ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত কি জনসাধারণের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হতে পারে?

✅ মনে করুন আপনি চাইলেই আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। বিশেষ করে খরা বা পানির ঘাটতি আছে, এমন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারছেন প্রয়োজন অনুসারে। ভাবতে গেলে মনে হবে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ছাড়া এমন কিছু ঘটা সম্ভব না।

✅ কিন্তু কৃত্রিম বৃষ্টি, যা ‘ক্লাউড সিডিং’ নামেও পরিচিত, বাস্তবেই ঘটানো সম্ভব। এমনকি, বহু বছর ধরে এই প্রযুক্তি বিভিন্ন দেশে কাজে লাগানো হচ্ছে, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য।

✅ 2940 – এর দশক থেকে মেঘের গঠনে পরিবর্তন আনতে ক্লাউড সিডিং প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তিতে নির্দিষ্ট কিছু পদার্থ বায়ুতে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তাতে সেই অঞ্চলে বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে অথবা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ পাল্টে যায়।

✅ তবে ক্লাউড সিডিং নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে প্রায় 01 শতাব্দী আগে। অন্তত বিংশ শতকের শুরুর দিকে প্রথম এই পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। এত বছর পরে এসেও ক্লাউড সিডিং-এর কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক আছে। ক্লাউড সিডিং-এর কারণে বৃষ্টিপাত আসলেই কতটা বৃদ্ধি পায়, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আছে সন্দেহ।

✅ ক্লাউড সিডিং নিয়ে এ ধরনের সংশয়ের অন্যতম কারণ হল তুলনার সুযোগ না থাকা। যতটুকু মেঘে ক্লাউড সিডিং করা হয়, সেখান থেকে বৃষ্টি হয়। অথচ সেই মেঘে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা না হলে কতটুকু বৃষ্টি হত, বা আদৌ হত কিনা, তুলনার মাধ্যমে সেটা বের করা মুশকিল।

✅ ‘ভিয়েতনাম যুদ্ধ’ চলাকালীন দেশটির ওপর বৃষ্টিপাত বাড়ানোর জন্য মার্কিন সেনাবাহিনী একটি অভিযান পরিচালনা করে। ‘অপারেশন পপাই’ নামের সেই অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল বর্ষণ ঘটিয়ে ভিয়েতনামের সামরিক বাহিনীর ট্রাক বা যানবাহন চলাচলের গতি কমিয়ে আনা।

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত

✅ অবশ্য, মার্কিন সেনাবাহিনীর এই গোপন অভিযান সম্পর্কে প্রথম অভিযোগ তোলা হয় যুদ্ধ শেষ হওয়ার 60 বছর পর। সে কারণে বাস্তবে এই অভিযান পরিচালিত হলেও কতটা সফল হয়েছিল, তা নিয়ে সংশয় আছে।

✅ কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ানোর চেষ্টা কিন্তু কোনো ধরনের ( ক্লাইমেট ইঞ্জিনিয়ারিং ) না। ( ক্লাইমেট ইঞ্জিনিয়ারিং ) বা জলবায়ু প্রকৌশল হল এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়।

✅ মূলত গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে জলবায়ু প্রকৌশল কাজে লাগানো হয়। ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টির সাথে এর পার্থক্য আছে।

✅ ক্লাউড সিডিং হল নির্দিষ্ট অঞ্চলে সাময়িকভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের একটি পদ্ধতি।

✅ ক্লাউড সিডিং কী?

✅ নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে আবহাওয়া পরিবর্তনের একটি পদ্ধতির নাম ক্লাউড সিডিং। এর মাধ্যমে কোনো স্থানে বৃষ্টি বা তুষারপাতের পরিমাণ বাড়ানো বা কমানোর চেষ্টা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা 1940 এর দশক থেকে এই প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন।

✅ বিভিন্ন কৌশল বা ​প্রক্রিয়ায় ক্লাউড সিডিং করা হয়। এর মধ্যে প্রচলিত একটি কৌশল হল মেঘের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক লবণ প্রয়োগ। আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে কিংবা ভূমিতে থাকা যন্ত্রের সাহায্যে এ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়।

✅ সিলভার আয়োডাইড বা পটাসিয়াম ক্লোরাইড থেকে শুরু করে খাবার লবণ সোডিয়াম ক্লোরাইডও ব্যবহৃত হয় ক্লাউড সিডিং-এর জন্য।

✅ মেঘের মধ্যে আর্দ্রতা ধরে রাখতে এক ধরনের প্রভাবক হিসাবে কাজ করে লবণ। জমে থাকা এই আর্দ্রতা পরে বরফের স্ফটিকে পরিণত হয়। এসব স্ফটিক মেঘ থেকে ভূমিতে পড়ার সময় গলে গিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়।

✅ ক্লাউড সিডিং-এর আরেকটি কৌশল হল অল্প উচ্চতায় উড়ন্ত ড্রোন থেকে বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করা। এর পেছনে আছে কৌতূহল জাগানোর মত এক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। মেঘে জমে থাকা পানির ফোঁটার মধ্যে চার্জ বা আধানের পার্থক্য যত বেশি হবে, একে অপরের প্রতি তাদের আকর্ষণ তত শক্তিশালী হবে।

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত

✅ মেঘে বৈদ্যুতিক চার্জ ব্যবহার করা হলে এর মধ্যে থাকা পানির ফোঁটা একত্রিত হওয়ার উদ্দীপনা পায়। ফলাফল হিসেবে সেই মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

✅ তবে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি মেঘহীন আকাশে অলৌকিক ভাবে বৃষ্টিপাত ঘটায় না। অনেক উদ্যোগ, উদ্দীপনা ও পরিশ্রমের দরকার হয় এ কাজের জন্য। বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য যেই মেঘের ভেতর ইতোমধ্যেই আর্দ্রতা আছে, কেবল তার মধ্যেই লবণের কণা প্রয়োগ করা যাবে।

✅ যেমন: শুষ্ক মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ ধরনের সঠিক মেঘ খুঁজে বের করার জন্য আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এ ধরনের মেঘ পাওয়া গেলেই ক্লাউড সিডিং শুরু করার জন্য বিমানের পাইলটদের নির্দেশনা দেয়া হয়।

✅ সাধারণ একটি ক্লাউড সিডিং কার্যক্রম প্রায় 04 ঘণ্টাব্যাপী চলতে পারে। এর মধ্যে 05 থেকে 06 টি মেঘকে বৃষ্টির জন্য তৈরি করা হয়। একবারের জন্য এই কাজ করতে খরচ হয় প্রায় 03 হাজার মার্কিন ডলার।

✅ ক্লাউড সিডিং নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে। যেমন, মেঘের মধ্যে এভাবে বিভিন্ন পদার্থ স্প্রে করা হলে বায়ুমণ্ডলে দূষণ সৃষ্টিকারী কণা বা ( মাইক্রো-পলিউট্যান্ট ) এর পরিমাণ বাড়ে। এর কারণে জনসাধারণের শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হতে পারে।

✅ আবার অনেক দেশের মত সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। অথচ দেশটির বিভিন্ন শহরের অবকাঠামো ভারি বৃষ্টির জন্য উপযুক্ত নয়!

✅ যে প্রয়োজনে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত !

✅ আমরা অনেকেই জানি বৃষ্টি কীভাবে হয়। এর শুরু পানির বাষ্পীভবন থেকে। সমুদ্র বা অন্য কোনো জলাশয় থেকে আগে পানি বাষ্পে পরিণত হয়।

✅ এই বাষ্প পরে বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উঠতে থাকে। বাতাসের সাথে এসব বাষ্প এক পর্যায়ে ট্রপোস্ফিয়ারে গিয়ে পৌঁছায়। ট্রপোস্ফিয়ার হল বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর। এই স্তর থেকেই আস্তে আস্তে বাষ্পে থাকা পানির ফোঁটা একত্রিত হয়। এভাবে পানির ফোঁটা একত্রিত হতেই থাকে, যতক্ষণ না ফোঁটার পুরুত্ব 0.1 মিলিমিটারের কাছাকাছি এসে পৌঁছায়।

✅ পানির ফোঁটা এতটা পুরু হয়ে এলে আর সেটা মেঘের মধ্যে ভাসতে পারে না এবং বৃষ্টির ফোঁটা হয়ে ভূমিতে নেমে আসে।

✅ তাহলে খরা বা অনাবৃষ্টির কারণ কী?

✅ অনেক সময়ই দেখা যায়, আকাশে মেঘ আছে কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। এমনটা হয় যখন কোনো মেঘের তাপমাত্রা 0 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে। এ ধরনের মেঘে বরফের স্ফটিক থাকতে পারে, যা গলে গিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা হিসেবে নামতে পারে না। আবার মেঘে থাকা জলীয় বাষ্পও অনেক সময় তরল আকারে ঘনীভূত হয় না।

✅ এমনটা হলে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়। আর এজন্য কাজে লাগানো হয় ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি।

✅ যেভাবে ঘটানো হয় কৃত্রিম বৃষ্টিপাত!

✅ প্রথমে রাসায়নিক পদার্থের সাহায্যে নির্দিষ্ট অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে পরিবর্তন আনা হয়। এতে করে সেই অঞ্চলে মেঘের সৃষ্টি হয়। এজন্য যেসব রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়, সেগুলি জলীয় বাষ্প শোষণ করে এবং তা ঘনীভূত করার প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।

✅ এ কাজে প্রচলিত রাসায়নিকের মধ্যে ক্যালসিয়াম অক্সাইড বা ক্যালসিয়াম কার্বনেটের মত পদার্থ বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বা ক্লোরাইডের যৌগের ব্যবহার আছে।

✅ দ্বিতীয় পর্যায়ে মেঘের ভর বা ঘনত্ব বাড়ানো হয়। আর তা করার জন্য ইউরিয়া, ড্রাই আইস (কঠিন আকারে সংরক্ষিত কার্বন ডাই-অক্সাইড) বা খাবার লবণের মত পদার্থ কাজে লাগানো হয়।

✅ সবশেষে চাপযুক্ত ক্যানিস্টারের সাহায্যে ড্রাই আইস বা আয়োডাইড-এর মত শীতল রাসায়নিক পদার্থ মেঘের মধ্যে বর্ষণ করা হয়। এতে করে সেই মেঘের মধ্যে জলকণা তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে।

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত
✅ ক্লাউড সিডিং এর পদ্ধতি সমূহ:

🧪 লবণ, বৈদ্যুতিক চার্জ এবং ইনফ্রারেড লেজার পালস-এর মত বেশ কিছু পদ্ধতিতে ক্লাউড সিডিং করা হয়।

✅ রাসায়নিক লবণ নির্ভর পদ্ধতি:

✅ ক্লাউড সিডিং-এর জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলির মধ্যে আছে সিলভার আয়োডাইড, পটাসিয়াম আয়োডাইড এবং ড্রাই আইস বা কঠিন কার্বন ডাই অক্সাইড।

✅ এর বাইরে আছে তরল প্রোপেন-এর ব্যবহার, যা বায়ুমণ্ডলে ছাড়া হলে গ্যাসে পরিণত হয়। পদার্থটি সিলভার আয়োডাইডের চেয়ে উচ্চ তাপমাত্রায় বরফের স্ফটিক তৈরি করতে পারে।

✅ বেশ কিছু গবেষণার পরে খাবার লবণের ব্যবহারও সম্ভাবনাময় হয়ে দেখা দিয়েছে। মূলত এসব পদার্থের মূল কাজ হচ্ছে জলের অণুগুলিকে আকর্ষণ করা এবং ধরে রাখা।

✅ ক্লাউড সিডিং-এর সময় মেঘের তাপমাত্রা -20 এবং -7 ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তুষারপাত হতে পারে। সিলভার আয়োডাইডের মতো পদার্থ ব্যবহার করলে এমনটা ঘটে। কারণ এর গঠন বরফের মত স্ফটিক আকারের।

✅ মধ্যম উচ্চতার মেঘে ক্লাউড সিডিং করা হয় পদার্থের বিশেষ একটি নীতির ওপর ভিত্তি করে। নীতিটা হল, পানির চেয়ে বরফের ওপর বাষ্পের চাপ কম থাকে। এর ফলে হিমায়িত মেঘে জমে থাকা পানির ছোট ছোট ফোঁটা একত্রিত হয়ে গঠিত হয় বরফের কণা।

✅ এভাবে কোনো মেঘে পর্যাপ্ত বরফকণা জমে গেলে তা ভারি হয়ে যায় আর বৃষ্টি হয়ে মাটিতে নেমে আসে। ক্লাউড সিডিং করা না হলে সেসব মেঘ থেকে বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকত না। কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানোর এই প্রক্রিয়া ( স্ট্যাটিক সিডিং ) নামে পরিচিত।

✅ অন্যদিকে উষ্ণ-ঋতু বা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে দৃশ্যমান পুঞ্জিভূত মেঘ-এ ক্লাউড সিডিং করা হলে সেটাকে ( ডাইনামিক সিডিং ) বলা হয়। পুঞ্জিভূত এ ধরনের মেঘকে বলা হয় ( কিউমুলোনিম্বাস ক্লাউড ) (Cumulonimbus Cloud)।

✅ ডাইনামিক সিডিং- এর ক্ষেত্রে মূলত বরফের কণা তৈরি হওয়ার সময় নির্গত সুপ্ত তাপকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয়। ধারণা করা হয় অতিরিক্ত এই সুপ্ত তাপ মেঘকে আরো হালকা করে এবং ঊর্ধ্বমুখী বাতাসের গতি বাড়ায়। এতে নিচের দিকে আরো মেঘ তৈরি হয়। সবমিলিয়ে ক্লাউড সিডিং-এর জন্য নির্দিষ্ট সেই মেঘের আকার ও আয়তন দ্রুত বাড়তে থাকে।

✅ ক্লাউড সিডিং-এর জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি বিমান থেকে কিংবা ভূমিতে থাকা যন্ত্রের সাহায্যে ছড়িয়ে দেয়া যায়। ভূমি থেকে বিশেষ ধরনের বিচ্ছুরণ যন্ত্রের সাহায্যে এ কাজ করা হয়। অথবা বিমান বিধ্বংসী বন্দুক বা রকেটের সাহায্যে নির্দিষ্ট মেঘকে লক্ষ্য করে জেনারেটর বা ক্যানিস্টার ছোঁড়া হয়।

✅ ভূমি থেকে ক্লাউড সিডিং করার সময় রাসায়নিক পদার্থের সূক্ষ্ম কণাগুলি প্রথমে বায়ুর স্রোতের মাধ্যমে ভূমির দিকে নেমে আসে। এরপর ঊর্ধ্বমুখী বাতাসের সাহায্যে মেঘের দিকে চলে যায়।

✅ অন্যদিকে বিমান থেকে এসব রাসায়নিক নিক্ষেপের জন্য সিলভার আয়োডাইড-এর শিখা জ্বালানো হয়। এরপর বিমানটি মেঘের মধ্য দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় এর সঙ্গে থাকা রাসায়নিক বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।

ক্লাউড সিডিং বা কৃত্রিম বৃষ্টিপাত
✅ বৈদ্যুতিক চার্জ নির্ভর পদ্ধতি:

✅ 2021 সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত বৈদ্যুতিক চার্জ নির্গমন যন্ত্রের সাহায্যে ক্লাউড সিডিং করছে। এ ধরনের যন্ত্র এবং বিশেষ সেন্সর দিয়ে সজ্জিত ড্রোন ব্যবহার করে দেশটির সরকার কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে।

✅ এসব ড্রোন বিমান ভূমি থেকে কম উচ্চতায় উড়তে থাকে আর বায়ুর অণুতে বৈদ্যুতিক চার্জ সরবরাহ করে। এই পদ্ধতিতে 2021 সালের জুলাই মাসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয় দেশটিতে। বিশেষত, সে বছরের 20 ও 21 জুলাইয়ে আল-আইন শহরে 6.9 মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

✅ ইনফ্রারেড লেজার পালস নির্ভর পদ্ধতি:

✅ 2010 সালে বার্লিনের আকাশে নতুন আরেক ধরনের ক্লাউড সিডিং পদ্ধতির পরীক্ষামূলক ব্যবহার হয়েছিল। ইউনিভার্সিটি অফ জেনেভার গবেষকরা ইনফ্রারেড লেজার পালস কাজে লাগিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন।

✅ গবেষকদের দাবি ছিল, নিক্ষিপ্ত লেজারের সাহায্যে বায়ুমণ্ডলেই সালফার ডাই অক্সাইড এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের কণা তৈরি হবে। মেঘের মধ্যে এসব কণার উপস্থিতিতে সফলভাবে বৃষ্টি নামানো সম্ভব হবে।

✅ তবে সেই গবেষণার পরে এই পদ্ধতির তেমন কোনো সফল প্রয়োগ দেখা যায়নি।

✅ ক্লাউড সিডিং কি কার্যকর?

✅ ক্লাউড সিডিং-এর মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে বৃষ্টি নামানোর পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, সেটা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, লক্ষ্যবস্তু হিসেবে মেঘের অবস্থান এবং ক্লাউড সিডিং-এর পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে এর কার্যকারিতা।

✅ তবে কিছু ক্ষেত্রে ক্লাউড সিডিং-এর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেলেও এটা নিশ্চিত কোনো সমাধান না। তাই এখনও পর্যন্ত প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের বিকল্প নয়, বরং সম্পূরক একটি পদ্ধতি হিসেবেই ক্লাউড সিডিংকে বিবেচনা করা হচ্ছে।

✅ কৃত্রিম বৃষ্টি যেভাবে বায়ুর গুণমান উন্নত করতে পারে!

✅ বেশ কয়েকভাবেই বায়ুর গুণমান উন্নত করতে পারে ক্লাউড সিডিং। এরমধ্যে কয়েকটি হল:

🩸 বাতাসে দূষিত পদার্থ কমিয়ে আনে: পার্টিকুলেট ম্যাটার ( PM ), নাইট্রোজেন অক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইড এর মত দূষিত পদার্থ আমাদের চারপাশের বাতাসে ছড়িয়ে থাকে। ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এসব দূষণকারী পদার্থ। কৃত্রিম বৃষ্টির মাধ্যমে বাতাসে থাকা এসব পদার্থের পরিমাণ কমে আসে।

🩸 আর্দ্রতা বাড়ায়: কৃত্রিম বৃষ্টি বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা বাড়াতে পারে। আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকলে বাতাসের দূষণকারী পদার্থ সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এভাবে কোনো অঞ্চলে মোট বায়ুদূষণের মাত্রা কমে যেতে পারে।

🩸 বাতাসে থাকা ধুলা এবং অন্যান্য কণার পরিমাণ কমায়: কৃত্রিম বৃষ্টি বাতাসে ধুলা এবং অন্যান্য কণার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ধুলাবালি সহ ক্ষুদ্র এসব কণা বাতাসে থাকলে চোখ, নাক এবং গলায় জ্বালাপোড়া হতে পারে। এছাড়াও হাঁপানি এবং শ্বাসকষ্টের মত জটিলতাও তৈরি হতে পারে।

এ ধরনের প্রত্যক্ষ প্রভাব ছাড়াও কৃত্রিম বৃষ্টি বাতাসের মানের ওপর পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন, কৃত্রিম বৃষ্টি জলাশয় বা পানির গুণমান উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এর ফলে বর্জ্য পানি শোধনাগার বা শিল্প-কারখানার মত উৎস থেকে বায়ুদূষণের মাত্রা কমতে পারে।

কৃত্রিম বৃষ্টি গাছপালার বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এসব গাছ বায়ু থেকে দূষণকারী পদার্থ শোষণ করার ক্ষেত্রে অবদান রাখে।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
✅ ক্লাউড সিডিং কি পরিবেশের জন্য নিরাপদ?

✅ ক্লাউড সিডিং-এর কারণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বাড়লেও পরিবেশের জন্য কিছু ঝুঁকি তৈরি করে এই প্রযুক্তি। লোকালয় থেকে বৃষ্টির পানি অপসারণ, বন্যার সম্ভাবনা কিংবা দীর্ঘকাল প্রকৃতিতে রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি থাকার মত দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে গবেষকরা তাদের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন।

✅ এর বাইরে কেউ কেউ আবহাওয়ার প্রাকৃতিক চক্র বা প্রবাহকে ব্যাহত করার ব্যাপারে সতর্ক থাকার কথা বলেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটতে থাকা বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনাগুলিকে প্রকৃতির নিয়মে হস্তক্ষেপের প্রতিক্রিয়া হিসাবে দেখেন তারা।

✅ একটি এলাকায় ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে কৃত্রিম ভাবে বৃষ্টি নামানো হলে অন্য অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষত এক অঞ্চলে অনভিপ্রেত বৃষ্টিপাত অন্য অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টির মত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

✅ আবার যেসব অঞ্চলে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়, প্রায় সময়ই দেখা যায় সেখানে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কারণ অতিরিক্ত পানির প্রবাহ পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো থাকে না সেখানে। এতে বন্যার মত বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হতে পারে।

✅ এ ধরনের তাৎক্ষণিক প্রভাব ছাড়াও বিজ্ঞানীরা ক্লাউড সিডিংয়ের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করছেন। বিশেষ করে এ কাজের জন্য সিলভার আয়োডাইডের মত পদার্থ ব্যবহার করা হলে পরিবেশে এর খারাপ প্রভাব পড়ে।

✅ এই রাসায়নিক পদার্থ সমুদ্রের অম্লকরণ, ওজোন স্তরের ক্ষয় এবং বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায়। বিষাক্ত হওয়ার কারণে সিলভার আয়োডাইড বাস্তুতন্ত্রের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলার পাশাপাশি উদ্ভিদ, প্রাণী এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।

✅ এছাড়া ক্লাউড সিডিং-এর জন্য ন্যানোম্যাটেরিয়াল নিয়ে গবেষণা চলমান। নতুন ধরনের এসব পদার্থ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে যেন পরিবেশের ওপর এই প্রযুক্তির খারাপ প্রভাব কমানো যায় আর একই সঙ্গে কার্যকরভাবে বৃষ্টিপাত বাড়ানো যায়।

আরো পড়ুনঃ  করোনারী অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস | Coronary Atherosclerosis | ডাঃ মাসুদ হোসেন।
✅ চীনে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত!

✅ কৃত্রিম বৃষ্টির সবচেয়ে বিখ্যাত উদাহরণগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে 2008 সালে চীনে আয়োজিত অলিম্পিকের সময়কার ঘটনা। সে বছর ‘বার্ডস নেস্ট’ নামে পরিচিত বেইজিং-এর 91 হাজার আসনের স্টেডিয়ামের ওপরে বৃষ্টি ঠেকানোর ব্যবস্থা নেয় দেশটির ‘জাতীয় আবহাওয়া পরিবর্তন অফিস’। চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তরের অধীনে কার্যক্রম পরিচালনা করে অফিসটি।

✅ দেশটির কর্তৃপক্ষ স্যাটেলাইট, বিমান, রাডার এবং ‘আইবিএম পি-575 সুপার কম্পিউটার’ ব্যবহার করে বেইজিংয়ের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে। প্রতি সেকেন্ডে 9.8 ট্রিলিয়ন হিসাব করতে সক্ষম এই সুপার কম্পিউটার।

✅ সুপার কম্পিউটারটির সাহায্যে নির্ভুলভাবে 44 হাজার বর্গ কিলোমিটার বা 17 হাজার বর্গ মাইল এলাকার মডেল তৈরি করা হয়। এতে প্রতি কিলোমিটার অঞ্চলের জন্য প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হয়।

✅ এরপর ক্লাউড সিডিং-এর কার্যক্রম শুরু হয়। এজন্য বেইজিংয়ের আশেপাশে ২টি বিমান এবং 20 টি আর্টিলারি এবং রকেট-লঞ্চ সাইটের একটি নেটওয়ার্ক মোতায়েন করা হয়। এসবের সাহায্যে সিলভার আয়োডাইড এবং ড্রাই আইস-এর মাধ্যমে এমন সব মেঘ থেকে বৃষ্টি নামানো হয়, যেগুলি স্টেডিয়াম থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও স্টেডিয়ামের দিকেই ভেসে আসছিল।

✅ অর্থাৎ, যেসব মেঘ স্টেডিয়ামের ওপরে এসে বৃষ্টি নামাত, সেগুলি থেকে আগেই বৃষ্টি ঝরিয়ে ফেলে দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা।

✅ এরপরও যদি কোনো বর্ষণমুখর মেঘ স্টেডিয়ামের ওপর এসে যায়, সেজন্য আগাম ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। এই ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এমন সব রাসায়নিক পদার্থ তৈরি রাখা হয়েছিল, যেগুলি মেঘে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে পানির ফোঁটার আকার কমানো যাবে। এভাবে স্টেডিয়ামের ওপর থেকে মেঘ সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বৃষ্টি ঠেকিয়ে রাখার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

✅ এর আগে 1958 সালে চীনের সরকার দেশটির উত্তর অঞ্চলে শুষ্ক পরিস্থিতি মোকাবেলায় পরীক্ষামূলকভাবে আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। গোবি মরুভূমি থেকে আসা আকস্মিক ঝড়ের কারণে অঞ্চলটি বারবারই খরা এবং দুর্ভিক্ষের হুমকিতে পড়ছিল।

✅ যাহোক, বর্তমানে দেশটির সরকার তাদের ‘জাতীয় আবহাওয়া পরিবর্তন অফিস’-এর জন্য প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জিনহুয়া’র তথ্য অনুসারে, 1999 থেকে 2007 সালের মধ্যে এই অফিস 4,70,000 বর্গ কিলোমিটার এলাকা শিলাবৃষ্টির কবল থেকে রক্ষা করেছে। এছাড়াও তারা 250 বিলিয়ন টনেরও বেশি বৃষ্টি তৈরি করেছে। এ পরিমাণ পানি দিয়ে চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী ‘ইয়েলো রিভার’কে 04 বার পূর্ণ করা সম্ভব।

✅ 2008 সালের অলিম্পিক ছাড়াও ক্লাউড সিডিং-এর সাহায্যে দেশটিতে আয়োজিত অনেক জাতীয় ইভেন্ট ও অনুষ্ঠানের সময় আবহাওয়া পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করা হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠানের সময় কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের প্রযুক্তি কাজে লাগানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটা হল ইউনানে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো’, সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত ‘এশিয়ান গেমস’ এবং সিচুয়ানে অনুষ্ঠিত ‘জায়েন্ট পান্ডা ফেস্টিভাল’।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
✅ রাশিয়ায় ক্লাউড সিডিং!

✅ একবার রাশিয়ার প্রশাসন দেশটির সরকারী ছুটির দিনে বৃষ্টি ঠেকাতে এক মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করেছিল। দেশটির সরকারী সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, পয়লা মে বা মে দিবস উদযাপনের সময় শুষ্ক আবহাওয়া নিশ্চিত করতে সরকার প্রায় 86 মিলিয়ন রুবল বা 1.3 মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে সেবার।

✅ কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টায় কি লাভ হয়েছিল? কিছু সংবাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সেদিন হালকা বৃষ্টি হয়েছিল।

✅ তাহলে ক্লাউড সিডিং কি সফলভাবে সেদিন বৃষ্টির প্রভাব কমিয়ে এনেছিল? নাকি বৃষ্টি হওয়ার কারণে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে? সেদিনের বৃষ্টিতে ক্লাউড সিডিং-এর কোনো সুস্পষ্ট প্রভাব ছিল আদৌ?

✅ এসব প্রশ্নের কোনোটার উত্তরই নিশ্চিত করে বলা প্রায় অসম্ভব।

✅ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কৃত্রিম বৃষ্টি!

✅ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার তাদের দেশের অভ্যন্তরে পানির ঘাটতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দেশটি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।

✅ তীব্র গরম আবহাওয়ার কারণে এ দেশের নাগরিকরা পানির নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ভোগেন। এ সমস্যার সমাধানে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের চেষ্টা করছেন গবেষকরা। আবহাওয়ার ওপর নজর রাখার জন্য বিশেষ রাডার ব্যবহার করে গবেষকরা দেশটির বায়ুমণ্ডলের ওপর অবিরাম নজরদারি করতে থাকে।

✅ বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন, বায়ুমণ্ডল শুষ্ক থাকলে প্রায় 30-35% এবং আর্দ্র পরিবেশে 10-15% পর্যন্ত বৃষ্টিপাত বাড়াতে পারে ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তি।

✅ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাউড সিডিং প্রোগ্রামের শুরু 1982 সালে। মেঘের মধ্যে পানির ঘনীভবনের মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ঘটানোই ছিল এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে এই প্রোগ্রামের অধীনে ক্লাউড সিডিং-এর জন্য ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক লবণ।

✅ কৃত্রিমভাবে বৃষ্টিপাত ঘটানোর আগে বায়ুমণ্ডলের অবস্থা এবং দূষণকারী পদার্থ পরিমাপ ও বিশ্লেষণ করা হয়। দেশটির সরকারের মতে, জলবায়ু চ্যালেঞ্জের টেকসই সমাধান হতে পারে তাদের এই উদ্যোগ।

✅ কিন্তু, এভাবে দেশে দেশে কাজে লাগানো হলেও ক্লাউড সিডিং-এর পরিবেশগত ঝুঁকি এবং কার্যকারিতা নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকেই গেছে।

🛑 বর্তমানে মানুষের মধ্যে যে বিভিন্ন রোগব্যাধি দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে পরিবেশ দূষণ। ( So We Need ECO friendly System Technology )

🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন। হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় Homeo হোমিও ওষুধ খান।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!