🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি: উচ্চ কম্পাংকের শব্দ তরঙ্গ বা আলট্রা সাউন্ডের প্রতিধ্বনি ব্যবহার করে হৃদপেশীর সঞ্চালন, ভালভ ও প্রকোষ্ঠের বর্তমান অবস্থা এবং হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয় এ পরীক্ষায়। সাধারণভাবে এটি ইকো নামেও পরিচিত। এ পরীক্ষার খরচ কিছুটা বেশি। হৃদরোগীর বর্তমান অবস্থা বুঝে করণীয় নির্ধারণে এ পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া হৃদপিন্ডের ভালভের জটিলতায় ভুগছেন এমন রোগীর অগ্রগতি নির্ণয় কিংবা অস্ত্রপচার পরবর্তীতে রোগীর অবস্থা বুঝতে এ পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা প্রস্তুতি: সাধারণ ইকোকার্ডিওগ্রামের জন্য কোন পূর্ব প্রস্তুতি লাগে না। স্বাভাবিক খাবার খেয়ে টেস্টের জন্য যেতে হবে। আর যদি রোগী হৃদরোগের জন্য নিয়মিতভাবে ওষুধ খেতে থাকেন তবে সে ওষুধও খেতে হবে। গুরুতর রোগীদের ক্ষেত্রে ইসিজি ছাড়াই ইকো করা হয়।
🧪 পরীক্ষা: খালি গায়ে পরীক্ষাটি করতে হয়। রোগীকে বাম দিকে কাত হয়ে পরীক্ষণ টেবিলে শুয়ে পড়তে বলা হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফ মনিটরের জন্য রোগীর বুকে তিনটি ইলেকট্রোড বা তড়িৎদ্বার লাগানো হয়। আলট্রাসাউন্ড উৎপাদনকারী ট্রান্সডিউসারটি রোগীর বুকে রেখে আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে ছবি নেয়া হয়। পরিষ্কার ছবি পেতে চামড়ায় এবং ট্রান্সডিউসারটির প্রান্তে এক ধরনের জেল লাগানো হয়। এটি কোনভাবেই চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক নয়। যে শব্দতরঙ্গ উৎপাদন করা হয় তা মানুষের শ্রাব্যতার সীমার বাইরে হলেও দু’একটি ক্ষেত্রে শোনা যেতে পারে। হৃদপিন্ডের বিভিন্ন অবস্থানের ছবি নেয়ার জন্য রোগীকে কিছু সময় পরপর অবস্থান বদলাতেও বলা হয়। অল্প সময়েরর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ রাখতেও বলা হতে পারে। এটি একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা এবং কোন ধরনের ব্যাথা অনুভূত হয় না। তবে জেলের জন্য চামড়ায় কিছুটা ঠান্ডা অনুভূতি হতে পারে, সনোগ্রাফার চামড়ায় ট্রান্সডিউসারটি লাগালে সামান্য চাপ অনুভূত হতে পারে। পরীক্ষাটি করতে 40 মিনিটের মত সময় লাগে এবং পরীক্ষা শেষে রোগী স্বাভাবিক কাজে ফিরে যেতে পারে। পরীক্ষা শেষে রোগীর হৃদযন্ত্রের চিত্র সম্বলিত একটি প্রিন্ট আউট এবং চিকিৎসকের লেখা একটি রিপোর্ট রোগীকে দেয়া হয়। এ রিপোর্ট দেখে হৃদরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, যিনি পরীক্ষাটি করাতে বলেছেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি- Echocardiography, কি ও কেন করে?
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি ( Echocardiography )- কার্ডিওলজির একটা নন ইনভেসিভ পরীক্ষা। স্বল্প খরচে এ পরীক্ষাটি করানো যায়। এ পরীক্ষাটি করতে একটা ইকোকার্ডিওগ্রাফি মেশিন এবং একজন কার্ডিওলজিষ্ট প্রয়োজন হয়। এই পরীক্ষাটির মাধ্যমে আমরা হৃদরোগ বা হৃৎপিণ্ডের ( ইংরেজিতে যেটাকে বলা হয় হার্ট ) অবস্থা নির্ণয় করতে পারি। হার্টের অবস্থা বলতে হার্টের কোন স্ট্রাকচারাল বা ফাংশনাল অ্যাবনরমালিটি আছে কিনা, তা নির্ণয় করা হয়। আরো পরিষ্কার করে বলতে গেলে হার্টের কোন জন্মগত অসুখ বা ছিদ্র আছে কিনা, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক আছে কিনা, হার্ট ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, হার্টের বাইরে যে আবরণ থাকে ( যেটাকে বলা হয় পেরিকার্ডিয়াম ) তাতে কোন সমস্যা আছে কিনা, ফুসফুসের কোন অসুখের জন্য হার্টের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা ইত্যাদি নির্ধারণ করা হয়।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি যেকোনো বয়সে করা যায়। জন্মের পর পর বাচ্চাদের জন্মগত কোন হার্টের অসুখ আছে কিনা বা জন্মগত হার্টের কোন ছিদ্র আছে কিনা দেখা হয়।
বড়দের ক্ষেত্রে হার্টের ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ, ভাল্ভোলার হার্ট ডিজিজ আছে কিনা।
হার্টের সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক ফাংশন ঠিক আছে কিনা। ফুসফুসের রক্তনালীর প্রেসার নির্ধারণ করার জন্য।
একিউট রিউম্যাটিক ফিভার এবং ক্রনিক রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিট আছে কিনা।
পেরিকার্ডিয়াম এর অবস্থা নির্ধারণ করার জন্য, কোন পেরিকার্ডিয়াল ইফিউশন আছে কিনা দেখা হয়।
বিভিন্ন সিস্টেমিক ডিজিজ যেমন: বাত ব্যথা, কিডনির সমস্যা, লিভারের সমস্যা, ইত্যাদি কারণে হার্টের কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা দেখা হয়। স্ট্রোকের রোগীর ক্ষেত্রে স্ট্রোকের কারণ নির্ধারণের জন্য।
এই সমস্ত প্রয়োজনে ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটি করা হয়।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটি কে করবেন?
🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটি করবেন একজন কার্ডিওলজিষ্ট। ইকোকার্ডিওগ্রাফি করার জন্য কার্ডিওলজি বিষয়ের উপর পোষ্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি সম্পন্ন করা থাকতে হবে এবং ইকোকার্ডিওগ্রাফির উপর প্রশিক্ষণসহ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
কার্ডিলজি বিষয়ের উপর যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন কারণ এই ইকোকার্ডিওগ্রাফির উপর ভিত্তি করে হার্টের বা হৃদরোগের চিকিৎসা অনেকটা নির্ভর করে। সেজন্য একজন কার্ডিওলজিষ্ট ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটি করবেন। এই ইকোকার্ডিওগ্রাফি করার জন্য কার্ডিওলজিষ্টকে প্রশিক্ষণ নিতে হয় ইকোকার্ডিওগ্রাফির উপর। ইকো রিপোর্টিং এর উপরেও প্রশিক্ষণ নিতে হয় কিভাবে রিপোর্ট লিখতে হয়।
🇨🇭 কখন ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটা রোগীকে করাবেন?
🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষাটি এখন খুব সহজেই বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সরকারি হাসপাতাল থেকে করা যায়। যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে, বাত ব্যথার সমস্যা রয়েছে, কিডনির সমস্যা রয়েছে এবং যাদের কোন অপারেশনের প্রয়োজন হবে- অপারেশনের পূর্বে হার্টের অবস্থা নির্ণয়ের জন্য ইকোকার্ডিওগ্রাফি দরকার হয়।
🇨🇭 অপারেশনের আগে ইকোকার্ডিওগ্রাফি কেন লাগে?
🇨🇭 অপারেশন মানে হচ্ছে, এখানে কিছুটা ঝুঁকি থাকতে পারে। যে কোন অপারেশনের পূর্বে, বিশেষ করে বড় অপারেশনগুলোর ক্ষেত্রে রোগীর কোন হৃদরোগ আছে কিনা এবং হার্টের কার্যক্রম ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা হয়।
🇨🇭 শ্বাস কষ্টের রোগীকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষা করাবেন কিনা?
🧪 যে কোন শ্বাস কষ্টের রোগীকে ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষা করানো দরকার। কোন রোগীর ব্রঙ্কিয়াল অ্যাজমা বা COPD যদি ডায়াগনোসিস হয়ে থাকে, অবশ্যই তার একটা ইকো করানো দরকার হয় কেননা অ্যাজমা বা সিওপিডি হিসেবে যাকে আমরা চিকিৎসা করি তার অ্যাজমা বা সিওপিডি থেকে হার্টের ডান পাশের প্রেশারটা বেড়ে যেতে পারে অথবা অ্যাজমা বা সিওপিডি না হয়ে ইশকেমিক বা ডাইলেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথির মত মারাত্মক রোগ থাকতে পারে সুতরাং যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে তাদের একটা ইকোকার্ডিওগ্রাফি পরীক্ষা করানো উচিত।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি- Echocardiography, কি ও কেন করে?
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাম ( Echocardiogram ) প্রক্রিয়া: একটি নন-ইনভেসিভ পরীক্ষা যা হৃদযন্ত্রর গঠন, কার্যকারিতা এবং ভালভের অবস্থা নিরূপণ করতে শব্দ তরঙ্গ বা আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে। এটি হৃদরোগীর নির্ণয়, ব্যবস্থাপনা এবং রোগীর অবস্থা পর্যবেেক্ষণের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি।
🇨🇭 একজন কার্ডিওলজিস্ট নিন্মলিখিত ক্ষেত্রে ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন:
🩸 হৃদরোগের লক্ষণ ও উপসর্গ:
- 🩸 বুকে ব্যথা।
- 🩸 শ্বাসকষ্ট।
- 🩸 ক্লান্তি।
- 🩸 অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
- 🩸 হৃৎস্পন্দনের অনিয়মিততা।
- 🩸 পায়ের ফোলা।
- 🩸 হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ।
- 🩸 উচ্চ রক্তচাপ।
- 🩸 ডায়াবেটিস।
- 🩸 উচ্চ কোলেস্টেরল।
- 🩸 ধূমপান।
- 🩸 পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস।
- 🩸 নির্দিষ্ট হৃদরোগের সনাক্তকরণ ও মূল্যায়ন।
🇨🇭 হার্ট অ্যাটাক: হার্ট অ্যাটাকের ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশীর ক্ষতির পরিধি ও মাত্রা নিরূপণ করতে।
🇨🇭 হার্ট ফেইলিউর: হার্ট ফেইলিউরের কারণ শনাক্ত করা এবং হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ক্ষমতার দুর্বলতা নির্ণয় করা।
🇨🇭 হৃদযন্ত্রর ভালভের সমস্যা: হৃৎপিণ্ডের ভালভগুলির লিক বা স্টেনোসিস ( ভালভের সরু হয়ে যাওয়া ) আছে কিনা তা নির্ধারণ করা।
🇨🇭 জন্মগত হৃদরোগ: জন্মগতভাবে উপস্থিত হৃদযন্ত্রের অস্বাভাবিকতাগুলি শনাক্ত করা।
🇨🇭 পেরিকার্ডিয়াল রোগ: হৃদপিণ্ডের চারপাশে পাতলা আবরণে ( পেরিকার্ডিয়াম ) কোনো সমস্যা আছে কিনা নির্ণয় করা।
🇨🇭 রিউম্যাটিক হার্ট ডিজিজ: রিউম্যাটিক জ্বরের ফলাফল হিসেবে হৃদপিণ্ডে কি কোনো ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণ করা।
🇨🇭 অন্যান্য হৃদযন্ত্রের অবস্থা: এন্ডোকার্ডাইটিস ( হৃদপিণ্ডের ভেতরের আবরণের প্রদাহ ), মায়োকার্ডাইটিস ( হৃদযন্ত্রের পেশির প্রদাহ ), কার্ডিয়াক টিউমার ইত্যাদি সনাক্তকরণে এটি কার্যকরী।
🇨🇭 অন্যান্য ক্ষেত্র হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের পূর্বে ও পরে: অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি ও ফলাফল পর্যবেক্ষণ করতে।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে: গর্ভাবস্থায় হৃদযন্ত্রর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি- Echocardiography, কি ও কেন করে?
🇨🇭 ক্যান্সার থেরাপির পর্যবেক্ষণ: কিছু ক্যান্সার থেরাপি হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, ইকোকার্ডিওগ্রাফি এর মাধ্যমে থেরাপির প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা কখন করা উচিত তা নির্ধারণ করার জন্য একজন কার্ডিওলজিস্ট রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস, লক্ষণ ও উপসর্গ, এবং ঝুঁকির কারণগুলি বিবেচনা করবেন।
🇨🇭 কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইকোকার্ডিওগ্রাফি একটি বহুমুখী পরীক্ষা যা বিভিন্ন হৃদরোগ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে। একটি রোগীর বেলায় কত ঘনঘন ইকোকার্ডিওগ্রাম করা দরকার তা নির্ণয় করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
🇨🇭 চিকিৎসার উননতিসাধন অথবা বরতমান চিকিৎসা কতটা কাযকর তা মনিটরিং করতে বারবারার ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীহা করা হয়ে থাকেে।
নিন্মলিখিত অবস্থাদিতে চিকিৎসার পরবর্তন সাপর্কে কার্ডিওলজিস্ট পরামর্শ নিতে হতে পারে, পূর্বে ইকোকার্ডিওগ্রাম রিপোর্টের থেকে নয়া কোনো রকম বদল লহ্ষ করা গেলে ।
বরতমান লক্ষণগুলির কোনো উন্নতি না হলে অথবা আরও খারাপ হলে।
হৃদরোগের লক্ষণ অবনতির ইংগিত দিলে।
হৃদরোগ রোগীদের জন্য ইকোকার্ডিওগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সহজলভ্য ডায়গনিস্টিক টুল। তবেুও এটি মনে রাখা জরুরি যে একটি সম্পূর্ণ নিরভরযোগোগ্য চিকিৎসা পরিকল্পনায় ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার পাশাপাশি রক্ত পরীক্ষা, স্টেস টেস্ট বা অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফল সমেত একটি বিস্তৃত রোগ নির্ণয় প্রক্রিয়ার অংশ।
🇨🇭 গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে: গর্ভবসথায় হৃদযন্ত্রের ওপর বাড়তি চাপ পরে। কিছু গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে, বিশেেষ করে যেখানে হৃদরোগের পারিবারারিক ইতিহাস আচে অথবা হৃদরোগ-সুচক লক্ষণ দেহা দিলে গর্ভাবস্থায় নিকোকার্ডিওগ্রফি করা হয়ে থাকেে।
🇨🇭 স্বাস্থ্য সচেতনতা: হৃদরোগ সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণ শনাক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো উদ্বেগ থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সঠি সময়ে রোগণির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োগ হৃদরোগের জন্য জটিলতা এবং মৃত্যুঝার কমাতে সহায়ক হতে পারে।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রামের বিভিন্ন ধরণ:
ইকোকার্ডিওগ্রাম হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার জন্য একটি অত্যাধুনিক এবং নিরাপদ ডায়গনিস্টিক পদ্ধতি। কয়েক ধরনের ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা রয়েছে, যা রোগীর প্রয়োজন এবং অবস্থার উপর নির্ভর করে নির্বাচন করা হয়।
🧪 ট্রান্সথোরাসিক ইকোকার্ডিওগ্রাম ( TTE )
এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ইকোকার্ডিওগ্রাম।
পরীক্ষার সময়, রোগী শুয়ে থাকে এবং বুকের উপরে জেল প্রয়োগ করা হয়।
একটি ট্রান্সডিউসার ( হাতে ধরা যন্ত্র ) বুকের বিভিন্ন অংশে স্থাপন করা হয়।
ট্রান্সডিউসার থেকে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ হৃৎপিণ্ডে প্রেরণ করা হয়।
তরঙ্গগুলি প্রতিফলিত হয়ে ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে।
প্রতিফলিত তরঙ্গগুলি হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
TTE হৃৎপিণ্ডের চেম্বার, ভালভ, পেশী এবং প্রধান রক্তনালীগুলির ছবি তৈরি করে।
🧪 স্ট্রেস ইকোকার্ডিওগ্রাম এই পরীক্ষাটি হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয় যখন এটি ব্যায়ামের সময় চাপের মধ্যে থাকে।
পরীক্ষার দুটি ধাপ রয়েছে:
🧪 প্রথম ধাপে: রোগী ট্রেডমিল বা স্টেশনারি বাইক ব্যবহার করে ব্যায়াম করে।
🧪 দ্বিতীয় ধাপে: ব্যায়ামের পরে, রোগী বিশ্রাম নেয় এবং TTE পরীক্ষা করা হয়।
🧪 স্ট্রেস ইকোকার্ডিওগ্রাম করোনারি আর্টারি ডিজিজ ( CAD ) সনাক্ত করতে সহায়ক।
CAD হল হৃৎপিণ্ডের পেশীতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলির সংকীর্ণতা।
ট্রান্সএসোফাজিয়াল ইকোকার্ডিওগ্রাম ( TEE )
এই পরীক্ষাটি TTE-এর চেয়ে বেশি বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে।
পরীক্ষার সময়, রোগীকে একটি নল গিলে ফেলতে হয় যার প্রান্তে একটি ট্রান্সডিউসার থাকে।
নলটি খাদ্যনালী দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এবং হৃৎপিণ্ডের কাছাকাছি স্থাপন করা হয়।
TEE ভালভের রোগ, হৃৎপিণ্ডের টিউমার এবং জন্মগত হৃদরোগ সনাক্ত করতে সহায়ক।
🧪 অন্যান্য ধরণের ইকোকার্ডিওগ্রাম থ্রি-ডি ইকোকার্ডিওগ্রাম: এই পরীক্ষাটি হৃৎপিণ্ডের ত্রিমাত্রিক ( 3D ) চিত্র তৈরি করে।
🧪 ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাম: এই পরীক্ষাটি হৃৎপিণ্ডের রক্ত প্রবাহের গতি ও দিক সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
🧪 কনট্রাস্ট ইকোকার্ডিওগ্রাম: এই পরীক্ষায়, ছোট এবং নিরাপদ বুদবুদযুক্ত একটি কনট্রাস্ট এজেন্ট রোগীর শিরায় ইনজেকশন দেওয়া হয় হৃৎপিণ্ডের অভ্যন্তরের আরও স্পষ্ট ছবি পাওয়ার জন্য।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি- Echocardiography, কি ও কেন করে?
🇨🇭 কার্ডিওলজিস্ট কীভাবে সঠি ইকোকার্ডিওগ্রাম টিপ নির্বাচন করবেন?
🧪 কোন ধরনের ইকোকার্ডিওগ্রামের প্রয়োজন তা নির্ধারণ করতে একজন কার্ডিওলজিস্ট নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করবেন:
🧪 রোগীর লক্ষণ এবং উপসর্গ: শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া-র মতো উপসর্গের উপস্থিতি এবং ধরনটি TEE এর মতন বেশি তথ্যবহুল পরীক্ষা করার প্রয়োজন নির্দেশ করতে পারে।
🧪 সন্দেহভাজন রোগ: সন্দেহভাজন হৃদরোগের ধরন কী ধরনের ইকোকার্ডিওগ্রাম অধিক কার্যকরী হবে তা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যেমন, ভালভজনিত হৃদরোগের ক্ষেত্রে TEE খুবই উপযোগী।
🧪 রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা: রোগী গর্ভবতী হলে বা ক্লোস্ট্রোফোবিয়া (সংকীর্ণ জায়গার ভয়) থাকলে তাঁদের জন্য স্ট্যান্ডার্ড TEE এর বদলে অন্য ধরনের ইকোকার্ডিওগ্রাম বিবেবেচনা করা হতে পারে।
কার্ডিওলজিস্টের ভূমিকা
একজন কার্ডিওলজিস্ট হলেন হৃদরোগ রোগীদের নির্ণয় ও চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ একজন ডাক্তার। তাঁরা বিস্তৃত জ্ঞান এবং দক্ষতার অধিকারী, যা হৃদযন্ত্রের সমস্যার নির্ণয় ও চিকিৎসায় দরকারি। ইকোকার্ডিওগ্রাম এবং অন্যান্য ডায়গনিস্টিক হাতিয়ার ব্যাপারে তাঁরা গভীর অভিজ্ঞ। একটি পরীক্ষার ফলাফল, চিকিৎসার পরিকল্পনা এবং একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে রোগের ব্যবস্থাপনা- সবক্ষেত্রেই কার্ডিওলজিস্ট বড় ভূমিকা পালন করেন।
🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাম একেবারেই নিরাপদ এবং ব্যবহারে সহজ। তবে একজন কার্ডিওলজিস্টের দক্ষতা এবং মেধা যত্ন করে উপযুক্ত ইকোকার্ডিওগ্রাম নির্বাচনকে নিশ্চিত করে এবং ফলাফল ব্যাখ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা কীভাবে করা হয়?
ইকোকার্ডিওগ্রাম একটি ব্যথাহীন এবং নিরাপদ পরীক্ষা যা হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে।
🧪 প্রস্তুতি:
রোগীকে পরীক্ষার টেবিলে শুইতে বলা হয়।
টেবিলটি হালকাভাবে কাত হতে পারে।
রোগীকে ঘাড় থেকে কোমর অবধি উলঙ্গ অবস্থায় থাকতে হবে।
পরীক্ষার আগে রোগীর গহনা, চশমা, এবং অন্যান্য ধাতব বস্তু খুলে ফেলতে হবে।
জেল প্রয়োগ
বুকের যে অংশে ট্রান্সডিউসারটি রাখা হবে সেখানে জেল মাখানো হয়। জেল তরঙ্গের চলাচলে সহায়তা করে এবং ত্বকের সাথে ট্রান্সডিউসারের ঘর্ষণ কমিয়ে দেয়।
🧪 ইমেজিং:
ট্রান্সডিউসার বুকের উপর বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়।
ট্রান্সডিউসার থেকে আল্ট্রাসাউন্ড তরঙ্গ হৃৎপিণ্ডে প্রেরণ করা হয়।
তরঙ্গগুলি প্রতিফলিত হয়ে ট্রান্সডিউসারে ফিরে আসে।
প্রতিফলিত তরঙ্গগুলি হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি নিতে ট্রান্সডিউসারটি বুকের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপন করা হয়।
রোগীকে মাঝে মাঝে নি:শ্বাস বন্ধ রাখতে এবং পজিশন বদলাতে বলা হতে পারে।
🧪 রেকর্ডিং:
স্ক্রীনে রিয়েল টাইমে হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতার চলমান বিম্ব দেখা যায়।
প্রয়োজনে, স্থির বিম্ব এবং ভিডিও ক্লিপ রেকর্ড করা হয়।
পরীক্ষার সময়কাল
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা সাধারণত 20 থেকে 30 মিনিট স্থায়ী হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, পরীক্ষা আরও বেশি সময় নিতে পারে। পরীক্ষার পর
পরীক্ষার পর, জেল বুক থেকে মুছে ফেলা হয়।
রোগী সাধারণত পরীক্ষার পরপরই বাড়ি ফিরে যেতে পারে।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা গর্ভবতী মহিলাদের জন্যও নিরাপদ।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার মাধ্যমে কোন বিকিরণের ব্যবহার করা হয় না।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা সাধারণত ব্যথাহীন হয়।
কিছু ক্ষেত্রে, রোগী ট্রান্সডিউসার স্থাপন করার সময় হালকা চাপ অনুভব করতে পারে।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ ডায়গনিস্টিক হাতিয়ার যা হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে।
🧪 কার্ডিওলজিস্ট পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা করেন এবং রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা পরামর্শ দেন। রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস, উপস্থিত উপসর্গ এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল সমন্বিত করে কার্ডিওলজিস্ট নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারেন।
🧪 TEE ( ট্রান্সএসোফাজিয়াল ইকোকার্ডিওগ্রাম ) এর ক্ষেত্রে, রোগীকে পরীক্ষার আগে গলা অসাড় করার ওষুধ দেওয়া হয়। পরীক্ষার সময় সুবিধার জন্য রোগীকে হালকা সিডেটিভ বা শান্ত করার ওষুধ দেওয়া হতে পারে।
ইকোকার্ডিওগ্রাম বিশেষজ্ঞদের দ্বারা করা হলে সবচেয়ে কার্যকর। একজন দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী বা কারিগরী বিশেষজ্ঞ হৃৎপিণ্ডের নির্ভুল ছবি তৈরি করবেন এবং কার্ডিওলজিস্টের পরবর্তী ব্যাখ্যার ভিত্তি তৈরি করবেন।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা একটি নিরাপদ এবং গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যা কার্ডিওলজিস্টদের হৃৎপিণ্ডের একাধিক সমস্যার নির্ণয় ও চিকিৎসায় সাহায্য করে। আপনার যদি হৃদরোগ সম্পর্কিত কোনো উপসর্গ থাকে বা হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন, তবে অতিসত্বর আপনার কার্ডিওলজিস্টের সাথে দেখা করুন এবং কীভাবে এই পরীক্ষা আপনার স্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, সে সম্পর্কে পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন- insulin কার্যকরী।
- 🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল ব্যাখ্যা
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষা হৃৎপিণ্ডের গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে। পরীক্ষার ফলাফল থেকে একজন কার্ডিওলজিস্ট হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা নির্ণয় এবং রোগীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারেন। - 🧪 ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যায়:
- 🧪 হৃৎপিণ্ডের পেশীর আকার ও পুরুত্ব?
- 🧪 দূর্বল হৃৎপিণ্ডের পেশি: হৃৎপেশীর দুর্বলতা হার্ট ফেইলিউরের লক্ষণ হতে পারে।
- 🧪 পুরু হৃৎপিণ্ডের পেশি: হৃৎপেশীর পুরুত্ব হাইপারট্রোফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথির লক্ষণ হতে পারে।
- 🧪 চেম্বারের আকার
বিবৃদ্ধ চেম্বার: হৃৎপিণ্ডের চেম্বারের আকার বৃদ্ধি হলে তা হার্ট ফেইলিউর, ভালভজনিত সমস্যা, অথবা জন্মগত হৃদরোগের লক্ষণ হতে পারে। - 🧪 হৃদযন্ত্রর পাম্পিং ক্ষমতা
রক্ত পাম্প করার ক্ষেত্রে হ্রাস: হৃৎপিণ্ডের পাম্পিং ক্ষমতা কমে গেলে তা হার্ট ফেইলিউরের লক্ষণ হতে পারে। - 🧪 ভালভের কার্যকারিতা
হৃদযন্ত্রর ভালভগুলির লিক: ভালভের লিকের ফলে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হতে পারে। - 🧪 ভালভের স্টেনোসিস: ভালভের স্টেনোসিসের ফলে হৃৎপিণ্ডের চেম্বারে রক্ত প্রবেশে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
- 🧪 ভালভের প্রোল্যাপ্স: ভালভের প্রোল্যাপ্সের ফলে ভালভ সঠিকভাবে বন্ধ না হতে পারে এবং রক্ত উল্টো দিকে প্রবাহিত হতে পারে।
- 🧪 অন্যান্য অসঙ্গতি
টিউমার: হৃৎপিণ্ডে টিউমারের উপস্থিতি ইকোকার্ডিওগ্রামে দেখা যেতে পারে। - 🧪 রক্ত জমাট: হৃৎপিণ্ডের ভেতরে রক্ত জমাট বাঁধার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাফি- Echocardiography, কি ও কেন করে?
🇨🇭 একজন কার্ডিওলজিস্ট ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল সম্যক বিশ্লেষণ করতে পারবেন। কার্ডিওলজিস্ট রোগীর চিকিৎসা ইতিহাস, উপস্থিত উপসর্গ এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল সমন্বিত করে নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করবেন এবং রোগীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন।
🇨🇭 কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফল স্বাভাবিক হলেও তা হৃৎপিণ্ডের সমস্যা সম্পূর্ণভাবে বাদ দেয় না।
ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কার্ডিওলজিস্ট রোগীকে আরও কিছু পরীক্ষা দিতে পারেন।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীক্ষার সুবিধা এবং ঝুঁকি সুবিধা?
🧪 নন-ইনভেসিভ: ইকোকার্ডিওগ্রাম একটি নন-ইনভেসিভ প্রক্রিয়া। এতে কোনো চিরা বা এক্স-রেতে ববহৃত ক্ষতিকারক বিকরণরণ জড়িত নয়।
🧪 নিরাপদ: ইকোকার্ডিওগ্রাম একটি নিরাপদ পদ্ধতি হিসেবে পরিগণিত। এর তেমন কোনো পার্শ্বপতিক্রিয়া নাই।
🧪 বিস্তারিত তথ্য: হৃদযনতর গঠন এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত বিম্ব ও তথ্যাথ্ প্রদান করে।
🧪 রিয়েল-টাইম ইমেজিং: ইকোকার্ডিওগ্রাম রিয়েল-টাইমে হৃদযন্ত্রর গতিশীল ছবি তৈরি করতে পারে। ফলেে হৃদপিণ্ড কীভবে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে, ভালভগুলি ঠিকঠভাবে খুলছে কিনা ইত্যাদি স্পষ্ট দেখা যায়।
🧪 বহুমুখিতা: ইকোকার্ডিওগ্রফি হৃদরোগের বিস্তৃত পরর্ণের পর্যাগ নির্ণয় ও পর্যবেেক্ষণ করতে ব্যববহৃত হয়তে পারে।
🇨🇭 ঝুঁকি? ইকোকার্ডিওগ্রফির সঙ্গে যুক্ত তেমন কোনো উল্লেেখ্যোগয ঝুঁকি নাই। তবেও, ট্রান্সএসোফাজিয়াল ইকোকার্ডিডিওগ্রমের ক্ষেত্রে পরদের দিনে গলায় ক্ষণস্থায়ের হালকা ব্যাথাা অনুভূত হতে পাররে।
🇨🇭 ইকোকার্ডিওগ্রফি একটি অত্যাধুনিক এবং নিরাপদ ডায়গনিসটিক হাতিয়ার। এটি হৃদযন্ত্রর নির্দিষ্ট পরীক্ষা নয়, ব্ল বহু ক্ষেত্রে হৃদরোগ রোগীর প্রথম সারির পরীক্ষা হিসেবে কাজ করে।
সুস্থ হৃদযন্ত্রর বাবেস্থা নিরুপণ করতে ইকোকার্ডিওগ্রাফির তেমন কোনো ভুমিকা থাকেে না। তবুও, হৃদযন্ত্রর বিশেেষ অবস্থার পারবারারিক ইতিহাস থাকলে, ইকোকার্ডিওগ্রাফি পুনরায় করার অবস্থাা নজরে রাখতে সহায়ক হয়।
প্রয়োজন এবং সুপারশের উপর ভিত্তি করে এবং রোগীর অবস্থাা বুঝে, উপযুক্ত ইকোকার্ডিওগ্রাম পরীহা বেছে নেওয়ার ব্যাপ্ররে কার্ডিওলজিস্টের সাথে পরামর্শ নেয়া জরুরি।
🇨🇭 উপসংহার:
ইকোকার্ডিওগ্রফি হৃদযনতর কাঠামো ও কার্যকারিতা মূল্যায়ন করার একটটি চমতকার পদ্ধতি। এটি হৃদরোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং রোগী মনিটরিংএ সহয়ক ভুমিকা পালন করে। হৃদরোগ সম্পর্কে খানিকটা সচতনত এবং বোঝাপড়া, পরঠি পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করতে এর সামর্থ্য পরশংসনীয়।
🇨🇭 হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে মুক্তির উপায়। একজন হোমিও ডাক্তারের/ চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। সাইড ইফেক্ট নেই এমন হোমিওপ্যাথি ঔষধ কাজে লাগাবেন। সুস্থ জীবন যাপনের জন্য পরবর্তী ধাপগুলো অর্থাৎ- যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করতে পারবেন।
🇨🇭 ডাঃ মাসুদ হোসেন।
Dr. Masud Hossain.
( ডি, এইচ, এম, এস ) ঢাকা।
রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ( রেজি: নং- 35423 )
🇨🇭 বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড। [ নিবন্ধন নং- Gov.Reg. No. 35423 ] রেজিস্ট্রার প্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
⭕ রোগীর সাথে – মোবাইল ফোনে / WhatsApp / Imo / Telegram – এ কথা বলার সময় সকাল 11.00 থেকে দুপুর 3.00 টা পর্যন্ত।
আমার মোবাইল নাম্বার :
🤳 +880 1907-583252
🤳 +880 1302-743871
🤳 +880 1973-962203
⭕ বিকাল – 5.00 থেকে রাত 10.00 পর্যন্ত আমি চেম্বারে বসে রোগী দেখি।
⭕ আবার রাত -10.00 টা থেকে রাত- 11.00 পর্যন্ত ফোনে রোগীদের সাথে কথা বলি।
⭕ রাত- 11.00 টা থেকে – সকাল – 11.00 টা পর্যন্ত আমার মোবাইল বন্ধ থাকে।
🇨🇭 আমার এই 3-টি নাম্বার:
+8801907-583252
+8801973-962203
+8801302-743871
( What’sApp- হোয়াটসঅ্যাপ এবং Imo- ইমো ) খোলা আছে, চিকিৎসা নিতে চাইলে আমার এই দুইটি নাম্বার ফোনে সেভ করে সমস্যাগুলো লিখে অথবা অডিও রেকর্ড দিয়ে জানাবেন। আমি ফ্রী হয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।
🛑 অরিজিনাল জার্মানী ঔষধ ও উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।
🇨🇭 রোগী দেখার সময়:
🛑 বিকাল 05:00 রাত 10:00 টা পর্যন্ত।
🇨🇭 সতর্কতাঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাওয়া ঝুকিপূর্ণ।