🩸 কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ক্ষতিকর ও বৃহত্ পরজীবী ৷ এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে৷
🩸 তবে শিশু কিশোরদের মাঝে কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়৷
যে সব কৃমি মানুষের খাদ্যনালীতে পরজীবী হিসেবে বাস করে সেগুলোর মধ্যে প্রধান হল:
- 🪱 কেঁচো বা গোল কৃমি ( Round Worm. )
- 🪱 বক্র কৃমি (Hook Worm.)
- 🪱 সুতো কৃমি ( Thread Worm.)
- 🪱 চাবুক কৃমি ( Whip Worm.)
- 🪱 ফিতে কৃমি ( Tape Worm.)
🩸 কেঁচো বা গোল কৃমি গোল কৃমি :
এরা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বসবাস করে এবং দেখতে কেঁচোর মতো এবং এই কৃমির রঙ হালকা হলুদ হয়ে থাকে যা পরিণত অবস্থায় 6 থেকে 14 ইঞ্চি লম্বা হতে দেখা যায়।
🛑 কৃমি ( Worm ) কিভাবে মানুষ কে আক্রমন করে?
- 🩸 সাধারণত অপরিষ্কার শাকসবজি ফলমূল।
- 🩸 নোংরা খাবার।
🩸 দূষিত পানির মাধ্যমে কেঁচো কৃমির ডিম আমাদের মুখে প্রবেশ করে অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তির কাপড় চোপর, হাত-পা ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে বা আঙুলের ভঁজে লেগে থাকা ডিম খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের পেটে চলে যায় ৷ সেখান থেকে খাদ্যনালীর ক্ষুদ্রান্তে এ ডিম চলে যায় এবং ক্ষুদ্রান্তের এনজাইম বা পাচকরসের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা বের হয়৷ লার্ভাগুলো রক্তের মাধ্যমে যকৃত, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে৷ এরপর ফুসফুসের এলভিওলাই ছিদ্র করে শ্বাসনালী দিয়ে অন্ননালী পার হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা লাভ করে এবং ডিম পাড়ে৷
🩸 একটা স্ত্রী কৃমি দৈনিক প্রায় 2 লাখ ডিম পারে মানুষের অন্ত্রে এবং 10-40 দিনের মধ্যে ডিমের ভেতর বাচ্চা কৃমি তৈরী হয় এবং পরে তা মলের সাথে নিষ্কাশন করে , আবার পুনরায় সেই মল থেকে খাদ্য বা অন্যান্য পর্যায়ে সুস্থ মানুষের পেটে ঢোকে পরে। এতে শিশুরাই এর বেশি শিকার হয়ে থাকে।
🩸 সাধারণত কেঁচো কৃমির সংক্রমণে অনেক সময় প্রথম দিকে কিছু বোঝা যায় না কিন্তু ধীরে ধীরে নানা রকমলক্ষণ দেখা দেয়, অন্ত্রে বেশি কেঁচো কৃমি থাকলে অস্বস্তিভাব, পেটফঁপা, পেট ফুলে ওঠা, বদহজম, ক্ষুধামন্দা বা অরুচি, বমি বমি ভাব, ওজন কমে যাওয়া, পাতলা পায়খানা, আমমিশ্রিত মল, শুকনো কাশি, শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ, যকৃত প্রদাহ ইত্যাদি হতে পারে৷
🩸 কৃমি ( Worm ) যে কোন সময় পিত্তনালীতে গিয়ে নালী বন্ধ করে দিতে পারে।
🩸 অগ্ন্যাশয় নালীতে গিয়ে নালী বন্ধ করে জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
🩸 এপেন্ডিসে গিয়ে আটকে যেয়ে এপেন্ডিসাইটিস এর সৃষ্টি করতে পারে৷
🩸 অন্ত্রে বেশী কৃমি ( Worm ) থাকলে কৃমি গোলা বেধে খাদ্যনালীর ভেতরটা বন্ধ করে দিতে পারে বা ক্ষুদ্রান্ত্রের দেয়াল ছিদ্র করে রক্তনালী বেয়ে লিভার, হৃদপিণ্ড, শ্বাসনালী, খাদ্যনালী হয়ে আবার ক্ষুদ্রান্ত্রেই এসে পৌঁছাতে ও দেখা যায়।
🩸 কৃমির ( Worm ) কারণে শরীরে ভিটামিন ‘A’ কম শোষিত হয়, ফলে ভিটামিন ‘A’র অভাবজনিত বিভিন্ন সমস্যা- যেমন: ত্বক, অন্ত্রের অ্যাপিথেলিয়াম ও চোখের ক্ষতি হয়।
কদাচিৎ এমন ও দেখা গেছে, কেঁচো কৃমির বাচ্চা ফুসফুসে থাকার সময় কাশি, শ্বাসকষ্ট অথবা বড় কেঁচো কৃমি কখনও কখনও বমির সঙ্গে বেরিয়ে শ্বাসনালীতে ঢুকে মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
🩸 অনেকে এমন আছেন যে, তাদের সারাজীবনই কৃমির সমস্যা লেগে থাকে এবং কিছুদিন পরপরই তাদের কৃমির ঔষধ খেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা কিছু হোমিও ঔষধ আছে, যেগুলো রোগীর শারীরিক,মানসিক – গঠন বুঝে প্রয়োগ করলে বেশী বেশী কৃমি হওয়ার টেনডেন্সী সারা জীবনের জন্য কৃমির আক্রমন হতে মুক্তি দিবে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ডায়ালাইসিস ( kidney Dialysis ) কী?
🇨🇭 কৃমির ( Worm ) চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ঔষধের লক্ষণভিত্তিক আলোচনা:
- 🧪 Teucrium Marum Verum : গুড়া ক্রিমি বা সুতা ক্রিমির সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ ঔষধ হলো টিউক্রিয়াম।
- 🧪 Spigelia Anthelmia : হ্যানিম্যানের সময় স্পাইজেলিয়া কৃমির এলোপ্যাথিক এবং কবিরাজি ঔষধরূপে পরিচিত ছিল।
🧪 Sabadilla officinarum :
স্যাবাডিলাকে বলা যায় ক্রিমির সবচেয়ে উৎকৃষ্ট একটি ঔষধ। স্যাবাডিলা ঔষধটি ছোট মেয়ে শিশুদের খাওয়ানো উচিত নয়, কেননা সেবাডিলা, ঔষধটি খাওয়ার পরে কৃমিরা ( Worm ) পাগলের মতো দৌঁড়াতে শুরু করে এবং এ সময় তারা মেয়েদের যোনী এবং জরায়ুতে ঢুকে পড়ে মারাত্মক বিপদের সৃষ্টি করতে পারে।
🧪 Natrum Phosphoricum : নেট্রাম ফস শিশুদের কৃমির জন্য সেরা ঔষধগুলোর অন্যতম। পাশাপাশি এটি শিশুদের অজীর্ণ, বদহজম, এলার্জি, চুলকানি, পেটে ব্যথা, সর্দি, চোখ ওঠা ইত্যাদি সমস্যার জন্যও একটি সেরা ঔষধ।
🧪 Cina : বদমেজাজী শিশুদের ক্রিমির ( Worm ) সমস্যায় সিনা একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। শিশুরা আঙুল দিয়ে নাক খোচাতে থাকে এবং ঘুমের মধ্যে দাঁত কটমট করে।
🧪 Santoninum :
সেন্টোনিনাম গুড়া ক্রিমি ( Worm ) এবং সুতা ক্রিমিরসবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ।
🧪 Caladium seg :
গুড়া ক্রিমি ( Worm ) ছোট মেয়েদের যৌনাঙ্গেঢুকে উৎপাত সৃষ্টি করলে ক্যালাডিয়াম খাওয়াতে ভুলবেন না।
🧪 Indigo :
ইন্ডিগো কৃমির ( Worm ) উৎপাতের ক্ষেত্রে একটি ভালো ঔষধ। কৃমির কারণে মৃগীর আক্রমণ, খিচুঁনি অথবা জ্বর হলে ইন্ডিগো ব্যবহার করা যায়।
🧪 Calcarea Carb :
মোটা থলথলে শারীরিক গঠন,মাথার ঘামে বালিশ ভিজে যায়,মুখমন্ডল ফোলাফোলা, ডিম খেতে খুব পছন্দ করে ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে ক্যালকেরিয়া কাব হবে তার সবচেয়ে উত্তম ক্রিমির ঔষধ।
🧪 Sulphur :
সালফার একটি বহুমুখী ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধ।
সোরা দোষ জনিত রোগীর ক্ষেত্রে কৃমির ( Worm ) ভালো ঔষধ।
🇨🇭 তাছাড়া ইচ্ছা করলে আপনিও আমাদের থেকে জার্মানী ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ নিতে পারেন। আমাদের চিকিৎসা সেবা সারা দেশে এবং দেশের বাহিরে পার্সেলে ঔষধ পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন
Dr. Masud Hossain.
(বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস) ( ঢাকা )।
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
📞 মোবাইল : +8801907-583252
+8801302-743871
🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 সকাল 09:00 — 01:00 টা।
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 চিকিৎসা : সুখবর হচ্ছে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।
☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।
☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।