। তবে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লিঙ্গের চুলকানি কমানো সম্ভব। এটি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেট ইনফেকশন ( STI – Sexually Transmitted Infection ) এর লক্ষণও হতে পারে। অর্থাৎ যৌন সংক্রামক সংক্রমণ। এছাড়াও আরো কিছু কারণ থাকতে পারে পেনিসে চুলকানি হওয়ার।

🇨🇭 লিঙ্গে কোথায় চুলকানি হয়?
চুলকানি লিঙ্গের সম্পূর্ণ জায়গা জুড়ে হতে পারে। লিঙ্গের গোড়ার দিকে অথবা লিঙ্গের মাথায়ও হতে পারে। অনেক সময় এটি অন্ডকোষে ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্ডকোষে চুলকানি হয়।

🇨🇭 লিঙ্গে চুলকানি হওয়ার কারণ?
বিভিন্ন ধরনের যৌন সংক্রামক সংক্রমণ বা ছত্রাক সংক্রমণ হয়। এসবের কারণে লিঙ্গে চুলকানি হতে পারে। এসবের ভেতরে যেগুলো থাকতে পারে:

🩸ক্যানডিডিয়াসিস (Candidiasis) : ছত্রাক সংক্রমণের কারণে এটি হয়। ক্যানডিডিয়াসিস লিঙ্গের আগায় জ্বালা তৈরি করে চুলকানির কারণ হতে পারে। এসময় চুলকানির সাথে সাথে ফুসকুড়ি বা সাদা দাগ দেখা দিতে পারে।

🩸জেনিটাল ওয়ার্টস বা যৌনাঙ্গে আঁচিল ( Genital Warts ): একটি নির্দিষ্ট HPV – Virus অর্থাৎ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট যৌন সংক্রামক সংক্রমণ। সাদা, ফ্যাকাশে হলুদ, গোলাপি-লাল, বাদামি সহ বিভিন্ন রঙের হয়ে চামড়ার ওপর দেখা দিতে পারে। যার ফলে পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে।

🩸সোরিয়াসিস ( Psoriasis ): ত্বকে বা চামড়ায় প্রদাহ সৃষ্টিকারী একটি অবস্থা। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সহ যেকোনো জায়গায় হতে পারে। এটি পুরুষাঙ্গের গোড়ায় বা লিঙ্গের আগায় আঁশযুক্ত দাগের মতো প্রদর্শিত হতে পারে।

🩸কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস ( Contact Dermatitis ): যৌনাঙ্গ যখন কোন কিছুর সংস্পর্শে আসে এবং অ্যালার্জিজনিত সমস্যা তৈরি হয় তখন তাকে কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস বলে। ব্যবহৃত গয়না, পোশাক বা প্রসাধনী থেকে কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস ঘটতে পারে। ল্যাটেক্স কনডম ব্যবহারের ফলে লিঙ্গে কন্ট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস হতে পারে এবং চুলকানির কারণ হতে পারে।

🩸স্ক্যাবিস ( Scabies ): Sarcoptes Scabei – জীবাণু দ্বারা সংঘটিত একপ্রকার চর্ম জনিত রোগ। এটি যৌনাঙ্গ সহ পুরো শরীরে হতে পারে। হাত, পা, শরীর এবং যৌনাঙ্গে ছোট ছোট গুটির মত এটি দেখা দেয়।

🩸জেনিটাল হার্পিস বা যৌনাঙ্গে আঁচিল ( Genital Herpes ): হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ( HSV ) এর কারণে এটি ঘটে। এটিও যৌন সংক্রামক রোগের মধ্যে একটি। লিঙ্গ, মলদ্বার, উরু এসব জায়গায় এটি ফোস্কার মত দেখা দেয়। এটির কারণেও পুরুষাঙ্গে চুলকানি হতে পারে।

🩸একজিমা ( Eczema ): আঞ্চলিকভাবে এটি বিখাউজ নামে পরিচিত হলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এর নাম এটপিক ডার্মাটাইটিস ( Atopic Dermatitis ) এটি একটি চর্মরোগ যা আক্রান্ত স্থানে চুলকানি সহ পুঁজের মতো রস হতে পারে।

🩸ব্যালানাইটিস ( Balanitis ): এটি সাধারণত লিঙ্গের ডগায় আক্রমান করে। ব্যালানাইটিস এর উপসর্গ হলো চুলকানি এবং লিঙ্গের আগায় প্রস্রাবের সময় ব্যথা।

🇨🇭 লিঙ্গের চুলকানি দূর করার ঘরোয়া উপায়:
আপনার যদি লিঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে এবং ঘরে বসে চুলকানি কিছুটা উপশম করতে চান তাহলে যে কাজগুলো করতে পারেন:

✅ নারিকেল তেলের ব্যবহার চুলকানির স্থানে নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার ত্বকের কিছুটা উন্নতি করবে পাশাপাশি চুলকানি কিছুটা কমাতে পারে।

✅ লিঙ্গ ঠান্ডা রাখা চুলকানির তীব্রতা যখন বেড়ে যায় তখন তীব্রতা কমাতে কিছুটা বরফ বা ঠান্ডা পানি দিয়ে চুলকানি স্থান শীতল করে নিতে পারেনা। বিশেষ করে রাতে যখন পুরুষাঙ্গের চুলকানি অতি মাত্রায় বেড়ে যায় তখন এটি বেশ কার্যকর।

✅ লবণ পানিতে গোসল গোসলের পানিতে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে ( 4 টেবিল চামচ প্রায় ) সেই পানিতে গোসল করুন। তা না হলে বেশ কিছুক্ষণ সেই পানিতে শরীর চুবিয়ে বসে থাকতে হবে। এভাবে করলে জীবাণু ধ্বংস হতে পারে।

✅ সাবান জাতীয় পদার্থ ব্যবহার পরিহার: চুলকানি সময় সাবান বা রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ ব্যবহার থেকে বিরত থাকা। এগুলো ব্যবহারের ফলেও চুলকানি পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। সাবান দিয়ে পরিষ্কারের পরিবর্তে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

✅ আপেল সিডার ভিনেগার পানি গরম করে তাতে কিছু পরিমাণ আপেল সিডার ভিনেগার যোগ করতে হবে। সেই পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিলে চুলকানি থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

✅ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা লিঙ্গে চুলকানি অবস্থায় যৌন মিলন করা থেকে বিরত থাকা। যা আপনাকে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেট ইনফেকশন অর্থাৎ যৌন সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

পুরুষাঙ্গের রগ ফুলে যাওয়া এবং পুরুষাঙ্গ না দাঁড়ানোর কারণ কি?

🇨🇭 লিঙ্গে চুলকানির চিকিৎসা:

আপনি গোপনাঙ্গে চুলকানির শিকার হয়েছেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি দেখতে না পেলে অবশ্যই একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের এর কাছে যাবেন। সে আপনাকে কিছু উপযুক্ত পরামর্শ দিবে। যাইহোক, লিঙ্গে চুলকানির উৎস অর্থাৎ মূল কারণ খুঁজে বের করতেও একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে যাওয়া জরুরি। চুলকানির ধরনের উপরে নির্ভর করছে আপনার কি ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন।

🇨🇭 লিঙ্গে চুলকানি প্রতিরোধে করণীয়?

✅ সাবানের ব্যবহার পরিহার চুলকানি হলে সাবান জাতীয় পণ্যের ব্যবহার পরিহার করতে হবে। এগুলো চুলকানির স্থানে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

✅ লিঙ্গের মাথার চামড়া পরিষ্কার করা: খতনা ছাড়া অর্থাৎ লিঙ্গের সামনে চামড়া যেটা লিঙ্গের আগাকে ঢেকে রাখে। এই চামড়ার নিচে ভালোভাবে পরিষ্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানকার ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া চুলকানি এবং অস্বস্তিকর অবস্থা তৈরি করতে পারে।

✅ যৌন মিলনে কনডম ব্যবহার সেক্সচুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন ( STI ) অর্থাৎ যৌন সংক্রামক সংক্রমণের মাধ্যমেও চুলকানি ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই এ অবস্থায় সেক্স করার পূর্বে কনডম ব্যবহার করা জরুরি।

✅ গুপ্তাঙ্গের লোম শেভে সচেতনতা: গুপ্তাঙ্গের লোম সেভ করার ক্ষেত্রেও লক্ষ্য রাখতে হবে একটি ব্লেড বা ক্ষুর একজনের জন্যই ব্যবহার করা। প্রয়োজন ব্যতীত একই জায়গা বারবার শেভ করা থেকে বিরত থাকা।

✅✅ খতনা করানো:
গবেষণায় দেখা গেছে খতনা করানো চুলকানি প্রতিরোধমূলক হিসেবে কাজ করে। কেননা ‘ব্যালানাইটিস’ লিঙ্গের সামনের অংশের চামড়ার কারণে হয়ে থাকে।

✅ ভালো স্বাস্থ্যবিধ মেনে চলা সবশেষে অবশ্যই ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলা উচিত। নিয়মিত গোসল করা, লিঙ্গ এবং আশেপাশের অঞ্চল ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা উচিত। সাবান ব্যবহার করলে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধুয়ে ফেলা নিশ্চিত করতে হবে।

🇨🇭 কখন ডাক্তারের কাছে যেতে হবে?

✅ চুলকানি যদি অতিমাত্রায় বেড়ে যায় এবং ব্যথা, রক্তক্ষরণ বা ফোসকার মত অবস্থা সৃষ্টি হয় তাহলে তাৎক্ষণিক ডাক্তারের নিকট শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

✅ ডাক্তার প্রয়োজনে পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে চুলকানির মূল উৎস নির্ধারণ করবে এবং চুলকানির কারণ ও ধরন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করবে। এক্ষেত্রে STI বা বায়োপসি টেস্টের প্রয়োজন হতে পারে।

✅ ছত্রাক সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ, সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ইনফেকশন, সোরিয়াসিস ও ব্যালানাইটিস ইত্যাদি কারণে যৌনাঙ্গে চুলকানি হতে পারে।

✅ চুলকানি কমানোর জন্য ঘরোয়া পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে। পাশাপাশি সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিও চুলকানি কমাতে সাহায্য করতে পারে। চুলকানির মাত্রা বেশি হলে, অন্যান্য লক্ষণ গুলি প্রকাশ পেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

✅ চুলকানি প্রতিরোধে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যেমন: কিছু কিছু পণ্যের ব্যবহার পরিহার করা, যৌন সংক্রমণ আছে এমন ব্যক্তির সাথে যৌন মিলন এড়িয়ে চলা। খতনা করার সিদ্ধান্ত নিলেও মন্দ হয় না চুলকানি যদি তীব্র মাত্রায় বেড়ে যায়।

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

ডাঃ মাসুদ হোসেন

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:

   +8801907-583252

   +8801973-962203

   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!