🇨🇭 এলার্জি বলতে কি বুঝি ?
🇨🇭এলার্জি হলো আমাদের ইমিউন সিস্টেম ডিজঅর্ডারেরই আরেক নাম। আমাদের শরীরে কোনো বাহ্যিক পদার্থ প্রবেশ করিলে এবং শরীর তা সহ্য করতে না পারলে যে প্রতিক্রিয়া হয় তাকেই এলার্জি বলা হয়।
🇨🇭 এটির লক্ষণ:
১) বারবার হাঁচি হওয়া, সর্দি লাগে।
২) চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ চুলকানো, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
৩) দিনের নির্দিষ্ট সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়।
৪) পেটের নানা গণ্ডগোল দেখা দেওয়া। বিশেষ করে ডাইরিয়া হওয়া।
৫) নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
৬) শরীরে দানা, গোটা, চাকা ইত্যাদি বের হয়।
৭) জ্বর আসা, বমি বমি লাগে।
৮) গলা, জিভ শুকিয়ে আসা, গলা খুশখুশ করে।
অনেক সময় লক্ষণ দেখেও বোঝা যায় না যে, সেটা এলার্জি কিনা। কারণ অনেক সময় বদহজম হলেও ডায়রিয়া, বমি বমি লাগা, মাথাব্যথা করা, কাজে উত্সাহিনতা ইত্যাদি নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বদহজম হলে নানা ধরনের খাবার খেলে প্রতিক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু এটিতে নির্দিষ্ট কিছু খাবারে সমস্যা হয়। এছাড়া কোনো খাবারে এটি হলে সাধারণত ২ ঘণ্টার মধ্যে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যেখানে বদহজম হলে আরো একটু বেশি সময় নেয়। আবার অতিরিক্ত গরমেও নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতে পারে। তবে এটি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি শরীরে ইরিটেশন বা ডাইরিয়া হয়
🇨🇭ডাস্ট এলার্জি:
বাড়িতে তোশক, বালিশ, বিছানা বা পুরনো জিনিসে যে ডাস্টমাইট থাকে সেগুলো থেকে ডাস্ট এলার্জি হয়।
🇨🇭 কসমেটিক এলার্জি: Allergy treatment
ময়েশ্চারাইজার, ডিওডরেন্ট, শ্যাম্পু, মেক-আপ থেকে এটি হলে তাকে কসমেটিক এলার্জি বলা হয়। এর ফলে ত্বকে চুলকানি লক্ষ্য করা যায়।
🇨🇭একজিমা:
সাধারণত ত্বক কোনো কিছু সহ্য করতে না পারলে চুলকানি বা র্যাস বেরিয়ে একজিমা হয়।
🇨🇭সান এলার্জি:
সূর্যের আলো অনেকের সহ্য হয় না। সেই থেকে সান এলার্হজি হয়।
🇨🇭ফুড এলার্জি:
অনেক সময় খাবার থেকে নানা ধরনের এটি হয়। যেমন- ডিম, দুধ, ময়দা, সি-ফুড থেকে এটি হতে পারে।
🇨🇭ল্যাটেক্স এলার্জি:
ল্যাটেক্স বা প্রাকৃতিক রবার থেকে অনেক সময় এটি হতে পারে।
🇨🇭কিভাবে বুঝবেন এলার্জি হয়েছে ?
বদহজম না এটি কোনো খাবারে এটি হলে সাধারণত ২ ঘণ্টার মধ্যে নানা রকমের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বদহজম হলে প্রতিক্রিয়া শুরু হতে আরও একটু দেরি হয়। বদহজম হলে নানা ধরনের ফুড গ্রুপের খাবার খেলে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এলাার্জি হলে নির্দিষ্ট খাবার খেলেই এরকম হয়। বদহজম হলে ডায়রিয়া, বমি পাওয়া, মাথাব্যথা করা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া ইত্যাদি নানা সমস্যা হয়। এটি হলে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, সর্দি হয়, শ্লেষ্মা বের হয় ,ডায়রিয়া হয়।
🇨🇭 এলার্জির টেস্ট:
সাধারণত ত্বক আর রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি টেস্ট করা হয়।
আরো পড়ুনঃ শ্বেতপ্রদর স্ত্রীরোগ এর চিকিৎসা | Female Disease | Dr. Masud
🇨🇭 অ্যালার্জি আরোগ্যে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে। লক্ষন সাদৃশ্য কিছু হোমিও ঔষধ এর নাম নিম্নে দেওয়া হলো :
🛑বি:দ্র অবশ্যই অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার এর শরনাপন্ন হয়ে ঔষধ সেবন করবেন। যথা:
- 🧪 আর্সেনিক এলবাম
- 🧪 আর্টিকা
- 🧪ইউরেন্স
- 🧪 রাসটক্স
- 🧪 ইউফর্ব্বিয়ম
- 🧪এপিসমেল
- 🧪ডালকামরা
- 🧪আর্সেনিক আয়োড
- 🧪ক্যালি-আয়োড
- 🧪সাঙ্গুনেরিয়া
- 🧪এলিয়াম-সিপা
- 🧪নেট্রাম সালফ
- 🧪 ডলিকস
- 🧪বেলেডেনা
- 🧪 মার্কসল
- 🧪হিপার সালফার
- 🧪 পালসেটিলা Pulsatilla
- 🧪আর্টিকা ইউরেন্স Urtica Urens
- 🧪 লাইকোপোডিয়াম Lycopodium Claveta
- 🧪 হিস্টামিন Histamine
- 🧪 নেট্রাম মিউর Natrum Mur
- 🧪সিরিয়া Sepia
- 🧪হিপার সাল্ফ Hepar Sulph
- 🧪 কার্বো ভেজ Carbo Veg
- 🧪 সালফার Sulphur
- 🧪নাক্স ভুমিকা Nux Vom
- 🧪 ব্রাইয়োনিয়া এলব Bryonia Alb
- 🧪 এপিস মেল ApisMel
- 🧪 আর্সেনিক এলবাম ArsenicAlb
- 🧪 ডল্কামারা Dulcamara
- 🧪এরান্থাস Ailanthus
- 🧪 থুজা Thuja
- 🧪 আর্জেন্টাম নাইট্রিকাম Argentum night
- 🧪 পেট্রোলিয়াম Petrolium
- 🧪 সোরিনাম Psorinum
- 🧪 ডলিকস Dolicos
- 🧪 জাস্টিসিয়া অটোটেডা Justicia adhatoda
এলার্জির রোগীর জন্য অবশ্য পালনীয় :
ধুলোময়লায় সমস্যা হলে বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বেড কাভার বা বালিশের ওয়াড় বদলানোর সময় নাকে রুমাল বেঁধে নিন। সপ্তাহে একবার সারা বাড়ি ভালো করে পরিষ্কার করুন। বাড়ির সব জানালা দরজা সকাল বেলা খুলে দিন যাতে ঘরে যথেষ্ট আলোবাতাস আসতে পারে। বাড়িতে কোনো পোষা প্রাণী থাকলে কখনও বেডরুমে রাখবেন না। ওদের শোয়ার ঘর হতে আলাদা ঘরে করুন। ডিটারজেন্ট বা সলভেন্ট ব্যবহার করার সময় গ্লাভস পড়ুন।
যে সব খাবার খেলে অসুস্হ্য হয়ে পড়েন তা যত সুস্বাদুই হোক না কেন, খাওয়া বন্ধ করুন। যদি দেখেন দুধ খেলে শারীরিক সমস্যা হচ্ছে তা হলে দুধের বদলে ছানা বা দই খান। অনেকেই বেগুন খেতে পারেন না। খেলেই মুখ চুলকায়, সেক্ষেত্রে বেগুন ভাজা বা বেগুনের তরকারির বদলে বেগুন ভর্তা খেতে পারেন কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেগুনের বিচি থেকেই মুখ চুলকায়। বেগুনের ভর্তা বা বেগুন পোড়া খেলে সেই সমস্যা থাকে না। চিংড়ি মাছে সমস্যা থাকলে যতটা সম্ভব কম খান। তার বদলে ভাত , নুডলসের ভিতরে অল্প পরিমাণে কুচো চিংড়ি দিয়ে খেতে পারেন। খাদ্য, পরিবেশ, ঔষধ দ্বারা এটি হলে এই সবই নিয়ন্ত্রন করা জরুরী।
🇨🇭 যে কোন ধরনের পরামর্শ ও চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ করুন:
🇨🇭ডিস্ক প্রলাপস,ডায়াবেটিস,হার্ট ব্লক,স্থুলতা বা অতি ওজন, ক্যান্সার, ব্রেন স্ট্রোক, ফ্যাটি লিভার , কিডনি ড্যামেজ , উচ্চ রক্ত চাপ , গ্যাসট্রিক আলসার , সন্তান না হওয়া, থাইরয়েডের সমস্যা ,হরমোন জনিত সমস্যা, যৌন সমস্যা ইত্যাদি রোগের হোমিও চিকিৎসক ।
🛑 বি:দ্র: রেজিস্টার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করবেন না।
☎️এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য কল করুন:
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন (বি, এইচ, এম, এস )
(ডি, এইচ, এম, এস)
☎️ 01907-583252
☎️ 01302-743871
[রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন
Govt reg No. 35423 ]