এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis) | হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis) | হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 প্রতিটি অন্ডকোষের উপরের অংশকে এপিডিডাইমিস বলে। এটি হল বীর্য সংরক্ষণের স্থান। টিউব এবং অন্যান্য নালী বেয়ে বীর্য এপিডিডাইমিস থেকে অন্ডকোষে চলে আসে। এর মাধ্যমে শুক্রাণু টেস্টিকল থেকে স্পার্মাটিক নালীতে যায়। এতে জ্বালাপোড়া হলে তাকে এপিডিডাইমিটিস বলে। এর কারণে এপিডিডাইমিস ও টেস্টিকল ফুলে যায় ও জ্বালাপোড়াসহ প্রচন্ড ব্যথা হয়। এছাড়াও এই অবস্থায় জ্বর, স্ক্রটাম ফুলে যাওয়া, লালবর্ণ ধারণ করা, ইউরেথ্রাইটিসে জ্বালাপোড়া হওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। এর দুইটি ফর্ম রয়েছে, একটি সেক্সুয়ালী ট্রান্সমিটেড ফর্ম আরেকটি নন-স্পেসিফিক ব্যাকটেরিয়াল ফর্ম।

🇨🇭 কারণ – নিম্নলিখিত কারণে এই রোগ হয়ে থাকে:

🇨🇭 বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গনোরিয়া এবং ক্ল্যামাইডিয়ার কারণে অল্পবয়স্ক এবং যারা নিয়মিত যৌন মিলন করে থাকেন তাদের মধ্যে এপিডিডাইমিটিস দেখা যায়।
যৌন মিলনে সক্রিয় নয় এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যৌনবাহিত ব্যতীত যে সকল ব্যাক্টেরিয়া আছে তাদের দ্বারা ইনফেকশন হয়ে থাকে।মূত্রনালী ও প্রস্টেটের ইনফেকশনের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। হৃদরোগের বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার জন্যেও এপিডিডাইমিসে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। ভারী বস্তু ওঠা-নামানোর জন্য প্রস্রাব পিছনের দিকে প্রবাহিত হয়ে এপিডিডাইমিসে প্রবেশ করে। এর কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে।

🇨🇭 কুঁচকিতে কোন ধরনের আঘাতের কারণেও এটি হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে টিউবারকুলোসিস ইনফেকশনের কারণেও এই রোগ হয়ে থাকে।

এপিডিডাইমিটিস (Epididymitis) | হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।
🇨🇭 লক্ষণ: এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চিকিৎসকেরা নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করে থাকেন:
  • 🩸 শুক্রাশয়ে ব্যথা হওয়া। (Pain in testicles)
  • 🩸অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া। (Swelling of scrotum)
  • 🩸 কুঁচকিতে ব্যথা । (Groin pain)
  • 🩸 পেটে তীক্ষ্ণ ব্যথা। (Sharp abdominal pain)
  • 🩸 শরীরের পার্শ্বীয় ব্যথা ।(Side pain)
  • 🩸তলপেটে ব্যথা। (Lower abdominal pain)
  • 🩸 মূত্রত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া। (Painful urination)
  • 🩸 মুত্রের সাথে রক্ত যাওয়া। (Blood in urine)
  • 🩸 মুত্র আটকে যাওয়া। (Retention of urine)
  • 🩸 শরীরের নিম্নাংশে ব্যথা। (Lower body pain)
  • 🩸 পেট ফুলে যাওয়া। (Swollen abdomen)
  • 🩸 অণ্ডথলিতে চাকা/পিণ্ড। (Mass in scrotum)

🇨🇭 ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়:

যে সকল বিষয়ের কারণে এই রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় সেগুলো হলোঃ
  • 🩸 অনিরাপদ যৌনসম্পর্ক।
  • 🩸 মূত্রনালীর গঠনগত সমস্যা।
  • 🩸 মূত্রনালীর অপারেশন হওয়া।
  • 🩸 ক্যাথেটার ব্যবহার করা।
  • 🩸 প্রস্টেট বড় হয়ে যাওয়া।
  • 🩸 অ্যামিওডেরন জাতীয় হৃদরোগের ঔষধ গ্রহণ করা।
    টিউবারকুলেসিস।
  • 🩸খৎনা করা হয়নি এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে।
আরো পড়ুনঃ প্রসাবের পর বীর্য বের হয় কেন? ধাতু দূর্বলতা সমস্যার হোমিও সমাধান।
🇨🇭 যারা ঝুঁকির মধ্যে আছে:

✅ লিঙ্গ: পুরুষদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। মহিলাদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম।

✅ জাতি: শ্বেতাঙ্গ ও হিস্প্যানিকদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের গড়পড়তা সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষ্ণাঙ্গ ও অন্যান্য জাতিদের মধ্যে এই রোগ নির্ণয়ের সম্ভাবনা 01 গুণ কম। হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

WhatsApp Image 2024 07 16 at 16.34.45 2c2be108
✅ সাধারণ জিজ্ঞাসা:
🩸 এই রোগ ভাল হতে কতদিন সময় লাগে ?

🩸 উত্তর: এপিডিডাইমিসে কোন ধরনের ইনফেকশন হলে তাকে এপিডিডাইমিটিস বলে। অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে এই রোগ 3/4 সপ্তাহে ভাল হয়ে যায়। এছাড়াও গরম পানি দিয়ে গোসল করলে আরাম পাওয়া যায়। তবে এপিডিডাইমিস ফুলে গেলে বা দীর্ঘদিন ব্যথা থাকলে তা প্রস্টেটাইটিসের লক্ষণ হতে পারে এবং এই অবস্থায় একজন ইউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে।

🩸 এই রোগটি কি ছোঁয়াচে ?

🩸 উত্তর: সাধারণত এই রোগটি ছোঁয়াচে নয়, তবে কখনো কখনো যৌনবাহিত ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হতে পারে।

✅ এপিডিডাইমাইটিস- ( Epididymitis ):

🇨🇭 এপিডিডাইমাইটিস হলো এপিডিডাইমিসের প্রদাহ। এ অবস্থা সামান্য থেকে খুব বেশি যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য,
অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে।

🇨🇭 রোগ নির্ণয়:
অণ্ডকোষের প্যাঁচ থেকে এপিডিডাইমাইটিস পৃথক করা কঠিন হতে পারে। অণ্ডকোষের প্যাঁচ ও এপিডিডাইমাইটিস একই সময়ে সংঘটিত হতে পারে। যেসব কারণে অণ্ডথলিতে ব্যথা হয়, সেসব কারণ প্রথমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দূর করতে হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে­ অণ্ডকোষের ক্যান্সার, অণ্ডথলির শিরাগুলো বড় হওয়া ( ভ্যারিকোসিল ) কিংবা এপিডিডাইমিসের মধ্যে সিস্ট হওয়া। অনেক সময় অণ্ডথলি এলাকার যেসব স্নায়ু পেটের সাথে সংযুক্ত থাকে, কখনো কখনো তা হার্নিয়ার মতো ব্যথা সৃষ্টি করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে রয়েছে শারীরিক পরীক্ষা ও আল্ট্রাসাউন্ড।

🇨🇭 ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি এপিডিডাইমাইটিস হলো প্রথমবার চিকিৎসার পরও এপিডিডাইমিসের প্রদাহ থেকে যাওয়া।
বিশেষভাবে এদের দীর্ঘদিন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। ক্রনিক এপিডিডাইমাইটিসে এমনকি সংক্রমণ না থাকলেও প্রদাহ থাকে। ওপরের কোনো কারণ ছাড়াও এ অবস্থা হতে পারে। ধারণা করা হয় যে, স্নায়ু ও মাংসপেশিসহ কিছু নির্দিষ্ট অঙ্গের অতি সংবেদনশীলতা ক্রনিক এপিডিডাইমাইটিস ঘটাতে পারে বা ঘটায়। শেষ পর্যন্ত অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।

🇨🇭 জটিলতা:

এপিডিডাইমাইটিসের চিকিৎসা করা না হলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। এসব জটিলতার মধ্যে রয়েছে­:

✅ দীর্ঘমেয়াদি এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হওয়া।

✅ ফোড়া হওয়া।

✅ এপিডিডাইমিস ও অণ্ডকোষের স্থায়ী ক্ষতি, এমনকি নষ্ট হওয়া (ফলস্বরূপ বন্ধাত্ব ঘটা)
শরীরের অন্য যেকোনো অঙ্গে কিংবা তন্ত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়া।

🇨🇭 চিকিৎসা:
চিকিৎসা ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিসাইক্লিন ব্যবহার করা হয়। অণ্ডথলি ওপরের দিকে তুলে রাখা হয়। অণ্ডথলিতে নিয়মিত ঠাণ্ডা সেঁক দেয়া হয়। মারাত্মক ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। ঘন ঘন ও তীব্র ব্যথার জন্য অপিয়েট অ্যানালজেসিক, যেমন: হাইড্রোকডোনের প্রয়োজন হতে পারে। এসব চিকিৎসায় কাজ না হলে ‘কর্ড ব্লক’ করা হয়। এ ক্ষেত্রে এপিডিডাইমিস বরাবর নার্ভে একটা ইনজেকশন দেয়া হয়। এই ইনজেকশনের মধ্যে থাকে একটা স্টেরয়েড, একটি ব্যথানাশক এবং একটি উচ্চমাত্রার প্রদাহবিরোধী ওষুধ। এই চিকিৎসা সাধারণত দুই-তিন মাস ব্যথাকে দমিয়ে রাখে। কোনো কোনো রোগীর আর কখনোই এ ধরনের ব্যথা হয় না। প্রয়োজনে আবার এ চিকিৎসা দেয়া হয়, যে পর্যন্ত না সমস্যা
পুরোপুরি চলে যায়। সমস্যা পুরোপুরি চলে না গেলে অপারেশন করে এপিডিডাইমিস সম্পূর্ণ ফেলে দেয়া হয়। এতে ব্যথা পুরোপুরি সেরে যায়। হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 রোগের কারণ: সাধারণত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের কারণে এ রোগ হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ না থাকলেও এপিডিডাইমিসে প্রদাহ হতে পারে। এ রোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো মূত্রপথের সংক্রমণ ( যেমন: ই.কলাই)। বিভিন্ন যৌন সংক্রামক রোগ, ক্লামাইডিয়া ( প্রায় 50/60 শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী ) এবং গনোরিয়ার কারণে এ রোগ হতে পারে। মূত্রনালী পথে ব্যাকটেরিয়া পেছনে প্রস্রাবের তন্ত্রে ও প্রজনন অঙ্গে চলে যায়, চলে যায় এপিডিডাইমাইটিস। এ রোগ যৌন-প্রস্রাবের অপারেশন যেমন প্রোস্টেট গ্রন্থির অপারেশন, প্রস্রাবের রাস্তায় ক্যাথেটার ঢোকানো অথবা জন্মগত কিডনি ও মূত্রথলির সমস্যার কারণে হয়।
ভাস ডিফারেন্সের মধ্য দিয়ে প্রস্রাব ঢুকেও এপিডিডাইমিসে প্রদাহ ঘটাতে পারে। একে বলে কেমিক্যাল এপিডিডাইমিটিস। শারীরিক চাপ, বিশেষ করে ভারোত্তোলনের জন্য এটি হতে পারে। কিছু ওষুধ যেমন: অ্যামিওডারোনের জন্যও এটি হয়। সন্তোষজনক চিকিৎসার কয়েক মাস কিংবা কয়েক বছর পরে আপনা আপনি আবার এপিডিডাইমিসে প্রদাহ হতে পারে।

ডা. মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক

🇨🇭 অণ্ডকোষে ব্যথা হলে কিংবা অণ্ডথলির ( যে থলির মধ্যে অণ্ডকোষ থাকে ) একপাশে বা দু’পাশে ব্যথা হলে সেটাকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। যেকোনো বয়সের পুরুষদের এমনকি নবজাতকেরও অণ্ডথলিতে ব্যথা করতে পারে। অণ্ডকোষ হলো পুরুষদের প্রজনন অঙ্গ। শরীরে দু’টি অণ্ডকোষ থাকে। এই অঙ্গ বা গ্রন্থিগুলো খুবই সংবেদনশীল। খুব সামান্য আঘাতেও ব্যথা হতে পারে। অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলিতে যেকোনো ধরনের ব্যথা হলেই চিকিৎসাগত সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
অণ্ডকোষ বা অণ্ডথলিতে ব্যথা হঠাৎ করে হতে পারে অথবা তীব্র হতে পারে। এ ব্যথা আঘাতের কারণে হতে পারে, ব্যথার সাথে অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে। রোগীর বমি বমি ভাব কিংবা বমি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

🇨🇭 অণ্ডথলিতে ব্যথার সাথে রোগীর অণ্ডথলিতে চাকা, জ্বর, অণ্ডথলির ত্বক লাল, প্রস্রাবে রক্ত, মূত্রনালী পথে অস্বাভাবিক নিঃসরণ ও গলা ফুলে যাওয়া প্রভৃতি উপসর্গ থাকলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। যদি সময়মতো চিকিৎসা করা না হয় তাহলে বন্ধ্যাত্ব ও পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। রোগীর তীব্র বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা থাকবে। অনেক সময় রোগীর অপারেশন করে অণ্ডকোষ ফেলে দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

🇨🇭 কিছু কিছু ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের ব্যথার উৎস অণ্ডকোষ নয়, ব্যথা শুরু হয় অণ্ডথলি এলাকায়। অণ্ডকোষের কাজ হলো শুক্রাণু তৈরি করা। তাই অণ্ডকোষকে সুস্থ রাখা অপরিহার্য। প্রতিটি অণ্ডকোষের উপরে থাকে এপিডিডাইমিস। এই এপিডিডাইমিসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়। অণ্ডথলি হচ্ছে এমন একটি থলি যা অণ্ডকোষ ও এপিডিডাইমিসকে সুরক্ষা দেয়।
অণ্ডকোষে ব্যথার কারণ অণ্ডকোষ কিংবা অণ্ডথলির ব্যথার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে :

🇨🇭 সংক্রমণ বা প্রদাহ:
অণ্ডকোষের প্রদাহ বা সংক্রমণের সাথে সবচেয়ে যে সাধারণ অবস্থাটি সম্পৃক্ত তা হলো এপিডিডাইমাইটিস। এপিডিডাইমাইটিস হলো একটি বা দু’টি এপিডিডাইমিসের প্রদাহ। এপিডিডাইমিসে সংক্রমণ হলে সেই সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অণ্ডকোষে। এটা যেকোনো বয়সে হতে পারে এবং হঠাৎ করে হতে পারে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয় তরুণ ও যুবকদের। এ সংক্রমণের প্রধান কারণ হলো যৌনবাহিত ব্যাকটেরিয়া, বিশেষ করে ক্ল্যমাইডিয়া ও গনোরিয়া।

🇨🇭 আঘাত:
অণ্ডকোষের আঘাতজনিত ব্যথার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলাজনিত আঘাত।
যদি আঘাত পাওয়ার পর ব্যথা এক ঘণ্টার বেশি স্থায়ী থাকে তাহলে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
আঘাত পাওয়ার পর একটা চাকা দেখা দিতে পারে। আবার নাও পারে। আঘাত পাওয়ার পর অবশ্যই অণ্ডকোষ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

🇨🇭 অণ্ডকোষে টরসন বা প্যাঁচ খাওয়া: অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়া একটি জরুরি অবস্থা। এ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষে রক্ত সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হয়। অণ্ডকোষে প্যাঁচ খেলে অণ্ডথলিতে ব্যথা করে ও ফুলে যায়। যদি 6/6 ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে আক্রান্ত অণ্ডকোষের টিস্যু মরে যেতে পারে। যদিও এ সমস্যা নবজাতক এবং বয়:সন্ধিকালে ছেলেদের (18 বছরের নিচে ) বেশি হয়। তবে এটা যেকোনো বয়সে হতে পারে। হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 অণ্ডকোষের উপাঙ্গে প্যাঁচ খেলেও অণ্ডকোষে প্যাঁচ খাওয়ার মতো একই অনুভূতি হতে পারে। অণ্ডকোষে প্যাঁচ খেলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় কিন্তু অণ্ডকোষের উপাঙ্গে প্যাঁচ খেলে সেটা জরুরি অবস্থা নয়। কোনো জটিলতা ছাড়াই ব্যথা সাধারণত এক সপ্তাহ স্থায়ী থাকে।
অন্য যেসব কারণে অণ্ডথলি এলাকায় ব্যথা হয় :

🇨🇭 অণ্ডকোষে টিউমার:
অণ্ডকোষের টিউমারগুলো সাধারণত ব্যথা ঘটায় না, তবে এটা সম্ভব। যেহেতু অণ্ডকোষের ব্যথা অল্পবয়সী পুরুষদের ( 18 থেকে 32 বছর বয়সের মধ্যে ) বেশি হয় তাই অণ্ডকোষে কোনো চাকা বা দলা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

🇨🇭 ইনগুইনাল হার্নিয়া:
এ ক্ষেত্রে অন্দ্রের কিছু অংশ কুঁচকির মাঝামাঝি এক দুই ইঞ্চি উপরে চলে আসে। কুঁচকির উপরটা গোল হয়ে ফুলে ওঠে, মাঝে মাঝে শক্ত হয় ও ব্যথা হয়। কিছুদিন পর গোলাকার ফোলাটি অণ্ডথলিতে নেমে আসে। হার্নিয়া চিকিৎসা করা না হলে মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। অপারেশনের মাধ্যমে হার্নিয়ার চিকিৎসা করা হয়।

🇨🇭 পুডেনডাল নার্ভের ক্ষতি:
পুডেনডাল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অসাড় অনুভূতি কিংবা ব্যথা হতে পারে। যারা অতিরিক্ত বাইসাইকেল চালান, চাপের কারণে তাদের পুডেনডাল নার্ভ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পুডেনডাল নার্ভ যৌনাঙ্গ, মূত্রনালি, মলদ্বার এবং অণ্ডথলি ও মলদ্বারের মধ্যবর্তী এলাকাতে অনুভূতি জোগায়। তাই এসবের যেকোনো স্থানে ব্যথা হতে পারে। তলপেটের যেকোনো অপারেশনের কারণে (যেমন হার্নিয়া রিপেয়ার ও ভ্যাসেকটমি) অণ্ডকোষে সাময়িক ব্যথা হতে পারে ও অণ্ডকোষ ফুলে যেতে পারে। অপারেশনের পরে এ ধরনের কোনো ব্যথা হলে সাথে সাথে চিকিৎসককে অবহিত করবেন। ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হলে কিংবা বারবার ব্যথা হলে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

কিডনিতে পাথর কিডনিতে পাথরের কারণে সাধারণত পেটে ব্যথা হয়। তবে ব্যথা অণ্ডকোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদি অণ্ডথলিতে তীব্র ব্যথা হয় এবং হঠাৎ করে ব্যথা হয় তাহলে ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে ব্যথার উৎস কিডনিতে পাথর কি না। হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

ডা.মাসুদ হোসেন -হোমিও চিকিৎসক
🇨🇭 ফোলা ও অস্বস্তি:

অণ্ডথলি এলাকায় বিভিন্ন কারণে ফোলা থেকে অস্বস্তি হতে পারে। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে ভ্যারিকোসিল, হাইড্রোসিল এবং স্পারম্যাটোসিল। যদি হাইড্রোসিল ( অণ্ডকোষের দুই আবরণের মধ্যে অস্বাভাবিক পানি জমা ) সংক্রমিত হয় তাহলে সেখান থেকে এপিডিডাইমিসের প্রদাহ হতে পারে এবং এর ফলে অণ্ডকোষে ব্যথা হতে পারে।
পুরুষাঙ্গ শক্ত হওয়া
যদি পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু বীর্যপাত না ঘটে তাহলে কখনো কখনো অণ্ডকোষে ভোতা ধরনের ব্যথা হতে পারে। সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কিংবা বীর্যপাত ঘটালে ব্যথা চলে যায়।

🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এন্ড প্রাইভেট প্র্যাক্টিশনার। ( রেজি: নং- 35423 )

🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হোমিও গবেষক / হোমিও বিশেষজ্ঞ চট্টগ্রাম।

🇨🇭 আমার এই দুইটি নাম্বার:

   +8801907-583252
   +8801302-743871

( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।

🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।

🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।

☎+8801907-583252 (WhatsApp, IMO)।

☎ +8801302-743871 (WhatsApp, IMO)।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার সমস্যা মন খুলে বলুন।
Send via WhatsApp
error: Content is protected !!